অভিমানী_ভালোবাসা
পর্ব-০৬
লেখিকাঃ Hiya_Chowdhury
জুহির কাপা কাপা ঠোঁটজোড়া খুব আকর্ষণ করছে রোদ কে। রোদ জেনো কোনো এক ঘোরের মধ্যে চলে গেছে। জুহি চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে। যা রোদ কে আরো পাগল করে দিচ্ছে। রোদ আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে জুহির ঠোঁট জোড়া নিজের করে নেয়।
জুহি রোদকে হালকা একটা ধাক্কা দেয়। যার ফলে রোদ জুহির থেকে একটু দূরে সরে যায়। আর জুহি দৌড়ে নিচে চলে যাওয়া ধরে…
রোদ জুহির যাওয়ার দিকে চেয়ে মাথা চুলকিয়ে একটা সয়তানি হাসি দেয়। রোদ কি করতে যাচ্ছিলো ভেবেই কেমন জেনো লাগছে।
জুহি দৌড়ে ছাঁদ থেকে নেমে আসতেই রিমির সাথে ধাক্কা খেয়ে দুজনেই ঠাস করে নিচে পড়ে যায়। আর সাথে সাথেই চিৎকার। রোদ নিচ থেকে কারো চিৎকার শুনতে পেয়ে তাড়াতাড়ি নিচে আসে। আর নিচে আসতেই জুহি আর রিমিকে এই অবস্থায় দেখে হাসতে হাসতে শেষ।
-রিমি তুমি দেখে শুনে হাঁটবে তো নাকি! (জুহি)
-আরে এখানে আমার কি দোষ তুমি ই তো দৌড়ে আসছিলে….(রিমি)
-আমি দৌড়ে আসছিলাম তো কি হয়েছে তুমি সরে যেতে পারতে। (জুহি)
-আরে……..এই কথাটি বলে রিমি বড় বড় চোখ করে একবার রোদের দিকে তাকায় তো আরেক বার জুহির দিকে। এমন একটা ভাব হচ্ছে জেনো সে খুব গভীর ভাবে কিছু বোঝার চেষ্টা করছে।
-কি হলো রিমি এভাবে বড় বড় চোখ করে কি দেখছো? (জুহি)
-ওয়েট ওয়েট তোমরা দুজন একসাথে….! (রিমি)
-মানে? (জুহি)
-তুমি ছাঁদ থেকে দৌড়ে নিচে আসছিলে রাইট? (রিমি)
-হ্যাঁ তো এখানে এভাবে বড় বড় চোখ করে দেখার কি আছে? (জুহি)
-ভাই ও ছাঁদ থেকেই আসলো। কাহিনী কি বলো তো। তোমরা দুইজন কি সামথিং সামথিং….(রিমি চোখ টিপ মেরে)
জুহি রিমির কথায় চমকে উঠে।
-কিসের সামথিং সামথিং! আমি ওসব সামথিং হোক আর নাথিং কোনো কিছুতেই নাই। (জুহি)
জুহি তাড়াতাড়ি কেটে পড়ে। না হলে রিমি যা ইঙ্গিত করছে। আর কিছুক্ষণ থাকলে মান সম্মান সব হারাতে হবে।
-আমি ও গেলাম! (রোদ)
-হ্যাঁ ভাই তুই আর থেকে কি করবি।(রিমি হো হো করে হেসে)
-এতো হাসিস না পরে কাঁদতে হবে। (রোদ)
কথাটি বলেই রোদ চলে যায়।
বিকেলে………
জুহি ঘুমিয়ে আছে। রিমি ঝিমি জুহি কে ডাকতে ওর রুমে আসে।
-আপু ও আপু উঠো। (রিমি)
-(চুপ)
-আপুউউউ….(ঝিমি)
অনেক বার ডাকার পর ও জুহি কোনো সাড়া শব্দ নেই। রিমি আর ঝিমি কোনো উপায় না দেখে জুহি কে টেনে ঘুম থেকে তুলে।
-কি হয়েছে তোমাদের। (জুহি)
-আমাদের তো কিছু হয় নি। হয়েছে তো তোমার।(রিমি)
-কই আমার আবার কি হয়েছে? (জুহি)
-কতো বার ডাকলাম উঠছোই না। নিচে চলো তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে। (ঝিমি)
-কিসের সারপ্রাইজ?(জুহি)
-নিচে গেলেই দেখতে পাবে। এখন আমরা গেলাম। এই ঝিমি চল। (রিমি)
-হু। (ঝিমি)
রিমি ঝিমি চলে যায়। জুহি হাই তুলতে তুলতে ভাবছে -কিসের সারপ্রাইজের কথা বললো রিমি। কি হতে পারে সেই সারপ্রাইজ। আস্তে আস্তে নিচে নেমে আসে জুহি। আর নিচে নামতেই ওর চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়।
জুহি হালকা দৌড়ে ওর আব্বু আম্মু কে জড়িয়ে ধরে।
-মাম্মি বাপি তোমরা কখন আসলে। (জুহি)
-আরো একটু আগে। কেমন আছো জুহি। (জুহির বাবা)
-ভালো তোমরা? (জুহি)
-আমরা তো এখন আরো ভালো আছি। (জুহির বাবা)
-তোমরা আসবে আমাকে বললে না কেন? (জুহি)
-তোমার মামনি বলতে নিষেধ করেছে। তোমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে। (জুহির বাবা)
-সারপ্রাইজ টা কেমন হয়েছে জুহি?(রোদের আম্মু)
-অনেক ভালো। ইশ আমার যে কি খুশি লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না।(জুহি)
সবাই জুহি কথা শুনে হেসে উঠে। জুহির চোখ রোদের দিকে যেতেই দেখে রোদ ও মুখ টিপে টিপে হাসছে। জুহি ভেঙ্গচি কেটে অন্যদিকে তাকায়।
এভাবে হাসি খুশি তে কেটে যায় ঐ দিন টাও। জুহির আব্বু আম্মু আসার একটা কারণ তো অবশ্যই আছে আর সেটা হলো জুহি আর রোদের বিয়ে। যেটা জুহি পরে জানতে পারে। রোদ কে বিয়ের কথা জানতে সবাই কে নিষেধ করে দেয় রোদের আব্বু। কথা মতোই কেউ ই রোদ কে জানায় নি। রোদ বেচারা জানেই না তার বিয়ে।
রোদ তো মনের সুখে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।
কোলাহলের কারণে রোদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। রোদ বুঝতে পারছে না এতো কোলাহল কিসের।নিচে এসে দেখে সবাই মিলে কি জেনো করছে। রোদ ফ্রেশ হয়ে নেয়।
-আম্মু তোমরা যাচ্ছো টা কোথায়? (রোদ)
রোদ ওর আম্মুর পিছন পিছন হাটছে আর জিঙ্গেস করছে কি হচ্ছে এসব কিন্তুু অবাক করা বিষয় কেউ ই ওকে পাওা দিচ্ছে না। রোদের অবস্থা নাজেহাল। রিমি ঝিমি শান্ত আর কাব্য এক পাশে বসে কিছু নিয়ে সমালোচনা করছে। রোদ ওদের কাছে যায়।
-কি হলো তোমার রোদ ভাইয়া মুখ এমন বাংলা পাঁচের এতো করে রেখেছো কেন? (শান্ত)
-কিছু না। আচ্ছা এটলিস্ট তোরা তো বলবি আমাকে কি হচ্ছে এসব? (রোদ)
-ওসব তুমি বুঝবে না। (শান্ত}
-মানে? (রোদ)
-এই এখন আর কোনো কথা না। চলো সবাই নাস্তা করতে ডাকছে আমাদের। (ঝিমি)
এরাও রোদ কে পাওা দিলো না। রোদ জেনো বোকা বনে গেলো। সবাই নাস্তা করতে চলে যায়। শুভ্র আসে।
-চল ভাই রোদ নাস্তা করে নে। একটু পর বেরোতে হবে আমাদের। (শুভ্র)
-আরে আজব ব্যাপার। তোদের কিছুই তো আমি বুঝতে পারলাম না। (রোদ)
-কি বুঝতে পারিস নি?(শুভ্র)
-এসব কি হচ্ছে? (রোদ)
-আরে বলবো পরে সব। এখন চল আগে নাস্তা করে নিই। (শুভ্র)
-তারপর বেরোতে হবে কেন? (রোদ)
-শপিং করতে যাবো আরো অনেক কাজ আছে। চল তো নাস্তা করবো। (শুভ্র)
-কিন্তু….(রোদ)
-এখন আর কোনো কথা নয়….(শুভ্র)
রোদ কে আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে শুভ্র ওকে জোড় করে নিয়ে এসে নাস্তা করতে বসিয়ে দেয়। সবাই নাস্তা করতে এসেছে কিন্তুু জুহি নেই। রোদ কয়েক বার এদিক সেদিক দেখার চেষ্টা করে কোথাও জুহি আছে কিনা।
শুভ্র বুঝতে পেরে রোদ কে চুপিচুপি বলে।
-তুই যাকে খুঁজছিস সে তার কাজে গেছে! (শুভে)
-মানে? (রোদ)
-মানে তোর মাথা। আগে তাড়াতাড়ি নাস্তা কর তো। যা খোঁজার পরে খুঁজিস। (শুভ্র)
অতঃপর সবাই নাস্তা করে নেয়। সবাই মিলে শপিংমলের উদ্দেশ্য বেরোয়।রোদ তো বারবার শুভ্র কে জিঙ্গেস করছে কিসের জন্য এসব করছে। কিন্তুু কোনোই উওর পাচ্ছে না সে।
দুপুর ২ টার দিকে সব কাজ শেষ হয়। তারপর সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে লাঞ্চ করে নেয়। জুহি কে নিয়ে গেছে অন্য কাজে। রোদ সকাল থেকে এখনো ওবধি জুহির দেখাই পায় নি।
যাই হোক সব কাজ শেষে বাসায় ফিরে সবাই। রোদ ওর রুমে চলে যায়। ভীষণ টায়ার্ড সবাই। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় রোদ। তারপর উঠে রুমের মধ্যে পায়চারী করছে।
-নাহ এভাবে আর হবে না। এক দিকে কেউ তো আমায় বলছেই না এসব কি হচ্ছে? আবার অন্যদিকে জুহি কে একেবারের জন্য চোখের দেখাই দেখলাম না। গেলো কোথায় মেয়েটা।(মনে মনে)
রোদ জুহি কে ডাকতে ডাকতে ওর রুমের দিকে যেতেই রিমি এসে রোদের পথ আটকায়।
-জুহি এই জুহি…..(রোদ)
-আরে ভাই তুই? (রিমি)
-হ্যাঁ আমি। তোরা জুহির রুমে কি করছিস? (রোদ)
-অনেক কিছু। তোকে কেন বলবো? (রিমি)
-না বললে নাই। আমার সাথে জুহির কথা আছে ওকে ডেকে দে তো। (রোদ)
-সরি ভাই জুহি আপু তোর সাথে কথা বলবে না। (রিমি)
-কেন আমি আবার কি করলাম? (রোদ)
-সেটা তো তুই ভালো জানিস। (রিমি)
-দেখ রিমি ফাজলামি করিস না। জুহি কে ডেকে দে। (রোদ)
-বলছি তো জুহি আপু তোর সাথে কথা বলবে না। তুই যা তো এখন। (রিমি)
এই কথাটি বলে রিমি রোদের মুখের উপর ঠাস করে দরজা টা বন্ধ করে দেয়। হাবলার মতো অবস্থা রোদের।
ভীষণ রাগ হচ্ছে রোদের। শুভ্রর থেকে জানা দরকার এসবের মানে কি।
-কিরে তোদের মাঝে কি এমন কথা হচ্ছিলো শুনি? যা আমি আসার পর বন্ধ হয়ে গেছে? (রোদ)
-কককই কিছু না তো ভাইয়া। (কাব্য)
-সেসব ছাড়। শুভ্র এখন তো বল কি হচ্ছে টা কি? কেন হচ্ছে? (রোদ)
-সেটা তুই বড় আম্মু আর বড় আব্বু কে জিঙ্গেস কর।(শুভে)
রোদ কে পাস কাটিয়ে চলে যায় সবাই। রোদ কিছু একটা ভেবে নিজের রুমে চলে যায়। বেলকনিতে গিয়ে দেখে তাদের বাসা টা সাজানো হচ্ছে। রোদ রীতিমত বিস্মিত।
কারো বিয়ে হলে মেবি এমন সাজানো হয়। কিন্তুু কার বিয়ে হচ্ছে? কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না রোদ। সব কিছু মাথায় ঘুরতে ঘুরতে তাল গোল পাকিয়ে ফেলছে। রোদ আর কোনো উপায় না পেয়ে ওর আম্মুর কাছে যায়।
-আম্মু তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। (রোদ)
-কি কথা বল।(কাজ করতে করতে)
-আম্মু বলো না এসব কি হচ্ছে কেন হচ্ছে? (রোদ)
-কোন সব? (আম্মু)
-শপিং করলে এখন দেখি আমাদের বাসা টা সাজানো হচ্ছে? কেন করা হচ্ছে এসব আম্মু? কারো বিয়ে নাকি?(রোদ)
-হ্যাঁ তুই এখনো জানিস না এটা? (আম্মু)
-কি জানবো? (রোদ)
-জুহির বিয়ে যে। (আম্মু)
-হোয়াট? কার সাথে জুহির বিয়ে? (রোদ)
-সেসব জেনে তুই কি করবি? তুই তো জুহি কে ভালোবাসিস না। (আম্মু)
-মানেহ……..(রোদ)
রোদের আম্মু রোদ কে আর কিছু না বলে চলে যায়। মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা রোদের। জুহির বিয়ে…! আর কিছুই ভাবতে পারছে না রোদ। রোদ শুভ্র কে ওর রুমে নিয়ে আসে।
-শুভ্র তুই আমাকে বলিস নি কেন যে জুহির বিয়ে?(রোদ)
-দেখ ভাই আমাদের দোষ দিস না। বড় আব্বু নিষেধ করেছিল। (শুভ্র)
-কেন নিষেধ করেছে? (রোদ)
-সেটা তো আমি ও জানিনা। (শুভ্র)
-জুহির বিয়ে অন্য কারো সাথে হবে এসবের মানে কি?(রোদ)
-তুই তো জুহি কে ভালোবাসিস না। মেয়েটা তোকে সেই ছোট বেলা থেকে ভালোবেসে আসছে। কিন্তুু তুই বরাবরের মতো অবহেলা করে গেছিস। তাই জুহি…..(শুভ্র)
-শুভ্র বিশ্বাস কর আমি ওকে খুব ভালোবাসি। ছোট বেলায় তো আমি না বুঝে ওকে অবহেলা করতাম কিন্তুু এখন তো ভালিবাসি।
খুব ভালোবাসি ওকে আমি খুব।(রোদ)
-তাহলে গতকাল কেন ওকে বলেছিস? ওর মুখ ও আর দেখতে চাস না? (শুভ্র)
-সেটা তো আমি রাগ করে বলেছিলাম! (রোদ)
-তুই ভালো জানিস। আমি কিছু বলবো না। (শুভ্র)
-প্লিজ শুভ্র কিছু একটা কর আমি জুহি কে ছাড়া বাঁচবো না। খুব ভালোবাসি। নিজের চাইতে ও বেশি ভালোবাসি। সেখানে ওকে অন্য কেউ বিয়ে করবে!? (রোদ)
-এতোই যখন ভালোবাসিস আবার রাগারাগি করতে গেলি কেন? (শুভ্র)
-সরি রে ভুল হয়ে গেছে। (রোদ)
-সেটা আমাকে বলে লাভ নেই। বিয়ে তো ঠিক ই হয়ে গেছে নাকি। জুহি ও রাজি। (শুভ্র)
-কোনো ভাবে কি বিয়ে টা আটকানো যায় না? (রোদ)
-তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? সব কিছু রেডি এখন কিভাবে বিয়ে আটকাবি? (শুভ্র)
-আমার জুহি কে অন্য কারো হতে দেবো না। দরকার হলে ওকে কিডন্যাপ করবো। (রোদ)
-কি বলছিস তুই রোদ? মাথা ঠিক আছে তোর? (শুভ্র)
-হ্যাঁ একদম ঠিক আছে। (রোদ)
-কি ভাবে কি করবি? (শুভ্র)
তারপর রোদ শুভ্র কে সব বুঝিয়ে দেয় কিভাবে কি করবে!
পরের দিন সকালে……
যথারীতি ফ্রেশ হয়ে পরিপাটি ভাবে রেডি রোদ। এখন শুধু আসল কাজ টাই হলে হলো। জুহি ছাঁদে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছে। রোদ একবার গিয়ে দেখে আসে। রোদ জুহি কে আসতে বললে সে কিছুতেই আসবে না। তা রোদ ভালোই জানে।তাই রোদ শুভ্র কে পাঠায়।
শুভ্র ছাঁদে যায়। তারপর জুহি কে বলে…
-জুহি যাও তো আমার জন্য এক কাপ কফি নিয়ে আসো। (শুভ্র)
-ভাইয়া আমি!(মন খারাপ করে)
-হ্যাঁ তুমি! তোমার হাতের বানানো কফি খাবো আজকে। প্লিজ। (শুভ্র)
-আচ্ছা ঠিক আছে। (জুহি)
ঐ দিকে রোদ ফাঁদ পেতে বসে অপেক্ষা করছে কখন জুহি আসবে। শুভ্রর কথা শুনে জুহি ছাঁদ থেকে নিচে নামে। নিচে আসতেই পেছন থেকে রোদ জুহির মুখের উপর কিছু একটা চেপে ধরে। আর সাথে সাথেই জুহি সেন্সলেচ হয়ে যায়।
সেন্স ফিরলে চোখের সামনে রোদ কে দেখে অবাক হয়ে যায় জুহি। কোনো ভাবে উঠে দাঁড়ায় সে।
-আপনি! আপনি এখানে? (জুহি রেগে)
-হ্যাঁ আমি। (রোদ)
জুহি চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে এটা কোন জায়গা। পুরো রুমে ধুলাবালি ভর্তি।
-এটা আমি কোথায়? আপনি আমায় কোথায় নিয়ে এলেন? (জুহি)
-যেখানে নিয়ে এসেছি বেশ করেছি। তোর কও বড় সাহস তুই আমাকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবি। (রোদ)
-হ্যাঁ করবো। তাতে আপনার সমস্যা টা কোথায়? আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না। (জুহি)
-তোকে বলছি আমি তোকে ভালোবাসি না?(রোদ)
-বলেছেন ই তো। আপনি বলেছেন আমার মুখ ও দেখতে চান না সো….(জুহি)
-চুপ আর একটাও যদি কথা বলেছিস তো তোর মুখে আমি সুপারগ্লু লাগিয়ে দেবো। (রোদ)
-আমি বাসায় যাবো এ্যাঁ এ্যাঁ……(জুহি)
রোদ শুভ্র কে ফোন দেয়।
-কই তুই?(রোদ)
-এই তো আর ২ মিনিট আসছি! (শুভ্র)
-যাকে নিয়ে আসতে বলেছিলাম নিয়ে আসছিস তো? (রোদ)
-হ্যাঁ একদম। ফোন রাখ তুই। (রোদ)
-আচ্ছা। (শুভ্র)
জুহি একপাশে বসে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করছে। আর রোদের কান্ড দেখছে।প্রচন্ড রকমের হাসি পেলে ও তা জোরপূর্বক চেপে রেখেছে জুহি। রোদ পায়চারী করছে। কিছুক্ষণ পর দরজায় কেউ নক করে। রোদ ভাবে হয়তো শুভ্র এসেছে।
কিছু টা খুশি হয় রোদ। মুখে হাসি নিয়ে দরজা খুলতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা রোদের!..
চলবে—————-