#অব্যক্ত প্রেমাসুখ❤️🔥
#আদ্রিতা নিশি
২৫.
[কপি করা নিষিদ্ধ ❌]
পুরো ছাদ কাঁচা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন রঙের পর্দা দিয়ে ডেকোরেশন করা। ছোট টিপটাপ বাতি, আর্টিফিশিয়াল ফুলের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে। ছাদের একপাশে ছোট করে স্টেজ করা হয়েছে। সেখানেও ফুল দিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। অল্প সময়ের মাঝেই এ-র থেকে বেশী আয়োজন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
মীরাত ছাদে স্টেজে বসে আছে। মুখশ্রী অতিশয় থমথমে। কারণটা হলো গতকাল রাতে আরিশা, ফাবিহাসহ আহিয়াদের ফ্রেন্ডরা মিলে হঠাৎ মেহেন্দি আর হলুদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এটা কেন তাকে বলেনি এটাই দোষ হয়েছে। আরিশা বারবার বলেছে এটা দুজনের জন্য সারপ্রাইজ ছিল। মীরাত ফাবিহা আর আরিশা ওপর রাগ করে থাকলেও মনে মনে প্রশান্তি অনুভব করছে। কারণ আহিয়াদের বাবা, মা তাকে মন থেকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিয়েছে। মীরাত শুনেছে আহিয়াদের বাবা, মা এই অনুষ্ঠান করার জন্য পারমিশন দিয়েছে। আর আগামীকাল কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ের রিসেপশন ও হবে। মীরাত কখনও ভাবেনি এতো দ্রুত সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। সে রেডি হয়ে আগে মুন্সী সাহেব, তওহীদ সাহেব, সুরমা বেগম আর আফিয়া বেগমের সাথে কথা বলেছে। সকলের দোয়া নিয়ে তারপর মেহেন্দির জন্য ছাদে এসেছে। ফাবিহা আর আরিশা মীরাতের এক পাশে চেয়ারে বসে আছে মুখ গোমড়া করে। তারা দুজন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে। মীরাতের রাগ হয়েছে তারা দুজনে বেশ বুঝতে পেরেছে। অনেকক্ষণ ধরে রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করেও রাগ ভাঙাতে পারছে না। মীরাতের অপর পাশে বসে হাতে মেহেদী দিয়ে দিচ্ছে আহিয়াদের ভার্সিটির ফ্রেন্ড তিহা আর আহিয়াদের আরেক ভার্সিটি ফ্রেন্ড নূর মেহেদী দেওয়ার ভিডিও আর ছবি তুলতে ব্যস্ত। সে মাঝে মাঝে মীরাতকে নানা রকম পোজ শিখিয়ে দিচ্ছে। মীরাতও নূরের কথা মতো পোজ দিচ্ছে।
“ মীরাত আহিয়াদ ভাইয়া এসেছে। ”
আরিশার চঞ্চল কন্ঠস্বর কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই মীরাত দৃষ্টি ঘুরিয়ে সরাসরি সামনের দিকে তাকায়। আহিয়াদকে দেখতে পায় সে। মীরাত খেয়াল করে আজ আহিয়াদ সাদা পাঞ্জাবি পড়ছে। চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা। হাতে ব্ল্যাক ঘড়ি আর লোফার পড়েছে। আজ মানুষটাকে অধিক সুদর্শন লাগছে। একদম অন্যরকম লাগছে। মনে হচ্ছে নতুন বর। মীরাতের মন ভালো হয়ে গেছে। সে মৃদু হাসে সকলের অগোচরে। দৃষ্টি নত করে মেহেদীর ডিজাইনে পরিপূর্ণ হাতের দিকে তাকায়। তিহা হাতের মাঝখানে লিখেছে “ আহিয়াদ এর বউ ”। তা দেখে মীরাত লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে গেল। তার মনে হচ্ছে আজ অবশেষে শখের পুরুষের সাথে নতুন জীবনের সূচনা হতে চললো।মীরাত আজ অজানা সুখের আদলে জর্জরিত।
আহিয়াদ অপলক তাকিয়ে আছে মীরাতের দিকে। মীরাতের হলুদ শাড়ির আভা ছড়িয়ে পড়েছে তার চোখ জুড়ে। মুখে হালকা সাজসজ্জার সূক্ষ্ম ছোঁয়া মীরাতকে আরও মোহময়ী করে তুলেছে। গোলাপ আর রজনীগন্ধার গয়নায় পরিপূর্ণ নতুন বউয়ের মতো লাগছে।আহিয়াদ মীরাতকে এই রূপে দেখে এক মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে গেছে। তার চোখে মুগ্ধতার মীরাতের অপরূপ ছবি ফুটে উঠেছে। মীরাতের মুখে স্নিগ্ধ সৌন্দর্য, যা থেকে দৃষ্টি সরানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে তার। মনের মাঝে তীব্র অনুভূতি দৃঢ় হচ্ছে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আহিয়াদ। হৃদয়হরণী স্নিগ্ধ রুপে আহিয়াদ আজ এলোমেলো হয়ে গেছে। তার নজর গেল মীরাতের কৃষ্ণ বর্ণীয় চুলের দিকে। চুলগুলো বেণী করে রাখা। তবুও চুল কোমড় ছাড়িয়েছে। পুরো চুল জুড়ে রজনীগন্ধা আর গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো। আহিয়াদ যেন তা দেখেই ফিদা। সে একহাতে তার বুকের বাম পাশ চেপে ধরল। তীব্র গতিতে হার্ট বিট করছে। শান্ত দৃষ্টি তার,তবুও সেই চোখে গাঢ় অনুভূতি প্রকাশ পাচ্ছে। চোখের চাহনি এতটাই তীক্ষ্ণ, যা ভালোবাসা আর ভালোলাগার প্রতিচিত্র প্রকাশ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আহিয়াদের ফ্রেন্ড তালহা আর ইশান আহিয়াদের পাশে দাঁড়িয়েই সবকিছু অবলোকন করল। তারা নিঃশব্দে হাসতে লাগল। যে ছেলে কখনও কোনো মেয়ের দিকে এমন হা করে তাকিয়ে থাকে না। আজ সেই ছেলে এমন তাকিয়ে আছে ভাবতেই অবাক লাগছে। এর মাঝেই তাদের মাঝে নিহাল উপস্থিত হয়৷ আহিয়াদকে হা করে মীরাতের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে গলা খাঁকড়ি দেয়। কিন্তু আহিয়াদের কোনো হেলদোল দেখা দিল না।
নিহাল আহিয়াদের কাঁধ চাপড়ে বলে হেসে বলে উঠল ;
“ব্রো কন্ট্রোল। এইভাবে তাকিয়ে থাকলে মানুষ অন্যকিছু ভাববে।”
নিহালের কন্ঠস্বর শুনে আহিয়াদ দৃষ্টি ফিরিয়ে ভ্রুযুগল কুঁচকে নিহালের দিকে তাকায়। ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে বলে উঠে ;
“ চিল ব্রো। আমি আমার বউয়ের দিকে তাকিয়ে আছি। কে কি ভাবলো আই ডোন্ট কেয়ার। ”
নিহাল কিটকিটিয়ে হেসে বলল;
“এতোদিন এই বউ কই ছিল। বাড়ির কাউকে বিয়ের কথা না বলে চুপচাপ ঘাপটি মে’রে ছিলি।”
আহিয়াদ বাঁকা হেসে বলল;
“ কেন বলিনি তা খুব শীঘ্রই জানতে পারবি।”
ইশান হেসে বলল;
“ আরে এসব বাদ দে। তাড়াতাড়ি ভাবির কাছে যা। ভাবি তোর জন্য ওয়েট করছে।
তালহা আর নিহাল ও তাল মিলিয়ে একসাথে বলে উঠল ;
“দ্রুত যা ভাবি ওয়েট করছে। ”
আহিয়াদ বন্ধুদের পেছনে ফেলে পা বাড়াল স্টেজের দিকে। ফাবিহা আর আরিশা মীরাতের পাশ থেকে উঠে আহিয়াদকে বসার জন্য জায়গা করে দিল। আহিয়াদ গিয়ে মীরাতের পাশে বসে পড়ল। মীরাত তখনি আহিয়াদের দিকে তাকাল। আহিয়াদও মীরাতের দিকে তাকানোতে দুজনের চোখাচোখি হয়ে গেল।
নূর মীরাত আর আহিয়াদের সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করল। একটু হেসে বলল;
“ একদম পারফেক্ট ছবি এসেছে। আমি ভাবতেও পারিনি আহিয়াদের চয়েজ এতো ভালো হবে। ”
নিহাল এসে নূরের পাশে দাঁড়ায়। ভাব নিয়ে বলে ;
“ আমার ভাইয়ের চয়েজ একদম ফার্স্ট ক্লাস। ”
নূর ত্যাড়া স্বরে বলল;
“ তাই নাকি মিস্টার।”
নিহাল পাঞ্জাবির হাতা গুটাতে গুটাতে বলল;
“ ইয়েস মিস নূর। ”
“আমার সাথে ফ্লার্ট করছেন? ”
“একদম নয়। এমনি কথা বলছি আর কি। ”
নূর আর কিছু না বলে নিহালকে ইগনোর করে আহিয়াদ আর মীরাতের ছবি নিতে লাগল। তিহার মেহেদী দেওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। সকলে মীরাত আর আহিয়াদের সাথে বেশ কিছু ছবি তুলল। হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে সকলে মিলে নাচ গান আর আবির খেলার প্রস্তুতি নিতে লাগল।
“মীরাত আমাকে ইগনোর করছো কেন?”
আহিয়াদের এমন কথা শুনে মীরাত বিস্মিত নয়নে তাকায়। অবাক হয়ে বলে ;
“ আমি কোথায় আপনাকে ইগনোর করছি। ”
আহিয়াদ গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল ;
“ এই যে এতোক্ষণ ধরে তোমার পাশে বসে আছি অথচ কথা বলছো না। ”
মীরাত লজ্জামিশ্রিত হেসে বলল ;
“ কি বলব? ”
“ থাক কিছু বলতে হবে না। ”
“ রাগ করলেন বুঝি? ”
“নাহ রাগ করিনি। ”
“ একটা কথা বলব? ”
“বলো।”
“আপনাকে আজ হ্যান্ডসাম লাগছে অনেক। মেয়েদের থেকে দূরে থাকবেন কিন্তু। ”
“এখানে সবাই আমার পরিচিত। তুমি কি নূর আর তিহার থেকে দূরে থাকতে বলছো।”
“একদম সঠিক ভেবেছেন। ”
“ আর ইউ জেলাস মিসেস আহিয়াদ? ”
“নো।”
আহিয়াদ মীরাতের কথা শুনে হেসে ফেলে। মীরাত চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে আছে। ফাবিহা, আরিশা, নিহাল আর আহিয়াদের বন্ধুমহল স্টেজ থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে কে কি পারফর্মেন্স করবে তা প্ল্যান করছে। আহিয়াদ সকলের অগোচরে টেবিলে থাকা হলুদের বাটি থেকে কিছুটা হলুদ হাতে মাখিয়ে নেয়। মীরাতকে উদ্দেশ্য করে শান্ত কন্ঠে বলে ;
“ মীরাত লুক অ্যাট মি। ”
মীরাত অতি শান্ত কন্ঠস্বর শুনে মুখ উঠিয়ে আহিয়াদের দিকে তাকায়। অপেক্ষা করতে থাকে আহিয়াদ কি বলে তা শোনার জন্য। কিন্তু আহিয়াদ কিছু বলে না।নিরব হয়ে রয়। তার হলুদে রাঙা হাত অকস্মাৎ মীরাতের গালে ছুঁয়ে দেয়। হলুদের আস্তরণ লেপ্টে যায় গাল জুড়ে। মীরাত চমকিত নয়নে তাকায় আহিয়াদের দিকে। আহিয়াদ বিমুগ্ধতায় ডুব দিয়েছে। চোখ জুড়ে মীরাতের মোহনীয় সৌন্দর্য বিরাজ করছে। মীরাত তা লক্ষ্য করেছে। সে আশেপাশে তাকিয়ে সকলের অবস্থান দেখে নেয়। সকলে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। মীরাত লজ্জা ভুলে আচমকা এক কাজ করে বসল। তার হলুদে রাঙা গাল আহিয়াদের গালে ছুঁইয়ে দিল। মীরাতের এহেন কান্ডে আহিয়াদ হতভম্ব হয়ে যায়। সে অবিশ্বাস্য দৃষ্টি ফেলে মীরাতের দিকে। তার সবকিছু বিস্ময়কর মনে হলো। মীরাত তখনও মিটিমিটি হাসছে।
আহিয়াদ বিস্মিত কন্ঠে বলে উঠল ;
“ এটা কি ছিলো?”
মীরাত মিহি কন্ঠে বলে উঠল ;
“ লাভ টাচ। গতরাতের পাওনা শোধ করলাম।”
আহিয়াদ ভ্রু নাচিয়ে বাঁকা হেসে বলল ;
“ পুরোপুরি শোধ হয়নি। পরবর্তী স্টেপ আই মিন আমার গালে তোমার অধরের স্পর্শ পেলে পুরোপুরি শোধ হবে। ”
মীরাত সরু চোখে তাকায় আহিয়াদের দিকে।
“ ভাই বিশ্বাস কর আমরা কিছু দেখিনি আর ছবিও তুলিনি। ”
নূরের কন্ঠস্বর কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই মীরাত আর আহিয়াদ সামনে তাকায়। সবাইকে মিটিমিটি হাসতে দেখে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায় মীরাত। তবে আহিয়াদের মাঝে হেলদোল নেই। সে তো মীরাতের রিয়েকশন দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। মীরাতের লজ্জায় মরিমরি অবস্থা। সে হাসফাস করতে লাগল। সকলের হাসির শব্দ কানে আসতেই সে লজ্জায় মুখ লুকালো আহিয়াদের বুকে।
★★
“হোয়াটস্ আপ ব্রো। ”
“এই তো একদম বিন্দাস। এতো লেট করে আসলি কেনো?”
আহিয়াদ ঢাকা ভার্সিটি এরিয়াতে ফ্রেন্ড সার্কেল নিয়ে ঘুরতে এসেছে। ঘুরতে আসা বাহানা মাত্র। মূল কারণ জেহফিলের সাথে দেখা করা। জেহফিল একটু আগেই এসেছে তারা এখন ভার্সিটি এরিয়ার একটা রেস্টুরেন্টে এসেছে। আহিয়াদের সাথে নিহাল সহ তালহা আর ইশান এসেছে। জেহফিল আহিয়াদের কথার প্রতিত্তোরে প্যান্টের পকেট থেকে ফোন বের করে একটা ভিডিও অন করে বলল;
“ এটার জন্য দেরী হয়েছে। ”
আহিয়াদ উচ্ছসিত কন্ঠে বলে উঠল ;
“ ওহ গ্রেট। ফাইনালি পেয়ে গেছি। ”
“ গতবছর জেনির কাছে আমার পেনড্রাইভ টা রেখে গিয়েছিলাম। থ্যাংক গড জেনি চেক করেনি এটা। চেক করলে তো ভিডিওটা দেখে ফেলতো। আর তখন কোনো প্রমাণ থাকতো না। আজ পেনড্রাইভ ওর থেকে নিয়ে ভিডিও ফোনে ট্রান্সফার করে তারপর তোর কাছে এসেছি। ”
“ প্রমাণ এরেন্জ করতে আবারও অনেক টাইম লাগত যদি জেনি জেনে যেতো। যাই হোক থ্যাংকস ব্রো আমাকে ভিডিওটার কথা বলার জন্য। হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও সেন্ড করে দিস।”
“ভিসার জটিলতার কারণে আসতে অনেক দেরি করে ফেললাম। নাহলে আরও আগেই ভিডিওটা দিতে পারতাম। এক্ষুনি তোর ফোনে দিয়ে দিচ্ছি। ”
“চল হাইওয়েতে গাড়ি নিয়ে চক্কর দিয়ে আসি। অনেকদিন ধরে ফ্রেন্ডরা মিলে ইনজয় করা হয় না। ”
“চল।”
আহিয়াদ আর তার ফ্রেন্ড সার্কেল রেস্টুরেন্ট থেকে বেড়িয়ে গেল।
★★
“ওয়াও ভাবি তোমার হাতের মেহেদীর রঙ অনেক সুন্দর এসেছে। ”
আরিশা ফাবিহার কথা শুনে মীরাতের হাতের দিকে তাকিয়ে বলে ;
“ বাহ। অনেক সুন্দর রঙ এসেছে। আমাদের হাতে তেমন রঙ আসেনি।”
নূর ফোন স্ক্রোল করতে করতে মজা করে বলল;
“ তোমরা কি জানো! মেহেদীর রঙ যত গাঢ় হয় বর বউকে ততটা বেশী ভালোবাসে। ”
বিছানায় মীরাতের পাশেই আরিশা, ফাবিহ,তিহা আর নূর বসে আছে। নূরের কথা শুনে সবাই হেসে উঠল। মীরাত লজ্জা পেলেও তা প্রকাশ করল না।
ফাবিহা হাস্যরত কন্ঠে বলল;
“ তারমানে ভাইয়া ভাবিকে অনেক ভালোবাসে। ”
তিহা তাল মিলিয়ে বলল;
“ আহিয়াদ মীরাতকে কতোটা ভালোবাসে তা আমরা ছাদে লাইভ টেলিকাস্ট দেখেছি। কত্তো রোমান্টিক আহা। ”
আরিশা হেসে সাথে সাথে বলল;
“ আমার বান্ধবীও রোমান্টিক হয়ে গেছে। ভাইয়ার গালে নিজের গাল দ্বারা হলুদ মাখিয়ে দিলো। ”
ফাবিহা হতাশা নিয়ে বলল;
“ আজ কেউ নেই বলে রাতে তার সাথে ছাদে টাইম স্পেন্ড করতে পারি না। এবার মনে হয় বিয়েটা করতেই হবে। ”
মীরাত ফাবিহার কথা শুনে চমকে যায়। সে বলে ;
“মানে? ”
ফাবিহা হেয়ালি করে বলল;
“ ওই যে রাতে বৃষ্টি বিলাস। আরও অনেককিছু খেয়াল করেছি। তখনি বুঝেছিলাম তোমাদের মধ্যে কিছু তো একটা আছে। ”
মীরাত চুরি করে ধরা পরার ন্যায় চুপচাপ মুখ কাচুমাচু করে বসে রইল।
নূর বলল;
“আমি তো ভাবতেই পারিনি আহিয়াদ এমন ছুপা রুস্তাম বের হবে। একদিনের মধ্যে বিয়ে করে সোজা বাড়িতে চলে আসলো। ”
ফাবিহা প্রতিত্তোর করল ;
“আমরাও ভাবিনি। ”
[আজকের পর্ব কেমন হয়েছে সকলে জানাবেন। ]
চলবে….