অব্যক্ত ভালোবাসার গল্প writer : Lovely khanom part : 45

0
3709

অব্যক্ত ভালোবাসার গল্প
writer : Lovely khanom
part : 45

সাইফের ভাষাহীন চোখের দিকেও আমি।তাকাতে পারছিনা,,,,
বড্ড অভিমান আর ক্রোধ ভরা চাহনীতে আমাকে দেখছে,,,,,,
তবে জেসিয়া আপি এসে আমাকে ঝাপটে ধরে অঝোরে কেদে দিলো,,,,
বড্ড অপরাধী মনে হচ্ছে নিজেকে,,,,,
খুব ছোট মনের মনে হচ্ছে নিজের কাছে,,,,,,,,
জানিনা কেনো আজ আমি নিস্তব্ধ,,,,,,,,
আমি নির্বাক,,,,,,
.
বিকেলের দিকে আমরা আপুর বাসা থেকে চলে আসি,,,,সারাটা পথ সাইফ আমার সাথে একটা কথাও বলেনি,,,
খুব ইমোশনাল একটা মোমেন্ট রেখে এসেছি আসার আগে,,,,,
জেসিয়া আমিও আমার হাত ধরে রিকোয়েস্ট করলেন,,,,,
কিন্তু উনাকে তো আর সত্যিটা বলতে পারবোনা,,,,,
.
রাতে সাইফ সোফায় বসে বসে মোবাইলে কি যেনো করছিলো,,,,
আর আমি ওয়াশরুম থেকে মাত্র বের হয়ে মুখ হাত মুচ্ছি,,,,,
এমন সময় আমার ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো,,,,,
ফোনটা সাইফের পাশেই ছিলো,,,,
ও স্ক্রিনের উপর দেখে আমার দিকে তাকালো,,,,
তারপর ফোনটা নিজেই আমার কাছে এনে দিলো,,,,,
.
মিহাদের নামটা ভেসে আছে স্ক্রিনের উপর,,,,,,
সাইফ সোজা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,,,,,,
মিহাদের সাথে কথা বললাম,,,,,
ও বললো কাল মিট করতে,,,,,
আমিও রাজি হয়ে গেলাম,,,,,
.
পরদিন সাইফ অফিসে যাবার জন্যে রেডি হয়ে নিচে নামলে আমিও উনার সাথে যাবার জন্যে রেডি হয়ে নিচে নামলাম,,,,,,,,,,
উনিও একপা গেলে আমিও যাই,,,
উনি টেবিলের কাছে গিয়ে পানি ঢেলে খাচ্ছে আমিও উনার সাথে সাথে পানি খেলাম,,,,,,
এতোক্ষণ আমার কান্ড দেখছিলো,,,
তারপর যখন উনি গাড়ির কাছে গেলেন আমিও গেলাম,,,,
উনি আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে গাড়িতে উঠে বসলেন আর আমিও চট করে অন্য পাশে গিয়ে বসি,,,,,
.
সাইফ এবার অবাক হয়ে বললো,,,,
হোয়াট হ্যাপেন্ড,,,,,
এসব হচ্ছেটা কি,,,,,,
.
আমি সিট বেল্ট লাগাতে পারছিলাম না,,,,
কই কি হচ্ছে,,,,
প্লিজ এটা একটু লাগিয়ে দিননা,,,
আমি পারছিনা,,,,,
.
সাইফ :::::::: আমি অফিসে যাচ্ছি,,,,
কিন্তু তুমি কোথায় যাচ্ছো???
বলা নেই কওয়া নেই হুট করে জুড়ে বসলে,,,,,,
.
আমি ::::::::: ইয়ে মানে,,,,মিহাদের সাথে মিট করতে যাচ্ছি,,,,,
সেই মুহূর্তে সাইফের মুখটা মলিন হয়ে গেলো,,,,
.
আমি ::::::: এটা সিট বেল্টটা দেখিয়ে,,,,
সাইফ নিঃশব্দে লাগিয়ে দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো,,,,,
.
গাড়ো বেগুনি কালরের উপর সাদা জড়ির পাড়ের সিল্কের কাতান শাড়ি পড়েছি,,,,
চুল খোলা থাকায় বাইরের বাতাসে এলো মেলো হয়ে মুখের উপর পড়ছে,,,,,
চুল গুলো এতো বেসামাল হয়ে গেছে যে তা সাইফকেও ছাড়ছেনা,,,,
আচড়ে পড়ছে সাইফের মুখে,,,,
.
আমি চুলো গুলোকে সংযত করতে পারছিনা,,,,,
বড্ড বেহায়া হয়ে গেছে,,,,
ঠোটেঁর হালকা বেগুনী লিপিস্টিকটা যেনো আমার সৌন্দর্যটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে,,,,,
নিচে নামার সময় ফুফি দেখে বললো,,,
আমাকে খুব সুন্দর লাগছে,,,,
কিন্তু সাইফ ভালোভাবে দেখেওনি,,,,
.
আপন মনে সে ড্রাইভ করছে,,,,
এদিকে সাইফের মনের আকাশে মেঘ জমে কালো আধারের আবরণে ঢেকে গেছে,,,,,,
প্রচন্ড রকমের কষ্ট হচ্ছে,,,বুকের বা পাশে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করছে,,,,
যথাসম্ভব নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে,,,,,,
সানিয়াকে দেখে যে কার হার্টবিট থমকে যায়,,,,,
পাশে থাকলে যেনো নিজের মধ্যে নিজেই থাকেনা,,,,,
.
সাইফ বাকা চোখে সানিয়াকে দেখছে,,,,
আজ অপূর্ব লাগছে তাকে,,,,
অদ্ভুত সৌন্দর্যময় রূপ সানিয়ার,,,, যা শুধু সাইফকে বারবার আকর্ষণ করে,,,,,
কিন্তু কি দূভাগ্য সাইফের,,,,
সানিয়া এতো সুন্দর করে সেজেছে অন্যকারো জন্যে,,,,সাইফের জন্যে না,,,
এটা ভাবতেই চিনচিন ব্যাথাটা আরো বেড়ে যায়,,,,,
কলিজা কামড়ে ধরে,,,,
বুকের উপর একটা পাথর চেপে বসেছে,,,,,,,,
সানিয়ার চুল গুলো থেকে মিষ্টি একটা ঘ্রাণ আসছে হয়তো শ্যাম্পুর আবার হয়তো বা হেয়ার স্পেটার,,,,
সাইফের মুখে আচড়ে পড়ছে,,,,
কিন্তু সাইফের অসম্ভব রকমের ভালো লাগছে,,,,,
বেসামাল অবস্হায় সানিয়াকে যে কতোটা সুন্দর লাগে যদি সাইফকে বলা হয় পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর মনোরম নজর কাড়া মোমেন্ট উল্লেখ করতে,,,
তাহলে সাইফ নির্ধিদ্বায় ঠিক এই মোমেন্টটাকে উল্লেখ করবে,,,,
মেয়েটা পারছেনা নিজের চুলগুলোকে সামলাতে,,,,,
কিন্তু ঠিকিই তার মনটাকে পেরেছে,,,
যদি সানিয়ার মনটাও এমন হতো তাহলে সাইফ যেভাবেই হোক সে মনে জায়গা করে নিতো,,,,
বড় সড় একটা নিঃশ্বাস ছাড়লো সাইফ,,,,
.
পার্কের সামনে এসেই গাড়ি থামালো,,,,
তার একটু দূরেই দাড়িয়ে আছে মিহাদ,,,
সানিয়া তাড়াহুড়ো করেই গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে মিহাদের কাছে চলে গেলো,,
আর সাইফ একরাশ কষ্ট বুকে চেপে গাড়িতেই বসে রইলো,,,,
.
মিহাদ আমাকে দেখেই হুট করে জড়িয়ে ধরলো,,,
ওদিকে সাইফ সব দেখছে,,,
আমি মিহাদকে সরিয়ে দিয়ে,,,
কি করছো মিহাদ,,,,
.
মিহাদ ::::::: আজ কতদিন পর তোমায় দেখছি,,,,
তাই নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি,,,,
কেমন আছো তুমি???
.
আমি ::::::: হুম ভালো আর তুমি???
.
মিহাদ :::::: আমি ভালো নেই তোমাকে ছাড়া,,,,,
তারপর খুব তো সুন্দর হয়ে গেছে,,,
তোমার সাইফ বুঝি বড্ড সুখে রেখেছে তোমায়????
অনেকটা খোচা মেরেই কথাটা বললো মিহাদ,,,,,
.
আমি :::::::: তোমার কি সুন্দর ভাবে কথা বলতে ইচ্ছে করেনা,,,,
নাকি সবসময় ঝগড়ার মুডে থাকো,,,
.
মিহাদ :::::::: কই আমিতো ঝগড়া করার মতো কিছু বলিনি,,,,
বলোনা এতদিন কি কি চলেছে দুজনের ভিতরে,,,,
দিয়ে দিয়েছো নাকি সব???
.
আমার গা জ্বলে উঠলো,,,
হোয়াট দা হেল আর ইউ টকিং,,,,
বাক মিহাদ,,,
সাইফ তেমন টাইপের মানুষ নয়,,,,
উনি খুব মহৎ ভালো একটা মনের মানুষ,,,,,
উনার সম্পর্কে এতো বাজে কথা বলতে তোমার লজ্জা করছে না,,,,
.
মিহাদ ::::::::: বাহ বাহ কিয়া বাত হে,,,,
বিয়ে হতে না হতেই উনার প্রতি এত টান,,,
আহহহ কি মুহাব্বত,,,,
এতদিনে আদর দিয়ে দেখি নিজের করে নিয়েছে তোমায়,,,,
আর আমার কাছে আসতে বললেই তোমার যত ন্যাকামো,,,,
.
মিহাদদদদদ,,,,
মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ,,,,,
.
মিহাদ ::::::: কেনো তুমি এমনটা করলে,,,,,,,
এমন কি দিয়েছে সে তোমায় যার জন্যে আমাকে ভুলে গেলা,,,
কটা দিন গেছে খবর আছে তোমার,,,
যে তোমার সাথে একটা দিন কথা বলতে না পারলে আমার দিন কাটেনা,,,
তোমায় না দেখলে আমার ঘুম হয়না সেই তুমি আজ কত দূরে চলে গেলা,,,
বাসর রাতের পর থেকেই তো আমাকে ভুলে গেছো তাইনা সানিয়া,,,,
.
মিহাদদদ,,,,
দেখো আমাদের বিয়ে হয়েছে ঠিকিই কিন্তু,,,, আমাদের ফিজিক্যালি কিছুই হয়নি,,,,,
.
মিহাদ হো হো করে অট্ট হাসি দিয়ে,,,,
বাসর হয়েছে কিন্তু ফিজিক্যালি কিছুই হয়নি,,,
একই রুমে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে রাত কাটাচ্ছে আর বলছে কিনা কিছুই হয়নি,,,
মানলাম তুমি কিছু করোনি কিন্তু সে,,,,
তোমার মতো একটা মেয়ে সামনে থাকলে যে কোনো ছেলেরই সেন্স ঠিক থাকবেনা,,,,,
আর সে কিনা তোমায় একা পেয়েও কিছু করেনি,,,,,
এটা কেমন কথা,,,
নাকি সে ফিজিক্যালি উইক,,,,
.
মিহাদের ডার্টি মিন করে কথাগুলো আমার সহ্য হচ্ছেনা,,,
জাস্ট অসহ্য লাগছে,,,,
আর তার চেয়ে বড় কথা সে সাইফের মতো একটা ভালো মানুষকে নিয়ে এসব বাজে কথা বলছে,,,
এমনকি তার ফিজিক্যালি উইকনেস সম্পর্কেও এমন কথা তাও কিনা আমার জন্যে,,,,,
বিনা দোষে কেন ও কথা শুনবে,,,,
মিহাদদদ ব্যস অনেক বলেছো,,,
এবার অফ যাও,,,
তোমার এসব ফালতু কথা শুনতে এখানে আসিনি,,,,
আমি চলে আসতেই পেছন থেকে মিহাদ আমার হাত ধরে ফেলে,,,,,
.
আমি ওদিকে গাড়ির দিকে তাকিয়ে নিজের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছি,,,
মিহাদ,,,
ছাড়ো আমার হাত,,,,
অসভ্যের মতো করছো কেনো,,,
ছাড়ো বলছি,,, নয়তো,,,
.
মিহাদ :::::::: নয়তো কি,,,
যাকে এনেছো সে আমায় মারবে,,,
বাহ সানিয়া,,,
জামাইকেও সাথে নিয়ে এসেছো,,,
সে তো এদিকেই আসছে,,,
বউকে সেইভ করতে বোধহয়,,,,
.
সাইফ কাছে এসে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকালো,,,
এসব কি হচ্ছে???
.
মিহাদ আমার হাত ছেড়ে দিয়ে,,,,
কিছু নাতো,,,,
সাইফ হ্যান্ডশেকের জন্যে হাত বাড়িয়ে,,,
হাই আমি সাইফ,,,,
কিন্তু মিহাদ অভদ্রের মতো হাত না মিলিয়ে,,,,
আমি মিহাদ,,,,
.
সাইফ হাত গুটিয়ে নিয়ে,,,,
নাইস টু মিট ইউ,,,,
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে,,,
সানিয়া হয়েছে তোমার আমার অফিসে যেতে লেইট হয়ে যাচ্ছে,,,,,
.
আমি মিহাদের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আবার স্বাভাবিক ভাবে সাইফের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,,,
জ্বি চলেন,,,,
সাইফ আগে আগে যেতে লাগলো আর আমি পিছনে পিছনে,,,
তবে সেই রাগি চাহনিতে মিহাদকে দেখে তারপরেই গাড়িতে বসলাম,,,,
.
সব কিছুর একটা লিমিট থাকে,,,
সাইফ ভদ্রতার খাতিরে হান্ডশেকের জন্যে হাত বাড়িয়ে ছিলো,,,,
আর মিহাদ একটা অভদ্র,,,
কিভাবে এমনটা করলো,,,
এমন ইগো ওয়ালা মানুষ কিভাবে যে থাকে,,,,,
সাইফের মতো মানুষ হয়না,,,
নিজের বউ তার বিএফের সাথে মিট করবে জেনেও সে নিজেই এসেছে আমার সাথে,,,,
যদি সাইফের জায়গায় অন্য কেউ হতো তাহলে তো এতক্ষণে আমি আমার বাপের বাড়িতে থাকতাম,,,,
.
ইনফ্যাক্ট আজ না সেদিনই আমাকে ছেড়ে দিতো যেদিন আমি সাইফকে মিহাদের কথা জানিয়েছিলাম,,,,
কিন্তু সাইফ তেমনটা কিছুই করেনি,,,
বরং আমার সাথে খুব ভালো বিহেভ করছে,,,,
কখনো রুড বিহেভ করেনি,,,
মাঝে মাঝে ভাবি এমন মানুষ হয়না,,,
মানুষ এতোটা ভালো কেমনে হয়,,,
.
মিহাদ প্রতিদিনই ফোন দেয় তাও আবার সাইফের ফোনে,,,,
কতবার নিষেধ করেছি আমার টাতে দিতে বলি তারপরও সাইফের টাতেই দিবে,,,
রাতে যখন ও বাসায় আসে তখনই মিহাদের প্রেম উতলে উঠে,,,,
কিন্তু সাইফের খুব কষ্ট হয় সেটা সানিয়া বুঝে,,,,,
সাইফের হাঁসি মাখা মুখটা মলিন হয়ে যায়,,,
সেদিনের কথা,,,
অফিস থেকে এসে সাইফ ফ্রেশ হয়ে কিচেনে যাচ্ছিলো পানি খেতে,,,
আড়াল থেকে দেখলো সানিয়া টুং টাং শব্দ করে কি যেনো করছে,,,
খুব যত্ন করে কিছু একটা করছে,,,
সানিয়ার ঠোটেঁর পাশে ময়দা নাকি আটা লেগে আছে,,,
কাজ করতে করতে সানিয়ার চুল গুলো বারবার সামনে চলে আসছিলো আর সানিয়া কখনো ফু দিয়ে আবার কখনো হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে,,,,
হাত দিয়ে তো পারছে না কিন্তু হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে সরাচ্ছে,,,,,,,
.
সাইফ আর কিচেনে গেলো না,,,,
রুমে চলে এলো,,
সানিয়াকে দেখলে সাইফের হার্টবিট এতো স্পিডে চলে কেনো,,,
প্রতিটা নিঃশ্বাসে যেনো সানিয়া,,,,
এতোটা ভালোবেসে ফেলবে সানিয়াকে এটা কখনো সাইফ বুঝতে পারেনি,,,
আর ভালোবাসাটা তো এমনি,,
আপনা আপনিই হয়ে যায়,,,,,
সানিয়াকে ওভাবে দেখার পর সাইফ রুমে এসে নিজের বুকের বা পাশে হাত দিয়ে ফিল করে,,,,
ধুক ধুক ধুক করছে,,,
প্রচন্ড স্পিডে,,,
আরেকটু হলে ফেটে যাবে,,,,
আর প্রতিটা স্পন্দনে শুধু সানিয়ার নামই উচ্ছারণ হচ্ছে,,,
কিভাবে যেনো সাইফের পুরোটা জুড়ে সানিয়া তার রাজত্ব শুরু করে দিয়েছে,,,
সেই স্পেশাল মোমেন্টের কথা সাইফ একটা মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারেনি,,,,
.
একটু পর হিলের টক টক শব্দ করে রুমে কেউ আসছে,,,
শব্দটা যতই কাছে আসছে সাইফের হার্টবিট ততই বেরে যাচ্ছে,,,,,
অবশেষে রুমে ঢুকলো সানিয়া,,,,
.
সাইফতো আগেই বুঝতে পেরেছে এটা আর কেউ নয় তার কলিজা,,,
তার ভালোবাসার সানিয়া,,,
.
সানিয়া মনে হয় এখনো আয়নায় নিজেকে দেখেনি,,,
তার মুখে আটা এখনো লেগে আছে,,,,
মুখে হাঁসির ঝিলিক,,,,
.
আমি :::::: আপনি এসে গেছেন,,,
কখন এলেন আমি তো জানিও না,,,
এই সাইফ জানেন,,,,
সাইফের পাশ ঘেসে বসে বললাম,,,
এতো খুশি লাগছে বুঝতেই পারিনি,,,
.
সাইফ অবাক হয়ে আমার দিকে হা করে তাকিয় আছে,,,
না বললে জানবো কি করে,,,
.
আমি ::::::: জানেন আমি না আজকে,,,
নিজের হাতে কত কষ্ট করে আপনার জন্যে আপনার পছন্দের মাটন আর পরোটা রান্না করেছি,,,,
.
সাইফের ঠোটেঁর কোণে হাঁসি ফুটে উঠলো,,,,,
ভ্রু কুচকে বললো পরোটাও রান্না করেছো???
.
আমি :::::: এই যাহহ,,,
কি বলছেন,,,
পরোটা কি রান্না করা যায়,,,,
মাটন রান্না করেছি,,,,
আর পরোটা নিজের হাতে মথে বানিয়েছি,,,,
.
সাইফের প্রচন্ড খুশি লাগছে,,,
চোখ ছলছল করছে,,,,
সানিয়া সাইফের জন্যে নিজের হাতে তার পছন্দের মেনু রেডি করেছে,,,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here