অব্যক্ত প্রেমাসুখ❤️‍🔥 #আদ্রিতা নিশি ।১৪।

0
129

#অব্যক্ত প্রেমাসুখ❤️‍🔥
#আদ্রিতা নিশি
।১৪।

[কপি করা নিষিদ্ধ❌ ]

মীরাত, ফাবিহা ও সুরমা বেগম সোফায় বসে আড্ডায় মেতে উঠেছে। সুরমা বেগমের কথার মধ্যে মাতৃত্বের মমতা, আর ফাবিহার হাসিতে যুবতীর প্রাণবন্ততা দৃশ্যমান। সুরমা বেগম বিভিন্ন প্রশ্ন করে যাচ্ছেন আর মীরাত ভদ্রতার রক্ষা করে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। অথচ সে মনে মনে অনুভব করছে কিভাবে অল্প সময়েই এই পরিবার তার জন্য এত আপন হয়ে উঠেছে। এই ভাবনায় তার মন ভালো লাগায় ভরে যাচ্ছে বক্ষ।

কিন্তু মাঝে মাঝে মীরাতের দৃষ্টি আড় চোখে আহিয়াদের রুমের দিকে চলে যাচ্ছে। সকাল থেকে সে আহিয়াদকে একবারও দেখেনি। বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে মনের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। আহিয়াদকে একপলক দেখার জন্য তার মন ছটফট করছে। আগে কখনোই তার জন্য এমন অনুভূতি হয়নি। কিন্তু এখন কেন এমন হচ্ছে? এই বিয়ে নামক পবিত্র সম্পর্কের কি তবে এরূপ কোনো জাদু আছে?

ফাবিহা মীরাতের অমন দৃষ্টি দেখে প্রশ্ন করলো, – “আপু, ওদিকে তাকিয়ে কী দেখছো?”

মীরাত দ্রুত দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে হাসির চেষ্টা করে বললো,– “কিছু না। আংকেল তো সকাল আটটায় বেরিয়েছেন। তার সাথে তেমন কথা হয়নি।”

ফাবিহা মৃদু হেসে বললো, –“বাবা তো সবসময় বিজনেস নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমাদের সাথে কথা বলার সময়ই পায় না।”

মীরাত আবারও হালকা হাসি দিয়ে উত্তর দিলো,– “মাঝরাতে তো তোমরা সবাই ঘুমিয়ে থাকো। হয়তো এই কারণেই।”

এতোটুকু বলার সাথে সাথেই তার মনের গভীরে আবারও আহিয়াদের গম্ভীর মুখ ভেসে উঠলো চক্ষুপটে।

ফাবিহা সন্দিহান দৃষ্টিতে মীরাতের দিকে তাকিয়ে বললো, –“তুমি কীভাবে জানলে বাবা মাঝরাতে ফিরে?”

মীরাত থতমত খেলো । মনে মনে সে উপলব্ধি করলো, এই ভুল সময়ে ভুল কথা বলে ফেলেছে। স্বাভাবিকভাবেই নিজের ওপর বিরক্তি তার মনে উঁকি দিলো। এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজতে শুরু করলো। অবশেষে সাবধানতার সাথে বললো,– “ভোরের দিকে ডাইনিং রুমে কথার আওয়াজ শুনেছিলাম। দরজা খুলে কিছুটা এগিয়ে এসে দেখি আংকেল আর আন্টি কথা বলছিলেন।”

কথাগুলো বলতে গিয়ে মীরাত সত্য ও মিথ্যার সীমানায় দাঁড়িয়েছে। গুছিয়ে কথাগুলো বলে হাঁপ ছেড়ে বাচলো। কথা শেষ হতেই, সে ফাবিহা ও সুরমা বেগমের দিকে তাকালো। তাদের মুখাবয়বে সন্দেহের ছাপ স্পষ্ট।মীরাতের বুকের মাঝে ঢিপঢিপ করছে। প্রতিটি হৃদস্পন্দনে সে অনুভব করছে যে তার কথার সত্যতা নিয়ে একটি পরীক্ষা চলছে। ফাবিহা ও সুরমা বেগমের চাহনি আরও গভীর প্রশ্নের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের ভাবনায় কিছু একটা আছে, মীরাত তা অনুভব করছে কিন্তু বুঝতে পারছে না।সে এসব হযবরল ভাবতে ভাবতে ঢোক গিললো।

সুরমা বেগম মীরাতকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে চমৎকার হেসে বললেন, -“আমার প্রতিদিনের একটাই রুটিন। তোমার আংকেল আসলে তাকে খাবার খেতে দেওয়া আর উনার সাথে গল্প করা।”

মীরাত ও অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ কাচুমাচু ভঙ্গিতে হাসার চেষ্টা করলো।

সুরমা বেগম তখন কিছুটা তাড়া দেখিয়ে বললেন, -“তোমরা দুজনে বসো, আমি কফি বানিয়ে আনছি।”

মীরাত দ্রুত বিরোধিতা করে মিহি কন্ঠে বলে উঠলো, – আন্টি, আমি কফি বানিয়ে নিয়ে আসি প্লিজ।”

সুরমা বেগম স্বাভাবিক কন্ঠে বললেন,- “আমি কফি বানিয়ে আনছি। তুমি বসো তো।”

মীরাত গাল ফুলিয়ে বললো, -“আন্টি, আমি তো আপনার মেয়ের মতো। এতো ছোট কাজ করলে কিছু হবে না।”

সুরমা বেগম হাসিমুখে বললেন, “আচ্ছা, মুখ ফুলিয়ে রাখতে হবে না। তুমি কফি বানাও। তবে ফাবিহা তোমাকে হেল্প করবে।”

-“ঠিক আছে, আন্টি।”

ফাবিহা আর মীরাত রান্নাঘরে ঢুকলো। সেখানকার পরিবেশ যেন মিষ্টি কথোপকথনের পীঠস্থান। রান্নাঘরের আকাশে গরম কফির গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে আর সুরমা বেগম মীরাতের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছেন।মীরাতের মিষ্টি রূপ আর সুন্দর ব্যবহার তার মনে জায়গা করে নিয়েছে।

মাঝে মাঝে সুরমা বেগমের মনে হয়, মীরাত আফিয়ার মতো হয়ে উঠেছে।স্নিগ্ধতা ও সতেজতায় ভরপুর। দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতে কথা বলার সুযোগ হয়নি। তাই, সে মুন্সি সাহেবের কাছে ফোন দিলেন কথা বলার জন্য।

আহিয়াদ ধীরে ধীরে ডাইনিং রুমে প্রবেশ করলো, দরজাটি খোলা থাকায় কোনো বাধা পড়ল না। ক্লান্ত শরীরকে সামলাতে না পেরে সে সোফায় ধপ করে বসে পড়ল। সুরমা বেগম ফোনে কথা বলা বন্ধ করে ছেলের দিকে নজর দিলেন। আহিয়াদ তার দিকে ইশারা করলো, কথোপকথনটি অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান দিলো। সুরমা বেগম মুন্সি সাহেবের সাথে কথোপকথন পুনরায় শুরু করলেন।

আহিয়াদ সরাসরি ফাবিহার রুমের দিকে তাকালো। রুমটি বন্ধ দেখে তার মনে এক ধরনের হতাশা ছড়িয়ে পড়লো। এলোমেলো দৃষ্টি ঘুরিয়ে সে মীরাতকে খুঁজতে লাগলো।

সুরমা বেগম ফোনটি কেটে দিয়ে ছেলের অস্থির দৃষ্টি লক্ষ্য করে বললেন, -“ফাবিহাকে খুঁজছিস?”

আহিয়াদ মায়ের দিকে তাকিয়ে অতি স্বাভাবিকভাবে বললো-, “নাহ, মীরাতকে খুঁজছি। তুমি দেখেছো?”

মায়ের কপালে ভাঁজ পড়লো। তিনি নিজের ভাবভঙ্গি অক্ষুণ্ন রেখে বললেন,- “প্রতিদিন ফাবিহার খোঁজ করো, আজ হঠাৎ মীরাতের খোঁজ করছো যে।”

আহিয়াদ গম্ভীর কণ্ঠে বললো -“মেহমানের খোঁজ নিতেই পারি। এতে তো রিয়েক্ট করার কী হলো?”

ফাবিহা উৎসহিত ভাব নিয়ে বলে উঠলো -“আরে ভাইয়া, তোমার মেহমান তো চলে এসেছে,”

আহিয়াদের কর্ণকুহরে ফাবিহার কণ্ঠস্বর পৌঁছানোর সাথে সাথে সে সামনে তাকালো। ফাবিহা ও মীরাতকে দেখতে পেলো।মীরাতের হাতে একটি ট্রে,তাতে চারটি মগ কফি সাজানো। মীরাতের মুখাবয়বে অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট। মীরাতকে কফি হাতে দেখে তার ভ্রুযুগল কুঁচকে গেলো।

ফাবিহা ত্বরিতভাবে বললো,
“মীরাত আপু, আমার কাছে ট্রে দাও। আমি কফি সবাইকে দিয়ে দিচ্ছি।”

মীরাত ধীরে ধীরে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বললো-
“আমি সবাইকে দিয়ে দিচ্ছি। তুমি বসো।”

ফাবিহার মতো ভদ্র মেয়েটি সোফায় বসে পড়লো। মীরাত সতর্ক হাতে টি টেবিলে ট্রে রেখে সুরমা বেগম এবং ফাবিহার হাতে কফির মগটি দিয়ে দিলো। পরমুহুর্তে এক মগ কফি হাতে নিয়ে সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। আহিয়াদের দৃষ্টি মীরাতের উদ্বিগ্ন মুখে স্থির । সে কিছু একটা ভেবে চলেছে।

মীরাত বড় ফ্যাসাদে পড়েছে।সবার সামনে আহিয়াদকে কফি দেবে কি না, এই দ্বিধা তাকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। মনে পড়ে যাচ্ছিলো গত রাতে তারা একসাথে ছিল। লজ্জায় তার মুখ রক্তিম হয়ে উঠল, বিন্দু বিন্দু ঘাম তার ললাটে জমে উঠছে। সে নীরবে সেখানেই দাঁড়িয়ে রইল।

ফাবিহা মীরাতকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললো-
“আরেও দাঁড়িয়ে আছো কেন? কফিটা ভাইয়াকে দাও।”

আহিয়াদ উঠে দাঁড়িয়ে শার্ট টেনে টুনে বললো,
“আগে ফ্রেশ হবো আমি।”

ফাবিহা তৎক্ষণাৎ বিরোধিতা করে বললো-
“কফি ঠান্ডা হয়ে যাবে। মীরাত আপু, কফিটা দাও।”

মীরাত থমকে দাঁড়িয়ে আছে। সে মনে মনে হাসফাস করতে করছে। মীরাত অস্বস্তি নিয়ে কফির মগটি আহিয়াদের দিকে বাড়িয়ে দিলো। তার হাতে কম্পন ধরেছে। আহিয়াদ তা লক্ষ্য করে দ্রুত মগটি গ্রহণ করলো আর সোফায় বসে পড়লো।

-“মা, কার সাথে কথা বলছিলে?”

-“তোর নানাজানের সাথে।”

-“সবাই কেমন আছে?”

-“বললো, ভালোই আছে।”

-“আর কিছু বলেনি?”

-“নাহ, টুকটাক কথা বলে ফোন রেখে দিলাম। বাবা একটু বাজারে যাবেন এখন।”

আহিয়াদ কফিতে একটি চুমুক দিয়ে মায়ের কথাগুলো মন দিয়ে শুনলো। সে বুঝতে পারছে, নানাজান এখনও তার মাকে কিছু জানাননি। এতে তার মনে একটি চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে তারমানে তার মাকে এখনো বিয়ের কথাটা বলেনি কেউ।ঢাকায় আসার দিনটার কথা মনে পড়লো তার, যখন নানা, মামা ও মামীর সামনে সে বলেছিল, মীরাতের এবং তার বিয়ের কথা যেন তার মা-বাবা, বোন এবং জেনির কাছে আপাতত না জানানোর জন্য। আহিয়াদ নিশ্চিত ছিল, সে নিজেই একদিন তাদের জানাবে।এখন সময় হয়ে এসেছে। কিছু মুহূর্তের অপেক্ষা মাত্র। এরপর তার পরিবার জানবে মীরাত এই বাড়ির বউ। সে চায় না পবিত্র সম্পর্কটি চাপা পড়ে থাকুক; এতে সম্পর্কের উন্নতির বদলে অবনতি হবে, যা সে কখনোই কামনা করে না। আহিয়াদের মনে আশ্বাস আছে সকলের সামনে সত্যটি উন্মোচিত হলে, সম্পর্কের ভিত্তি আরো দৃঢ় হবে।
সে আবার কফির মগের দিকে তাকালো। এই মুহূর্তে, কফির মতোই তার অনুভূতি, গাঢ় আর তীব্র। সে জানে, সামনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে, আর সে সেই অধ্যায়ের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
আহিয়াদ বেশ কয়েকবার কফিতে চুমুক দিতে দিতে আজকের কফির স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্য করলো।

আহিয়াদ তৃপ্তির সঙ্গে বললো,- “টুডে’স কফি ইজ ওয়ান্ডারফুল। হোয়েন ডিড ফাবিহা লার্ন টু মেইক কফি সো বিউটিফুললি? ইউর কফি টেইস্টস ডিফারেন্ট ফ্রম দ্যা ওয়ান’স ইউ হ্যাভ মেইড বিফোর।”

ফাবিহা মিটমিটিয়ে হাসলো।, তার চোখ মীরাতের দিকে । মীরাত নিজের কফির মগ নিয়ে ফাবিহার পাশে বসে পড়লো।ফাবিহা গলা খাঁকড়ি দিয়ে বললো,-
“কফি তো আমি বানায়নি।”

আহিয়াদ অবাক হয়ে জানতে চাইলো-,
“তাহলে?”

সুরমা বেগম মৃদু হাসি দিয়ে বললেন,-
“মীরাত মা বানিয়েছে।”

আহিয়াদের দৃষ্টি মীরাতের দিকে চলে গেলো। সে দেখতে পেলো, মীরাতের মুখে লজ্জা ও উচ্ছ্বাসের ছাপ। আহিয়াদ শান্ত দৃষ্টিতে মীরাতের দিকে তাকালো পুনরায়। মীরাত চুপচাপ কফি খেতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে।এমন ভাণ করছে সে কিছুই শুনতে পাচ্ছে না ।

আহিয়াদ প্রশংসার সহিত বলে উঠলো – “কফির টেস্ট বোধ হয় সহজে ভুলতে পারবো না। এক কথায় বলা যায়, নাইস অ্যান্ড অ্যাট্রাকটিভ কফি।”

প্রথমাংশে তার প্রশংসা শুনলেও শেষাংশের মজার ছলে বলা কথা বুঝতে বিলম্ব হলো না মীরাতের। সে সরাসরি আহিয়াদের দিকে তাকালো।আহিয়াদ মৃদু হাসি ওষ্ঠে বজায় রেখে কফি পান করতে ব্যস্ত।

ফাবিহা এক গাল হেসে বললো,-
“ভাইয়া, তুমিও ওই চুপ্পু সাহেবের মতো কমেন্ট করছো?হাউ ফানি।”

সুরমা বেগম হাসিমুখে বললেন,-
“আজকাল দেখছি তোর ভাইয়ের মুখে হাসি লেগেই আছে। এখন মজাও করছে। আগে তো সব সময় মুখ গম্ভীর করে থাকতো। কাহিনী কি বল তো?”

ফাবিহা আবার মজার ছলে বললো,-
“মীরাত আপু এই বাড়িতে এসেছে তাই। মীরাত আপুকে এই বাড়িতে সারাজীবনের জন্য রেখে দাও, দেখবে তোমার ছেলের আরো কত রূপ দেখতে পাবে। আর ভাইয়া, এতে তো তোমারও সুবিধা হবে মীরাত আপুর হাতের স্পেশাল নাইস অ্যান্ড অ্যাট্রাকটিভ কফি খেতে পারবে।”

আহিয়াদ পায়ের ওপর পা তুলে আয়েশ করে বসে বললো –
” আইডিয়াটা মন্দ নয়। রেখে দে। ”

ফাবিহা প্রতিত্তোরে ভাবুক হয়ে বললো –
“ ভাইয়া এইভাবে তো রাখা যায় না। তুমি বরং প্রতিদিন কফি খাওয়ার জন্য হলেও মীরাত আপুকে আমার ভাবি বানিয়ে দাও। এমনিও মীরাত আপু জেনির থেকে শতগুণে ভালো আছে। তোমাদের দুজনকে ভালোই মানাবে। একদম খাপে খাপ মিলে যাবে।

মীরাতের গলায় কফি আঁটকে গেলো। সে খুকখুক করে কেশে উঠলো। ফাহিবা এহেন কান্ডের চমকে গেলো। ফাবিহা মীরাতের পিঠে থাবা দিতে লাগলো।

সুরমা বেগম ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন –
” ফাবিহা কোথায় কি বলতে হয় ভুলে গেছো? একটু চুপ থাকতে পারোনা? ”

ফাবিহার মুখখানা চুপসে গেলো। সে মুখ গোমড়া করে চুপ করে রইল। মজার ছলেই বলেছিলো কথাগুলো।

আহিয়াদ অবশিষ্ট কফি না খেয়ে টেবিলে মগটা রেখে দিলো। সে বললো
– “মা রিলাক্স। ফাবিহা ফান করে বলেছে।”

-”সব সময় ফান করতে নেই। এসব উল্টোপাল্টা কথা যেনো তোমার বোনের মুখে না শুনি। মীরাত হয়তো এসব কথা শুনে অস্বস্তিতে পরতে পারে এটা বোঝা উচিত ফাবিহার।”

[ নোট: পড়াশোনার চাপে লেখার সময় হয়ে উঠছে না। সামনে এক্সাম। তাই গল্প দিতে পারবো না। পরবর্তী পর্ব আসতে অনেকটা সময় লাগবে। কেউ এটা নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন না। আজকের পর্ব কেমন হয়েছে সকলে জানাবেন। ]

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here