#আপনিময়_বিরহ (১৬)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
_________________
উদয় আর তনিমা ভোর রাতের দিকে পালিয়ে এসেছে চট্টগ্রামে। সেখান থেকে সরাসরি কাজী অফিস। যদিও তারা জানে তনিমার বাবা মা চট্টগ্রামে আসবে তবুও তারা এখানেই আসছে। প্রিয়তা, প্রিয়ম, সামি, নোমান, রিনি সবাই এসেছে। তনিমার মন কিছুটা খারাপ হলেও সে উদয়কেই বেশি প্রায়োরিটি দিয়েছে। সে তাার বাবা মা কে উদয়ের কথা বলাতেই তারা আরো বিগড়ে গেছে। কিছুতেই তনিমা আর উদয়কে মানবে না। তনিমা অনিমার মতো ভুল করতে চায়নি। হয়তো পালিয়ে বিয়ে করা ভুল কিন্তু এটা ছাড়া কোনো উপায় নাই। হাসি ঠাট্টার মধ্যে দিয়েই বিয়ে হয়ে যায়। প্রিয়তা, প্রিয়ম দুজনকে নিয়ে বাড়ি আসে। আর বাকি সবাই চলে যায়। বাড়িতে এসে কলিং বেল বাজাতেই দরজা খুলে দেয় তাঁরা বেগম। মুখ তার থমথমে। বুঝায় যাচ্ছে ঘটনাটা তাদের কানে পৌঁছে গেছে। তাঁরা বেগম দরজা থেকে সরে লিভিং রুমের সোফায় বসলেন। সেখানে পলক সাহেবও বসা। তার মুখেও গম্ভীরতা স্পষ্ট। উদয় আর তনিমা মাথা নিচু করে তাদের সামনে দাঁড়াতেই পলক সাহেব বলেন,
‘তার মানে এসব সত্যি যে তোমরা পালিয়ে বিয়ে করে এসেছো?’
উদয় শান্ত গলায় বললো, ‘কাকা কাকি বাধ্য করছে এই কাজ করার জন্য।’
‘তনিমা তুমি তোমার বাবা-মায়ের সম্মানের কথা একবারও ভাবলে না?’
তনিমা পলক সাহেবের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বললো, ‘বাবা-মায়ের সম্মান! বড় আব্বু তারা তো একবারও ভাবেনি তাদের মেয়ে কি চাই! তারা শুধু দেখেছে পাত্রপক্ষের টাকা। মোটা অঙ্কের টাকা। আমাকে মিথ্যা বলে বাড়িতে নিয়ে গেছে যখন উদয় ভাইয়ের কথা বললাম তখন আমারে কষিয়ে থা’প্পড় দিয়েছে। কাদের সম্মানের কথা বলছো বড় আব্বু? যারা তোমাদেরই ছোট করেছে। আর আমি মনে করি আমি পালিয়ে এসে কোনো ভুল করিনি বড় আব্বু। উদয় ভাই আমার বেষ্ট চয়েস। আর তোমরা নিশ্চয় এমন কোনো শিক্ষা উদয় ভাইকে দাওনি যাতে সে আমাকে একসময় ছুড়ে ফেলবে! তাছাড়া আব্বু আম্মুর কথা শুনলে আপুর মতো আমার জীবনটাও নরক হয়ে যেতো। সংসার হতো না।’
পলক সাহেব আর তাঁরা বেগম অবাক চোখে তাকালেন। উদয় নিজেও অবাক হলো। প্রিয়ম আর প্রিয়তা স্বাভাবিক। প্রিয়তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পলক সাহেবের কাছে এসে ফ্লোরে হাঁটু মুড়ে বসে বললো,
‘আব্বু-আম্মু যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন এদের জিজ্ঞাসাবাদ ছেড়ে বরণ করে ঘরে তোলো।’
পলক সাহেব প্রিয়তার মাথায় হাত বুলিয়ে হালকা হেঁসে বললেন, ‘বরণ করে ঘরে তোলো তাহলে।’
তাঁরা বেগম হাসলেন। সবাই খুশি। উদয় আর তনিমা বাহিরে দাঁড়ালো। তাঁরা বেগম বরণ করে ঘরে তুললেন। তারপর কিচেনে চলে গেলো৷ তাহেরা বেগম এসে হাজির। তনিমা লজ্জা রাঙা মুখ নিয়ে সোফায় বসে আছে। নিজের বোনের কাছে সব শুনে সে গম্ভীর একটা ভাব নিয়ে এগিয়ে আসলেন তনিমাদের দিকে। কেশে নিজের উপস্থিতি বুঝিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন,
‘সবাই সরে বসো। আমি নতুন বউকে দেখবো।’
সবাই ভ্রু কুঁচকালো। প্রিয়ম কিছু বলতে যাবে তার আগেই তাহেরা বেগম ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলেন। সবাই খানিকটা সরে বসলো। তনিমার কাছে বসে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তনিমাকে দেখতে দেখতে হাজারটা সমস্যার কথা বললেন। প্রিয়ম, প্রিয়তা, উদয় সবাই ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করছে। তনিমার কাঁদো কাঁদো অবস্থা দেখে তাহেরা বেগম শব্দ করে হেঁসে দিলেন। তনিমা হা করে তাকালো মুখের দিকে। তাহেরা বেগম জড়িয়ে ধরে বললেন,
‘পাগলি মেয়ে। আমি তো দেখছিলাম কি করিস! তুই যা পাজি তাতে তো চটপট মুখের উপরই সব বলে দিস। আর আমি এতোগুলা কথা বললাম কিছুই বললি না!’
তনিমাসহ বাকি সবাই হাসে। তাঁরা বেগম সবার জন্য নাস্তা এনে বসতেই প্রিয়তা মায়ের কোল ঘেঁষে বসে। তাঁরা বেগম ভ্রু কুঁচকে বলেন, ‘ব্যাপার কি? কি চাই?’
প্রিয়তা দাঁত বের করে বলে, ‘বিয়ের অনুষ্ঠান। ওরা তো পালিয়ে বিয়ে করেছে কোনো মজাই করতে পারলাম না। ওহহহ আম্মুউউ প্লিজ বিয়েটা আবার বড় করে দাও না! কাকা কাকি কে মানাও আর না মানলে নাই।’
তাঁরা বেগম হেঁসে বলেন, ‘তোমার আব্বুকে বলো।’
‘তুমি বলো না গিয়ে। প্লিজ প্লিজ।’
তাঁরা বেগম হেঁসে সম্মতি দিয়ে রুমের দিকে যান। প্রিয়তারা বসে আড্ডা শুরু করে।
_____________
উদয় আর তনিমার মেহেন্দি থেকে শুরু করে রিসেপশন সব হবে। ৩ দিন পর থেকেই সব রকম অনুষ্ঠান শুরু হবে। তাই সবাই কাল থেকেই শপিং করতে যাবে। রাতের বেলায় ছাঁদে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে প্রিয়তা। সেসময় হাজির হয় প্রিয়ম। প্রিয়তা গভীর দৃষ্টিতে তাকায় তার দিকে। প্রিয়ম এগিয়ে এসে ফু দিয়ে চুল উড়িয়ে দেয়। প্রিয়তা আবেশে চোখ বন্ধ করে নেয়। প্রিয়ম দুষ্টুমির হাসি হেঁসে বলে, ‘উদয় আর তনিমার সাথে চল আমরাও বিয়ে করে নেয়।’
প্রিয়তা ভেংচি কেটে বলে, ‘জ্বি না। আমি আমার ভাইয়ের বিয়েতে প্রচুর মজা করবো। লুঙ্গি ডান্স দিবো। কিন্তু যদি ওদের সাথে বিয়ে করতে যায় তাহলে কোনো মজা পাবো না। আমরা পরে বিয়ে করবো।’
প্রিয়ম হেঁসে দেয় প্রিয়তার লজিকে। তারপর আঙুলে আঙুল রেখে বলে, ‘যথা আজ্ঞা মহারানী। আসেন এবার চাঁদ দেখি।’
প্রিয়তা হেঁসে প্রিয়মের সাথে বসে চাঁদ দেখতে। প্রিয়মের ঘাড়ে মাথা রেখে বলে, ‘ওদের ভালোবাসাটা তাহলে পূর্ণতা পেলো তাই না।’
‘হুম। উদয় তো বিয়ে করে উড়তেছে। আমি যে বউ কবে পাবো রে!’
প্রিয়তা হাসে। চোখ বন্ধ করে বলে, ‘শিশির ভাই আর অনু আপুকে অনেক ধন্যবাদ। ওরা যদি আমার সাথে বিশ্বাসঘা’তকতা না করতো তাহলে আপনার মতো একটা মানুষকে পেতাম না। এতো ভালোবাসা অনুভব করতে পারতাম না। আসলেও আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন।’
‘তুই যে নিজের অতীত না আঁকড়ে আমারে সুযোগ দিছিস এটাই অনেক। আমি তো ভাবছি টুনটুনি প্রেম করার আগেই আমারে ছ্যাকা দিবে।’
বলেই হাসতে থাকে। প্রিয়তা ভেংচি কাটে। দুজনে এটা ওটা নিয়ে হাসতে থাকে। সেসময় ছাঁদে আসে সিমি৷ দুজনকে এতো কাছে দেখে থমকে দাঁড়ায়। তারপর দুষ্টুমির হাসি হেঁসে পেছন থেকে কাশি দিয়ে বলে,
‘বাব্বাহ এখানে তো দেখি প্রেমের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।’
প্রিয়তা হকচকিয়ে যায়। সরে আসে প্রিয়মের কাছ থেকে। প্রিয়ম ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘আসার আর সময় পাইলি না শাঁক’চু’ন্নি!’
‘তোমরা প্রেম করবা আর আমি জ্বালাবো না তাই কখনো হয়!’
প্রিয়ম ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘তুই যখন প্রেম করিস তখন আমি কিছু বলি! কাবাব মে হাড্ডি একটা। যা এন্তে।’
সিমি ভেংচি কেটে বলে, ‘তোমাদের মধ্যে আসতে আমার বয়েই গেছে। নিচে চলো। জলদি!’
প্রিয়তা এতক্ষণ একবার প্রিয়মের দিকে তো আরেকবার সিমির দিকে তাকাচ্ছিলো। সিমি প্রিয়তাকে চোখ মেরে বলে, ‘টাটা ভাবি।’
সিমি দৌড় দিয়ে যেতেই প্রিয়তা অবাক কন্ঠে বলে, ‘আমি তো ভাবছিলাম ‘ও’ আপনাকে ভালোবাসে এখন দেখি কাহিনি ভিন্ন।’
প্রিয়ম শব্দ করে হেঁসে প্রিয়তাকে নিয়ে নেমে আসে।
বেলা গড়িয়ে ১১ টা বেজে গেছে তাও মেয়ে পার্টির এখনো সাজগোজ শেষ হয়নি। তারা যে শপিং করতে যাচ্ছে নাকি বিয়ে করতে যাচ্ছে আল্লাহ মালুম! প্রিয়ম বিরক্তির দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে সিড়ির দিকে। সে সময় নেমে আসে প্রিয়তা আর সাইমা। প্রিয়ম ভ্রু কুঁচকে বলে,
‘শপিং করতে যাচ্ছিস নাকি বয়ফ্রেন্ডের সাথে ডেটিংএ যাচ্ছিস!’
প্রিয়তা চোখ মুখ কুঁচকে বলে, ‘ইয়াক ছিঃ। বয়েই গেছে আমার ডেটিংএ যেতে। অবশ্যই শপিংএ যাচ্ছি।’
‘তোদের লেইট মনে হয় না শপিং করতে যাচ্ছিস। তা আর মহারানী গুলো কই?’
সাইমা হেঁসে বলে, ‘তনিমাকে সিমি বসিয়ে রাখছে। নিচে নামতে দেয়নি। সিমি এখনো রেডি হচ্ছে, রিনি আপু, রিতু আপু, নিতু আপু সবাই একে অপরের চুল টেনে নষ্ট করছে আর ঠিক করছে। অনেক কষ্টে বের হয়ে আসছি।’
প্রিয়মের মাথায় হাত। এরা কি বাচ্চা হয়ে গেলো নাকি! উদয় হা হুতাশ করতে করতে বললো, ‘এরে বইনেরা অন্তত আমার বউটারে তো ছাড় তোরা।’
প্রিয়ম বলে, ‘তোর বউ শেষ ভাই।’
সাইমা আর প্রিয়তা শব্দ করে হেঁসে দেয়। সকাল সকালই সাইমা, রিনি, রিতু, নিতু সবাই চলে আসছে। ছেলেরা সবাই নিজেদের মতো শপিং মলে চলে আসবে। মেয়েরা একসাথে যাবে বলে প্রিয়তাদের বাড়ি চলে আসছে। কিন্তু এদের তো রেডি হয়তেই ১১ টা গড়িয়ে গেছে। সবাই আজ থেকেই এখানে থাকবে। রিতু আর নিতু ম্যারিড হওয়ায় ওদের একটু সমস্যা হলেও প্রিয়মেরা কথা বলে সব ম্যানেজ করেছে। ওদের হাজবেন্ডরাও চলে আসবে সন্ধ্যার পর। সবাই রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ে এক সাথে। পুরো শপিং মলে যে যার মতো শাড়ি, লেহেঙ্গা, গাউন চুজ করতেছে। উদয় তনিমার জন্য ম্যাচিং করে লেহেঙ্গা আর নিজের জন্য পাঞ্জাবী কিনে। প্রিয়ম আর প্রিয়তাও তাই। সিমি আর শায়ন নিজেদের মতো কিনে। শায়ন সিমির বয়ফ্রেন্ড+উডবি। রিতু, নিতু নিজদের আর হাজবেন্ডের জন্য ম্যাচিং কিনে। বাকি থাকে সাইমা, সামি, নোমান আর সাদাফ। সাদাফের এসবে ইন্টারেস্ট না থাকলেও সিঙ্গেল জনগনস একসাথে বললো,
‘কাপল গুলা তো ম্যাচিং ম্যাচিং কইরা সুন্দর কিনে ফেললি। আমরা সিঙ্গেল জাতি কি করমু? পুতুলের লগে ড্রেস মিলামু নাকি!’
সব মিলিয়ে শপিং করতে করতে সন্ধ্যা প্রায়। দুপুরে সবাই রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিছে। সবাই একসাথে উদয়ের বাড়ি আসলেও সাদাফ বেকে বসে। আগে সব জায়গায় সাদাফ হাজির থাকলেও ইদানীং একা থাকে। বিশেষ করে সামিরার মৃত্যুর পর। প্রিয়ম শুধু চুপ করে সাদাফের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। উদয়ের জোড়াজুড়িতে সাদাফ আসে তাদের বাড়ি। ক্লান্ত থাকায় সবাই নিজেদের রুমে রেস্ট নিতে যায়। কাপল মানে রিতু আর তার হাজবেন্ড এক রুমে, নিতু আর তার হাজবেন্ড এক রুমে। উদয়, প্রিয়ম এক রুমে। সাদাফ, সামি আর নোমান এক রুমে। বেচারা উদয় বিয়ে করেও বউ রেখে আলাদা থাকতে হবে জেনে সে কি হায় হুতাশ তার। এই নিয়ে এক দফা হাসাহাসি শেষ। তনিমা, প্রিয়তা, সাইমা, এক রুমে। সিমি আর রিনি এক রুমে। যে যার মতো রেস্ট নিচ্ছে। সাদাফ ছাদে দাঁড়িয়ে সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে ব্যস্ত। সে সময় চুপিচুপি হাজির হয় সাইমা৷ গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসে সাদাফের দিকে৷ সাদাফ সাইমার উপস্থিতি টের পেয়ে বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকাায়। সাইমা সে দৃষ্টি উপেক্ষা করে পাশাপাশি দাঁড়ায়। লোকটাা কবে বুঝবে তার প্রতি এই মেয়েটার আকাশ সমান ভালোবাসা জমানো! সাদাফ সিগারেট শেষ করে ছাদ থেকে নাামতে নিলে পেছন থেকে ডাকে সাইমা৷ সাদাফ পেছন ফিরে তাকিয়ে বলে,
‘কিছু বলবে?’
সাইমা হাঁসফাঁস করে এগিয়ে এসে ভীষণ অসহায় ভাবে বলে, ‘আমাকে একটু ভালোবাসবেন সাদাফ ভাই?’
সাদাফ শাান্ত দৃষ্টিতে তাকায়। তারপর উত্তর না দিয়ে ঘুরে চলে আসে। সাইমার চোখ থেকে টুপ করে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে। তার এই আপনিময় বিরহ কবে কাটবে! কবে সেও একটু ভালোবাসা পাবে!
______________
অনিমা সাফাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর গল্প শুনাচ্ছে। সাফাও ভদ্র বাচ্চার মতো মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে গল্প শুনে যাচ্ছে। সাফা পুরো খাওয়া শেষ করার আগেই হাজির হয় তানিয়া। ব্যস্ত কন্ঠে বলে, ‘কিরে অনু ২ দিন পর তো তনু আর উদয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। জানিস নাা?’
অনিমা অবাক চোখে তাকায় তানিয়ার দিকে। বলে, ‘তুই কেমনে জানলি?’
তানিয়া মুচকি হেঁসে বলে, ‘খোজ থাকে আমার কাছে। তুই যাবি না বোনের বিয়েতে?’
অনিমা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘আব্বু আম্মু ওদের বিয়েটা দিছে নাকি পালায়ছে?’
‘পালিয়ে করছে৷ তোর হিট’লার বাবা মা বিয়ে দিবে না উদয়ের সাথে তাই বাধ্য হয়ে পালিয়েছে।’
‘ভালো করছে। অন্তত আমার বোনটা নিজের ভালোবাসার সাথে সুখী থাকুক।’
সাফা আধো আধো বুলিতে নিজের মায়ের গাালে মুখে হাত দিয়ে বলে, ‘আম্মা আম্মা। বোওওওন।’
অনিমা হেঁসে দেয়। মেয়েকে কোলে নিয়ে ফোন অন করে তনিমার আর প্রিয়তার পিক বের করে বলে, ‘এই দেখো তোমার খালামনি মা।’
সাফা ফোন হাতে নিয়ে ‘উউউ’ শব্দ করে। তানিয়া ফ্রেশ হয়ে এসে বলে, ‘ যাবি?’
অনিমা জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে বলে, ‘নাহ। প্রিয়তার সামনে কোন মুখে যাবো বল! তার থেকে আমি দুর থেকেই ওদের জন্য দোয়া করবো।’
ওদের কথার মধ্যেই বেল বেজে উঠে৷ এসময় আবার কে আসলো ভেবে অনিমা নিজেই এগিয়ে যায়। দরজা খুলতেই দেখে অয়ন দাড়িয়ে আছে। অবাক চোখে তাকায় অনিমা। অয়ন তাদের বাড়িতে কিভাবে?
চলবে…
(আসসালামু আলাইকুম। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)