আজও_ভালোবাসি_তোমায়❤
Part_4,5
Writer_মাহিয়া_মিতু
Part_4
?
?
এভাবে আরো বেশ কিছু দিন কেটে যায়। এ কয়দিনে ফারহানের সাথে মিতুর কোনো যোগাযোগ হয় নি।সেদিনের পর থেকে ফারহান ও মিতুকে দেখলে এড়িয়ে চলে। মিতু এতে খুব কষ্ট পাই, কিন্তু কিছুই করার নয়, কারণ মিতু নিজই দায়ী এসবকিছুর জন্য, এটাই ওর মনে হয়।
তাই ওরা দুজন দুজনকে পাগলের মতো ভালোবেসে ও একে অন্যের কাছ থেকে অনেক দূরে শুধুমাত্র নিজেদের ইগোর কারণে।
সেদিনের পর থেকে মিতু যেন হাসতেই ভুলে গেছে। মিতুর অবস্থা দেখে দিনা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে যে মিতু ও ফারহান কে ভালোবেসে ফেলেছে, কিন্তু টিনার ওই কথা গুলোর জন্য মিতু ওর থেকে দূরে সরে এসেছে।
দিনা আর মিতুর এই কষ্ট সহ্য করতে পারছে না, তাই ও মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় যে ওকেই কিছু করতে হবে ওদের দুজন কে এক করার জন্য। তার জন্য ও একটা পরিকল্পনা করে।
আর পরদিন সকালে ও মিতুর আগেই ভার্সিটি চলে আসে, ওর কোনো বিশেষ কাজ আছে এটা মিতুকে বলে ও তাড়াতাড়ি চলে আসে, কারণ মিতুর সাথে থাকলে ও ওর কাজটা করতে পারবে না।
ও ভার্সিটি পৌঁছেই ফারহানকে খুজতে শুরু করে, আরো পেয়েও যায়, কারণ আজকে ফারহান ও তাড়াতাড়ি ভার্সিটি এসছিলো একটা জরুরি প্রয়োজনে।
দিনা ফারহানের সামনে যেয়ে দাঁড়ালে ফারহান ওকে দেখে খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে
—— আরে দিনা তুমি এখানে, কিছু বলবে
—– হ্যা, ভাইয়া, আপনার সাথে আমার খুব জরুরি কথা আছে।
—— আমার সাথে!! তা তোমার বান্ধবি যদি জানতে পারে যে তুমি আমার সাথে কথা বলেছো, তাহলে সেজন্য আবার তোমার সাথে জামেলা করবে না তো?
—– করতে পারে, এজন্যই তো আমি ওর আগে চলে এসেছি।
—— ওকে, বলো। কি বলবে।
—— এখানে নয় ভাইয়া। মিতু এসে দেখে ফেললে ও আমাকে মেরেই ফেলবে, প্লিজ আপনি আমার সাথে চলুন, অন্য কোথাও।
——?????
—— ভাইয়া, প্লিজ।
—— ওকে, চলো।
তারপর ওরা একটা কপিশপে গিয়ে বসে।
—— এবার বলো, কি বলবে।
—— ভাইয়া আসলে সেদিন মিতু আপনাকে যে কথাগুলো বলছে এগুলো ওর মনের কথা নয়, ও বাধ্য হয়ে আপনাকে একথা গুলো বলেছে।
—— মানে!!! কি বলতে চায়ছো তুমি।
—— ঠিকই বলছি, ভাইয়া। ও আপনাকে কথাগুলো বলাতে যতোটা না আপনি কষ্ট পেয়েছেন তার থেকেও বেশি কষ্ট ও পেয়েছে। কারণ ওহো আপনাকে ভালোবাসে।
—— হুহহহহ, আই আম সরি টু সে, বাট আমি তোমার কথা বিশ্বাস করতে পারছি না। ও যদি আমাকে ভালোই বাসতো তাহলে সবার সামনে আমাকে ওইভাবে বলতে পারতো না।
—– অনেক সময় চোখের সামনে যেটা ঘটে সেটা সত্যি হয় না, ভাইয়া। ঠিক তেমনি মিতুও সেদিন আপনাকে যেগুলো বলেছে সেগুলো সত্যি নয়।
—— মানে!!!
—— আপনি টিনাকে নিশ্চয়ই চেনেন, আমাদের ইয়ারে পড়ে।
—— হ্যা চিনি, ও আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে। আমাকে ও প্রোপজ ও করেছিলো একবার।
—— হুম, মিতু সেদিন যা কিছু বলছে সব ওই টিনার কথা শুনে বলতে বাধ্য হয়েছে।
——- মানে, কি বলছো তুমি, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না, প্লিজ ক্লিয়ার করে বলো।
—— হুম, বলছি। শুনুন তাহলে….
তারপর দিনা ফারহানকে সেদিন টিনা মিতুকে যা যা বলছিলো সবটা বলে দেয়।
সবশুনে ফারহান তো রেগে ভোম হয়ে গেছে, ওর চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে, চোখ দুটো দেখে মনে হচ্ছে এখুনি আগুন ঝরতে শুরু করবে।
—— কি!!!!!!! এতো বড় সাহস ওই টিনার। ওর জন্য ই এতকিছু হয়ে গেছে। ওকে তো আমি ছাড়বো না।
—— হ্যা, ভাইয়া। আর এজন্যই মিতু সেদিন আপনাকে এইকথা গুলো বলতে বাধ্য হয়েছিলো। এবার আপনিই বলুন মিতু ভুল ছিলো না ঠিক ছিল। একটা মেয়েকে যদি এভাবে কেউ তার চরিত্র নিয়ে এসব বাজে কথা বলে তাহলে তার আর এটা ছাড়া আর কিইবা করার থাকে বলুন।
—— হুম, আর কিছু বলতে হবে না আমাকে। এবার আমার কি করতে হবে আমি খুব ভালো করেই জানি। ডোন্ট ওয়ারি, এবার আমি সবকিছু ঠিক করে দেব।
তুমি শুধু দেখতে থাকো যে এবার কি কি হয়?
বলে ফারহান ওখান থেকে চলে আসলো আর দিনা ও ভার্সিটি ফিরে যায়।
ফারহান রাগে আগুন হয়ে কলেজের ভিতরে ঢুকে, ঢুকেই ওর মিতুর সাথে দেখা হয়।
ও মিতুকে কিছু না বলে আর ওকে ও কোনোকিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সোজা ওর হাত ধরে টেনে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করে।
মিতু ফারহানের এমন কাজে চরম অবাক হয়, ফারহান যে হঠাৎ করে এমন একটা কান্ড করে বসবে ও ভাবতে পারে নি।
ওর যখন হুস হলো যে ফারহান ওর হাত ধরে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, তখন ও নিজেকে ফারহানের থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলো, কিন্তু ফারহানের ওর দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকানো দেখে ও একদম ভয়ে চুপসে গেল, আর তাই কোনো কথা না বলে চুপচাপ ফারহানের সাথে যেতে লাগলো।
ফারহান মিতুকে নিয়ে সোজা টিনার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। টিনা ওদের দুজনকে একসাথে দেখে ভিষণ অবাক হয়, সাথে রাগ ও হয়, কিন্তু মুহূর্তেই ওর রাগ ভয়ে পরিণত হয় ফারহানের চোখের দিকে তাকিয়ে।
কারণ ফারহান অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। তারপর ও কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফারহান ওর গালে ঠাসসসস করে একটা চড় মেরে দেয়। চড় টা এত জোরে মেরেছিলো যে টিনা ছিটকে নিচে পড়ে যায়।
এরই মধ্যে দিনা ও চলে এসেছে, আর টিনাকে চড় মারতে দেখে ওর তো খুশিতে নাগিন ডান্স দিতে ইচ্ছা করছে☺।
মিতু সহ ওখানে উপস্থিত সকলে খুব অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ফারহানের দিকে।
ওর বন্ধু রা ও টিনা কে মারতে দেখে তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে ওকে জিজ্ঞেস করে
—— ফারহান কি করছিস তুই, পাগল হয়ে গেলি নাকি! ওকে মারছিস কেন?
——- আরে ও তো এটারই যোগ্য ?, জানিস কি করেছে ও।
——- ক ক কি করেছি আমি, যে আপনি আমাকে মারলেন।
——- কি করেছো বুঝতে পারছো না, তাই না।
—— না তো, কি বুঝবো আ আমি।
——- মিতুকে কি বলেছো তুমি ?
একথা শুনে টিনা খুব ঘাবড়ে যায়, তারমানে কি মিতু সব বলে দিয়েছে ওকে, সর্বনাশ, এবার কি হবে।
—— আ আমি ওকে কেন কিছু বলতে যাবো, আমি কিছু বলিনি, ওই আপনাকে আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে কি বলেছে দেখুন আমাকে ফাসানোর জন্য।
——- মিতু আমাকে কিছু ই বলে নি। আমি নিজে সবটা জেনেছি, এখন ভালোই ভালোই সব সিকার কর নাহলে তোমাকে কিন্তু আমি
——- না না! আমাকে আর মারবেন না, আমি বলছি।
——- হুম বলো।
——- আমিই সেদিন মিতু কে অনেক বাজে কথা বলেছিলাম এজন্য ও সেদিন আপনার সাথে ওরকম ব্যবহার করেছিলো।
—— আজকে সবার সামনে তুমি ওর কাছে ক্ষমা চাইবে, নাহলে
——- ন না, আ আমি ওর কাছে ক্ষমা চাইবো।
বলে মিতুর সামনে যায়।
——- মিতু আমার ভুল হয়ে গেছে, প্লিজ তুমি আমাকে মাপ করে দাও ?
বলে ওর পা ধরতে যায়।
—— আরে আরে কও করছো ওঠো বলছি।
——- আগে বলো তুমি আমাকে মাফ করেছো।
—— হুম, করেছি, তুমি যাও।
——- ঠিক আছে, তাহলে আমি আসি?
——- হুম।
তারপর টিনা আর ওর বন্ধু রা ওখান থেকে চলে আসে আর এদিকে ফারহান মিতুর সামনে যেয়ে ওকে ঠাসসসসসস?
.
.
চলবে………
#আজও_ভালবাসি_তোমায়❤
#Writer_মাহিয়া_মিতু
#Part_5
?
?
মিতু গালে হাত দিয়ে অবাক চোখে ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে। মিতুকে ও মারতে দেখে দিনা সহ ওর বন্ধু রা ও খুব অবাক হয়।
ওরা এগিয়ে এসে বলে
—– আরে ফারহান কি করছিস ভাই, মিতুকে ও মারছিস কেন!!!
—– তো কি করবো, ওকে তো শুধু একটা চড় মেরেছি, ইচ্ছা তো করছে ওকে খুন করে ফেলতে?
—— আমি আবার কি করলাম??
—— কি করেছো মানে, এসব কথা এতোদিন আমার কাছ থেকে লুকালে কেন, স্টুপিড কোথাকার?
—–????
——- তোমার কোনো ধারণা আছে এই কয়দিন আমার কিভাবে কেটেছে, তোমার সাথে একটা দিন কথা না বলে, তোমায় না দেখলে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, আর তুমি ইচ্ছা করে আমার থেকে এতো দূরে থেকেছো।?
——- কিন্তু আমি ইচ্ছা করে কিছু করিনি, আমি তো
——- অফকোর্স ইচ্ছা করে করেছো, তুমি যদি সেদিন আমাকে সবটা বলতে তাহলে আজ এদিন দেখতে হতো না, স্টুপিড। ?
মিতু আর কিছু বললো না। কারণ ও বুঝতে পারছে যে ওর ফারহান কে সবটা বলা উচিৎ ছিলো, আর এখন কিছু বললে যদি আবার চড় মারে,?, তাছাড়া ফারহানের এই রাগী চেহারার দিকে তাকিয়ে মিতুর যেন হাত পা কাঁপছে, কারণ ফারহানের এই ভয়ংকর রুপ ও আগে কোনোদিন দেখে নি। এ যেন এক নতুন ফারহান কে দেখছে ও।
——– কি হলো, এখন চুপ করে আছো কেন।
——- সরি?, আর কোনো দিন এমন হবে না, আমাকে আর মারবেন না প্লিজ ?।
মিতুর এমন কথা শুনে ফারহানের সব রাগ যেন এক নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো। মিতুর এই ভিতু ভিতু চেহারা দেখে ওর খুব হাসি পাচ্ছে কিন্তু তবুও ও মুখে গম্ভীর ভাবে এনে বললো
——মনে থাকবে তো। আর কখনো আমার কাছে কিছু লুকাবে না তো।
——– একদম না।
——– ইয়াহুহহহহ, সব তো ঠিক হলে কিন্তু দোস্ত তুই তো ওকে প্রোপজ ও করলি না।এই নে ফুল আজকে সবার সামনে তুই মিতুকে প্রোপজ করবি, নে ধর।
ফারহান ও হেসে ওদের হাত থেকে ফুল টা নিয়ে হাঁটু গেড়ে মিতুর সামনে বসলো।
মিতুর তো লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু এই ছেলে দেখো কি সুন্দর সবাই বলার সাথে সাথে বলা শুরু করলো, কেমন ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে, যেন ওর আশেপাশে আর কেউ নেই।
তারপর ফারহান বলা শুরু করলো
——– জানিনা লোকে কিভাবে তার ভালোবাসা, অনুভূতি প্রকাশ করে, আমি এতো সাজিয়ে গুছিয়ে বলতে পারি না। আমি শুধু জানি প্রথম দেখাতে তুমি আমার হৃদয়ে যে ঢেউ তুলে দিয়েছো, তাতে তোমাকে না দেখে আমি একমুহূর্ত থাকতে পারবো না, বাঁচতে পারবো না আমি তোমায় ছাড়া, তোমায় ভালোবাসার জন্য আমার কাছে কোনো কারণ নেই, আমি শুধু এটা জানি তোমায় ছাড়া আমি নিশ্বাস ও নিতে পারি না, যার জন্য আমর তোমাকে প্রয়োজন, আমার প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর করতে তোমায় প্রয়োজন, মরে যাবো আমি তুমি হিনা, তাই আমার সুখ দুঃখ সবকিছু তেই তোমাকে প্রয়োজন, হবে কি তুমি আমার সুখ দুঃখের সাথি, থাকবে কি সারাজীবন আমার সাথে।
মিতুকে অবাক চোখে ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে আর এদিকে সবাই মিতুকে হ্যা বলতে বলছে।
তারপর মিতু মিষ্টি হেসে মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানিয়ে ওর হাত থেকে ফুল টা নিয়ে, আর ফারহান ও একটা তৃপ্তির হাসি দিয়ে উঠে দাড়ায় তারপর সবার সামনে মিতুর যে গালে চড় মেরেছিলো সেই গালে কিস করলো। মিতু তো লজ্জায় শেষ, কি শুরু করলো এই ছেলেটা।
——- সরি, তখন চড় টা মারার জন্য।
এদিকে সবাই হাত তালি দিয়ে ওদের দুজন কে বাহোবা জানাচ্ছে।
এই ঘটনা গুলো দূর থেকে একজন দেখছে আর রাগে ফুসছে। সে আর কেউ নয়, টিনা।
——-টিনা তুই এতো অপমান মুখ বুঝে সহ্য করলি। কিছু ই বলবি না ওদের।
——- হ্যা টিনা তৃশা তো ঠিকই বলেছে, তুই সব কিছু এতো সহজে মেনে নিবি।
——- দাড়া না, কে বললো আমি সব কিছু মেনে নেবো। আমার এই অপমানের প্রতিশোধ তো আমি নিবোই, আমাকে অপমান করা তাই না, ওদের জীবন টাকে যদি নরক বানাতে না পেরেছি, তাহলে আমার নাম ও টিনা নয়।?
তারপর ওরা সবাই ওখান থেকে চলে আসে।
মিতু বাড়ি এসে আজ খুব খুশি খুশি লাগছে ওকে, ওর এখনো বিশ্বাস ই হচ্ছে না এসব। ওর শুধু বারবার ফারহানের কথা ই মনে পড়ছে।
মিতুর বাবা মা ও এতোদিন পর মেয়েকে খুশি দেখে ওরা ও খুব খুশি। কারণ একয়দিনে ওরা মিতুকে হাসি তো দূরে থাক প্রয়োজন ছাড়া ওদের সাথে একটা কথা ও বলে নি। এই নিয়ে ওর বাবা মা দুজনেই খুব টেনশনে ছিলো, কারণ একমাত্র মেয়ে বলে মিতুকে ওরা অনেক যত্নে মানুষ করেছে, কখনো কোনো কষ্ট পেতে দেয় নি।
আর সেই মেয়ের কি এমন হলো যে সে এতোটা চুপ হয়ে গেছে, মুখে হাসি নেই এই নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলো।
কিন্তু আজ এতোদিন পর মেয়েকে আবার আগের মতো হাসি খুশি দেখে ওরা ও খুব খুশি।
মিতু রাতে ওর ঘরে বসে পড়ছিলো তখন ওর বাবা আসলো
——-মামনি, আসবো।
—— হ্যা বাবা।এসো, এতে পারমিশন নেওয়ার কি আছে?
মিতুর বাবা হেসে মেয়ের পাশে যেয়ে বসলো।
—— কিছু বলবে আব্বু।
——– তেমন কিছু না, দেখতে এলাম আমার মা টা কি করছে।
——- ওওওওও☺
——- তবে আজকে আমার মামনি যেন খুব খুশি।
——- হ্যা বাবা, আজকে আমি সত্যি ই খুব খুশি।
——- খুশি হলেই ভালো। আমরা ও চায় যে তুমি সব সময় এরকম হাসি খুশিই থাকো, তোমার কোনো কিছু তে মন খারাপ হবে, কষ্ট পাবে এটা যে আমরা সহ্য করতে পারবো না মা।
তুমি এখন বড় হয়েছে, তাই তোমার সব কিছুতে ইন্টারফেয়ার করতে পারি না আমরা, তাই সব কিছু জানতেও চায়বো না যে কেন এতোদিন তোমার মন খারাপ ছিলো, যদি তোমার বলতে তোমার বলতে আপত্তি থাকে।শুধু এটুকুই বলবো সব সময় এরকম হাসি খুশি থেকো মা, আর কোনো সমস্যা হলে নিদ্বিধায় আমাদের সাথে সেয়ার করতে পারো মা, ছোট বেলা থেকে তোমার কোনো ইচ্ছা ই অপূর্ণ রাখিনি, আর ভবিষ্যতে ও চেষ্টা করবো, হুম।
——– হুম, আমি জানি বাবা, তুমি আমার সব ইচ্ছাই পূরণ করবে, আমার বাবা মা পৃথিবীর বেস্ট ☺, আই লাভ ইউ বাবা। বলে ও ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে।
——– লাভ ইউ টু সোনা।
এবার পিছন থেকে ওর মা এসে বলে
——- বাহ বাহ, বাবা মেয়ের কি ভাব দেখো, আর আমি যেন বানের জলে ভেসে এসেছি, আমাকে কেউ ভালোই বাসে না। ?
——— আরে মাদার বাংলাদেশ, রাগ করছো কেন আমি তোমাকে ও ভালোবাসি কিন্তু বাবার থেকে একটু কম
—— এ্যাএএএএ
——- হা হা হা, লাভ ইউ মা। আমি তোমাদের দুজন দুজনকে ই খুব ভালোবাসি?।
তারপর ওরা ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে উঠে আবার কলেজে যায়, ফারহানের সাথে ঘোরাঘুরি, এভাবেই বেশ অনেক দিন কেটে যায়। আর এদিকে…..
.
.
.
চলবে….