অল্প_পাগলামি_সীমাহীন_ভালোবাসা #পর্ব_৮,৯

0
3220

#অল্প_পাগলামি_সীমাহীন_ভালোবাসা
#পর্ব_৮,৯
#ফারজানা_আক্তার
পর্ব_৮

কাব্য- পারবোনা কেন? চিনোনা তুমি এই কাব্য আহমেদ কে
হিয়া- চিনিতো, (বোকার মতো ফেস করে বলে)
কাব্য- নামটা বলো তার?
হিয়া- মেসি (দুষ্টু হেসে)

কাব্যর রাগ উঠে গেলো, সে দাঁতে দাঁত চেপে গিজ গিজ করতে করতে বলে “যদি সামনে থাকতাম এখনই মাথায় তুলে আছাড় দিতাম তোমায়”

হিয়া ঢুক গিলে,, আর ঠোঁট উল্টিয়ে বলে “ভাগ্যিস সামনে নেই, আল্লাহ বাঁচাইছে”

কাব্য- না বাঁচাইনি,, আমি ড্রাইভ করছি,কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমার বাড়ির সামনে থাকবো।

হিয়া কান্নার মতো ফেস করে বলে “প্লিজ না,, আর জীবনেও এমব মজা করবো না, ক্ষমা করে দিন শেষবারের মতো প্লিজ..

কাব্য- ওয়েট এন্ড ওয়াচ।।
এটা বলেই কাব্য কল কেটে দিলো,,

হিয়া ভয়ে গুটিসুটি হয়ে খাটের এক কোণায় বসে রইলো। আর নিজেকে নিজেই মনে মনে গালি দিতে লাগলো, “গাধি, কুত্তী নিজেই নিজের পায়ে কোড়াল মারলি। কি দরকার ছিল তোর ওই বজ্জাতকে এটা বলার”,?

বকবক করতে করতে হিয়া ঘুমিয়ে গেলো বসা অবস্থায়।

?
প্রায় ১৫মিনিট পর কাব্যর গাড়ি এসে থামলো হিয়াদের বাসার সামনে। কাব্য গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে এক হাত পকেটে রেখে অন্যহাতে ফোন নিয়ে কল দিলো হিয়াকে।।

হিয়া হঠাৎ কলের শব্দ শুনতে পেয়ে হুড়মুড় করে লাফিয়ে উঠে। বিরক্তিকর ফেস করে কল রিসিভ করলো কিন্তু কিছু না বলে চুপ হয়ে রইলো, ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে তার।

কাব্য- বেবি দ্রুত নিচে আসো। আমি দাঁড়িয়ে আছি (দুষ্টু হেসে)
হিয়া- দে দেখুন ভালো হবেনা কিন্তু (আমতা আমতা করে)
কাব্য- খারাপও হবেনা। দ্রুত আসো
হিয়া- আসবোনা
কাব্য- আমি উপরে আসলে কিন্তু আজকেই মারাত্মক কিছু হয়ে যাবে।

হিয়া আর কিছু না বলে কল কেটে দিলো। পাশে রাখা উড়নাটা গায়ে জড়িয়ে নিচে নামতে লাগলো আর উঁকি দিয়ে দিয়ে দেখতে লাগলো কেউ আছে কিনা।

কাব্য হিয়াকে দেখতে পেয়ে মুচকি হাসলো। সাদা টাওজারের সাথে কালো গেঞ্জি তার উপর উড়নাটা এলোমেলো ভাবে পেঁছিয়ে রেখেছে গায়ে। খোলা চুলগুলো উড়ছে বাতাসে। কাব্য হা হয়ে তাকিয়ে আছে, নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছে হিয়ার রুপের মাঝে।

হিয়া সামনে এসে বলে ” আপনি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছেন”?
কাব্য কিছু বলছেনা, এখনো হা হয়ে আছে। হিয়া হাতে করে একটা পানির বোতল এনেছিলো সেটার মুখ খুলে কাব্যর মুখে কিছু পানি ছিটিয়ে দিলো। কাব্য হুঁশে এলো

“কি করছো কি তুমি?পানি মারলে কেন আমায়? (দাঁতে দাঁত চেপে)

হিয়া বোকার মতো ফেস করে বলে ” তো আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চোখ খোলা রেখে ঘুমাচ্ছািলেন কেন”?

রাগাইও না এতো রাতে, ফেঁসে যাবে (গিজগিজ করতে করতে বলে)

হিয়া শুকনো ঢোক গিলে। নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সে। কাব্য বোতলটা নিয়ে গাড়ির ভেতরে ছুঁড়ে মারলো।
কাকে জানি ভালোবাসো,বলো এবার? (হিয়ার দিকে তাকিয়ে)

হিয়া চুপ। ইচ্ছে করছে এখন দৌড়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা আঁটকে দিতে। কিন্তু তা করলে তো আবার হিতের বিপরীত হবে তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।

চুপ কেন? বলো, শুনি আমি। (হালকা চিৎকার করে বলে কাব্য)

আ আ আমি আ আসলে এক একটু ম মজা করে বলেছিলাম (থেমে থেমে বলল হিয়া)
কাব্য হিয়াকে গাড়ির সাথে চেপে ধরে। হিয়া ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেই।

সাহস হয় কি করে তোমার আমার সাথে এমন মজা করার? মন তো চাই এখনই……….

কাব্য কে পুরো কথা বলতে না দিয়ে কাব্যর কথার মাঝখানেই হিয়া বলে উঠলো “পানি খাবো”।

কাব্য একটু বিরক্ত হলো।।

কাব্য গাড়ি থেকে পানির বোতল বের করে দিলো। হিয়া সাথে সাথে বোতলের চাপা খুলে ঢকঢক করে সব পানি খেয়ে নিলো।। কাব্য অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে হিয়ার দিকে।

হিয়া ভ্রু কুঁচকে কাব্যর দিকে তাকিয়ে বলে “কি দেখছেন এভাবে”?

দেখছি আমার বউটা খুব সুন্দর, কিন্তু মাথায় একটু সমস্যা আছে,, সরি সরি একটু নয় অনেক বড় সমস্যা আছে মাথায়। খুব দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। (গম্ভীর মুখে বলে কাব্য)

হিয়া মুখ ভেংচিয়ে মনে মনে বলে “হ্যাঁ আমার মাথায় সমস্যা আছে, তাতে তোর কি রে? গরুর গোবর, খচ্চর তেলাপোকা, লেজবিহীন টিকটিকি ” এসব বলেই গাল ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

কাব্য- চুপ থাকলে রাক্ষসীর মতো লাগে দেখতে তোমায় (এটা বলেই কাব্য মুখ টিপে হাসে)

হিয়া তো এবার চরমভাবে রেগে গেছে। কি বলবে কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।

আপনি খুব খুব খারাপ। আমি আব্বুকে বলবো বিয়ে cancel করে দিতে। (রাগান্বিত স্বরে বলে)

কাব্য হিয়াকে একটানে নিজের কাছে নিয়ে আসে, খুব কাছে। দুজনের নিঃশ্বাস যেন মিশে যাচ্ছে।

ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়, হিয়া শুধুই কাব্যের।
আর যেন এমন কথা না শুনি, নয়তো কিন্তু আমি আবারো মারাত্মক কিছু করে ফেলতে পারি। (কানের কাছে ফিসফিস করে বলে)

হিয়া নড়তে পারছেনা, ঠোঁটজোড়া কাঁপছে তার। মনে হচ্ছে যেন বরফে জমে গেছে সে।

কাব্য আলতো করে হিয়ার গালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরলো হিয়াকে।
হিয়া কাব্যর উন্মুক্ত বুকের উষ্ণতা পেয়ে চোখজোড়া বন্ধ করে নিলো।। কেন জানি খুব শান্তি লাগছে বাব্যর বুকে মাথা রেখে তার।

হিয়া বন্ধ চোখেই বলল “এই মুহূর্তে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মনে হচ্ছে”

কাব্য মুচকি হাসলো।। কিছুক্ষণ পর সে হিয়াকে ছেড়ে দিয়ে বলল “চোখ বন্ধ করো”

হিয়া চোখ বন্ধ করলো। কাব্য গাড়ি থেকে কি
যেন বের করে হিয়ার হাতে দিয়ে বলল “চোখ খুলো এবার”

হিয়া চোখ খুলে খুশি হয়ে লাফিয়ে নেচে উঠলো।

হিয়া- বাদাম আমার জন্য?

কাব্য- হুম

হিয়া হুট করে করে কাব্যর ডানগালে কিস করে বলে “আপনি খুব খুব ভালো”

কাব্য একটু নয় অনেক বেশিই অবাক হলো।

কাব্য গালে হাত দিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলো।

হিয়া লজ্জা পেয়ে দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো।

রুমে গিয়ে নিজে নিজে মুচকি হাসলো। তারপর বাদাম খেতে লাগলো।

আর নিজে নিজে বকবক করতে লাগলো “ছি ছি হিয়া, কি করলি তুই এটা? ওই বজ্জাত টা তো এখন তোকে নিয়ে হাসবে, থাক হাসলে হাসুক, উনিও তো আমায় কিস করেন”

?
কাব্য ড্রাইভ করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।।

মেয়েটার একদম বাচ্চাদের মতো স্বভাব, বাদাম দেখে কিভাবেই না নেচে উঠলো,, যদিও অন্য মেয়েদের থেকে একটু অন্যরকম তবুও আমার জন্য একদম Perfect।। এমন মেয়ের প্রেমে একবার নয়, শতবার পরতেও বারণ নেই।। (মনে মনে ভাবছে কাব্য)

?
সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙে হিয়ার।

মা, আর একটু ঘুমুতে দাও প্লিজ (ঘুমঘুম কন্ঠে বলে সে)

মা- না আর এক সেকেন্ড ও নয়। উঠ বলছি (চিল্লিয়ে বলে)

হিয়া ধরফরিয়ে উঠে বসলো,, “এভাবে ছাগলের মতো চিল্লাছো কেন সকাল সকাল? তোমার আম্মু কি ম্যানার শিখাইনি তোমায়”?

আমার মা খুব ভালো করেই ম্যানার শিখিয়েছে আমায়, তোর মা পারতেছেনা তোর মতো বজ্জাত মেয়েকে ম্যানার শিখাতে” (রাগান্বিত স্বরে)

হিয়া কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো।।

?
কাব্য ঘুম থেকে উঠে একটা মুচকি হাসি দেয়, তৃপ্তির হাসি।। ঘুমটা খুব ভালো হয়েছে আজ।

কাব্য খাবার টেবিলে বসতেই তার বাবা বলে “রাহেলা দেখো তো আজ সূর্য কোন দিক দিয়ে উঠেছে”
কাব্য ভ্রু কুঁচকে বাবার দিকে তাকাই, তিনি খাওয়াই মনোযোগ দিলেন। কাব্য চুপচাপ খেতে লাগলো।
কথা হঠাৎ বলে উঠলো “ভাইয়া আন্টি বলল উনি নাকি এখন থেকে ভাবিকেও পড়াবে”?
কাব্য- হ্যাঁ পড়াবে,, তো? (কথার দিকে তাকিয়ে)
কথা- না এমনি জিজ্ঞেস করলাম, আন্টি বলল তাই।

তখনই কাব্যর ফোনে একটা কল আসলো,, ফোনের দিকে তাকাতেই কাব্যর চোখ বড় বড় হয়ে গেলো_______

#চলবে

#অল্প_পাগলামি_সীমাহীন_ভালোবাসা
#পর্ব_৯
#ফারজানা_আক্তার

কাব্য ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসছে।
কাব্য Ignore করলো। কল আবারো আসলো

জামাল সাহেব- কে কল দিয়েছে? রিসিভ করিস না কেন?
কাব্য- অচেনা নাম্বার
রাহেলা বেগম খাবার মুখে দিতে দিতে বলল “রিসিভ করে দেখ, হয়তো পরিচিত কেউ”
কাব্য ভ্রু কুঁচকে বলে “তুমি এতো সিউর হয়ে কিভাবে বলছো”?
রাহেলা বেগম আমতা আমতা করে বলে “না দুবার কল দিলো, তাই বললাম আর কি”

কাব্য খাওয়ায় মন দিলো আবার।

?
কাব্য অফিসে বসে আছে, হিয়াকে মেসেজ দিলো “গুড মর্নিং বউ”
হিয়া মেসেজ দেখে মুচকি হাসলো, কেন জানি ধীরে ধীরে দূর্বল হয়ে পরছে সে কাব্যর উপর।

হিয়া রিপ্লাই দিলো “গুড মর্নিং”

কাব্য “কলেজে কোনো ছেলের সাথে কথা বলার সাহস করবেনা, নয়তো কি করবো খুব ভালো করেই জানো তুমি”

ইস্ কত অধিকার?? মেসেজেই যেন খেয়ে ফেলবে আমাকে।।
হিয়া আর রিপ্লাই দিলোনা।

কাব্য চোখ বন্ধ করে মনে মনে ভাবে “দিওনা রিপ্লাই, সামনে পেলে বুঝিয়ে দিবো, এই কাব্যকে Ignore করার শাস্তি তোমায় পেতেই হবে।

?
কে কল দিয়েছিলো সকালে, দেখবো কি একটা কল দিয়ে। এসব সাতপাঁচ ভেবেই কল দিলো কাব্য ওই নাম্বারে।

রিং বাজতেই কল রিসিভ হলো, রিসিভ হতেই কাব্য “আসসালামু আলাইকুম”

ওয়ালাইকুমুস সালাম,, কেমন আছো বাবা?

কণ্ঠ টা পরিচিত মনে হলো কাব্যর। তবুও জিজ্ঞেস করলো “আপনি কে আঙ্কেল?

আমি হিয়ার আব্বু,, একটা কাশি দিয়ে বলল মিজান সাহেব।

ও সো সরি আঙ্কেল, আমি আসলে চিনতে পারিনি তাই কল রিসিভ করিনি ওই সময়,, কেমন আছেন? আন্টি আর নিহান কেমন আছে?

মিজান সাহেব- আলহামদুলিল্লাহ,, ভালো আছে সবাই,, আমার মেয়ের কথা যে জিজ্ঞেস করলে না?

কাব্য একটু লজ্জিত কন্ঠে বলল “আসলে আঙ্কেল হিয়ার সাথে কথা হয় আমার”

মিজান সাহেব একটু সংকোচবোধ করলেন।।

মিজান সাহেব- ও আচ্ছা, বেশ। যে কারণে কল দিলাম তোমায়।

কাব্য- জি বলুন

মিজান সাহেব- আগামী রবিবার নিহানের জন্মদিন,, ছোট করে একটা অনুষ্টান করছি, তোমার আম্মু আব্বুরা সবাই আসবে, তুমিও এসো সাথে।

কাব্য- অবশ্যই আসবো।।

মিজান সাহেব- আচ্ছা রাখি তবে,, ভালো থেকো।

কাব্য- আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ।

?
বিকালে হিয়া কলেজ থেকে রিতার সাথে একটা রেস্টুরেন্টে গেলো।। একই রেস্টুরেন্টে কাব্যও ছিলো, কেউ কাউকে দেখেনি। কাব্য গেছে একটা মিটিংয়ে আর হিয়া গেছে কফি খেতে। এই রেস্টুরেন্টের কফি হিয়ার দারুণ লাগে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো রেস্টুরেন্টটা কাব্যদের যেটা হিয়ার জানা নেই।

রিতার বয়ফ্রেন্ডের কল আসলে রিতা চলে যায়। হিয়া মুখ বাঁকিয়ে কফির অর্ডার দিলো। রিতাকে বলল “তুই গেলে যা, আমি তো কফি খেয়েই যাবো” হিয়া চোখ বন্ধ করে কফিতে চুমুক দিলো, এমন সময় কব্য মিটিং শেষ করে বের হতেই দেখলো হিয়া খুব আনন্দের সাথে কফি খাচ্ছে, কাব্য এসেই হিয়ার বিপরীত চেয়ারে বসলো।। হিয়া চোখ খুলে চমকে উঠে, হঠাৎ কাশি উঠে যায় হিয়ার। কাব্য ওয়েটারকে ডেকে বলে পানি আনতে।

পানি খেয়ে শান্ত হয় হিয়া।

কাব্য দাঁতে দাঁত চেপে বলে “তুমি জাস্ট ইম্পসিবল”

হিয়া “আপ আপনি এখানে কি করছেন?
কাব্য “একটা মিটিংয়ে আসছিলাম, আমি বাঘ নয় যে খেয়ে ফেলবো। এমন করলে কেন আমায় দেখে?

হিয়া “হঠাৎ দেখেছি তো তাই”

কাব্য “এখানে কেন”?

হিয়া “সময় পেলেই এই রেস্টুরেন্টে আসি আমি,,

কাব্য ” কেন?কেউ আছে নাকি এখানে?

হিয়া “হুমম আছে তো

কাব্য ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে “কে আছে?

হিয়া কফিতে চুমুক দিয়ে বলে “কফি,, এখানকার কফি আমার খুব খুব ভালো লাগে। আজ দুবছর ধরে আমি এখানে আসা যাওয়া করি।

কাব্য মনে মনে ভাবে “কি আজব,আজ একবছর ধরে তো আমিও রোজ আসি, দেখিনি কেন আমি এই চুলবুলিকে,

এই যে কি ভাবছেন? কাব্যর ভাবনায় ছেদ পড়লো হিয়ার কথায়

কাব্য ” তারপর বলো কলেজে আজ কি কি করেছো?

হিয়া বিরক্ত হলো,কারণ কলেজের কথা সে কারো সাথে শেয়ার করতে চাইনা।

হিয়া “ক্ষুধা লেগেছে, ফুসকা খাবো।।

কাব্য “এখানে ফুসকা পাওয়া যায়না,, চলো অন্য কোথাও যায়।

হিয়া “আচ্ছা, ওয়েট বিলটা দিয়ে আসি।

কাব্য ” প্রয়োজন নেই

হিয়া “কেন?

কাব্য ” এতো প্রশ্ন করো কেন?? (বিরক্তি ভাব নিয়ে)

হিয়া “আচ্ছা আর করবোনা প্রশ্ন, বিলটা আপনিই দিয়ে দিন।

কাব্য ” সেটারও প্রয়োজন নেই

হিয়া এবার বিরক্তি ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো।

কাব্যও দাঁড়িয়ে গেলো। কাব্য ম্যানেজার কে ডেকে বলল “ম্যাডাম এখানে রোজ আসে?

ম্যানেজার “জি স্যার

কাব্য ” এখন থেকে আর ম্যাডাম থেকে কোনো টাকা নিবেনা, ওর যত খুশি কফি খাবে এখানে এসে। খবরদার কেউ চোখ তুলেও থাকাবেনা ওর দিকে।

ম্যানেজার “আচ্ছা স্যার

হিয়া নিরব দর্শক হয়ে দেখছে সব, কি হচ্ছে এসব, ম্যানেজার ছাগল টা এই বজ্জাতের কথায় হ্যাঁ মেলাচ্ছে কেন?

হিয়া ” কি হচ্ছে এসব? আমি ফ্রী তে কফি খাবোনা (মুখ ফুলিয়ে বলে)

কাব্য “ফ্রী নয়,, এই রেস্টুরেন্টে তোমারও অধিকার আছে বেবি, এটা আমাদের রেস্টুরেন্ট

হিয়া অবাকের শেষ সীমানায়। হা হয়ে তাকিয়ে আছে কাব্যর দিকে।

কাব্য ” ম্যানেজার সাহেব, আপনি আসতে পারেন।।

ম্যানেজার “আচ্ছা,, কিছু প্রয়োজন অবশ্যই বলবেন।। আসি স্যার।

ম্যানেজার চলে গেলো

কাব্য “হা হয়ে আছো কেন?

হিয়া ” একটা চিমটি কাটুন তো

কাব্য অবাক হয়ে বলে “কেন?

হিয়া ” আগে চিমটু কাটুন তো।

কাব্য আস্তে করে একটা চিমটি কাটলো হিয়ার বাম হাতে। হিয়া আহ্ করে চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে উঠলো আবার চারপাশে তাকিয়ে স্বাভাবিক হলো।

কাব্য “মজা লেগেছে চিমটি?

হিয়া “আপনি খুব পঁচা, এভাবে কেউ চিমটি দেয়? (ঠোঁট উল্টিয়ে)

কাব্য “শুধু বাদাম দিলেই আমি ভালো, অন্যতায় আমি পঁচা, বেশ।

হিয়া ভেংচি কেটে কফি খেতে লাগলো। চোখ তোলে কাব্য কে বলল ” আপনিও খান এক কাপ কফি,

কাব্য “আমি কফি খায়না, তুমি খাও

হিয়া ” তো কি খান আপনি?

কাব্য “লেবু চা।।

হিয়া “ইয়াক,, কিভাবে খান?

(লেখিকা কিন্তু বেশ পছন্দ করে লেবু চা)

কাব্য ” বিয়ের পর তোমাকেও শিখিয়ে দিবো কিভাবে খায় লেবু চা।

হিয়া কপাল ভাজ করে অন্যদিকে তাকাতেই বলে উঠে “তুই এখানে কি করস?

ছেলেটা ” আগে বল তুই এখানে কি করস? আর এই ছেলেটা কে তোর সাথে?

কাব্য হিয়ার হাত ধরে বলে “হিয়া, কে এই ছেলে? তোমাকে কিভাবে চিনে?

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here