অভ্র_নীল,34,35

0
921

#অভ্র_নীল,34,35
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_34
______
১০ মিনিট পর সব কিছু নরমাল করার জন্য ফাস্ট অভ্র কথা বলে।
অভ্র- হিহিহি ইমোশনাল হয়ে গেছিলাম মনেই ছিল না সবার সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

সবাই– ইট’স ওকে.!

তারপর কেক কাটা হলে সবাই খাওয়ানো হলো রাতে ডিনার কমপ্লিট করে গেস্টরা সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেলো।
শুভর স্পেশাল গেস্ট যে আসার কথা ছিলো সে কোনো কারণ বসত আসেনি বা আসতে পারেনি।

মিসেস ও মিস্টার সরকার- উনারাও বিদায় জানিয়ে চলে যায়।
তাদের পেছনেই আকাশ, শুভ, তানজু, তানিয়া, কাজল ওরাও চলে যায়।

তোয়া- ভাইয়া আমি অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছি রুমে যাচ্ছি ঘুমাবো আল্লাহ হাফেজ।
অভ্র- আচ্ছা যা…!
তার পেছনেই তিয়া, তিথি, স্বপ্না- আচ্ছা ভাই আমরা যাই.!
অভ্র- ওই দাঁড়া তোরা কই যাবি?
তিয়া, তিথি, স্বপ্না- কেনো বাড়িতে…!
অভ্র- বাড়িতে যাবি সেটা তো আমিও জানি কিন্তু কয়টা বাজে দেখেছিস। এত রাতে একা একা তিনটা মেয়ে যাবি।
তিয়া- তো কি হইছে আমাদের সাথে গাড়ি আছে আর গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইবার।
অভ্র- এত রাতে তোদেরকে আমি একজন ড্রাইবারের বিশ্বাসে যেতে দিতে পারবো না।
তিথি- আমাদের কিচ্ছু হবে না আমরা ঠিক যেতে পারবো।
স্বপ্না- তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছে আমরা যাচ্ছি ওকে..!

অভ্র- ওই দাঁড়া ঠাডাইয়া কানের নিচে মারবো একটা কি বলছি কান দিয়া যায় নাই বলছি না যা রুমে গিয়া ঘুমা কাল সকালে যাবি এত রাতে তিনজনের একজনেও কোথাও যাবি না। (ধমক দিয়ে বললে)

তিন বান্দরনী একমাত্র শুধু অভ্রর ধমক কেই ভয় পায় পুরা যেমন বাঘের গর্জন..!

তিন জনেই ভিজা বিড়ালের মতো সুরসুর করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে যায়।
নীল তা দেখে মুখে হাত দিয়ে হাসছে।
অভ্র- খুব বেশি হাসি পাচ্ছে তাই না?
নীল- কোই না তো আমি রুমে যাচ্ছি.!
অভ্র- দাঁড়াও তুমি কোথাও যাবে না।
নীল পেছনে অভ্রর দিকে ঘুরে দাঁড়ালো।
নীল- কেনো?
অভ্র- কারণ তুমি নিজের পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে রুমে যাবে না।
নীল- তুমি আমাকে নীলপরী তো বলো কিন্তু বিশ্বাস করো আমার না নীল নীল কোনো ডানা নাই যে আমি উড়েঁ উড়েঁ রুমে যাবো। আমি তো যাচ্ছি..!
অভ্র- আমি তো বলেছি নীল তুমি সিঁড়ি দিয়ে উপরে রুমে যাবে না।
নীল- তো আমি কি সারারাত হল রুমেই দাঁড়িয়ে থাকবে তোমার মতো সোফাতে ঘুমাবো এটা সম্ভব না প্লিজ ধ্যাত… (বিরক্তিকর ভাব নিয়ে অন্য দিকে ঘুরে যায়)
অভ্র মুচকি হেঁসে পেছন থেকে হেঁটে এসে নীলকে কোলে তুলে নেয়।
নীল- কি করছো অভ্র? নামাও আমি পরে যাবো..?
অভ্র- তোমার কি মনে হয় হুহহহ আমি আমার নীলপরী কে ফালিয়ে দেবো জীবনেও না আমি সারাজীবন তোমাকে এভাবে নিয়ে হাঁটতে চাই।

নীল- আজ খুব বেশি রোমান্টিক মনে হচ্ছে।
অভ্র- আমি তো রোজই রোমান্টিক থাকি শুধু আমার নীলপরীই খেয়াল করে না।

নীল- এই এই আমাদের রুম অপর সাইডে আমরা এইদিকে যাচ্ছি কেনো?
অভ্র- সাদে যাচ্ছি চাঁদ দেখতে..!
নীল- আমি চাঁদ দেখবো না আমি রুমে যাবো ঘুমাবো.!
বলেই হাত পা নাড়াচাড়া করছে।

অভ্র- এই তুমি এইভাবে নড়াচড়া করলে কিন্তু ঠুসসস করে ফেলে দিবো। চুপচাপ লক্ষী মেয়ের মতো থাকো।
চাও ফেলে দেই….!
নীল- উহু…..!
অভ্র- তো চুপ থাকো।

সাদে এসে অভ্র নীলকে কোল থেকে নামিয়ে দেয়।
নীল দাঁড়িয়ে আছে শুধু অন্ধকার এতই অন্ধকার যে নিজের হাত টাও দেখা যাচ্ছে না।

নীল- ফুলের সুগন্ধ নীচ থেকে সাদ পর্যন্ত আসছে?
অভ্র- হবে হয়তো…!
নীল- হয়েছে চাঁদ দেখা এখন চলো।
অভ্র- ওই ওই দেখো আকাশ থেকে তারা খসে পরছে।
নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে.!
নীল- কোই কোই…? (বলে খুঁজতে লাগল ২মিনিট পর)
নীল- অভ্র…..(চিল্লানী দিয়ে)
নীল- অভ্র তুমি আমাকে বোকা বানালে… ইইইইহহহ (দাঁতে দাঁত চেপে.) তোমাকে তো আমি ছাড়বো না.!
(বলে পেছনে ঘুরতেই অভ্র নেই তারপর অন্ধকার নীল একা একটু ভয় পেয়ে যায়।

নীল- অভ্র তুমি কোথায় প্লিজ আমার ভয় করছে…!
(ভয় মিশ্রিত কন্ঠে)

অভ্রর তো পাত্তাই নাই…!
নীল সামনে তাকাতেই হঠাৎ করে পুরো সাদ আলোকিত হয়ে যায়।
পুরো সাদ ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো অনেক কালারের মরিচবাতি,, নীল অবাক হয়ে দেখছে সাথে নীল র চোখ গেলো সাদের এক কোনে,, যেখানে একটা বেডসিট পুরো ফুল দিয়ে সাজানো ফুলসজ্জার খাটের মতো… মনে হচ্ছে আজ কারও এখানে ফুলসজ্জা হবে!
নীল- কিন্তু এত সুন্দর করে সাজিয়েছে কে.?
অভ্র পেছন থেকে এসে নীল এর উপর গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দিলো। নীল হঠাৎ করে গায়ের উপর কিছুতে পরাতে ঘাবড়ে যায়।
অভ্র- ভয় পেয়ো না নীলপরী এইগুলো গোলাপের পাপড়ী শুধু… (বলেই নীলকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে)
নীল- অভ্র তুমি করেছো এইসব?
অভ্র নীল এর গালে চুমু দিয়ে।
অভ্র- হুম আমি করেছি আমার নীলপরীর জন্য..!
নীল- কখন করলে এইসব.?
অভ্র- যখন আমার নীলপরী ওয়াশরুমে গুয়েছিলে রেডি হতে তখন করেছি।
নীল- কিন্তু কেনো?
অভ্র নীল কে ছেড়ে দেয় সাথে নীলকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়ে।
অভ্র- তুমি কি কচি খুকি নাকি? হুহহহ যে জানো না।
আজ আমাদের ফুলের সাথে ফুলসজ্জা হবে। তাও আমার চাঁদকে সাক্ষী রেখে সাদে..!
তোমার তো চাঁদ অনেক প্রিয় তাই ভাবলাম সাদের থেকে ভালো জায়গা আর কোথাও নেই…

নীল- লজ্জা পেয়ে অভ্রর বুকে মুখ লুকালো।
অভ্র নীলকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নীল এর থুতনিতে ধরে বলল।
অভ্র- ওরে আমার লজ্জাবতী নীলপরী রে…
বলেই নীল এর ঠোঁট জোড়ার সাথে নিজের ঠোঁট জোড়া মিশিয়ে দেয়। ১০ মিনিট পর অভ্র নীল কে ছেড়ে দেয়। তারপর নীলকে কোলে তুলে নিয়ে ফুলের বেডে শুইয়ে দেয়।

আজ আবার ও অভ্র নীল এক হলো..!
ভালোবাসার অতল সাগরে ডুব দিলো অভ্র নীল..!
.
.
#চলবে …..?

#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_35
______
পরেরদিন ভোরে সম্পূর্ণ সূর্যের আলো অভ্র আর নীল এর উপরে পরছে.!
দুজনেই উঠে সবার আগে রুমে চলে আসে আর ওদের কেউ দেখেও নাই।

সকাল ৯টায়..!

ব্রেকফাস্ট করে অভ্র তিয়া তিথি স্বপ্না আর নীল কে সাথে নিয়ে বেরিয়ে যায়। নীলকে কলেজ ড্রপ করে দিয়ে অভ্র তিয়া তিথি আর স্বপ্না কেউ ওদের বাড়িতে ড্রপ করে অফিসে চলে আসে।

২মাস পর….!

অভ্র আর নীল এর বিয়ের ৫মাস পূর্ণ হয়েছে। অভ্র আর নীল এর ভালোবাসা দিন দিন বেড়েই চলেছে একটু কমেনি বাড়ছে তো বাড়ছেই.! আগের ন্যায় প্রতিদিন অভ্র নীল এর চুল আঁচড়ে দেয় বেনি করে দেয় তেল দিয়ে দেয় মাঝে মাঝে নীল রাগ করে না খেলে অভ্র নিজ হাতে খাইয়ে দেয়। রাতে নীলকে নিজের মুখের মধ্যে নিয়ে ঘুমায় নীলকে জরিয়ে না ধরলে জেনো অভ্রর ঘুমই আসে না। আর নীল এর ও সেম অভ্রর বুকে মাথা না রাখলে জেনো ঘুমই আসে না।
মাঝে মাঝে অভ্র নীলকে কোলে তুলে নিয়ে রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে পুরো বাড়ি হাঁটে.!
একদিন তো নীল জেদ করে আজ নীল অভ্রকে কোলে নিবে।
অভ্র লম্বা ৬’৪ ফুট আর ওয়েট ৭৪..!
আর নীল ৫’৪ ফুট আর ওয়েট ৫০..!
(এই মাইয়া এই হাতিরে কোলে নিবে কিভাবে কেউ আমাকে বোঝাও)
অভ্র হাজার বার বারণ করার পরও নীল কেনো কিছু শুনতে রাজি নয় কে শোনে কার কথা নীল কোলে নিবে তো নিবেই।
অভ্র- তোমার ভালোর জন্যই বলেছিলাম এখন তুমি যখন শুনবেই না তো নাও..!
নীল এক দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে অভ্রকে কোলে নেওয়ার চেষ্টা করছে ১০ মিনিট হয়ে গেছে কোলে নেওয়া তো দূরের কথা একটু লড়াতেও পারছে না।
অভ্র- পারবে না আসো আমি তোমাকে কোলে নেই।
নীল- আমি তো নেবোই,,, হুহহহ আর নয়তো আমার নাম ও নীল নয়।।

নীল অনেক কষ্ট করে নিজের শরীরের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে অভ্রকে একটু কোলে নিয়েছে সাথে সাথেই.!

নীল- ওরে মা গো ওরে বাবা গো. (চিল্লাচ্ছে কেনো বুঝতাছেন না তো বলছি শুনেন) অভ্রকে একটু উপরে তুলতেই নীল নিচে ফ্লোরে পরে যায় আর অভ্র নীল এর উপরে গিয়ে পরে।

তার ফল স্বরূপ।

নীল- আল্লাহ গো কি মোটু রে আল্লাহ গো আমি তো চেপ্টা হইয়া গেলাম রে ওরে আল্লাহ রে শরীরের সমস্ত হাড্ডি গুড্ডি ভাইঙ্গা গুঁড়া গুঁড়া হইয়া গেছে রে।

অভ্র নীল এর মুখ চেপে ধরে।
অভ্র- চুপচুপ এভাবে চিল্লালে কেউ চলে আসবে।
নীল অভ্র কে সরিয়ে দিয়ে। উঠে দাঁড়ালো।
নীল- এত বুটকু কেন তুমি?
অভ্র- আমি বুটকু না দেখাচ্ছি মজা!
নীল- কিসের মজা হাহাহা আমার কোনো মজা লাগবে না হিহিহি তোমার মজা তোমার কাছেই রাখো আমি তো গেলাম।

বলেই নীল পাশ কেটে চলে যেতে নিলে অভ্র নীল এর হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নীল এর দুইগালে হাত রেখে নীল এর ঠোঁটে কিস করে বসে। নীলকে কোলে তুলে বেডে চলে যায় আর রুমের লাইটও অফ হয়ে যায়।

পরেরদিন সকালে আজও অভ্র নীলকে কলেজ ড্রপ করে দিয়ে অফিস আসে আর অফিস এসেই অভ্র আকাশ আর শুভর কাছ থেকে জানতে পারে অভ্র সহ আকাশ, ও শুভকেও অফিসের কাজের জন্য সিলেট যেতে হবে।

আর সেটা কালকেই.!
অভ্র অনেক আপসেট হয়ে যায় নীলকে ছেড়ে যেতে হবে ভাবতেই মুড অফ হয়ে যায়।

কলেজ শেষ হতে অভ্র নীলকে পিক করতে আসে কিন্তু প্রতিদিনের মতো আজ অভ্রর মুখে হাসি নেই আপসেট মনে হচ্ছে.!

নীল- অভ্র কি হয়েছে তোমাকে আপসেট দেখাচ্ছে?
অভ্র- নিশ্চুপ..!
নীল- কি হয়েছে বলো?
অভ্র রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করে নেমে পরে নীল ও সাথে সাথে নেমে অভ্রর পেছনে হাঁটছে.

অভ্র নদীর সামনে এসে দাঁড়ালো পেছন থেকে নীল.!
নীল- কি হয়েছে বলো তো সাহি অভ্র.?
অভ্র নীল এর দিকে তাকিয়ে বললো।
নীল জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অভ্রর দিকে।
অভ্র- নীলপরী আমাকে কালকেই সিলেট যেতে হবে ১ সপ্তাহের জন্য অনেক জরুরি কাজের জন্য আমাকে আর আমার সাথে শুভ ও আকাশ কেও যেতে হবে।
নীল- ১ সপ্তাহের জন্য..?
অভ্র নীল এর চোখ বেয়ে পরা পানি মুছে দিয়ে।
অভ্র- আমার নীল পরীর চোখের পানি যে আমি একটুও সহ্য করতে পারি না নীলপরী আমি ১সপ্তাহ পর ফিরে আসবো তো।
নীল কেঁদেই ফেলেছে।
অভ্র নীলকে জরিয়ে ধরেছে আর আবোলতাবোল বলছে একটু নীলকে হাসানোর জন্য কিন্তু নীল কাঁদছে।
দু’জনেই আর বাড়ি ফিরে না সারাদিন বাহিরে ঘুরঘুর করে মৌমাছির মতো।

সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসে নীল এর মুড এখন ভালো নীলকে হাসতে দেখে অভ্র ও খুশি।

রাতে অভ্র সবাইকে জানিয়ে দেয় কালকে ওদের যেতে হবে এখন তো নীল সহ সবার মুড অফ..!
কিন্তু কিচ্ছু করার নেই।

রাতে অভ্র নীল এর মধ্যে আবারও দু্ষ্টামি শুরু হয়। হিহিহি

পরেরদিন সকালে,,,
অভ্র চলে যায়..!
নীল মুখ ফুলিয়ে রুমে দরজা বন্ধ করে বসে আছে ধ্যাত ভাল্লাগে না।

তারপর আর কি লিখমু ধ্যাত এখন আমারও ভাল্লাগে না।

২দিন পর রাতে..!
নীল শুয়ে শুয়ে বই পরছিলো হঠাৎ করেই নীল এর শরীর খারাপ করে।
মাথা ঘোরাচ্ছ কেমন জেনো লাগছে। তবুও সেদিকে পাত্তা না দিয়ে বই বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করে।
রাত ২টা বাজে হঠাৎ নীল এর ঘুম ভেঙে যায়।
নীল বেডের উপর উঠে বসে। তারপর মুখ চেপে ধরে এক দৌঁড় দিলো ওয়াশরুমের দিকে..!
১০মিনিট পর নীল ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে নীল ঠিক মতো দাঁড়াতেও পারছে না।
কোনো রকম মাথায় হাত দিয়ে বেডের উপর বসলো কিন্তু নীল এর শরীর হঠাৎ করেই খারাপ কেনো হলে বুঝতে পারছে না নীল।
তারপর শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করে কিন্তু অস্থিরতার জন্য নীল ঘুমাতেও পারছে না সাথে অসহ্যকর মাথা ব্যাথা মাথা ঘুরানো আর মাঝেমধ্যে ভমি ভমি ভাব.!
সারারাত পার হয়ে যায় নীল এর ঘুম আসে না। শরীর অনেক দূর্বল হয়ে যায় কারণ এরই মধ্যে নীল ৪/৫ বার ওয়াশরুমে গিয়েছিলো ভমি করার জন্য..
এদিকে ফজরের আজান দিচ্ছে নীল বেড থেকে উঠে ড্রেস চেঞ্জ করে ওয়াশরুম থেকে ওযু করে বেরিয়ে আসে আর ৪রাকাত নামাজ আদায় করে নেয়।
নামাজ শেষ করে বেডে শুতেই নীল ঘুমিয়ে পরে।

সকালে নীল ঘুম থেকে উঠতে পারে না। মিসেস চৌধুরী ও নীলকে ডাকেন না কারণ আজ পর্যন্ত নীল লেইট করে ঘুম থেকে উঠে না আর আজ যখন উঠে নাই নিশ্চয়ই নীল এর শরীর ভালো না ভেবেই মিসেস চৌধুরী নীল কে ডাকে না।

নীল এর ঘুম ভাঙে সকাল ১০টায়.!
নীল ঘুমাচ্ছে পাশেই ফোন রিং হচ্ছে ৩বারের টাইমে নীল কল রিসিভ করে ফোনের ওপাশ থেকে।

অভ্র- গুড মর্নিং জানপাখি..!
নীল হাত দিয়ে চোখ ঢলতে ঢলতে
নীল- গুড মর্নিং.!
অভ্র- আজ এখনো ঘুম থেকে উঠোনি কেনো কলেজও যাওনি তোমার চোখ মুখ এমন লাগছে কেনো তুমি সুস্থ আছো তো নীলপরী?
নীল- আমি ঠিক আছি আমার আবার কি হবে?
(মিথ্যে বলতে বাধ্য হয়েছে কারণ নীল নিজেও জানে না ওর কি হয়েছে)
অভ্র- মিস করো আমাকে?
নীল- ২৪ঘন্টাই করি তো..! ইচ্ছে করে দৌঁড়ে তোমার কাছে চলে যাই.!
অভ্র- জানপাখি আমিও মিস করি তোমাকে অনেক বেশি এত দূরে আছি তবুও আমার মন তোমার কাছেই পরে আছে।
আচ্ছা তুমি কলেজ যাওনি কেনো আজ?
নীল- কয়টা বাজে কলেজ যাবো তো। হাত দিয়ে মুখের সামনে হাই তুলতে তুলতে বললো।
অভ্র- তোমার কলেজ যাওয়া সময় কি এখনো আছে দেখো তো কয়টা বাজে।
নীল- কয়টা বাজে আবার। বলেই মোবাইলে টাইম দেখতে ফোনের স্কিনে তাকালো।
নীল- ওত তেরি ১০ঃ২০ বাজে আর আমি এতক্ষণ ঘুমাচ্ছিলাম আমাকে কেউ ডাক ও দিলো না।
নোট ফেয়ার।
অভ্র মুচকি হেসে।
অভ্র- তাহলে আজ আর কলেজ যাওয়া হলে না বাড়িতে থেকেই রেস্ট নাও..!
নীল- এই তুমি হাসবে না।
অভ্র- কেন কেন আমি হাসবো না কেন?
নীল- কারণ তোমার ওই দুষ্ট হাসি আমাকে পাগল করে দেয়। বলেই ফোন কেটে দেয়। বিছানার উপর ফোন রেখে ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে যায়।
অভ্র

.
.
#চলবে …..?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here