#অভ্র_নীল,অন্তিম_পর্ব
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
অভ্র নীল মাইশা মাইরা সবার সামনে এসে দাঁড়ায়
সবাই মাইশা ও মাইরা কে কোলে নেয় কিউট কিউট গালে কিস করে।
মাইশা ও মাইরাও পাকনা পাকনা কথা বলে সবার সাথে।
দুই বছরের বাচ্চা ভালোভাবে স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না। তবুও ঠোঁটে বাজিয়ে বাজিয়ে তুতলিয়ে যতটুকু বলে তাতেই সবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায় সবার সবার আদরের মাইশা মাইরা।
ওইদিকে তোয়া অপেক্ষা করছে শাওন কখন আসবে।
কিছুক্ষণ পর শাওন ও ওর ফ্যামিলি মানে ওর মা বাবা তিনজনেই চলে আসে।
শুভ মিসেস ও মিস্টার চৌধুরীর সাথে ওর ফুপি ও ফুপার আলাপ করতে বলে আজ এই অনুষ্ঠান শেষ হলেই জেনো তোয়া আর শাওনের বিয়ের কথা বলে।
শাওনের ফ্যামিলির সবাই তোয়ার কথা জানে শুধু চৌধুরী বাড়ির নীল ছাড়া আর কেউ জানে না।
তোয়া এখন ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে এক্সাম দেবে৷ আর ওর বয়স এখন সম্পূর্ণ ১৮বছর ২মাস চলছে তাই বিয়ের বয়স তো হয়েই গেছে শুভ কাজে দেরি কিসের।
আকাশ- তোয়া এদিকে আয় তো বোন।
তোয়া- বলো আকাশ ভাইয়া।
আকাশ- অভ্রর গিটার টা নিয়ে আয়।
অভ্র- গিটার কেনো?
তোয়া- তাই তো গিটার কেনো?
আকাশ- আজ আমি গিটার বাজাবো আর গান গাইবে অভ্র নীল আর গান টা ডেডিকেট করবে মাইশা ও মাইরা কে।
সবাই আবারও হাত তালি দেয় ফ্রি তে গান শুনতে পাবে হাত তালি তো দিবেই।
অভ্র নীল প্রথমে না না করলেও পরে যখন মাইশা আর মাইরা রিকুয়েষ্ট করে তখন অভ্র নীল রাজি হয়।
অভ্র মাইশাকে ওর দাদীর কোল থেকে নিজের কোলে নেয়।
নীল মাইরাকে ওর নানার কোল থেকে নিজের কোলে নেয়। আর সবার মাঝখানে চলে আসে।
দু’জনেই মেয়েদের গালে চুমু দেয়।
???Music???
??Yeh Nazar Bhi Ajeeb Thi???
?Isne Dekhe The Manzar Sabhi???
???Dekh Ke Tujhe Ek Dafa Phir?
?Kisi Ko Na Dekha Kabhi??
??Mera Pehla Junoon Tu Mera Pehla Junoon?
??Ishq Akhri Hai Tu???
???Meri Zindagi Hai Tu ?
?Meri Zindagi Hai Tu ??
???Gham Hai Ya Khushi Hai Tu???
???Meri Zindagi Hai Tu ??
???Meri Zindagi Hai Tu???
???Haaan Haaan… ????
??Kabhi Na Bichadne Ke Waaste Hi???
???Tujhse Jude Hai Hath Mera??
??Kabhi Na Bichadne Ke Waaste Hi???
???Tujhse Jude Hai Hath Mera??
??Saaya Bhi Mera Jaha Sath Chhode?
??Wahan Bhi Tu Rehna Sath Mere??
??Sach Kahoon Tere Name Pe??
??Dil Dhadakata Hai Yeh Aaj Bhi??
???Dekh Ke Tujhko Ek Dafa Phir ???
??Kisi Ko Na Dekha Kabhi??
??Shaam Hai Sukoon Ki??
???TU Shaam Hai Sukoon Ki??
Chain??Ki Ghadi Hai Tu??
???Meri Zindagi Hai Tu ??
???Meri Zindagi Hai Tu???
______________________
গান শেষ হতেই সবাই হাত তালি দেয় এবং সবাই মিলে একটা ফ্যামিলি ছবি তোলে..!
কিছুক্ষণ পর কেক নিয়ে আসা হয়।
কেক ও কাটা হয় খাওয়া ও হয়.!
ফাংশন শেষ হতেই সবাই চলে যায়।
স্টাফ রা হল রুম ক্লিন করছে।
মিসেস ও মিস্টার চৌধুরী উপরে চলে আসে।
সাথে অভ্র নীল মাইশা মাইরা তোয়া তিথি তিয়া স্বপ্না ওদের তিন জনের হাসবেন্ড (ওদের তিনজনের ও ২বছরের মধ্যে বিয়ে হয়েগেছে আপনাদের মিষ্টি খাওয়াতে হবে বলে বলি নাই হিহিহি) আকাশ তানজু তানিয়া কাজল শুভ তন্ময় শাওন আর ওর মা বাবা।
গেস্ট রুমে বসে আছেন।
মাইশা মাইরা দাদু দাদু বলতে বলতে দু’জনেই ওদের দাদার কোলে গিয়ে বসে আর হাতে ছোটো পুতুল নিয়ে খেলছে।
মিস্টার রাজ চৌধুরী- তোমরা সবাই চুপ করে আছেন কেনো কি নাকি ইমপোর্টেন্ট কথা আছে তো বলছো না কেনো?
সবাই একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলছে।
অভ্র- শুভ আকাশ অন্তত তোরা তো কিছু বলবি নাকি.!
আকাশ- যা বলার শুভ বলবে।
শুভ-কিহহহ.! না মানে মানে হচ্ছে যা বলার ফুপি বলবে।
শাওনের বাবা- ভাইসাব আমরা আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসছি একটা কাজে আসছি।
মিস্টার চৌধুরী- কি কাজে.!
শাওনের মা- রাজ ভাই.!
মিস্টার চৌধুরী- শিলা তুই অন্তত বল এত হিচকিচাচ্ছিস কেনো?
শাওনের মা- রাজ ভাই আমরা এখানে আমাদের একমাত্র ছেলে শাওনের জন্য আপনার মেয়ে তোয়ার সম্মন্ধ নিয়ে আসছি। যদি আপনারা রাজি থাকেন তাহলে কথাবার্তা আগে বাড়াতে পারি।
মিসেস চৌধুরী- এটা তো ভালো কথা।
মিস্টার চৌধুরী- কিন্তু তোরা তো আমেরিকা থাকিস আর বিয়ে হলে তো আমাদের তোয়া কেও নিয়ে যাবি।
শিলা- রাজ ভাই। আমার ছেলে আপনার মেয়ে তোয়াকে খুব ভালোবাসে আর ওকে ছাড়া কাউকেই বিয়ে করবে না আপনি এই আপনার ছোটো বোনের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন বিয়ের পর আমরা তোয়াকে বউয়ের মতো নয় মেয়ের মতো করে রাখবো।
মিস্টার চৌধুরী- আমাদের মেয়ে এখন অ্যাডাল্ট আমরা যেকোনো কিছু ওর উপর চাপিয়ে দিতে পারবো না আমাদের ওর মতামত ও জানতে হবে।
মিস্টার চৌধুরী- তোয়া মা তুই কি শাওন কে বিয়ে করতে চাস না-কি না মন থেকে বলবি তুই যা বলবি তাই হবে আমরা তোর কথার বিরুদ্ধ করবো না।
নীল- রাজি না মানে কি! অফ ক্রোস রাজি।
অভ্র- তুমি এত সিউর হয়ে কি করে বলছো?
নীল- কারণ আমি ওর ভাবি আর সব তোমাকে বলতে হবে নাকি।
নীল- বাবা আমাদের তোয়া রাজি তো খুব তারাতাড়ি ওকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করো।
তোয়া- ভাবি।
বিয়ের ডেট ফিক্সড হয় আজ থেকে এ সপ্তাহ পর কারণ উনাদের আমেরিকা বেক যেতে হবে।
৬দিন পর…!
আজ তোয়ার হলুদ ফাংশন.!
সবাই কমিউনিটি সেন্টারে চলে আসে.!
হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয় বক্সে ফুল ভলিউমে গান বাজছে নীল তোয়ার হাতে মেহেদী দিয়ে দিচ্ছে.!
মেহেদী দেওয়া শেষ হলে নীল উঠতে যাবে তমনি অভ্র নীল এর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরে।
নীল- অভ্র কি করছো সবাই দেখছে?
অভ্র- দেখুন তাতে আমার কি.?
নীল- অভ্র…?
অভ্র- নীল তোমার হাতটা বাড়াও তো.?
নীল চোখ বড় বড় করে অভ্রর দিকে তাকায়
অভ্র- হাত বাড়াতে বলছি জানপাখি চোখ বড় বড় করতে বলিনি একটু হলেই বের হয়ে যাবে।
নীল- উফফ… এই না-ও দিলাম।
অভ্র পেছন থেকে হাত বের করে নীল এর হাত ধরে নেয় আর অভ্র নিজ হাতে নীল এর হাতে মেহেদী পরিয়ে দিচ্ছে।
নীল- অভ্র তুমি আর মেহেদী.!
অভ্র নীল এর দিকে তাকিয়ে টেডি স্টাইল হাসি দিয়ে চোখ টিপ মারে।
নীল- অসভ্য..!
অভ্র- শুধু তোমারই জন্য.!
তোয়া অভ্র নীল এর দিকে তাকিয়ে হাসছে।
____________
কিছুক্ষণ পর শুভ তানিয়া সহ ছেলের বাড়ির মানুষ চলে আসে হলুদ দেওয়ার জন্য সবার হলুদ দেওয়া শেষ হলে তারা চলে যায় পরে মেয়ের বাড়ি থেকে যায় নীল যায়না কারণ এখানে অনেক কাজ আছে চৌধুরী হাউজের সমস্ত দায়িত্ব মিসেস চৌধুরী নীল এর উপর দেয় আর সারাদিন সে নাতনিদের কে নিয়ে খেলা করে।
তোয়ার হলুদ থেকে বিদায় পর্যন্ত সব কিছুর দায়িত্ব নীল এর নীল সব কিছু খুব সুন্দর করে সামলাচ্ছে।
বিয়ের দিন…!
তোয়াকে সাজাতে পার্লারের লোক চলে আসে আর তারা তোয়াকে সাজাচ্ছে.!
অভ্র নীলকে পেছন থেকে এসে জরিয়ে ধরে।
অভ্র- খুব কষ্ট হচ্ছে না তোমার সবকিছুর দায়িত্ব তোমার উপর আর..
নীল- আর কি আর কিচ্ছু না তোয়া কি শুধু তোমার বোন নাকি তোয়া তো আমারও বোন।
বলে নীল চলে যেতে নিলে পেছন থেকে।
অভ্র- নীলপরী….!
অভ্রর মুখে নীলপরী ডাক শুনে নীল পেছনে ঘুরে তাকায়।
কতদিন পর বললো তাছাড়া এখন তো দুই বাচ্চার মা বলে সারাদিন জ্বালাইতেই থাকে।
নীল- কি বললে।
অভ্র- আমার নীল পরী….. বলেই উমমমমমমমমমমম্মাহহহহ ফ্লাইং কিস ছুড়ে মারে নীল এর দিকে।
নীল ও ওর হাত দিয়ে কিসটা ধরে ফেলে আর নিজের ঠোঁটের উপর রেখে হাতের মুঠি খুলে দেয়।
অভ্র- ও আমার নীলপরী চায় আমি তার ঠোঁটে কিস করি।
বলেই নীল এর দিকে এগুচ্ছে।
নীল- একটু ওওওওওওও না। বলেই দিলো দৌঁড়।
নীল রেডি হতে চলে যায়।
ফাস্ট মাইরা ও মাইশা কে রেডি করায়।
মাইরা, মাইশা আজ বারবি ডোলের মতো করে সাজিয়েছে নীল সাথে পিংক গাউন..!
মাইশা মাইরাকে রেডি করতেই ওরা ওদের দাদীর সাথে চলে যায়।
এখন নীল রেডি হচ্ছে আজ নীল ব্লাক লাভার ব্লাক কুইন.!
নীল আজ সম্পূর্ণ পা থেকে মাথা পর্যন্ত ব্লাক ড্রেস পরেছে।
নীল ব্লাক সিল্ক শাড়ি পরেছে ব্লাক ইয়ারিংস ব্লাক চুড়ি ব্লাক হাইহিলস.!
নীল কাজল নিয়ে চোখের আর্নিশে দিতে যাবে তখনই পেছন থেকে কে জেনো নীল এর হাত ধরে নিলো।
নীল পেছনে ঘুরে দেখে অভ্র।
নীল- প্লিজ এখন দুষ্টামি করো না। কিছুক্ষণের মধ্যেই বর যাত্রী চলে আসবে।
অভ্র- আমি কিচ্ছু করবো না তুমি আমার দিকে ঘুরো।
নীলকে অভ্র ওর দিকে ঘুরিয়ে নীল এর হাত থেকে কাজল টা নিয়ে অভ্র নিজে নীল এর চোখে গাড় করে কাজল দিয়ে দিলো। তারপর গাড় লিপস্টিক দিয়ে দিলো।
নীলকে হালকা সাজেই অনেক সুন্দর লাগে পুরো যেমন অভ্রর নীল পরী..!
নীল- তুমি টাই পরোনি কেনো?
অভ্র- তুমি পরিয়ে দাও.!
তারপর নীল অভ্রর টাই বেধে দেয় আর ব্লেজার টাও পরিয়ে দেয়।
দুজনেই কমিউনিটি সেন্টারে চলে আসে।
কিছুক্ষণ পর বর যাত্রী ও চলে আসে।
মাইশা মাইরা এদিকে নীলকে পাগল করে দিচ্ছে আম্মু এটা দাও ওটা দেও এটা খামু ওটা খামু দুইবোন ধাক্কাধাক্কি করে একজন আরেকজন কে ফেলে দিচ্ছে আর বে বে করে কাঁদছে।
নীল মাইশা কে কোলে নিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করছে আর অভ্র মাইরা কে..!
কাজী এসে বিয়ে পরিয়ে চলে যায়..!
তোয়া ক্যামেরা ম্যান এর সামনে শাওন এর হাত ধরে হেসে হেসে ছবি তুলছে।
মাইশা মাইরাকে কাঁদতে দেখে ওদেরকে তোয়া ওর কাছে নিয়ে আসতে বলে।
মাইশা মাইরা তোয়াকে দেখে আরও বেশি জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদছে কারণ কেউ বুঝতে পারছে না তোয়ার জন্য পাগল মাইশা মাইরা আর আজ ওকে দেখেই কাঁদছে আর কোলে তো আসবে দূরের কথা।
পাশ থেকে শাওন- ওরা হয়তো তোমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে.! (বলেই শব্দ করে হেসে দেয়)
তোয়া- ওরা আমাকে দেখে ভয় পাবে কেন?
শাওন- এতদিন ওরা ওদের ফুপিকে Without মেক-আপ এ দেখেছে আর আজকে With মেক-আপ এ দেখে হয়তো পেত্নী ভেবে ভয় পেয়ে কাঁদছে.!
শাওনের কথা শুনে সবাই ফিকফিক করে হপসে দেয়।
শেষে কি না পেত্নী.!
তোয়া শাওনের পিঠে কয়েকটা কিলঘুসি দিলো।
তোয়া এবার মাইরা মাইশার দিকে তাকিয়ে বলল।
তোয়া- ফুপির জান তোমার ফুপিকে দেখে ভয় পাচ্ছো এটা সত্যি না বলো মিথ্যা আসো ফুপির কোলে আসো দুই হাত বাড়িয়ে।
মাইশা মাইরা অভ্র আর নীল এর কোলে ছিলো।
মাইশা মাইরা এবারও তোয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আগের ন্যায় জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে।
শাওন- এবার বিশ্বাস হলো তো..!!
তোয়া- তোদের দুইটা কে পরে দেখে নেবো ইজ্জত পাইলাম না।
মাইশা ও মাইরার কান্না থেমে যায়।
তোয়া ও শাওন স্টেজের সোফায় বসে আছে।
মাইশা কে শাওন কোলে নেয় আর মাইরাকে তোয়া।
আর বাকিরা সবাই তোয়া আর শাওন এর পাশে ও পেছনে দাঁড়ায় আবারও সবাইকে একটা ছবির ফ্রেমে বন্ধি করা হয়।
১ঘন্টা পর কমিউনিটি সেন্টারে কান্নার বন্যা বয়ে যায়।
এবং তোয়ার বিদায় হয়ে যায়।
এদিকে অনেক রাত হয়ে গেছে বলে মাইশা মাইরা ওর নানা নানীর কোলেই ঘুমিয়ে পরে।
চৌধুরী হাউজ……….!
নীল ওয়াশরুমে গিয়েছে ফ্রেশ হতে রুমের বড় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলে হাত বুলাচ্ছে আর বিড়বিড় করে বলছে।
অভ্র- ভাবা যায় আমার মতো কিউট হ্যান্ডসাম ছেলের নাকি বিয়ে হয়েগেছে আর দুইটা মেয়েও আছে।
নীল ওয়াশরুমের দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
নীল- কেনো ভাবা যায় না হ্যান্ডসাম ও কিউট বয়..!
অভ্র নীল এর কথা শুনে একবার পেছনে ফিরে তাকালো আর সাথে সাথেই আবার আয়নার দিকে তাকালো।
অভ্র- কি জানি দেখলাম মনে হচ্ছে।
অভ্র আবার ও পেছনে থাকালো।
নীল এখন ও ওইভাবেই দাঁড়িয়ে আছে।
অভ্র এক দৃষ্টিতে নীল এর দিকে তাকিয়ে আছে।
অভ্র- উফফ নীল তুমি কি আমাকে পাগল করে দিতে এইসব করো নাকি?
নীল- হয় হয় ভাবতে পারো।
আর আমি ড্রেস নিতে ভুলে গেছি ওটাই নিতে আসছি। তোমাকে পাগল করতে নয়। বলেই মুখ ভেংচি দেয়।
অভ্র- তাহলে আমাকেই বলতে আমিই দিতাম শুধু টাওয়াল পরে বের হতে কে বলছে হুহহহ।
নীল- আমার ইচ্ছা হইছে তাই বের হইছি তাতে তোমার কি?
অভ্র- এখন আমার ইচ্ছে হচ্ছে আমিও আদর করবো তোমার কি?
বলেই অভ্র নীলকে পেছন থেকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে
অভ্র নীল এর ঘাড়ের চুল গুলো সরিয়ে নীল এর ঘাড়ে চুমু দেয় নীলকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নীল এর গালে হাত রেখে নীল এর ঠোঁট জোড়ার সাথে নিজের ঠোঁট জোড়া মিশিয়ে দেয়.!
.
.
.
পরে বাকি ইতিহাস এত ইতিহাসের পাতা উল্টাতে হয় না। বুঝলে বুঝ পাতা না বুঝলে তেজপাতা.!
অভ্র নীল ও ওদের মাইশা মাইরাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছে.!
★______________The End______________★
(অভ্র নীল এটা আমার লেখা সর্বপ্রথম গল্প। জানি না কিভাবে শেষ করলাম কেমন হয়েছে সেটাও জানি না আশা করি আপনাদের মনের মতো করে শেষ করতে পেরেছি বা করছি! আপনাদের কে অনেক ধন্যবাদ আমার এই গল্পটাকে এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং সাপোর্ট করার জন্য আপনারা সবাই আমার ছোট্ট একটা পরিবারের অংশ.. আপনাদের সবার জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা আর খুব তারাতাড়ি নতুন গল্প নিয়ে আসবো আশা করি সবার ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন বেশি বেশি গল্প পড়ুন। আল্লাহ হাফেজ ভালো থাকবেন সবাই।
শারমিন আক্তার বর্ষা ?