অভিমানেই আছো তুমি?,part:08,09

0
1012

অভিমানেই আছো তুমি?,part:08,09
Writer:TanjiL Mim
part:08

?
“হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে আদিত্য’!!মাথায় আর পায়ে অসম্ভব আঘাত পেয়েছে সে’!!কি করে কি হলো সে যেন কিছু বুঝতে পারলো না আদিত্য’!!এমনটা নয় যে সে রাস্তার মাঝখান দিয়ে ড্রাইভ করছিল’!!হুট করেই একটা ট্রাক এসে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ছিল’!!ভাগ্য ভালো ছিল খুব একটা ক্ষতি হয় নি তার’!!শুধু পায়ে বেশি আঘাত পেয়েছে আর মাথায়’!!এমন সময় হতভম্ব হয়ে দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরল আরুশি’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আদিত্য পুরো ঘাবড়ে গেল’!!পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলো সে’!!আরুশি কেঁদে বলে উঠলঃ

———“দু মিনিটের জন্য আমার জানটা বেরিয়ে যাচ্ছিল আর তুই এখানে আরামে শুয়ে আছিস….

“আরুশির কথা শুনে আদিত্য অবাক হয়ে বললোঃ

———কি…..

———-“কি মানে কিছুক্ষণ আগে ভুল পেসেন্টের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করছিলাম আমি….

“আরুশির কথা শুনে আদিত্য হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না’!!এবার তাহলে ফ্লাসবেক এ যাওয়া যাক……

“কিছুক্ষণ আগে…….

“আরুশি আদিত্যের গাড়ির সামনে থেকে রিকশা করে যাচ্ছিল একটা লোক’!!আদিত্যের গাড়ির সাথে ধাক্কা গুরুতর আঘাত পেয়েছে সে’!এতটাই আঘাত পেয়েছে যে তার পুরো শরীর ব্যান্ডেজ করে রাখা হয়েছে’!!আর আরুশি যখন কান্না করছিল তখন সেই লোকটার বউ এসে আরুশিকে বলে আর আরুশি পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়…….

“বর্তমানে……

———-“শালা তুই একটা শয়তান বদমাশ খুব খারাপ তুই এই বলে আদিত্যের বুকে কিল ঘুশি মারতে থাকে আরুশি’!!

“আদিত্য আরুশির কাজে অবাক হয়ে বললোঃ

———-“এমন করছো কেন আমার কি দোষ তুমি ভুল জায়গায় চলে গেছো তাতে আমি কি করতে পারি….

———–“তুই কি করতে পারোস মানে তোর জন্য বলতে বলতে আরুশি কেঁদে দেয়…..

“আদিত্য আরুশির কাজে খুশি হয়ে আরুশিকে তার,বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বললঃ

———–“খুব ভয় পেয়েছিলে বুঝি…..

———-“ভয় পাবো না আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল……

————“এতো ভালোবাসো আমায়……

————-“না আমি কাউকে ভালোবাসি না…..(আদিত্যকে ছাড়িয়ে)

“এমন সময় রুমে ঢুকলো ডাক্তার’!!তাকে দেখে চোখ মুছে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম আমি’!!ডাক্তার হালকা হেঁসে বললো আদিত্যকেঃ

———–“বউ তোমার……

“হাসলো আদিত্য’!!তার মাথা নাড়িয়ে বলে উঠল সেঃ

———“হুম……

———-“খুব ভাগ্যবান তুমি তোমায় খুব ভালোবাসে…..

“আদিত্য ডাক্তারের কথা শুনে অবাক হয়ে বললোঃ

———-“আপনি কি করে বুঝলেন…..

“ডাক্তার হালকা হেঁসে বললোঃ

———-“কিছুক্ষন আগে তোমায় মনে করে অন্য একটা পেসেন্ট ধরে অনেক কান্না করলো’!!আর বলছিল তোমায় খুব ভালোবাসে’!!তাই আর কি…..

“আদিত্য ডাক্তারের কথা শুনে হালকা হাসলো তারপর বলে উঠলঃ

———-“হুম খুব ভালোবাসে আমায়’!!

“তারপর ডাক্তার কিছুক্ষণ আদিত্য দেখতে লাগলো’!!তারপর বলে উঠল সেঃ

———–“আজকে খুব জোর বেঁচে গেছো তুমি কিন্তু এক্সিডেন্টটা করলে কি করে……

———–“আমি নিজেও জানি আমি তো খুব সুন্দর ভাবেই ড্রাইভ করছিলাম রাস্তায় তেমন জ্যামও ছিলো না হর্ঠাৎ কোথা থেকে একটা ট্রাক এসে ধাক্কা দিল’!!

“বিনিময়ে ডাক্তার আর কিছু বললো না’!!আদিত্যকে দেখে চলে যেতে নিলো সে’!!এমন সময় দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আরুশি বলে উঠলঃ

———–“আমি কি ওনাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারি…….

————“আজকে দিনটা থাকুক কালকে সকালে নিয়ে যেতে পারবেন’!!তবে হা অনেক সেবাযত্ন করতে হবে কিন্তু…..

———–“ওটা নিয়ে বেশি ভাববেন না ডাক্তার ওর কোনো অসুবিধা হবে না’!!

“ডাক্তার হালকা হেঁসে বললোঃ

———–“আমি জানি!তারপর সে চলে গেল…..

||

__________________________

||

“রাত_১০ঃ০০টা……..

“আদিত্যকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছি আমি’!!আর আদিত্য নিশ্চুপ ভাবে খাচ্ছে’!!এমন সময় রেগে বলে উঠলাম আমিঃ

———–“চোখ কি পিছনে নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন যে এক্সিডেন্ট হয়ে গেল…..

———“কয়েক ঘন্টা আগে তুই আর এখন সোজা আপনিতে চলে গেছো…..

———–“যেটা বলেছি সেটার উওর আগে দিন…..

———–“জানি না কিভাবে কি হলো হর্ঠাৎ পিছন দিক থেকে একটা ট্রাক এসে ধাক্কা দিল’…..

————”শএুতামি ছিল নাকি ট্রাকের সাথে…..

———–“সেটা কি করে বলবো……

———–“তাহলে কি বলতে পারেন(রেগে)

————“আরে রেগে যাচ্ছো কেন আমি তো সত্যি কথাই বলেছি…….

———–“হইছে আর কিছু বলতে হবে খাওয়ানো শেষ এখন ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন…..

————“ঠিক আছে……!!আচ্ছা একটা কথা বলবো…..

“বাহিরে বের হতে গিয়েও দাঁড়িয়ে পরলো আরুশি’!!তারপর পিছন ঘুরে বলে উঠল সেঃ

———-“হুম বলুন……

———–“শাড়িতে কিন্তু তোমায় খুব সুন্দর লাগছে!তা হর্ঠাৎ শাড়ি পরছিলে কেন??

“এতোক্ষণ পর মনে পরলো’!!আমি আদিত্যের জন্য সেজেছিলাম'”!! যাক কোনো ব্যাপার না আদিত্য সুস্থ হলে বলবো’!!এসব ভেবে আদিত্যকে বলে উঠলাম আমিঃ

————“এমনি পরছিলাম…..এতটুকু বলে হন হন করে চলে আসলাম আমি…..

“এদিকে আদিত্য আর কিছু না ভেবে চুপচাপ শুয়ে পরলো সে’!!

__________________________________________

_______________________

“ভোরের আলোতে ঘুম ভাঙল আদিত্যের’!!রুমের জানালা ভেদ করে আলো আসছে তাদের রুমে’!!একটু পাশ ঘুরতেই আরুশিকে শুয়ে থাকতে দেখে হাসলো আদিত্য’!!তারপর তার হাত দিয়ে আরুশির কপালের চুলগুলো সরিয়ে দিলো’!!এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আদিত্য আরুশির দিকে….

“মায়াবী ফেস,চোখের কাজল গেছে লেপ্টে,চুলগুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে,এই মুহূর্তে আরুশি অগোছালো থাকলেও আদিত্য কাছে তাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে’!!আসলে কাউকে ভালো বাসলে সে যেভাবেই থাকুক না সবসময়ই ভালো লাগে তাকে’!যেমনটা আদিত্যের কাছে আরুশিকে লাগছে'”!!!হালকা নড়ে উঠল আরুশি’!কারন সকালের রোদ এসে পড়ছে আরুশির মুখে’!আদিত্য আর বাম হাতটা একটু উপরে উঠালো’!যার ফলে আরুশির মুখ এসে পরলো আদিত্যের হাতের ছায়া’!!হালকা ছায়া পরতেই আরুশি আরাম করে আবার ঘুমিয়ে পরল…….

||

“ঘড়িতে সকাল ১০টা বেজে ৩০মিনিট!আদিত্যকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে এখন!আদিত্যের খবর শুনে তার বন্ধুরা বেশ কয়েকবার এসেছে তাকে দেখতে’!!এখন আবার আসবে আদিত্যকে নিয়ে যেতে……

||

“হসপিটালের সব বিল মিটিয়ে আদিত্য নিয়ে বসানো হলো গাড়িতে’!!তার সাথে বসেছে আরুশি….আর গাড়ি ড্রাইভ করছে রাশেদ’!!আদিত্যের পিছনে আছে আরো দু তিনটে গাড়ি যাচ্ছে তাদের সাথে……’!!সবাই আদিত্যের এক্সিডেন্ট নিয়ে চিন্তিত’!!সবাই ভাবছে হুট করে কি করে এমনটা হলো……

||

“বেশ কতোক্ষণ পর………

“আদিত্যের গাড়ি এসে থামলো আদিত্যদের বাড়ির সামনে’!!আদিত্য পায়ে ব্যাথা থাকায় আরুশি আর রাশেদ ধরে নিয়ে যাচ্ছে আদিত্যকে…..’!!

“আদিত্য নিয়ে বসানো হলো সোফায়’!!তাঁরপর আদিত্যের সাথে কতক্ষণ কথা বলে চলে যায় রাশেদ…….

||

“রাত_৮ঃ০০টা…….

“সারাদিন সোফায় থাকলেও এখন আদিত্যকে রুমে নিয়ে গিয়ে শুয়ে দিতে হবে'”!! কিন্তু কথা হলো আমি একা কি করে নিয়ে যাবো আদিত্যকে’!!তাও সিঁড়ি বেয়ে উপরে…….

“ধুর!তখন একসাথে রাশেদকে দিয়ে উপরে উঠিয়ে নিয়ে গেলেই ভালো হতো’!!এদিকে আদিত্য আমার ভাবনা দেখে বললোঃ

———-“এতে ভাবার কি আছে আমায় কোলে করে নিয়ে চলো…..

———-????

“আমার চাহনী দেখে হাসলো আদিত্য তারপর বলে উঠলঃ

———–“মজা করছিলাম…..

———–“আপনি রাশেদ ভাইয়াকে ফোন করে আসতে বলুন……

———–“ওহ এখন আসতে পারবে না…..

“এমন সময় দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো রাশেদ’!!আদিত্যের কথা শুনে দাঁড়িয়ে পরলো সে’!!আদিত্যের কথা শুনে অবাক হয়ে বললাম আমিঃ

————“কেন???

————“ওহ ওর গার্লফ্রেন্ডের সাথে বিজি আছে….

“ওদিকে রাশেদ আদিত্যের কথা শুনে কি করবে বুঝতে পারছে না’!আদিত্য হাতের ইশারায় রাশেদকে যেতে বলে’!!রাশেদ হালকা হেঁসে চলে যায়’!!হয়তো রাশেদ বুঝতে পেরেছে আদিত্য কি করতে চাচ্ছে……

————-“কি রাশেদ ভাইয়ার গার্লফেন্ড আছে….

———–“হুম আছে তো…..

————“ওহ তাহলে কি করে নিয়ে যাবো আপনাকে উপরে……

————-“আরে কিছু হবে না আমায় ধরো আর চলো…..

“কিছুক্ষন ভেবে বলে উঠলাম আমিঃ

————ঠিক আছে…….

চলবে…………

অভিমানেই আছো তুমি?
Writer:TanjiL Mim
part:09
.
.
?
“দেয়ালের সাথে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আদিত্য’!!আর আমি একদম অপ্রস্তুত অবস্থায় তাকিয়ে আছি আদিত্যের দিকে’!!আদিত্যকে রুমে নিয়ে আসতে গিয়ে এমন একটা পরিস্থিতিতে পরতে হবে বুঝতেই পারি নি'”!!তবে এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য আমি নিজেই দায়ী……

“কিছুক্ষণ আগে……

“আদিত্যকে ধরে সিঁড়ি বেয়ে উপরে নিয়ে আসতে আসতে রুমে ঢুকতেই আমি নিজের পায়ে পেঁচিয়ে পড়ে যেতে নিলে সাথে সাথে আদিত্য আমায় ধরে দেয়ালের সাথে ধরলো’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে পুরোই ঘাবড়ে গেলাম আমি সাথে সাথে আদিত্যকেও ধরে নিয়েছি আমি!!

“বর্তমানে আদিত্য আমায় ধরে আছে……

“আদিত্যের ভাড়ি নিশ্বাস এসে পরছে আমার মুখে’!!বুকের ভিতর দক দক করছে আমার’!!হর্ঠাৎ করে এতোটা কাছে আসায় আমি পুরো অপ্রস্তুত হয়ে পরেছি’!!আদিত্য আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ

———–“তোমার ঠোঁটের মিষ্টি হাসি আমার প্রিয় সখী…….

“হুট করে আদিত্যের মুখে এমন কথা হকচকিয়ে উঠলাম আমি’!!কোনোকিছু না বলেই আদিত্য ছাড়িয়ে বসিয়ে দিলাম বিছানায়’!!আদিত্য আমার কাজে কিছু বললো না’!!চুপ করে রইল’!!

“আদিত্যের নিশ্চুপতা বলে দিচ্ছে সে অভিমান করেছে’!!

||

__________________________

||

“মাঝখানে কেটে গেল পুরো এক মাস দশ দিন’!!এখন একদম আগের মতো সুস্থ হয়ে গেছে আদিত্য’!!এই এক মাস দশ দিনে বদলে অনেক কিছু আরুশি হয়তো বলে নি আদিত্যকে সে ভালোবাসে তাকে’!!কিন্তু রাগ করে, আর কথা বলে নি’!!বলতে গেলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে আদিত্য আর আরুশি মধ্যে’!!শুধু আরুশি মুখে প্রকাশ করেনি এখনও সে আদিত্যকে ভালোবাসে…….

||

“সন্ধ্যার প্রহরের আলো!!সূর্যের রক্ত লাল করা আলোকিত সন্ধ্যায় বিছানায় বসে আছি আমি’!!মনের ভিতর এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে চলেছে’!!আদিত্যের সাথে স্বাভাবিক হলেও কোথাও কিছু ঠিক নয়’!!মনের ভিতর শূন্যতা,ভালোবাসার শূন্যতা,কিছুটা পরিবারের আর বাকিটা আদিত্যের….,কবে সব ঠিক হবে ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম আমি!!এমন সময় রুমে আসলো আদিত্য আমায় মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখে বলে উঠলঃ

———–“মন ভালো নেই……

“আচমকা কারো মুখে এমন কথা শুনে সামনে তাকালাম আমি’!!আদিত্য দেখে বলে উঠলামঃ

———–“না তেমন কিছু নয়……

“হুট করেই আদিত্য আমার হাত ধরে বললোঃ

———–“চলো…….

“আমি অবাক চোখে তাকিয়ে বলে উঠলাম আদিত্যকেঃ

———–“কোথায়……

————“আরে চলো না গেলেই দেখতে পাবে…..এই বলে কিছু ব্যাগ আমার হাতে গুছিয়ে দিয়ে বললো সেঃ

————-“এগুলো সব পড়ে ফেলো তোমার জন্য এনে!এগুলো পড়েই বের হবে তুমি…..

“বিনিময়ে কিছু বললাম না আদিত্যকে’!!হাত থেকে ব্যাগগুলো নিয়ে শুধু মাথা নাড়ালাম’!!আদিত্য হাসলো শুধু……!!তারপর বেরিয়ে গেল রুম থেকে……

_______

“আদিত্য বের হতেই ব্যাগটা খুললাম’!!অসম্ভব সুন্দর রেড কালারের একটা জর্জেট চুড়িদার’!!অসম্ভব সুন্দর’!!সাথে হালকা কিছু গহনাপত্র….!!আর তার সাথে ছোট্ট একটা চিরকূট…
মুচকি হেঁসে চিরকূরটা হাতে নিলাম আমি’!!চিরকূট খুলতেই উপরে লেখা কিছু কথাঃ

——-“আমার প্রিয় “ময়ূরীজান”!!বেশি কিছু নয় চুলগুলো খুলে সাথে সামান্য কিছু সাজে সজ্জিত হয়ে এসো আমার কাছে’!!আজকে যে মনের গহীন দিয়ে তোমায় বলবো অনেককিছু….!!বেশি অপেক্ষা করিও খুন হয়ে যাবো যে তবে..তোমার মায়াবী মুখ আর মায়াবী কিছু সাজে সজ্জিত হওয়া মুখ খানা খুব যে দেখতে ইচ্ছে করছে’!বেশি অপেক্ষা করিও না প্লিজ আমি তো পাগল হয়ে যাবো তবে ‘ময়ূরীজান”…..?

“আদিত্যের দেওয়া চিরকূট দেখে আনমনে হাসলাম আমি’!!তারপর তাড়াতাড়ি তৈরি হতে লাগলাম আদিত্যের দেওয়া উপহারে….

__________________________

||

“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলাম আমি’!!আদিত্যের দেওয়া সব উপহার পড়ে’!!আদিত্য সামনেই সোফায় চুপ করে বসে আছে’!!পড়নে তার ব্লাক শার্ট আর ব্লাক জিন্স, শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত বোল্ড করা’!!চুলগুলো সুন্দর করে সাজানো,হাতে ব্রান্ডেড কালো ঘড়ি… সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে’!!আমি আনমনে হেঁসে চলে গেলাম তার সাথে হালকা কাশি দিতেই আদিত্য আমার দিকে…..

“আদিত্য আমায় দেখে চটজলদি বলে উঠলঃ

———–“চলে এসেছো চলো তাড়াতাড়ি…..

“আমি কিছু বলার আগেই আদিত্য আমার হাত ধরে হাঁটা শুরু করে দিলো’!!

“আমি অবাক চোখে শুধু তাকিয়ে রইলাম আদিত্যের দিকে……

……….

“আদিত্য আমায় নিয়ে এসে গাড়িতে বসিয়ে দিল’!!তারপর আদিত্যও ড্রাইভার সিটে বসে গাড়ি চালাতে শুরু করল….

||

“আমাদের গাড়ি থামলো একটা বিশ তালা উঁচু বিল্ডিং নিচে’!!আদিত্য গাড়ি থেকে বলে উঠল আমায়ঃ

———-“নামো…..

“আমিও কিছু না ভেবে নেমে পরলাম’!!আদিত্য আমার হাত ধরে হাঁটা শুরু করলো…..

_____________________________________

_______________________

“আলোকিত ছাঁদের উপর দাড়িয়ে আছি আমি আর আদিত্য’!!অসম্ভব সুন্দরভাবে সাজানো ছাদঁটি!!চারিদিকে লাইটিং করা!!আশেপাশে লাল রঙের লাভের বেলুন দিয়ে সাজানো’!!নিচেও চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে লাভ বেলুন’!!ছাঁদের বেলিং গুঁড়িয়ে রয়েছে মোমবাতি’!!উপরে উড়ছে আকাশ ভরা ফানুস’!!এক কথায় বলতে গেলে অসম্ভব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে ছাঁদটি……আমি পুরো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি চারিদিকে সৌন্দর্য দেখে…..!!আচমকা আদিত্য একটা বেলুন হাতে তুলে দিলো’!!আমি অবাক হয়ে তাকালাম বেলুনটির দিকে’!!কারন বেলুনের উপরে লেখা……

———-“Sorry”

“হুট করেই আদিত্য বসে পরলো নিচে’!!তারপর বলে উঠল সেঃ

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here