#অভ্র_নীল সিজন_০২ #পর্ব_১৮
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা (লেখিকা)
ভোর হয়েছে সূর্যি মামা উদয় হয়েছেন। পাখিদের কিচিরমিচির ডাকাডাকি শুরু হয়েছে এই সময় সবাই ঘুমাচ্ছে। গ্রামের লোকেরা সবাই সূর্যর আলো ফোঁটার সাথে সাথেই ঘুম থেকে উঠে কিন্তু আজকের বিষয়টা একটু আলাদা দুইদিনে সবাই অনেক ক্লান্ত হয়ে পরেছে বিয়ে বলে কথা ছিল অনেক দখল গিয়েছে সবার অপর দিয়ে তাছাড়া কাল অনেক রাত পর্যন্ত সবাই জেগে ছিল।
হঠাৎ পুরো বাড়িতে চেচামেচি শুরু হয়ে যায়। সবাই হন্ন হয়ে বাড়ির উঠানে চলে আসে। এভাবে চিল্লা চিল্লির কারণ জানতে চায়। হাঁপাতে হাঁপাতে ধম ফেলছে বুকের উপর হাত রেখে চাপ দিয়ে ধরে বলে উঠল..
তানজু- নীল..
অভ্র- কি হয়েছে নীল এর?
কাজল- তানজু তুই এত হাঁপাচ্ছিস কেন?
তানিয়া- কি হয়েছে বলবি তো নাকি?
আকাশ- তানজু প্লিজ কাম ডাউন এত টা হাইপার হওয়া শরীরের জন্য ভালো না।
তানজু- নীল নীলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!
সবাই এক সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিল নীলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না শুনে সবাই এক সাথে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায় আর তানজুর উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে মারল।
অভ্র- খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মানে কি?
তানিয়া- কোথায় যাবে ও?
কাজল- তুই ভালো করে দেখেছিস ছাঁদে বাড়ির পত্যেকটা রুম বাড়ির পেছনে পুকুর ঘাটে দেখেছিস আশেপাশে কোথাও দেখছিস?
আকাশ- আশে পাশেই আছে হয়তো চলো সবাই খুঁজে দেখি!
শুভ- আকাশ ঠিক বলেছে আমাদের খুঁজে দেখা উচিত!
তন্ময়- আমি আর কাজল পুকুর ঘাটের দিকে যাচ্ছি তোমরা একেক জন একেক জায়গায় গিয়ে দেখো আশেপাশেই ঘুরছে হয়তো ঠিক আছে।
পুরো ১ঘন্টা খুঁজলো কিন্তু নীল এর কোনো হদিস পেলো না। সব জায়গায় খুঁজে সবাই বাড়ির সামনে আম গাছের নিচে এসে দাঁড়াল। সবার মুখ চুপসে গেছে একেক জনের দিকে নিরাশ হয়ে তাকিয়ে আছে এমন সময় অভ্র কিছু একটা ভেবে এক পা পেছালো। তারপর ঘুরে বাড়ির দিকে দৌঁড় দিলো সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল হঠাৎ দৌঁড় কেনো দিলো সবাই নিজেদের দিকে একবার তাকিয়ে তারাও দৌঁড় দিলো। অভ্র রুমের মধ্যে দরজা ঠেলে ঢুকে পরল। রুমের মধ্যে ছুটে আলমারির সামনে যায়। আলমারির মধ্যে নীল এর কোনো জামা কাপড় নেই ব্যাগ ও নেই কোনো কিছুই নেই। আলমারি দরজা ঠাসস করে লাগিয়ে দিলো এদিক সেদিক চোখ বুলাতেই টেবিলের উপর চোখ পরল। দুই ভাজ করে একটা চিরকুট বইয়ের মধ্যে রেখে অনেকটা বাহির করে রাখা আছে। এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বইয়ের ভেতর থেকে চিরকুট টা হাতে নিলো। মেলে দেখল তা তে লেখা।
নীল- আমার সাথে এমন ফালতু মজা করে তোরা কেউ ঠিক করিসনি আমি শহরে ফিরে যাচ্ছি আমাকে খুঁজিস না। আমি এখানে থাকলে আমার তোদের ঘাঁটিয়া মজার কথা বারবার মনে পরবে তাই তোদের ঘুমে রেখেই চলে যাচ্ছি।
চিরকুট টা হাতের মধ্যে দুমড়েমুচড়ে ধরল। সোফার উপর বসে পরল। চোখ মুখ খুবই ভয়ংকর লাগছে অতিরিক্ত রাগ হলে যা হয়।
অভ্র- এত সাহস হয় কি করে তোমার নীল কাউকে কিছু না বলে গ্রাম থেকে চলে যাওয়ার?
আর কিছু বলার আগে রুমে ওরা সবাই চলে আসল। সবার দিকে অভ্র চিরকুট টা বাড়িয়ে দিলো। আকাশ শব্দ করেই লেখাগুলো পড়ল। বাকিরা কিছুই বুঝলো কোন মজার কথা বলছে নীল। সবাই কাজলকে জিজ্ঞেস করতে কাজল আমতা আমতা করে সবটা সবাইকে বলে তানজু তানিয়া বেশ রেগে যায় কাজলের উপর লাগাতার নীলকে কল দেয় কিন্তু নীল কল রিসিভ করে না। একটা এসএমএস পাঠায়।
– আমি বাড়ি যাচ্ছি চিন্তা করিস না আমি সুস্থ আছি।
সবাই নিরাশ হয়ে বসে আছে। আগামীকাল সবাই শহরে ফিরে যাবে কাজল ওর শশুড় বাড়ি যাবে তন্ময় আর তার বাবা মার সাথে।
দুইদিন পর।
কলেজে সবার সাথে দেখা হলো তানজু তানিয়ার সাথে নীল কথা বলল কিন্তু কাজলের সাথে কথা বলল না এতে কাজলের মনে অনেকটা ক্ষত হলো। বেস্ট যখন ইগনোর করে তখন যে কেমন লাগে সেটা শুধু তারাই বুঝে যারা হয়েছে। ক্লাস শেষে সবাই বাড়ি চলে যায় এভাবেই বেশ কয়েকদিন কেটে গেলো অভ্রর ও কোনো খোঁজ নেই শহরে আসার পর একবারও তার সাথে দেখা করার চেষ্টা করেনি। এদিকে টিভি খুললেই শুধু একটাই খবর একজনের পর একজনের মৃতদের দেহ উদ্ধার হচ্ছে এর পেছনে একজনের হাত রয়েছে তার নাম ” আফরান চৌধুরী ” যাকে কেউ দেখেনি কখনে শুধু তার নামটাই জানে সবাই মাফিয়া গ্যাংস্টার। আন্ডারগ্রাউন্ডের কিং তাকে একবার যে দেখে সে আর বেঁচে থাকতে পারে না হয়তো তাকে মেরে ফেলে আর নয়তো তার দেখার দৃষ্টি শক্তি নিজের হাতে নষ্ট করে দেয়। পুলিশ যতগুলো লাশ উদ্ধার করছে সবগুলোকে খুব খারাপ করে মারা হয়েছে তাদের দেখে চেনার কোনো উপায় রাখেনি। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো এদের সকলকে যে মারা হয়েছে এরা একজনও সাধারণ জনগন নয় সবগুলো কোনো না কোনো গ্যাং এর সাথে জড়িত এদের মারার উপর এদের উপর এদেরকে নিয়ে যত কেস ছিলো সবগুলোর একটা লিস্ট লাশের উপর রাখা হয়েছে এই পর্যন্ত যত কুকীর্তি করেছে সব কিছুর লিস্ট রাখা আছে। এই বিষয়টা পুলিশ দের বেশি ভাবাচ্ছে কোনো ক্লু রাখেনি সব কিছু নষ্ট করে দিয়েছে। টিভি অন করলেই একই নিউজ ” আফরান চৌধুরী আফরান চৌধুরী ” দুইদিন ধরে দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেছে টিভি অফ করে বেলকনিতে চলে গেলো। বেলকনি থেকে নিচে তাকালে দেখতে পেলো অনেকগুলো সাদা বেলুন আর প্রত্যেকটি সাদা বেলুনের মধ্যে নীল বেলুন। জেনো বেলুন গুলো দিয়ে কিছু লেখা আছে। ভালো ভাবে তাকাতে নীল লক্ষ্য করল সাদা বেলুনগুলোর মধ্যে নীল বেলুন গুলো দিয়ে ‘ Sorry ‘ বানানো হয়েছে। কপাল ভাজ করে ভ্রু কুঁচকালো এদিক সেদিক চোখ বুলিয়ে দেখল অভ্র কানে ধরে দাড়িয়ে আছে। এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নীল এর প্রচুর হাসি পেলো কিন্তু নাকের ডগায় রাগ বজায় রেখে মুখ ফুলিয়ে রুমের মধ্যে চলে গেলো। হাসতে হাসতে বিছানার উপর লুটোপুটি খাচ্ছে কি কিউট লাগছিল তখন অভ্র কে দেখতে ইশশ।
_________
রাতে একবার কাজল কল দিয়েছিল। নীল রিসিভ কাজল অনেক কান্নাকাটি করে সরি বলে এখন কি আর রাগ করে থাকা যায় তাই মাফ করে দেয়।
______
কলেজে চার বান্ধবী মিলে অনেক মজা করে। ক্লাস শেষ হলে পাশেই ক্যাফে তে যাবে বলে ঠিক করে। কলেজ গেইটের সামনে এসে দাঁড়াতেই এক বাচ্চা মেয়ে দৌঁড়িয়ে ছুটে আসে নীল এর সামনে হাতে তার এক গুচ্ছ লাল গোলাপ। মেয়েটা নীল এর দিকে বাড়িয়ে দিলো ফুলগুলো দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগছিল তাই নীল হাতে নেয়। ব্যাগ থেকে টাকা বের করতে নিবে মেয়েটা নীলকে থামিয়ে দিয়ে বলে।
ফুলওয়ালী- টাকা লাগবে না আপু। এর দাম ওই ভাইয়া দিয়ে দিছে।
নীল ভ্রু উঁচু করে প্রশ্ন ছুড়ল।
নীল- কোন ভাইয়া?
মেয়েটা পেছনে ঘুরে এক আঙ্গুল দিয়ে একটা ছেলের দিকে তাক করল।
মেয়েটার অন্য হাতে একটা কাগজ ছিলো ওটা নীল এর হাতে গুজে দিয়ে দৌঁড় দিলো। বাচ্চা মেয়েটাকে নীল কয়েকবার ডাকল কিন্তু সে আর দাঁড়ায়নি। কাগজ টা খুলে দেখল লেখা- Sorry…
কাগজের দিকে চোখ রেখে আড়চোখে অভ্রর দিকে তাকালো। ফুল সহ কাগজ টা কলেজের গেইট দিয়ে বের হতে নিবে একটা মেয়ের হাতে ধরিয়ে ওরা হাঁটতে হাঁটতে চলে যায়। মেয়েটা একটু বোকা টাইপের আর ফুল পেলো তো সবাই খুশি হয় সেও খুশি মনে চলে যায়।
ক্যাফে তে বসে গরম কফির মগে চুমুক দিচ্ছে এমন সময় পাশ থেকে বলে উঠল।
অভ্র- বউ মিষ্টি বউ রাগ করে থেকে না প্লিজ।
অগ্নী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বেশ কিছুক্ষণ অভ্রর দিকে তাকিয়ে রইল কফি খাওয়া বাধ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো ক্যাফে থেকে বের হয়ে গেলো। কাজলের কাছ থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে কল দেয় রিসিভ করে না। এসএমএস দেয় সিন করে রিপ্লাই দেয় না হুম এভাবেই চলছে নীল বেশ মজা পাচ্ছে।
প্রতিদিন কলেজের সামনে হাতে থাকে একটা লাল গোলাপ মুখে থাকে একটাি ধ্বনি ‘ Sorry ‘ ফুলটা নিয়ে কখনো পেছনে কখনো বা সামনে এসে কানে হাত দিয়ে বলে। সেদিকে পাত্তা না দিয়ে হেঁটে চলে যায় নীল।
তিন দিন পর…
অভ্র আজও গোলাপ হাতে নিয়ে কলেজ গেইটের সামনে অপেক্ষা করছে। নীল বের হতেই অভ্রকে দেখতে পেলো দেখেও না দেখার ভান করে চলে যেতে নেয়। তখনই অভ্র দৌঁড়ে ছুটে আসে আর নীল এর হাত ধরে নেয়।
নীল- আপনি আমার হাত ধরেছেন কেনো ছাড়েন বলছি।
অভ্র- তুমি আমাকে Avoid করছো নীল?
নীল- হ্যাঁ করছি তো?
অভ্র- তুমি জানো আমি তোমাকে কত ভালোবাসি তবুও তুমি আমাকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছো কেনো?
নীল- আমি আপনাকে ভালোবাসা তো দূরের কথা পছন্দ ও করি না!
অভ্র- ভুল বলছো তুমি নীল! তুমি জানো তুমি আমাকে ভালোবাসো আর সত্যিই যদি তুমি আমাকে পছন্দ না করতে আমি ফাস্ট যেদিন তোমাকে কিস করেছিলাম সেদিন তুমি প্রতিবাদ করতে আর আমার দেওয়া প্রতি ফুল তুমি অন্য কাউকে না দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে তারপরেও যদি বলো তুমি ভালোবাসো না তাহলে ওই মেয়ের থেকে ফুলগুলো তার বাড়িতে গিয়ে নিয়ে আসতে না নীল তুমিও জানো তুমি আমাকে ভালোবাসো তবুও কেনো আমাকে কষ্ট দিচ্ছো?
কি বলল এটা অভ্র? নীল জেনো ওর কানকে বিশ্বাসই করতে পারছে না নীল তার বাড়িতে গিয়ে ফুল নিয়ে আসছে অভ্র কিভাবে জানে মানে কি অভ্র ২৪ঘন্টা ওর উপর ফলো অর্থাৎ নজর রাখে।
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মুখ দিয়ে কোনো বুলি ফুটছে না।
নীল কোনো কিছু না বলে মুখ ঘুরিয়ে চলে চলে নিলে পেছন থেকে অভ্র বলে উঠে…
অভ্র- আমি তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি নীল আমার এই জীবনে যদি তুমি না থাকো তাহলে এই জীবন রেখে কি লাভ..?
অভ্রর কথা শুনে নীল পেছনে ঘুরে তাকালো কিছু বলতে যাবে তখনই পেছন দিয়ে তীব্র গতিতে গাড়ি আসতে দেখল অভ্র রোডের সাইড থেকে রাস্তায় নেমে গেছে কাঁধ থেকে ব্যাগটা ফেলে দেয় ‘ অভ্র ‘ বলে চিৎকার দিয়ে ছুটে যায়।
অভ্রর সামনে গিয়ে হাত ধরে টান দিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে আসে বুকের মধ্যে কয়েকটা কিল ঘুষি দিয়ে বললে থাকে।
নীল- পাগল হয়ে গেছো তুমি রাস্তার মধ্যে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেছো যদি ওই গাড়িটা ধাক্কা মেরে দিতো?
অভ্র নীল এর দু-হাত শক্ত করে ধরে নিজের সামনে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন ছুড়ল।
অভ্র- ধাক্কা দিলে দিতো তাতে তোমার কি তোমার জন্য তো ভালোই হত তুমি তো খুশি হতে আমি মরে গেলে পছন্দ ও তো করো না আমাকে মরে যেতে দাও আমাকে।
নীল এর হাত ছেড়ে চলে যেতে নিবে নীল অভ্রর হাত ধরে টান দিয়ে নিজের দিকে ঘুরিয়ে অভ্রকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে।
নীল- আমি ভালোবাসি তোমাকে অভ্র অনেক ভালোবাসি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি বাঁচব না I love you .. I really do.
মুখে হাসি ফুটিয়ে জরিয়ে ধরল নীলকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু একে দেয়। আবারও বুকের মধ্যে খানের সাথে মিশিয়ে নেয়। রাস্তার অনেকেই ওদের দেখে হাসছে।
সবাই খুশি হয় বন্ধু বান্ধবী রা ট্রিট চায়। সবাই একটা রেস্টুরেন্টে যায়।
সেখানে অনেকটা সময় ব্যয় করে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করে।
তানজু আকাশ প্রকাশ করে ওদের বাড়িতে ওরা ওদের দুজনের কথাই বলেছে আর তারাও সবাই রাজি এখন আগামী মাসেই আমাদের বিয়ে।
অভ্র- তাহলে তো ডাবল সেলিব্রেশন।
_______
রাত প্রায় পনে একটা হঠাৎ কল বেজে উঠল ঘুম ঘুম চোখে কল রিসিভ করল। কানে ফোন লাগিয়ে হ্যালো বলতেই অপর পাশ থেকে কিছু একটা বলল। তার বলা কথাগুলো শুনে মিনিটের মধ্যেই ঘুম উধাও হয়ে যায়। ফোন হাতে নিয়ে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে নামে। রুমের দরজা খুলে ছুটে সবার আড়ালে বাড়ি থেকে লুকিয়ে বের হলো।
বাড়ির সামনে বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অভ্র। নীল ছুটে অভ্রর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো আর বলে উঠল।
নীল- এত রাতে আমার বাড়ির সামনে কি করছো?
অভ্র- তোমাকে কিডন্যাপ করতে আসছি!
নীল- কিহ?
আর কিছু বলার আগেই নীল এর হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে। কোমড়ে হাত দিয়ে বাইকে সামনে বসায়। অভ্র পেছনে বসো বাইক স্টার্ট দেয় রাস্তা ফাঁকা তাই খুব স্পিডে বাইক টানছে নীল ভয় পেয়ে অভ্রর দিকে ঘুরে শক্ত করে ওকে জরিয়ে ধরেছে তাতে অভ্র আরও স্পিডে বাইক টানছে। নীল অভ্রর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে।
নীল- জানপাখি আমার ভয় করছে!
প্রতিউত্তরে অভ্র নীল এর দিকে একটু ঘুরে গালে চুমু দিয়ে দেয়। নীল লজ্জা পেয়ে অভ্রকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে অভ্র হেঁসে বলল এখনও ভয় লাগছে?
নীল মাথা নাড়ালো মানে না তার ভয় লাগছে না।
হঠাৎ বাইক ব্রেক করল। অভ্র নেমে গেলো নীল নামতে নিলে নামতে বারণ করে। নীলকে পাঁজা কোলে তুলে নেয় নীল অভ্রর কাঁধের উপর দিয়ে দু হাত রেখে জরিয়ে ধরে। নীলকে কোলে তুলে নিয়ে অনেকটা দূর চলে যায়। নীলকে কোল থেকে নামিয়ে দিলে সামনে তাকিয়ে নীল চরম অবাক হয় যা নীল কল্পনায় ও ভাবেনি সেটাই করল অভ্র নীল মাথা ঘুরিয়ে অভ্রর দিকে তাকালো অভ্র হেঁসে চোখ টিপ দিলো নীল হেঁসে আবারও সামনে তাকালো। পেছন থেকে নীলকে জরিয়ে ধরে নীলের খোলা চুলে মুখ গুঁজে নাক ঘষতে থাকে।
নীল ঘুরে অভ্রর দিকে তাকালে অভ্র নীলের গালে ঠুসস করে উম্মাহ দিয়ে দেয়। নীল অভ্রর হাত ছাড়িয়ে কিছু সরে গিয়ে বলে উঠে.
নীল- অসভ্য!
অভ্র নীল এর দিকে কিলার স্টাইল লুক নিয়ে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল।
অভ্র- আমি অসভ্য দেখাচ্ছি মজা আমাকে অসভ্য বলা অসভ্যতামি এখনও কিছু করিনি তবে এখন অনেক ইচ্ছে করছে অসভ্যতামি করতে!
নীল- এই নাহহ…!
বলে উল্টো দিকে দিলো দৌঁড়। অভ্রও ছুটল বেশ অনেক দূর দৌড়ে চলে আসল অভ্র এসে নীলকে পেছন থেকে ধরে টান দিলো দু’জনেই এক সাথে মাটিতে পরে গেলো।
একে অপরের দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হাসতে ব্যস্ত হয়ে পরল। দু’জনে সোজা হয়ে শুয়ে হাতে হাত রেখে আকাশের চাঁদ দেখতে লাগল আজ জেনো আকাশটা বেশিই সুন্দর লাগছে চাঁদের পাশে মিটমিটিয়ে তাঁরা গুলো জ্বলছে। প্রিয় মানুষ টার হাতে হাত রেখে এমন মুহুর্ত উপভোগ করতে দারুণ লাগছে।
ঘাসগুলো মাঝে মধ্যে ঘাসগুলো পিঠে গুতো দিচ্ছে তাি দু’জনেই লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। নীল শরীর চুলকাতে চুলকাতে বলল।
নীল- চুলকাচ্ছে তো?
অভ্র- আমি চুলকে দেবো?
নীল- এই না!
অভ্র নীল এর দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে মাঠিতে বসে পরল!
জ্যোৎসনা মাখা চাঁদ তাই সবকিছুই ক্লিয়ার দেখা যাচ্ছে।
অভ্র নীল এর হাত ধরে ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটছে দু’জনের জুতো জোড়া হাতে নিয়ে নেয়।
হেঁটে আবারও আগের জায়গাতে চলে আসে। নীলকে নিয়ে সেখানে গেলো।
খোলা আকাশের নিচে কিছুটা জায়গা খুব সুন্দর করে সাজানো সাদা পর্দা চার পাশে বাতালে উড়ছে মাঝখানে একটা টেবিল।
তার পাশে দুইটা চেয়ার টেবিলের উপর কিছু ইটালিয়ানো ফুড সাজানো।
অভ্র চেয়ার টেনে নীলকে বসতে বলল।
নীল অভ্রর দিকে তাকিয়ে বসে পরল। অভ্র হেঁটে গিয়ে অন্য চেয়ারটা টেনে বসল।
নীল- তোমাকে দেখে মনে হয় না তুমি এত রোমান্টিক?
অভ্র- আচ্ছা? তো দেখে কি মনে হয়?
নীল- গম্ভীরমুখো রাগী একগোয়া সোজাসাপটা ভিলেন টাইপ।
অভ্র
নীল ঘুরে অভ্রর দিকে তাকালে অভ্র নীলের গালে ঠুসস করে উম্মাহ দিয়ে দেয়। নীল অভ্রর হাত ছাড়িয়ে কিছু সরে গিয়ে বলে উঠে.
নীল- অসভ্য!
অভ্র নীল এর দিকে কিলার স্টাইল লুক নিয়ে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল।
অভ্র- আমি অসভ্য দেখাচ্ছি মজা আমাকে অসভ্য বলা অসভ্যতামি এখনও কিছু করিনি তবে এখন অনেক ইচ্ছে করছে অসভ্যতামি করতে!
নীল- এই নাহহ…!
বলে উল্টো দিকে দিলো দৌঁড়। অভ্রও ছুটল বেশ অনেক দূর দৌড়ে চলে আসল অভ্র এসে নীলকে পেছন থেকে ধরে টান দিলো দু’জনেই এক সাথে মাটিতে পরে গেলো।
একে অপরের দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হাসতে ব্যস্ত হয়ে পরল। দু’জনে সোজা হয়ে শুয়ে হাতে হাত রেখে আকাশের চাঁদ দেখতে লাগল আজ জেনো আকাশটা বেশিই সুন্দর লাগছে চাঁদের পাশে মিটমিটিয়ে তাঁরা গুলো জ্বলছে। প্রিয় মানুষ টার হাতে হাত রেখে এমন মুহুর্ত উপভোগ করতে দারুণ লাগছে।
ঘাসগুলো মাঝে মধ্যে ঘাসগুলো পিঠে গুতো দিচ্ছে তাি দু’জনেই লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। নীল শরীর চুলকাতে চুলকাতে বলল।
নীল- চুলকাচ্ছে তো?
অভ্র- আমি চুলকে দেবো?
নীল- এই না!
অভ্র নীল এর দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে মাঠিতে বসে পরল!
জ্যোৎসনা মাখা চাঁদ তাই সবকিছুই ক্লিয়ার দেখা যাচ্ছে।
অভ্র নীল এর হাত ধরে ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটছে দু’জনের জুতো জোড়া হাতে নিয়ে নেয়।
হেঁটে আবারও আগের জায়গাতে চলে আসে। নীলকে নিয়ে সেখানে গেলো।
খোলা আকাশের নিচে কিছুটা জায়গা খুব সুন্দর করে সাজানো সাদা পর্দা চার পাশে বাতাসে উড়ছে মাঝখানে একটা টেবিল দুই পাশে দুইটা চেয়ার। তার উপরে ইটালিয়ানো ফুড রাখা টেবিলের মধ্যে খানে ক্যান্ডেল রাখা। অভ্র হেঁটে চেয়ার টেনে নীলকে বসতে বলল। নীল বসে পরলে অভ্র অন্য পাশে গিয়ে চেয়ারে বসল। একটা ম্যাচ নীল এর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে চোখ দিয়েইশারা করল ক্যান্ডেল গুলো জ্বালাতে নীল ম্যাচ টা নিয়ে সবগুলো ক্যান্ডেল জ্বালিয়ে দিলো। এখন জেনো আরও সুন্দর লাগছে একেই বলে ক্যান্ডেল নাইট ডিনার!
নীল এর একটা কথা অভ্র ‘র মুড অফ করানোর জন্য যথেষ্ট ছিল আর সেটা হলো….
To be continued….