#অবিরাম ভালোবাসা
পর্ব – ৩
#Writer#Sajna Akther
ঐদিকে সাগর রিমুকে খুঁজতে খুঁজতে ছাদে গেছে সোজা গিয়ে রিমুর ডান পাশে দাঁড়িয়ে আছে রিমুর সেদিকে খেয়াল নাই
“” ও খালা শুন তোমার তো এক মেয়ে এক ছেলে তাই না? ?(রিমু)””
“” “” “হে রে মা কেনো কি হয়েছে (পাশের বাসার একজন মহিলা)” “”
“” “শুনো খালা এক জায়গাতে সাত মাসের একটা শিশু জন্ম নিয়েই বলে গেছে যাদের এক মেয়ে বা ছেলে আছে পত্যেক মা এক কলসী পানি নারকেল গাছের মোড়ে ঢালতে হবে তা হলেই ছেলে মেয়ে সুরক্ষিত থাকবে এই কথা বলেই শিশুটি মারা গেছে আমি নেটে দেখেছি এইটা সবাই পালন ও করছে “” ”
তানিসা তৈরি হয়ে ছাদে এসেছে তখনি ঠাসসসসস রিমুর গালে হাত
(রিমু) –ভাইয়া তুমি আমাকে থাপ্পড় মারলে কেনো কি করেছি আমি (কাঁদো কাঁদো গলায়)
এই জন্যই ফুপি তোকে মোবাইল দিয়েছে এসব আজগুবি কথা বলবি মানুষের কাছে গুজব ছড়ানোকি তোর কাজ. শুন গুজব যে তৈরি করে আর যে সেটা ছড়ায় দুজনই অপরাধী তাই এই থাপ্পড় তোর প্রাপ্য (সাগর)
রাগে চোখ লাল হয়ে গেছে সাগরের তাই ভয়ে কেউ কিচ্ছু বলছে না
(রিমু থাপ্পড় খেয়ে দৌড়ে নিচে নেমে আসে সবার সামনে অপমান হয়েছে বলে)
(তানিসা) –আমিতো ভেবেছিলাম আমার জন্যে রিমুকে থাপ্পড় মেরেছেন পরে কথা শুনে বুঝলাম নাহ আমার ভাবনা ভুল(মনে মনে)
(সাগর) – তুই কি ভেবেছিলি রিমু. আমি এই বাড়িতে থাকতে তুই আমার তানিসাকে জোকার বানিয়ে সবার সামনে অপমান করবি দেখ এখন সবার সামনে থাপ্পড় কেমন লাগে (বাঁকা হেসে)
ধীরে ধীরে ফাংশন শুরু হচ্ছে মামিকেও দেখতে খুশি লাগছে রূপা আপুর পাশে মায়ের মতো সান্ত্বনা দিচ্ছেন. আমিতো সাগরের সাথে কথা বলতে পারছি না যদি মামি একবার দেখে তো বলবে প্রেম লীলা করতে এসেছি
যে সাতজন আমরা একরকম সেজে এসেছি তাদের পাশে গিয়ে বসেছি
ওই দিকে অনেক ছেলেও একি কালার ড্রেস পড়েছে তারমধ্যে আমার কাছে একজনকেই হেন্ডসাম লাগছে সে হলো সাগর জানিনা কেনো ওই লোকটার হাসি দেখতে ইচ্ছে করে আজকে যদি ওনি আমাকে না দেখতেন তাহলেতো আমার বারোটা বাজতো “” “ছাদটা বিশাল বড় arrangement ও বিশাল হয়েছে আমার খুব ভালো লাগছে একা একা হাটছি আর সবকিছু দেখছি
” “হায় আমি রায়হান আপনি?
” “” “তানিসা.,কিছু বলবেন ?
“””” ভাবলাম আপনি একা একা হাটছেন তাই আপনার সাথে একটু গল্প করি (রায়হান)
“” সরি আমার গল্প করার মোড এখন নেই excuse me (বলেই চলে আসি)
(রায়হান) – মনে হচ্ছে বালিকা তোমার প্রেমে হাবুডুবু খেতে আর বেশি সময় নেই (বাঁকা হেসে)
.
.
.
.
.
.
আচ্ছা রিমুর গালে সাগর চরটা মেরেছে আর মামিকেও ফুপি ডেকেছে তারমানে এই বাসারি কেউ একজন লাগে এসব ভাবতে ভাবতে হাটছি হঠাৎ একটা দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলাম উপরে তাকিয়ে দেখি দেয়াল না মানুষ মানে আমার সামনে সাগর
.
.
.
ঐ ছেলের সাথে কি কথা বলছিলা (রাগী চোখে)
“” কেনো আপনাকে বলবো আর আমার কি কারো সাথে কথা বলা নিষেধ “”
এখন থেকে কোনো ছেলের সাথে কথা বলবে না
বোঝছো?
কি হলো বল?
আমার কথা কি কানে যায় না ?(রাগী গলায়)
আআপনি তো বল্লেন এখন, কোনো ছেলের সাথে কথা না বলতে আপনি ও তো ছেলে তাই না ?
কাকে কী বোঝাই ?তুমি আমার সাথে কথা বলবা আর এক্সট্রা কোনো ছেলের সাথে না, যাও এখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হও (বলেই চলে গেলো)
আজব আসল কথাই বলতে পারলাম না আর ওনি আমার কে হোন যে ওনার কথা মানতে হবে ?
(গান) “”
“” কন্যারে কন্যারে
“” তর রূপের মধু মন ভোলায়
“” আকেবাঁকে রোধে ডাকে
” তর গালে রাঙা রং মাখায় (২বার)
” মিছে বায়না, করে আয়না
“” তোর চোখেরই ভাষায়
চাঁদ লাজে এসে কাছে
তোর কাজলে লোকায়
“” “” “গিয়ে দেখি ফাংশন শুরু হয়ে গেছে আর এতক্ষণ যে গান বাজছিলো ওরা কতজন এক সাজে পাঞ্জাবী পরা ডান্স করছিলো তার মধ্যে সাগর ও আছে বাহ ডান্সটা জাস্ট ফাটাফাটি
মাথাটা প্রচন্ড ধরেছে একটু রেস্ট নিলে ভালো হবে অনুষ্ঠানও শেষের দিকে এসে গেছে রুমের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম হঠাৎ আমার সামনে কেউ একজন আসছে তাকিয়ে দেখি ওই লোকটা মানে রায়হান
আপনি ” (তানিসা)
(রায়হান) – আমার আপনার সাথে কিছু কথা আছে””
স্যরি আমার কাজ আছে সরুন (বলেই পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে লোকটা আমার হাত ধরে)
(সাগর)- মেয়েটা গেলো কোথায় দেখা যাচ্ছে না উফ আমার চোখের আড়াল হলেই বুকটা কেমন যেন একটা করে কি আছে ওই মেয়েটার মধ্যে (মনে মনে)
(তানিসা) -……..
.
.
.
চলবে….