অবিরাম ভালোবাসা পর্ব – ১

0
4112

অবিরাম ভালোবাসা
পর্ব – ১
#Writer :#Sajna Akther

আহ আমার চুল ছাড়েন এভাবে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন সমস্যাটা কি আপনার ছাড়ুন বলছি আহ ওমাগো আমার চুল ছিড়ে ফেলছে ওই খাটাশ বেটা ছার বলছি(তানিসা)
এভাবে চেঁচিয়ে লাভ নাই আর কি বল্লা আমি খাটাশ এবার বোঝবা খাটাশ কাকে বলে(সাগর)
কিইই কি করতে চাইছেন আপনি (তানিসা)

(তানিসাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে বিছানায় ছুরে দিয়ে দরজা আটকে দিলো সাগর)
” ” কি ভেবিছিস তুই আমি বিয়ে ভেঙে দিয়েছি বলে তোকে সারাজীবনের জন্য ছেড়ে দিয়েছি তুই তাই বলে যা ইচ্ছে তাই করবি আর আমি বসে বসে দেখবো। আজ থেকে তুই এখানেই থাকবি আমার কাছে আর বিয়ে এখান থেকে হবে আমাদের(সাগর)

কোনোদিনো না কখনও না এক মুহূর্তেও না আমি এখুনি চলে যাবো এখান থেকে আমাকে কি আপনি পুতুল ভাবছেন যে যা খুশি তাই করবেন এই মনে হলো বিয়ে করবেন আবার ভেঙে দিবেন তা হবে না মিস্টার সাগর আমি এখুনি এখান থেকে চলে যাবো. (বলেই পা বাড়ায় দরজার দিকে)
অমনি তানিসার হাত টান দিয়ে নিজের বুকে নিয়ে আসে সাগর
তুমি কি চাও বিয়ের আগেই তোমাকে রেপ করি (বাকা হেসে)
(নিমিশেই তানিসার ভয়ের চাপ মুখে।) নাআআ ছেড়ে দিন আমাকে আমি আপনাকে বিয়ে করবো না
আহ এতো না না করো কেনো বলো আমি তোমার বাচ্চার মা হতে চাই (সাগর)
কিইইইইই??(তানিসা)
এভাবে থাকালে কিন্তু আজই বিয়ে করে ফেলবো কি রাজি তো (একটা চোখ টিপ দিয়ে) (সাগর)

এর ফল কিন্তু ভালো হবে না আমাকে ছেড়ে দিন আমি বাসায় যাবো (তানিসা)
কি ফল ভালো হবে না কি করবা শুনি(তারমধ্যে সাগরের একটা কল আসলো ফোন রিসিভ করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো)

এখুনি আমি চলে যাব বলেই দরজার কাছে আসলো তানিসা. এমা দরজা তো বাইরে থেকে আটকানো তাহলে আমি যাবো কি করে মহা ঝামেলার মধ্যে পড়লাম খাটাশ,,,, বজ্জাত,, বলদ সব সব তুই আমাকে বন্দি করে চলে গেল গোওও (নেকা কান্না করে)

ওই দিকে সাগর অফিসের ইম্পোরটেন্ট একটা মিটিং এ চলে গেছে

তানিসা কান্না করতে করতে অতিতে ডোব দিলো
” ” তিন মাস আগে….

কিরে নবাবজাদি এখনো ঘুম থেকে উঠলি না বলি ঘরের কাজ কখন করবি শুনি(তানিসার মামি)

তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রান্নার কাজে লেগে পরে তানিসা
কাজ সেরে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার এ পড়ে তানিসা

জন্মের পর থেকেই মামা মামির কাছে বড় হয়েছে। তানিসাকে জন্ম দিয়ে তানিসার মা মারা গেছেন
ছোট্ট তানিসাকে তার বাবা মামার হতে তুলে দিয়ে অজানা দেশে পারি দেন
এইসব ভাবছে আর হাঁটছে হঠাৎ রক্তে মাখা একটা ছেলে বয়স ৯ হবে তানিসার সামনে এসে রক্তে মাখা মাথা নিয়ে তানিসাকে উদ্দেশ্য করে বলে আপু আমাকে বাছাও বলেই মাটিতে লুটে পরে
যে গলিতে ওরা আছে ওখানে গাড়ি লোকজন বেশি নাই
তানিসা চিৎকার করে বলতে থাকে হেল্প হেল্প প্লিজ হেল্প কিন্তু কাউকে পায় না
একটা কার আসছে দেখে তানিসা দৌড়ে কার এর সামনে যায় গাড়ি চালক কে বলে প্লিজ হেল্প করুন ওই ছেলেটার মাথা থেকে অনেক বিল্ডিং হচ্ছে হাসপাতাল নিতে হবে একটু সাহায্য করুন প্লিজ তারপর গাড়ি চালক ওই ছেলেটাকে গাড়িতে তুলে তানিসাও ছেলেটির পাশে বসে

তানিসার কানে শুধু একটাই কথা ভাসছে ”আপু আমাকে বাছাও” অজান্তেই তানিসার চোখে জল গড়িয়ে পড়ে তারপর হাসপাতালে নিয়ে যান গাড়ির চালক ওনার নাম সাগর আহমেদ ওই ছেলেটাকে কোলে করে নিয়েই ডক্টর ডক্টর বলে চিল্লিয়ে উঠে সাগর পেছনে তানিসা ও আসছে
একটা কেবিনে নিয়ে যাওয়া হলো
সাগর আর তানিসা কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে কিছুক্ষণ পর একজন ডক্টর এসে বলে ছেলেটার অপারেশন করাতে হবে তাড়াতাড়ি টাকা জমা দিতে হবে

তানিসা-আমার কাছে তো তেমন টাকা নাই এখন কি করবো আমি (মনে মনে)
“তখনই ওই ছেলেটা বললো আমি টাকা দেবো আপনারা অপারেশন শুরু করুন

আমিতো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি বাহ দেখতে তো সেই হেন্ডসাম লাগছে কিন্তু সাদা শার্টে রক্ত লেগে আছে
আমি একপা একপা করে লোকটার সামনে গেলাম
ধন্যবাদ আপনাকে (তানিসা)
ইটস ওকে এটা আমার কর্তব্য বাই দ্য ওয়ে আমি সাগর আহমেদ আর আপনার নাম (সাগর)
জী আমার নাম তানিসা রহমান (তানিসা)

তারপর আর কোনো কথা হয়নি তাদের মধ্যে
সাগর অপারেশন এর টাকা নিজে গিয়ে দিয়ে আসে

এই নিন আমার ফোন নাম্বার ছেলেটার জ্ঞান ফিরলে আমাকে প্লিজ একটা ফোন করবেন আমি আসবো (একজন নার্স কে বল্ল তানিসা)

ঠিক আছে আমি আপনাকে ফোনে জানাবো (নার্স)
আড়াল থেকে তানিসা আর নার্স এর কথা শুনতে পায় সাগর
তারপর…..
.
.
.
.
চলবে,….

কেমন লাগলো জানাবেন ?
[ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here