#আষাঢ়ে_শ্রাবণের_বর্ষণ
#মাইশাতুল_মিহির
[পর্ব-২১]
রাত্রির দ্বিপ্রহর! গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন পরিবেশ। রাস্তাঘাট জনমানবহীন। সবকিছু একদম নিস্থব্ধ। সন্ধ্যার পর ভারি বর্ষণের কারণে পরিবেশ এখন শীতল। ছিমছাম গোমট বাধা অনুকূল। গাছের কড়া সবুজ পাতা গুলো ভিজে আছে। কিয়ৎক্ষণ পরপর চুইয়ে চুইয়ে পানি ঝড়ছে। বিশাল অম্বরে খানিক্ষণ পর পর বিদুৎ চমকাচ্ছে। আকাশের আড়ম্বরের ধ্বনিতে চারপাশ মুখরিত। পাখিরা তাদের আপন নীড়ে ঘামটি বেধে বসে আছে। দরজার টুকা পরার আওয়াজে গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্নভাব কাটলো দীবার। পিটপিট করে তাকিয়ে দেয়াল ঘড়িতে চোখ বুলিয়ে সময় দেখে নিলো। এখন অনেক রাত! এতো রাতে কে এলো? বিরক্ত হলো কিছুটা। তবুও ঘুমুঘুমু চোখে বিছানা থেকে নেমে দরজা খুললো। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি দেখে মুহূর্তেই চোখের ঘুম গায়েব হয়ে গেলো তার। চোখে মুখে বিস্ময়কর রেখে বলে উঠলো, ‘আপনি এখানে?’
আবরার আড়ষ্ট চোখে দীবার দিকে তাকালো। চুল গুলো এলোমেলো হয়ে কপালে পরে আছে আবরারের। উষ্কখুষ্ক মলিন চেহারা তার। চুপচাপ এগিয়ে দীবার পাশ কেটে বিছানায় গিয়ে বসলো। দীবা চটজলদি দরজা লাগিয়ে দিলো নিঃশব্দে। তারপর আবরারের কাছে এসে অস্থির কন্ঠে বলতে লাগলো, ‘এখানে এসেছেন কেন? কেউ দেখে ফেলবে। বের হোন এখুনি। আপনার রুমে যান। তাড়াতাড়ি উঠুন!’
আবরার দীবার কথা গুরুত্ব দিলো না। সেই বিকেলে যে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ছিলো এই মাত্র ফিরলো। পুরোটা সময় একা হাতে ড্রাইভ করে চট্টগ্রামের অলিগলি ঘুরেছে। রাতে বৃষ্টি নামার পর গাড়ি একপাশে থামিয়ে বৃষ্টি ভিজেছে সে। যার ধরন এখন চোখ দুটো তার অস্বাভাবিক লাল হয়ে আছে। গায়ের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক। বৃষ্টিতে ভিজার কারণে মাথা প্রচন্ড রকমের ব্যাথা করছে। তীব্র ব্যাথায় চোখ মুখ খিঁচলো আবরার। দীবা এতোক্ষণে ভালোভাবে আবরারকে দেখলো। আবরারের এই অবস্থা দেখে মায়া হলো কিছুটা। একটু এগিয়ে শান্ত গলায় বললো, ‘বৃষ্টিতে ভিজেছেন? শার্ট ভিজে আছে। চেঞ্জ করে নেন নাহলে জ্বর আসবে।’
আবরার মলিন চোখে তাকালো দীবার দিকে। নির্বিকার ভাবে দীবার রুমের ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে আসলো। দীবা এখনো হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার বুঝে আসছে না আবরারের নিজের রুম থাকতে এতো রাতে এখানে এলো কেন? উনার ওয়াশরুমে পানি ছিলো না নাকি? তাছাড়া এতোক্ষণ কোথায় ছিলো উনি? ভাবলো না আর। সন্ধ্যার পর থেকে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে এখনো মাথাটা ঝিমঝিম করছে। আবরার ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ভিজে যাওয়া শার্ট টা খোলে চেয়ারের উপর স্বযত্নে রাখলো। পাশে থাকা টাওয়াল দিয়ে হাত মুখ মুছে নিলো। টাওয়াল টা স্টাডি টেবিলের উপর ছুঁড়ে মে-রে বিছানার দিকে এগিয়ে গেলো। টাওয়াল ছুঁড়ে মা’রা’য় দীবার দাঁতে দাঁত লেগে আসলো। কটমট চোখে আবরারের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘এটা এখানে ছুঁড়ে ফেলার জিনিস ছিলো? এমনিতেই মাঝ রাতে একটা মেয়ের রুমে আসলেন আবার তারই টাওয়াল ছুঁড়ে মা’র’ছেন। সমস্যা কি আপনার?’
বিছানার হেডসাইডে হেলান দিয়ে দুই হাঁটু হাল্কা ভাজ করে বসলো আবরার। তীক্ষ্ণ চোখে দীবার দিকে তাকিয়ে শুধাল, ‘বিকেলে এমনিতেই বেশি কথা বলেছো। এখন আরেকটা উল্টা পাল্টা কথা বললে ধরে থা প্রা বো।’
আবরারের ঠান্ডা গলার ধ’ম’ক শুনে নিভলো দীবা। ভয়ে শুকনো ঢুক গিললো একটা। আসলেই বিকেলে মুখের উপর এতো গুলো কথা বলেছিলো। এখন রুমে একা পেয়ে যদি সত্যি সত্যি থা প্প ড় লাগিয়ে দেয় তো? কিংবা বারান্দা দিয়ে বাহিরে ফেলে দেয়? ম্লান চোখে তাকালো দীবা। আবরার ডান হাতের তর্জুনী আর মধ্যমা আঙুল উঠিয়ে ইশারায় দীবাকে কাছে ডাকলো। দীবার হৃদপিন্ড এবার অস্বাভাবিক ভাবে দৌড়াচ্ছে। এগিয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে বহুত খুব দ্বিধায় আছে সে। এগিয়ে গেলে যদি থা প্প ড় দিয়ে দেয়? এইসব ভেবে জায়গা থেকে একটুও নড়লো না। দীবাকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ধ’ম’কে উঠলো আবরার। ভয়ে মৃদু কেঁপে উঠলো দীবা। ধীর পায়ে এগিয়ে বিছানার কাছে যেতেই আবরার এক হাত ধরে টান দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো তাকে। আকর্স্মিক ঘটনায় হকচকিয়ে গেলো দীবা। কিছু বুঝে উঠার আগেই আবরার দীবাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলো। দীবা হতভম্ব হয়ে গেলো। হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনার কারণে প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পরেছে সে। আবরার দীবার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে চোখ বন্ধ করলো। কানের পাশে ছোট করে একটা চুমু খেলো। মৃদু কেঁপে উঠলো দীবা। আবরারের তপ্ত শ্বাস তার ঘাড়ে গলায় পরছে। বরফের ন্যায় জমে গেছে সে। নিজেকে ছাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা চালালো। আবরার দীবার ঘাড়ে আবারো গভীর চুমু একে মৃদু কন্ঠে বললো, ‘সিরিয়াসলি থা প্প ড় খেতে না চাইলে চুপচাপ শুয়ে থাকো।’
চুপ হলো না দীবা। আরো অস্থির হয়ে উঠলো। আবরারের বলিষ্ঠ হাত সরানোর বৃথা চেষ্টা করতে করতে চেঁচিয়ে বললো, ‘সমস্যা কি আপনার? ছাড়ুন বলছি নির্লজ্জ লোক কোথাকার। দূরে সরেন এখুনি।’
নিঃশব্দে হাসলো আবরার। দীবাকে আরো আষ্টেপৃষ্ঠে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। ঘাড়ে ঠোঁট বুলিয়ে বললো, ‘উহুম ছাড়বো না। বউ আমার মারাত্তক সুন্দরী। ছাড়তে ইচ্ছে করছে না। আগে জানলে প্রথম রাত টাকেই কাজে লাগাতাম।’
দীবার চোখ চড়কগাছের ন্যায় প্রায়। নির্লজ্জের মতো এমন কথা শুনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলো। বিরক্ত হলো বেশ। বিড়বিড় করে ‘অসভ্য’ বললো। আবরার কে সরানোর বৃথা চেষ্টা পুর্ণরায় চালালো। যতোবার সরানোর চেষ্টা করেছে ততোবার আবরার আরো নিবিড় হয়েছে। এক পর্যায়ে দীবা হাঁপিয়ে উঠলো। আবরারের শক্তির কাছে হার মানলো সে। বড়বড় কয়েকটা নিশ্বাস ফেলে আশাহত হয়ে বিড়বিড় করতে লাগলো, ‘এতো শক্তি এই লোকের শরিরে। কি খায় আল্লাহ জানে। আমার অর্ধেক এনার্জি শেষ। ভাই একটু আস্তে ধর না আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’ আরো কিছুক্ষন বিড়বিড় করে আবরার কে বকলো দীবা। অতঃপর কখন ঘুমিয়ে গেছে সে নিজেও জানে না। আবরার চোখ বন্ধ রেখেই দীবার প্রত্যেক টা কথা শুনলো। নিঃশব্দে হাসলো শুধু দীবার বাচ্ছামোতে। মাথা তুলে দীবার ঘুমন্ত মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকালো সে। এগিয়ে দীবার কপালে গভীর ভাবে চুমু দিলো একটা। তারপর আবারো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পরলো। শুধাল,
‘এই বক্ষস্থলের মাঝে সারাজীবন বন্ধি থাকবে তুমি। ছাড়বো না তোমায়। ভালোবেসে ধরে রাখবো আমি।’
______________
প্রভাতের স্নিগ্ধ কিরণ। অম্বরের পূর্ব পাশে দিবাকর তার হলুদ লালচে আভা ফুটিয়ে উঁকি দিয়েছে। সদ্য ফোটা কচি বৃক্ষপত্রের উপর কিরণতরঙ্গ পরায় মুক্তের ন্যায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে পক্ষীদের ব্যস্ত জীবনের সূত্রপাত। তাদের কোলাহলে মুখরিত হলো চারপাশ। সূর্যের তীব্র আলো থাইগ্লাসের পুরু কাচ বেদ করে এসে পরল দীবার মুখশ্রীতে। নিদ্রায় ব্যাহাত ঘটায় মুহূর্তেই চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো দীবা। পিটপিট করে তাকিয়ে আড়মোড় ভাঙ্গার সময় নিজেকে আবরারের বাহুডোরের মাঝে আবিষ্কার করলো সে। আবরারের বুকে মাথা রেখে তাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে ছিলো দীবা। নিজের একদম কাছে আবরার কে দেখে মুহূর্তেই একরাশ লজ্জা এসে হানা দিলো তার মাঝে। ঘুমন্ত আবরারকে গভীর ভাবে প্রখর করলো দীবা। উজ্জ্বল ফরসা গায়ের রঙ, গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, ভ্রুঁ জোড়া একটু মোটা। গালের বাম পাশে ছোট একটা তিল। সব মিলিয়ে মোহে পরে যাবার মতো। এই প্রথম কোনো পুরুষ মানুষকে সে এতো কাছ থেকে দেখছে। তাও আবার অন্য কেউ না তার আপন কেউ। তার স্বামী। আবরারের গালের বাম পাশের তিল টাতে যদি একটা কামড় বসিয়ে দেই? হঠাৎ নিজের এমন ইচ্ছায় হকচকিয়ে গেলো দীবা। নিজেকে ছাড়িয়ে উঠতে চাইলে আবরার চোখ খোলে তাকালো। দীবার কপালে চুমু দিয়ে মুচকি হেসে বলে উঠলো, ‘গুড মর্নিং বউজান।’
দীবা লজ্জায় চোখ সরিয়ে নিলো। গালে হাল্কা ব্লাশিং হলো তার। আবরারের অনেক আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেছে। এতোক্ষণ চেয়ে চেয়ে শুধু মাত্র দীবার ঘুমন্ত মুখটি দেখছিলো। যেই দীবার ঘুম ভাঙ্গলো সে ঘুমানোর নাটক করলো। এখন দীবার লজ্জা মাখা মুখশ্রী দেখে মৃদু হাসলো আবরার। দীবার গালে আলতো ভাবে আরেকটা চুমু দিয়ে বললো, ‘লজ্জা পেলে তোমাকে অতিরিক্ত সুন্দর লাগে দীবা।’
ধাতস্থ হলো দীবা। লজ্জায় নত হয়ে চোখমুখ খিঁচে ফেললো। নিশ্বাস ভারি হয়ে আসলো তার। ভয়, জড়তা, অস্থিরতা,লজ্জা সব এক সাথে কাজ করতে লাগলো। আবরার এখনো তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। প্রথম কোনো পুরুষ মানুষ তাকে নিবিড় ভাবে স্পর্শ করলো। আড়ষ্টতার সঙ্গে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো, ‘ছাড়ুন আমাকে।’
আবরার আরেকটু নিবিড় হয়ে দীবার গালে নিজের নাক ঘেঁষে মোলায়েম কন্ঠে বললো, ‘উহুম ছাড়বো না।’
দীবা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বললো, ‘দেখুন দেরি হয়ে যাচ্ছে। সবাই চায়ের জন্য অপেক্ষা করবে। ছাড়ুন। এমনিতেও, লজ্জা নেই আপনার? কিভাবে চিপকে শুয়ে আছেন। ছিঃ! ছাড়ুন বলছি।’
আবরার ছাড়লো না। বরঞ্চ দীবাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। এক হাতে দুই গাল চেঁপে ধরলো। যার কারনে দীবার উষ্ঠধয় ফুলে গোল হয়ে গেছে। মৃদু হাসলো আবরার। এগিয়ে দীবার ঠোঁট দুটোতে আলতো করে চুমু খেলো। দীবা নাকমুখ কুঁচকে আবরারের থেকে নিজেকে সরানোর চেষ্টা করলো। বারবার ব্যর্থ হতে হচ্ছে সে। পরোক্ষনে উপায় না পেয়ে আবরারের হাতে বড়সড় একটা কামড় বসালো। ব্যাথায় আর্তনাদ করে উঠলো আবরার। বাঁধন হালকা হতেই দীবাকে আবরারের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে উঠে দাঁড়ালো। বড় বড় নিশ্বাস নিলো কয়েকবার। রাগে কিড়মিড় করে বলতে লাগলো, ‘নি’র্ল’জ্জ, বে হা য়া, অ’সভ্য লোক কোথাকার। বের হন আমার রুম থেকে। উঠেন বলছি।’
আবরার কপাল কুঁচকে কামড়ের ফলে জখম হয়ে যাওয়া জায়গায় হাত বুলাতে লাগলো। বিরক্ত হয়ে কর্কষ কন্ঠে বলে উঠলো, ‘তুমি তো আস্তো নে ক ড়ে বিড়াল।’
দীবা পাশ থেকে বালিশ তুলে ছুঁড়ে মা’রলো তার দিকে। বালিশটা আবরারের মুখের উপর এসে পরলো। হাসলো আবরার। দীবা এগিয়ে আবরারের হাত টেনে বিছানা থাকে নামিয়ে দিলো। অতঃপর ঠেলতে ঠেলতে রুমের বাহিরে নিয়ে যেতে লাগলো। প্রত্যুত্তরে আবরার হেসে বললো, ‘আজকে ঘুম ভালো হয়েছে। রাতে আবার আসবো।’
দীবা আবরারকে ঠেলে রুম থেকে বের করে দিয়ে কটমট চোখে ‘অসভ্য’ বলে দরজা লাগিয়ে দিলো। শব্দ করে হেসে ফেললো আবরার। এক হাতে কপালে পরে থাকা অগুছালো চুল গুলো পিছে ঠেলে ঘুড়ে দাঁড়ালো। সামনে রোশানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তার চোখমুখ শক্ত হয়ে এলো আপনা আপনি। রোশান মূলত দীবার খোঁজে এসেছিলো। প্রতিদিন সকালে দীবা নিয়ম করে চা দিয়ে যায় অথচ আজ এলো না। তাই ভেবেছে হয়তো শরির খারাপ। হাঁটতে হাঁটতে দীবার রুমের সামনে এসে আবরারকে এভাবে দেখে দাঁড়িয়ে পরলো। বাবা ছেলের মাঝে নিরবে চক্ষু যুদ্ধ চলছে। গতকালকের ঘটনায় রুক্ষ আবরার। দীবা তার স্ত্রী সেটা বললো না কেন? আবরারের পুরনো ক্রোধ যেনো আবারো জাগ্রত হলো। নিরবে দাঁতে দাঁত পিষে বাবা কে পাশ কাটিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো সে। রোশান তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে অস্পষ্ট ভাবে পরিতৃপ্তির হাসি দিলো। গতকাল সে ইচ্ছে করেই দীবার বিয়ের কথা লুকিয়েছে। আবরারকে রাগানো তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো। ইদানীং দীবার প্রতি আবরারের আগ্রহ দেখে তার মন প্রফুল্লিত। খুশী মনে বাড়ির লনের দিকে পা বাঁড়ালো।
চলমান…