অভ্র_নীল,১৬,১৭

0
1018

#অভ্র_নীল,১৬,১৭
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৬
______
তোয়া- ভাবিকে তোর নিশ্বাস দিতে হবে।
অভ্র– কিন্তু আমি যে ওকে প্রমিস করেছি।
তোয়া– কিচ্ছু করার নেই ভাই ভাবিকে বাঁচাতে হলে তোকে এটা করতেই হবে।
অভ্র– নীলকে বাঁচানোর জন্য আমি সব করবো।
তারপর অভ্র নীলের নাক চেপে ধরে নিজের ঠোঁট জোরা মিলিয়ে দিলো নীলের ঠোঁটের সাথে। আর নিজের নিশ্বাস দিচ্ছে নীলকে বেশ কিছুক্ষণ এইভাবে করার পর নীলের জ্ঞান ফিরে আসে নীল চোখ মেলে কাশতে থাকে।
অভ্র নীলকে মাটি থেকে উঠিয়ে বসিয়ে জরিয়ে ধরে আর পাগলের মতো করছে।
নীল এক নজরে অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে কারণ অভ্র কাঁদছে। নীল কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে.
অভ্র– এখানে আর এক মিনিট ও নয় সবাই চলো। গাড়ির দিকে চলো বাড়ি যাবো।
তিয়া– ভাই ভাবি হাঁটতে পারবে না মনে হচ্ছে বেশ দুর্বল হয়ে পরেছে।
নীল– আ..আ..মি পার…বো গাড়ি অবদি যে…তে! (তোতলিয়ে বলে)
অভ্র কিছু না বলেই নীলকে নিজের বাহুতে উঠিয়ে নেয় মানে কোলে তুলে নেয় আর ওদের বলে ওর সাথে চলতে অভ্রর এই রকম আচরণে নীল কি বলবে ও তো বেকুবের মতো অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে. এখনো অভ্রর চোখে পানি টলমল করছে।
তিয়া, তিথি, স্বপ্না, তোয়া পেছনের সিটে বসে অভ্র নীলকে ফন্ট সিটে বসিয়ে নিজে ড্রাইবিং সিটে বসে কার ড্রাইব করছে চোখ বেয়ে নোনা জল জেনো থামছেই না পরেই যাচ্ছে নীল অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে কেনো জানি অভ্রকে কাঁন্না নীলের কলিজায় গিয়ে আঘাত করছে মনে হচ্ছে কেউ অন্তর আত্মার মধ্যে বার বার ছুড়ি চালাচ্ছে।
নীল- উনার কান্না আমাকে কেনো এত কষ্ট দিচ্ছে?
তিয়া, তিথি, স্বপ্না, তোয়া — চার জনের চোখেই পানি কারণ চার জনেই দেখেছে অভ্রর পাগলামো অভ্র নীলকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে।

চৌধুরী হাউজ………….

গাড়ি গেইট দিয়ে ডুকতেই মিসেস চৌধুরী কিচেন থেকে দৌঁড়ে এসে মেইন ডোর খুললে এটা ভেবে বাচ্চারা সব আসছে।

ডোর খুলে দেখে অভ্র নীল সম্পূর্ণ ভিজে আছে আর অভ্র এখনো নীলকে কোলে করে নিয়ে আসছে।
অভ্র সোজা নীলকে নিয়ে রুমে চলে আসে।
অভ্র নীল এর পেছনে মিসেস চৌধুরী ও বাকি মেয়েরা আসে।
অভ্র নীলকে ফ্লোরে দাঁড় করিয়ে মিসেস চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলে- মা নীলের ড্রেস চেঞ্জ করে দেও জলদি আর না হয় ঠান্ডা লেগে যাবে।
সব কিছু মিসেস চৌধুরীর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে ভিজলো কিভাবে দু’জন আর কি হয়েছিলো সেখানে। ওর চোখ মুখই বা এমন দেখাচ্ছে কেনো এতবার জিজ্ঞেস করার পরও কিচ্ছু বলেনি প্রতি উত্তরে অভ্র- মা তুমি আপাতত নীলের ড্রেস চেঞ্জ করো আমি অন্য রুম থেকে চেঞ্জ করে এসে তোমাকে সব বলছি।
তারপর মিসেস চৌধুরী নীলের ভিজা শাড়ি চেঞ্জ করে একটা গোল জামা পরতে দেয়। অভ্র ও চেঞ্জ হতে অন্য রুমের ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করে শাওয়ার চালু দিয়ে মেঝেতে বসে কাঁদছে।
অভ্র– নীল স্টিমারে উঠতে চায়নি সবাই জোর করার জন্য নীল গিয়েছিল তার সাথে আমিও তো জোর করে ছিলাম আর আজ যদি নীলের কিছু হয়ে যেতো তাহলে আমি কাকে নিয়ে বাঁচতাম আল্লাহ তোমার দরবারে লাক্ষ লাক্ষ শুকরিয়া তুমি আমার কলিজা রে আমার বুকে আবার ফিরাইয়া দিছো। নীল খুব বেশি ভালোবাসি তোমাকে তুমি প্লিজ কখনো ছেড়ে যেও না আমাকে একজন কে ছোটো বেলায় হারিয়েছি তোমাকে হারাতে চাই না। শাওয়ার থেকে ঝড়া পানি আর অভ্রর চোখ বেয়ে পরা পানি দুটোই মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ ৩০ মিনিট পর অভ্র ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে রুমে আসে।
৩০ মিনিট আগে – এর মধ্যে তিয়া তিথি স্বপ্না তোয়া ওরাও শাওয়ার নিয়ে চেঞ্জ করে নীলের রুমে নীলের পাশে বসে আছে।
মিসেস চৌধুরী বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করলেন আর তিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব বললো।
মিসেস চৌধুরীর ও চোখে পানি চলে আসে।
নীলকে জরিয়ে ধরে কপালে চুমু দিয়ে একজন সার্ভেন্টকে বলে নীল এর জন্য ফল আর দুধ নিয়ে আসতে। সার্ভেন্ট ফল আর দুধ রুমে নিয়ে আসে আর দিয়ে চলে যায়।
মিসেস চৌধুরী নিজের হাতে নীলকে খাইয়ে দিচ্ছে অভ্র এটা দেখে পাশের সোফায় গিয়ে বসে।
নীল তিথি তিয়া স্বপ্না- অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে দেখেই মনে হচ্ছে অভ্র আবার ও কান্না করেছে।
মিসেস চৌধুরী নীলকে গ্লাসের দুধ খাইয়ে ওদের চার জনকে সাথে নিয়ে রুম ত্যাগ করে। এরা ভেবপ এখন ওদের একা থাকা দরকার।
অভ্র নিচের দিকে তাকিয়ে আছে দুই হাঁটুর মাঝ খানে দুইহাত মুঠি বন্ধ করে।
নীল নিজেকে সামলাতে পারছে না অভ্রকে এভাবে দেখতে ওর অনেক খারাপ লাগছে। তাই বিছানা থেকে নেমে সোজা অভ্রর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
অভ্রর সামনে ঝুঁকে বসে- আপনি ঠিক আছেন তো।
অভ্র নীলের কন্ঠ শুনে উপরের দিকে তাকিয়ে ঠাস করে নীলকে জরিয়ে ধরলো এখন আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে অভ্র আর একটু হলেই ওর কলিজার টুকরা টাকে হারিয়ে ফেলতো। নীল শকট হয়ে পাথরের মতো বসে আছে।
অভ্র– আমি তোমাকে হারাতে চাই না নীল প্লিজ কখনো ছেড়ে যেও না আমাকে আমি বেঁচে থেকেই মরে যাবো প্লিজ কখনো ছেড়ে যেও না। এইসব বলতে বলতেই অভ্রর মনে হলো অভ্র নীলকে টাচ করেছে।
অভ্র– আ’ম সরি! আমি আসলে ইচ্ছে করে তোমাকে টাচ করিনি জানি না নিজেকে সামলাতে পারছি না।
সরি! এই বলে নীল এর পাশ কেটে হাত দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে রুম ত্যাগ করে। রুম থেকে বেরিয়ে অভ্র সোজা সাদে চলে আসে বিয়ের পর আজ সাদে আসলো সাদের বাগান টাকে নীল বেশ যত্ন করেছে গাছ গুলো দেখলেই বুঝা যাচ্ছে কিছু কিছু গাছে তো ফুল ফুটেছে আর কিছু কিছু গাছে ফুলের কলি বের হয়েছে। অভ্র ফুল গাছ গুলোকে ছুঁয়ে দেখছে আর সাথেই অভ্রর হাত গিয়ে পরে একটা গোলাপ চাঁড়ার উপর আর সাথে সাথেই কয়েকটা কাটা অভ্রর হাতে ফুটে যায়।
অভ্র– এই ক্ষত আমার অন্তরের ভেতরের ক্ষতর কাছে কিছুই না,,, এই ক্ষত কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আমার অন্তরে ক্ষত জমেছে সে ক্ষত কি করে মিটবে।

ভাই…… (পেছন থেকে ডাক দেয় তিয়া)
অভ্র– তুই এখানে কি করছিস? যা রুমে গিয়ে রেস্ট নে!
তিয়া- আমার থেকে বেশি তোকে কেউ চিনে না তাই প্লিজ এমন করিস না নিজেকে সামলা ভাবি ঠিক আছে ওর কাছেই আছে।
অভ্র– আমি যে ওকে হারাতে পারবো না রে।
তিয়া– অভ্র যদি তোর ছোটবেলার সেই বান্ধবী ফিরে আসে যাকে তুই প্রমিস করে ছিলি সারাজীবন তোর মনে ওই থাকবে তখন তুই কি করবি। কাকে বেছে নিবি?
অভ্র অসহায় দৃষ্টিতে তিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
অভ্র– এমন কথা বলিস না রে আমি যে শূন্যে ভেসে যাবো। এমন দিন যেনো কখনে না আসে। তুই তো সব জানিস আমি ওকে কতো খুঁজেছি ওর নামটাই তো জানি না তাই আর খুঁজে পেলাম না আর ভাগ্য আমাকে নীলের সাথে দেখা করিয়ে দিলো মন তো আর বাধা মানে না রে।
আচ্ছা বাদ দে যা রুমে যা নীল এর এখন তোর প্রয়োজন।
তিয়া আর অভ্রর কথোপকথন বাহিরে দরজার আড়াল থেকে শুনছিলো একজন মেড যে এখানে গত কালকেই জয়েন হয়েছে। সে কথা গুলো শুনে কোনো একজনকে কল দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।
অভ্র– হ্যা চল।
নীল এখনো সোফার সামনেই বসে আছে। কি বলে গেলো অভ্র না আমি আর কিছুই ভাবতে পারছি না।
অভ্র রুমে এসে দেখে নীল নিচে বসে আছে তারাতাড়ি নীলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় হাঁটু গেঁড়ে বসে থেকে নীল কাঁদছে অভ্র নীলের দুই বাহু চেপে ধরে নীলকে উঠিয়ে সোফায় বসায় তারপর
অভ্র– নীল কি হয়েছে তোমার কাঁদছো কেনো প্লিজ কেঁদো না তোমার চোখের জল আমি সহ্য করতে পারি না প্লিজ বলো কি হয়েছে। নীল নিজের হাত দিয়ে গাল বেয়ে টপ টপ করা পানি মুছে সোফা থেকে উঠে যায়।
অভ্র নীলের ঠিক পেছনে সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আছে। নীল– আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই!
নীল অভ্র আর কিছু বলার আগেই দরজার সামনে থেকে কে জেনো বললো।
আমি কি ভেতরে আসতে পারি?
নীল পেছনে তাকিয়ে দেখে কাজল স্টাইল মেরে দাঁড়িয়ে আছে আর শয়তানের খালাতো বোনের মতো হাসছে। নীল দৌড়ে গিয়ে কাজলকে জরিয়ে দরে। অভ্র কলা গাছের মতো দাড়িয়ে আছে।
নীল- আয় ভেতরে আয়। এখানে বস।
কাজল– তুই নাকি পানিতে পরে গেছিলি? তুই কি ভুলে গেছিস নাকি তুই যে সাঁতার জানিস না।
অভ্র– তুমি কিভাবে জানলে?
নীল– ওই পানিতে হঠাৎ করেই ঢেউ উঠে ছিল। নৌকার কিনারে ছিলাম সামনে একটা ছেলে আমাকে ডিস্টার্ব করছিলো সহ্যের বাহিরে চলে গেছিলো তাই ওই ছেলেকে থাপ্পড় মেরে সেখান থেকে আসতে যাচ্ছিলাম আর ছেলে টা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো।
অভ্র– কি বললে তুমি কোন ছেলে ডিস্টার্ব করছিলো আর কেই বা ধাক্কা দিয়েছে তাকে আমি ছাড়বো না তখন কেনো বলো নাই সেখানেই মেরে পুতে দিতাম।
বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে রাগে গজগজ করতে করতে বলছে অভ্র এতটাই রেগে গেছে যে চোখ দু’টো রক্ত বর্ণ্য ধারণ করেছে কপালের রোগ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
নীল– আপনি প্লিজ শান্ত হন এখন তো সব ঠিক আছে।
অভ্র– কোন ছেলেটা ধাক্কা দিয়েছে ওই ছেলেটা না তো আমরা যে স্টলে গিয়েছিলাম সেখানে একটা ছেলে আমাদের দিকে লক্ষ্য করছিলো আর বারবার তাকাচ্ছিলো সেই ছেলে টা তোমাকে ধাক্কা দিয়েছে?
নীল– আমি জানি না আমি চিনি না কে সে নৌকাতেই প্রথম দেখেছিলাম।
অভ্র– উফফ এতটা কেয়ারলেস হলাম কি করে আমি!!!! আহহ বলে নিজের শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে দেওয়ালে পাঞ্চ করলো অভ্র এত জোরেই মেরেছে যে পুরো রুম শব্দে মনে হলো কেঁপে উঠেছে অভ্রর হাত ফেটে রক্ত চুইচুই করে পরছো। কাজল অভ্রর এই ভয়াবহ রুপ দেখে বসা থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কাঁপতে থাকে। নিজের পরনের জামা শক্ত করে ধরে আছে।
নীল অভ্রর হাত থেকে শক্ত জরতে দেখে তারাতাড়ি অভ্রর কাছে গিয়ে অভ্রর হাত নীলের দুই হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে।
নীল– পাগল হয়ে গেছেন আপনি কি করছেন কি? কাজল ওয়াড্রপের সেকেন্ড ড্রোয়ারে ফাস্টএইড বক্স রাখা আছে তারাতাড়ি নিয়ে আয় প্লিজ।
নীলের ডাকে কাজলের হুস ফিরে।
কাজল– এক..এখ…এখুনি নিয়ে আসছি!
নীল অভ্রকে টেনে বিছানার উপর বসায় তারপর কাজলের হাত থেকে ফাস্টএইড বক্সটা নিয়ে প্রথমে রক্ত পরিস্কার করে ভালো করে ব্যান্ডেজ করে দেয়।
নীল– এই রকম আর কখনো প্লিজ করবেন না।
অভ্র– তোমার দিকে কেউ তাকালে আমি তার চোখ উপড়ে নেবো তোমাকে কেউ ছোঁয়ার চেষ্টা করলে আমি তাকে খুন করে ফেলবো। আই প্রমিস!
অভ্র সামনে কাজলের দিকে তাকিয়ে!
অভ্র– কাজল আজ প্রথম তুমি আমাদের বাড়িতে এসেছো আর আমি আজকেই এইসব আ’ম সরি আসলে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি।
কাজল– আমি একা আসিনি!
নীল– মানে? আর কে আসছে?
কাজল– আব্বু আম্মু ও আসছে!
অভ্র– আঙ্কেল আন্টি ও আসছে?
নীল– আন্টি আঙ্কেল আসছে কেন তুই কোথাও গেলে তো আন্টি আঙ্কেল কে নিয়ে যাস না তো! জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করলো।
কাজল একটু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নিয়েছে!
নীল– আর লজ্জা পেতে হবে না সোনা লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে এখন বলেই ফেলো আসল ব্যাপার কি!
কাজল– ইশশ বলছি বলছি তোদের বলেছিলাম না তোদের বিয়ের দিন আব্বু তন্ময় কে বলেছিলো না আব্বুর সাথে দেখা করতে সেই কথা অনুযায়ী তন্ময় ওর মা’কে নিয়ে আমাদের বাড়ি তে এসেছিলো সেদিন সব কথা বার্তা পাকাপাকি হয় আর আমাদের বিয়ের ডেট ও ফিক্সড হয়ে গেছে তোকে কলেজে সব টা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু সময়ের জন্য বলতে পারিনি আজ থেকে ৩দিন পর গায়ে হলুদ আব্বু আম্মু তুই অভ্র ভাইয়া সহ পুরো ফ্যামিলিকে ইনবাইট করতে আসছে। কমবেশি সবাইকে ইনবাইট করা শেষ আজকে তোদের করতে আসছি আগামীকাল তানিয়া তানজু ফিরে আসবে কক্সবাজার থেকে তারপর ওদেরও করবো। আর এই কথা বলার জন্যই তোকে আর ভাইয়াকে ডাকতে আসছিলাম আর এসে যা দেখলাম।
আর তুই যে পানিতে পরে গিয়েছিলি ওটা তে আন্টি বললো। তাই আর দেরি না করে আমি নিজেই তোর রুমে চলে এলাম।
অভ্র– সরি।
নীল– এখন চল নিচে যাই।
কাজল– হুম চল।
নীল– আপনি কি যাবেন নাকি রুমেই থাকবেন।
অভ্র– আঙ্কেল আন্টি আসছে যেতে তো হবেই তোমরা যাও আমি আসছি।
নীল– ওকে।
তারপর দু’জনেই নিচে চলে আসে।

#চলবে …..?

#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৭
______
চৌধুরী হাউজ হল রুম!
সবাই বেশ গল্প গুজব করছে কিছুক্ষণের মধ্যে অভ্র ও চলে আসে। সবাই অভ্রর ব্যান্ডেজ করা হাত দেখে সবাই জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে একটু আগেও হাত ঠিক ছিলো এখন ব্যান্ডেজ কেন এইসব আরকি অভ্র নয় ছয় বুজিয়ে বাজিয়ে কথা টেলে দেয়।
তারপর রাতে___!
ডাইনিং টেবিল খেতে বসেছে সবাই!
মিস্টার ও মিসেস চৌধুরী পাশাপাশি বসেছে। তার পাশেই এক সিরিয়ালে বসেছে তিয়া, তিথি, স্বপ্না, তোয়া…!
আর আরেক পাশে নীল আর অভ্র…!
অভ্র বসে বসে খাবার প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছে কিভাবে খাবে হাতটা কাটা + ব্যান্ডেজ করা।
অভ্রর অবস্থা দেখে নীল এর কেনো জানি খারাপ লাগছে কারণ ওর জন্যই তো অভ্রর হাতের এই অবস্থা।
মিস্টার চৌধুরী কোনো রকম তারাহুরো করে খেয়ে রুমে চলে যায় ল্যাপটবে কিছু ইমপোর্টেন্ট কাজ করবে।
এইদিকে নীল নিজের প্লেট থেকে খাবারের এক লোকমা নিয়ে অভ্রর দিকে এগিয়ে দিয়েছে সবাই বেশ অবাক সাথে খুশিও কিন্তু অভ্র চরম অবাক হয়েছে অভ্র– কিভাবে সম্ভব নীল ও আমাকে পছন্দই করে না তাহলে?
নীল– কি হলো হা করুন!
তারপর অভ্র হা করে নীল ও খাইয়ে দেয় এভাবেি চলে যায় খাবারের পর্ব।
রাতে অভ্র সোফা বসে আছে সামনে ল্যাপটব কিন্তু কিছু করতে পারছে না কারণ ওর ডান হাত টাই তো ব্যান্ডেজ করা নীল বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে রাতের জ্যোৎসনা মাখা চাঁদ দেখতে নীল বেশ পছন্দ করে অন্ধকারেও চাঁদের আলোয় সব কিছু দেখা যায় এই জিনিসটা বেশ ভালো লাগে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নীল প্রবেশ করতে গিয়ে দেখলো অভ্র বা হাতে টাইপিং করার চেষ্টা করছে কিন্তু ডেরস কিচ্ছু লিখতে পারছে না সেটা দেখে নীল একটু শব্দ করেই হেসে দিলো কারো হাসির শব্দ শুনে অভ্র মাথা তুলে তাকালো দেখে নীল মুখের উপর হাত চেপে ধরে হাসছে।
অভ্র– এতে হাসার কি আছে আমি বা হাতে টাইপিং করতে পারি না।
নীল– এই জন্যই বলে রাগ কন্ট্রোল করতে হয়। তখন তো রাগ করে নিজেরই ক্ষতি করেছেন।
অভ্র– জ্ঞান দিচ্ছো!
নীল– উমম ভাবতে পারেন।
অভ্র– জ্ঞান না দিয়ে কোনো উপায় বের করে দাও?
নীল– সরুন।
অভ্র– কেনো?
নীল– আমি বসবো তাই।
অভ্র ও সরে গেলো নীল অভ্রর পাশে বসে ল্যাবটপ নিজের দিকে ঘুরিয়ে কি লিখতে চাচ্ছেন বলেন আমাকে আমি লিখছি করছি।
তারপর অভ্র নীলের দিকে তাকিয়ে এক এক করে সব বলছে আর নীল নিচে ল্যাবটপের দিকে তাকিয়ে টাইপিং করছে।
দীর্ঘক্ষণ কাজ করার পর।
নীল– আমি তো হাঁপিয়ে গেছি আপনি সারাদিন এত কাজ করেন আর এত টাইপিং করেন কিভাবে।
অভ্র– ম্যাজিক করে। টেডি স্টাইল হাসি দিয়ে।
নীল– খুবই খারাপ জোক ছিল। মুখ ভেংচি দিয়ে চলে যায়।
অভ্র ঘুমানোর জন্য সোফা রেডি করছে প্রতিদিন সোফায় শুতে শুতে ঘাড়ের অবস্থা খারাপ।
অভ্রর যে সোফায় শুতে প্রবলেম হয় নীল তা বেশ বুজতে পারছে। বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে নীল শুয়ে পরে। অভ্র ও শুয়ে পরে।
দুজনেই ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়।
সকালে রোজকার মতো আজও অভ্র নীলকে কলেজ ড্রপ করে দিয়ে অফিস চলে গেছে।
আজ কলেজে তানজু তানিয়া ও আসছে। ওরা কক্সবাজার থেকে কাল রাতেই ফিরেছে যদিও আজ ফিরার কথা ছিল। কাল নীলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওনারা তানজু তানিয়ার শশুর বাড়ি মানে আকাশ ও শুভর বাড়ি গিয়ে ওদের কেউ ইনবাইট করে এই কথা দুই ফ্যামিলি কল দিয়ে ওদের জানায় ওরা তাতক্ষণিক রওনা দেয়।
কলেজে আজ বিয়ের পরে সব গুলা বান্ধবীর দেখা কত দিন পর। কাজলের সাথে তো নীলের দেখা হয়েইছে।
এতদিন পর বান্ধবীদের দেখা কলেজের সামনে থেকেই সব গুলো বেরিয়ে পরে কলেজে আর যায় বাহিরে কফি শপে যায় আর শত সব উগান্ডা কথা বার্তা আছে সব কইতাছে জানেনই তো কয়েকটা মাইা মানুষ এক লগে থাকলে কত কথা কয় আর এহন তো তিনটার বিয়া হইছে আরেকটার হইবো এহন তো আরও বেশি কইবো।
কফি শপ থেকে বেরিয়ে চারজনে গেলো ফুচকা খেতে ২/৩ ঘন্টা পর চারজন ঠিক কলেজ ছুটি হওয়ার ১০মিনিট আগে কলেজের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায় ভাব এমন ধরে মনে হয় ওরা ক্লাসেই ছিল।
ওইদিকে আকাশ শুভ অভ্রর সাথে মিট করার জন্য অভ্রর অফিস চলে আসে তিন বন্ধু ইচ্ছা মতো আড্ডা দিচ্ছে। এতদিন পর দেখা কথা বলতে বলতে ভুলেই গেছে ওদের তিনজনকে ওদের তিনজনকে কলেজ থেকে পিক করতে হবে।
ড্রাইবার অভ্র এখনো আসছে না বলে অভ্রকে কল দেয়।
ফোনের রিংটোন শুনে অভ্র ভ্রু কুঁচকে ফোন হাতে নিলো আর ফোনের স্কিনে দেখতে পেলো ড্রাইবার কল দিয়েছে। (এমনি তে তো অভ্র নিজেই ড্রাইব করে কিন্তু হাত এখনো নীলের ব্যান্ডেজ করা তাই আজ ড্রাইবার কার ড্রাইব করেছে) অফিসে আসার আগে নীল ব্যান্ডেজ চেঞ্জ করে দেয়। অফিসে আসার পর থেকে ১০ বার দেখেছে ব্যান্ডেজ টা কত যত্ন করে বেধেছে। অভ্রর মনে একটা প্রশ্ন গুরুপাক খায়। নীল কয়েকদিন ধরে অভ্রর খেয়াল রাখছে এটা কি নীল এর ভালোবাসা নাকি সহানুভূতি কোনটা?
আকাশ– কিরে কল রিসিভ কর কে কল দিয়েছে?
অভ্র– ড্রাইবার আঙ্কেল! এক মিনিট ওয়েট কর। কল রিসিভ করে হ্যাল……অভ্রকে থামিয়ে দিয়ে।
ড্রাইবার- অভ্র বাবা নীল মা কে কলেজ থেকে পিক করতে যাবে না কলেজ তো ছুটি হয়েছে আরও ১০মিনিট আগে।
অভ্র– হোয়াট…… সিট সিট।
শুভ– কি হয়েছে?
বসা থেকে উঠে নিজের ব্লেজার টা হাতে নিয়ে পরতে পরতে আমি ভুলেই গেছি আমাকে নীলকে পিক করতে যেতে হবে নীল ওয়েট করছে বলেই দিলো এক দৌঁড়…
আকাশ, শুভ – ওয়ে দাঁড়া আমাদের ও তো যেতে হবে।
শুভ আকাশ ওরাও দিলো দৌঁড়! ওদের তিনজনকে এভাবে দৌঁড়াতে দেখে অফিসের সকল স্টাফরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
তানিয়া– ওরা হয়তো আসবে না চল আমরা চলে যাই।
তানজু– আসবে না কল দিয়ে ইনফর্ম করলেই পারতো।
কাজল– তোরা থাক ওয়েট কর আমি গেলাম। বলে গাড়িতে উঠে গেলো।
তানজু– তুই ফ্রেন্ড না-কি শত্রু রে আমাদের রেখে একা চলে যাচ্ছিস?
তানিয়া– ওই ওই শয়তান মাইয়া!
কে শোনে কার কথা চলে গেলো

তানজু– চল ট্যাক্সি করে চলে যাই।
তানিয়া– হ্যাঁ চল আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো সবাই চলে গেছে শুধু আমরা বাদে।
নীল– আমি যাবো না আমার বিশ্বাস অভ্র আসবে।
তানজু– আসবে না।
বলতে বলতেই তিনটা গাড়ি ওদের সামনে এসে থেমে গেলো। আর গাড়ির ভেতর থেকে ওরা তিনজন নামলে আর ওদের তিনজনকে ভেতরে ডুকতে ইশারা করলো।
তানজু– নীল তুই এত সিউর ছিলি কি করে?
তানিয়া– হ্যাই ঠিক কথা কুছ কুছ হতা হে কেয়া?
নীল– যা ভাগ যতসব ফাউল কথা কস। গেলাম একদম কাজলের বিয়েতে দেখা হবে।
তানিয়া- বাই!
তানজু- টাটা!
নীল– আল্লাহ হাফেজ।
তারপর যে যার গাড়িতে উঠে গেলো।
অভ্র- সরি!
নীল– কেনো?
অভ্র– ওই আকাশ আর শুভর সাথে এতদিন পর দেখা হলো আড্ডা দিতে দিতে টাইমের কথা ভুলেই গেছিলাম। তাই সরি আর এতক্ষণ অপেক্ষা করেছো।তার জন্য ও সরি।
নীল– আজ তো আমি ক্লাস করিনি কেনো জানি অভ্রর কাছ থেকে কথাটা লুকাতে ইচ্ছে করছে না পরে যদি অন্য কোথা থেকে শুনে তো আমাকে ভুল বুঝবে তার থেকে ভালো আমি নিজেই ওকে সত্যি বলে দেই। (মনে মনে)
অভ্র– কিছু বলছো না যে কি ভাবছো?
নীল- আমার আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো।
অভ্র– হুম বলো!
নীল– আসলে আজ আমি ক্লাস করিনি মানে সত্যি বলতে আমরা কেউ করিনি আমি তানজু তানিয়া কাজল অনেকদিন পর দেখা হয়েছে তাই সবাই মিলে কফিশপে চলে গিয়েছিলাম।
অভ্র– কি বলবো বুঝতে পারছি না। কারণ যে নীল আমাকে সহ্যই করতে পারতো না সে নীল আমার কেয়ার করছে সব কথা শেয়ার করছে। আমি কি বেশি বেশি ভাবছি। ভাবি সমস্যা কি তাতে ভাবতে তো আর টাকা লাগে না আমার মতো আমি ভাবতে থাকি।
চৌধুরী হাউজ!
আজ তিয়া তিথি স্বপ্না সকালেই চলে গেছে বাড়ি পুরো ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। নীলের একটু ও ভালো লাগছে না। রাতে অভ্র নীলের ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে।
তোমার জন্য একটা গিফট আছে!
নীল পেছনে ঘুরে। নীল- কি?
অভ্র– নিজেই নিয়ে খুলে দেখো!
নীল– আচ্ছা দেন।
অভ্র– হাত থেকে নিয়ে নাও।।
নীল– ওকে। এই বলে নীল অভ্রর হাত থেকে গিফটের বক্স টা নিতে গেলেই অভ্র হাত টা সরিয়ে একটু উপরে উঠিয়ে নেয়। নীল- এটা কি হলো?
অভ্র– তুমি আমার হাত থেকে গিফটের বক্সটা নিতে পারলে এটা তোমার কিভাবে নিবে সেটা তোমার ইচ্ছা।
নীল– আচ্ছা এই ব্যাপার।
অভ্র– হুম হুম। তারপর অভ্র তো লম্বা ৬’৩ ইঞ্চ নীল ৫’৪ ইঞ্চ। অভ্র হাত একবার এপাশ ওপাশ নিচ্ছে আগে পিছে সামনে পেছনে উপরে আর আমাদের নীল অভ্রর চারপাশে ঘুরছে। অভ্র হাত উপরের দিকে নেওয়ায় এখন নীল লাফাচ্ছে কিন্তু তবুও অভ্রর হাত পর্যন্ত লাগাল পাচ্ছে না। প্রায় ১০ মিনিট পর।
নীল– আপনি ইচ্ছে করে করছেন এমন যাতে আমি গিফট টা নিতে না পারি। লাগবে না আমার কোনো গিফট। বলেই অভ্রর দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিয়ে বারান্দায় চলে গেলো। অভ্র নীলের মুখ ভেংচি দেখে শব্দ করে হেসে দেয়। তারপর নীলের পিছু পিছু বারান্দায় চলে আসে।
মেয়েদের কি এটা জন্মগত স্বভাব নাকি।
নীল বারান্দার রেলিং ধরে বাহিরের দিকে তাকিয়ে ছিল অভ্রর কথা শুনে অভ্রর দিকে ঘুরে উত্তর দিলো।
নীল– কোনটা?
অভ্র নীলের দিকে একটু ঝুঁকে উত্তর দিলো।
অভ্র– এই যে কথায় কথায় রেগে গিয়ে মুখ ভেংচি দেওয়া! (নীল ভ্রু কুঁচকে অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে)
এটা এটা কি মেয়েদের জন্মগত স্বভাব?
নীল– আপনাকে আপনাকে আমি? রাগে গজগজ করতে করতে বললো।
অভ্র– তুমি কি? (টেডি স্টাইল হাসি দিয়ে)
নীল– কিচ্ছু না সরুন সামনে থেকে।
রুমের মধ্যে____
অভ্র– আচ্ছা বাবা সরি! এই না-ও তোমার গিফট। (এক হাত পেছন থেকে বের করে এনে গিফটের বক্সটা নীলের দিকে বাড়িয়ে)
নীল বিছানার উপর বসে আছে আর একবার অভ্রর দিকে তাকাচ্ছে আর আরেক বার অভ্রর হাতের গিফটটার দিকে।
নীল– না আমি নেবো না আপনি আবার ছো মেরে হাত সরিয়ে নিবেন।
অভ্র– আর নেবো না। না-ও!
নীল– সত্যি?
অভ্র– তিন সত্যি!
নীল তারপর অভ্রর হাত থেকে বক্সটা নিয়ে খুলতে লাগলো। নীল গিফটটা খুলে অনেক অবাক হলো সাথে চিল্লিয়ে বিছানা থেকে উঠে এক প্রকার লাফিয়ে
নীল– Woowwwwwwww ???
এটা অনেক সুন্দর আমার খুব পছন্দ হয়েছে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। জাস্ট অসাধারণ এটা আমি খুব যত্ন করে রাখবো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইশশশশ উফফ কত্তো কিউট এটা।
গিফটের বক্সে একটা সঁপিস ছিলো সঁপিস টা এমন ছিলো সঁপিসের ভেতরে একটা ছেলে মেয়ে দু’জন দু’জনের হাত ধরে ঘুরছে সাথে একটা রোমান্টিক মিউজিক টিউন বাজছে। অভ্র নীলকে এতটা খুশি দেখে নিজেও বেশ অবাক হয়েছে কারণ এত বড় বিজনেসম্যানের মেয়ে সামান্য একটা সঁপিস পেয়ে এত খুশি হয়েছে জাস্ট কল্পনার বাহিরে। এই রকম অল্প জিনিস পেয়ে তো আমার পরীও অনেক খুশি হয়ে যেতো আর নীলও সেম এক মিনিট আমি কোনো ভাবে পরীকে নীলের মধ্যে খোঁজার চেষ্টা করছি না তো? না না এটা করা যাবে না এটা তো অন্যায় (মনে মনে)
অভ্র– তোমার পছন্দ হয়েছে?
নীল– খুব!
অভ্র- অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমিয়ে পরো।
নীল– ওকে।
তারপর নীল ঘুমিয়ে যায়। অভ্র এখনো ঘুমায়নি আজ এতদিন পর আবার পরীর সেই ছোটোবেলার মুখটা অভ্রর চোখের সামনে ভেসে উঠছে। সারা রাত অভ্র ঘুমায়নি ফজরের আজান শুনে উঠে নামাজ পরে নিয়ে বারান্দায় চলে যায় অনেকক্ষণ ধরে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে।
অভ্র– আমাকে ক্ষমা করে দাও পরী সেদিন ওই ভাবে তোমাকে ছেড়ে চলে যাওয়া আমার উচিত হয়নি আমার তোমার নাম পরিচয় ঠিকানা জানা উচিত ছিলো বিশ্বাস করো পরী তোমাকে আমি অনেকবার অনেক জায়গাতে খুঁজেছি কিন্তু পায়নি বিশ্বাস করো আমাকে তুমি প্লিজ ক্ষমা করে দিও তোমাকে দেওয়া কথা রাখতে পারিনি। যেখানে সারাজীবন তোমাকে রাখবো তুমি থাকবে বলে প্রমিস করেছিলাম সেখানে আমি নীলকে জায়গা দিয়ে ফেলেছি প্লিজ ক্ষমা করে দিও প্লিজ পরী আমার মনের মধ্যে তুমি সবসময় থাকবে যেখানেই থাকো ভালো থাকো।
তারপর অভ্র রুমে এসে দেখে নীল ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরতে দাঁড়িয়ে পরেছে।
অভ্র সোফায় এসে শুয়ে পরে। সারারাত না ঘুমানোর কারণে শুয়েই ঘুমিয়ে যায়,, নীল নামাজ শেষ করে নিজেও গিয়ে শুয়ে পরে।
এই ভাবেই ২দিন কেটে যায়!
আজ কাজলের হলুদ সন্ধ্যা! কাজলের বিয়ে কাজলের বাড়ি থেকেই হবে। কাজলের বাড়ি ভর্তি মানুষ ও আত্মীয়স্বজন। কিছুক্ষণের মধ্যে অভ্র নীল ও চলে আসে।

#চলবে …..?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here