#অভ্র_নীল #পর্ব_০১

0
3311

#অভ্র_নীল
#পর্ব_০১
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা

নীল. নীল তুমি এখনো ঘুমাচ্ছো তাড়াতাড়ি উঠো আম্মু তোমার কলেজে লেট হয়ে যাবে।
এই মেয়েকে নিয়ে যে কি করি নীল উঠো সারারাত মোবাইল টিপবে আর সকালে আমার জান শেষ ডাকতে ডাকতে।
দাঁড়াও আমিও তোমার মা কিভাবে উঠাতে হয়
আমি খুব ভালো করেই জানি
ঠুস।

নীল– মা প্লিজ ফ্যানটা কেনো বন্ধ করছো অন করো আমার গরম লাগছে তো

তুমি কলেজে যাবে না তোমার লেট হয়ে যাচ্ছে তো

নীল- লেট কিসের লেট কয়টা বাজে ফোনটা হাতে নিয়ে, মাহহহহ

সাড়ে ৯টা বাজে আর তুমি আমাকে এখন ডাকছো আমাকে তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে গেলো ফ্রেশ হতে রেডি হয়ে সোজা দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসলো।
নীল — মা আমি গেলাম পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ( উম্মমমমমমাহ)
নীল কিছু তো খেয়ে যা আম্মু
না মা অনেক লেট হয়ে গেছে আসছি।

নীল– বাড়ির বাহিরে এসে কামাল আঙ্কেল (গাড়ির ড্রাইবার এর নাম কামাল নীল তাকে আঙ্কেল বলে) আঙ্কেল ঝড়েরবেগে আমাকে কলেজে পৌঁছে দেন প্লিজ

গাড়ি চলছে কলেজের দিকে নীল ভয়ে শেষ আজকে স্যার কাচ্চা খেয়ে ফেলবে আমাকে

(নীল কলেজে যেতে যেতে আমরা ওর পরিচয় জেনে নেই… নীল এর বাবা হচ্ছে এই শহরের একজন মস্ত বড় Business Man রায়হান সরকার। আর নীল হচ্ছে রায়হান সরকার এর একমাত্র মেয়ে হ্যাঁ মেয়ে আপনারা ঠিকই পড়ছেন মেয়ে নীলের পুরো নাম,,
” নীলাঞ্জনা নীল ” সবাই ভালোবেসে ওকে নীল বলেই ডাকে নীল হচ্ছে আমাদের গল্পের নায়িকা দেখতে মাসা আল্লাহ খুব সুন্দর প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যাবে সবাই) মূল গল্পে ফিরে আসা যাক।

নীল কলেজে চলে এসেছে গাড়ি থেকে নেমে কামাল আঙ্কেলকে একটা Thank You বলে নীল কলেজের ভিতরে ঢুকলো নীল আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই তার মানে কি ক্লাস স্টার্ট হয়ে গেছে
আল্লাহ আজকে আমি শেষ বলে দিলো এক দৌঁড়
ক্লাসের সামনে গিয়ে হাঁপাতে থাকে
ক্লাসের মধ্যে উঁকি দিয়ে দেখে স্যার ক্লাসে নেই নীল তো মহা খুশি ডুকে গেলো ক্লাসে

স্যার– পিছন থেকে মিস নীলাঞ্জনা আপনি আজকেও লেট করে আসছেন

নীল– না স্যার আপনি ক্লাসে আসছিলেন না তাই আমি আপনাকে ডাকতে যাচ্ছিলাম

স্যার– ওওও, আপনি ব্যাগ নিয়ে আমাকে ডাকতে যাচ্ছিলেন..

নীল– এই মরেছে হ্যাঁ স্যার না মানে না স্যার আসলে স্যার হইছে কি স্যার

স্যার– এই লাস্ট টাইম নীলাঞ্জনা সেকেন্ড টাইম আমি কি আর ক্ষমা করবো না প্রিন্সিপাল স্যার এর কাছে তোমার নামে নালিশ করবো বুঝেছো

নীল– জি হ্যাঁ স্যার বুঝেছি

স্যার– যাও গিয়ে সিটে গিয়ে বসো এখনো এখানেই দাঁড়িয়ে আছো

(নীল চুপ করে চলে গেলো)
এক এক করে সব ক্লাস শেষ হলো,
তানজুম– চল সবাই মিলে আজকে কফি খেতে যাই কফি শপে
তানিয়া– হ্যাঁ চল
কাজল– আগে নীল কে জিজ্ঞেস কর মহারাণী যাবেন কি না. ওনার তো আমাদের সাথে যেতে ইচ্ছে করে না সারাদিন বইয়ের মধ্যে মুখ গুজে বসে থাকে..
সবাই মিলে নীল চল না প্লিজ
নীল– ওকে চল
সবাই হাঁটতে হাঁটতে একটা কফি শপে ডুকলো,,,
সবাই একটা টেবিলে গিয়ে বসলো।।
নীল বলে উঠে তোরা বস আমি কফি নিয়ে আসি
তানজুম– তোর যেতে হবে না নীল চলে গেলো

নীল ৪টি কফি নিয়ে আসতে যাবে আর তখনি

একটা ছেলের সাথে ধাক্কা লেগে যায় আর নীলের কফি সব ছেলে শার্ট খেয়ে ফেলে ৪টা কফি একটা ছেলের শার্ট খেয়ে ফেললো এটা কোনো কথা

নীল নিচের দিকে তাকিয়ে — আপনি কি চোখে দেখেন না নাকি চোখ কি বাসায় রেখে চলাফেরা করেন নাকি আজব আমার সব গুলো কফি ফেলে দিলেন

ছেলে– সরি মিস আমি খেয়াল করিনি আমি Actually ফোন এ কথা বলছিলাম,,, আমি আবার নতুন করে আপনার কফি অর্ডার করে দিচ্ছি,,,,

নীল — আপনার কি আমাকে ভিখারি মনে হচ্ছে নাকি যে আপনি কফি দিলেই নেবো ( রাগে গজগজ করছে নীল)

ছেলেটা একটু রেগে নীলের দিকে ঝুকে গেলে নীলের চেহারা দেখার জন্য নীল এখনো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।

ছেলেটা নীল কে দেখার পর হা হয়ে তাকিয়ে আছে যাকে বলে প্রথম দেখায় ভালোবাসা

তানিয়া– কি হয়েছে রে নীল তুই কার সাথে ঝগড়া করছিস,, আর কফি পরলো কিভাবে

নিলা– উনি ফেলেছেন বলে চলে যায়।

তানিয়া– ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে কি Handsome ছেলে ( মনে মনে বলতে চলে যায়)।

ছেলেটা ভাবে— ওর নাম তাহলে নীল

ভাবনার সাগরে ডুবে থাকে তখনি আকাশ এর ডাকে তার ধ্যান ভাঙে..

আকাশ — অভ্র এইদিকে আয় আমরা এখানে আছি..
অভ্র — হা আসছি

আকাশ আর শুভ মুচকি মুচকি হেসে অভ্র কে বললো
কিরে ভাই কি হলো এটা এখনি হুহহহ ব্যাপার কি প্রথম দেখায় কুছকুছ হতা হে

অভ্র — তোরা চুপ করবি…

অভ্র নীল কে দেখছে আর কফি মগে চুমুক দিচ্ছে,,,?
কিন্তু নীল এখনো অভ্র কে একবারও দেখে নি আর ওর দিকে তাকায়নি কিন্তু তানিয়া অনেকবার তাকিয়েছে,,,

নীল আর ওর বন্ধুরা কফি শপ থেকে বেরিয়া রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগলো আর হঠাৎই তানিয়া বলে উঠলো যাই বলিস না কেনো ছেলেটা কিন্তু বেশ Handsome Cute ও

তানজুম– ওই তোর লজ্জা করে না অন্য ছেলেদের উপর নজর দিস তোর না বয়ফ্রেন্ড আছে,,,

কাজল– নীল ছেলেটা সরি বলে ছিলো তো তারপরেও রেগে আছিস তুই তুই এটা বলতো তুই কোনো ছেলের সাথে কথা কেনো বলিস না আর তাদের দেখতেই বা পারিস না কেনো ?

নীল– সব ছেলেরা এক রকমই হয়,,,
শুরুতে ভাব দেখাবে পরে নিজেদের আসল রুপ দেখায় চলে যায় আর তোরা তো জানিস আমি ছেলেদের পছন্দ করি না আর তাদের সাথে বলবো কখনো না!

কাল কলেজে দেখা হবে,,
নীল ওদের আর কিছু বলতে দিলে না এই বলে গাড়িতে উঠে চলে আসে,,,!

ওইদিকে কফি শপে অভ্র নেক্সট পার্ট এ বলবো হিহিহি
.
.
চলবে….???

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here