#অব্যক্ত প্রেমাসুখ❤️🔥
#আদ্রিতা নিশি
২৬.
[কপি করা নিষিদ্ধ ❌]
আজ মীরাত আর আহিয়াদের রিসিপশন। ঢাকার নামীদামী কমিউনিটি সেন্টারে রিসিপশনের আয়োজন করা হয়েছে। আহিয়াদের বড় মামা,ছোট মামাসহ বড়মামী,ছোট মামী আর তাদের ছেলে মেয়েরাও উপস্থিত হয়েছে। স্টেজে চুপচাপ বসে আছে মীরাত। লাল-খয়েরি শাড়ির ভাঁজে তার সৌন্দর্য গভীরতর হয়ে ফুটে উঠেছে। মাথার উপর লাল – সোনালী কারুকাজের দোপাট্টা আভিজাত্যের পরশ বুলিয়ে তার মুখাবয়বের অর্ধেক ঢেকে রেখেছে, বাকি অংশে লাজুক সৌন্দর্যের আবির্ভাব। তার পরণের সোনার গহনাগুলো মঞ্চের আলোর প্রতিফলনে ঝলমল করছে। প্রতিটি অলংকার তার সৌন্দর্যকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।মুখে হালকা মেকআপ, যা তার স্বাভাবিক রূপকে ম্লান না করে বরং আরো উজ্জ্বল করেছে। মেহেদির গাঢ় রঙে রাঙা তার হাতদুটি সোনার বালা আর লাল চুড়ির সঙ্গে সুরেলা সামঞ্জস্য গড়ে তুলেছে। কপালের মাঝখানে সোনার টিকলি রূপের পরিপূর্ণতায় শেষ স্পর্শ দিয়ে রাজকীয় বউ রুপে রমণীর ঔজ্জ্বল্য সৃষ্টি করেছে।মীরাতের কাজল রাঙা চোখে লাজুকতা অথচ চাহনি বড্ড গভীর, যা বলার অপেক্ষা রাখে না যে মনের ভেতর কত আবেগ উথলে উঠছে। ভালোলাগা, ভালোবাসার অনুভূতির আবরণে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছে। মুখে লাজুক হাসির রেখা ফুটে উঠেছে। সেই হাসির কারণ নীরব অপেক্ষার দৃশ্য—অর্ধাঙ্গ নামক প্রিয় মানুষটির আগমনের জন্য প্রতিটি মুহূর্ত তার কাছে যেন দীর্ঘায়িত হয়ে যাচ্ছে।মীরাতের এই রূপ, এই ভাব, শুধু সাজগোজের নয়, অপেক্ষায় মত্ত সে আহিয়াদ নামক মানবটিকে একপলক দেখার জন্য। স্টেজে বসে সে ভালোবাসা আর স্বপ্নের প্রতীক্ষায় নিজের পুরো সত্তাকে রাঙিয়ে তুলেছে।
“ হাই মীরাত। কেমন আছো? ”
হঠাৎ পরিচিত কন্ঠস্বর শুনে মীরাত কিছুটা চমকে উঠল। সামনের দিকে তাকাতেই সে জেনির হাস্যরত মুখশ্রী দেখে। অদ্ভুত সেই হাসি। জেনিকে দেখা মাত্রই তার মুখ থমথমে হয়ে গেল। সে খেয়াল করল জেনি আজ বেশ সাজগোজ করে এসেছে। অনেকটা খুশি লাগছে দেখতে। মীরাত জেনির এহেন ব্যবহারে ভীষণ অবাক হয়। দুইদিন আগেও যে মেয়ে আহিয়াদকে না পেয়ে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল আজ দিব্যি তার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছে। তার মনে একটা প্রশ্ন শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে জেনিকে এখানে কে আসতে বলেছে? জেনির পাশে একজন সুদর্শন যুবক দেখতে পেল। ফর্মাল ড্রেস পড়ে আছে। মুখে কেমন গাম্ভীর্য ভাব। তা দেখে মীরাতের ভ্রু কুঁচকে গেল।
মীরাত থমথমে গলায় প্রতিত্তোর করল ;
“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপু। আপনি কেমন আছেন?”
জেনি হাসল। মলিন মুখে বলল;
“ যেমন দেখছো ঠিক তেমন আছি। তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে আজ। ”
মীরাত জোরপূর্বক হেসে বলল ;
“ধন্যবাদ।”
জেনি আশেপাশে তাকাল। চোখ দুটো তার কাঙ্খিত মানুষটিকে খুঁজতে লাগল। কিন্তু চোখে পড়ল না। বরাবরের মতো আশাহত হলো সে। নানা ভাবনায় জর্জরিত হয়েও জেনি মীরাতকে জিজ্ঞেস বসল ;
“ আহিয়াদ কোথায়?”
মীরাতের মেজাজ বিগড়ে গেল। আজকের দিনে এসেও আহিয়াদকে কেন খুঁজতে হবে? এই মেয়ের মতিগতি তার ভালোলাগছে না একদম। গোমড়া মুখে বলল;
“ জানি না। ”
“ ওহ। সমস্যা নেই আমি খুঁজে নিচ্ছি।”
জেনি কথাটা সম্পূর্ণ করেই সেখান থেকে চলে গেল। মীরাত রাগে ফুঁসছে। মন চাইছে জেনিকে তাল গাছে ঝুলিয়ে রাখতে। এই মেয়ে শুধু আহিয়াদ, আহিয়াদ করে। ফাবিহা আর আরিশা দূর থেকে জেনিকে দেখতে পেয়েছে। তাই দ্রুত পা চালিয়ে এসে স্টেজে মীরাতের পাশে বসল।
আরিশা কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করল;
“ এই জেনি আপু কেনো এসেছে? আর তোকে কি জিজ্ঞেস করছিল? ”
মীরাত অগ্নিশর্মা হয়ে বলল;
“ তোর আহিয়াদ ভাইকে খুঁজছিল। বিয়ে করেও বর নিয়ে শান্তি নাই। এই মেয়ে এসে আমার বরটাকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিয়েছে। ”
ফাবিহা ক্ষুব্ধ হয়ে বলল;
“এই পেত্নিকে আবার কে ডেকেছে। ”
“ ওই পেত্নিকে আপনার ভাই ডেকেছে মিস। ”
অপরিচিত কারো কন্ঠস্বর কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই ফাবিহা চুপ হয়ে গেল। সে সরু চোখে তাকায় সেই ব্যক্তির দিকে। ফর্মাল লুকে একজন যুবককে দেখে কপাল তার বেশ কয়েকটা ভাজ পড়ে। কৌতূহলী দৃষ্টি ফেলে জিজ্ঞেস করে ;
“ আপনি কে? ”
জেহফিল বেশ ভাব নিয়ে উত্তর দেয়;
“জেহফিল তাজবিদ আমার নাম। আহিয়াদের ফ্রেন্ড। ”
ফাবিহা কিছুটা অস্পষ্ট শুনল। মুখ কুঁচকে সরু দৃষ্টিতে অবলোকন করে বলল ;
“ তাজ্জব এটা আবার কেন নাম? দেশে কি আর কোনো নাম ছিল না? আপনার বাবা মা আপনার নাম “ তাজ্জব ” কেন রাখল? ”
আরিশা আর মীরাত হেসে উঠল ফাবিহার কথা শুনে। জেহফিল খুকখুক করে কেশে উঠল। এই মেয়ে তার নামের চৌদ্দটা বাজিয়ে দিয়েছে একদম। কি অদ্ভুত নাম শুনেছে। গলা ঝেড়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলল;
“ তাজ্জব নয় তাজবিদ আমার নাম। কান পরিস্কার করুন মিস। নাহলে একজন একটা বলবে আর আপনি আরেকটা শুনে বসে থাকবেন।”
ফাবিহা চোখ ছোট ছোট করে ত্যাড়া স্বরে বলল ;
“ আপনার কথা বলায় সমস্যা আছে মিস্টার। আপনি ভালোভাবে কথা বলা শিখুন আগে। আপনি যা বলেছেন আমি তাই শুনেছি। ”
জেহফিল বিস্মিত হয়। এইমেয়ে এতো কথা বলে কেন? আবার মিথ্যা ও বলছে। সে বিরক্তি প্রকাশ করে বলল ;
“ আপনি এতো কথা কেন বলেন? আহিয়াদের বোন এতো বাঁচাল আগে জানতাম না। ”
ফাবিহা স্টেজ থেকে নেমে তেড়ে এসে জেহফিলের সামনে দাড়ায়। তর্জনী আঙুল উঁচিয়ে রেগেমেগে বলে উঠল ;
“ আপনি বাঁচাল। আপনার চৌদ্দ গুষ্টি বাঁচাল। আপনার বউ, বাচ্চা সব বাঁচাল। ”
জেহফিল ফাবিহার কান্ডে হতভম্ব হয়ে যায়। সে রাগাশ্রয়ী মুখের দিকে তাকায় একবার। ফাবিহার বলা কথাগুলো শুনে ভীষণ অবাক হয়। কোনো মেয়ে তার সাথে কখনো এভাবে কথা বলেনি। সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সাহস ও করেনি। আজ কেউ প্রথম এই ভাবে কথা বলার সাহস করল।
জেহফিল গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল ;
“ আমার বাবা মাকে নিয়ে আর কিছু বললে আমি কিন্তু সহ্য করব না ফাবিহা। আর আরেকটি কথা আমার বউ নেই। বাচ্চা তো দূরের কথা। ”
ফাবিহা জেহফিলের কথা শুনে থতমত খেলো। সে বিস্মিত হয়ে তাকাল সামনে দন্ডায়মান মানুষটির দিকে। তার নাম কিভাবে জানলো? আরিশা দৌড়ে ফাবিহার পাশে এসে দাঁড়াল। জোরপূর্বক হেসে জেহফিলকে বলল;
“সরি ভাইয়া। ফাবিহার কথায় কিছু মনে করবেন না। ”
জেহফিল “ইটস ওকে ” বলে সেখান থেকে প্রস্থান করল। ফাবিহা ভেবলাকান্তের মতো সেখানে দাঁড়িয়ে রইল।
★★
আজ বিয়ের আমেজ লেগেছে। সকলের মাঝে আনন্দের জোয়ার। মনে হচ্ছে সবকিছুতে আনন্দঘোন পরিবেশ। যে যার মতো ছবি তুলতে ব্যস্ত। দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ সকলের। তওহীদ সাহেব তার কোম্পানির এমপ্লয়দের সাথে কথোপকথনে ব্যস্ত। সুরমা বেগম তাদের পরিচিত সকলের সাথে মত বিনিময় করছেন। সকলের মুখে হাসি। বোঝার উপায় নেই দুইদিন আগেও এই বিয়েতে নারাজ ছিল অথচ আজ একদম স্বাভাবিক সবাই। আহিয়াদ মীরাতের পাশে বসে আছে। সে কাউকে কল করতে ব্যস্ত। মীরাত পাশে বসে আহিয়াদের কান্ডে অতিশয় বিরক্ত প্রকাশ করছে। সে মুখ গোমড়া করে বসে আছে। এই তো কিছুক্ষণ আগে ফটোগ্রাফার ছবি তুলল। তখন ফটোগ্রাফারের কথা অনুযায়ী দুজনে কাপল পিক তুলেছে। কিন্তু কেউ কারো সাথে কথা বলেনি। ফ্যামিলি ফটো, ফ্রেন্ড সার্কেলের সাথে ফটো, আলাদা ভাবে সকলের সাথে ছবি তুলেছে। মীরাত ভেবে পাচ্ছে না আহিয়াদ আজ এতো গম্ভীর কেনো? কোনো কিছু কি হয়েছে? সে তো আহিয়াদের ওপর রাগ করেছে। মহাশয় তার রাগ না ভাঙিয়ে উল্টো মুখ এটে কেনো বসে আছে। মীরাত বারবার আড় চোখে তাকাচ্ছে আহিয়াদের দিকে। আহিয়াদ তো নিজের কাজে ব্যস্ত। আশেপাশে তার নজর নেই একদম।
নিহাল কমিউনিটি সেন্টারের বাহির হতে ভেতরে প্রবেশ করল। তটস্থ ভঙ্গিতে দ্রুত আহিয়াদের সামনে উপস্থিত হয়। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল;
“ মিনহাজ সাহেব এসেছেন আহিয়াদ।”
আহিয়াদ ফোন স্ক্রোল করা বাদ দিয়ে নিহালের দিকে তাকায়। গম্ভীর কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে ;
“ মিনহাজ আংকেল একা এসেছেন? ”
“ হুম। জেনির মা আসেননি। ”
“ ওকে। তুই দ্বিতীয় তলায় ২০ নম্বর রুমে নিয়ে যা আমি আসছি। ”
“ঠিক আছে।”
নিহাল চলে গেল। আহিয়াদ ফোন প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে উঠতে উদ্যত হয়েছে এমন সময় মীরাত আহিয়াদের হাত খপ করে ধরে ফেলে। আহিয়াদ না উঠে মীরাতের দিকে কপাল কুঁচকে তাকায়। কপাল জুড়ে বেশ কয়েকটা ভাজ পরল।
মীরাত তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে গমগমে কন্ঠে বলে উঠল ;
“ আপনি এই সুন্দর দিনটা কেন নষ্ট করতে চাইছেন?”
আহিয়াদ ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে উত্তর দেয়;
“ আমি কারো সুন্দর দিন নষ্ট করছিনা। ”
“করছেন না তাই তো? তাহলে আজ সকাল থেকে আপনার দেখা একবারও পেলাম না। দুপুরে আসলেন। আমার পাশে বসলেন। কিন্তু একবারও ভালোভাবে কথা বললেন না। এমন কেনো করছেন? ”
“ একটু বিজি আছি।”
“ মেনে নিলাম। কিন্তু একটু ভালো করে কয়েকটা কথা বলতে পারতেন। সেটা না করে উল্টো ফোন স্ক্রোল করছেন।”
“ তুমি আমায় ভুল বুঝছো। ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড মীরাত, আমি খুব টেনসড এখন। পরে কথা বলছি।”
“জেনি আপুকে আপনি ইনভাইট করেছেন?”
আহিয়াদ নিবিড় দৃষ্টি ফেলে মীরাতের উদ্বেগ ভরা মুখের দিকে তাকায়। করুণ চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। আহিয়াদ কিছুটা নরম হলো। সে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল;
“ জেনি বাবার সাথে দেখা করতে এসেছে। এমন কি ওর বাবা ও এসেছে আজ। ”
মীরাত উদ্বিগ্ন হয়ে বলল;
“কেনো এসেছে?”
আহিয়াদ দৃঢ় কন্ঠে বলে উঠল ;
“ প্রতারণার পরিসমাপ্তি ঘটাতে। ”
“তবে আজ কেন? ”
“প্রমাণ কাছে রেখে চুপচাপ বসে থাকা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। ”
মীরাত শান্ত চাহনিতে আহিয়াদের দিকে তাকায়। আজ সবকিছু ঠিক থাকলেও অনেককিছু এলোমেলো। আহিয়াদকে আজ অপরিচিত মনে হচ্ছে কেন? গতকাল রাত থেকে আহিয়াদ তাকে এক প্রকার এড়িয়ে চলছে। আজও তেমন।
মীরাতের মন আজ ভীষণ অশান্ত। সে এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে আশেপাশে তাকায়। দীর্ঘ শ্বাস টেনে ম্লান কন্ঠে বলে ;
“ আজ ভীষণ ভয় লাগছে। হঠাৎ অস্থিরতায় ডুবে যাচ্ছি আমি। আপনাকে আমি চিনতে পারছিনা। কিছু বুঝতে পারছিনা কি চলছে আপনার মস্তিষ্কে। বারবার এসব ভাবনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইছি। অথচ আপনি এই মস্তিষ্কের পুরোটা জুড়ে বিরাজ করেন। তাহলে ভাবনা তো আসবেই।”
আহিয়াদ চমৎকার হাসে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অবলোকন করে বলে উঠে;
❝অদ্ভুত বিষয় কি জানো! তুমি আমায় চেনো অথচ আসল আমি টা কী সেটাই বুঝতে পারো নি। আমি আগুন, কাছে আসলে পুড়ে যাবে, আর দূরে থাকলে উপশম অনুভব করবে।যদি প্রণয়ের দহনে সিক্ত হও তাহলে বুঝে নিও তুমি এই আমিতেই আসক্ত। একমাত্র এই আহিয়াদ সীমান্ত নামক মানুষটিতেই আসক্ত। ❞
আহিয়াদ মীরাতের হাত থেকে নিজের হাত ততক্ষনাৎ ছাড়িয়ে নেয়। সে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। একপলক মীরাতের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে পা বাড়ায় দ্বিতীয় তলার দিকে।
মীরাত একদৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। বিরবির করে বলে;
“আমি অনেক আগে থেকে আপনি নামক মানব এ আসক্ত। শুধু ভয় হয় আপনি যদি বদলে যান। এমনটা হলে আমি হয়তো আর সহ্য করতে পারব না আহিয়াদ। মনে মনে সবসময় চাই এমনটা যেন না হয়।”
★★
“ আপনি আমাদের এইভাবে ঠকালেন মিস্টার মিনহাজ? ভাবতেই ঘৃণা লাগছে আপনাকে বন্ধু ভেবে আহিয়াদের বিয়ে আপনার মেয়ের সাথে দিতে চেয়েছিলাম।”
“ আপনি আমায় ভুল বুঝছেন তওহীদ সাহেব। আমরা আপনাকে ঠকাতে চাইনি।”
“ একদম চুপ করুন। এবার বুঝেছি কেনো আপনার মেয়েকে আমাদের ফ্যামিলিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন। আপনি আর আপনার মেয়ে দুজনেই ফ্রড। ”
“ওই ভিডিওটা মিথ্যা। ”
“সব সত্যি। ”
তওহীদ সাহেব রেগেমেগে দাঁড়িয়ে আছেন। তার সামনেই মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে মিনহাজ সাহেব। তিনি তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত। এখন বুঝছেন এসব করা একদম উচিত হয়নি।
[আজকের পর্ব কেমন হয়েছে সকলে মতামত জানাবেন। ]
চলবে……