আমার আকাশ,Part:3,4

0
771

আমার আকাশ,Part:3,4
Ayusha Akter Usha
Part:3

আমি বসে আছি।আর আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আকাশ মিয়া।হাহা কেন জানি না ভাবতেই ভালো লাগছে আমি আকাশকে উঠিয়ে নিজে বসেছি।থাকুক দাঁড়িয়ে বেশ হয়েছে।উনার দিকে একবার দুবার চোখ পড়তেই দেখলাম উনি কেমন মুখ গোমরা করে দাঁড়িয়ে আছে।থাকুক আমার তো ভালোই লাগছে।বাস ছাড়ার কিছুক্ষণ পর সবাই আমাকে গান গাওয়ার জন্য জোর করল।সবাই বলে আমার গানের গলা নাকি অনেক ভালো।অনেকেই আমাকে বলেছে এই গানটাকে নিজের প্রফেসন হিসেবে দেখা।কিন্তু আমি সেরকমটা কিছুই ভাবিনি।আমার গান আমার গলায় আছে সেখানেই থাক।আমি চাই আমার বাবা যেই ব্যাংকের এমপ্লোয় আমি সেই ব্যাংকের মেনেজার পদে নিয়োগ হবো।এতে বাবার বুক গর্বে ফুলে যাবে।আমি কোনো ফরমালিটি ছাড়াই গান গাওয়া শুরু করলাম।দেশের গান।কারন ফারুক স্যার ও আমার গানের তালে তাল মেলাবে।স্যারের সাথে নিশ্চয়ই রোমান্টিক গান গাওয়া যায় না।এই ভাবেই অনেক হাসি ঠাট্টা করতে করতে দীর্ঘ তিন ঘন্টা পর আমরা স্বপ্নপুরী এসে পৌছলাম।এখানে এসেই যে যার কাজে লেগে পরল।রাঁধুনি সঙ্গে করে আনা হয়েছে।তারা রান্না বান্নার কাজে লেগে পরল।স্যার আপারা আমাদের ঘোরানোর দায়িত্ব নিলেন।সারাদিন খুব মজা করেই কাটলো।প্রায় তিন টার দিক আমরা খেতে বসলাম।আমি সুমি আর রেমি এক জায়গাতেই বসেছি।ভাত দিয়ে গেছে এবার তরকারির পালা।দেখলাম আকাশ মিয়া তরকারি বিতরণ করছে।আমার কাছে এলেই আমি বাধা দেই।
-আমাকে গরুর মাংস দেবেন না আমার এলার্জি।
বলেই সহ বোধ মূলক একটা হাসি দিলাম।হয়তো আমার হাসিটা উনার হজম হয়নি তাই উনি দাত কেলিয়ে বললেন
-ওহ তাই নাকি।ভালো কথা তো।।
বলেই আমার পাতে মাংস দিয়ে দিলেন।আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকালাম।পাগল নাকি।দিতে বারন করলাম তাও দিল।
-আরে ভাতটুকুও তো মেখে খেতে হবে তাই না ওয়েট।
বলেই পুরো ভাতে ঝোল ছড়িয়ে দিল।
-হুম এখন ঠিক আছে।ভালো মতো খেয়ে নাও।একটা ভাত ও যেন নষ্ট না হয় কেমন।হ্যাভ আ গুড লাঞ্চ।
বলেই অন্যদিকে চলে গেলেন।আমি হাবার মতো তাকিয়ে রইলাম।রেমি আর সুমিও অবাক।এটা কি করল।প্লেটের দিকে তাকিয়েই আমার মাথা গরম হয়ে গেল।এরকম করার কোনো মানেই হয় না।রাগে দুঃখে ভাত রেখেই উঠে ।সোজা গিয়ে বাসের পেছনের সিটে জানালার পাশে বসে পরি।পিকনিক আসার তালে সকালে না খেয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম।এখন খুদার জালায় পেট চো চো করছে।ব্যাগ থেকে পাউরুটির পেকেট বের করলাম ।এখানে আসার পর এসব নাস্তা প্রথমেই দিয়েছিল।খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না তাই রেখে দিয়েছিলাম।এখন এসব দিয়েই কাজ চালাতে হবে।আমার পুরো শরীর রাগে কাপছে।সামান্য ওনার জায়গায় বসেছিলাম বলে আজ আমাকে না খাইয়ে রাখল।খচ্চর কোথাকার।আমি আর বাস থেকে বেরোই নি।সন্ধ্যায় সবাই সবার জায়গায় এসে বসতে লাগল।আমি যেখানে বসে আছি সেটা অন্যকারো জায়গা।ও এসে ওখানে বসল।আমি কোনো কথা কাটাকাটি না করেই ওখান থেকে উঠে এলাম।যেখানে আসার সময় বসেছিলাম সেখানে বসতে যাবো তার আগেই আকাশ এসে বসে পরল।এবার আমার রাগ আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেল।কিন্তু কিছু না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।স্যার আমাকে দাঁড়াতে দেখে আকাশকে উঠতে বললে সে সোজা বলে দেয় সে এখানে টাকা দিয়ে এসেছে ফ্রি সার্ভিসে আসেনি যে আসার সময় ও দাঁড়িয়ে যাওয়ার সময় ও দাঁড়িয়ে যাবে।যতই রেগে থাকি না কেন তবুও তার কথায় যে যুক্তি আছে তা বেশ বুঝতে পেরেছি।অনেকেই দাঁড়িয়ে আছে।কিন্তু সবাই ছেলে।আমি একটাই মেয়ে যে দাঁড়িয়ে আছি।বাস ছাড়ার কিছুক্ষণ পর আবার আমাকে গান বলতে বলা হলো।এমনিই মুড খারাপ আর এরা গান নিয়ে পরে আছে।সোজাসুজি না বলে দিলাম।পুরো রাস্তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আসি।কলেজে ভাইয়া আমাকে নিতে আসে।ভাইয়ার সাথে বাড়ি ফিরেই মায়ের সাথে বসলাম গল্প করতে।ওখানে গিয়ে কি কি করেছি এরি মাঝে ভাইয়ার খোটা তো আছেই।।তারপর ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে নিজের ঘরে এসে শুয়ে শুয়ে ফেসবুক চালাতে লাগলাম।কিছুক্ষণ ফেসবুক ইউজ করার পর ফোন রেখে ঘুমিয়ে পরলাম।


দাদুকে দেখতে গিয়েছিলাম হসপিটালে।দাদুর ভিষন অসুখ করেছে।তাই কলেজ ছুটির পর দাদুর কাছে যাই।আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।আমি অটোতে বসে রয়েছি।এমন সময় একটা ট্রাক এসে অটোর পেছোনে ধাক্কা দেয়।ধাক্কা টা বেশি জোরে না হলেও আমি উল্টো দিকে বসে থাকায় তাল সামলাতে পারিনি।হুমরি খেয়ে পরলাম।রাস্তার ধার টা অনেকটা ঢালু।আমি ছিটকে সেই ঢালু জায়গা থেকে গরিয়ে পরতে লাগলাম।এই সময়ে কি হচ্ছে না হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।নিচে পারার সাথে সাথে ব্যথাটা অনুভব করলাম বেশি।পুরো শরীর ব্যাথায় ফেটে যাচ্ছে।মাথাটা ভনভন করছে।কিন্তু আমাকে এইভাবে পরে থাকলে তো হবে না বাড়ি যেতে হবে।তাই আমি উঠে বসার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না।তার আগেই মাথা ঘুরে পরে গেলাম।মাথায় চোট টা ভীষন ভাবে পেয়েছি।চারিদিকে অন্ধকার হয়ে এসেছে।এমন সময় মনে হলো কেউ একজন এসে আমার মাথাটা নিজের কোলে নিয়েছে।আমার গালে হাত রেখে আমায় ডাকছে।কিন্তু আমি এখন সাড়া দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।চেয়েও মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।চোখ খুলতেও কষ্ট হচ্ছে।শরীর ব্যাথায় অবশ হয়ে এসেছে।কিছুক্ষণ পর অনুভব করলাম আমি হাওয়ায় ভাসছি।কিন্তু কতক্ষণ হাওয়ায় ভে সেছি তা মনে নেই।যখন হুঁশ এলো তখন আমি হসপিটালের বেডে।মা আমার পাশেই বসে আছে।আমার হাত পায়ে মাথায় ব্যান্ডেজ করা।প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও পরে ঠিক মনে পরল আমার এক্সিডেন্টের কথা।দেখলাম ভাইয়াও দাঁড়িয়ে আছে।মজাহার স্যার আর জ্যোৎস্না আন্টিও পাশে দাঁড়িয়ে আছে।এদের আবার কে খবর দিল।পরে ই চোখ গেল আকাশের দিকে।উনি একপাশে দাঁড়িয়ে আছেন।উনাকে দেখেই বুঝতে পারলাম উনিই আমায় তখন এইভাবে ডাকছিলেন।উনিই আমাকে হসপিটালে এনেছেন।উনার উস্কোখুস্কো চেহারা আর শার্টে লেগে থাকা রক্তই তা বলে দিচ্ছে।
-তুই ঠিক আছিস তো মা।
মায়ের দিকে তাকালাম।হয়তো খুব কেদেছে।একটা মুচকি হেসে বললাম।
-হুমম।
to be continue…

আমার আকাশ?
Ayusha Akter Usha
“”4″”
“দাদুকে হসপিটালে দেখতে এসে নিজেই হসপিটালে ভর্তি হয়ে গেল”এই কথাটা আমার নয় আমার খোটা মারা ভাইয়ের।ওর কাজই একটা।আমাকে খোটা দেওয়া।প্রায় দুদিন পর আমাকে বাড়িতে আনা হয়।পুরোপুরি ভাবে ঠিক হতে প্রায় একমাস লাগে।এতদিনে আমার পরীক্ষাও সামনে চলে আসে।তাই পড়াশোনায় মন দিলাম।ধীরে ধীরে আমার ফার্স্ট ইয়ারের এক্সাম ও শেষ হয়।আমি সেকেন্ড ইয়ারে উঠি।এরি মাঝে রিমি আপুর বিয়ে ঠিক হয়।আর আমাকে আর ভাইয়াকে তারা বারবার বলে গেছে যেন বিয়ের চারদিন আগেই আমরা বিয়েতে উপস্থিত থাকি।তাই আমি আর ভাইয়া বিয়ের চারদিন আগে গিয়ে ওদের বাড়িতে হাজির হই।গ্রামের বাড়ি হলেও বাড়িটা অনেক বড় ছিল।মনে হয় বিয়ের সব মেহমান চাইলে অনায়াসে এই বাড়িতে থেকে যেতে পারে।সবাই বিয়ের তোরজোর শুরু করেছে।আমি গিয়ে রিমি আপুর ঘরে তার কাছে বসলাম।ওখানে তাঁর আরো কাজিন ছিল।আমি সবার সাথে পরিচিত হলাম।কিছুক্ষণ পর আন্টি নাস্তা দিয়ে গেল।সবাই মিলে খাচ্ছি আর গল্প করছি।এমন সময় রিমি আপুর মামাতো বোন আখি বলে উঠল
-আকাশ ভাইয়া তো দেখছি বড়লোক হয়ে গেছে কথাই বলতে চায় না।
তার কথা শুনে ই সামনে তাকাতেই দেখি আকাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে ডেকোরেশনের কাপড় নিয়ে।আমি সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নেই।
-কিছু কিছু অকৃতজ্ঞ মানুষ আছে যাদের সাথে কথা বলার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।
কথাটা শুনেই আমি চট করে আকাশের দিকে তাকালাম।উনি আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন।মানে কথাটা উনি আমাকেই বললেন।কিন্তু কেন।ওহহো উনি আমাকে সেদিন হসপিটালে ভর্তি করেছিলেন।কিন্তু আমি উনাকে একটা থ্যাংকস পর্যন্ত বলিনি।আর বলবোই বা কি করে সেদিনের পর থেকে তো উনার সাথে আমার দেখাই হয় নি থ্যাংকস বলব কি করে তবে আজ যখন দেখা হয়েছে।আজ বরঞ্চ থ্যাংকস টা বলেই দেই।উনি সিঁড়ির ঘরের দিকে গেলেন।তাই আমিও উনার পিছু পিছু সেদিকে গেলাম।উনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠছেন দেখে আমি নিচ থেকেই উনাকে ডাক দিলাম।
-আকাশ ভাইয়া।
আমার ডাক শুনে চট করে আমার দিকে তাকালেন উনি।
-হোয়াট।
-থ্যাংকস।
-কিসের জন্য।
-সেদিন আমাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
-আমাকে কি তোমার পাগল বলে মনে হয়।এত দিন পরে এসে আমাকে থ্যাংকস বলছ তুমি।
-না আসলে সেদিনের পর থেকে আর আপনার সাথে দেখাই হয় নি তাই বলতে পারিনি।
-ইচ্ছে থাকলে সবকিছু হয় বুঝলে।আর হ্যা আমি যার তার ভাই লাগি না যে যেই আসবে ভাই বলে চলে যাবে সো এরপর থেকে ডোন্ট কল মি ভাইয়া।
বলেএ গনগন করে উপরে চলে গেল।যাক বাবা ভাই বলেছি তো এমন কি হয়েছে।ভাই তো কত শ্রদ্ধেয় ডাক।তারপর ও এত রাগ কিসের জন্য ।হুহ উনার রাগ উনি উনার কাছেই রাখুক।আমার কি তাতে।বিকেলের দিকে ছেলে বাড়ি থেকে লোক এলো গায়ে হলুদের জন্য।ছাদের সবকিছু ডেকোরেট করা হয়েছে।সবাই খুব ভালো ভাবেই আন্ন্দ করছে।তাঁদের হলুদ মাখানো হলে তারা সবাই চলে যায়।এইবার মেয়ে বাড়ির সবাই কনেকে হলুদ মাখানো শুরু করল।আমি একদিকে একটা চেয়ারে বসে আছি।এমন সময় আমার পাশে একটা ছেলে চেয়ার টেনে বসে পরে।
-হাই।
আমি উনার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম।
-তোমার নাম কি।
-ঊষা।
-ওহ নাইস নেম।আমি সুমন।রিমি কাজিন।আর তুমি।
-ফ্রেন্ড।
-ওও।কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হয় না তুমি রিমির ফ্রেন্ড।অনেক ছোট তুমি।
-জ্বী মাজাহার অঙ্কেল আর আমার বাবা খুব ভালো বন্ধু।সেই সূত্রে আমি আর রিমি আপুও খুব ভালো বন্ধু।
-ওহহ।।।
আমার বিরক্ত লাগছে উনার সাথে কথা বলতে তাই আমি উঠে যেতে চাইলাম তিনি উনি বলে উঠলেন।
-কি হলো কোথায় যাচ্ছো।
-সামনেই।
-আরে বস না তোমার সাথে একটু পরিচিত হই।
হায় এ কোন ছ্যাচড়া মানুষ।এখন কি করি।ভাইয়া কে খুজছি।তখনই চোখ গেল আকাশের দিকে।উনি ডিজের সাথে বসে আছেন।দৃষ্টি আমার দিকেই।আমি চোখ সরিয়ে ভাইয়াকে খুজছি।ধুর কাজের সময় যে কই যায় এই হনুমানটা কে জানে।সুমন সেই বকবক করেই যাচ্ছে
আর আমি হু হা বলেই যাচ্ছি।এমন সময় পেছনে কেউ চেয়ার এনে বসে বলল
-ভাই কি করছ।
পেছনে তাকিয়ে দেখি ভাইয়া চেয়ার নিয়ে আমাদের মাঝে বসে আছে।
-কি না ব্রো।এই তো গল্প করছিলাম।
-ওহহ আমিও অনেক ভালো গল্প করতে পারি করবো? ?
-হ্যা হ্যাঁ ভাই অবশ্যই ।
-ওকে।ঊষা যা তো আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে আয়।
আমি উঠে সোজা দৌড়।আর কে পায় আমায়।রাতে ছেলেরা ছাদে আর মেয়েরা রিমি আপুর ঘরে ঘুমিয়েছি।পরের দিন আমরা গেলাম ছেলের বাড়ি হলুদ দিতে।সবাই হলুদ দিচ্ছে।আমিও হলুদ দিয়ে বেরোবো তখনই মনে হলো আমার ঘাড়ে সুড়সুড়ি লাগছে।নিজের অজান্তেই পেছনে ঘুরে দেখি একটা সেভেনে কি এইটে পরা ছেলে আমার মাথায় রঙ দিচ্ছিল।তা দেখে আমি তাঁকে রাগে ধমক দিয়ে বসে।আর আমার ধমক খেয়ে বেচারা ভয়ে হাতে থাকা পুরো রঙের প্যাকেট আমার উপর ঢেলে দেয়।আমার এবার কান্না করার মতো অবস্থা।আমার অবস্থা দেখে সবাই নিজের মাথায় হাত দিয়ে দেখে সবাইকেই রঙ দেওয়া হয়েছে।আমার রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে।নিজের ওপরেই রাগ হচ্ছে কেন গেলাম আমি ওকে ধমক দিতে ধুরর।।

পরের দিন সবাই রঙ মাখা মাখিতে ব্যস্ত।আমাকে যেই রঙ মাখাতে আসছে।আমি সবাইকে বলে দিচ্ছি যে আমার রঙে এলার্জী(ডাহা মিথ্যা কথা)।তাই সবাই ঘুরে ঘুরে যাচ্ছে।এমন সময় ভাইয়া ভুত সেজে এসে বলে
-ঊষা তুই রুমে যা নইলে তোকে ও সবাই ভুতনি বানিয়ে দেবে।ভাইয়ার কথা শুনে আমি তাড়াতাড়ি একটা ঘরে ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দেই।দরজা লাগিয়ে যেই ঘুরতে যাবো তখনই দেখি আকাশ সোফায় বসে বসে টিভি দেখে।তাঁকে দেখে আমি তাড়াতাড়ি দরজা খুলব তখনি উনি বলে উঠলেন
-দরজাটা লাগাই থাক।নইলে সবাই রুমে এসে রঙ মাখিয়ে দিয়ে যাবে।
আমি আর দরজা খুললাম না চুপচাপ গিয়ে বিছানায় বসে পরলাম।টিভি দেখাতে মনোযোগ দিলাম।টিভি দেখতে দেখতেই আমার মনে হলো কেউ আমার পাশে এসে দাড়ালো।আমি সেদিকে তাকাতেই দেখি আকাশ আমার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসছেন।আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই উনি আমার কপাল থেকে শুরু করে দু হাত দিয়ে মুখ ভর্তি রঙ মাখিয়ে দিলেন।তারপর আমার মুখ দেখে নিজে নিজেই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেলেন।
-তুমি ভাবলে কি করে আমার বোনের বিয়ে আর আমিই সাধু সেজে বসে থাকবো।
যাক বাবা এর থেকে তো আমি বাইরেই ভালো ছিলাম।।।

to be continue….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here