আবার দেখা হবে সিজন 2,পর্বঃ ০১

0
2350

আবার দেখা হবে সিজন 2,পর্বঃ ০১
জাহান আরা

নিজের চোখের সামনেই যখন দেখলাম আমার বোন পদ্মা আমার স্বামী রাফিদকে শক্ত করে জডিয়ে ধরে রেখেছে তখনি চিৎকার দিয়ে আমি হাত থেকে চায়ের কাপ ফেলে দিই

এ কি করে সম্ভব!!

পদ্মা আমার নিজের বোন হয়ে আমার সংসার নষ্ট করতে এসেছে।

আমি রাফিদের দিকে তাকিয়ে রইলাম,গরম চা পড়ে আমার পায়ে পুড়ে যায় কিন্তু সেদিকে আমার কোনো খেয়াল নাই।

আমি শুধু ভাবছি এই লোকটা,এই রাফিদ,আমার স্বামী।
সে কিভাবে এই কাজ করতে পারলো আমার বড় বোনের সাথে।

রাফিদ পদ্মাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে আমার কাছে ছুটে আসে,আমাকে কোলে তুলে বিছানায় বসিয়ে দেয়,টুথপেষ্ট এনে পায়ে লাগিয়ে দেয়

আমি তখনো নিজেকে সামলে নিতে পারছি না শুধু হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছি।
পদ্মা অগ্নি দৃষ্টি হেনে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

আমি কিছুই বুঝতেছি না,রাফিদ কি তাহলে এখন আবার পদ্মাকে ভালোবাসে???
এখনো রাফিদ পদ্মাকে ভুলতে পারে নি??
সেই পুরনো প্রেম রাফিদের এখনো জমে আছে পদ্মার জন্য!!!

হঠাৎ করেই আমার ভিতরটা দুমড়েমুচড়ে উঠে,আমার স্বামী আমার সংসার আমার ভালোবাসা সব কি হারিয়ে যাবে???
আমার এতো দিনের ভালোবাসা দিয়ে কি আমি পারি নি পদ্মাকে ভুলিয়ে দিতে,স্ত্রী হিসেবে কি আমি ব্যর্থ????

২ চোখ আর আর বাঁধা মানছে না,অঝোরে কান্না করে চলেছি।

রাফিদঃ পরী তুমি যা ভাবছো বিষয় টা তা না পরী,প্লিজ কেঁদো না, লেট’স মি এক্সপ্লেইন……

আমিঃ আমার নিজের চোখকে কি তুমি অবিশ্বাস করতে বলো?

রাফিদঃ তুমি ভুল দেখো নি কিন্তু,বুঝতে ভুল করছো পরী।

আমিঃ আমি কিছুই ভুল বুঝি নি,তুমি এখনো পদ্মাকে ভুলতে পারো নি,সেই পুরোনো প্রেম তোমাদের এখনো রয়ে গেছে।
রাফিদ এতোই যখন পদ্মাকে ভালোবাসো তাহলে কেনো আমার সাথে ভালোবাসার এই নাটক করে আসছো এতোদিন ধরে?????
শুধু আমার শরীরের প্রয়োজনে??
শরীর টা যখন তোমার এতোই দরকার তাহলে কেনো পতিতালয়ে যাচ্ছো না তুমি,কেনো ভালোবাসার নামে দিনের পর দিন আমাকে ধর্ষণ করে যাচ্ছো বলো?????

রাফিদের চোখ লাল হয়ে যায় আমার কথা শুনে,কষে একটা থাপ্পড় দেয় আমাকে।

থাপ্পড়ের সাথে সাথে আমি বসা থেকে বিছানায় পড়ে যাই,রাফিদ আমাকে টেনে তুলে আরেকটা থাপ্পড় দিয়ে আবার বিছানায় ফেলে দেয়।

আমার কান্না বন্ধ হয়ে যায় রাফিদের ২ থাপ্পড়ে

রাফিদঃ তোর সাহস হয় কিভাবে আমার ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন তোলার??
আর কি বললি তুই???
আমি তোকে ধর্ষণ করি প্রতি দিন ভালোবাসার নামে???

শুন,তুই আমার বৌ,আমার বিয়ে করা বৌ,শরিয়ত মোতাবেক তোকে বিয়ে করেছি,তোকে আদর করার,তোর শরীরের প্রতিটি অংশে হাত দেয়ার অধিকার আল্লাহ আমাকে দিয়েছে,নিজের বৌ থাকতে কেনো আমি ব্রোথেলে যাবো বল???
তোর হক,তোর আমানত তো আমি অন্য কাউকে দিয়ে খেয়ানত করতে পারবো না।

আমাকে ব্রোথেলে যেতে বললি তুই না???

দেখাচ্ছি তোকে আমি।

রুমের দরজা লক করেই রাফিদ আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে, ধাক্কা দিয়ে ওকে সরিয়ে দিয়ে আমি উঠে বের হয়ে যেতে নিই,তখনি আমার শাড়ির আঁচল ধরে টান দিয়ে পুরো শাড়ি খুলে ফেলে রাফিদ।

রাফিদঃ যা এবার এভাবে বাহিরে।

আমিঃ আমার শাড়ি দাও তুমি রাফিদ,ভালো হবে না কিন্তু।

রাফিদঃ খারাপ কি হবে আর বল??
কি খারাপের ভয় দেখাছ তুই আমাকে??
সবে তো শাড়ি নিয়েছি,এবার বাকি সব খুলে নিবো,আজ সারারাত তোকে ভালোবাসার অত্যাচার করবো।

এই বলেই রাফিদ আমার দিকে এগিয়ে আসে,এসেই আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে,চুমু খেতে থাকে এলোপাথাড়ি।

আমি বাঁধা দেওয়ার শক্তি পাচ্ছি না আর,আমার সমস্ত শরীর ঘৃণাভরে উঠছে,ছি!!

সারারাত রাফিদ ভালোবাসা নামের অত্যাচার চালায় আমার উপর। অথচ গতকাল রাতেও রাফিদের স্পর্শ আমার শরীরে শিহরণ জাগিয়েছে,আর আজ নিজেকে অপবিত্র মনে হচ্ছে।
মনের হিসেব বুঝা বড় দায়,মন মুহূর্তেই স্বর্গের সুখকে,নরকের যন্ত্রণায় পরিনত করে দেয়।

বিছানা থেকে উঠার শক্তি টুকু ও পাচ্ছি না আমি।

আজানের আগে রাফিদ আমাকে কোলে তুলে নিয়ে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়,নিজেই সাবান মাখিয়ে গোসল করিয়ে দেয় আমাকে।নিজে গোসল করে মসজিদে চলে যায়।

নামাজ পড়ে জায়নামাজ ছেড়ে আর উঠতে ইচ্ছে করে না আমার আজ।
আল্লাহকে ডেকে কান্না করছি আর বলতেছি শুধু,কেনো এরকম ভাগ্য দিলে আমাকে???
কোন অপরাধের শাস্তি দিচ্ছো আল্লাহ,এরকম শাস্তি না দিয়ে আমার মরন দাও,বেঁচে থাকার সাধ আমার মিটে গেছে আল্লাহ।




নামাজ পড়ে রুমে আসতে নিতেই পদ্মার মুখোমুখি হয় রাফিদ,পদ্মা রাফিদকে দেখে রাফিদের হাত টেনে ধরে।

পদ্মার এসব নির্লজ্জতা দেখে রাফিদের মাথায় রক্ত উঠে যায়,পদ্মার ২ গালে ৪ টা থাপ্পড় দেয় রাফিদ।

রাফিদঃ তোকে আমি ঘৃণা করি পদ্মা,তোর চাইতে নর্দমার ময়লা আমার কাছে অধিক প্রিয়,আমার আর পরীর সম্পর্ক তোর কারণে আজ খারাপ হলো,তোর জন্য আমি আজকে পরীর গায়ে হাত তুলেছি,পরী আমাকে সন্দেহ করেছে,অথচ পরী জানে ও না যে কাল তুই হুট করেই রুমে ঢুকে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিস,আমি তোকে সরিয়ে দেয়ার আগেই পরী দেখে ফেলে।

পদ্মাঃ রাফিদ তুমি তো একসময় আমাকে ভালোবাসতে রাফিদ,আমি তোমাকে ভালোবাসি,অনিককে আমি ডিভোর্স দিয়ে দিবো তুমি পরীকে ডিভোর্স দাও,আমরা অনেক দূর চলে যাবো রাফিদ,আমাদের সেই পুরোনো ভালোবাসা রাফিদ,এভাবে ফিরিয়ে দিও না।

রাফিদঃ ভালোবাসা!!!
ভালোবাসার মূল্য তুই কি জানিস,আমার ভালোবাসা পেয়েও অন্য ছেলেকে নিজের দেহ বিলিয়ে দেয় যে,বিয়ের আসরেই যে পালিয়ে যায় বাবার সম্মানের কথা না ভেবে,আমার ভালোবাসার কথা না ভেবে,নিজের বোনের সংসার যে নষ্ট করতে চায়,তাকে আমি ভালোবেসেছি একসময় তা ভাবলেই তো আমার ঘৃণায় বমি এসে যায়।
থুঃথুঃ।
নেক্সট টাইম আর আমাকে টাচ করার সাহস করবি না তুই।

বলেই রাফিদ চলে যায়,রুমে গিয়ে দেখে পরী জায়নামাজে বসে আল্লাহর কাছে মরণ কামনা করছে।

পরীর কান্না রাফিদের সহ্য হয় না।

রাফিদঃ কি হয়েছে পরী??
এভাবে কেঁদো না প্লিজ,আমার কথা শুনো তুমি,কাল রাতে যা হয়েছে তা আগে শুনো আমার থেকে তারপর আমাকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিও তুমি।

পরী রাফিদের কোনো কথা না শুনেই রুম থেকে বের হয়ে যায়।



রান্নাঘরে গিয়ে দেখি মা নাশতা বানাচ্ছে,পদ্মা পাশে বসে চা খাচ্ছে।

মাঃ পরী,ধর রাফিদকে চা দিয়ে আয়,আর পদ্মা তুই এখনো বসে আছস কেনো??
যা অনিককে চা দিয়ে আয়,আমার নাশতা বানানো শেষ হয়ে আসছে।

আমিঃ মা আমার খুব খারাপ লাগছে তুমি যাও চা দিয়ে আসো,আমি একটু বসি এখানে।

পদ্মাঃ দাও মা,আমি তোমার ২ জামাইকে চা দিয়ে আসি।

মাঃ তো যা,নে।

রাগে আমার পুরো শরীরে কাঁপুনি এসে গেছে পদ্মার কথা শুনে,ওর সাহস হয় কিভাবে নিজের স্বামী থাকতে আমার স্বামীর দিকে নির্লজ্জের মতো নোংরা দৃষ্টি দিতে।এখন আবার আমার রুমে যেতে চায় ও।

আমিঃ আমার স্বামীর জন্য আমি নিজেই চা নিয়ে যেতে পারি,বলেই চায়ের কাপ নিয়ে চলে গেলাম।

মাঃ কি যে হয়েছে তোদের ২ বোনের আল্লাহ জানে,এরকম শত্রুর মতো ব্যবহার কেনো তোদের…!!

পদ্মাঃ তোমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করো,আমার স্বামী আছে,আমি যাকে ভালোবেসে ঘর ছেড়েছি তাকে পেয়েছি তোমার মেয়ে কোন আক্কেলে আমাকে সন্দেহ করে তাহলে???
শুধু আমাকে সন্দেহ করে না নিজের জামাইকে ও সন্দেহ করে,এরকম থার্ডক্লাশ মেন্টালিটি কেনো তোমার মেয়ের??




চা নিয়ে রুমে যেতেই দেখি রাফিদ লাগেজে জামা কাপড় ঘুচিয়ে নিচ্ছে আমার আর ওর।

রাফিদঃ জলদি রেডি হও পরী,আমরা এক্ষুণি ঢাকায় ব্যাক করবো।

আমিঃ কারো যাওয়ার ইচ্ছে হলে নিজে যাক,আমি যাবো না,৩ মাস পর বাড়ি এসেছি,১ মাস থাকার জন্য বলেছে বাবা মা আমাকে,আমার শ্বশুর অনুমতি দিছে আমাকে।

রাফিদঃ আমি তোমার স্বামী,আমি বলেছি এক্ষুনি যাবো,তারমানে এক্ষুনি,আমি যা বলছি তাই হবে পরী।

আমিঃ জীবনে ও আমি যাবো না।

রাফিদঃ দেখো তোমাকে কিভাবে নিই,বলেই এসে আমাকে কোলে তুলে নিলো।

আমিঃ আমাকে ছেড়ে দাও,আমি এখানে থেকে যাবো না, তুমি চলে যাও এই বাড়ি থেকে, আমি আর জীবনেও তোমার বাড়ি যাবো না,তোমাকে আমি ডিভো….

বাকী কথা বলার আগেই রাফিদ ওর ঠোঁট জোড়া আমার ঠোঁটের উপর নামিয়ে দেয়,চুমু খেতে থাকে,আমি নাড়াচাড়া করে ও ওর ঠোঁট থেকে আমার ঠোঁট সরাতে পারছি না।
টানা ৫ মিনিট লিপ কিস করার পর রাফিদ ছাড়ে আমাকে।

রাফিদঃ যে শব্দ টা উচ্চারণ করতে চেয়েছো সেই শব্দ টা আজ থেকে তোমার জীবনে নিষিদ্ধ পরী,জীবনে তোমার মুখে এই শব্দ শুনেছি তো আমার চাইতে খারাপ কেউ হবে না পরী,মাইন্ড ইট।

এটুকু বলেই রাফিদ আমাকে নিয়ে হাটা শুরু করলো বাহিরের দিকে,রান্নাঘরে গিয়ে মা’কে বললো,”মা,আমরা ঢাকা ফিরে যাচ্ছি,দোয়া করবেন”

মাঃ কি বলো,কাল এলে,১ মাস থাকবে বলে,তোমার বাবা মা তো তাই বললো।

রাফিদঃ আমার ফিরে যেতে হবে মা,আর পরী কে ছেড়ে আমি থাকতে পারবো না, তাই ওকে ও নিয়ে যাচ্ছি।

পদ্মা রুমের বাহিরে এসে দেখে পরী রাফিদের কোলে,পদ্মার হিংসা হয় রাফিদ আর পরীর এরকম মিল দেখে।

পরীঃ আমি যাবো না মা,আমাকে নামিয়ে দিতে বলো।

রাফিদঃ আমার প্রাণ এখানে রেখে আমি ঢাকা ফিরে যাবো,অসম্ভব পরী।

মাঃ বাবা কি হয়েছে তোমাদের,যাই হোক বাবা নিজেরা ঝামেলা মিটিয়ে নাও,এভাবে চলে যেও না কাল এসে আজকেই।
কতোদিন পরে মেয়েটা এলো,এতো বড় একটা বিপদ গেলো মেয়েটার কিছুদিন আগে,মেয়েটার সাথে এখনো ভালো করে কথা’ই হলো না,তোমরা ২ জনেই থাকো বাবা।

রাফিদঃ ঠিক আছে মা,থাকবো,কিন্তু আপনি আপনার মেয়েকে বলে দিন তাহলে আমি যা বলি তাই যেনো শুনে,আমার সাথে রাগারাগি করবে,তো তক্ষুনি কোলে তুলে নিয়ে বের হয়ে যাবো মাথায় রাখে যেনো।

মাঃ এই পরী,জামাই যা বলে তাই শুনবি কিন্তু,নয়তো তোকে আমি নিজেই মাইর দিবো।

পরীর প্রতি রাফিদের এরকম ভালোবাসা দেখে পদ্মার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, দরজায় লাথি মেরে চলে যায় পদ্মা।

রাফিদ আমাকে নামিয়ে দেয়।

মাঃ যাও বাবা টেবিলে বসো,নাশতা দিচ্ছি আমি।পরী,যা তুই ও বস,আমি তোর বাবাকে আর পদ্মাদের ডেকে দিচ্ছি।




সবাই মিলে খেতে বসি,বাবা,অনিক ভাই,রাফিদ এক পাশে,মা,পদ্মা,আমি এক পাশে।

খেতে বসে রাফিদের দিকে তাকিয়ে দেখি মুখ হাসিহাসি
ওর হাসির কারন খুঁজে পাচ্ছি না আমি।
মা আমার প্রিয় নুডলস রান্না করেছে।
হঠাৎ করেই হাত থেকে আমার চামচ পড়ে যায় টেবিলের নিচে,চামচ নিতে নিচে ঝুঁকতেই দেখি রাফিদের পায়ের উপর পদ্মার পা দেয়া,পদ্মা পা দিয়ে দুষ্টুমি করছে রাফিদের সাথে।রাফিদের পা ঘসতেছে পদ্মা।

রাফিদের হাসি মুখের কারণ আমি তক্ষুনি বুঝতে পারলাম।

এখনো কি রাফিদ বলবে আমি ভুল দেখেছি???

কিছু না বলে ডাইনিং টেবিল থেকে উঠে চলে গেলাম ছাদের দিকে।




পরী টেবিলে ছেড়ে উঠে যেতেই রাফিদ বুঝতে পারে কি ভুল হয়েছে এখানে,রাফিদ ভেবেছিলো পরী পা রেখেছে রাফিদের পায়ের উপর,তাই সে পা সরিয়ে নেয় নি,বাড়িতে খেতে বসলে সবসময় পরী পা দিয়ে এরকম দুষ্টুমি করতো।
কিন্তু পরী উঠে চলে যেতেই রাফিদ বুঝতে পারে এটা পদ্মার পা ছিলো,কেনোনা পরী যাওয়ার পরেও পদ্মার পা সরে নি রাফিদের পায়ের উপর থেকে।

পদ্মার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে জোরসে একটা লাথি মারে রাফিদ পদ্মার পায়ে,পদ্মা ব্যথায় উফফ করে উঠে।

অনিকঃ কি হয়েছে পদ্মা??

পদ্মাঃ বুকের ভিতর কেমন যেনো করে উঠেছে হঠাৎ করেই।

খাওয়া ছেড়ে উঠে যায় রাফিদ নিজেও।
জানে না এবার পরীকে কি বলে বুঝাবে রাফিদ,নিজের উপর রাফিদের খুব রাগ উঠে। কেনো এতটা বেখেয়ালি সে!!!



ছাদে গিয়ে দাঁড়াতেই দেখি ঠিক আমার মতো কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে,চিনতে ভুল হয় নি আমার, যে দাঁড়িয়ে আছে সে আমি,আমার অন্য রূপ,রানী অশ্রুমালা!!!

অশ্রুমালাঃ কেঁদো না পরী,আমি সবসময় তোমার অস্ত্বিত্বে মিশে আছি,তোমার বিপদে তুমি তখন অশ্রুমালা হয়ে যাবে।

সিড়ি বেয়ে কারো উঠে আসার শব্দ পাচ্ছি,তক্ষুনি দমকা হাওয়ার মতো রানী অশ্রুমালা এসে আমার শরীরে প্রবেশ করে,আমি সেখানেই জ্ঞান হারাই।

চলবে……..??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here