আঁধারের মাঝে আলো,পর্বঃ ০৪(শেষ পর্ব)

1
6304

আঁধারের মাঝে আলো,পর্বঃ ০৪(শেষ পর্ব)
লেখকঃ আবির খান

আবিদের কথা শেষ না হতেই ময়ূরী নড়েচড়ে যেই ওর মুখের সামনে থেকে চুলগুলো সরিয়ে আবিদের দিকে তাকায় আবিদ ভয়ে চিৎকার করে পিছনে সরতে গিয়ে রীতিমতো মাটিতে পড়ে যায়। কারণ ময়ূরীর পুরো মুখখানা ঝলসে গিয়েছে। মানে কেউ এসিড মেরেছে ওর মুখে। একদম বিভৎস লাগছে ওকে৷ আবিদ ওকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না৷ এটা তো ওর সেই ভালো লাগা ময়ূরী না৷ এ কে? ময়ূরী আবিদের দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদছে৷ আর আবিদ বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। কি হয়ে গেল ময়ূরীর সাথে! আবিদ অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে ময়ূরীর কাছে যায়। ময়ূরী আবিদকে বলে,

~ তুমিও কি সবার মতো আমাকে দেখে ভয়ে দূরে সরে যাবে? যাওয়ারই কথা। আমিও তো তোমার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলাম৷ কত অপমান কত কিছু বলেছি তোমাকে। দেখো আল্লাহ আমাকে তার শাস্তি দিয়েছেন। আমার না বেঁচে থাকার একদমই ইচ্ছা ছিল না৷ কিন্তু মরতে পারি নি। তোমার কাছে মাফ চাওয়া হয়নি বলে। জীবনের শেষ ইচ্ছা এটাই আমার। আল্লাহ আজ তাও পূরণ করে দিলেন। আবিদ আমাকে মাফ করে দেও। আমাকে মাফ করে দেও দয়া করে। আমি এখন হারে হারে বুঝতে পারছি তখন তোমার কেমন লাগতো। আমি সব বুঝতে পারছি। আমার আপন বাবা-মাই আমার দিকে বেশিক্ষণ তাকাতে পারে না। কি শাস্তিটাই না আমি পেয়েছি দেখো। আমি আজ অস্তিত্বহীন আবিদ আমি আজ নিঃস্ব। তুমি দয়া করে মাফ করে দেও তাহলে আমি মরেও শান্তি পাবো।

বলেই খুব জোরে কেঁদে দেয় ময়ূরী। আবিদও ওর নোনা জলকে আর ধরে রাখতে পারে না৷ অপ্সরাদের মতো সুন্দরী ময়ূরী এখন বিভৎস রূপ ধারণ করেছে। আবিদ আর ময়ূরীর কান্না, কষ্ট আর্তনাদ সহ্য করতে পারে না। ও ময়ূরীর কাছে গিয়ে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলে,

— চুপ করো। দয়া করে চুপ করো। আমি তো তোমাকে কবেই মাফ করে দিয়েছি। তোমার উপর আমার কোন রাগ, দুঃখ কিচ্ছু নেই। বিশ্বাস করো। আমি স্বপ্নেও তোমাকে কোন অভিশাপ দেই নি৷ তাহলে এমন হলো কিভাবে তোমার সাথে? আর কে করেছে এমন? প্লিজ বলো আমাকে। প্লিজ।
~ না না তোমার কোন দোষ নেই৷ সব দোষ আমার। আমি আমার নিজের রূপ নিয়ে এতই মোহ ছিলাম যে ভাবি নি এই রূপই একদিন আমার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াবে। ভার্সিটির একটা ছেলে, আমি চিনও না৷ সে হঠাৎ করে এসে আমার মুখে এসিড মারে। আর বলে, “তোর মতো সুন্দরী মেয়ের জন্য অনেক ছেলে কষ্ট পায়। তাদের জীবনটা নষ্ট হয়ে যায়৷ তোর রুপ আমি শেষ করে দিব৷” ও সত্যিই আমার রূপ শেষ করে দিয়েছে আবিদ৷ আমি সেদিন থেকে বুঝতে পারছি আমি এতদিন কি ভুলগুলোই না করেছি৷ সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছি তোমাকে। এই শাস্তিরই যোগ্য আমি। চলে যাও তুমি। আর আমার কাছে থেকো না৷ এই কুৎসিত মেয়ের কাছে থেকো না৷ আমি এখন শুধু মরে যেতে চাই। আর কিছু না৷

আবিদ ময়ূরীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,

— না ময়ূরী হার মেনো না। প্লিজ হার মেনো না। তোমার কিছু হলে তোমার বাবা-মা অনেক কষ্ট পাবে। অন্তত তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের কোন ক্ষতি করো না৷ আমি তো হার মানি নি। আমি সেই ছোট কাল থেকেই মানুষের কথা শুনে শুনে বড়ো হয়েছি। আমার ইচ্ছা হয়েছিল নিজেকে শেষ করে দি। কিন্তু বাবা-মার মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে বাচিঁয়ে রেখেছিলাম। আজ আমি সফল। আর এই সফলতার পিছনে তোমারও অবদান আছে। প্লিজ দয়া করে খারাপ কিছু করো না। আমাকে ওয়াদা দেও।
~ কেন আমাকে বাঁচাতে চাচ্ছো? এই সমাজে আমার মতো খারাপ মেয়ের আর কোন জায়গা নেই৷ আমি স্রেফ বোঝা। (কেঁদে দেয়)

আবিদের খুব অস্থির লাগছে। ও কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না। আবিদ ময়ূরীর মাকে ডাক দেয়। সে দ্রুত চলে আসে। হয়তো বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আবিদ তাকে বলে,

— আণ্টি আপনি ওর সাথে থাকেন। ওকে একা করবেন না৷ আমি আসছি। তবে আবার আসবো।
~ ঠিক আছে বাবা৷ আমি আছি ওর পাশে।

আবিদ ময়ূরীকে একবার দেখে বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে সোজা ওর বাবা-মার কাছে যায়। দুজনেরই খুব বয়স হয়েছে। কিন্তু অনেক সুখে আছেন তারা। আবিদ ওর বাবা-মাকে একসাথে বসিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সব খুলে বলে। আজ আবিদের বাবা না ওর মা বলে উঠেন,

~ আমি তোর মা। তোর মনের সব কথাই আমার জানা৷ তুই মেয়েটাকে সাহায্য করতে চাচ্ছিস। তাহলে কর। কে না করেছে। মেয়েটা অতীতে যা করেছে করেছে, তার শাস্তি ও পেয়েছে৷ এখন সময় এসেছে তোর ওকে সাহায্য করার। কারণ ও একটা মানুষ। আর মানুষের সাহায্য করার তো আরেকটা মানুষের দায়িত্ব। আমার পুরো সম্মতি আছে তোর সাথে৷ আমি তোকে আদেশ করলাম তুই যেভাবে পারিস মেয়েটাকে সাহায্য কর।

আবিদ অসহায় ভাবে ওর বাবার দিকে তাকায়৷ ওর বাবা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,

— তোর মায়ের উপর আমি কিছু বলতে পারি? তার আদেশ পালন করা তোর কর্তব্য। যা মেয়েটাকে সাহায্য কর৷ আল্লাহ হয়তো তোকে এই দিনের জন্যই এত অর্থবান বানিয়েছিলেন৷ যা বাবা৷

আবিদ খুব খুশি হয়ে ওর অফিসে যায়৷ ওর পাঁচ বন্ধুদের জরুরি ডাক দেয়৷ সবাই যে যেখানে ছিল দ্রুত চলে আসে। আবিদ কান্নাসিক্ত কণ্ঠে ওর বন্ধুদের সব খুলে বলে। ওরা সব শুনে খুব কষ্ট পায়। সালমান বলে উঠে,

— দোস্ত তোর যত টাকা লাগে আমাকে বলবি। লাগলে সব দিব৷ টাকা নিয়ে কোন চিন্তা করিস না। কিন্তু তুই কি করতে চাচ্ছিস?
— ওর ফেইসের সার্জারী। আমি ওর আগের রূপ ওকে আবার ফিরিয়ে দিতে চাই ভাইরা। তোরা আমাকে সাহায্য কর প্লিজ। (কান্না করতে করতে)

ওর বন্ধুরা সবাই আবিদকে শান্ত করার জন্য চেষ্টা করে। শুভ হঠাৎ আবিদকে বলে,

— দোস্ত আমাকে পাঁচ মিনিট সময় দে আমি একজনের সাথে কথা বলে তোকে জানাচ্ছি।
— আচ্ছা।

শুভ কিছুক্ষণ কথা বলে ওদের কাছে এসে বলে,

— সিঙ্গাপুরে অনেক বড়ো একটা ডাক্তার আছে। সে অনেক অভিগ্য। সে ময়ূরীকে আবার আগের মতো করে দিতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

আবিদ মুহূর্তেই অসম্ভব খুশি হয়ে শুভর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে আর বলে,

— ভাই তুই সত্যি বলছিস?
— হ্যাঁ ভাই হ্যাঁ। তুই আর চিন্তা করিস না।
— শুভ তাহলে তুই দ্রুত এ্যাপয়েন্টমেন্টা নে৷ আর আমি ওদের ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছি। (নিলয়)
— আচ্ছা।
— ভাই তোদের সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
— ভাই না আমরা সবাই। তোর পাশে সবসময় আছি। চিন্তা করিস না। (সালমান)

আবিদ এদিকে সব গুছিয়ে রাতে আবার ময়ূরীর বাসায় যায়। বেল দিতেই ওর বাবা দরজা খুলে। আবিদকে দেখে তিনিও কেঁদে দেন। আবিদ ওর বাবাকে ধরে বলে,

— আঙ্কেল কাদবেন না৷ খুশির খবর নিয়ে এসেছি।
— কি বাবা বলো বলো?
— আগে আণ্টি আর ময়ূরীর কাছে চলেন৷

আবিদ ময়ূরীর বাবাকে নিয়ে ময়ূরীর রুমে গিয়ে দেখে ময়ূরী মুখ ঢেকে বসে আছে। আর ওর মা নিঃশব্দে কাঁদছে। আবিদ বলে উঠে,

— আন্টি আর কাঁদবেন না৷ ময়ূরী আমি আবার এসেছি। কিন্তু এবার আর একা যাবো না৷ তোমাকে সাথে নিয়ে যাবো।

ময়ূরী অল্প একটু মুখ মানে চোখ বের করে আবিদকে দেখে। ওর বাবা আর মা অনেক অবাক হয়ে বলেন,

— বাবা কি বলছো তুমি? কোথায় আর কেন নিবে ওকে?
— আঙ্কেল ময়ূরীর পাসপোর্ট আছে?
— হ্যাঁ।
— তাহলে আর কোন সমস্যাই নাই। কাল রাতে ওকে নিয়ে আমি সিঙ্গাপুর যাচ্ছি। সেখানে অনেক বড়ো একটা ডাক্তার আছে। সে আপনাদের ময়ূরীকে ঠিক আগের মতো করে দিতে পারবেন। উনি অনেক বড়ো একজন সার্জারীর ডাক্তার।

ময়ূরীর বাবা-মা অসম্ভব খুশি হন আবিদের কথা শুনে। তারা যেন ঘোর অন্ধকারে মাঝে আলো খুঁজে পেয়েছেন তেমন খুশি হন৷ ময়ূরীর মা খুশিতে ময়ূরীর কাছে গিয়ে বলে,

~ মা শুনেছিস আবিদ কি বলেছে? ও তোকে আবার আগের মতো করে দিবে৷ তোর আর এই রুমের মধ্যে বন্দি থাকতে হবে না৷ তুই আবার দুনিয়ায় আলো দেখতে পারবি।
~ আমি চাই না৷ কিছুই চাই না আমি। আবিদ তুমি চলে যাও।
— এসব কি বলছিস মা?
~ বাবা আমি ভালো হইতে চাই না। এটা আমার শাস্তি। এই শাস্তি থেকে আমার পরিত্রাণ পাওয়ার কোন অধিকার নেই। তোমরা সবাই চলে যাও। প্লিজ চলে যাও। (চিৎকার করে কাদতে কাদতে বলল)

ময়ূরীর কথা শুনে আবিদ এবার যা করলো তা কেউ কখনো স্বপ্নেও ভাবে নি। আবিদ ময়ূরীর মাকে সরিয়ে দিয়ে ময়ূরীর কাছে গিয়ে জোরে একটা ধমক দিয়ে বলল,

— চুপপপ। একদম চুপ। অনেক সহ্য করেছি তোমার এই বেয়াদবি। আর একটা কথা বলবা না তুমি। আমি যা বলবো সেটাই হবে৷ নাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না। বুঝতে পারছো?

আবিদের রাগ আর ধমক শুনে ময়ূরীসহ ওর বাবা-মা ভয় পেয়ে যায়৷ ময়ূরীর চোখের দিকে আবিদ তাকিয়ে ছিল। ময়ূরী আস্তে করে ভীতু কণ্ঠে বলে,

~ তুমি যা বলবে তাই হবে৷

আবিদ ময়ূরীকে ওর বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। ওর বাবা-মা দুজন চোখের জল ছেড়ে দিয়ে হাসে। সেদিনের পর নদীর স্রোতের মতো অনেকটা সময় চলে যায়। প্রায় আটটি মাসের মতো। আজ ময়ূরী সেই আগের মতো হয়ে গিয়েছে। তবে আগের সেই চরিত্র আর ওর মধ্যে নেই৷ একটা নতুন জীবন ও একটা নতুন শিক্ষা নিয়ে শুরু করেছে। আবিদ পেরেছিল ময়ূরীকে আগের মতো করে দিতে৷ সাথে আরেকটি কাজও করেছে। সেটা হলো বিয়ে। আর কাউকে নয় ময়ূরীকেই। ময়ূরী এখন বঁধু সাজে আবিদের দামী বেডে বসে আছে। ও আজ সবচেয়ে বেশি খুশি। কারণ আবিদের কারণে ও নতুন একটা জীবন পেয়েছে। সাথে পেয়েছে অগণিত খুশি। ওর হৃদস্পন্দন ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে। একটু পরই আবিদ চলে আসে। রুমের দরজাটা দিয়ে আস্তে আস্তে ময়ূরীর কাছে এসে বসে ওর ঘোমটা তুলে মন ভরে ওকে দেখতে থাকে। ময়ূরী খুব লজ্জা পাচ্ছে। আবিদ বলে উঠে,

— আকাশের চাঁদটাকে দূর থেকে দেখে মনে মনে বলতাম, ইসস, চাঁদটাকে যদি কখনো ছুঁতে পারতাম। আজ বোধহয় সে স্বপ্নটা পূরণ হলো৷ আকাশের চাঁদটা আজ আমার সামনে বসে আছে। (ময়ূরীর গালে হাত রেখে বলল)

আবিদের কথা শুনে ময়ূরী অনেক খুশি হয়। সাথে কিছুটা দুঃখীও। কারণ এই আবিদকে একসময় ও অনেক কষ্ট দিয়েছে। ময়ূরী কান্নাসিক্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,

~ তুমি আমাকে মাফ করেছো তো?
— অনেককক আগেএএএএএ। নাহলে কি তোমাকেই আমি আমার জীবন সঙ্গিনী করতাম বলো?
~ জানো তুমি আমার আঁধার জীবনটাতে আলো হয়ে এসেছো। তোমাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিব আমি ঠিক জানি না।

আবিদ ময়ূরীর গাল দুটো ধরে বলে,

— আমি তোমার ধন্যবাদ চাই না৷ অন্য একটা জিনিস চাই দিবে?
~ সব দিব। শুধু একবার বলো?
— তোমার ভালবাসা। দিবে? খুব ইচ্ছে করে তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি। আর তুমিও আমাকে বাসো। বলো বাসবে?

ময়ূরী এবার কেঁদেই দেয়। আবিদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,

~ ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি। শুধু তোমাকেই ভালবাসি। অনেক অনেক বেশি।

আবিদ মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলে,

— আমার আঁধারের মাঝে এক অন্য তুমি।

— সমাপ্ত।

—-> একটা মানুষ হাজার খারাপ হতে পারে। তাই বলে আমরা তাকে ফেলে দিতে পারি না৷ তার সাথে ঠিক তেমনটা করতে পারি না যেমনটা সে একসময় করেছিল। তাহলে আমাদের মাঝে মনুষ্যত্ববোধটা আর রইলো কই। তাই আবিদও পারে নি ময়ূরীর মতো হতে। ও ময়ূরীর সবচেয়ে খারাপ সময়টায় ওর ঢাল হয়ে ওকে বাচিঁয়েছে। এবং ময়ূরীই যেহেতু ওর পছন্দের মানুষ ছিল তাই ওকেই জীবন সঙ্গিনী করেছে আবিদ৷ এটাই হলো একটা মহৎ চরিত্রের গুণাবলি। কিন্তু ও যদি ময়ূরীকে দেখে দূরে সরে যেত, তাহলে আবিদও সুন্দরের পূজারী বলে গণিত হতো। তাই আবিদ সরে যায় নি৷ ও ময়ূরীর পাশে ছিল। আছে এবং এখন থেকে সবসময়ই থাকবে৷ কারণ ওদের উভয় জীবনেরই আঁধারের মাঝে আলো ওরা দুজনেই।
কেমন লেগেছে পুরো গল্পটা জানাবেন কিন্তু। সে পর্যন্ত অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।

আবির খান।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here