আবার দেখা হবে,পর্বঃ ০৪

0
1755

আবার দেখা হবে,পর্বঃ ০৪
জাহান আরা

কিন্তু আমি বুঝতেছি যে কান্না করছে বাহিরে তার ব্যথা টা আমিও পাচ্ছি,ওর সাথে আমার কিসের টান,কে সে,আচমকা আমার মনে হলো বাহিরে যে কান্না করছে সে লীলাবতী!!!

সারারাত রাফিদ আমাকে তার বুকে জড়িয়ে ধরে রাখলো।
ভোর হতেই গোসল করে ও মসজিদে চলে যায়,আমি নামাজ পড়ে বের হতে নিই কিন্তু দরজায় তালা দেওয়া
আমি কিছুই বুঝছি না ওরা কেনো এরকম করছে আমার সাথে??
কেমন যেনো ঘোরের মধ্যে চলে গেছি আমি,লীলাবতী হয়ে যাচ্ছি আবার।
হটাৎ উঠে আয়নায় তাকালাম,আমি আর আমি না,লীলাবতী হয়ে গেছি এখন।
কেমন যেনো রাগ লাগতে লাগলো আমার। পুরো রুমের সব কিছু ভেঙে ফেলছি আছাড় মেরে মেরে।




ফজরের নামাজ শেষ করে রাফিদ বাসায় আসে।
এসে মা কে নাস্তার কথা বলে পুরো বাড়ির চাবি নেয়।
বাড়ির সবগুলো রুম এখনো তার দেখা হয় নি,প্রায় বেশীরভাগ রুমই তালা দেওয়া।
পূর্নিমার আর বেশী দেরী নেই,রাফিদ কে তার আগেই জানতে হবে কে ছিলো লীলাবতীর সেই শত্রু,যার থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য লীলাবতী এখনো মুক্তি পাচ্ছে না।

আবার লীলাবতীর রুমের সামনে এসে রাফিদ থমকে গেলো,লীলাবতীর সেদিন জ্বরের ঘোরে বলা কথাগুলো মনে করার চেষ্টা করলো।

রাফিদের মনে পড়লো লীলাবতী সেদিন একটা নাম বলেছে,”অশ্রুমালা”
কে এই অশ্রুমালা,তার সাথে লীলাবতীর কিসের সম্পর্ক, কিসের শত্রুতা।
টর্চ হাতে নিয়ে রাফিদ সবগুলো ঘরের দরজা খুলে দেখতে লাগলো,খুঁজতে খুঁজতে কিছুই পেলো না যখন তখনি চোখে পড়লো একটা ছবি।

ধূলোপড়া একটা ছবি,কোনো এক রানীর মনে হচ্ছে।
দেয়াল থেকে ছবি টা নামিয়ে ধুলো মুছে ছবির দিকে তাকাতেই রাফিদের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো,এ যে আর কেউ না।
এ যে তার পরীর ছবি।ছবির নিচে লিখা “রানী অশ্রুমালা”

তার মানে,দুইয়ে দুইয়ে চার মিলাতে রাফিদের অসুবিধা হলো না,পরী পূর্বজন্মে রানী ছিলো,লীলাবতী ও তখন ছিলো।কিছু একটা সমস্যা হয়েছে যার কারনে লীলাবতীর পরীর উপরে আক্রোশ রয়ে গেছে।

রাফিদের এখন কাজ হলো এখন সেই ইতিহাস খুঁজে বের করা।
রাফিদ ছবিটি নিয়ে রুমে গেলো।রুমের তালা খুলে ভিতরে তাকাতেই দেখে পুরো রুমের ভিতর যেনো ঝড় হয়ে গেছে,পরীর দিকে তাকাতেই বুঝতে পারে পরী স্বাভাবিক নেই,পরীর থেকে কথা বের করার জন্য রাফিদ অশ্রুমালার ছবিটি পরীর সামনে এনে দাঁড় করায়,অশ্রুমালার ছবি দেখেই পরী চিৎকার করে উঠে,বার বার বলতে থাকে ” তোকে আমি খুন করে ফেলবো অশ্রুমালা,তবেই আমার আত্মা মুক্তি পাবে,এবার আর তোর সেই সুযোগ নেই আমাকে শেষ করার।অশ্রুমালা সময় হয়ে এসেছে আবার দেখা হবে।”

বলেই পরী পাগলের মতো হাসতে থাকে।

রাফিদ গিয়ে পরীকে ছুঁতেই পরী রাফিদের গায়ে ঢলে পড়ে।কিছুক্ষণ পরেই আবার পরী স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়।

আমিঃ আপনি কখন এলেন রুমে?

রাফিদঃ এইতো এখন,দেখো পরী এই ছবিটি।

ছবিটির দিকে তাকিয়ে আমি নির্বাক হয়ে গেলাম।এই যে পুরো আমি।কিন্তু এই ছবি এরকম কেনো,আমি তো রানী ছিলাম না।

আমি রাফিদের দিকে তাকাতেই রাফিদ আমাকে বললো,পরী অনেক কিছু ঘটে গেছে,অনেক কিছু ঘটবে,আমার মনে হয় তোমাকে জানানো দরকার সব।

আমিঃহ্যাঁ বলুন,আমি শুনবো।

রাফিদ সেই বাসর রাতে আমি ছাদে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকা থেকে এখন রুমে ভাঙচুর করা,অশ্রুমালার ছবি দেখে রেগে যাওয়া পর্যন্ত যা যা করেছি,যা যা হয়েছে সব আমাকে বললো।

শুনে আমি কাঁপতে লাগলাম।
রাফিদঃ ভয় পেও না,কিছু হবে না।এজন্যই তোমাকে এই রুম থেকে বের হতে দিই না পরী,আর তো মাত্র কয়েকদিন পরী,তারপরে আমাদের সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমরা ঢাকায় চলে যাবো ভেবো না পরী।

আমিঃ যদি পুর্নিমা রাতে আমি মরে যাই???

রাফিদ এই কথা শুনে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।

রাফিদঃ এরকম কথা আর কখনো বলবে না পরী,তোমার কিছু হবে না।তুমি আমার বুকে এখন যেভাবে আছো আমি তোমাকে এভাবে আগলে রাখবো আজীবন আমার বুকে।

রাফিদের কথা শুনে আমার মনে হলো,জীবনের আর অপূর্ণ কিছু নেই আমার।মরতে ও কোনো আফসোস নেই,আমার স্বামীর মন আমি পেয়ে গেছি,একজন বৌয়ের জন্য এর চাইতে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে???

রাফিদঃ তুমি কিছুক্ষণ থাকো এখানে,আমি একটু গ্রাম ঘুরে আসি,দেখি কাউকে পাই কি না যে আগের ইতিহাস জানে।

আমিঃ তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন,আপনি না থাকলে আমার মাঝে লীলাবতী চলে আসে।

রাফিদ বের হতে নিয়ে আবার দাঁড়িয়ে যায়,আমার কাছে ফিরে এসে আচমকা আমার ঠোঁটে একটা গভীর চুমু দেয়।
তারপর বের হয়ে যায়।

রাফিদ গ্রামের দিকে হাটতে থাকে,পথে যার সাথে দেখা হয় সেই রাফিদকে ছোট জমিদার বলে সালাম দেয়,রাফিদ সবার খোঁজ খবর নেয়।

একসময় এক বৃদ্ধা মহিলার খবর পায় যার কাছে খবর পেতে পারে
তার বাড়ি যায় রাফিদ।
দেখে বৃদ্ধা হাসুনির মা ঘরের বারান্দায় বসে আছে।
রাফিদ সালাম দেয় তাকে।

বুড়িঃ কে তুই বাবা??

রাফিদঃ আমি রাফিদ বুড়ি মা।

বুড়িঃ কোন রাফিদ,কোন বাড়ি বাবা??

রাফিদঃ জমিদার বাড়ি বুড়িমা।

বুড়িঃ ও ছোট জমিদার সাব,আপনি আমার বাড়ি আসছেন,আমি যে গরীব বুড়ি,আপনার সমাদর কিভাবে করি?

রাফিদঃ আমি আপনার কাছে গল্প শুনতে এসেছি বুড়ি মা।

বুড়িঃ কি গল্প রে বাবা??

রাফিদঃ আমাকে আগের রানীদের গল্প বলেন বুড়ি মা,রানী লীলাবতী আর রানী অশ্রুমালার গল্প,রাজ প্রাসাদের গল্প,যেই বাড়িতে আমরা আছি এখন সেই বাড়ির ইতিহাস জানতে চাই মা আমি।

বুড়িঃ বাবা সত্যি মিথ্যা জানি না,আমি আমার মার থেকে শুনেছি।আমার মা তখন রাজবাড়ীতে কাজ করতো রানীদের রান্নার।

রাফিদঃ আমাকে তাই শুনান বুড়ি মা,আমার খুব শখ শুনার।

বুড়িঃ শুন তাহলে। তখন ছিলো রানী লীলাবতীর রাজত্ব,রানী লীলাবতী আর রানী অশ্রুমালা ২ জন ছিলো রাজা শমশের সাহ এর ২ রানী,তাদের কোনো ছেলে মেয়ে ছিলো না,রানী অশ্রুমালা একসময় পোয়াতি হয়,তখনি লীলাবতীর মনে হিংসার জন্ম নেয়,ওই সময় কি কারনে কেউ জানে না,রাজা মারা যায়,পরবর্তীতে সবাই ধারণা করে যে হয়তো রানী লীলাবতীর হাত ছিলো রাজাকে মারার পিছনে।

রাজা মারা যাওয়ার পর লীলাবতী রানী হয়,লীলাবতীর মনে তখন রাজত্ব করার লোভ জন্ম নেয়,লীলাবতী বুঝতে পারে অশ্রুমালার সন্তান হলে রাজত্ব করবে সেই সন্তান,তাই লীলাবতী অশ্রুমালা কে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

রানী লীলাবতী ছিলো নাচে পারদর্শী আর অশ্রুমালা নাচ,অস্ত্র চালনা ২ টায় পারদর্শী ছিলো।

অশ্রুমালা কে বিষ খাইয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেয় রানী লীলাবতী,অশ্রুমালার সরবতে বিষ মিশায়।

কিন্তু বিধি বাম।

যেহেতু ২ জনেই রানী ছিলো,একই খাবার টেবিলে বসে খেতো ২জন,রানী লীলাবতী রাগী ছিলো,তাই সব কিছু তাকে আগে দিতে হতো।

খাবার টেবিলে ২ জনের খাবার দেয়ার পর সেদিন অশ্রুমালা আগে আসে,কিন্ত বসতে গিয়ে কিভাবে যেনো লীলাবতীর শরবতের গ্লাস পড়ে যায়।
লীলাবতী দেখেলে রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যাবে এই ভয়ে অশ্রুমালা নিজের গ্লাসের শরবত লীলাবতীর গ্লাসে ঢেলে দেয়,আর পরিচারিকা মানে আমার মা তখন সেখানেই ছিলো।

লীলাবতী খাবার টেবিলে এসে দেখে অশ্রুমালার গ্লাসের শরবত শেষ,লীলাবতী নিশ্চিত হয়ে যায়,খুশীতে নিজের গ্লাসের শরবত খেয়ে খাবার খেতে বসে কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে বিষের ক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।
লীলাবতীর চেহারা নীল হয়ে যায়,লীলাবতী চেয়ার থেকে পড়ে যায়।অশ্রুমালা ছুটে গিয়ে লীলাবতী কে ধরে,লীলাবতী তখন বলে “তুই আমাকে বিষ খাইয়েছিস,এই বিষ মাখানো শরবত আমি তোকে মারার জন্য তোর গ্লাসে দিয়েছি,আর তুই সেই শরবত আমাকে দিয়েছিস।”

অশ্রুমালা তখন বার বার বলতে লাগে সে ইচ্ছে করে এরকম করে নি,সে জানতো না এই গ্লাসে বিষ ছিলো।

লীলাবতীর মৃত্যুর সময় শেষ কথা ছিলো এটাই,”#আবার #দেখা #হবে”

তারপর অনেকে বলে যে তারা নাকি লীলাবতীর নাচের ঘরে লীলাবতীর নাচের শব্দ শুনতো।অনেকে লীলাবতীকে দেখতে পেতো।

লীলাবতীর পর অশ্রুমালা রানী হয়,অশ্রুমালা খুবই ভালো ছিলো,প্রজারা তার শাসনামলে খুব শান্তিতে ছিলো।
লীলাবতী অশ্রুমালার কোনো ক্ষতি করতে পারে নি,কিন্তু অশ্রুমালার মৃত্যুর পর অশ্রুমালার ছেলে অশোক কে পানিতে ঢুবিয়ে মেরে ফেলে তারপর তো এই রাজবাড়ী কিনে নেয় আপনার দাদা।

রাফিদঃ লীলাবতী আবার যদি অশ্রুমালা কে শেষ মারতে আসে তাকে কি আটকানোর কোনো উপায় নাই বুড়ি মা?

বুড়িঃ বাবা আমি তো জানি না,তবে একজন ওঝা আছে,পাঁচ গ্রাম পর বটতলায় মাঝে মাঝে দেখা যায়,অনেকে বলে সে নাকি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী সে হয়তো জানে।

রাফিদঃ ঠিক আছে বুড়ি মা।

বুড়ির বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরে এসে একজনকে দিয়ে বুড়ির জন্য কিছু খাবার দাবার পাঠিয়ে দেয় রাফিদ।

বাড়ি এসে সব বলে মা বাবাকে।

বাবাঃ ঠিক আছে,তুই পরীর কাছে থাক,আমি যাবো সেই ওঝার খোঁজে।

রাফিদ রুমে যেতেই দেখে পরী ঘুমিয়ে আছে।কপালে হাত দিতেই দেখে পরীর ভীষণ জ্বর ।

পরীকে ডেকে তুলে নেয়।




ঘুম থেকে উঠতেই দেখি রাফিদ বসে আছে,আমাকে নিচে যেতে বলে খাবার জন্য।
আমি সেই শক্তি টুকি পাচ্ছি না হাটার,রাফিদকে বলতে রাফিদ আমাকে কোলে তুলে নেয়।
কোলে করেই নিয়ে যায় নিচে,আমি ভীষণ লজ্জা পাই সবার সামনে দিয়ে এভাবে কোলে নেয়াতে।

কিন্তু মায়ের দিকে তাকাতে দেখি মায়ের চোখে খুশির ঝিলিক।

খাবার টেবিলে বসে রাফিদ আমাকে খাইয়ে দেয়।
খাওয়ার পর মা ২ গ্লাস দুধ দিয়ে যায় খাওয়ার জন্য ২ জনকে।
কিন্তু রাফিদ খায় না,২ গ্লাস দুধই আমাকে জোর করে খাওয়ায়।

রুমে গিয়ে আমাকে ওষুধ খাইয়ে দেয়

কিছুক্ষণ পর আমার শরীর ঠিক হয়।

বিকেলে রাফিদ আমাকে জিজ্ঞেস করে,আচ্ছা পরী,তুমি নাচতে পারো??
পরীঃ না তো।কি বলছেন এসব??

রাফিদঃ অস্ত্রচালনা জানো,তরবারি চালাতে??

আমিঃ কি বলছেন আপনি এসব,আমি কিভাবে জানবো এসব??

রাফিদঃ আমার মনে হয় তুমি জানো।

আমিঃ সত্যি জানি না।

রাফিদঃ চেষ্টা করে দেখো।

আমিঃ না পারবো না আমি।

রাফিদঃ প্লিজ পরী,১ বার চেষ্টা করে দেখো।

রাফিদ আমাকে দাঁড় করিয়ে দেয়।
আমি চোখ বন্ধ করতেই আস্তে আস্তে নাচের মুদ্রা আমার মনে পড়তে থাকে,কি আজব,আমি কিভাবে এসব জানি

আমি তো কখনো শিখি নি এসব,আস্তে আস্তে নাঁচতে শুরু করি
রাফিদ অবাক হয়ে দেখে আমাকে।
নাচার পর রাফিদ আমাকে নিয়ে একটা বড় রুমে যায়।
২টা তরবারি এনে আমাকে বলে চলো আমরা ২ জন তরবারি চালোনা করি,দেখি কে হারে কে জিতে।

আমিঃ আমি তো পারি না,জীবনে তরবারি ছুয়ে ও দেখি নি।

রাফিদঃ আমি শিখেছি ছোটবেলায়।
আর আমি জানি তুমি পারবে।

রাফিদ ও ছোট বেলায় খুব দক্ষ ছিলো,বাবার থেকে অস্ত্রচালনা শিখেছে।

আমিঃ বিশ্বাস করেন আমি পারি না।

রাফিদঃ কথা না,ধরো বলছি।

আমি আর কি করবো তরবারি হাতে নিলাম।

রাফিদঃ চোখ বন্ধ করে ভেবে দেখো তো পারো কিনা।

যদি হেরে যাও তাহলে আজকে কাল রাতের চাইতে বেশি আদর করবো,আর যদি জিতে যাও তাহলে কাল রাতের মতো।

আমিঃ আপনি খুব খারাপ,আপনার মুখে আটকায় না কিছু।

রাফিদঃ মুখে আটকাবে কেনো,নিজের বৌ কে বলছি,অন্য কারো বৌ কে না তো।

আমি চোখ বন্ধ করতেই তলোয়ার চালোনার কৌশল আমার মনে পড়তে থাকে।আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই,কিভাবে সম্ভব।

সবচাইতে অবাক হই তখন,যখন দেখি রাফিদ আমার সাথে তলোয়ার চালোনায় হেরে গেছে।

রাফিদ তখন আমাকে সব খুলে বলে বুড়িমার থেকে শুনে আসা সব।

রাত হয়ে গেলো,খাবার দাবার খেয়ে রুমে এলাম।
বিছানায় শুতেই রাফিদ লাইট অফ করে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
আদর করতে করতে আমার সব খুলে নিলো।
আস্তে আস্তে আমি ও সায় দিচ্ছি রাফিদের সাথে

সারারাত জুড়ে রাফিদ দুষ্টুমি করে যায়।

আমিঃ এরকম কিন্তু কথা ছিলো না,কথা ছিলো আমি জিতলে অল্প আদর করবেন।

রাফিদঃ হ্যাঁ,কিন্তু তুমি যে জিতেছো তোমার একটা পুরস্কার পাওনা আছে না,এই সারারাতের আদরই তোমার পুরস্কার বৌ।

জীবন অনেক সুন্দর হয়,অনেক সুখের মনে হয়,হাজারো সমস্যার মাঝেও যখন বিপরীত মানুষটা নিজের হয়ে থাকে,সব কিছুতে পাশে থাকে।

দিন কেটে যায়,পূর্নিমার রাত চলে আসে।
আমার অস্থিরতা বেড়ে যাচ্ছে কেনো যেনো।
আজ কি হবে??
আজকে শেষ লড়াই রানী অশ্রুমালা আর রানী লীলাবতীর।
কে শেষ হবে আজকে??
আজকে কি জিতবে,রানী অশ্রুমালা নাকি রানী লীলাবতী??

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here