আজও_ভালোবাসি_তোমায়❤
Part_8
Writer_মাহিয়া_মিতু
?
?
—– ফারহান,আপনি প্লিজ এখান থেকে চলে যান?।
—– ওয়াট, কি বলছো তুমি এসব, তুমি চাও না যে আমাদের বিয়েটা হোক, পারবে তুমি আমাকে ভুলতে।
—— দেখুন আমি জানি যে আপনি আমাকে কতোটা ভালোবাসেন, আর আমি ও আপনাকে খুব ভালোবাসি?, তাই চায়লেই কখনো আপনাকে ভুলতে পারবো না, আর না তো কখনো আপনার জায়গায় অন্য কাউকে বসাতে পারবো। কিন্তু আমি আমার বাবা মাকে ও খুব ভালোবাসি, তাই ওদের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না। পৃথিবীতে সবার ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না ফারহান,হয়তো আমাদের ভালোবাসা ও পাবে না, মেনে নিন না যে এটা হয়তো আমাদের ভাগ্যে লেখা ছিলো। দূরে থেকে ও ভালোবাসা যায়, আমরা এক হতে পারলাম না তো কি হয়ছে, দূর থেকে না হয় একজন আরেকজন কে ভালোবেসে যাবো।
কিন্তু তবুও আমাদের জন্য তো আর কাউকে কষ্ট পেতে ও হবে না, আর না তো কেউ কারো কাছে ছোটো হবে, এটাই বা কম কি বলুন।
আমাদের সুখের কথা এরা কেউ ভাবছে না তো কি হয়েছে আমরা তো এদের সম্মানের কথা ভেবেছি।
আপনি আমি এক না হয়ে আলাদা হয়ে গেলে তাতে আমাদের বাবা মা খুশি হয় তাহলে তো আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়ায় ভালো, তাই না বলুন।?
তাই আমাদের ভালোবাসার কসম আপনাকে,প্লিজ, এখান থেকে চলে আর কোনো দিন ও এখানে আসবেন না, প্লিজ ?
——- মিতু!!!!!
——- প্লিজ, ফারহান। আপনি চলে যান এখান থেকে ?
——- বেশ, আমি তোমার কথায় রাখবো, চলে যাচ্ছি আমি আর কখনো ভালোবাসার দাবি নিয়ে তোমার সামনে আসবো না, বাই। ভালো থেকো।
বলে চোখের পানি মুছতে মুছতে ফারহান বেরিয়ে যাবে তখনই মিতুর বাবা ওকে পিছন থেকে ডাক দেয়।
—— দাড়াও।
উনার কথা শুনে ফারহান দাঁড়িয়ে যায় আর পিছন ফিরে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকায়।
তারপর মিতুর বাবা বসে থেকে উঠে প্রথমে মিতুর দিকে এগিয়ে যায় আর বলে
—— নিজের ভালোবাসা বির্সজন দিয়ে বাবা মায়ের কাছে মহান হতে চায়ছিস মা, এতোটা পাষাণ মনে হয় তোর আমাকেে যে আমি আমার একমাত্র মেয়েকে সারাজীবন কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে দিবো, ওরে এতোটা খারাপ আমি নয় রে মা।
আমি কখনো চায়নি তোদের সম্পর্কের মাঝে বাঁধা সৃষ্টি করতে শুধু মাত্র ওর বাবার কথায় আমি পিছিয়ে এসেছিলাম, এছাড়া আর কি বা করতাম আমি বল মা।
কিন্তু আমি এতোটাও পাষাণ না, যে আমার মেয়ে আমার সামনে এভাবে কষ্ট পাবে সেটা আমি চেয়ে চেয়ে দেখবো।
আমি যে তোকে খুব ভালোবাসি মা, তোর কষ্ট আমি দেখতে পারবো না, আমি জানি তুই যতই মুখে এসব বলিস না কেন, ফারহান কে ছেড়ে তুই থাকতে পারবি না, এটা আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি মা।
তাই আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফারহান, বাবা এদিকে এসো।
মিতুর বাবার কথায় ফারহান এগিয়ে এসে ওদের পাশে দাড়ায়। তারপর মিতুর বাবা মিতুর হাতটা ফারহানের হাতের উপর দিয়ে বলে
—— আমি আমার মেয়ে কে আজ তোমার হাতে তুলে দিলাম, আমি জানি তুমি ওকে খুব ভালো রাখবে সেই ভরসা তেই নিঃ সংকোচে আমি আমার জানটা আজ থেকে তোমার কাছে দিলাম, দোয়া করি তোমরা খুব সুখি হও।
তারপর কিছু সময় থেমে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে মিতুর বাবা আবার বলতে শুরু করে
——তুমি মিতুকে নিয়ে যাও, আর আবার সেদিনই তোমরা আমাদের কাছে ফিরে আসবে যদিন তোমার বাবা মা তোমাদের মন থেকে মেনে নেবে।তার আগে নয়।
একথা শুনে ওরা দুজনই সহ মিতুর মা ও অবাক চোখে উনার দিকে তাকিয়ে থাকে।
—— আব্বু, কি বলছো তুমি এসব!!! আমি তোমাদের ছেড়ে! যদি উনারা কোনোদিন মেনে না নেয়। না! আমি পারবো না তোমাদের কে ছেড়ে থাকতে।?
——- হ্যা সত্যি ই তো তুমি এসব কি বলছো, ও আমাদের একমাত্র মেয়ে, ওকে ছাড়া আমরা কিভাবে থাকবো। যদি উনারা সত্যি ই মিতুকে মেনে না নেয়।?
——- আন্টি, প্লিজ আপনি এভাবে কাদবেন না, আমার বিশ্বাস আমার বাবা যতই মুখে এসব বলুক না কেন, আমার বিশ্বাস একদিন ঠিক উনি আমাদের কে মেনে নেবে, বেশি দিন রাগ করে থাকতে পারবে না।
মিতু তুমি আমার উপর ভরসা রাখতে পারো, আমি বলছি সব ঠিক হয়ে যাবে, আপনার কথা আমি মেনে নিলাম আংকেল, আমি সেদিনই মিতুকে নিয়ে আপনার সামনে আসবো যদিন আমার বাবা আমাদের কে মেনে নেবে।
—— কিন্তু আমি পারবো না আমার আব্বু আম্মু কে ছেড়ে থাকতে ?।
——- মিতু মা, দেখ সব সময় সবকিছু সবদিক থেকে পরিপূর্ণ হয় না, তোকে ছেড়ে থাকতে আমাদের ও খুব কষ্ট হবে, কিন্তু আমি যে নিরুপায় মা, তুই কি চাস যে কেউ তোর বাবার দিকে আংগুল তুলুক।
——- না বাবা?
——হুম, ঠিক তেমনি আমি ও চায় না তুই তোর ভালোবাসা কে বির্সজন দিস, ভালোবাসার কাছে যতো বাধায় আসুক না কেন, সেটা অতিক্রম করতে হয়, পিছিয়ে আসতে নেই। আমাদের কথাই ভাব তোর মাকে যখন আমি নিয়ে এসেছিলাম কেউ মেনে নেয় নি আমাদের কিন্তু পরে কিন্তু ঠিক ই মেনে নিয়েছে। সেজন্য ই আজ আমি তোদের কে এভাবে যেতে বলছি, কারণ আমার ও বিশ্বাস ফারহানের বাবা মা তোকে একদিন ঠিক মেনে নেবে, আমার মেয়েটা যে এরকম সে সবার মন জয় করতে সক্ষম, তোর থেকে মুখ ঘুরিয়ে কেউ বেশিদিন থাকতে পারবে না মা। আমি জানি তুই ঠিক পারবি ওদের মন জয় করতে।
আমি তোকে অনুমতি দিচ্ছি তুই তোর ভালোবাসার মানুষের সাথে যা মা।আর দোয়া করি তোরা যেন খুব ভালো থাকিস।
——- আব্বু ?????
মিতু ওর বাবা মাকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাদলো, তারপর অবশেষে ওরা বাবা মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলো।
ফারহান আগে থেকে বন্ধু দের বলে দিয়েছে তাই ওরাও বিয়ের সব ব্যবস্তা করে রেখেছে।
তারপর ফারহান মিতুকে নিয়ে কাজী অফিসে যায়, যাখানে আগে থেকে ই নয়ন, রোহান সহ ফারহানের সব বন্ধু রা উপস্থিত ছিল, আর মিতু যেতে যেতে দিনাকে ও বলে ছিলো,এজন্য দিনা ও সেখানে চলে আসে কারণ তার বেস্টুর বিয়ে, আর সে থাকবে না তা কি হয়।
তারপর ওরা ওখানে পৌঁছায়, এবং সুষ্ঠু ভাবে ওদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আর ফারহান এবং মিতু দিনা আর ফারহানের বন্ধু দের থেকে বিদায় নিয়ে সোজা ফারহান দের বাড়িতে আসে।
ফারহানের বাবা মা তখন ড্রয়িং রুমে বসে ছিলো।
তখনই ফারহান কে এভাবে মিতুকে সাথে করে নিয়ে আসতে দেখে খুব অবাক হয় সাথে ফারহানের বাবা খুব রেগে ও যায়। তারপর উনি ফারহান কে উদ্দেশ্য করে বলে
——-এসব কি ফারহান এই মেয়েটা এইভাবে এখানে নিয়ে এসেছো কেন আর তুমি দেশেই বা কখন ফিরলে, কই আমাকে তো কিছুই বলোনি।
——- তোমার সব কথার উত্তর আমি দেবো, তার আগে এটা বলি যে মিতুকে আমি এভাবে এখানে নিয়ে এসছি কারণ আমি ওকে বিয়ে করেছি, আর বিয়ের পর মেয়েরা তার স্বামীর সাথে শশুড় বাড়িতে ই আসবে সেটা সাভাবিক তাই না।
——– ওয়াট!!!!!! তুমি ওকে বিয়ে করেছো মানে।
——– এভাবে রিয়েক্ট করছো কেন বাবা, আমি তো তোমাকে বলেইছিলাম যে আমি ওকে ভালোবাসি তাহলে এতোটা হাইপার হচ্ছো কেন। আর তুমি ও তো বলেছিলে যে তোমার কোনো আপত্তি নেই তাহলে।
——- তাই বলে তুমি ওকে এভাবে বিয়ে করবে এটা আমি মেনে নেব তুমি ভাবলে কি করে?
——– এভাবে বিয়ে করেছি বলে তোমার সমস্যা নাকি তুমি ওকে মানতেই পারো নি, তুমি চাওই না যে আমি ওকে বিয়েটা করি সেজন্য।
——- তারমানে
——- হুহহ, আর মিথ্যা বলে লাভ নেই আব্বু, তুমি ওর বাবাকে যা যা বলেছো সবটাই আমি শুনেছি।
——– ও এখন আমাদের থেকে ওই মেয়েটা তোমার কাছে বেশি ইম্পরট্যান্ট হলে গেল যে ওরা যেটা বলেছে সেটা তুমি বিশ্বাস করবে।
——– ওরা আমাকে কিছু বলে নি বাবা, আমি নিজে থেকে ই জেনে, এখন তুমি বলতো আমি যা শুনেছি সেগুলো সত্যি কিনা।
——– হ্যা, সত্যি। আর আমি এখনো বলছি এই মেয়েটা ভালো না, তুমি একটা খারাপ মেয়ের পাল্লায় পড়েছো ফারহান, আমি কখনো এই মেয়েকে এ বাড়ির বউ হিসেবে মেনে নেব না, তাই বলছি ওকে চলে যেতে বলো।
মিতু শুধু এসব শুনছে আর চোখের পানি ফেলছে।
—— সরি আব্বু, ও কোথাও যাবে না, ও শুধু এখন আমার ভালোবাসাই নয় বরং আমার বিবাহিতা স্ত্রী।আর কি বললে ও খারাপ মেয়ে, ওকে আমি খুব ভালো করেই চিনি, আর নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করি, তুমি না জেনে এসব বলতে পারো না।
—— তারমানে তুমি আমার কথা শুনবে না, আমাদের থেকে ওই মেয়েটা তোমার কাছে বেশি বড় হয়ে গেলো।
—— আব্বু তুমি কিন্তু আমাকে ভুল বুঝচ্ছো, তোমরা যেমন আমার বাবা মা ও তেমনি আমার বউ, তোমরা সবাই আমার কাছে সমান ইম্পরট্যান্ট। আমি ওকে ছাড়তে পারবোনা।
——– ওকে বেশ তাহলে তুমি ও এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাও। আজ থেকে আমি জানবো আমার কোনো ছেলে নেই।
—— আব্বু!!!!!
——– এসব তুমি কি বলছো, ও এ বাড়ি থেকে চলে যাবে মানে, কেন বলছো এসব, মেনে নাও না ওদের?।
——– কখনো না, এই মেয়েকে আমি কখনোই মেনে নেবো না, তোমার ছেলে কে বলে দাও ও যদি কখনো ওই মেয়ে কে ছাড়তে পারে সেদিন ই ওর এই বাড়িতে জায়গা হবে আর নয়তো চির দিনের জন্য এ বাড়ির দরজা ওর জন্য বন্ধ।
—— ওকে, বেশ। আমি চলে যাচ্ছি। আসবো না আর তোমার বাড়ি।
——– এসব তুই কি বলছিস বাবা, মাকে ছেড়ে চলে যাবি, তোর কষ্ট হবে না।?
——–আমি তো যেতে চায় নি মা, বাবায় তো আমাকে চলে যেতে বললো।
——- ওগো, তুমি কিছু বলো না দেখো ও চলে যাচ্ছে ওকে আটকাও, এই ফারহানা, বোঝানা মা তোর বাবা কে দেখ তোর ভাই চলে যাচ্ছে ?
——- বাবা, তুমি কেন এমন করছো, মেনে নাও না ওদের।
ওদের কে দেখে মিতুর ও খুব খারাপ লাগছে ওর মনে হচ্ছে যা হচ্ছে সব কিছুর জন্য ও দায়ী। তাই ও বললো
——– কাউকে কোথাও যেতে হবে না, আমার জন্য ই যখন সব হচ্ছে আমিই চলে যাচ্ছি, আমার জন্য আপনাকে নিজের বাবা মাকে ছেড়ে থাকতে হবে না ফারহান।
—— মিতু! কি সব বলছো। তুমি জোর করে এখানে আসো নি, আমি নিয়ে এসছি তোমায়। তাই এ বাড়ি তে তোমার যখন কোনো জায়গা নেই আমি ও চায় না এ বাড়ি থাকতে, চলো এখান থেকে।
——- ফারহান, বাবা পাগলামি করিস না, তোর বাবা তো রাগের মাথায় এসব বলছি, একটু পরে আবার রাগ পড়ে গেলে দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। তুই চল তো ভিতরে চল।
—— আমি রাগের মাথায় বলিনি যা বলেছি ঠান্ডা মাথায় ভেবে চিন্তেই বলেছি, এই মেয়েকে আমি এ বাড়ি তে জায়গা দেব না, আর তোমার ছেলে যদি ওকে ছাড়তে না পারে তাহলে ওর ও এখানে কোনো জায়গা নেই।
——- দেখলে তো মা, এবার কি বলবে। ভালো থেকো তুমি আর নিজের খেয়াল রেখো, আসি।
——- ভাই ?
——– আসছি আপু, মায়ের খেয়াল রাখিস, বাই। বাই মা।
বলে চোখের পানি মুছে মিতুকে নিয়ে বেরিয়ে এলো।তারপর নয়ন কে ফোন করে সব বললো।
নয়ন ওর অন্য বন্ধু দের সাথে নিয়ে ওদের থাকার জন্য একটা ঘর ঠিক করলো।
ফারহান মিতুকে নিয়ে সেখানে যায়ে উঠলো। ওরা বন্ধু রা ওদের রাতের খাবার টা ও কিনে দিয়ে ওদের কে বুঝালো যেন ওরা ভেঙে না পড়ে, ওরা সবাই ওদের সাথে আছে, কোনো অসুবিধা হবে না ওদের। তারপর ওরা আবার সকালে আসবে বলে ওদের থেকে বিদায় নিয়ে ওখান থেকে চলে আসে।
ওরা চলে আসার পর মিতু যেয়ে ফারহানের পাশে বসে আর বলে
——- খুব কষ্ট হচ্ছে আপনার তাই না, আজ আমার জন্য আপনাকে আপনার বাবা বাড়ি থেকে বের করে দিলো?
—— মিতু, তুমি আবার এসব বলছো। তুমি ও তো আমার জন্য নিজের পরিবার ছেড়ে এসেছো, তাহলে আমি কেন পারবো না। এসব নিয়ে একদম মন খারাপ করবে না, দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে, কোনো কষ্ট পেতে দেবো না আমি তোমায়।এখন শুধু একটা চাকরি ম্যানেজ করতে হবে।
সেদিন এভাবে কেটে যায়, পরের দিন সকালে আবার ওর বন্ধু রা সকালের খাবার সাথে করে নিয়ে ওদের বাসায় আসে।
ফারহান তা দেখে বলে
——– আমাদের জন্য তোদের ও বড্ড অসুবিধায় ফেলে দিলাম তাই না রে।
এটা শুনে রোহান তো রেগে গিয়ে বলে
——- শালা আর একবার একথা বললে না, তোর কি অবস্থা করবো তুই ভাবতে ও পারবি না?
——- হ্যা, রোহান ঠিক বলেছে। আরে তুই এসব কি বলছিস রে ভাই। ছোট থেকে আমরা একসাথে বড় হয়েছি, আমরা শুধু বন্ধু ই নয়, আপন ভাইয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়, আর ভাই হয়ে ভাই য়ের জন্য এগুলো করবো না তা কি করে হয় বলতো।
——– সত্যি তোদের মতো বন্ধু পেয়ে আমি খুব লাকি, আজ যদি তোরা না থাকতিস তাহলে কি যে হতো।
এবার নয়ন বলে ওঠে
—— ধুর মিয়া এসব বাদ দে তো, আচ্ছা শোন তোকে চাকরির জন্য ও কোনো টেনশন করতে হবে না, আমি আমার ভাইয়া কে বলে সব ব্যবস্তা করে রেখেছি, ভ্যাগিস কাল কথা টা ভাইয়া তুলেছিলো, কাল এখান থেকে যেয়ে শুনি ভাইয়া বলছে ওর অফিসে লোক নিবে, ভালো পদ, সেলারি ও ভালো। তাই আমি তোর কথা বলেছি। আর ভাইয়া ও রাজি। ভাইয়া বলেছে সব ব্যাবস্তা ভাইয়া করে রাখবে তুই শুধু কাল থেকে জয়েন করবি।
একথা শুনে ফারহান মিতু দুজনেই খুব খুশি হয়।
——— সত্যি ই তোরা না থাকলে আমি এতোটা এগোতে পারতাম না রে।
——– আরে মামা, এখন এসব চিন্তা বাদ দিয়ে বউয়ের সাথে চুটিয়ে প্রেম করতো তো, যেন বছর না ঘুরতেই সু সংবাদ এসে যায়।
রোহানের কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো, মিতু তো লজ্জায় শেষ।
এভাবে ওদের সময় গুলো এবার খুব ভালো ভাবে কেটে যাচ্ছে। দুজনের ভিতরেই নিজের পরিবার কে ছেড়ে থাকার কষ্ট টা আছেই, তারপর ও এতো কিছু পার করে যে ওরা এক হতে পেরেছে এটা নিয়ে ওরা খুশি।
আর এই খুশির মুহুর্ত গুলো ও যেন তাড়াতাড়ি পার হয়ে যায়, দেখতে দেখতে ওদের বিয়ের ও এক বছর পূর্ণ হয়ে যায়।
.
.
চলবে….