আমার আকাশ,Part:1,2
Ayusha Akter Usha
Part:1
-শোন সাগর আর এক পা এগোবিনা খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু বলে দিচ্ছি।যেখানে আছিস সেখানেই দাঁড়িয়ে যা।আমি বলছি ওখানেই দাঁড়া নইলে…..
-নইলে কি হ্যা নইলে কি।কি করবি তুই।কি হলো কি করবি বল ।দেখি কি করতে পারিস।
বলেই সাগর আমার দিকে এগিয়ে আসছে।ভয়ে আমার জান যায় যায় কিন্তু আমি এক জায়গা থেকে একটুও নড়ছি না।যদি সাগরের এগোনো দেখে আমি পিছিয়ে যাই তাহলে সে ভাববে আমি ভয় পেয়েছি।কিন্তু এখন ভয় পাওয়ার সময় না এখন রাগ দেখানোর সময়।আর আমি এই মূহুর্তে রেগে আছি।সাগর আমার কাছে আসছে।যেমন রাগ হচ্ছে তেমনি ভয়।আমি হাত শক্ত করে মুঠ করে ধরে আছি।দাতে দাত চেপে আছি।রাগে না ভয়ে জানিনা।সাগর আমার খুব কাছাকাছি এসে গেছে।ভরা রাস্তায় ও যে এরকম কিছু করতে পারে আমি ভাবতে পারিনি।কি করব কি করব ভাবতে ভাবতে চারিদিকে তাকাচ্ছি।এমন সময় আমার চোখে পরল একটা ছেলে আমাদের ছবি তুলছে।ইডিয়ট একটা।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাওয়ারের মতো ছবি তুলছে তাকে দেখেই আমার রাগ আরো মাথায় চেপে বসল।এই ছবি ফেসবুকে আপলোড করে ক্যাপশন দেবে “এখনো আমাদের দেশের নারীরা সুরক্ষিত নয়”ব্লা ব্লা ব্লা।।।ফেসবুকে মহান সাজার চেষ্টা যাকে বলা হয়।কেন ছবি না তুলে এখানে এসে আমাকে বাচালেই তো দেশের মেয়েরা সুরক্ষিত হয়।লোক দেখানো মহান না সেজে সত্যিকারের মহান হওয়া যায়।তা না।।।ইচ্ছে হচ্ছে ঠাডিয়ে একটা চড় মারি।যেই ভাবা সেই কাজ ।দিলাম কষে একটা চড়।কিন্তু এ কি।আমি কাকে চড় মারলাম।সাগর কে??আমার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম।সাগর গালে হাত দিয়ে বাম পাশে ঝুকে আছ।আমি একটা বখাটে ছেলেকে ভরা রাস্তায় চড় মারলাম।হায় আল্লাহ এ তো নিশ্চয়ই আমার উপর আরো রেগে গেছে।কি করি কি করি এর কবল থেকে এখন কি করে বাচি।ভাবতে ভাবতেই সাগর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আমার দিকে রাগী চোখে তাকালো।আমি তাকে কিছু বুঝতে দেওয়ার আগেই আর একটা চড় বসিয়ে দিলাম।সে এবার নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে গালে হাত দিয়ে অন্যদিকে ঝুকে গেল।এই সুযোগে আমি নিজের পালানোর পথ খুজলাম।কিন্তু যেতে যেতেই ছেলেটার দিকে চোখ গেল।মাথার রক্ত চরম পর্যায়ে চলে গেল।এখনো দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে।দেখাচ্ছি মজা।দৌড়ে ছেলেটার কাছে গিয়ে হঠাৎ করে তার কাছ থেকে ফোন টা কেড়ে নিলাম।ছেলেটা একটু অবাক হয়েই বলল
– hey who are you? ?
কিন্তু এ মা একি এই ছেলে তো নিজের সেলফি নিজের সেলফি তুলে ব্যস্ত ছিলেন এতক্ষণ।আর আমি কি না এতক্ষণ এর উপর রাগ করে বাঘের গালে হাত দিয়েছি।এবার কি করি।এর মাঝেই পেছন থেকে সাগরের চেঁচামেচি শুনতে পেলাম।ভয়ে ফোনটা ছেলেটার দিকে ছুড়ে দিয়েই মার দৌড়।ছেলেটা কোনো মতে ফোন টা ক্যাচ ধরল।পেছনে ফিরে তাকালে হয়তো দেখতাম ছেলেটা অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।বাড়িতে এসেই নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ হাঁপাতে লাগলাম।আমার বুক ধরফর করছে।আল্লাহ্ এই বারের জন্য কোনো মতে বেঁচে গেলাম।বাড়িতে কেউ নেই।সবাই যার যার কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে।আমি এই মূহুর্তে বাড়িতে একা।এটাতে যেন আমার ভয় আরো বেড়ে চলেছে।
আমি ঊষা।ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট।আমরা দুই ভাই বোন।আমিই ছোট।বাবা একজন ব্যাংক এমপ্লোয়।আর মা একটা এনজিওর মেনেজার।ভাইয়ে অনার্স থার্ড ইয়ারে পরে।সবাই সবার মতো ব্যস্ত।আমিই এখন ভয়ে মরছি।সাগর একটা বখাটে ছেলে।বলা যায় বখাটের বাবা।মারামারি রাজনিতি মেয়েদের বিরক্ত করাই ওর স্বভাব।কতবার যে নিজের এই স্বভাবের জন্য জেলে গেছে হিসেব নেই।কিছু দিন ধরেই আমার পেছনে পরেছে।যখন তখন রাস্তা ঘাটে দেখা হলেই ডিস্টার্ব করতে চলে আসে।যেখানে সেখানে তার বন্ধুরা আমাকে দেখলেই ভাবী ভাবি চেঁচাতে লাগে।আমার রাগ হয় কিন্তু কখনও কিছু বলতাম না।মাথা নিচু করে চলে আসতাম।কি করব মেয়েদের যে চড় গলায় কথা বলার কোনো অধিকার নেই তাদের সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়।আমার বেলাও তাই।আমি যে খুব বেশি সুন্দর তা না।আমার গায়ের রঙ শ্যামলা।অমি বুঝি না একটা শ্যাম মেয়েকে ডিস্টার্ব করে ওদের কি লাভ টা হচ্ছে।তবে সবসময় মুখ বুঝে সহ্য করলেও আজ আর চুপ থাকতে পারিনি।আজ কলেজ থেকে ফেরার সময় ওই ছেলে আমাকে ডাকছিল।আমি শুনিনি বলে ও ভরা রাস্তায় আমার হাত ধরেছে।তাই নিজের রাগ সামলাতে না পেরে শুনিয়ে দিলাম কয়েকটা কড়া কথা।যার জন্য আজ এতোটা হ্যারেস হতে হলো।উফফফ।।।
।
-হাহাহাহাহা।।।।
-এই ভাবে ভেড়ার মতো হাসছিস কেন।
-লাইক সিরিয়াসলি।ওই ছেলে কি আর কোনো মেয়ে পেল না।তোকেই ইভটিজিং করতে গেল।ওর চয়েস এরকম কি করে হতে পারে।
-মাআআ প্লিজ তোমার ছেলেকে চুপ করতে বলো।নইলে কিন্তু আমি সত্যিই রেগে যাবো বলে দিচ্ছি।আমি একটা সিরিয়াস কথা বলছি আর ও কি না মজা করছে।
-আচ্ছা তোরা চুপ কর একটু ।ঊষা তোর ওই ছেলেকে চড় মারাটা উচিৎ হয় নি।এরকম ছেলে কখন কি করে বসে কে জানে।কয়েকদিন আর কলেজে যেতে হবে না তো আর বাইরে গেলে ও বোরখা পরে বেরোবি বুঝলি।এখন যা পরতে বস গিয়ে।তোর বাবা আসুক দেখি কি করা যায়।
মায়ের কথা শুনে আমি ভাইয়ার দিকে তাকালাম।সে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে নিজের ঘরে চলে গেল।খুব রাগ হচ্ছে আমার।এর জায়গায় যদি অন্য কেউ থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে ওই সাগরের বারোটা বাজাতো।কিন্তু এই চৌধুরির তো দেখছি কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই।হায় এ আমার কেমন কপাল।এ কেমন ভাই দিলে আমায়।ভাবতে ভাবতেই ঠোঁট ফুলিয়ে মায়ের ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে এসে বইয়ে মুখ গুজলাম।।।
to be continue….
আমার আকাশ?
Ayusha Akter Usha
“”2″”
কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম ফ্রেন্ডসদের সাথে কথা বলতে বলতে।সুমি নয়ন আসফি রেমি আর আমি খুব ভালো বন্ধু।রেমি আর আসফির বাড়ি দূরে তাই তারা অনেক আগেই চলে গেছে।সীমা নয়ন আর আমার বাড়ি কলেজের কাছাকাছি তাই হেঁটেই একসাথে গল্প করতে করতে আসছি ।এমন সময় পেছন থেকে একটা বাইক এসে আমাকে ধাক্কা দিল।আমি হুমরি খেয়ে সামনে গিয়ে পরলাম।প্রচন্ড ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলাম।হাতের তালুর ছিলে গেছে।পায়ের হাঁটুর জায়গায় কাপড় ছিঁড়ে গিয়ে হাঁটুর ছিলে গেছে।আমি সোজা হয়ে বসেই দেখি সাগর বাইকে বসে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।আমি না উঠে বসে বসেই শুনিয়ে দিলাম কয়েকটা কথা।
-শয়তান হারামজাদা বাড়িতে মা বোন নাই সবসময় আমার পেছনে কেন লেগে থাকিস তুই।এক্ষুনি তো মেরে ভুত বানিয়ে দিতি।তোর মনে কি মিনিমাম সেন্স টুকুও নাই।এতো বখাটে কেন তুই।আমার কাছে যদি কোনো পাওয়ার থাকতো তো তোর স্বভাবের জন্য আমি তোকে গুলি করে মারতাম।শয়তান কোথাকার।
বিরবির করে কথা গুলো বলছি আর কাঁদছি।
-আমাকে থাপ্পড় মারার শাস্তি পেলি তো।সত্যি বলতে কি জানিস।এটা জাস্ট একটা নমুনা ছিল এরপরে না জানি কি কি এসে ধাক্কা মারে কে জানি।
বলেই বাইক পাশ ঘুরিয়ে চলে গেল।এটাই হচ্ছে এই সমাজে মেয়েদের আসল জায়গা।অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে হয়তো তাঁদের এই ভাবেই দমিয়ে দেওয়া হয়।সেদিন চড় টা যদিও ভুল বশত মেরেছিলাম।কিন্তু মেরে তো ঠিকি করেছিলাম।একটা মেয়ে কখনোই তার সম্মান হানী মেনে নিতে পারবে না।আমি কেন মানতাম।আমার প্রয়োজন ছিল জেনে বুঝে ওকে চড় টা মারা।আজ আমার আফসোস হচ্ছে মেয়ে হয়ে কেন জন্মালাম।মেয়ে না হলে হয়তো এতো কিছু সহ্য করতে হতো না।সুমি এসে আমাকে তুলল।নয়ন আমার কাধ থেকে ব্যাগটা নিয়ে আমার এক হাত ধরে হাট তে লাগল।অন্য পাশে সীমা আরেক হাত ধরে আছে।পা ছিলে রক্ত বের হচ্ছে।ব্যথায় হাঁটতে ও পারছিনা।এমন সময় ভাইয়ে বাইক নিয়ে এসে আমার সামনে দাড়ালো।ভাইয়াকে দেখে দাঁড়িয়ে পরলাম।ভাইয়া চোখ মুখ খিচিয়ে জিজ্ঞাসা করল
-কি রে এইভাবে ল্যাংড়া খুরির মতো হাটছিস কেন কি হয়েছে।
আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম।বলবনা কি হয়েছে।কেন বলব।যার এরকম দামড়া ভাই থাকতে তাকে এতটা হ্যারেস হতে হয়।তাহলে এরকম ভাই থাকার কি লাভ।বলব না কি হয়েছে।বললে কি জানি আবার আকাশে চিঠি পাঠানোর মতো আমার কথা গুলো হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে হাসির পাত্রী বানাবে আমাকে।আমি কোনো হাসির পাত্রী হতে চাচ্ছি না এই মূহুর্তে।
-কি হলো এই ভাবে চুপ করে আছিস কেন।কি হয়েছে বলবি।পরে গেছিলি নাকি।হ্যা তা তো পরতেই পারিস।যেইভাবে আবার লাফাস তুই।
এবার ভাইয়া নয়নের দিকে তাকিয়ে বলল কি হয়েছে।নয়ন ভাইয়াকে সাগরের কথা বলল।এরই মধ্যে আমি একবার আড়চোখে ভাইয়ার মুখের দিকে তাকালাম।দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া কি পরিমান রেগে গেছে।রাগুক তাতে আমার কি।
-ঊষা বাইকে উঠে আয়।
-উঠবো না।
-ঊষা জেদ করিস না উঠে আয়।তোর পায়ের অবস্থা ভালো না।
-তাতে তোর কি।আমি বললাম তো আমি তোর বাইকে উঠবোনা।
-অযথা জেদ করিস না ঊষা।এইভাবে হেঁটে বাড়ি অবধি যেতে পারবি না।
-তোকে ওতো ভাবতে হবে না আমি যেতে পারবো।
বলেই খুরিয়ে খুরিয়ে হাট তে লাগলাম।সুমি আমাকে ধরেই আছে।ভাইয়া জানে আমার জেদ সম্পর্কে তাই কথা না বাড়িয়ে আমার পেছন পেছন বাইক নিয়ে আসতে লাগল।আসুক তাতে আমার কি আমি তো তার বাইকে চড়ছিনা মানে চড়ছিনা ব্যাস।ওইভাবে কোনোরকম হাট তে হাটতে বাড়ি পৌছালাম।আমি চুন পরিমান ব্যথা সহ্য করতে পারিনা।কিন্তু যখন আমার কথা জেদের ওপর আসে তখন মারাত্মক ব্যথাও আমার জন্য চুন পরিমান হয়ে যায়।তখন আমার ধৈর্য শক্তি বাড়ে বললেই চলে।সুমি আর নয়ন আমাকে ধরে খাটে বসিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যায়।ভাইয়া গেছে পাশের ঔষধ এর দোকান থেকে ঔষধ আনতে।বাড়িতে এসেই আমাকে একটা পেইন কিলার খাইয়ে দিল।এইসব ঔষধ আমার কাছে মারাত্মক বিরক্তিকর।খেলেই বমি করে দেই।তাই খাই না তবে আজ ভাইয়ার ভয়ে খেয়ে নিলাম।কেমন বমি বমি লাগছে।কোনোরকম নিজেকে আটকে রাখছি।ভাইয়া ক্ষত জায়গা পরিষ্কার করে মলম এনে হাতের তালুতে মলম লাগিয়ে দিল।তার হাতে একটু মলম দিয়ে বলল হাঁটুতে যেন লাগিয়ে নেই বলে ঘরের বাইরে গেল।আমি হাঁটুতে মলম লাগাতে লাগাতেই শুনলাম ভাইয়া বাবা মা কে ফোন করে তাড়াতাড়ি বাড়ি আসতে বলছে।ব্যাপার টা শুধু বাবা মা অবধি এ থাকল না।এলাকার চ্যায়ারম্যান টিওন আরো অনেক নামী দামী মানুষদের ডেকে সেদিন রাতেই বিচার বসল।সাগর আমাদের এলাকার পাশের এলাকার ছেলে ছিল।তাই তার স্বভাব সম্পর্কে যাদের যা ধারনা সব তুলে ধরল এই বিষয়ে।বিচারে যা সল্যুশন হলো তা হলো সাগরের তিন মাসের জেল তিন হাজার টাকা জরিমানা আর হাত লাল কালির দাগ।মানের তার ভবিষ্যৎ নষ্ট।সে যে আমার সাথেই শুধু খারাপ ব্যবহার করেছে তা তো নয়।অনেকের সাথেএ ঝগড়া মারামারিতে লিপ্ত আছে তাই সবকিছু বুঝে তাঁকে এই শাস্তি টাই দেওয়া হলো।কিন্তু আমার খুব আফসোস হচ্ছে ওর জন্য।কি এমন পায় এই ভাবে খারাপ কাজ করে।নিজের থেকে নিজের ভবিষ্যত নষ্ট করল।এটা কি না করলেএ হতোনা।অল্প বয়সেই কতোটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
।
।
আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে ঠিক করলাম এইবার কলেজ থেকে সবাই পিকনিকে যাব।সবাই মিলে ডিসিশন নেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিলাম স্যারদের এই বিষয়ে জানানো।সবাই আমাকে ই ঠেলে ঠুলে সামনে দাঁড় করালো।করন মজাহার স্যার আমাকে ভীষন ভালোবাসেন।আর বাসার ই কথা আমরা যে একে ওপর কে অনেক আগে থেকেই চিনি।উনি আমার বাবার বাল্য সহপাঠী।খুব ভালো বন্ধুত্ব তাদের।তবে তারা গ্রামে থাকে আর আমরা এই শহরে উঠে এসেছি।তবুও খুব ভালো ভাবেই চেনা পরিচয় আমাদের।উনি আমাদের কথা শুনে বললেন বাকি স্যার দের বলতে।আমরাও চললাম উনার সাথে স্যার দের কেবিনে।সবাই কে আমাদের ইচ্ছের কথা জানালাম।মজাহার স্যার ও সাথে কিছু মশলা লাগালেন।যাতে করে সব শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী রাজী হয়ে গেলেন।শুরু হলো আমাদের পিকনিক প্লেন।ধীরে ধীরে পিকনিক ডেট সামনে আসতে লাগল।আর এক সময় সেই দিন টা এসেও গেল।সকাল আটটায় আমি রেডী হয়ে বেরোলাম কলেজের উদ্দেশ্যে।ওখান থেকেই বাসে করে চলে যাব স্বপ্ন পুরী।আমার হয়তো আসতে একটু লেট ই হয়েছে।তাই তিন তিন টা বাসের মধ্যেও আমি আমার জায়গা খুঁজে পেলাম না।একসময় মজাহার স্যারের পিছু ধরলাম আমাকে সিট খুঁজে দেওয়ার জন্য।উনি আমাকে একটা বাসে উঠিয়ে জায়গা খুঁজতে লাগলেন।এমন সময় সামনের সিটে বসে থাকা একটা ছেলেকে বলে উঠলেন
-আকাশ তুমি ওঠো তো ঊষা কে বসতে দাও।
স্যারের কথা শুনে খুশি খুশি মনে সেই সিটের দিকে তাকালাম।তাকিয়েই অবাক।ওমা এ যে সেইদিনের সেই ছেলেটা।যে আমাকে ইফটিজিং হওয়া দেখেও সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিল।কিন্তু এ এখানে কি করছে।ও তো আমাদের কলেজে পরে না তাহলে।তখনি আমার কানে যা শুনলাম তাতে আমি আরো অবাক।
-বাবা আমি এখান থেকে উঠলে আর কোথায় বসব।বাসে একটা সিট ও ফাঁকা নেই।
বাবা….স্যারের ছেলে।কই আমি তো কখনো দেখিনি।স্যারের মেয়ে রিমি আপুকে তো খুব ভালো করে চিনি তাহলে।আরে চিনবোই বা কি করে আমি তো স্যারে আরেক ছেলে আরস ভাইয়া কেও চিনিনা।সামনে আসলেও সবসময় আমার চোখ এদের পায়ের দিকেই থাকে।আজ পর্যন্ত মুখ দেখিনি এই প্রথম এই আকাশকে দেখলাম।
to be continue….