অভিমানেই আছো তুমি?,part:12,13(শেষ)

0
1702

অভিমানেই আছো তুমি?,part:12,13(শেষ)
Writer:TanjiL Mim
part:12,13(শেষ)

?
“অবাক চোখে তাকিয়ে আছি আমি মানুষগুলোর দিকে কারন বাহিরে আমার মা-বাবা আর ছোট ভাই দাঁড়িয়ে আছে’!!ওদের দেখে কি করবো বুঝতে পারছি না আমি’!!আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি’!!এমব সময় আব্বু বলে উঠলঃ

———–“কি হলো আমাদের ভিতরে আসতে বলবি না,নাকি বাহিরেই দাঁড়িয়ে থাকবো…..

“সঙ্গে সঙ্গে আমি দৌড়ে গিয়ে আব্বু আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম’!!আমার কান্না দেখে আব্বু মাথায় হাত দিয়ে বললোঃ

———–“আরে পাগলী মেয়ে আর কাঁদা লাগবে না আমরা তো চলেই এসেছি…..

———-“আব্বু, আম্মু তোমরা আমায় ক্ষমা করে দিয়েছো…..

———–“সব কথা কি বাহিরে বসেই বলবো…..

————“এই যা দেখছো আমি একদম ভুলেই গেছিলাম,আসো মা, বাবা, রুহান….

“তারপর তারা তিনজনই ভিতরে এসে বসলো’!!আমি তাদের সোফায় বসতে দিয়ে বলে উঠলামঃ

———-“তোমরা বসো আমি এক্ষুনি আসছি…

———–“কই যাস(মা)

———–“একটু বসো আমি এখনি আসছি….

“এই বলে খুশি হয়ে সোজা উপরে উঠে গেলাম!!তারপর রুমে ঢুকে ফোনটা হাতে নিয়ে সোজা আদিত্যের কাছে ফোন….

“প্রথম কলেই আদিত্য ফোন তুলে নিলো’!!তারপর আমি বলে উঠলামঃ

———-“তুমি কোথায় আদিত্য……

———-“আমি চেম্বারে….

[তোমাদের একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আদিত্য হলো একজন ডাক্তার]

———-“ওহ….!একটু তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে পারবে প্লিজ একটু ইমারজেন্সি আছে…..

———–“কি হয়েছে সব ঠিক আছে তো তোমার শরীর ঠিক আছে…..

————“সব ঠিক আছে, তুমি চলে আসো প্লিজ বাসায়……

————“আচ্ছা দেখছি……

————“ঠিক আছে তাড়াতাড়ি আসবে কিন্তু…..

———–“হুম!

“বলেই ফোনটা কেটে দিল আদিত্য’!!তারপর আমিও খুশি হয়ে নিচে গেলাম’!!

______________

“নিচে__

————“তোমরা কি খাবে বলো আমি নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াবো তোমাদের…..

————“এখন কিছু লাগবে না জামাই আসুক আমরা একসাথে খাবো(আব্বু)

“বাবার কথা শুনে আমি রীতিমতো অবাক হলাম’!!আমি নিশ্চুপভাবে গিয়ে বসে পরলাম নিচে’!!তারপর আব্বুর হাত ধরে বলে উঠলামঃ

————–“তুমি আমাদের মেনে নিয়েছো…..

————–“হুম তবে আমার একটা শর্ত আছে…..

————-“কি শর্ত বাবা…..

————“সেটা আদিত্য আসলেই বলবো…..

————“ঠিক আছে বাবা তুমি বসো আমি তোমাদের জন্য চা বা কফি নিয়ে আসি…..

———–“ঠিক আছে…..

“তারপর আমি উঠে চলে আসলাম রান্না ঘরে’!!আমার পিছন পিছন আম্মু চলে আসলো’!!আম্মুকে দেখে আমি জড়িয়ে ধরে বলে উঠলামঃ

———–“সরি আম্মু…..

———-“ঠিক আছে এখন বলতো এখানে কেমন আছিস তুই…..

———-“আম্মু আগে যেমন ছিলাম এখন তার চেয়েও খুব ভালো আছি’!!তোমরা যে চলে এসেছো’!!একটা কথা বলবো মা…

———–“হুম বল….

———–“হর্ঠাৎ করে তোমরা এইভাবে এখানে…..

“আমার কথা শুনে অবাক হয়ে বললোঃ

———–“কেন তুই জানিস না…..

————“কি জানবো…..

————“কেন আদিত্য তো সকালে গিয়েছিল আমাদের বাড়ি…..

———–কি….

~ “তারপর আম্মু সব বলতে শুরু করল’…
|আদিত্য বাড়িতে যাওয়া থেকে শুরু করে ফেরত আসা পর্যন্ত সবকিছু|
সব শুনে আমি কি রিয়েকশন দিবো ভুলে গেছি…..

_____________________________________

_______________________

||

“কয়েক ঘন্টা পর……

“কলিংবেল টিপ দিতেই দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম আমি’!!আদিত্য আমায় দেখে বলে উঠলঃ

———–“বল কি হয়েছে…..

————“আগে ভিতরে তো চলো…..

“এমন সময় সোফায় বসে চা খাচ্ছিল বাবা,আর মা পাশে রুহানও……

“তাদের দেখে রীতিমতো আদিত্য অবাক কারন’!!তখন তো…..

“আদিত্যের এমন চাহনী দেখে আব্বু বলে উঠলঃ

———–“কেমন দিলাম জামাই…..

“জামাই” শব্দটা শুনে আদিত্য আরো অবাক হলো’!!তার মানে…..

———–“আমরা শুধু আমার মেয়েকে নয় তোমায়ও মেনে নিয়েছি জামাই……

“আদিত্য খুশি হয়ে আব্বুকে জড়িয়ে ধরল’!!তারপর বলে উঠলঃ

————“আমি ভাবতেই পারি নি শশুর মশাই আপনি আমাকেও মেনে নিবেন…….

————“মেনে তো নিয়েছি তবে আমার একটা শর্ত আছে…..

———–“হুম বলুন না……

————“যেহেতু তোমাদের বিয়ে হুট করে হয়েছে তাই আমি চাচ্ছি ছোট একটা পার্টি দিবো তোমাদের নামে…..

————-“ওহ এই ব্যাপার আমার কোনো আপওি নেই শশুর মশাই…….

“তারপর পুরো দুপুরটাই হাসি খুশি ভাবে চলে গেল’!!এত সহজে সবটা হয়ে যাবে ভাবতেই পারি নি’!!

||

“রাত_৯ঃ০০টা……

“ডাইনিং টেবিলে বসে আছে, বাবা, আদিত্য,রুহান সহ আমরা সবাই’!! প্রথমে বাবা তার পাশে আদিত্য আদিত্যের পাশে আমি তারপর মাঝখানে আম্মু আর ওপাশে রুহান’!!আজকে আমি আর আম্মু মিলে রান্না করেছি…..

“আজকে সবাই খুব খুশি’!!তাই আজ রাতে আম্মু আমায় রুহানকে খাইয়ে দিবে…..’!!অনেক দিন হয়ে গেছে মা ভাত খাইয়ে দেয় নি……

“প্রথম লোকমা ভাত আমার মুখে তুলে দিলো আমিও খুশি হয়ে খাবার নিয়ে নিলাম’!!তারপর রুহানকেও দিলো…..
.
.

“এদিকে আমাদের কাজে আদিত্য আম্মুর দিকে তাকিয়ে রইল’!!তার কাছেও ভালো লাগছে তারও একটা ফেমেলি আছে মা আছে বাবা আছে ভাইয়ের মতো শালা আছে….’!!এসব ভেবে মুচকি হাসলো আদিত্য’!!এমন সময় তার মুখের সামনে এক লোকমা খাবার নিয়ে বললো আম্মুঃ

———-“হা করো…..

“বিনিময়ে আদিত্য কিছু বললো না’!!অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো আম্মুর মুখের দিকে’!!

“আম্মু আদিত্যের চাহনী দেখে বলে উঠলঃ

————“আজ থেকে আমি শুধু আরুশির মা নই তোমারও মা আমি, আর মায়ের কথা শুনতে হয়,হা করো….

“আম্মুর কথা শুনে আদিত্যের চোখ ভেসে আসলো’!!আদিত্য খুশি হয়ে মায়ের হাত থেকে এক লোকমা খাবার নিয়ে আম্মুর হাতে চুমু দিয়ে বললোঃ

————“আমিও আপনার জামাই নই ছেলে মা……

“এদিকে আমরা দুই ভাই বোন এদের কান্ড দেখে বলে উঠলামঃ

————-“হুম এখন তো আমরা কেউ নই না,শুধু ওনাকে আদর করলে হবে আমাদেরও করতে হবে….

“সাথে সাথে আদিত্য আম্মু দুজনেই হেঁসে দিল’!!
খাবার খাওয়ার পুরো মুহূর্তটাই অসাধারণ ছিলো’!!আজকে রাতে বাবা মা আর রুহান আমাদের সাথেই থাকবে ভাবতে আরো খুশি লাগছে…….

||

“রাত_১১ঃ০০টা…….

“ছাঁদের এক কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে আদিত্য’!!আজকে সে খুব খুশি’!!আর সাথে নিজের মা বাবাকেও খুব মনে পরছে তার’!!আকাশের দিকে তাকিয়ে তাঁরাগুলো দেখছে আদিত্য…..

“এমন সময় পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো আরুশি’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আদিত্য ঘাবড়ে পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলো’!!


“সারাবাড়িতে আদিত্যকে কোথাও পেয়ে ছাঁদে চলে আসি আমি’!!তারপর আদিত্যকে দেখে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলাম আমিঃ

———-“আজকে আমি খুব খুশি……

“বিনিময়ে আদিত্য কিছু বললো না’!!চুপ করে রইলো’!!

“আদিত্য চুপ থাকতে আবারো বলে উঠলাম আমিঃ

———-“কি হলো কিছু বলছো না কেন…..

———-“তুমি খুশি তো…..

———-“হুম খুব খুশি আর তুমি….

———“আমিও….

———-“আমার আর কোনো কষ্ট নেই মাই কিউট জামাই’!!এখন থেকে আমিও খুব খুশি থাকবো……থুক্কু আমরা খুব খুশি থাকবো…..

———–“হুম…..

———–“আকাশের দিকে তাকিয়ে কি দেখছো……

———–“তেমন কিছু নয় মা বাবার কথা মনে পরছে খুব…..

“মুহূর্তের মধ্যে মনটা খারাপ হয়ে গেল আমার’!!আমি আদিত্যের সামনে গিয়ে ওর গালে দু-হাত দিয়ে চেপে ধরে বললামঃ

————“এত মন খারাপ করতে নেই আমার বাবা মা আছে না,আমার মা বাবা মানেই তোমার মা বাবা’!!বলেই জড়িয়ে ধরলাম আদিত্যকে…..

“আদিত্য কিছু না বলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল আরুশিকে…….!!

চলবে……..

অভিমানেই আছো তুমি?
Writer:TanjiL Mim
part:13(শেষ)

?
“মাঝ খানে কেটে গেল দু-দিন…..

“আজকে আরুশির বাড়িতে আদিত্য আর আরুশির বিয়ে উপলক্ষে বড় অনুষ্ঠান হবে’!!পুরো বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে’!!পুরো বাড়ি টাকে ফুল দিয়ে অসম্ভব ভাবে তৈরি করে রাখা হয়েছে’!!পার্লার থেকে বিউটিশিয়ানরে এসেছে আরুশিকে সাজাতে’!!আজকে আরুশি অসম্ভব খুশি সাথে আদিত্যও’!!হয়তো কেউই বিশ্বাস করতে পারছে না এতো সহজেই সবাই সবটা মেনে নিয়েছে’!!আজকে আদিত্য সাদা রঙের সেরোয়ানি পড়েছে,সাথে সাদা জুতো,হাতে ঘড়ি, চুলগুলো বরাবরের মতো সুন্দর করে সাজানো’!!অল্প সাজেই অসাধারণ লাগছে আদিত্যকে..আর অন্যদিকে আরুশি আজকে রেড সাদা কমিনেশনে মিশ্রিত একটা লেহেঙ্গা পড়েছে,চুলগুলো গর্জিয়াস ভাবে খোঁপা করা,মুখে ভাড়ি মেকাপ,গলায় ভাড়ি নেকলেস, হাতে গর্জিয়াস চুরি,চোখে আইলাইনার,মাসকারাসহ পুরো গর্জিয়াস মেকাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে তাকে,তাকেও অসম্ভব সুন্দর লাগছে আজকে……

||

“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে আরুশি আর আদিত্য,পুরো অনুষ্ঠানের মানুষের চোখ এখন ওদের দিকে’!!আরুশির বাবার সব বন্ধুরা সহ সেদিনের বিয়েতে যারা যারা তাদের অনেকেই আজকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছে’!!সবাই শুরুতে একটু কিন্তু কিন্তু করলেও পরক্ষণেই আরুশির বাবা বলে দেয়__যেটা হয়েছে সেটা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে বারাবারি না করাই ভালো তার চেয়ে যেটা হচ্ছে সেটায় ইনজয় করুন’!!

____________

||

“সারাদিনটাই গান বাজনা,নাচ,খাওয়া দাওয়া ফটোশুট সহ বলেন বিভিন্ন আনন্দের সঙ্গে কেটে গেছে’!!এক কথায় বললে পুরো হেপি ইনডিং…..

||

“রাত_৮ঃ০০টা…….

‌আরুশির বান্ধবীরা আরুশিকে খুব সুন্দর করে আবার সাজিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে গেছে’!!এক কথায় বলতে গেলে আজকে আদিত্য আর আরুশির বাসররাত___

“একরাশ ভয় ভালো লাগা সবকিছু নিয়ে বসে আছে আরুশি’!!আজকে আরুশির রুমটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে’!!এই সবকিছু আরুশির বন্ধু -বান্ধবীদের কাজ……

“বেশকিছুক্ষন পর…….

“দরজার খোলার শব্দে আরুশি নড়েচড়ে বসলো’!!
আদিত্য সামনে আসতেই আদিত্যকে সালাম দিলো আরুশি……

“আচমকা এমনটা হওয়াতে আদিত্য একটু ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে সালামের জবাব দিলো সে’!!তারপর পুরো রুমটা দেখতে লাগলো’!!আরুশির রুমটা এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে সেটা আদিত্য জানতো না’!!এই জন্যই তখন আরুশির বান্ধবী হাসতে হাসতে বলে ছিল….

——“শুভ রাএী দুলাভাই,,,,

“আদিত্য হাসলো…….!!তারপর আরুশির সামনে বসে আরুশির মাথার গোমটা খুলে দিয়ে বলে উঠলঃ

————“আজকে আমার ময়ূরীজানকে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল কিন্তু…..

“সাথে সাথে আরুশি একটু গম্ভীর হয়ে বললোঃ

————“তার মানে এখন ভালো লাগছে না……

“আদিত্য হেঁসে বললোঃ

————“সেটা কখন বললাম…..

————-“এই মাএই তো বললে,,আর অনুষ্ঠানে আমার বান্ধবীদের সাথে এতো গা গেসে ছবি তোলার কি ছিল হুহ…..

“এতক্ষণ পর আদিত্য বুঝতে পারলো আরুশি কেন গম্ভীর মুডে আছে’!!আদিত্য হালকা হেঁসে বললোঃ

————“ও এইজন্য মহারানী রেগে বোম হয়ে আছে,তবে যাই বলো তোমার বান্ধবীরা কিন্তু খুব সুন্দর…

“সাথে সাথে আরুশি রেগে মেগে বিছানার উপর দাঁড়িয়ে বললোঃ

———-“কি বললে তুমি…….(আদিত্যের কলার চেপে)

“আদিত্য আরুশির কাজে অবাক হয়ে বললোঃ

———–“এটা কি করছো…….

———–“আমায় রেখে অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকালে একদম চোখ উপড়ে ফেলবো বলে দিলাম, বলে কিনা আমার বান্ধবীদের সুন্দর দেখতে(রেগে)

————“আরে ওটা তো মজা করে বলেছি…..

————“তোমার মজার গুষ্টিকিলাই, থাকো তুমি গেলাম…..

“এই বলে যেই না আরুশি বিছানা থেকে নামতে যাবে সাথে সাথে আদিত্য আরুশির হাত ধরে দিল টান’!!সাথে আরুশি এসে পরলো আদিত্যের বুকে…..

||

“আচমকা এমনটা হওয়াতে আরুশি পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল’!!আদিত্য আরুশিকে ধরে বলে উঠলঃ

———“বাসর ঘরে এই ভাবে চলে গেলে চলবে নাকি…..

———-“মানে…..

———“মানে বোঝাচ্ছি তোমায়……

“তারপর দুজনেই ডুব দিল ভালোবাসার সাগরে।।।???

_____________________________________

_______________________

“খুনশুঁটি, রাগ, অভিমান নিয়েই দিন কাটছিল আদিত্য আর আরুশির জীবন…….

||

“দেখতে দেখতে কেটে গেল পুরো ৫ বছর………

“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আদিত্য চেচাচ্ছে….

————“আরুশি, আরুশি…..কোথায় তুমি আমার টাই কোথায়…….

“ওদিকে আরুশি রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বলোঃ

———–“আরে ড্রয়ারে আছে দেখো…..

———–“আমি পাচ্ছি না তুমি আসো…..

“একরাশ বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসলো’!!এমন সময় শাড়ির আঁচল ধরে দাঁড়ালো কেউ’!!পিছন ঘুরে আরুশি তাকে দেখে বললোঃ

———-“ওরে শয়তান,চল আমার সাথে……

_________________

“এদিকে আরুশি এখনো না আসায় আদিত্য আবারো চেঁচিয়ে বললঃ

———–“কি হলো আরুশি…..

————“কিছু এই তোমার টাই…..

“আদিত্য ঘুরে তাকাতেই তার ছেলে আয়ুশের গলায় দেখে বলে উঠলঃ

———-“এটা কি করেছো তুমি…..

“সাথে সাথে আয়ুশ হাতে তালি দিতে দিতে বললোঃ

———–“আমাকে তেমন নাগছে পাপা…..

“আদিত্য হেঁসে আয়ুশকে আরুশির কোল থেকে নিয়ে বললোঃ

———–“খুব সুন্দর লাগছে সোনা…..

“হাসলো আয়ুশ…..!!আয়ুশ হলো আদিত্য আর আরুশির ছেলে…….

“আদিত্য আবারো বলে উঠলঃ

————-“কিন্তু এখন যে এটা দিতে হবে পাপাকে পাপা যে কাজে যাবে……

————”না আমি দিবো না……

————-“এসব কি হচ্ছে আয়ুশ পাপা বলছে না পাপার লাগবে এখন দেও বলছি(আরুশি)

“সাথে সাথে আয়ুশ আদিত্যকে বলে উঠলঃ

———–“পাপা আম্মি পতা খানি বকে….

“আয়ুশের কথা শুনে আদিত্য বলে উঠলঃ

————“ঠিক বলছো আম্মি পঁচা….

————-“কি আমি পঁচা…..(আরুশি)

“আদিত্য আয়ুশকে কোল থেকে নামিয়ে বললোঃ

————-“সোনা তুমি এখন বাহিরে গিয়ে খেলো আমি তোমার জন্য চকলেট নিয়ে আসছি…..

“আয়ুশও আর কিছু না বলে চলে গেল রুম থেকে……

“এদিকে আরুশি হাবলার মতো তাকিয়ে রইল’!!তারপর বলে উঠলঃ

————“এটা কি করলে ও তো টাই না দিয়েই চলে গেল………

“আদিত্য একটু একটু করে সামনে আগাতে আগাতে বললোঃ

————-“ভাবছি আজকে আর কোথাও যাবো না বাড়িতে থাকবো…….

————“বাড়িতে থাকবে কেন??

———–“সেটাই তো বলবো এই যেই না আদিত্য এগোতে গেল সাথে সাথে আরুশি দিল দৌড়…..আর আরুশির পিছনে আদিত্য দিল দৌড়…….

“পুরো রুমে দুজনেই ছুটাছুটি করছে….. আর এভাবেই খুনশুটি আর ভালোবাসায় কাটছে আদিত্য আরুশির জীবন’!!

||

……….সমাপ্ত…….????

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!সবাই আদিত্য আরুশির জন্য দোয়া কর যেন সবাই এইভাবে আনন্দে কাটাতে পারে’!!গল্প পেচানো খুব একটা ভালো লাগে না আমার তাই শেষ করে দিলাম’!!আশা করি সবার গল্পটা ভালো লেগেছে’!!কার কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে’!!]

~ আল্লাহ_হাফেজ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here