আঁধারের_আলো পর্ব_৩

0
1866

আঁধারের_আলো
পর্ব_৩
#লেখাঃInsia_Ahmed_Hayat

আলো বাসা এসে নিজের রুমে চলে গেলো। গিয়ে সে অবাক রুমে শাওন বসে আছে। হয়তো তার অপেক্ষা করছে। আলো রুমের দিকে খেয়াল করে দেখলো মেঝেতে পড়ে আছে তার সব জামা কাপর।সব এলোমেলো হয়ে আছে। শাওনের দিকে একবার চেয়ে দেখলাম সে তার দিকেই চেয়ে আছে। আলো সেদিকে না তাকিয়ে জামা গুলো উঠও। জামার দিকে নজর গেলো। একি সব গুলো জামা দেখলাম। শাওনের দিকে তাকালাম। সে একটা হাসি দিয়ে বলল

শাওনঃ তুমি তোহ সেলাই ভালো পারো তাই ভাবলাম। জামা গুলো কেটে দেই তুমি না হয় সেলায় করে নতুন ডিজাইন করে নিবা। ওম তোমার সেলায় মেশিন টা যে দেখছি না।

মানুষ কতোটা খারাপ হলে এমন করতে পারে। আলোর সব জামা বের করে মাঝ দিয়ে এলোমেলো ভাবে কেটে দিয়েছে। এমনভাবেই কেটেছে যে কিভাবে জোড়া লাগাবে তাই ভাবছে।

আলোঃ আমার ভাই কাছ থেকে কতো টাকা নিয়ে এসেছেন।

শাওনঃ কেন টাকা তো দিয়েই আসলা। আর কি দরকার। কেমন ভাই তোমার বোনকে সামান্য টাকা দিতে পারে না। যাইহোক আমার কাজ আছে আমি দোকানে গেলাম।

বলে শাওন চলে গেলো। আলো জামা গুলোর দিকে চেয়ে আছে।এই জামাগুলো তার নিজের বানানো। নিজের টাকা দিয়ে বানিয়েছে৷ আর সাথে ননদ ও ননাসের দেওয়া উপহার ছিলো। বিয়ে পর এক সুতাও কিনে দেয়নি অথচ আমার সব গুলো জামা এইভাবে নষ্ট করে দিলো। আসলে জুয়াখোরদের কাছে কিছু আশা করাই বোকামি।
★★
সুই সুতা নিয়ে কাচি দিয়ে হালকা ঠিক করার চেষ্টা করছি।
★★

রাতে শাওন বাসায় আসলো। শীতের সময় বছরের শেষ। এই শীতে তাকে অপেক্ষা করতে হয় ১,২ টা পর্যন্ত। সারারাত জুয়া খেলে এরপর দোকান বন্ধ করে বাসায় আসে। কেউ কিছু বলেও না।
শাওনের হাতে বাজারের ব্যাগ দেখে মনে মনে বলল
“আজও নতুন শাস্তির ব্যবস্থা করেছে হয়তো”

শাওনঃ শোনো চালে গুড়া গুলো দিয়ে পিঠা বানাতে বসো কালকে আমার বোন আর ভাগিনাদের জন্য পিঠা নিয়ে যাবো।

আলো চুপচাপ শাওনের দিকে চেয়ে আছে। এরপর খাবার দিলো। খেয়ে শুয়ে পড়েছিল। আজকে ভাত নেই। রোজ রোজ ভাতের ঝামেলা ভালো লাগে না। দেখে গিয়েছিলাম ভাত আছে কিছুক্ষন আগেই রুপা এক প্লেট ভাত নিজের জন্য নিয়ে গেলো। এই মেয়ে রাত ৮ টায় একবার খেয়েছে আর ১২ টায় একবার খেয়েছে জানি না কেন এমন করলো। অন্য কেউ খাবে কি না সেদিকে খেয়াল নেই।এরপর চালে গুড়ো দিয়ে দুটি রুটি বানিয়ে খেয়ে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। আমিও মানুষ কাজের লোকের মতো এতো কাজ করতে পারবো না। রাতে মাছ নিয়ে আসবে, চালে গুড়ো নিয়ে আসবে। আমার দিকে কোনো খেয়াল নেই কারো শুধু হুকুমের উপর চলে।

কালকে রাতে একটা গার্লস গ্রুপে নিজের মনের না বলা দুঃক্ষের কথা গুলো শেয়ার করেছিলাম ফেক আইডি দিয়ে সেখানে দেখলাম আমার মতো অনেক বোন এমন অবস্থায় মুখ বুঝে সহ্য করছে। অনেকে আমায় অনেক সাহস দিয়েছে যা বাবা মারা যাওয়ার পর কেউ দেয়নি। এইভাবে এতো কাজ করতে করতে একদিন মরেই যাবো। তাই আজ সাহস করে নিজের জন্য কিছু করতে হবে। বাচ্চা হচ্ছে না এতে আমার কেন দোষ হবে কতো মানুষের দশ, বারো বছর ধরে বাচ্চা হয় না কই তারাও তোহ সংসার করছে। অনেকে বলল তাদের কারো ৬ বছর, ৮ বছর ধরে বাচ্চা হচ্ছে না কিন্তু বর সাপোর্ট দিচ্ছে। আল্লাহ না দিলে কি করার। দোয়া ছাড়া তোহ আর কোনো পথ নেই।

এইসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম। আজ মেঝেতে ঘুমাচ্ছি।শাওনের পাশে ঘুমাতেও কেমন যেন গা ঘিন ঘিন করছে।

সকালে শাওনের আগেই ঘুম থেকে উঠে কাজে লেগে গেলাম।

ঘুম থেকে উঠে শাওন চিল্লাচিল্লি করছে। আলো সেইদিকে কান না দিয়ে তার নিজের কাজ করছে। কাজ শেষ করে পিঠা বানাবে।

শাওনঃ তোমাকে না বলেছি রাতে পিঠা বানাতে। বানাওনি কেন।

আলোঃ কাজ সেরে বানাতো বসবো।( আর আমি মানুষ রোবট নই।আমারও ঘুমের প্রয়োজন আছে। নির্ঘুমে থেকে থেকে আমি এতো কাজ কেন করবো){ মনে মনে বলল}

শাওন আর কিছু বলল না চলে গেলো। এই সময় সে মুখ খারাপ করতে চাচ্ছে না। আর আজ আলোকে কেমন যে অন্যরকম লাগছে।

কাজ শেষ করে আলো রুপাকে ডাকছে।

আলোঃ রুপা ও রুপা এদিকে আসো।

রুপাঃ কি হয়েছে এতো ডাকাডাকি করছেন কেন?

আলোঃ বড় আপু আর ছোট আপুর বাড়িতে পিঠা পাঠাবো তাই আমার সাথে পিঠা বানাতে বসো।

রুপাঃ আমি পিঠা বানাবো কেন। আপনার ননাস, ননদ আপনি বানান। আমি পিঠা বানাতে পারিনা।

” তোহ কি পারেন বসে বসে অন্যের ঘরে খেতে পারেন। আর মানুষকে অর্ডার দিতে পারেন আর কূটনামি করতে পারেন তাই না।” (কেউ একজন বলল।)

আলোঃ সূচি আপু আপনি। এমা বললেন না যে আসবেন। ওনি(শাওন) গিয়ে নিয়ে আসতো। আসতে কি কোনো অসুবিধা হয়নি তো।

সূচিঃ না ভাবি। বড় আপাও আসছে ভাবি। ওইদিন তোহ চলে গিয়েছিলাম তাই আজ আসলাম শীতে বাচ্চারা নানীবাড়িতে আসবে বায়না ধরলো।

আলোঃ মা দেখে যান ছোট আপু এসেছে।(জোড়ে)
আলো খুশি হয়ে সূচির মালামাল ঘরে নিয়ে গেলো। রুপে মুখ বাকা করে ঘরে চলে গেল। এই সূচি আর সাথীর সাথে সে কথায় পারবে না তাই কথা বাড়ায় না।

শাওনের মাঃ কিগো মা আইসো তুমি। আসো। দেও আমার নাতীটারে দেও।

সূচি আপুর ১ বছরের ছেলেকে কোলে নিলো আর ৫ বছরের মেয়েকে সাথে নিয়ে ভেতরে গেলো।

শাওনের মাঃ আলো সূচিরে সরবত দেও। কতো দূর থেকে আইসে।
কিরে মা জামাই বাবু আসলো না। আর না কইয়া যে আইসো। আমারে ফোন দিলা না। কত কষ্ট কইরা আইসো শাওনের বাপেরে পাঠাইতাম হেয় নিয়া আইতো। তো বিয়ান সাব আর বিহাই সাব ভালো আছেনি।

সূচিঃ উনি(বর) ব্যস্ত মা তাই আসে নাই। আর সবাই ভালো। আচ্ছা বড় ভাই কোথায়।

আলো সরবত দিতে দিতে বলল
আলোঃ উনি আসতেছে দোকান বন্ধ করে। আর আপনি একা আসছে কিভাবে। কখন রওনা দিয়েছেন।

সূচিঃ আমার ভাসুর আর শ্বশুর মিলে আমাকে আর ভাবিকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছে। আমার জাও তার বাবার বাড়ি গিয়েছে আমিও আসলাম। যাক আমার বড় ব্যাগ টা দেও তোহ ভাবি।

সূচি তার ব্যাগ থেকে অনেক কিছু বের করলো। এরমাঝে শাওন এসে হাজির।
রুপাও কান পেতে ওদের সবার কথা শুনছে।

শাওনঃ তুই আসবি বললি না কেন। আমি গিয়ে নিয়ে আসতাম হলে।

সূচিঃ তোমাদের সারপ্রাইজ দিতে চলে আসছি।আচ্ছা সবার জন্য শীতে পিঠা নিয়ে এসেছি। সব ধরনের পিঠা বানিয়েছি কালকে।

শাওনের মাঃ সব গুলা তুই একলা বানাইছোত। এতো কষ্ট করলি কেন। তোর ভাই কালকে চালের গুড়া নিয়ে আসছে। বউরে কইছে রাতে বানাইতে বানায় নাই।(চোখ রাঙিয়ে আলোর দিকে তাকাল)
আলো চুপ করে আছে। সুচি সেই দিকে কান না দিয়ে। আলোকে বলল
লেখনিতেঃInsia Ahmed Hayat

সূচিঃ আলো ভাবি আমার জা আপনার জন্য পাটিসাপটা পিঠা বানিয়েছে।আপনার খুব পছন্দ তাই। গতবার আপনি তার পছন্দের আর আমার ননদের পছন্দের চিতই পিঠা ও দুধ চিতই পিঠা বানিয়ে পাঠিয়েছেন না৷ তারা যে কি খুশি তাই এইবার ননদ আর আমরা দুই জা মিলে পিঠা বানালাম। শাশুড়ী তোহ আমাদের জোড় দিয়ে বলল আপনার জন্য এইবার নিয়ে যেতেই হবে। খেয়ে দেখুন তোহ। এই সব পাটিসাপটা পিঠা আপনার।

বলেই হাতে পিঠা বক্সটা এগিয়ে দিলো। সবাই যেনো হালকা রাগী ভাব নিয়েই আছে। আলো হাসি মুখে বক্স নিয়ে নিলো। খেতে ইচ্ছে করছে কিন্তু সবাই চেহারা দেখে খেলো না।

আলোঃ পরে খাবো আপু। আপনি এখন রেস্ট নিন।

আলো সব কিছু গুছিয়ে রান্না ঘরে গেলো কিছুক্ষন পর বড় আপু চলে আসবে। আজ তাদের জন্য গরুর মাংস রান্না করবে আলো। গতবার তোহ খেতে পারলো না এভার ভালো করে রান্না করবে।

রান্না বান্না শেষ করলো। বড় আপাও চলে আসছে। গরুর মাংস রান্না করে শাশুড়ী আর শাওনকে হালকা টেস্ট করে লবন চেক করালো। সে এবার বলল যদি লবন / মরিচ বেশি হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিতে যে অন্য কেউ করেছে।

সাথী আপু ও তার দুই মেয়েও চলে এসেছে।
সবাই খাবার টেবিলে বসেছে। সাথী আপু রান্না করে নিয়ে এসেছে। উনি কাবাব আর পায়েশ বানিয়ে বাসা থেকে নিয়ে এসেছে। সবাই খাবার খাবে আলোকে তার শ্বশুর আর ননাস আর ননদ জোর করে বসিয়েছে। এতোদিন সবার শেষ এ খেতো কিন্তু আপুরা আসলে এক সাথে খায়। আলোকে নিজের বোনের মতো মনে করেন। ভাগ্য একটু হলেও ভালো তাই এমন বোনের মতো ননদ ননাস পেয়েছে। তারা সব সময় আলোর সাথে ভালো ব্যবহার করে। শুরুতে শাশুড়ীও ভালো ব্যবহার করতো কিন্তু বাচ্চা না হওয়ায় আর পাশের বাড়ির চাচীরা তাদের বউদের কথা বলে বলে এক সময় আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের পাত্রী বানিয়ে দিলো।সাথে রুপা তোহ আছে। বিয়ে পর থেকে এখানেই পড়ে আছে। ঈদের সময় ২ দিন নিজের বাড়ি থেকে দৌড়ে চলে আসে। আমার বর তাকে পাত্তা দেয় না তারপরও আমাদের পেছনে পড়ে আছে।

আপুরা ১০ দিন থেকে চলে গেলো।

অন্যদিকে

আঁধার এর রুমে ওর বড় বোন, মা,ভাবি বসে আছে। আঁধার চুপ করে আছে।

আঁধারের বোনঃ আমি সবাইকে সবটা বলে দিয়েছি আঁধার। আমি তোমকে আর এভাবে দেখতে পারছি না। ওই মেয়ে তোমাকে ছেড়ে অন্য কারো হয়ে গিয়েছে তুমি কেনো তার জন্য অপেক্ষা করছো।
সে তোহ ফিরবে না। সে তার স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত।

আঁধারঃ আপু ভালোবাসলে যে মিল হবে এমন তো নয়। আমাদের না হয় অমিলই থাক। আমরা ওর সাথে আমার শেষ দেখে ১৪ বছর আগে। যেদিন আমরা ওই এলাকা ছেড়ে এইখানে এসেছিলাম। এই ১৪ বছরে তার কথা আমি মূহুর্তে মূহুর্তে মনে করি তার হাসি৷ তার কথা সব। সে আমায় বদলে দিয়েছিলো আমার পাশে ছিলো। কিভাবে আমি তাকে ভুলতে পারি। আমাকে ভুলে যাওয়ার কথা বলো না প্লিজ। ১৪ বছরে অনেক চেষ্টা করেও তার দেখা পাইনি। তারপরও আমি তার জন্য অপেক্ষা করবো। কারন সে বলেছিলো। সে শুধু আঁধারের_আলো।

বলে ছাদে চলে গেলো।

★★
আঁধারের মাঃ আয়েশা(আধারের বোন) একবার আমাকে সব বলতা।

আয়েশাঃ কি বলতাম। আমি নিজেও জানতাম না তোমরা তো জানো আঁধার সহজে কাউকে কিছু বলতে চায় না। আর আমি আলোকে চিনি তাই আমাকে নিয়ে ওদের বাসায় গিয়েছিলো ৭ বছর আগে। অনেক চেষ্টা করেছে আলোর সাথে দেখা করার কথা বলার।কিন্তু আলো প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতো না। তার উপর ওর দাদী দেখা করতে দিতো না। আমি আর আধার বিয়ে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ায় বলেছে আঁধারের চাকরি নাই বয়স কম। দিবে না বিয়ে। আঁধার ৩,৪ বছরের সময় চেয়েছিলো সে কিছু না কিছু করবে কিন্ত কে জানতো ওর বিয়ে হয়ে যাবে। আমি অনেক খোজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। এখান থেকে অনেক দূরে হওয়ায় যেতেও সময় লাগে মা।আর আঁধার বলেছে ও তোমাদেরকে বলবে তাই আমি এতো বছর চুপ ছিলাম ভুলেই গিয়েছিলাম সেদিন আলোর কথা জিজ্ঞেস করায় বুঝতে পারলাম।

আঁধারের ভাবিঃ মা আপনারা কি আলো কে চেনেন কেমন দেখতে।

আঁধারের মাঃ হ্যা বউ মা চিনি ২০ বছর আগে আমি আর তোমার বাবা আমার তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে ওখানে আলোদের বাড়ি পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকতাম। তোমার বাবা কাজ করতো সেখানে। আর সেখানে আধারের সাথে পড় এক মেয়ে নাম তার আলো। একই স্কুলে একই ক্লাসে। আলোর সাথে দেখা হওয়ার পর আঁধার সারাদিন আমার সাথে আলোর কথাই বলতো।একটা কাহিনি এখনো আমার মনে আছে আলো ওকে বাচিয়েছে। ও নাকি রাস্তায় সবার সামনে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলো আশেপাশের বাচ্চারা হাসাহাসিতে আঁধার এর সেকি কান্না পাচ্ছিলো হঠাৎ নাকি একটা মেয়ে তার পাশে মাটিতে বসে পড়ে নিজের ড্রেসে হালকা কাদা মেখে তার দেখে আশেপাশের বাচ্চারা হাসি বন্ধ করে চলে যায়। এরপর আঁধারকে বাসায় দিয়ে নিজের বাসায় চলে যায়। আঁধার তখন থেকেই যখনই আলোকে দেখতো দৌড়ে ওর কাছে চলে যেতো। এই কাহিনি আধার আমাকে অনেক বার বলতো।

এইসব বলছে আর আধারের মায়ের চোখ ছলছল করছে। নিজের ছেলের মনের কথা বুঝতে পারেনি। ৫ বছর ওখানে থেকে এরপর ওর বাবার চাকরি চলে যাওয়ায় এলাকা ছেড়ে এখানে আসে ১৪ বছর হয়ে গেলো। আর এই ১৪ বছর আঁধার কতো শত বাহানা করে ওই এলাকায় গিয়েছে। আজ বুঝতে পারলো কেন গিয়েছে।

এভাবে অনেকদিন কেটে যায়। আলোর ভাই এর বউরে বাচ্চা হওয়ার সময় চলে এলো।

একদিন সকালে শাওন আলোকে বলছে

শাওনঃ আলো দোকানের মাল উঠাবো তোমার ভাই এর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাও তোহ।

আলোঃ কি বলেন আমার ভাই কোথা থেকে টাকা দিবে। আর কয়দিন পর ওর বউ এর ডেলিভারি আপনি জানেন না।

শাওনঃ হ্যা আমি কিছু চাইলেই এই সমস্যা সেই সমস্যা। আর বিয়ের সময়ও তোহ কিছু দেয় নাই। আমি আহামরি কি চেয়েছি যে দিতে পারবে না। আমাকে ধার দিতে বলো আমি ফেরত দিয়ে দিবো।

আলোঃ দেখুন এটা সম্ভব না এর আগেও আপনি আমায় না বলে ওর কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসেছেন। আমি পারবো না।

শাওন হালকা রেগে গেলো।
শাওনঃ শোনো নিজের কাপর চোপড় রেডি করো আমি তোমায় গাড়িতে উঠিয়ে দিবো। টাকা নিয়ে আসতে পারলে আসবা না পারলে আসার দরকার নেই। এমনিতেও তুমি কোনো কাজেরই না আমি আমাদের বিয়ের এতো দিন হয়ে গেছে বাবা হতে পারলাম না। আমি দোকানে যাচ্ছি এসে যেনো তোমার মুখ না দেখা লাগে। বলেই চলে গেলো।

আলো সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।

দুপুরে শাওন খাবার খেতে এসে দেখে আলো নেই। সারাবাড়ি খুজেও আলোকে পেলো না। ওর মাও বলল আলো নাকি চলে গেছে। এর মানে সত্যি চলে গেছে। যখন গিয়েছে টাকা নিয়েই আসবে। তাই সে মাথা ঘামালোনা।

বাবার বাড়ির দরজার দাড়িয়ে আছে আলো। আলোকে এভাবে এতো বড় ব্যাগের সাথে দেখে সবাই অবাক হয়ে চেয়ে আছে। আলোর দাদী বিরক্ত নিয়ে বসে আছে। হুট করে আলোর আসায় সবাই অবাক।

চলবে

( গল্পটা কেমন আমার লেখায় ভুল হলো আমার কোনো ধরনের ভুল হলে তা সুন্দর ভাবে আমায় বুঝিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ। আর কেউ কার্টেসি ছাড়া গল্প কপি করবেন না।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here