অব্যক্ত ভালোবাসার গল্প
writer : Lovely khanom
part : 35
এটা স্টেজে নামার পর আমরা নিছে নামলাম,,,,,
ভিডিও ম্যান আর হাজারো মোবাইল ক্যামেরা ম্যান আমাদের যেমনি পারছে ছবি উঠাচ্ছে,,,,
ভিডিও ম্যান তো যা তা অবস্হা শুরু করেছে,,,,,,,
কখনো সাইফের কাধে হাত রাখতে বলে,,,,,,
আবার কখনো সাইফের চোখে চোখ রেখে মুচকি হাসতে,,,,
একবার বলে টাইটানিক স্টাইল দিতে,,,
এসবের কোনো মানে হয় না,,,,,
.
তাদের যা ইচ্ছা আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে,,,,,
লুৎফা,,,,সারিকা আর বাকিরা মালা এন্ড মিষ্টি নিয়ে স্টেজে আসলো,,,,,
আমার হাতে একটা মালা আর সাইফের হাতে একটা,,,,,,
সাইফ যখন প্রথম আমাকে মালা পড়াচ্ছিলো,,,,
লুৎফা আমাকে টেনে সরিয়ে দেয়,,,
সাইফ আবারো চেষ্টা করে কিন্তু পারেনা,,,,,
.
লুৎফা ::::::::::: এই যে জিজু মশাই,,,
আগে টাকা বের করুন তারপর মালা পড়াতে দিবো,,,,,
.
তাফসীর ::::::::::: কত টাকা লাগবে আপনাদের শুনিতো,,,
.
লুৎফা :::::::::::: বেশি না,,,,,,,
মাত্র পঁচিশ হাজার দিলেই হবে,,,
.
তাফসীর আর সাইফের সব বন্ধুরা একসাথে বললো,,,,
ওমা এতো গুলা টাকা,,,,
.
লুৎফা :::::::: এতো গুলা কোথায়,,,,,
সামান্য টাকাকে এতো গুলা বলছেন,,,,
.
তাফসীর :::::::::::: হেই মেয়ে টাকা কি গাছে ধরে নাকি,,,,,
যে চাইলেই ছিড়ে এনে দেবো,,,
যাও টাকা দিবোনা,,,
আমাদের জিনিস আমাদের দিয়ে দাও,,,
সাইফ তুই পড়িয়ে দে,,,,
.
লুৎফা ::::::::: আমরা আমাদের জলজ্যান্ত একটা বোন দিয়ে দিচ্ছি আর আপনারা সামান্য পঁচিশ হাজার টাকা দিতে পারছেন না,,,,,
এতো কিপ্টুস তাতো আগে জানতাম না,,,,,
.
আমি প্রতিটা বিয়েতেই দেখি,,,,
বর পক্ষরা খুব কিপ্টে হয়,,,,
স্টেজে আসলে তো কথাই নেই,,,
ফিতা কাটার সময় আর মালা পড়ার সময় তারা টাকা দিতে কিপ্টামি করবেই তো করবে,,,,,,
শুধু সাইফ না তার সব বন্ধুরা কিপ্টামি করছে,,,,
.
তাফসীর আর লুৎফা কথা কাটাকাটি করছে আর সেই সুযোগে সাইফ আমায় মালা পড়িয়ে দিলো,,,,
ওরা খেয়াল করতেও পারেনি,,,,
যখন আমাকে মালা পড়িয়ে দিলো সাইফের বন্ধুরা হাততালি দিচ্ছে,,,,,
লুৎফা রাগে ফুসছে,,,,
চিটিং চিটিংবাজ,,,,,
হবে না এইটা,,,,
.
এবার আমার পালা সাইফকে মালা পড়ানোর,,,,,,
আমি যখন সাইফের দিকে এগুলাম মালা পড়াতে তাফসীর আর অন্যরা মিলে সাইফকে কোলে নিয়ে উচু করে রাখলো,,,
এমনিতেই সাইফ লম্বু তার উপর আবার কোলে নিয়ে উচু করা,,,,
এসব কি,,,,
আমি তো ওকে নাগাল পাচ্ছিনা,,,
কিভাবে মালা পড়াবো,,,,
লুৎফা ::::::::: তুই লাফিয়ে মালাটা পড়িয়ে দে,,,,,
.
আমি ::::::::: পাগল নাকি কিভাবে পড়াবো,,,
অনেক উচু আর আমি এতো ভারী জিনিস নিয়ে কিভাবে লাফাবো,,,,
.
লুৎফা :::::::::: দাড়া জাইফকে ডাকি তোকে কোলে নিতে,,,,
.
আমি ::::::::: না না ওকে ডাকতে হবে না,,,,
.
তারপরও লুৎফা জাইফকে ডেকে আনলো,,,,
আমাকে কোলে নিতে বললো,,,
সাইফ ইশারা করে বললো,,,
কোলে না উঠতে,,,,
আর সাইফ নিজেই মাথা নিচু করলে আমি সামান্য উচু হয়ে মালাটা পড়িয়ে দিলাম,,,,,,
.
ওরা সাইফকে নিচে নামালো,,,
আমারটা খুলে ওকে পড়িয়ে দিলাম আর ওরটা আমাকে পড়াতে গেলে লুৎফারা ওদের হিসাব মিটিয়ে নেয়,,,
গুনে গুণে পুরো পঁচিশ হাজার উসুল করে নেয়,,,,,,,,
.
মালা পড়ানো শেষ হলে আম্মু আসে স্টেজে দুধের গ্লাস নিয়ে,,,,
ফাস্ট সাইফকে খেতে দেয় পরে ওর অর্ধেকটা আমাকে খেতে দিলে আমি আম্মুকে ইশারা করে বলি আমি ওর এটো খাবোনা,,,,
আম্মু বললো খেতে হবে,,,
এতে নাকি ভালোবাসা বাড়ে,,,,
জোর করে আম্মুটা খাইয়ে দিলো,,,,
.
তারপর আব্বু,,, আম্মু,,,আপুনি আমার ফুফি,,,খালা মনি মামিরা সবাই এসে সাইফের হাতের উপর আমার হাত রেখে বলে,,,,,
বাবা আমাদের মেয়েকে আজ তোমার হাতে তুলে দিলাম,,,,
আমাদের আমানতকে তুমি সামলে রেখো,,,,,,
ও কিছু বোঝেনা,,, ছোট মানুষ,, যদি ভুল করে ক্ষমা করে দিও,,,,
এখন থেকে তুমি ওর সব,,,,
ওকে আগলে রেখো,,,
না বুঝলে সব বুঝিয়ে দিও,,,,
কখনো কষ্ট দিওনা,,,,,
আমাদের মেয়েকে তোমার কাছে দিয়ে দিলাম,,,,
আম্মু কান্নার জন্যে কথা বলতে পারছে না,,,,,
আম্মু আব্বু দুজনেই চোখের পানি আড়াল করতে না পেরে স্টেজ থেকে নেমে গেলো,,,,,,
.
ওদের কথা শুনে আমার ভেতরটা দুমডে মুচডে যাচ্ছে,,,,,
খুব কষ্ট হচ্ছে,,,,,,
আমার বাবা মা আমাকে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছে,,,,,
আমি এখন অন্যের,,,,
আম্মুকে কখনো ভালোবাসি কথাটা বলা হয়নি,,,,
আব্বুকেও বলা হয়নি,,,,
তারা যে আমার চোখের মণি,,,,
আব্বু আম্মু আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি,,,,
তোমাদের ছাড়া কেমনে থাকবো আমি,,,,,,,,,
যে তোমরা আমাকে কোথাও কখনো একা থাকতে দাওনি,,,,,
কোথাও যেতে দিতেনা একা,,,,
তোমরা সহ যেতে,,,
কিন্তু আজ কেনো আমায় একা পাঠিয়ে দিচ্ছো অন্যকারো সাথে,,,,,,
কেনো আমাকে পর করে দিচ্ছো,,,,
খুব যে ভালোবাসি তোমাদের,,,,
.
আম্মু গো আমাকে রাতে কফি কে বানিয়ে দিবে,,,,
সকালে ঘুম থেকে কে জাগিয়ে দিবে,,,,
কে আমার চুলে তেল দিয়ে চুল আচড়ে দিবে,,,,,,,
কে আমাকে বকবে,,,,
আম্মু আমি যে তোমাদের ছেড়ে থাকতে পারবো না,,,,,,
কষ্টে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে,,,,,
.
আব্বু তোমাকে কেউ আর জিঙ্গেস করবে না বারবার ঔষুধ খেয়েছো কিনা,,,,
বারবার ফোন দিয়ে বলবেনা আমার এটা লাগবে,,,
আব্বু আমার ওটা লাগবে,,,
আর ভুলে গেলে সেটাও কেউ মনে করিয়ে দিবে না,,,,,
কারণ আমি যে এখন অন্যের ঘরের ঘরণী হয়ে গেছি,,,,,,
আমাকে যে অন্যের কাছে তোমরা দিয়ে দিয়েছো,,,,,
.
আপুনিরে এবার আমি বুঝতে পারছি তুমি কেনো বিয়ের দিন কেদেঁছিলে,,,,
কেনো কনেরা কাদেঁ,,,,,,
কারণ আজজে আমি কনে,,,,
আমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি আব্বু আম্মুর মর্ম,,,,,,,
তাদের ছেড়ে যেতে যে কতোটা কষ্ট হচ্ছে আমার শুধু সৃষ্টিকর্তাই বুঝবেন,,,,,,,
.
একটা মেয়ের যে কতো কষ্ট সেইটা যদি ছেলেরা বুঝতো তাহলে আজ মেয়েরা বঞ্চিত,,,,লাঞ্চিত হতো না,,,,
নির্যাতন হতো না,,,,,
.
একে একে সবাই আমাকে জড়িয়ে ধরলো,,,,
লুৎফা সারিকা জাইফ সবার চোখে পানি,,,,,,
লুৎফা কাদঁছে কেনো ওতো আমায় ভালোবাসেনা,,,,
আমরা সবসময় ঝগড়া করি তাহলে,,,,,
ও আমাকে খুব জোরে জড়িয়ে ধরলো,,,,,,,,,,
তারপর আমাকে গাড়িতে বসিয়ে দিলো,,,,,,,,
সাইফও আব্বুদের সাথে কোলাকুলি করে আমার পাশে বসলো,,,,,
.
গাড়ি স্টার্ট দিলো,,,,পেছনে সবাইকে ফেলে আমাদের গাড়ি সামনের দিকে এগুচ্ছে,,,,
আমার চোখ দিয়ে দুফোটা পানি গড়িয়ে পড়ার আগেই সাইফ হাত বসিয়ে দিলো,,,,,,,,
তোমার আব্বু আম্মুকে কথা দিয়েছি,,,
তোমার চোখে পানি আসতে দিবো না,,,
সানিয়া কেদোনা তুমি,,,,,
সাইফ টিস্যু দিয়ে হালকা করে চোখ মুছে দিলো,,,,
আমার মাথাটা ওর বুকে রেখে হাতটা শক্ত করে ধরলো,,,,,
আর আমি নিজের কষ্টটা কমাতে চাইছি,,,,,,,,
কিন্তু কষ্টটা যে কমার নয়,,,,,
.
গাড়ি একটা বড় গেইট দিয়ে ঢুকলো,,,,,
রাস্তার এপাশে আর ওপাশে সব ফুলের বাগান,,,,,,,
চারোদিকে মরিচ বাতির আলোতে অনেক সুন্দর লাগছে,,,,,
পুরো বাগানটাও মরিচ বাতি দিয়ে সাজানো,,,,,,
আলোক সজ্জায় সজ্জিত পুরো বাড়িময়,,,,,,,
মুখোরিত চারোদিক,,,,,
খুব বড় ডুপ্লেক্স বাড়ি,,,,,
দরজার সামনে এসেই গাড়ি থামলো,,,,
.
আমাকে জেসিয়া আপি দরজা খুলে দিলো,,,,,
সাইফ ওপাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলো,,,
যেখানে পা রাখবো সেখান থেকেই লাল কার্পের বিছানো,,,,
আর তার উপর ফুলের পাপড়ি ছড়ানো,,,,,,,,
আমি এক পা রেখে লেহেঙ্গার অংশটুকু ধরলাম,,,,
সাইফ হাত বাড়িয়ে বললো,,,,
এসো সানিয়া,,,,
.
আমি ওর হাতে হাত রেখে গাড়ি থেকে নামলাম,,,,,
খুব ধীরেধীরে ভেতরে প্রবেশ করছি,,,,,
সাইফের ফুফি বাসায় ঢুকার আগে দোয়া দরুদ পাঠ করে আমাকে ফু দিয়েছেন,,,,
.
ওদের হল রুমটা অনেক বড়,,,,
দুই পাশে দুটো দুটো করে চারটা সোফা সেট বসানো,,,,
অনেক বড় টিভি ওয়ালে ফিট করা,,,,,
আর দুপাশে বড় বড় দুটো বুক সেলফ যেখানো অনেক অনেক বই রাখা আছে,,,,
.
আমাকে সোফায় বসানো হলো,,,
তারপর সাইফের আত্নীয়রা আমাকে দেখতে হুড়োহুড়ি করছে,,,,,
.
মিষ্টি খাওয়াচ্ছে,,,,,
জেসিয়া আপি আমাকে জুস খেতে দিলো,,,,,
এতো গুলা মানুষের সামনে আমার খেতে লজ্জা করছে,,,,,
ক্ষিধা থাকলেও খেলাম না,,,,
.
জেসিয়া আপি আমার পাশ থেকে সবাইকে সরিয়ে সাইফকে আমার অপজিটে বসালো,,,,
তারপর একটা বড় থালাতে দুধের দিয়ে তাতে লাল রং মিশিয়ে তার উপর অনেক গুলা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিয়ে আমাদের দুজনের সামনে রাখলো,,,,
.
বক্স থেকে একটা পাথর ওয়ালা ডায়মন্ডের আংটিটা দুধে ফেলে বললো,,,
সানিয়া সাইফ আমি তিন পর্যন্ত গুনার সাথে সাথে দুজনে আংটি খুজবে,,,,
যে খুজে পাবে সেই এই ঘরে রাজত্ব করবে,,,,,,,
.
জেসিয়া আপি,,,,এক,,,,দুই,,,,তিন,,,স্টার্ট নাও,,,,
.
সাইফ আগে হাত দিলো তারপর আমি,,,,,,,,,
দুজনেই আংটি খুজছি,,,,
তবে সাইফ আমার দিকে তাকিয়ে আমার হাতে হাত বুলাচ্ছে,,,
আমার হাত চেপে ধরছে,,,
আমি খুজছি আংটি আর এ ধরছে আমার হাত,,,,,,,
.
আমি টিভিতে হিন্দি সিরিয়ার গুলোতে দেখেছি এইটা করতে,,,
কিন্তু ওরা যে এটা করে জানতাম না,,,
তবে আমার খুব মজা লাগছে,,,
আংটিটা আমি দুই দুইবার হাতে নিয়েছি,,,
কিন্তু সাইফ আংটিটা ফেলে আমার হাত শক্ত করে ধরে মুচকি মুচকি হাসছে,,,,
.
আমার শরীরটা কেপেঁ কেপেঁ উঠছে ওর এমন ভাবে স্পর্শ করাতে আর মুচকি হাসিঁ দেখে,,,,,
আমি বরাবরই জিতার দলে থাকতে চাই,,,,,,,
কিন্তু ও করছে কি,,,
নিজেই নিচ্ছে না আর আমাকেও ছাড়ছে না,,,,,,,,
আমি ওর হাতে নখ বসিয়ে দিয়ে আংটি নিয়ে জেসিয়া আপিকে দেখায়,,,,
.
জেসিয়া ::::::::::: কনগ্রেটস,,,,,,, আমিতো চেয়েছিলাম এটা যেনো তুমিই পাও,,,,
.
তাফসীর :::::::::::: আসলে জেসিয়া আপি ঘঠনা কি তুমি জানো,,,,
এটা সানিয়া পাইনি,,,
সাইফ ওকে পাইয়ে দিয়েছে,,,,
.
জেসিয়া ::::::::::: না না আমি তোর কথা বিশ্বাস করি না,,,,
.
তাফসীর ::::::::: তাহলে আবার হয়ে যাক খেলাটা,,,,,
কি বলিস সাইফ???
.
সাইফ মুচকি হেসেঁ হ্যা সূচক মাথা নাড়ালো,,,,
আমি সাইফের দিকে তাকালে ও বাকা হাসিঁ দেয় আর চোখ টিপ মারে,,,
আমি জেসিয়া আপিকে বললাম,,,
আপি না,,,
আর খেলবো না,,,
.
আমি জানি যদি খেলাটা আবার খেলি সাইফতো আমায় সারা রাতও ছাড়বে না,,,,,,
হাত ধরে বসে থাকবে,,,,
.
জেসিয়া ::::::::: না না আর খেলতে হবে না,,,,,
মেয়েটা কেমন ক্লান্ত হয়ে গেছে দেখছিস না তোরা,,,,
সাইফ ওকে উপরে নিয়ে যা,,,,
.
তাফসীর :::::::::::: এখন তো আরেকটা কাজ বাকি আছে,,,,
ভাবীকে কোলে নিয়ে সোজা বাসর ঘরে বসিয়ে দিতে হবে,,,,,
.
জেনিয়া ::::::::::: হ্যা সেটাই তো,,,
এতো ভারী কাপড় নিয়ে উপরে উঠবে কিভাবে,,,,,,
সাইফ যা সানিয়াকে উপরে নিয়ে যা,,,,
.
সাইফ আমাকে কোলে নিলো,,,
ওরে বাবা এতো দেখছি অনেক বেশি ভারী হয়ে গেছে,,,,,
.
আমি ::::::::: আমি ভারী হয়ে গেছি,,,,
তুমি আবারো বলছো,,,
.
সাইফ :::::::: আরো তোমায় বলছি নাতো,,,,,,
লেহেঙ্গাটা খুব ভারী,,,,
সাইফ আমাকে উপরে নিয়ে যাচ্ছে,,,,
.
সাইফদের বাসাটা অনেক বড়,,,,
দুপাশ দিয়ে সিড়ি উপরের দিকে গেছে,,,,
আমাকে একটা রুমের দিকে নিয়ে গেলো,,,,,,
এটাকি রুম,,,
সাইফ আমাকে খাটে বসিয়ে দিলো,,,,
পাশে বসে ও হাপাচ্ছে,,,,,
রুমটা ফুলের জন্যে দেখা যাচ্ছেনা,,,,
পুরো রুম ফুল দিয়ে সাজানো,,,,
এমনকি নিচেও ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাজানো,,,,,,
রুমে লাইট বলতে রোজ লাইট জ্বলছে,,,,,,,
বিভিন্ন কালারের রোজ লাইটের আলোতে ফুলের ডেকোরেট করা রুমটাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
