অপরাধ,পর্ব_০২

0
2372

অপরাধ,পর্ব_০২
দুষ্ট_টম

আরে এই ছেলে তো ঐ ৪জন ধর্ষকের একজন,,এই ছেলে এখানে কি করে৷ নিশির কি হয়,

ডাক শুনে আরেক জন বের হিয়ে আসলো মিতালির bf রিহাম বের হয়ে আসলো,৷

মিতালি জানতো না এটা তার বয়ফ্রেন্ডের বাসা।

মিতালিকে দেখে হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করে তুমি এখানে (তোতলায়ে রিহাম)

মিতালী চুপ করে থাকে আর চোখ দিয়ে নিরব অশ্রু ঝরতে থাকে! প্রত্যেকটা মেয়েই চায় সমাজে তার আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে কিন্তু আজ তার সাথে যেটা হইছে সমাজ কি, তাকে বরণ করবে স্বাভাবিকভাবে নাকি ছুড়ে ফেলবে দুর্গন্ধযুক্ত ডাস্টবিনে।এসব চিন্তা তার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে যেকারনে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
অবশেষে মিতালী তাকে আবিস্কার করে হাসপাতালের বিছানাতে। চোখ টা খুলে বা দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে পায়, অসহায় বাবার মুখ। আজ খুব অসহায় মনে হচ্ছে বাবাকে। মায়ের দিকে তাকানোই যাচ্ছেনা। চোখ দিয়ে নিরব অশ্রু ঝরা ছাড়া কিছুই করার নাই।
কখন যেনো চোখটা বুজে যায় মিতালির।

এদিকে রিহাম তার মনের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে কোন ধর্ষিতা আর যাইহোক বউ হতে পারে না। কারন আমাদের সমাজে ধর্ষকের স্থান থাকলেও কোন ধর্ষিতার স্থান নেই। প্রতিদিনই তো খবরের কাগজ খুললে দেখতে পাওয়া যায় বড় বড় শিরোনাম ধর্ষণ। ধর্ষণ আমাদের সমাজে স্বাভাবিক ঘটনা।
কিছুদিন মিডিয়াতে ধর্ষণকারিদের বিরুদ্ধে এটা সেটা বলে নিজেদের ইমেজ পাব্লিকের কাছে বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই না। হয়তো বাংলাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন আছে কিন্তু সেটা কখনো কি প্রয়োগ হয়েছে??? জানা নেয়।
এই ধর্ষণ কে কেন্দ্র করে আমাদের অনলাইন প্লাটফর্ম গরম করা হয় আর সেখানে নিজেদের কে সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে কমেন্টস বক্সে বিচার চাই এটা সেটা বলে মুখে ফেনা তোলা হয়।
কেউ বা বলে ধর্ষনের জন্য পোষাক দায়ি।আর এটা বলে ধর্ষকদের পার পায়ে দেয়।
ধর্ষনকে পুজি করে মিডিয়া চলে। এই ধর্ষণকে পুজি করে হাজার ও সম্পর্ক ভেংগে যায়।
আমাদের সমাজে ধর্ষকের স্থান থাকলেও নেয়
স্থান ধর্ষিতার। এক কথায় যখন কেউ ধর্ষিতা হবে তার পর থেকে আমাদের সমাজে বেছে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলে।
আর এসবের জন্য রিহাম তার মিতালিকে মেনে নিবেনা। কারন সমাজে মুখ দেখাতে হলে কোন ধর্ষিতাকে বউ করা যাবেনা।

আর অন্যদিকে নিশির মা তার ছোট্ট মেয়েটির কাছে সব শুনে কান্না করতে থাকে। খুব কষ্ট হচ্ছে তার। নিশির বাবা একজন স্থানীয় নেতা। তার ২ ছেলে আর এক মেয়ে। বড় ছেলের নাম
রিদয় আর ছোট ছেলের নাম রিহাম। আর সবার ছোট নিশি।
নিশির মা জানে তার বড় ছেলে নেশা করে, মেয়েদের সাথে সময় কাটায় এমনকি ধর্ষণ করে কিছুদিন জেলেও ছিল। কিছু মানুষ বলে
ধর্ষণের চোখে মা বোন নেয় সবাই নারি। জংগলের জানোয়ার ও তার বোনকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাই না অথচ ভাই হয়ে নিজের বোনকে দল বেধে ধর্ষণ করতে চাই। নিশির মা একবার তার ছোট মেয়েটির দিকে তাকাই
আবার তার ধর্ষক ছেলের দিকে তাকায়।

অন্যদিকে এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তি রনির বাবার কানে গত রাতের ধর্ষণের কথা চলে যায়। যেকারনে মিতালিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here