অব্যক্ত প্রেমাসুখ❤️‍🔥 #আদ্রিতা নিশি ২৩.

0
127

#অব্যক্ত প্রেমাসুখ❤️‍🔥
#আদ্রিতা নিশি
২৩.

[কপি করা নিষিদ্ধ ❌]

❝সমুদ্রের উন্মাদ ঢেউ দেখেছেন? বড্ড ভয়ংকর লাগে তখন! ভয় যেন বক্ষে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে। কাঁপন ধরিয়ে দেয় বক্ষ স্থলে। ❞

❝ সমুদ্রের উন্মাদ ঢেউ নিকট হতে দেখেছি তা আমার বক্ষে কাঁপন ধরাতে পারেনি। তবে তোমার ভঙ্গুর হৃদয়ের আহাজারি, তোমার মায়া ভরা কাজল কালো আঁখি হতে ঝরে পরা অশ্রু কণা আমার বক্ষে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে।এভাবে আমার সামনে কখনো অশ্রু ফেলবে না মেয়ে। তোমার চক্ষুদ্বয়ে অশ্রু নয় কাজল মানায়।তুমি কি জানো? তোমার ওই অশ্রু যে আমার মনকে ক্ষ*ত বিক্ষত করার ক্ষমতা রাখে। ❞

মীরাত পাশ ফিরে এক পলক আহিয়াদের দিকে তাকায়। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে দৃঢ়ভাবে হাত রাখা আহিয়াদ ড্রাইভিংয়ে ব্যস্ত, চোখ সামনের রাস্তায় নিবদ্ধ। তবুও মীরাতের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছে স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই।

তারা দু’জনই হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছে। সকালের ঘটনাগুলো এখনও মীরাতের মনে ভাসছে। জেনিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই মুহূর্তগুলো কতটা আতঙ্কের ছিল, তা মনে করে তার গলা ভারী হয়ে আসছে মীরাতের। আহিয়াদ আর মীরাতও তখন সেখানে ছিল। ডাক্তারের কথাগুলো বারবার তার কানে বাজছে—অতিরিক্ত টেনশন আর ডিপ্রেশনের ফলে জেনি জ্ঞান হারিয়েছে।
ডাক্তার বলেছে, চিন্তার কিছু নেই। কয়েকদিন বিশ্রাম নিলে জেনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে। তবু মীরাতের মন অজানা শূন্যতায় ভার। সে জানে, জেনির মনের ভেতরের কষ্টগুলো শারীরিক অসুস্থতার থেকেও গভীর।গাড়ি এগিয়ে চলে নিস্তব্ধ রাস্তায়। বাতাসের শব্দ আর গাড়ির মৃদু গুঞ্জন ছাড়া চারপাশে কোনো শব্দ নেই।

মীরাত আহিয়াদের কথার প্রতিত্তোরে মলিন হেসে বলল;
“আমার মনের ক্ষ*ত উপলব্ধি করলেন কিন্তু যে আপনাকে দুইবছর ধরে ভালোবাসে তার কথা একবারও ভাবলেন না?”

আহিয়াদ মৃদু হাসে। হাসিতে লুকিয়ে আছে অপ্রকাশিত অনুভূতি। দৃষ্টি সামনের দিকে রেখে বলল;
“একটা কথা জানো ভালোবাসা কখনো জোর করে হয় না। হঠাৎ করেই হয়ে যায়। জেনিকে আমি ফ্রেন্ড হিসেবে দেখেছি। আর সে যে আমায় ভালোবাসে আমি জানতাম না। যখন ফ্যামিলি থেকে বিয়ে ঠিকঠাক করে তখন জানতে পেরেছিলাম। অবাক আজ হয়েছি যখন জানতে পেরেছি জেনি আমায় দুইবছর ধরে ভালোবাসে।”

“জেনি আপুর জন্য খারাপ লাগছে না আপনার?”

“ খারাপ লাগলেও পরিস্থিতি আমার হাতে নেই। মনের ভেতর কোথাও আমি অনুতপ্ত। কিন্তু প্রকাশ করতে ইচ্ছে হচ্ছে না।”

“তবে আমার কাছে প্রকাশ করলেন যে?”

“কারণটা হলো তুমি আমায় যেন হার্টলেস না ভাবো।”

মীরাত এবার অদ্ভুত এক দৃষ্টিতে আহিয়াদকে অবলোকন করে। মানুষটা আজ অস্বাভাবিক রকমের শান্ত। মুখে কোনো আবেগের ছাপ নেই। অথচ মীরাত জানে, এই নীরবতার আড়ালে আহিয়াদের ভেতরটা সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মতো অশান্ত। তার চোখের গভীরে লুকানো তীব্র ঝড় মীরাত স্পষ্ট অনুভব করছে।
জীবন আসলেই কত কঠিন, মীরাত মনে মনে ভাবে। জীবন এক বিশাল উপন্যাস, যেখানে সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি মিলে জটিলগল্প গড়ে উঠে। এই ছোট্ট জীবনে ভালোবাসা যখন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চনার দিকে ঝুঁকে যায়, তখন তার যন্ত্রণা বুকে তোলপাড় তোলে। কাউকে ভালোবেসে না পাওয়ার বেদনা অনন্ত শূন্যতা তৈরি করে, যা সারাজীবন তাড়া করে ফেরে।মীরাত জানে, আহিয়াদও নিজের সঙ্গে লড়াই করছে। কিন্তু সে তা প্রকাশ করছে না। হয়তো কখনো করবে না। হয়তো এই নীরবতা তার মনের মাঝে চিরকাল আড়াল করে রাখবে। গাড়ি এগিয়ে চলছে নিঃশব্দ রাস্তায়। মীরাত জানালার বাইরে তাকায়, কিন্তু তার মন পড়ে আছে আহিয়াদের দিকে।সে ভেবে পায় না, কেন ভালোবাসার গল্পগুলো এত জটিল। কেন এতো সুখের পরেও, এতোটা দুঃখ। হয়তো এটাই জীবন—একটি অসম্পূর্ণ অধ্যায়, যা প্রতিনিয়ত নতুন উপলব্ধি আর কষ্টের রঙে রাঙিয়ে তোলে।

“ইফতির কি খবর?”

আহিয়াদ বাঁকা চোখে তাকায় মীরাতের দিকে। গম্ভীর হয়ে উঠল মুখ ইফতির কথা শুনে। দৃষ্টি সামনের দিকে স্থির করে বলল;
“ এখনও হসপিটালে এডমিটেড। একটু সুস্থ হলে সরাসরি জেলে।”

“মানুষ সত্যি অদ্ভুত। আমরা ভাবি ভালোবাসলে সেই মানুষটিকে সবার সাথে লড়াই করে হলেও পেয়ে যাব। অথচ এটাই ভুলে যাই সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য তাদের থেকে ভালো কেউ নিয়তিতে লিখতে রেখেছেন।”

মীরাত উদাসীন ভঙ্গিতে আওড়ালো কথাগুলো। আজ হঠাৎ পুরনো সবকিছু মনে পড়ে যাচ্ছে। সেই সব তিক্ত অভিজ্ঞতা বার বার ভেসে উঠছে চক্ষুপটে।

আহিয়াদ গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল;
“আজ হঠাৎ ইফতির কথা মনে পড়ছে কেন? ”

মীরাতের কি হলো সে নিজেও জানে না। হঠাৎ হেসে উঠল।ভ্রু নাচিয়ে বলল;
“ আপনি কি জেলাস মিস্টার আহিয়াদ সীমান্ত? ”

আহিয়াদ গাম্ভীর্য ভাব বজায় রেখে বলল;
“আমি মোটেও জেলাস নই। ”

মীরাত মিটমিটিয়ে হেসে বলল;
“আসলে আজ ইফতিকে ভীষণ মনে পড়ছে। আহারে বেচারা আপনার হাতে মা’র খেয়ে হসপিটালে এডমিট। কতোই না কষ্ট পাচ্ছে সে।”

আহিয়াদের চোয়াল শক্ত হয়ে উঠে। দাঁতে দাঁত চেপে বলল;
“ আমার সামনে ওই ব্লাডি বাস্টার্ডের কথা মুখে আনবে না। আর যদি কখনও বলো তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। আমি চাই না আমার বউ অন্য কোনো ছেলের কথা ভাবুক।”

“আরে আরে রিলাক্স। আমি তো এমনি বললাম।”

“এমন ফাজলামো আমার পছন্দ না। ”

মীরাত খিলখিল করে হেসে উঠল। আহিয়াদ হঠাৎ শান্ত আর স্বাভাবিক হয়ে গেল। সে বুঝতে পেরেছে মীরাত তার সাথে মজা করছে। অনেকদিন পর মীরাতকে মন খুলে হাসতে দেখে তার মন প্রশান্তিতে ছেয়ে গেল। অদ্ভুত অনুভূতিতে ছেয়ে গেল তার মন। মীরাত ওষ্ঠ এলিয়ে হেসেই বলল;
“ কোথাও কিছু পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে দাউদাউ করে কিছু জ্বলছে আর পুড়ছে।”

আহিয়াদ গন্ধ না পেয়ে কপাল কুঁচকে বলল;
“আমি তো কোনো গন্ধ পাচ্ছি না। ”

মীরাত ওষ্ঠ টিপে বলল;
“ আসলে কারো হৃদয় পুড়ছে তাই আমি ছাড়া তা অন্য কেউ বুঝতে পারছে না। ”

আহিয়াদ ওষ্ঠ বাঁকিয়ে হাসল।আড়চোখে একবার মীরাতের দিকে তাকিয়ে বলল;
“তোমার ভালোবাসার অভাবে হৃদয় পুড়ছে। একটু ভালোও তো বাসতে পারো। ”

মীরাতের চোখ বড় বড় হয়ে গেল। সে আহিয়াদের দিকে অবাক চোখে তাকাল। তার ভাবতেই অবাক লাগছে আহিয়াদ এহেন কথা বলেছে। লজ্জায় হাসফাস করতে লাগল সে। আহিয়াদের ওষ্ঠ জুড়ে ঝুলছে বাঁকা হাসি। মীরাত বিরবির করে বলল;
“সব পুরুষই একটু হলেও অসভ্য হয়। ”

আহিয়াদের কর্ণকুহরে মীরাতের সেই বিরবির করা কথাটি স্পষ্টভাবে পৌঁছে গেল। তার চোখে মুহূর্তের জন্য গাঢ় চমক ফুটে উঠল।আহিয়াদ দৃঢ় কন্ঠে বলল;

“পুরুষ শখের নারীকেই তার অসভ্য রূপের সাথে পরিচয় করায়।”

মীরাত হতভম্ব হয়ে আহিয়াদের দিকে তাকাল। তার মুখের লজ্জার রঙ আরও গভীর হয়ে গেল। এ কি বলল আহিয়াদ! তার বুকের ভেতরটা কেমন ধক করে উঠেছে। সে ভাবছিল, আহিয়াদ হয়তো মজা করবে, অথবা চুপ করে থাকবে। কিন্তু এই উত্তরের গভীরতায় মীরাত কিছুটা দিশেহারা।

একদিকে আহিয়াদের বাঁকা হাসি এখনও তার মুখে ঝুলে আছে, অন্যদিকে মীরাত চুপ করে রইল, মুখ ফিরিয়ে জানালার বাইরে তাকাল।

★★

জেনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে, চোখ স্থিরভাবে সিলিংয়ের দিকে নিবদ্ধ। চারপাশের নিস্তব্ধতায় তার ভেতরটা কেবলই শূন্যতায় ডুবে যাচ্ছে। তার এক হাতে স্যালাইনের সূচ ঢোকানো। মনে হচ্ছে জীবনকে আরেকটু টেনে নেওয়ার নীরব চেষ্টা চলছে সেখানে। শরীরটা ভীষণ দুর্বল। সে নিজের ভারই আর বহন করতে পারছে না। ডাক্তার বলেছে, অতিরিক্ত মানসিক চাপ আর ডিপ্রেশনের ফলে প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে। কিন্তু জেনি ভাবে, কেন হার্ট অ্যাটাক হলো না? যদি হতো, তাহলে সে মুক্তি পেত। এভাবে তো সব শেষ হয়ে যেত!

তার বুকের ভেতর জমে থাকা ভারী দীর্ঘশ্বাসটা ধীরে ধীরে বেরিয়ে এলো। মাথাটা অসহ্যভাবে ব্যথা করছে।আজকের দিনটা তাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে তার সমস্ত ভালোবাসার সমাপ্তি। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে—এটা বুঝতে তার অনেকটা সময় লাগল। সে জানে, আহিয়াদ আর মীরাত এসেছিল তাকে দেখতে। হয়তো এতোক্ষণে তারা বাড়ি ফিরে গেছে। কিন্তু কেউই তার সামনে আসেনি।জেনি ভাবতে শুরু করল—আহিয়াদ কি ইচ্ছা করেই তার সামনে এলো না? নিজেকে লুকিয়ে রাখছে? সে কি একটুও অনুতপ্ত নয়? এই চিন্তাগুলো তার বুকে ধারালো শেলের মতো বিঁধছে। তার চোখের কোণে ভেজা কষ্ট অশ্রু রুপে জমে উঠল, মুহূর্তে গড়িয়ে পড়ল দু’গাল বেয়ে। এমন অসহায় অনুভূতি সে আগে কখনো পড়েনি। এটি তার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা আর হয়তো বা শেষ।

জেনি নিজের মনকে শক্ত করে বলল—আর কখনো ভালোবাসা নামক মায়াজালে সে জড়াবে না। এই যন্ত্রণার শেষ সে নিজেই টেনে দিয়েছে, প্রিয় মানুষটিকে সুখী রাখতে। কিন্তু এর বিনিময়ে সে যে একেবারে একা হয়ে গেল, তা কে বুঝবে? তার জীবনটা শূন্যতায় ভরে গেছে। সবকিছু মুহুর্তেই শেষ হয়ে গেল।

জানালার বাইরের অন্ধকার রাতের দিকে তাকিয়ে জেনি অনুভব করল, এই একাকীত্বই হয়তো তার নিয়তি। কিন্তু তবুও তার ভেতরে এক প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে—তার নিজের কী হবে? এই হৃদয়ের নিঃসঙ্গতা আর এই অন্ধকার ভবিষ্যৎ নিয়ে সে কোথায় যাবে? তার চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসে, কিন্তু এই নিরব রাতের নীরবতাই তার সবচেয়ে কাছের সঙ্গী হয়ে থাকতে চাইছে।

“মিস জেনিফার আজ কাল আমায় না জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিখে গিয়েছ দেখছি। ”

জেনি পরিচিত পুরুষালী কন্ঠস্বর শুনে জানালার বাহির থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দরজার দিকে তাকাল। সামনে অনেক বছর পর পরিচিত মানুষটিকে দেখে অবাক হয়। জেহফিল নামক সুদর্শন মানবটি আরও বেশী সুদর্শন হয়ে গেছে। আগের থেকে চেহারায় অনেকটা ভিন্নতা এসেছে।মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি চেহারায় রুক্ষ ভাব অথচ মায়াবী সৌন্দর্য যোগ করেছে। গভীর নীলাভ চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে সে চোখ।পরনে তার নিখুঁত ফিটিং ফর্মাল ড্রেস—একটি গাঢ় রঙের স্লিম-ফিট ব্লেজার, সাদা শার্ট, এবং সূক্ষ্ম টাই।জেহফিল ধীরে ধীরে জেনির বেডের দিকে হেটে আসলো। তার চলার প্রতিটি ধাপে নীরব,দৃঢ় আভিজাত্য ফুটে উঠেছে। জেহফিল চেয়ার টেনে বসল জেনির সামনে। জেনি সামনে বসে থাকা মানুষটিকে হঠাৎ সামনে দেখে অবাক হয়ে গেছে। এতো বছর পর মানুষটিকে দেখে সে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। জেহফিল গম্ভীর মুখে মৃদু হেসে বলল;
“আবারও আমাদের দেখা হলো। কিন্তু তখন তুমি প্রানবন্ত ছিলে আর আজ ভঙ্গুর। ”

জেনি মুখ গোমড়া করে বলল;
“ আমার এই অবস্থা দেখে হাসলো জেহফিল? তুমি খুব খারাপ হয়ে গেছো?”

জেহফিল হাসি বজায় রেখে বলল;
“আমি আমার ভাগ্যের ওপর হাসছি। ”

“ কেনো?”

“ সুস্থ হয়ে নাও তারপর বলবো একদিন।”

জেনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় জেহফিলের দিকে। হঠাৎ এই বিদেশী পুরুষ বাংলাদেশে আসলো কেনো? আর কীভাবেই বা জানলো সে হসপিটালে। নিশ্চয়ই তার মম বলেছে।

★★

আহিয়াদ আর মীরাত আজ বাহিরে অনেকটা সময় কাটিয়ে বাসায় এসেছে। বাসায় প্রবেশ করবে তখন খেয়াল করল দরজা আগে থেকেই খোলা। ভেতর থেকে বেশ কয়েকজনের কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। পরিচিত সেই কন্ঠস্বর। আহিয়াদ আর মীরাত ভেতরে প্রবেশ করল। ডাইনিং রুমে তাকাতেই মীরাত তার পরিচিত মানুষগুলোকে দেখে থমকে গেল। আফিয়া বেগমের চোখে অশ্রু দৃশ্যমান। মীরাত সেই দৃশ্য দেখে অজানা আতংককে থম মে’রে রইল।

[আজকের পর্ব কেমন হয়েছে সকলে জানাবেন। ]

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here