অভ্র_নীল,১৮,১৯

0
903

#অভ্র_নীল,১৮,১৯
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৮
______
সন্ধ্যের দিকে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হবে। এখন সবাই রেডি হচ্ছে। কাজলে সাজাতে পার্লার থেকে মেয়ে আসছে। আজ তানজু তানিয়া নীল সেম হলুদ রঙের মধ্যে লাল পাইড়ের শাড়ি পড়বে আর সাজবেও সেম।
যেমন কথা তেমন কাজ ওদের প্লেন ওরা তিনজন আজকে একটা গানে ডান্স করবে। ওইদিকে কাজলের ও সাজ শেষ।
সন্ধ্যে বেলায়____
কাজলকে স্টেজে নিয়ে বসানো হয়েছে ছেলের বাড়ি থেকে লোকজন ও চলে আসছে। সবাই হলুদ ছোঁয়াচ্ছে আর সাথে বক্সে গান বাজছে।

এখন সময় নীল তানজু আর তানিয়ার নাচের পালা।
মিউজিক_________???
???
Dekh ke tujhko Dil bole haaye haaye??
Tere bin haal mera Bura hota jaaye jaaye??

?? Thodi saraarti mai Tu bhi thoda shy shy?

?? Tere liye bakiyon ko? Kiya meine bye ?

Aisa kaisa pyaar kar liya Ho saawariya aa aa?
Saawariya aa aa Saawariya aa aa???
Sawariya saawariya ???

Tujhpe?? aake naina mere Jaam ho gaye
Haan tujhpe aake naina mere Jaam ho gaye??
Samajh mein na aaye aise kaam ho gaye

Naam bohot tha tere sar ki kasam??
Saiyan pade jo tere pyaar mein badnaam ho gaye???

Haaye reh liya duniya se bada dar dar ke
Dakhun mein bhi zara hadh se guzar ke??
Sab kuch tere naam kar diya ho??
saawariya aa aa?
Saawariya aa aa Saawariya aa aa???
Sawariya saawariya ???

এই গানের বাকি অংশ নিজ নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন। আজ এই পর্যন্তই শুনালাম আবার সুযোগ হলে পুরোটা শুনাবো। গানের শেষে অভ্র আকাশ শুভ তিনজনও নাচের মধ্যে ডুকে যায় আর নাচ হয়ে যায় কাঁপল ডান্স!
নাচ শেষে সবাই হাত তালি দেয়।
নীল– আপনাকে কে বলছে আসার জন্য?
অভ্র– ওমা ওরা আসছে আর আমি আসবো না ব্যাপারটা খারাপ দেখা তো আর আমি আসছি বলেই তোমার নাচটা এত সুন্দর হইছে।
নীল– হয় হয় মামা বাড়ি আবদার। শুরু থেকা কষ্ট আমরা করলাম আর শেষে আইসা সব ক্রেডিট উনি নিয়ে নিচ্ছেন! ডং মুখ ভেংচি দিয়ে আবার চলে গেলো।
অভ্র– আবার!
তারপর মেয়ে বাড়ির হলুদের পালা শেষ এখন ছেলের বাড়ির হলুদ। মেয়ের বাড়ির সবাই চলে আসছে এখানেও গান বাজছে সাথে নাচানাচি হচ্ছে সবাই তন্ময় কে হলুদ ছুইয়ে চলে গেলো।
নীল কাজলের এক হাতে মেহেদী দিয়ে দিচ্ছে অভ্র তা দেখে নীল এর পাশে বসে কানে কানে ফিসফিস করে বলে।
অভ্র– আমার মেহেদী অনেক ভালো লাগে তুমি চাইলে দিতে পারো।
নীল– আপনার ভালোলাগে আসেন আপনাকেই দিয়ে দেই। ভ্রু কুঁচকে রাগী কন্ঠে।।।
অভ্র সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে।
অভ্র– না থাক আমি বরং চলে যাই।
নীল– হ্যাঁ তাই যান।
তারপর নীল কাজলের হাতে মেহেদী দেওয়া শেষ করে নিজের হাতেও দেয় যেটা অভ্র লক্ষ্য করে না।
রাতে সবাইকে ঘুমানোর আলাদা আলাদা রুম দেওয়া হয়েছে। অভ্র আর নীল যে রুমে থাকবে সে রুমে সব আছে শুধু সোফা নেই!
নীল রুমে এসে ঘুমিয়ে পরেছে। অভ্র রুমে এসে দেখো কোনো সোফা নেই কোথায় শুবে নিচে শুবে না না বিছানার এক সাইডে গিয়ে শুয়ে পরি নীল জাগার আগে উঠে পরবো। তারপর অভ্র খাটের এক সাইডে শুয়ে গভীর রুমে তলিয়ে যায় ঘুমের মাঝে দু’জনেই নড়তে নড়তে কাছাকাছি চলে আসে। নীলের মুখের উপর কারো নিশ্বাস পরছে টের পেয়ে নীলের ঘুম ভেঙে যায় চোখ মেলে অভ্র কে নীলের এত কাছে দেখে।
নীল– আহহহহহহহহহহহহহহহহ__ বুঝতেই পারছেন চিৎকার দিয়েছে। নীলের চিৎকারে লাফ দিয়ে উঠে অভ্র আর উঠেই নীলের মুখ চেপে ধরে।
অভ্র– কি করছিলে তুমি চিৎকার দিলে কেন এখুনি তো বাড়ি ভর্তি লোক সব চলে আসতো।
নীল– আসলে আসতো আপনি আমার এত এসেছিলেন কেনো সোফায় শোননি কেনো?
অভ্র– ম্যাডাম আপনি ভালো করে আখি দুটি মেলিয়া দেখুন রুমে কোথাও সোফা নেই। আর আমরা এখন আপনার বেস্টি কাজলের বাড়ি আছি। আর আমি অভ্র চৌধুরী মাঠিতে শুতে পারবো না ২/৩ দিন এডজাস্ট করতে হবে। বিছানার উপর বসে কোল বালিশ দুই হাতে জরিয়ে ধরে বললো।
নীল– হুম তা ঠিক আছে কিন্তু তাই বলে আপনি আমার এত কাছে আসবেন কেন?
অভ্র– কত কাছে গিয়েছি ওই মনে নেই তো ঘুমের ঘড়ে ছিলাম। দাঁত ৩২ টা বের করে।
নীল– এই এত কাছে ১ ইঞ্চির গেপ ছিলো আর একটু হলেই তো।
অভ্র– তো কি?
নীল– তো কি সরুন লুচ্চা একটা কোলবালিশ দিন। আমি কোলবালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারি না।
অভ্র– আবার লুচ্চা.! না দেবো না আমিও কোলবালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারি না রাতে হাত পা উঠে যায় ভেবে দেখো তোমার উপরে যদি….
নীল– তত কিছু জানি না জানতেও চাই না দিন আমার কোলবালিশ! (কোলবালিশের এক পাশ ধরে টানছে আর বলছে)
অভ্র– না দেবো না! (কোলবালিশের আরেক পাশ ধরে টানছে অভ্র)
দুই জনেই টানাটানি করছে বেচারা মাঝখানে কোলবালিশ ভাগ্যিস কোলবালিশ বালিশ ছিলো যদি মানুষ হতো তাহলে টানাটানি তে নাজেহাল হয়ে যেতো।
নীল অভ্রর শক্তির সাথে পেরে উঠছে না আর পারবেই না কিভাবে আসতো একটা হাতি লম্বা কিউট হ্যান্ডসাম সিক্সপ্যাক টোটাল পারফেক্ট।
নীল ও কোনো দিকে কম নয় দুজনেই মেড ফর ইচ আদার।
নীল উঠে বিছানার উপর দাঁড়িয়ে যায় বসে বসে আর পারছে না এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে টানছে অভ্র বেশ মজাই পাচ্ছে।
অভ্র সর্ব শক্তি দিয়ে কোলবালিশ দিলো নিজের দিকে টান। নীল তাল সামলাতে না পেরে কোলবালিশ নিয়েই পরে যায় অভ্রর উপর অভ্র বেচারা বসে ছিলো বিছানার একদম সাইডে নীলের হঠাৎ করে ওর উপরে পরায় অভ্র নিজেও নীল সহ কোলবালিশ নিয়ে বিছানা থেকে নিচে মাটিতে পরে যায়। অভ্র নীচে নীল অভ্রর উপরে কোলবালিশ অভ্রর পায়ের কাছে।
অভ্র– ওরে আল্লাহ গো আমি শেষ৷ কি বুটকি রে বাবা।
নীল– মোটেও না আমি বুটকি না। (অভ্রর উপর শুয়ে আছে)
অভ্র– বুটকি কি না সেটা আমি হারে হারে টের পাচ্ছি উঠো ধম বাহির হয়ে যাইবো এখন উঠো।
নীল– ওও হ্যা হ্যা উঠছি।
বলেই নীল উঠতে যাবে একটু উঠতেই আবার ধুপ করে অভ্রর উপরে পরে যায়।
অভ্র– আআআহহহহহ ওরে বুটকি রে। কাল থেকে কম কম খাবি। আল্লাহ গো আমি নাই।
নীল- সরি সরি সরি। বলে উঠে গেলো।
অভ্র উঠে দাঁড়ায় বুকে হাত দিয়েই আল্লাহ কোলবালিশ নিচে থেকে উঠিয়ে অভ্রর দিকে কোলবালিশ দিয়ে এই না-ও তোমার জামাই এটার জন্য আমাকে এত কষ্ট দিলা। আল্লাহ গো।
নীল– কিসের জামাই? এটা আমার জামাই হতে যাবে কেন? আমার জামাই আছে হুহহ। কোলবালিশ জরিয়ে ধরে।
অভ্র– আচ্ছা কে জামাই শুনি।
নীল– ওই যে যার হাড্ডি গুড্ডি ভাঙলাম একটু আগে সেই।
অভ্র– আচ্ছা তাহলে জামাইকে জরিয়ে না ধরে কোলবালিশ কে ধরছো কেন? ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে। নীলের দিকে এগিয়ে আসছে।
নীল– ইহহহহ লুচ্চা! বলে কোলবালিশ নিয়ে অন্য দিকে দিলো দৌঁড়।
অভ্র সেখানে দাঁড়িয়ে হাসছে।
তারপর দু’জনেই শুয়ে পরে নীল কোলবালিশ দু’জনের মাঝখানে রেখে দিছে।
নীল অন্য দিকে ঘুরে শুয়ে আছে অভ্র নীলের দিকে ঘুরে শুয়ে আছে।
অভ্র– নীল?
নীল– জী বলুন!
অভ্র– ঘুমাওনি?
নীল– হুম।
অভ্র– তো কথা বলছে কে তোমার ভূত নাকি?
নীল– হ্যাঁ….!
অভ্র– কিহ তোমার সাথে ভূত আছে?
নীল– হ্যা আছে আর একটা না ৭ / ৭ টা আছে।
অভ্র শুয়া থেকে একটু উঠে বসার মতো শুয়ে পরে।
অভ্র– আল্লাহ কি বলো?
নীল– হ্যা আর বেশি কথা বললে ৭টাই আপনার ঘাড় মটকে দিবে।
অভ্র– তাহলে তোমার থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
নীল– ঠিক তাই।
অভ্র– তুমি বিয়ের আগে বলো নাই কেন তাহলে তোমাকে বিয়েই করতাম না।
নীল– তো কি হইছে এখনো দেরি হয় নাই। ছেড়ে দেন।
অভ্র এতক্ষণে ফানি মুডে থাকলেও এখন সিরিয়াস মুডে চলে আসে। নীলের হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে।
অভ্র– যতক্ষন আমি বেঁচে থাকবো তোমাকে ছাড়বো না আর না তোমাকে ছাড়তে দেবো না তুমি শুধুই আমার তুমি চাইলেও আমার আর না চাইলেও আমার আর কখনো ভুলেও ছাড়ার কথা বলবে না। (কথা গুলো শেষ করেই অভ্র নীল এর হাত ছেড়ে দিয়ে অন্য দিকে ঘুরে শুয়ে পরে)
নীল অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে মানে অভ্রর পিঠের দিকে তাকিয়ে আছে কি বললো। সব মাথার উপর দিয়ে গেলো। ঠিক সেই ভাবে গুরুত্ব না দিয়ে নীল ও অন্য দিকে ঘুরে শুয়ে ঘুমিয়ে পরে।

পরের দিন সকালে___!
বিয়ের দিন___!

#চলবে …..?

#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৯
______
পরের দিন সকালে বিয়ের দিন সবাই বিয়ের জন্য রেডি হচ্ছে.!
কাজলকে সাজাতে পার্লার থেকে লোক আসে।
তানজু তানিয়া নীল এক রুমে রেডি হচ্ছে…!
নীল আজ পিংক কালারের লেহেঙ্গা পরেছে সাথে ইয়ারিংস চোখে কাজল ঠোঁটে লিপস্টিক চুলগুলো সাইড সিঁতি করে নেয়। পুরাই ক্রাশ…..
অভ্র পিংক শার্ট, ব্লাক ব্লেজার, ব্লাক প্যান্ট, ব্লাক সুজ, দামী ঘড়ি চুলগুলোতে জেল দেয়। জাস্ট দেখতে অস্থির লাগছে।
দু’জনেই রেডি হয়ে নিচে চলে আসে,, ততক্ষণে বর পক্ষ ও চলে আসে।
নীল বাহিরে হাঁটা হাঁটি করছে নীল এর দিকে কয়েকজন ছেলে তাকিয়ে আছে। সেটা আবার অভ্র খেয়াল করেছে।
অভ্র দূরে আকাশ ও শুভর সাথে দাঁড়িয়ে ছিল।
এটা দেখে অভ্র ওদের কাছ থেকে চলে আসে।
আর নীল এর পিছনে পিছনে হাঁটতে শুরু করে।
নীল- হচ্ছে কি? আপনি এভাবে আমার পেছনে হাঁটছেন কেনো লোকে কি বলবে?
অভ্র- লোকে কে কি বললো তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।
আর আমি এমনি এমনি ঘুরছি না তোমাদের দিকে কয়েকটা ছেলে তাকিয়ে আছে তাই ঘুরছি।
নীল- আমার পেছন পেছন ঘুরবেন না। নিজেকে তো কেউ পাত্তা দেয় না তাই হিংসে হচ্ছে এজন্য ঘুরছেন?
অভ্র- ওওহহ আমাকে কেউ পাত্তা দেয় না। তুমি হয়তো দেখোই নাই কত্তগুলা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
নীল- ঠেঙ্গা…..! (বলে যায়)
অভ্র- এই ব্যাপার। বলেই পেছনে হাঁটতে থাকে।
নীল সামনের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তানজু আর তানিয়ার কাছে চলে আসে।
তানজু- কিরে এত রেগে আছিস কেন?
তানিয়া- বিয়ে বাড়ি আনন্দ করবি তা না করে মুখ বাংলার পাঁচ এর মতো করে রাখছিস কেন?
নীল- আর বলিস না ওই লুচ্চা টা মিথ্যা বলে আমার পেছন পেছন ঘুরছিলো!
তানজু- কোন লুচ্চা?
নীল- কে আবার অভ্র,, বলে কি না আমার দিকে ছেলেরা তাকিয়ে আছে।
তানিয়া- বিশ্বাস না হলে ওই দিকে দেখ সত্যিই তাকিয়ে আছে।
নীল- বয়েই গেছে আমার দেখতে।
তানজু- ঠিক বলছিস তুই নীল। সত্যিই লুচ্চা…
নীল- মানে?
তানিয়া- তোর অভ্র ওই দিকে মেয়েদের সাথে ফ্লাট করছে।
নীল- কিহহহ। বলেই পেছনে ঘুরে তাকায় অভ্রকে চারটা মেয়ের সাথে দাঁড়িয়ে হেঁসে হেঁসে কথা বলতে দেখে নীল রেগে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে…!
একটা মেয়ে তো ইচ্ছে করে অভ্রর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে।
নীল- ওই মেয়েকে তো আমি…..
তানজু- কি করবি? আর কেনোই বা করবি তুই তো অভ্রকে ভালোবাসিস না।
তানিয়া- Are you Jealous? (তানজুকে চোখ মেরে)
নীল- আমি কেন jealous হতে যাবো?
যা ইচ্ছা করুন তাতে আমার কি?
তানজু- দেখ দেখ ওই মেয়েটা অভ্রর হাত ধরেছে।
নীল- ওই মেয়েকে তো আজ আমি….! (বলেই হাঁটা শুরু করলো)
তানজু- চল চল জমবে মজা!
তানিয়া- দিলি তো রাগিয়ে এবার ওকে কে সামলাবে?
তানজু- আরে কিচ্ছু হবে না চল।
নীল এসে মেয়েটার হাত অভ্রর হাত থেকে সরিয়ে দিলো। তোমার সাহস তো কম না তুমি ওকে টাচ করেছো?
মেয়ে- সাহসের কি দেখছিস? আর তুই কে এই কথা বলার? তুই জানিস আমি কে? এই বলে মেয়েটা অভ্রকে জরিয়ে ধরতে নিলো…..
নীল- এত্তবড় সাহস আমাকে তুই করে বলছিস?
নীল মেয়েটার হাত ধরে টেনে নিজের দিকে ঘুরিয়ে….
ঠাসসসসস দিলো এক থাপ্পড় মেয়েটা থাপ্পড় খেয়ে নিচে পরে গেলো।
নীল- তুই জানিস আমি কে? আর তুই কোন সাহসে আমার স্বামীকে টাচ করিস…! নেক্সট টাইম ১০০হাত দূরে থাকবি আর নয়তো এখানেই পুঁতে রেখে দিবো!
অন্য একটা মেয়ে নীল এর দিকে এগিয়ে আসছে নীলকে চড় মারার জন্য নীল উল্টো মেয়েটার হাত ধরে মেয়েটাকে কষিয়ে চড় মেরে ওই মেয়েটার মতো একেও নিচে ফেলে দেয় বাকি দু’জনের দিকে নীল ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই তারা আমরা কিছু জানি না বলে কেটে পরে।
নীল এর এমন রূপ দেখে অনেক শকট অভ্র শুভ আকাশ….
কারণ নীল এর এমন রূপের সাথে আজ প্রথম পরিচয় হয়েছে এর আগে একবার অভ্র অবশ্য থাপ্পড় খেয়েছিলো কিন্তু ওর যে এমন রূপ আছে তা জানা ছিলো না।
নীল কোনো দিকে না তাকিয়ে ওখান থেকে চলে এলো…
তানজু- তুই এটা কেন করলি?
তানিয়া- মেয়ে দু’টোর না জানি কত লেগেছে রে..!
নীল- আয় তোরে মাইরা বুঝাই কত লাগছে।
তানিয়া গালে হাত দিয়ে….
তানিয়া- না থাক আমার বাবা অত শখ নাই…!
ওইদিকে কাজী চলে আসে…..
বিয়েও পরানো হয়ে গেছে..!
এখন বিদায়….!
কাজল- ওরে মা গো ওরে আব্বা গো আমি কেমনে থাকমু গো ওরে আল্লাহ গো তোমাগো ছাড়া গো জরিয়ে ধরে কাঁদছে আর চিল্লাচ্ছে জেনো মাইক ফেইল।
সবাই কাজলকে সান্ত্বনা দিচ্ছে. কাজল হেঁটে নীল তানজু তানিয়ার সামনে এসে ওদের জরিয়ে ধরে।
কাজল- ওরে আমাল কলিজ্জার বান্দরনী গুলারে তোদের চারা তাকমু কেমনে রে.!
তানজু- আরে চুপ থাক কত্তো গুলা ভুল বলছিস?
কাজল- ওই আর কি ইমোশনাল হইয়া কইয়া লাইছি।
তানিয়া- দেখ দেখ তোর চোখের নিচে মেক-আপ নষ্ট হইয়া গেছে।
কাজল- কোই কোই।
তানিয়া তানজু নীল কাজলের কোই কোই শুনে হাসছে।
নীল- তুই এভাবে কানতাছিস কেন যেভাবে চিল্লাচ্ছিস মনে হচ্ছে বিয়া বাড়ি না মরা বাড়ি।
কাজল- তুই কি বুঝবি তোর সময় তো তোর চোখ দিয়া এক ফোঁটা পানিও বের হয় নাই…!

নীল- তার মানে কি তুই এইসব লোক দেখানোর জন্য কাঁদছিস চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে যাতে সবাই পরে বলে তুই অনেক কান্না করছিস?
কাজল- হয় হয়… এইসব কথা জরে কইতে নাই আসতে কো…! বলতেই চারজন চারজনকে জরিয়ে ধরলো আর চারজনের চোখ দিয়েই এখন আসল পানি বের হচ্ছে… বান্ধবীদের বিচ্ছেদের কান্না..!
কিছুক্ষণ পর সবাই মিলে কাজল কে বরের গাড়িতে উঠিয়ে দেয়। গাড়িও চলতে শুরু করে।
এদিকে অনেক রাত হয়ে গেছে। প্রায় সাড়ে ১১টা বাজে….!
সবাই কাজলের মা বাবাকে বিদায় দিয়ে জানিয়ে বেরিয়ে পরলো।
ঠিক ১২টায় এসে পৌঁছায় অভ্র নীল….
চৌধুরী হাউজ কলিংবেল বাজাতেই একজন সার্ভেন্ট এসে দরজা খুলে দেয়…!

রুমে__ ফ্রেশ হয়ে নিজেদের জায়গাতে শুয়ে পরে।
অভ্র সোফাতে নীল বেডে….!
নীল অভ্রর শোয়া দেখেই বুঝতে পারছে অভ্রর অসুবিধা হচ্ছে সোফায় শুতে বা হয়…!
কিন্তু কিচ্ছু করার নেই অভ্রর সাথে এক বেডে শুতে রাজি নয় নীল।
নীল অন্য দিকে ঘুরে শুয়ে ঘুমিয়ে পরে।
অভ্র ও কিছুক্ষণ এদিক সেদিক করে ঘুমিয়ে পরে।

পরেরদিন থেকে সেই আগের নিয়মে চলছে ওদের জীবন। নীলকে কলেজ ড্রপ করা পিক করা বাস এই সব….!

৩দিন পর…….বিকেলে….!
চৌধুরী হাউজ……!

মিসেস চৌধুরী কিচেনে স্ন্যাকস বানাচ্ছে। পুরো বাড়ি সুগন্ধে মো মো করছে….!
নীল ও তোয়া উপর থেকে সুগন্ধ পেয়ে দৌঁড়ে নীচে নামে.!
তোয়া নীল দৌঁড়ে কিচেনে যায়।
নীল- কি বানাচ্ছো আম্মু কি সুন্দর সুগন্ধ বের হয়েছে.!
তোয়া- আম্মুর স্পেশাল স্ন্যাকস.! হুমমম
মিসেস চৌধুরী- তোরা হল রুমে গিয়ে তোদের বাবার সাথে বস এই তো হয়ে গেছে আমি একটু পরই নিয়ে আসছি।
তোয়া, নীল- ওকে….!
বলেই চলে আসে আর হল রুমে সোফায় বসে গল্প করছে।
কিছুক্ষণ পর মিসেস চৌধুরী স্ন্যাকস নিয়ে আসেন।
সবাই এক সাথে বসে খাচ্ছে…!
সবাই খাবারের প্রশংসা করছে।
মিসেস চৌধুরী- অভ্র টা যে সেই সকালে গেলো এখন পর্যন্ত এলো না।
বলতে বলতে কলিংবেল বাজে। সার্ভেন্ট গিয়ে দরজা খুলে দেয়। অভ্র হল রুমে এসে দেখে সবাই এখানেই আছে তো সবার কাছে গিয়ে বসলো আর বললো ইমপোর্টেন্ট কথা বলার আছে।
মিসেস চৌধুরী- পরে বলিস আগে খেয়ে নে।
অভ্র- মা কথা বলা টা ইমপোর্টেন্ট বেশি।
মিসেস চৌধুরী- খাওয়া টাও ইমপোর্টেন্ট…!
অভ্র- আচ্ছা দাও,,, না খেলে তো আবার ছাড়বে না।

১০ মিনিট পর……

মিস্টার চৌধুরী- কি বলবি বল….
অভ্র- লন্ডনে কোম্পানির অফিসিয়াল কাজের জন্য আমাকে কালকেই লন্ডন যেতে হবে। আমি এখন সব ব্যবস্থা করে আসছি কাল ভোরের ফ্লাইটে আমি চলে যাবো।
মিসেস চৌধুরী- ২মাস হলো মাত্র এলি আবার চলে যাবি?
তোয়া- তোকে যেতেই হবে ভাইয়া?
অভ্র- হেরে বোন যেতেই হবে।
মিসেস চৌধুরী- ঠিক আছে যেতে যখন হবেই একটা শর্তেই যেতে পারবি।
অভ্র- আবার কি শর্ত মা?
মিসেস চৌধুরী- যাবি কিন্তু একা যেতে পারবি না আগে একা ছিলি তাই যেখানে ইচ্ছা যেখানে একা একা চলে গেছিস। এখন বিয়ে করছিস তো নীলকে সাথে নিয়ে যাবি নীল যাবে তোর সাথে।
অভ্র- নিশ্চুপ। হয়ে ওর মা’র দিকে তাকিয়ে আছে।
মিস্টার চৌধুরী- তোর মা ঠিক বলছে! নীলকে সাথে নিয়ে যা আর বিয়ের পর তো তোরা কোথাও যাস ও নি এই সুযোগে ঘুরেও আসতে পারবি।
নীল- কিহহহ আমি? (অবাক হয়ে)
মিসেস চৌধুরী- হ্যাঁ তুই।
তোয়া- হাউ রোমান্টিক!
নীল- না না আমি যাবো না! ( সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পরে)
মিসেস চৌধুরী- কেনো যাবি না?
মিস্টার চৌধুরী- কেনো রে মা?
নীল- আমি ওর সাথে কোথাও যাবো না আমি ওর সাথে গেলে ও আমাকে নিয়ে বিক্রি করে দেব!
অভ্র- হোয়াট…..? Are you Crazy? কি বলছো কি তুমি? যতসব ননসেন্স কথা বার্তা বলছো।
মিস্টার চৌধুরী- কি বলছিস কি তুই মা ভেবে বলছিস তো?
মিসেস চৌধুরী- কি বলছিস কি তুই?
তোয়া- ভাইয়া তোমাকে বিক্রি করবে কেন? আর কার কাছেই করবে?
নীল- আমি অতশত জানি না! আমি মুভিতে দেখেছি বুলিয়ে বালিয়ে অন্য শহরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয়। না বাবা আমি কিছুতেই যাবো না।
অভ্র- কি সব যঘণ্য কথা আমি নাকি আমার বউকে বিক্রি করে দেবো। যেতে হবে না থাকো এখানেই।
বলে অভ্র চলে গেলো সিড়ি বেয়ে।
মিসেস চৌধুরী মিস্টার চৌধুরী তোয়া- নীল এর দিকে তাকিয়ে আছে। নীল বেচারী অন্য দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে।
মনে মনে তো খুশিতে লাড্ডু ফুটছে…!
এটা ভেবে যে কিছুদিন তো শান্তিতে থাকতে পারবে।

রাতে……..

রুমে আসতেই……
অভ্র তোমার ফোনটা দাও তো..!
নীল- কেন আমার ফোন আপনাকে দেবো কেন?
আপনার তো ফোন আছেই!
অভ্র এত কথা কেনো বলো দাও তো ফোনটা।
নীল- কি করবেন আগে বলেন। তারপর দিবো কি না ভাববো!
অভ্র- তোমার নতুন ফোনে আমার নাম্বার নেই সেটাই সেভ করে দেবো। (কাজলের বিয়েতে নীল এর ফোন চুরি হয়ে যায় পরেই নিউ ফোন)
নীল- নাম্বার বলেন আমি নিজেই সেভ করে নিচ্ছি.!
অভ্র- দিতে বলছি। বলেই ছো মরে হাত থেকে ফোনটা নিয়ে নেয়।
নীল- কি হলো এটা?
অভ্র- ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ফোনে নাম্বার কলিজা দিয়া সেভ করে দিলো!
অভ্র নীল এর হাতে ফোন গুঁজে দিয়ে বললো।
অভ্র- আমি তোমার কলের জন্য অপেক্ষা করবো আমি তোমাকে সেদিনই কল দেবো যেদিন তুমি আগে আমাকে কল দিবে।
নীল- আমি আপনাকে কখনোই কল দেবো না, যদিও কোনোদিন দেই তাহলে বুঝবেন সেদিন হয়তো কোনো বিপদে পরে দিয়েছি।
অভ্র আর কিছু না বলে সেড ফেস করে সোফায় গিয়ে শুয়ে পড়লো.!
নীল- দেখি তো কি নামে সেভ করছে.! (মুখ ভেংচি দিয়ে)
নীল- ইশশশশ কিসের কলিজা ও কি আমার কলিজা নাকি নাম চেঞ্জ… বলেই নাম ক্লিয়ার করে মিস্টার উগান্ডা দিয়া সেভ করে দেয়!
নীল- এবার পারফেক্ট আছে। বলেই শুয়ে পরে পরেরদিন সকালে….!
অভ্র রেডি হয়ে লাগেজ নিয়ে হল রুমে চলে আসে।
সবাই অভ্রকে ছাড়তে এয়ারপোর্ট যাবে….!
সবার খারাপ লাগছে শুধু নীল মহা খুশি।
সবাই গাড়িতে উঠে বসে গাড়ি চলছে উদ্দেশ্য এয়ারপোর্ট…!
নীল- ইশশ একটু পর থেকেই আমি স্বাধীন।
অভ্র- নীল একবার বলো প্লিজ তুমি বললে আমি কোথাও যাবো না। শুধু একবার বলো।
এয়ারপোর্টে এসে গাড়ি থেকে নেমে অভ্র সবাইকে জরিয়ে ধরে বিদায় নিলো। শুধু নীল এর সামনে গিয়ে আসি বলে হাঁটা শুরু করলো।
অভ্র এয়ারপোর্টের ভেতরে প্রবেশ করবে।
নীল এতক্ষণ নিজেকে ঠিক রাখতে পারলেও এখন আর নিজেকে সামলানো সম্ভব হচ্ছে না।
নীল এর কেনো জেনো খুব কষ্ট হচ্ছে চোখের কার্ণিশ ভেয়ে এক ফোঁটা পানি গাল বেয়ে নিচে পরে গেলো।
যেখানে নীল এর খুশি হওয়ার কথা সেখানে নীল কষ্ঠ পাচ্ছে…!
অভ্র ভেতরে চলে গেলে সবাি গাড়িতে উঠে বসে।
নীল এর এখন প্রচুর কষ্ট হচ্ছে আপন কাউকে হারানোর। ইচ্ছে করছে চিল্লিয়ে কাঁদতে কিন্তু কেনো প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই!

চৌধুরী হাউজ…

যে রুমে অভ্র চলে গেলে শান্তিতে থাকবে বলেছিলো এখন সে রুমেই থাকতে অশান্তি লাগছে শুন্য লাগছে ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।

নীল রুমে থাকতে পারে না শুধু সোফার দিকে চোখ পরে ওখানেই তো অভ্র থাকতো…!

নীল উঠে সাথে সাথেই রুম ত্যাগ করে। গিয়ে তোয়ার রুমে নক করে। কয়েকদিন ওর সাথেই থাকবে বলে তোয়াও খুশি হয়ে যায়।
নীল এর কোনো কিছুতেই শান্তি মিলে না।

পরেরদিন কলেজে গিয়েও বান্ধবীদের সাথে সময় কাটিয়েও শান্তি পায় না। আজ দেড় মাস পর নীলকে ড্রাইবার কলেজে ড্রপ করে দেয়।
নীল এর জেনো অভ্যেস হয়েগিয়েছে অভ্রর ওকে কলেজ ড্রপ করা পিক করা কিন্তু আজ কলেজে আসার সময় অনেক কষ্ট হয় অনেক মিস করে অভ্রকে।

কলেজ শেস হতে নীল তানজু তানিয়া কাজল একটা ক্যাফে তে আসে…

নীল কে মন মরা দেখে কারণ জিজ্ঞেস করে সবাই।
নীল- প্রতিউত্তরে সব কিছু বলে।
তানজু- এত যখন মনে পড়ছে কল দিলেই তো হয়।
তানিয়া- আমার মনে হয় তুই ওকে ভালোবেসে ফেলছিস!
কাজল- I Agree…. আমারও তাই মনে হচ্ছে নীল অভ্র ভাইয়ার প্রেমে পরে গেছে।
নীল- তোদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সেইরকম কিচ্ছু না আমার ভাল্লাগছে না আমি গেলাম।
এক প্রকার রাগ দেখিয়ে ক্যাফে থেকে বেরিয়ে আসে।
তানিয়া- যাহ বাবা কি বললাম যা সত্য যা ওকে দেখে মনে হচ্ছে তাই তো বললাম।
কাজল- ওকে যা দেখবে সেই বলবে ও অভ্রর প্রেমে পরেগেছে আর উনি মানতে রাজি নন।
তানজু- চোপ কর তোরা আমরা বললেই তো হবে না। নীল যে অভ্রকে ভালোবাসে সেটা নীলকে ফিল করতে হবে তার পরেই নীল বুঝতে পারবে। খুব তারাতাড়ি বুঝে যাবে। আর এই বিষয়ে ওকে কেউ কিছু বলিস না চল এখন আমরা উঠি….!

চৌধুরী হাউজ…!

অভ্র চলে যাওয়ার পর থেকে নীল এর কোনো কিছুতেই ভালো লাগে না নীল এখন আর কলেজ ও যায় না। সাদের এক কোণে গিয়ে বসে থাকে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া ও করে না।
অভ্র দিনে একবার হলেও কল দিয়ে সবার খোঁজ নেয়। সবার কাছ থেকে নীল এর ও খোঁজখবর নেয় কিন্তু নীলকে কল দেয় না। নীল এর খুব কষ্ট হয় যখন সবার সাথে কথা বলে কিন্তু ওর সাথে বলে না। নীল এর সাথে কথা বলতে বলতেই অভ্র কাজের বাহানা দিয়ে কল কেটে দেয় তখন তো আরও কষ্ট হয়।

নীল এর এভাবে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখতে কারোই ভালো লাগছে না। কিন্তু কি করবে অভ্র যে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসতে পারবে না।
তোয়া নীল এর সব খবর অভ্র কে জানাতো।

একদিন বিকেল বেলায় সবাই হল রুমে বসে আছে।

আড্ডা দিতেছে…! মিস্টার চৌধুরী অফিস থেকে বাড়ি ফিরছেন অমন টাইমেই অভ্রর কল আসে।
মিস্টার চৌধুরী কল রিসিভ করতেই অভ্র কি জেনো বলল ওপাশ থেকে।
মিস্টার রাজ৷ চৌধুরী ও ছেলের কথায় সাই দেয় পরে কল কেটে দেয়।

মিস্টার চৌধুরী বাড়ি এসে দেখে…. সবাই হল রুমেই আছে।
নীল একটু আগেই উপরে গেছে।
মিস্টার চৌধুরী সোফায় বসলেন। পরে বললেন।
নীল কে এভাবে আমি দেখতে পারছি না আমাদের ওর মন ভালো করার জন্য কিছু করা উচিত।
মিসেস চৌধুরী- ঠিক বলেছো।
তোয়া- কি করবা আব্বু…?
মিস্টার চৌধুরী- চলো আমরা সবাই আমাদের ফার্ম হাউজ থেকে ২দিনের জন্য ঘুরে আসি আর ৩ দিন তো অভ্র আসছেই….!
তোয়া- অনেক মজা হবে।
মিসেস চৌধুরী- কখন যাবে?
মিস্টার চৌধুরী- এখনই চলো যেতে যখন হবেই লেট করে তো আর লাভ নাই….!
তোয়া- আমি ভাবিকে গিয়ে বলছি রেডি হতে।

কিছুক্ষণ পর সবাই রেডি হয়ে বেরিয়ে পরে।
নীল- আব্বু আমরা কোথায় যাচ্ছি আর কেনো যাচ্ছি ওখানে….!
মিসেস চৌধুরী- গেলেই দেখতে পারবি।
মিস্টার চৌধুরী- আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানে তোমার মন ভালো হয়ে যাবে।
তোয়া- খুব সুন্দর জায়গা।
নীল আর কিছু না বলে জনালার বাহিরে তাকিয়ে রইল…!

১ দেড় ঘন্টা পর পৌঁছে যায়।।

সবাই গাড়ি থেকে নেমে পরে।
নীল- এখানে কেনো নামলে তোমরা?
মিস্টার চৌধুরী- এখানে দেখার জন্য অনেক সুন্দর জায়গা আছে আর অনেক পশুপাখি ও আছে।
মিসেস চৌধুরী- আর একটু সামনে আমাদের ফার্ম হাউজ,, সেখানে যাওয়ার আগে তোরা একটু ঘুরে দেখ।
তোয়া- ভাবি এখানে সাদা ও কালারফুল ময়ূর ও আছে।
নীল- কিহহ সত্যি? (এক্সাইটেড হয়ে) নীল ময়ূর অনেক পছন্দ করে আমার মতো….!
চলো গিয়ে দেখি….
তোয়া- চলো।
মিস্টার ও মিসেস চৌধুরী- সাবধানে যাস।
দু’জনেই হাতে হাত রেখে ধরে হাঁটছে…….!
.
.
.

কিছু কথা…….★★★

এই গল্পের ২৪ পর্ব আমার ডায়েরিতে লেখা ছিলো তাই গল্পের ২৪ পর্ব পর্যন্ত সব ঠিক থাকবে। পরেরপর্ব গুলো আমি ডাইরেক্ট ফেসবুকে লিখে পোস্ট দেই আইডি নষ্ট হওয়ার জন্য পরের পর্ব গুলো আর ডায়েরিতে লেখা হয় না। তাই ২৫ পর্ব থেকে গল্প একটু অন্যরকম হতে পারে,, কোথাও কম মনে হলে বা কোনো লাইন বাধ গেলে কিছু করার নাই আমি যতটুকু মনে করতে পারছি যতটুকুর মধ্যেই লেখার চেষ্টা করছি। আশা করি আগের মতোই আপনাদের ভালোবাসা পাবো…..।
.
.
.
#চলবে …..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here