#অব্যক্ত_প্রিয়তমা,সূচনা_পর্ব
#ফাতেমা_তুজ
নির্ভীক ভাইকে অনেক বছর ধরে ভালোবাসি আমি। সে আমার প্রথম অনুভূতি। আমার প্রথম প্রেম। যাকে নিয়ে আমি বুনি হাজার খানেক স্বপ্ন। তদ্রুপ আমি তার কাছে সবচেয়ে জগন্য। যার ছায়াকেও ঘৃনা করেন তিনি। তবু ছাড়ছি না পিছু। পড়ে আছি দাঁত কামড়ে। লাইফ থেকে একটা বছর পিছিয়ে গেলাম শুধু তাকে একটু দেখার লোভে।
” দ্বিতীয় প্রেমিকের জন্য আমি আমার প্রথম প্রেমিক কে খু*ন করে এলাম। ওহ যখন ছটফট করছিলো তখন আমি কি শান্তি পাচ্ছিলাম বলে বোঝানো যাবে না। আশ্চর্য হলে ও সত্য ওর শরীর থেকে কোনো র*ক্ত বের হয় নি।”
_ কি সব বলে যাচ্ছিস অনি,কাকে খু*ন করেছিস তুই। প্রথম প্রেমিক মানে?
_ বুঝিস নি?
_ নাহহ
নিজের হেঁয়ালি পানায় নিজেই তাচ্ছিল্য হাসে অনিন্দিতা। জীবন তাঁকে হেলায় বেলায় ঘুরাচ্ছে।
আকাশের মতো বিশাল তাঁর জীবন। যার কোনো কুল কিনারা নেই। একটু করে শ্বাস ফেলে বলে
_ পড়া শোনা হলো আমার প্রথম প্রেমিক। যাকে নিজ হাতে খু*ন করলাম আমি,শুধু মাত্র আমার দ্বিতীয় প্রেমিক তথা না হওয়া প্রেমিকের জন্য। যাকে সোজা বাংলায় একপাক্ষিক প্রেম বলে।
কথা টা বলেই ব্যঙ্গ হাসলো অনিন্দিতা। ইনতেহার ভেতর থেকে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসলো। মেয়েটার পাগলামি আর নেওয়া যাচ্ছে না। অবাক হয়ে বললো
_ শুধু মাত্র নির্ভীক ভাইয়ার ভার্সিটি তে পড়ার জন্য একটা বছর গ্যাপ না দিলে ও পারতি। তোর ভালোবাসার ছিটে ফোঁটা বুঝেন ওনি? তারপর ও কেন পরে আছিস?
_ভালোবাসা হলো দীর্ঘমেয়াদি ছ্যছরামি। এই ছ্যছরামি করতে সবাই পারে না। ভালোবাসলে ইগো রাখতে নেই। দাঁত কামড়ে পরে থাকতে হয়।
_ তাই বলে একটা মেয়ে হয়ে এভাবে আর কতোদিন পিছে পিছে ঘুরবি।
_ কেন? কোন বিধানে লেখা আছে। প্রেমের জন্য শুধু ছেলেরাই ছ্যছরামি করতে পারবে আর মেয়েরা পারবে না?
ইনতেহা একটু থামলো। অনিন্দিতার হাত দুটো মুঠো বন্দী করে বললো
_ আমি সেটা বলি নি অনি।
_ ইনতেহা তুই হয়তো আমায় সঠিক সাজেশন ই দিচ্ছিস। কিন্তু বিশ্বাস কর আমি নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারছি না। চেষ্টা করেছি লাভ হয় নি। প্রেমের আগুনে দগ্ধ হতে বেশ ভালো ই লাগে। কষ্ট নিয়ে বাঁচতে শিখে গেছি আমি।
_ এটা ঠিক নয় অনি।
_ আমি তো ওনার ওপর জোড় খাটাচ্ছি না। তাহলে সমস্যা কোথায়?আমি তো আমার মতো করে নিজেকে কষ্ট দিচ্ছি। যদি ও এটাই আমার কাছে সুখ কিংবা প্রাপ্তি।
কথা টা নিছক ই তাচ্ছিল্যর স্বরে বললো অনিন্দিতা। লেকের ধারে বসে গসিপ করছিলো দুজনে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে বেশ ভালো ই লাগছে। অনিন্দিতা আকাশের দিকে তাকালো। রোদ্রময়ী আকাশ টাকে মেঘ কেমন ঢেকে নিয়েছে। তবু ও আকাশ সুন্দর। ঠিক তেমনি ভাবে প্রিয় মানুষ টার শত অবহেলার পর ও মানুষটা প্রিয় ই থেকে যায়। অনুভূতি ছাপিয়ে যদি পারো ঘৃনা করতে তাহলেই তুমি হবে সেরা। না হলে জীবন বিষা*ক্ত নীল বেদনায় ছেয়ে যাবে।
ইনতেহা অবাক দৃষ্টি তে অনিন্দিতার দিকে তাকালো। স্টাইলিশ , বুদ্ধিসম্পূর্ন , প্রতিবাদী , সুপার ইগো নিয়ে বড় হওয়া মেয়েটা আজ কতোটা পরিবর্তন হয়েছে!শুধু ভালোবেসে সহ্য করে নিচ্ছে হাজারো বেদনা।কি ভয়ঙ্কর অনুভূতি নিয়ে বেঁচে আছে। ভালোবাসার একি শক্তি।
ইনতেহা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। নির্ভীক কেন যে উপেক্ষা করে মেয়েটাকে। কোনো দিকের কমতি তো নেই। তবু ও অনিন্দিতা অসহায়। হয়তো এটাই নিয়তি। কারন মানুষ কখনোই পারফেক্ট হয় না।
ইনতেহা ঘড়িতে টাইম দেখলো চারটে চল্লিশ বাজে। মেয়েটা হুড়মুড়িয়ে উঠে গেল। আজ রক্ষা নেই। বাসায় গেলে নিশ্চয়ই মা কেলানি দিবেন। অনিন্দিতা ইনতেহার চঞ্চলতা অনুভব করলো। তবু ও তাকালো না।
_ আমি যাই রে অনি। আজ আম্মু নির্ঘাত খুন্তি হাতে মা*রবে। তুই ওহ তাড়াতাড়ি চলে যাস।
অনিন্দিতা উত্তর করলো না। ইনতেহা ছুট লাগালো। ভার্সিটি শেষ হয়েছে দুটো বাজে,এতো দেরির জন্য আজ মা*র খেতেই হবে।
ব্যাগ থেকে একটা ছবি বের করলো অনিন্দিতা। ছবিটায় ছিটে ফোঁটা পানি পরতেই ব্যস্ত হয়ে পানি টুকু মুছে নিলো। কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো। চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরতেই ডান হাতের তর্জনী দিয়ে মুছে নিলো তৎক্ষণাৎ।
_ নির্ভীক মাহতাব আর কতো দিন ? খুব বেশি চাওয়া তো ছিল না। শুধু একটু কাছাকাছি থাকতে চেয়েছিলাম।রোজ আপনার মায়া ভরা মুখটা দেখতে চেয়েছিলাম। মাদকদ্রব্যের মতো কন্ঠ টা আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলাম।সেটা ও সহ্য হলো না? আপনি ইচ্ছে করে এন এস ইউ তে জব নিলেন।খুব ভালো করেই জানতেন আমি এন এস ইউ তে চান্স পাবো না। এতো দূরত্ব নিয়ে থাকতে চান আপনি। কখনো আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছি? শুধু একবার ই বলেছিলাম ভালোবাসি। তাঁর শাস্তি স্বরূপ আমাকে পড়ানোই ছেড়ে দিলেন।
অনিন্দিতা থামলো। দু চোখ মুছে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। ছবিটা সযত্নে রেখে দিয়ে হাঁটা লাগালো। এক বছর কেন দশ বছর গ্যাপ দিতে হলে দিবে। তবু ও এন এস ইউ তেই এডমিশন নিবে।
*
সন্ধ্যা ছয় টার দিকে বাসায় ফিরলো অনিন্দিতা।
শাহানা বেগম দরজা খুলতেই অনিন্দিতা ভেতরে চলে আসলো।
_ এতো দেরি হলো কেন অনি?
_ একটু কাজ ছিলো আম্মু।
_ তোর সিদ্ধান্ত এখনো বদলাবে না?
_ বহু বার বলেছি আম্মু।
_ এন এস ইউ ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো ভার্সিটি নেই?
_ আমার ফাস্ট চয়েস ঐ টা।
_ একটা বছর গ্যাপ দিবি একটু খারাপ লাগবে না তোর? আচ্ছা যদি পরের বছর ও এন এস ইউ তে চান্স না পাস।
অনিন্দিতা উত্তর দিলো না। টেবিল থেকে পানি নিয়ে তিন ঢোকে পান করলো। শাহানা রেগে গিয়ে বললেন
_ এটা কি রকম পাগলামি?
_ চান্স না পেলে আবার গ্যাপ দিবো।
_ অনি!
_ রাগ দেখিয়ে লাভ নেই আম্মু। তুমি জানো আমি প্রচন্ড জেদি।
শাহানা কেবিনেট থেকে ফ্লাওয়ার ভাস টা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে কয়েক টুকরা হয়ে ভেঙে গেল। অনিন্দিতা সে দিকে পাত্তা দিলো না। ব্যাগ নিয়ে সোজা নিজের রুমে চলে আসলো।
ফ্লাস ব্যাক
” আপনার বয়স মাত্র সতেরো অনিন্দিতা। প্রেমের বয়স হয় নি এখনো। পড়া শোনায় মনোযোগী হোন ”
নির্ভীকের কন্ঠে মাথা নিচু করে নিলো অনিন্দিতা। কলেজে এডমিশনের জন্য নির্ভীক তাকে পড়াতে আসে। নির্ভীক হলো ওদের প্রতিবেশি।ওদের ফ্লাটের অপজিটেই থাকে। অবশ্য পুরো বাসা টাই নির্ভীকদের। বহু বছর আগে কোনো এক কারনে ফ্ল্যাট টা বিক্রি করেছিলেন নির্ভীকের বাবা আজমাল আহমাদ।
_কথা বলছেন না কেন?
_ ভাইয়া আমি তো প্রেম করি না।
_ আপনি আমার থেকে ছোট অনিন্দিতা। আমি আপনাকে পড়াই আপনি আমাকে পড়ান না।
_ কিন্তু
_ পড়া শোনায় মনোযোগী হোন। চোখ এতো ঘোরে কেন?
অনিন্দিতা মাথা নিচু করেই রইলো। নির্ভীক প্রচন্ড রেগে আছে। তবে নিরবেই তা মেটাচ্ছে।
সপ্তাহ খানেক অনিন্দিতা নিজে কে দমিয়ে রাখতে পারলে ও সাদা শুভ্র পাঞ্জাবি পড়া নির্ভীক কে দেখে নিজেকে দমাতে পারে নি। জুম্মার নামাজ পড়ে এসেছে মাত্র। মাথার টুপি টা খুলেই অনিন্দিতা কে পড়াতে এসেছে। অনিন্দিতা হারিয়ে যায় নির্ভীক এর মাঝে।
নির্ভীক প্রচন্ড রেগে যায়। টেবিলে ধুম করে আওয়াজ হতেই অনিন্দিতা চোখ নামিয়ে নেয়। অপ্রস্তুত বোধ করে, তবু ও বলে
_ আমি আসলে
_ কোনো অজুহাত চাই না আমি। আপনি জানেন না আমি বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে এসেছি?সেখানে সব রকমের মানুষের সাথে চলতে হয়েছে।তেইশ বছর পার করেছি চোখে কালো কাপড় বেধে নয়।
_ নির্ভীক ভাইয়া আমি আসলে আপনাকে পছন্দ করি।
_ অনিন্দিতা!
নির্ভীক এর চিৎকারে অনিন্দিতা কেঁপে উঠে। নিজের ভুল টা বুঝতে পারে নির্ভীক। গলা নামিয়ে বলে
_ আপনি নিজেকে সংযত রাখুন অনিন্দিতা।
_ আপনাকে আমি ভালোবাসি নির্ভীক। আমার সাথে এমন কেন করেন। বড় হওয়া সত্ত্বেও সব সময় আমাকে আপনি বলে সম্বোধন কেন করতে হবে?
রাগে কটমট করতে থাকে নির্ভীক। মেয়েটা কে বুঝিয়ে কোনো লাভ হবে না। অনিন্দিতার কথার উত্তর না দিয়ে নির্ভীক চলে যায়। অনিন্দিতা কষ্ট পায়। নিরবে চোখের পানি ফেলে। সারা রাত কাঁদে নিজের প্রিয় নোট টা তে লেখা লেখি করে।
” ভালোবাসি নির্ভীক ”
পরের দিন সকালের ঝড়টা অনিন্দিতার হৃদয় কে ব্যথিত করে। নির্ভীক আর তাকে পড়াতে পারবে না শুনে। ব্যগ্র হয়ে ধরা গলায় বলে
_ নির্ভীক ভাইয়া আমাকে আর পড়াবে না ক?
_ ছেলেটা তোর ভালোর জন্য কদিন পড়িয়েছে।তোর আঙ্কেল ই পড়াতে বলেছিলো। তোর পড়ার জন্য ছেলেটা ঘোরা ঘুরি ও করতে পারে নি। এখন একটু বিরতি চায়।
অনিন্দিতা বুঝতে পারে বিষয় টা পুরোই মিথ্যা। আঙ্কেল পড়াতে বলেছে তাই নির্ভীক পড়াতে এসেছে এটা সত্যি হলে ও না পড়ানোর অজুহাত টা সম্পূর্ন মিথ্যে। ভালোবাসি বলাতেই নির্ভীক তাকে পড়াবে না আর।
অনিন্দিতার কোচিং এ যাওয়া হলো না সেদিন। সারা দিন কেঁদে বুক ভাসালো। এখন নির্ভীক কে নিয়ম করে দেখতে ও পাবে না।
মাঝে কেঁটে যায় এক টা সপ্তাহ। অনিন্দিতা ছলে বলে কৌশলে নানান বাহনা দিয়ে নির্ভীক দের বাসাতে যাওয়া শুরু করে।কিন্তু একবার ও দেখা পায় নি। আজ আবার যায়। কলিং বেল চাপতেই চারুলতা আহমাদ দরজা খুলে দিলেন। অনিন্দিতা কে দেখে এক গাল হাসলেন। হাতের ইশারায় বললেন
_ অনি যে , আয় আয় ভেতরে আয়।
অনিন্দিতা ভেতরে গেল। সোফা তে আয়েস করে বসতেই চারুলতা কিচেনে চলে গেলেন। চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পুরো ফ্ল্যাট টা দেখতে লাগলো। বেশ দামি জিনিস পত্রে গোছানো ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাট বললে ভুল হবে কারন ফ্ল্যাট টা দোতলা মডেলের। অর্থাৎ ডু প্লেক্স বাসার মতো করে করা। অনিন্দিতা উঁকি ঝুঁকি মারতে লাগলো। এখান থেকে নির্ভীক এর রুম টা সরাসরি দেখা যায় না। মিষ্টি হাতে চারুলতা ফিরে আসলেন। অনিন্দিতা হেসে তাকালো।একটা মিষ্টি খেয়ে আর খেলো না। কারন ছানার মিষ্টি ওর পছন্দ নয়। গলায় আটকে যায়।
_ এই বাটি তে কি এনেছিস অনি?
_ আম্মু মুরগির মাং*স পাঠালো আন্টি। আজ নাকি তুমি খাসির মাং*স রান্না করেছো আর নিহাল ভাইয়া না খেয়েই বেরিয়ে গেছে।
_ আর বলিস না। ছেলেটা হয়েছে এক পাগল। খাসির মাং*স একটু ও পছন্দ করে না। রান্না করলেই সেদিন ভাত না খেয়ে চলে যায়।
অনিন্দিতা একটু হাসলো। আনমনেই বলে উঠলো আমি ও তো খাই না। চারুলতা মাং*সের বাটি টা নিয়ে রেখে দিলেন। তারপর অনিন্দিতার পাশে বসে বললেন
_ শুনেছি তুই ওহ নাকি খাসির মাং*স পছন্দ করিস না?
_ হ্যাঁ একদম বাজে লাগে।
_ পুরো নিহালের মতো করে বললি। ইসসস আমি তো ভুলেই গেছি চুলায় তরকারি বসিয়েছি।এই ছেলেটার জন্য আবার রান্না বসাতে হয়েছে। আমি যাই রে অনি।
চারুলতা চলে গেলেন। অনিন্দিতা মনে মনে খুশি ই হলো। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল। ডান দিকের করিডোর দিয়ে গেলে দুই নাম্বার রুম টাই নির্ভীকের। অনিন্দিতা পা টিপে টিপে হাঁটা লাগালো।
এতো সর্তক হয়ে ও কোনো লাভ হলো না। সামনের পিলারের সাথে ধুম করে বারি খেলো। মাথায় হাত বুলিয়ে আবার হাঁটা লাগালো।
নির্ভীক তাঁর ঘরে অন্য কারো যাওয়া একদম ই পছন্দ করে না। অনিন্দিতা তাই উঁকি মারলো। পুরো ঘর ময় চোখ বুলিয়ে ও নির্ভীক কে দেখতে পেল না।
বেজায় মন খারাপ নিয়ে ফিরে আসলো। মাঝ পথে এসে চোখ চকচক করে উঠলো। এ সুযোগ হাত ছাড়া করার কোনো মানেই হয় না। মনের আনন্দে নাচতে নাচতে নির্ভীকের ঘরে প্রবেশ করলো। প্রথমেই বেডে শুইয়ে পরলো। ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আনমনেই হাসলো। বালিশ দুটো কোলে নিয়ে বসে পরলো। কিছুক্ষণ এভাবে থেকে বালিশে নাক ডুবিয়ে দিলো।
এই বালিশেই তো নির্ভীকের শরীরে গন্ধ লেগে আছে।
প্রান ভরে নিশ্বাস নিলো মেয়েটা।এতো সুখ সুখ অনুভূতি হচ্ছে। সাইড টেবিলে থাকা নির্ভীকের হাস্য উজ্জল ছবি টা বুকে চেপে ধরলো। ছেলেটা কে এতো ভালোবাসে কেন?
এতো মায়া কেন এই ছেলেটার মাঝে?
নিজের প্রশ্নে নিজেই হাসলো। হঠাৎ চোখ পরলো নির্ভীকের বুক স্লেফে। শতেক বই রাখা সেখানে। তবে সব থেকে আর্কষন করছে গাঢ় নীল রঙের ডায়েরী টাতে। প্রচন্ড আগ্রহে মেয়েটা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। কিছুক্ষণ এভাবেই কেঁটে গেল। নির্ভীক এর ছবির ফ্রেম থেকে ছবি টা নিয়ে লুকিয়ে নিলো। এই ছবি টা খুব যত্নে রাখবে সে। বুক স্লেফ থেকে ডায়েরী টা নিলো। খুব সুন্দর করে ডায়েরীর উপর কারুকাজ করা।
এক বারে শেষ প্রান্তে লেখা ” অব্যক্ত প্রিয়তমা”
চলে এলাম নতুন গল্প নিয়ে। আপনাদের রেসপন্স এর উপর ভিত্তি করে গল্প আগাবে। গঠনমূলক মন্তব্য করবেন।
চলবে……