আমার হৃদয়ে তুমি ২,পর্বঃ৯
Tanisha Sultana
শিশু পার্কে বসে আছে জিহাত। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। প্রচন্ড গরম। ঘামে জিহাতের সাদা শার্টটা ভীজে শরীরের সাথে লেপ্টে গেছে। একটু পরপর হাতে ঘড়ি দেখছে আর কপাল ভাজ করছে জিহাত।
রাইও জিহাতের পিছু পিছু পার্কে চলে এসেছে। জ্বরটা বাড়ছ। খুব খারাপ লাগছে রাইয়ের। মনে হচ্ছে পিছু নিয়েই ভুল করেছি। জিহাতের থেকে একটু দুরে উঁচু একটা ব্রেঞ্চে বসে রাই। নেকাব একটু উঁচু করে শ্বাস নেয়।
একটু পরে পিংক কালার গাউন পরে একটা মেয়ে এসে জিহাতের পাশে বসে। দেখতে ভালোই। কাঁধ ওবদী চুল বেশ লম্বা।
“এতোখনে আসার সময় হলো?
জিহাত বিরক্তি নিয়ে বলে। মেয়েটা ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে জিহাতের কপালের ঘাম মুছিয়ে দেয়।
” মিহি কি হচ্ছে?
“পার্টনারকে একটু কেয়ারিং দেখাতেই পারি।
” কাজের কথায় আসো। আমার সব লোকেরা ছাড়া পেয়ে গেছে। এবার মেপে মেপে পা ফেলতে হবে। এই মিশনটা কম্পিলিট হলে আমি এসব ছেড়ে দেবো। ন্যায় অন্যায় কোনো কাজের মধ্যেই আমি থাকবো না। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো বাঁচবো।
একদমে কথাগুলো বলে জিহাত। মিহি নামের মেয়েটা হা করে জিহাতের কথা শুনছে। রাই তো দুয়ে দুয়ে চার মেলাতেই পারছে না। কি করে জিহাত? আর যাই করুক সেটা হঠাৎ ছেড়ে দিতে চাইছে কেনো? আপির জন্য?
“চার দিনে এতো পরিবর্তন? গ্রেট।
” এখন বলো এখানে কেনো ডেকেছো?
মিহি বলতে যাবে তার আগেই এক ঝাঁক মেয়ে চলে আসে। এ বলছে তুমি এই মেয়ের সাথে কেনো? ও বলছে চিট করছো আমার সাথে?
জিহাত আর মিহি তো হা হয়ে গেছে। এরা জানলো কি করে জিহাত এখানে এসেছে? রাই বেপারটা এনজয় করছে।
“জিহাত তোমার গার্লফ্রেন্ডরা এখানে সবাই এক সাথে কি করে?
মিহি ফিসফিস করে বলে।
” আমিও তো বুঝতে পারছি না।
মিহি কটমট চোখে তাকায় জিহাতের দিকে।
জিহাত এখান থেকে পালানোর পথ খুঁজছে। এবার জিহাতের চোখ পড়ে রাইয়ের দিকে। নেকাব খুলে খিলখিল করে হাসছে। জিহাতের কাছে এতোখনে বেপারটা ক্লিয়ার হয়। এসব এই মেয়েটার কারসাজি।
সবাই জিহাতকে হাজারটা গালি দিয়ে চলে যায়। মিহি হাফ ছাড়ে
” জিহাত চলো কোনো কফিশপে যায়
“তুমি যাও আমি আসছি
মিহি চলে যায়। রাই ততোখনে বাড়ি যাওয়ার জন্য দৌড় দিছে। রাইয়ের কাজ শেষ। একসাথে জিহাতের সব গুলো রিলেশন ব্রেকআপ। খুশিতে লুঙ্গি ডান্স করতে ইচ্ছে হচ্ছে রাইয়ের। একটু জ্বর ছিলো সেটাও খুশিতে উধাও হয়ে গেছে। জিহাতকে কোনোভাবে বুঝতে দেওয়া যাবে না রাই এখানে এসেছিলো। রাস্তার মাঝখানে রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে আছে রাই। হঠাৎ দেখে পিংক কালার গাউন পড়া সেই মেয়েটা। রাই এক দৌড়ে মেয়েটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। মেয়েটা ভ্রু কুচকে তাকায় রাইয়ের দিকে।
” এভাবে রাস্তা আটকে দাঁড়ালে কেনো? হু আর ইউ?
“আপনার চাচতো সতীন
” হোয়াট
“আমি মিসেস রাইসা ইয়াসমিন। জিহাত চৌধুরীর বউ। আপনি আমার স্বামীর সাথে গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর করে আমার সতীন হতে চাইছেন? এটা কিন্তু কখনোই হবে না। আমি সতীনের ঘর করতে পারবো না। আমার বরকে ছেড়ে দিন নাহলে আমি আপনার কাধ ওবদী চুল টেনে কোমর পর্যন্ত নামিয়ে দেবো বলে দিলাম
প্রচন্ড রেগে কথা গুলো বলে রাই। মিহি হা হয়ে আছে।
” জিহাত বিয়ে করছে?
“আপনাকে বলে নি? শুধু কি বিয়ে করছো? সাত মাস পরে বাচ্চার বাবা হবেন উনি
” মানে?
“আমি তিন মাসের প্রেগন্যান্ট। প্লিজ আমার বরের পিছু ছেড়ে দিন। নাহলে আমি আর আমার সন্তান পানির জলে ভেসে যাবো
নেকা কান্না করে বলে রাই।
“তুমি সত্যি বলছো এটা প্রমাণ কি?
রাই মিহির হাতটা টেনে নিজের পেটে নিয়ে বলে
” এই যে আমি আমার পেট ছুঁয়ে বলছি
“তোমার পেটে তো আমার হাত
রাই হাতটা ছেড়ে দেয় মিহির।
” মিহি ও সত্যি বলছে
জিহাতের গলা শুনে রাই চমকে ওঠে। মিহি জিহাতের দিকে তাকায়। হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে সরু চোখে রাইয়ের দিকেতাকিয়ে। রাই এবার কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না। এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।
মিহি জিহাতের কাছে যায়
“কে এটা?
” আমার ফিউচার বেবির মা
দাঁতে দাঁত চেপে বলে জিহাত। রাই চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে আল্লাহ আল্লাহ করছে। এই বুঝি ঠাস করে একটা ধমক দিবে।
“তুমি বিয়ে করছো? আবার তোমার বউ প্রেগন্যান্ট? সব কিছু আমার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। একটু ক্লিয়ার করে বলো
” তোমাকে পরে সব বুঝিয়ে বলবো। এখন বেবির মাকে একটু আদর যত্ন করবো
বলেই বাইকে ওঠে।
“বেবির মা বাইকে ওঠো
জিহাতের কথায় ঠাস করে রাই চোখ খুলে। আস্তে আস্তে জিহাতের দিকে তাকায়। জিহাত হেলমেট পড়ছে। রাই ভয়ে ভয়ে বাইকে ওঠে।
” আআআআমি মমমমজা
রাইয়ের কথা শেষ হওয়ার আগেই জিহাত জোরে বাইক চালানো শুরু করে। রাই পড়েই যাচ্ছিলো কোনোমত জিহাতের শার্ট খামচে ধরে বাঁচে৷
“আল্লাহ হেলেপ করো। কেনো যে এতোকিছু বলতে গেলাম।
বাড়ির সামনে বাইক থামতেই রাই ঝড়ের গতিতে নেমে যায়। বোরকা উঁচু করে দৌড় দিতে যাবে তখন জিহাত বলে
” একপা নড়লে পা ভেঙে দেবো
রাই কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। জিহাত বাইক ছাইডে রেখে বাইকের আয়নার সামনে হেলমেট ঝুলিয়ে রাইয়ের সামনে আসে।
রাইয়ের নেকাব খুলে দেয়। ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গেছে রাই। জিহাত হাত দিয়ে কপালের ঘামটুকু মুছিয়ে দেয়। রাই চোখ বন্ধ করে কাঁপছে।
“এভাবে দৌড়ঝাঁপ পাড়লে আমার তিনমাসের বেবির তো কষ্ট হবে।
মুচকি হেসে বলে জিহাত। জিহাতের এই হাসিটাকেই রায়ের বেশি ভয় করছে।
” আমি সত্যি প্রেগন্যান্ট না। মজা করে বলেছি?
কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলে রাই।
“মজা করেই বলো আর যাই করে বলো। বলেছো যখন তখন তো তোমার কথা সত্যি করতেই হবে
রাইয়ের চোখ আপনাআপনি বড় বড় হয়ে যায়। জিহাত সেদিকে পাত্তা না দিয়ে রাইকে কোলে তুলে নেয়। রাই আরেকদরফা চমকে ওঠে।
” ককি করছেন?
“নরাচরা করলে ঠাস করে ফেলে দেবো
রাই জিহাতের গলা জড়িয়ে ধরে।
বাড়ির সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। জিহাত সেদিকে পাত্তা না দিয়ে রাইকে নিয়ে রুমে যাচ্ছে। জেসি দৌড়ে এসে বলে
” দাভাই কি হয়েছে ভাবির?
“শখ জেগেছে কোলে উঠে রুমে যাওয়ার।
জিহাতের কথা শুনে সবাই মুচকি হাসে। রাই লজ্জায় মরে যাচ্ছে। পরে এদের সামনে মুখ দেখাবে কি করে।
রাইকে খাটে বসিয়ে দিয়ে জিহাত ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দেয়। রাই একদম খাটের শেষ পান্তে চলে গেছে। জিহাত দরজা আটকে শার্ট খুলে
” আপনি শার্ট খুলছেন কককেনো?
থেমে থেমে বলে রাই।
“বাহহ রে তোমার মজা টাকে সত্যি করতে হবে না
রাই বিছানা চাদর মুঠো করে ধরে।
জিহাত রাইয়ের দিকে এগোতে এগোতে বলে
” আমাকে আইসক্রিম আনতে বলে আমার ফোন থেকে সব মেয়েদের মেসেজ দিয়েছিলা পার্কে আসার জন্য। আমার ব্রেকআপ হয়ে গেলো। আর তোমাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেবো? কখনোই না বউ।
চলবে#আমার হৃদয়ে তুমি ২
#পর্বঃ৯
#Tanisha Sultana
শিশু পার্কে বসে আছে জিহাত। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। প্রচন্ড গরম। ঘামে জিহাতের সাদা শার্টটা ভীজে শরীরের সাথে লেপ্টে গেছে। একটু পরপর হাতে ঘড়ি দেখছে আর কপাল ভাজ করছে জিহাত।
রাইও জিহাতের পিছু পিছু পার্কে চলে এসেছে। জ্বরটা বাড়ছ। খুব খারাপ লাগছে রাইয়ের। মনে হচ্ছে পিছু নিয়েই ভুল করেছি। জিহাতের থেকে একটু দুরে উঁচু একটা ব্রেঞ্চে বসে রাই। নেকাব একটু উঁচু করে শ্বাস নেয়।
একটু পরে পিংক কালার গাউন পরে একটা মেয়ে এসে জিহাতের পাশে বসে। দেখতে ভালোই। কাঁধ ওবদী চুল বেশ লম্বা।
“এতোখনে আসার সময় হলো?
জিহাত বিরক্তি নিয়ে বলে। মেয়েটা ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে জিহাতের কপালের ঘাম মুছিয়ে দেয়।
” মিহি কি হচ্ছে?
“পার্টনারকে একটু কেয়ারিং দেখাতেই পারি।
” কাজের কথায় আসো। আমার সব লোকেরা ছাড়া পেয়ে গেছে। এবার মেপে মেপে পা ফেলতে হবে। এই মিশনটা কম্পিলিট হলে আমি এসব ছেড়ে দেবো। ন্যায় অন্যায় কোনো কাজের মধ্যেই আমি থাকবো না। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো বাঁচবো।
একদমে কথাগুলো বলে জিহাত। মিহি নামের মেয়েটা হা করে জিহাতের কথা শুনছে। রাই তো দুয়ে দুয়ে চার মেলাতেই পারছে না। কি করে জিহাত? আর যাই করুক সেটা হঠাৎ ছেড়ে দিতে চাইছে কেনো? আপির জন্য?
“চার দিনে এতো পরিবর্তন? গ্রেট।
” এখন বলো এখানে কেনো ডেকেছো?
মিহি বলতে যাবে তার আগেই এক ঝাঁক মেয়ে চলে আসে। এ বলছে তুমি এই মেয়ের সাথে কেনো? ও বলছে চিট করছো আমার সাথে?
জিহাত আর মিহি তো হা হয়ে গেছে। এরা জানলো কি করে জিহাত এখানে এসেছে? রাই বেপারটা এনজয় করছে।
“জিহাত তোমার গার্লফ্রেন্ডরা এখানে সবাই এক সাথে কি করে?
মিহি ফিসফিস করে বলে।
” আমিও তো বুঝতে পারছি না।
মিহি কটমট চোখে তাকায় জিহাতের দিকে।
জিহাত এখান থেকে পালানোর পথ খুঁজছে। এবার জিহাতের চোখ পড়ে রাইয়ের দিকে। নেকাব খুলে খিলখিল করে হাসছে। জিহাতের কাছে এতোখনে বেপারটা ক্লিয়ার হয়। এসব এই মেয়েটার কারসাজি।
সবাই জিহাতকে হাজারটা গালি দিয়ে চলে যায়। মিহি হাফ ছাড়ে
” জিহাত চলো কোনো কফিশপে যায়
“তুমি যাও আমি আসছি
মিহি চলে যায়। রাই ততোখনে বাড়ি যাওয়ার জন্য দৌড় দিছে। রাইয়ের কাজ শেষ। একসাথে জিহাতের সব গুলো রিলেশন ব্রেকআপ। খুশিতে লুঙ্গি ডান্স করতে ইচ্ছে হচ্ছে রাইয়ের। একটু জ্বর ছিলো সেটাও খুশিতে উধাও হয়ে গেছে। জিহাতকে কোনোভাবে বুঝতে দেওয়া যাবে না রাই এখানে এসেছিলো। রাস্তার মাঝখানে রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে আছে রাই। হঠাৎ দেখে পিংক কালার গাউন পড়া সেই মেয়েটা। রাই এক দৌড়ে মেয়েটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। মেয়েটা ভ্রু কুচকে তাকায় রাইয়ের দিকে।
” এভাবে রাস্তা আটকে দাঁড়ালে কেনো? হু আর ইউ?
“আপনার চাচতো সতীন
” হোয়াট
“আমি মিসেস রাইসা ইয়াসমিন। জিহাত চৌধুরীর বউ। আপনি আমার স্বামীর সাথে গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর করে আমার সতীন হতে চাইছেন? এটা কিন্তু কখনোই হবে না। আমি সতীনের ঘর করতে পারবো না। আমার বরকে ছেড়ে দিন নাহলে আমি আপনার কাধ ওবদী চুল টেনে কোমর পর্যন্ত নামিয়ে দেবো বলে দিলাম
প্রচন্ড রেগে কথা গুলো বলে রাই। মিহি হা হয়ে আছে।
” জিহাত বিয়ে করছে?
“আপনাকে বলে নি? শুধু কি বিয়ে করছো? সাত মাস পরে বাচ্চার বাবা হবেন উনি
” মানে?
“আমি তিন মাসের প্রেগন্যান্ট। প্লিজ আমার বরের পিছু ছেড়ে দিন। নাহলে আমি আর আমার সন্তান পানির জলে ভেসে যাবো
নেকা কান্না করে বলে রাই।
“তুমি সত্যি বলছো এটা প্রমাণ কি?
রাই মিহির হাতটা টেনে নিজের পেটে নিয়ে বলে
” এই যে আমি আমার পেট ছুঁয়ে বলছি
“তোমার পেটে তো আমার হাত
রাই হাতটা ছেড়ে দেয় মিহির।
” মিহি ও সত্যি বলছে
জিহাতের গলা শুনে রাই চমকে ওঠে। মিহি জিহাতের দিকে তাকায়। হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে সরু চোখে রাইয়ের দিকেতাকিয়ে। রাই এবার কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না। এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।
মিহি জিহাতের কাছে যায়
“কে এটা?
” আমার ফিউচার বেবির মা
দাঁতে দাঁত চেপে বলে জিহাত। রাই চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে আল্লাহ আল্লাহ করছে। এই বুঝি ঠাস করে একটা ধমক দিবে।
“তুমি বিয়ে করছো? আবার তোমার বউ প্রেগন্যান্ট? সব কিছু আমার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। একটু ক্লিয়ার করে বলো
” তোমাকে পরে সব বুঝিয়ে বলবো। এখন বেবির মাকে একটু আদর যত্ন করবো
বলেই বাইকে ওঠে।
“বেবির মা বাইকে ওঠো
জিহাতের কথায় ঠাস করে রাই চোখ খুলে। আস্তে আস্তে জিহাতের দিকে তাকায়। জিহাত হেলমেট পড়ছে। রাই ভয়ে ভয়ে বাইকে ওঠে।
” আআআআমি মমমমজা
রাইয়ের কথা শেষ হওয়ার আগেই জিহাত জোরে বাইক চালানো শুরু করে। রাই পড়েই যাচ্ছিলো কোনোমত জিহাতের শার্ট খামচে ধরে বাঁচে৷
“আল্লাহ হেলেপ করো। কেনো যে এতোকিছু বলতে গেলাম।
বাড়ির সামনে বাইক থামতেই রাই ঝড়ের গতিতে নেমে যায়। বোরকা উঁচু করে দৌড় দিতে যাবে তখন জিহাত বলে
” একপা নড়লে পা ভেঙে দেবো
রাই কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। জিহাত বাইক ছাইডে রেখে বাইকের আয়নার সামনে হেলমেট ঝুলিয়ে রাইয়ের সামনে আসে।
রাইয়ের নেকাব খুলে দেয়। ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গেছে রাই। জিহাত হাত দিয়ে কপালের ঘামটুকু মুছিয়ে দেয়। রাই চোখ বন্ধ করে কাঁপছে।
“এভাবে দৌড়ঝাঁপ পাড়লে আমার তিনমাসের বেবির তো কষ্ট হবে।
মুচকি হেসে বলে জিহাত। জিহাতের এই হাসিটাকেই রায়ের বেশি ভয় করছে।
” আমি সত্যি প্রেগন্যান্ট না। মজা করে বলেছি?
কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলে রাই।
“মজা করেই বলো আর যাই করে বলো। বলেছো যখন তখন তো তোমার কথা সত্যি করতেই হবে
রাইয়ের চোখ আপনাআপনি বড় বড় হয়ে যায়। জিহাত সেদিকে পাত্তা না দিয়ে রাইকে কোলে তুলে নেয়। রাই আরেকদরফা চমকে ওঠে।
” ককি করছেন?
“নরাচরা করলে ঠাস করে ফেলে দেবো
রাই জিহাতের গলা জড়িয়ে ধরে।
বাড়ির সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। জিহাত সেদিকে পাত্তা না দিয়ে রাইকে নিয়ে রুমে যাচ্ছে। জেসি দৌড়ে এসে বলে
” দাভাই কি হয়েছে ভাবির?
“শখ জেগেছে কোলে উঠে রুমে যাওয়ার।
জিহাতের কথা শুনে সবাই মুচকি হাসে। রাই লজ্জায় মরে যাচ্ছে। পরে এদের সামনে মুখ দেখাবে কি করে।
রাইকে খাটে বসিয়ে দিয়ে জিহাত ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দেয়। রাই একদম খাটের শেষ পান্তে চলে গেছে। জিহাত দরজা আটকে শার্ট খুলে
” আপনি শার্ট খুলছেন কককেনো?
থেমে থেমে বলে রাই।
“বাহহ রে তোমার মজা টাকে সত্যি করতে হবে না
রাই বিছানা চাদর মুঠো করে ধরে।
জিহাত রাইয়ের দিকে এগোতে এগোতে বলে
” আমাকে আইসক্রিম আনতে বলে আমার ফোন থেকে সব মেয়েদের মেসেজ দিয়েছিলা পার্কে আসার জন্য। আমার ব্রেকআপ হয়ে গেলো। আর তোমাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেবো? কখনোই না বউ।
চলবে