আরেক_ফাল্গুনে,পর্ব -06 শেষ পর্ব

0
2408

আরেক_ফাল্গুনে,পর্ব -06 শেষ পর্ব
সামানিয়া_জামান_প্রজ্ঞা

কনের সাজে বসে আছি ডা. ফায়াজ আবরারের বাড়িতে। একটু আগে পার্লার থেকে কয়েকটি মেয়ে এসে সাজিয়ে গেলো। আমার চোখের পানি বাধ মানছে না। অঝর ধারায় ঝরে যাচ্ছে। এজন্য নয় যে আমার বিয়ে অন‍্যকারো সঙ্গে হচ্ছে বরং এজন্য যে আমার বিয়েটা আমার পছন্দের মানুষ,আমার ভালোবাসা,আমার সাউলমেট আবরারের সঙ্গেই হচ্ছে। হুম কিছুক্ষন আগেই তার পরিচয় পেলাম আর সেটা উনারই কাছে। আমি যখন জানলাম ডা.ফায়াজ আবরার জুবায়েরই আমার আবরার আমি বাপির দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে ছিলাম। বাপি মাম্মা মাথা ঝাকিয়ে ইসারা করলেন আমি হতবাক হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরতে গেলাম তখনই উনি আমাকে ধরে ফেললেন।

বহুবছর পর আপন কাউকে দেখতে পেলে যেমন ফিল হয় আমার ক্ষেএেও তাই হচ্ছে। হাত-পা কাপাকাপি অবস্থা। অদ্ভুত একটা শিহরণ বয়ে যাচ্ছে মনে। রাগ ও হচ্ছে কেনো পরিচয় দিলেন না উনি আমাকে। আমার চোখের পানিটা মুছে উনি কপালে চুমু দিয়ে বললেন আমি গেস্টদের কাছে যাচ্ছি মেহেক নিজেকে সামলে নেও বাকিটা চোখের পানি নাহয় আমার জন‍্য জমিয়ে রাখো।

উনার কথার মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝলাম না। উনার যাওয়া দেখে ওভাবে চুপটি করে চোখের পানি ফেললাম। উনাকে এতো দেখছি তবুও কোথায় যেনো দেখার শেষ হচ্ছে না। উনি উনার সহকারি সাইন্টিসদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পুরোটা সময় আমি উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম। আমার একটু অভিমান হলো কারন এতোদিন পর উনাকে পেলাম কোথায় আমার সঙ্গে থাকবে তা নয় আমাকে ইগনোর করছে।

তারপরই পার্লারের মেয়েরা আসে আর আমাকে সোজা উপরে এনে সাজাতে লাগলো। কতোবার যে কান্না কাটির জন‍্য চোখের কাজল লেপ্টে গেলো তার হদিস নেই। উনারা বারবার আমাকে ম‍্যাম কান্না করবেন না প্লীজ বলল তারপর ও কান্না থামাতেই পারছি না। শেষে উনারা আমার হাতে এক বক্স টিসু ধরিয়ে বলল সাজ তো অনেক কষ্টে কম্পিলিট করলাম প্লীজ ম‍্যাম কান্নাকাটি করে মেকআপ টা নষ্ট করবেন না। এই টিসুটা ইউজ করবে হালকা ভাবে। আমি মাথা ঝাকিয়ে হ‍্যা বললাম। ওরা চলে গেলো।

এই দুইদিনে বাপি মাম্মা আমাকে নানা ভাবে বুঝাতে লাগলো শেষেও যখন না বললাম উনারা আমাকে ইমোশনালি ব্লাকমিল করে। আর কি করি তাই বাধ‍্য হয়ে আমাকে মেনে নিতে হয়।

বিয়েটা উনার বাড়িতে হবার কথা ছিলো আর তাই হচ্ছে। আশেপাশে মিডিয়ার লোকজন। আর তাছাড়া উনার সহকর্মী সাইনটিস্ট সবাই উপস্থিত। পুলিশ কমিশনার,জেলা প্রশাসক, মেজিস্টেট, অনেক এক্টর সবাই এসেছে আজ। বাপি মাম্মা এতোদিন আমাকে বলেছিলো আবরার ফিরবে না।কিন্তু আমি অপেক্ষা করা ছাড়িনি। শেষ পযর্ন্ত উনার দেখা পেলাম কিন্তু শুরুটা একটু ভিন্নরকম ছিলো।
আমাকে নিতে দুজন মেয়ে আসলো। আমি শেষ বারের মতো কান্না মুছে নিচে নামার জন‍্য পা বাড়ালাম। নিচে নামতেই হাইলাইটটা আমার দিকে পরে সবাই হাত তালি দিলো আর আবরার আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। আমি উনার হাতে হাত রাখলাম মিডিয়ার লোকজন আমাদের কাছে এসে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে লাগলো। আবরার সবগুলোর উত্তর দিলো আর আমার দিকে তাকালো আমি শুকনো একটা হাসি উপহার দিলাম। উনি সবার মাঝে আমার কানের কাছে মুখটা এনে বললেন

মিহু পাখি! আমাকে ছাড়া যতটা কষ্ট তুমি পেয়েছো সবটা শোধ করে দিবো আমার ভালোবাসার ছোয়াঁয় তবুও তুমি মন খারাপ করে থেকো না।

উনার কথায় শীতল শ্রোত বয়ে গেলো আমার শরীর বেয়ে। আমি মুখ দিয়ে হালকা একটা আওয়াজ করে উনাকে ধাক্কা দিয়ে বললাম,

উমমম সব সাইন্টিস্ট গুলোর কি লজ্জা-শরম অল্প থাকে?জনসমুখ্খে এগুলো কি বলেন?

তারপর আমরা দুজনেই হাসিমুখে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বললাম। কিছুক্ষন ফটোসুট করার পর কাজি সাহেব চলে আসলেন। উনার সহ সাইনটিস্ট গুলা উনার সঙ্গে বরের জাইগার পাশে বসলেন। এদিকে সবার ওয়াইফ ইনভাইটেড ছিলেন উনারা আমার পাশে বসলেন। আমরা কবুল বলে রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করলাম। উনার আরো একটি কান্ডে আমি খুব অবাক হলাম। আমার দেনমহরে আশিলক্ষ টাকার চেক দিয়ে উনি সর্বসমক্ষে আমাকে অর্ধাঙ্গিনীর পরিচয় দিলেন। এখন উনার উপর ক্রাশিত মেয়েদের নিয়ে টেনশন হচ্ছে আমার। হয়তো উনার বিয়ের খবর শুনে এতোক্ষনে হার্টফেল করে ফেলেছে অনেকে।

_____________

বেশ ভালো মতো আমাদের বিয়েটা হয়ে যাই। উনি প্রত‍্যেকটি সময় লোকজনের দেখাশোনার জন‍্য কাজের লোকদের উপদেশ দিতে থাকলো। কারো কোন সমস্যা হচ্ছে নাকি এইবিষয়ে। বিয়ের দুইদিনে উনি এতো আয়োজন করেছে তা কল্পনাতিত। দশকোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে সম্ভবত তারপর ও উনার কাছে এটা কম মনে হচ্ছিলো। বিয়েটা মিটে যাওয়ায় সবাই তৃপ্তি সহকারে খাবার গ্রহন করে তারপর একে একে উপহার দিয়ে চলে যাই। বাপি মাম্মা আমাদের প্রানভরে দুয়া দেই তারপর তারাও চলে যাই। পুরো বাড়ি ফাকা হয়ে যায় শুধু গার্ড আর কয়েকটি কাজের লোক ছাড়া। সবার যাওয়ার অনেক পরে আবরারকে ও যেতে হয় কারন ল‍্যাবে ইমাজেন্সি দরকার ছিল। আবরার চলে যাওয়ার পর পর সামলে নিই আমি। ঘরে ছিল ছিলাম মন খারাপ লাগছিল তাই টিভি ওন করতেই খবরের হেডলাইনটা আর পিকটা দেখে হেসে উঠলাম। কারন হেডলাইনটা এমন ছিলো “বাংলাদেশের টপ ধনী ব‍্যাচেলরদের মধ‍্যে তরুণ বিজ্ঞানী ডা.ফায়াজ আবরার জুবায়ের অবশেষে বিয়ে করলেন” সঙ্গে আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে কথা বলার সময়কার একটা পিক।
আরো একটি খবর দেখে আমার চক্ষু চরকগাছে সেটা হচ্ছে উনি নাকি আগত মরনব‍্যধি ব্লাক টাইফাস রোগের ভ‍্যকসিন তৈরি করেছেন আর সেটা পাবলিক ও করলেন। প‍্রচন্ড অবাক করা বিষয় ডা. ফায়াজ জুবায়ের বিয়ের দিনই বের করলেন ব্লাক টাইফাসের মতো মরনব‍্যধির ভ‍্যাকসিন। আর সেটা নাকি কোন আক্রান্ত ব‍্যক্তির শরীরে পৌঁছে দিয়েছেন আর কাঙ্খিত ফলাফল পেলেন সেটা ও 24 ঘন্টার আগে। নেটদুনিয়ায় খবরটা ব‍্যপক ভাইরাল হলো। সবজাইগায় উনাকে নিয়ে পোস্ট। টুইটার, ইন্সট্রাগ্রাম,ফেসবুকে মুহুর্তের মধ‍্যে তলপাড় শুরু হয়ে যাই। সবাই উনাকে কনগ্রাচুলেট করে টুইট করতে থাকে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও খবরটি পৌঁছে যাই। আর ভ‍্যাকসিনের ফরমুলা টা ইউনিসেফের কাছে নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দেন বাংলাদেশ সরকার। এরজন‍্য বিশ্বের দরবারে মুহুর্তের মধ্যে বাংলাদেশ সম্মানিত রাষ্ট্রে দ্বিতীয়বারের মতো পৌঁছে যাই। আমার গর্ব হচ্ছে উনার জন‍্য। এদিকে বাপি মাম্মা মেধা সব রিলেটিভ ফোন দিচ্ছে একের পর এক সবার সঙ্গে কথা বললাম। এতো ফোনকল রিসিভ করতে আমি সামলাতে না পেরে ফোন বন্ধ করে উনার জন‍্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। নিয়ম অনুসারে আজ আমাদের বাসর রাত। কথাটা কেমন লজ্জা অসস্থির মধ‍্যে ফেলে দেয়। আমাদের রুমটা অনেক রকম ফুলে সাজানো হয়েছে। বিশেষ করে ল‍্যাভেন্ডার দিয়ে। ল‍্যাভেন্ডার আমার পছন্দের ফুল আবরারের মনে আছে এজন‍্য ও পুরো ঘর জুরে গোলাপ, লেভেন্ডার, রজনী গন্ধা স্টিক, বেলুন,রঙিন পেপার দিয়ে সাজিয়েছেন। আমার কেমন অনুভূতি হচ্ছে বলে বোঝানো সম্ভব না। উনার কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে বিছানায় গোলাপ দ্বারা লাভ সেপের উপর ঘুমিয়ে পরেছি নিজেও জানিনা।

_______________

গভীররাতে মনে হচ্ছে কেউ আমাকে জরিয়ে ধরে পর্যবেক্ষণ করছে। ঠোঁটে নরম অংশে কিছুর স্পর্শ পেয়ে লাফিয়ে উঠতে চাইলাম কিন্তু কেউ যেনো শক্ত করে চেপে রইল। অন্ধকারে আমি চিৎকার করবো এমন সময় ফায়াজ বললেন চুপপপপ এটা আমি মিহু পাখি! আমি উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম। উনি হুট করে লাইট জ্বালালেন। আমি ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনটে বেজে গেছে। খুব রাগ হচ্ছে আমার। কতো আশা ছিলো বাসর রাত নিয়ে আমার সমস্ত কিছুতে পানি ফেলে দিলেন উনি। ভেবেছিলাম সারারাত গল্পকরবো। কিভাবে চিনলেন আমাকে আর উনার সাইনটিস্ট হওয়ার পিছনের গল্প! কিন্তু সবগুলো ধুলিসাৎ করে দিলেন উনি। রাগে উনার থেকে সরে আসতে চাইলাম কিন্তু একপ্রকার জোর করে ধরে রইলো আমাকে। আমাকে ছটফট করতে দেখে উনি আমার কাধে কামড় দিয়ে গলায় মুখ ডুবিয়ে বললেন,

এতো নড়াচড়া করছো কেনো সুইটহার্ট? আমি কি এখনো কিছু করেছি? আজকে সত্যি অনেক ক্লান্ত আমি একটু আদর করোনা প্লীজ। কতোবছর পর তোমার স্পর্শ পাচ্ছি যানো? আমি যখন আমেরিকায় ছিলাম তখন ও আমি শুধু তোমাতেই ডুবে থাকতাম। আজ সত্যি করে পেয়েছি দুরে সরিয়ে দিবে?

উনার কথায় শরীরে শীতল কম্পন হলো। কিন্তু রাগটা যাইনি তাই উনারে দুরে সরানোর চেষ্টা করে বললাম আপনার তো খেয়ালই নেই যে আপনার বিয়ে হয়েছে বাড়িতে বউ আছে। সারাক্ষণ তো ল‍্যাব,কাজ, ব‍্যাস্ততা নিয়ে পরে থাকেন তো ভালো তো থাকুন না আমাকে ডিস্টার্ব করছেন কেনো।

উনি গলা থেকে মুখ তুলে বললেন,

গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো তো। তবে এখন ফ্রী। ভাইরাসটা দেশে আসলেও মানুষ মারা যাবে না আর। জানো সবাই কতো কনগ্রাচুলেট করছে আমাকে। কিন্তু আমার এগুলো চাইনা আমি তো চাই আমার মিহু পাখির ভালোবাসা বলেই গলাই আলতো করে বাইট করলেন।

আমি আহহ বলে সরিয়ে দিতেই উনি আবারো বললেন,

বুঝেছি তুমি ভালো কথা শোনার মেয়ে না। আমাকে যখন ভালোবাসা দিবেই না তখন আমাকে তো জোর করতেই হবে। আই ওয়ান্ট ইয়র লাভ মেহেক! আই ওয়ানট ইয়র লাভ! প্লীজ আমাকে দুরে সরিয়ে দিয়ো না। আমি অনেক দিন ধরে তোমার ভালোবাসার না পাওয়ার আগুনে পুরছি আর পুরতে চাইনা বলেই লাইটা অফ করে লেহেঙ্গার আচলটা ফেলে দিলেন। উনার কথা শুনে চোখের পানি ছেড়ে দিলাম । হঠাৎ উনি ঠোঁট দিয়ে আমার চোখের পানিটা শুষে নিলেন তারপর ফিসফিস করে বললেন এখনো রাত শেষ হয়নি সুইটহার্ট মে আই….!!! ব‍্যাস ডুব দিলাম আমরা গভীর ভালোবাসার নির্জনতায়। যেখানে সব স্পর্শই কেবল ভালোবাসার মানুষটার অনুভূতি স্বরন করিয়ে দেয়।

_______________

#দুইমাস_পর,,

রৌদ্র তপ্ত দুপুরে ক্লান্ত শরীরে গাড়ি চালিয়ে আসছে ফায়াজ। বাড়িতে পৌঁছেই দৌড়ে রুমে গিয়ে জরিয়ে ধরে মেহেককে। কি হয়েছে মেহেক? এইভাবে কাদঁছিলে কেনো ফোনে? জানো আমি কতো ভয় পেয়েছি? আমি সব কাজ ফেলে ছুটে চলে এসেছি তোমার কাছে। আচ্ছা তোমাকে কি কেউ বকেছে? কিহলো বলো কেউ কিছু বলেছে?

আমি কিছু না বলেই উনার বুকে মুখ লুকিয়ে কেদেঁ হাতে থাকা পেগনেন্সি টেস্টের মেশিনটা উনার হাতে দিলাম। মেশিনে দুটো দাগ স্পষ্ট দেখে মুহুর্তের মধ‍্যে উনার চোখে পানি চলে আসলো। এই কান্নাটা আসলে খুশির। ছেলেরা নাকি কাদতেঁ পারে না কিন্তু এটা ভুল তারা তখনই কাদেঁ যখন খুব বেশি আনন্দ পাই আর না হলে খুব বেশি কষ্ট পেলে। ফায়াজের চোখে এই মুহূর্তে খুশির ঝলক দেখা যাচ্ছে। সে মেশিনটা রেখে আমাকে কোলে তুলে বলল,

জানো মিহুপাখি আজ আমি কতোদিন পর এতো খুশি হয়েছি? বাবা মা মারা যাওয়ার পর কোনদিন আমি ভালো মতো হাসতে পারেনি। তুমি আমার জীবনের রঙিন ফাল্গুন। এক ফাল্গুনে আমি তোমাকে পেয়েছি। #আরেক_ফাল্গুনে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুখটা পেলাম। আজ আমি মহা খুশি বলে ঘুরতে লাগলো এদিকে আমি ও ওকে নামাতে বলতেই থাকলাম। একসময় ও আমার ঠোঁটে গভীর চুমু দিয়ে ওইভাবে বাহিরে নিয়ে গেলো। আমি লজ্জায় চোখ মুখ ঢেকে রইলাম। উনি চিৎকার করে বলল কে কোথায় আছো সাদাফ যলদি আমার শ্বশুর মশায়কে খবর দেও আমার মিহুপাখি সন্তান সম্ভাবা!! আর হ‍্যা দশমন মিষ্টির ব‍্যবস্থা করো তারমধ‍্যে চার-পাচঁমন আমার শ্বশুরবাড়িতে আর দুইমন আমার ল‍্যাবে পাঠানোর ব‍্যবস্থা করো। আর রিলেটিভদের মাঝে এবং প্রতিবেশিদের মাঝে বাকি দুইমন মিষ্টি পাঠানোর ব‍্যবস্হা করো। ? সাদাফ ভাইয়া আবদুল্লাহ চাচা সবাই খুব খুশি তারা সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি আনতে চলে যাই। এদিকে বাকি কাজের লোকগুলো রান্নাবান্না ও বাড়ি পরিষ্কার করতে লাগলো। আমি মেধা আর সাদাফ ভাইয়ার রিলেশনের ব‍্যাপারটা ফায়াজকে বললাম। ফায়াজ শুনেই খুবই খুশি হয় এবং নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওদের বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করলেন।
উফফফ!! জীবনটা এতো সুখের কেনো? একজীবনে আর কি চাওয়া থাকতে পারে। আমি সারাজীবন উনাকে এইভাবে পাশে চাই। সারাটাজীবন!!

সমাপ্তি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here