আষাঢ়ে_শ্রাবণের_বর্ষণ #মাইশাতুল_মিহির [পর্ব-২২]

0
1603

#আষাঢ়ে_শ্রাবণের_বর্ষণ
#মাইশাতুল_মিহির

[পর্ব-২২]

সকালে নাস্তার টেবিলে আবরারকে দেখতে না পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো দীবা। কাল রাতের ঘটনার পর আজ আবরারের সামনে থাকার কোনো প্রশ্নই উঠে না। লজ্জায় শেষ হয়ে যাবে সে। তবে মনে মনে আবরারকে লু চু পদবি দিতে ভুলেনি দীবা। এক এক করে বাড়ির সদস্যরা টেবিলে বসে খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। আরিয়ান, সাবিত, অভ্র এক পাশে। রিমি, নুরা, দীবা ও রাইমা এক পাশে। টেবিলের মাঝে বিভিন্ন আইটেমের নাস্তা, ফ্রুটস, কফি। কিছুসময় পর আবরার বেশ ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে আরিয়ানের পাশে এসে বসলো। আবরারের হাসিমুখ দেখে আরিয়ান প্রশ্ন করলো, ‘ কি ব্যাপার? আজ এতো খুশি খুশি লাগছে কেন?

আবরার হাত বাঁড়িয়ে স্যান্ডউইচ আর কফির কাপ হাতে নিলো। স্যান্ডউইচে গপাগপ একটা কামড় বসিয়ে উত্তর দিলো, ‘কাল রাতে ভালো ঘুম হয়েছে।’

আরিয়ান আর সাবিত বিস্মিত চোখে তাকালো আবরারের দিকে। কালকে আবরার যেভাবে রেগে গিয়েছিলো সেখানে রাতে ভালো ঘুম হবার কোনো প্রশ্নই আসে না। আজ তার স্বাভাবিক ব্যাবহারটা কারোর হজম হচ্ছে না। সাবিত বিড়বিড় করে বলে উঠল, ‘কালকের ঘটনার পরেও ভালো ঘুম তাও আবার তোর? এটা আবার শুনতে হচ্ছে তোর মুখ থেকে?’

আরিয়ান ভ্রু কুঁচকালো। আবরারকে প্রশ্ন করলো, ‘কেন কাল রাতে কি এমন স্পেশাল ছিলো? এতো ফুরফুরে মেজাজ কেন জানতে ইচ্ছে করতেছে।’

আবরার দীবার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বললো, ‘কিছু হট টাইপ এক্সপেরিয়েন্স ছিলো।’

কথাটা শুনে বিষম খেলো দীবা। খুকখুক করে কাশতে লাগলো সে। রাইমা তড়িঘড়ি করে পানি এগিয়ে দিলো। তারপর দীবার পিঠে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। দীবা গ্লাস হাতে নিয়ে ঢকঢক করে পুরো গ্লাসের পানি এক চুমুকে শেষ করে ফেললো। ধপ করে টেবিলে গ্লাসটা রেখে কটমট চোখে আবরারের দিকে তাকালো সে। প্রত্যুত্তরে আবরার মুচকি হাসি দিলো একটা। আরিয়ান এখনো কিছু বুঝতে পারে নি। তাই আবরারকে পাল্টা প্রশ্ন করে বসলো, ‘হট এক্সপেরিয়েন্স মানে? এটা আবার কেমন? আগে তো শুনি নি।’

আবরার কফির কাপ হাতে বললো, ‘মানে কফিটা অনেক গরম। তুই বুঝবি না। খেতে থাক।’

দীবা মনে মনে আবরারকে শ’খানেক গা লি দিচ্ছে। ইচ্ছে করছে আবরারকে পঁচা পানিতে চু/বা/তে। লুচুগিরির জন্য আবরারকে অস্কার দেওয়ার জন্য নমনিকেশন দেওয়া উচিত। সাবিত আবরারের ইঙ্গিত, দীবার বিষম খাওয়া দেখে তার বুঝতে বাকি নেই। মনে মনে হাসলো সে। আরিয়ান একদম তাজ্জব বনে গেলো। কিছু বলতে যাবে তার আগে অভ্র চোখের ইশারা করে কিছু বললো তাকে। আরিয়ান চোখ ছোট ছোট করে বুঝার চেষ্টা করলো। বুঝার পর আপেলের পিসে কামড় বসিয়ে বললো, ‘বাহ আজ সিঙ্গেল বলে এইসব বুঝি না।’

একসাথে হেসে ফেললো চারজন ছেলে। ওদের কথোপকথনের কিছুই বুঝতে না পেরে রিমি, নুরা ভ্রুঁ কুঁচকে তাকিয়ে রইলো। রাইমা বুঝতে পেরে মিটমিট করে হাসলো। অন্যদিকে দীবা রাগে কিড়মিড় করে আবরারের দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকাতে লাগলো বারংবার!
__________________

কলেজে যাবার জন্য ব্যাগ কাধে নিয়ে বের হলো তিনজন। দীবা বুকে হাত গুঁজে বিরক্তিকর মুখে হাঁটছে। পিছনে নুরা আর রিমি ঠোঁটে ঠোট চেপে হাসছে। দীবা বাড়ির বাহিরে এসে দেখলো আবরার গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে মোবাইল টিপছে। তাকে এখানে দেখে ভ্রুঁ কুঁচকালো দীবা। কপালে পরলো সূক্ষ্ম চিন্তার ভাজ। আজও কি কলেজে নিয়ে যাবে? নুরা ও রিমি তার কাছাকাছি আসতেই প্রশ্ন করে বসলো দীবা, ‘এই লোক এখানে কি করছে?’

নুরা ব্যাগের ফিতা ধরে টেনে টেনে বললো, ‘তোকে কলেজে দিয়ে আসবে।’

দীবা কিছুটা ক্ষুব্ধ মনে অপ্রসন্ন কন্ঠে বলে উঠলো, ‘এই লোকের কি আর কোনো কাজ নেই? রহমত আঙ্কেল তো আছে কলেজে দিয়ে আসার জন্য। এই লোকের কি দরকার ওখানে যাবার। আশ্চর্য!’

দীবা কথাটা বলে থামতে দেরি ; রিমি তার মাথায় গা ট্টা মা’রতে দেরি হয়নি। হঠাৎ এমন হওয়ায় হকচকিয়ে গেলো দীবা। মুখখানি কালো করে মাথায় হাত দিয়ে বুলাতে লাগলো। বলল, ‘মা র লি কেন?’

রিমি বলল, ‘স্বামী মহাশয় কে সম্মান করতে শিখ। এই লোক কি রে? বলবি ‘আমার উনি, আমার সোয়ামী। তা না বলে বলছিস এই লোক।’

দীবা রিমিকে ব্যঙ্গ্য করে অনুকরণ করার চেষ্টা করে বলল, ‘ওগো শুনছো? তুমি এখানে দাঁড়িয়ে কি করছো গো?’

হেসে উঠলো নুরা। দীবার বাহুতে আলতো ভাবে একটা চাপড় দিলো। তখুনি কানে আসলো আবরারের উত্তর,

‘হ্যাঁ গো, তোমার অপেক্ষায় আছি। তাড়াতাড়ি আসো বউ।’

আবরারের এমন কথা শুনে চোখ বড় বড় করে তাকালো দীবা। তার কথাটা আবরার শুনতে পাবে তা কল্পনাতীত ছিলো। লোকটার কান এতো পাতলা??? রিমি ও নুরা উল্লাসিত নয়নে দৌড়ে আবরারের কাছে এসে গাড়িতে উঠে বসলো। আবরার দীবাকে ইশারায় ডাকতেই এগিয়ে আসলো সে। দীবার মুখখানা বিবর্ণ! আবরার গাড়ির সামনের সিটের দরজাটা খুলে দিলো । দীবা গাড়িতে উঠার সময় আবরার তার কানের কাছে ফিশফিশ করে বলল, ‘কলেজ ড্রেসে তোমাকে মারাত্মক লাগে দীবা। ইচ্ছে করে একদম খেয়ে ফেলি।’

আবরারের এমন কথা শুনে দীবার চোখ কোটর বেড়িয়ে আসার উপক্রম। বিস্ময়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে সে। রাগে কিড়মিড় করে কটমট গলায় ‘নির্লজ্জ লোক!’ বলে গাড়িতে উঠে বসলো। আবরার নিঃশব্দে হেসে ফেললো। অতঃপর সে নিজেও গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
__________________

নভোমণ্ডলের মধ্যভাগে সূর্য তার তীব্রতর আলোকরশ্মি ছড়ালো। স্বচ্ছ অন্তরিক্ষ, কিয়ৎক্ষণ পর পর অদূরে উড়ন্ত বাজপাখির নিনাদ ভেসে আসছে। কড়া রোদ থাকলেও চারপাশের বৃক্ষ নাড়িয়ে ছুটছে শীতল বাতাস। গমগমে পরিবেশ। কোলাহলপূর্ণ আগ্রাবাদ কলেজ। শিক্ষার্থীরা আবরারকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যেকের মাঝে টান টান উত্তেজনা। কেউ কেউ কণ্ঠশিল্পী আবরার জুহায়েরের সঙ্গে ছবি তুলতে ক্যামেরার শাটার বাটনে ক্লিক করছে। কেউ আবার কাগজে কলমে এগিয়ে দিচ্ছে অটোগ্রাফ নিতে। এতোজনের মাঝে আবরার একা ভালোই বিপাকে ফেঁসে গেলো। পাশে না আছে অভ্র, না আছে কোনো গার্ড। এদের একা সামাল দিতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে সে। অসহায় মুখে কলেজ গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রিমি, দীবা আর নুরার দিকে তাকালো। আবরারের এমন করুণ অবস্থা দেখে দীবার হাসিতে প্রায় লুটোপুটি খাওয়ার অবস্থা। আবরারের এবার আফসোস হচ্ছে কেন সে তাদের কলেজে দিতে আসলো? এসেছেই যখন গার্ড নিয়ে আসার দরকার ছিলো। দীবাদের কলেজে নামিয়ে নিজেও গাড়ি থেকে নেমেছিল। ভুলবশত মাক্স, ক্যাপ পড়তে ভুলে গেছে। যার ফলস্বরুপ তাকে চিনতে পেরে আশেপাশে থাকা সকল শিক্ষার্থী, মানুষজন ঘিরে ধরেছে। কোনো রকমে কয়েকজনকে অটোগ্রাফ আর কিছু সেলফি তুলে গাড়িতে উঠে বসলো আবরার। গাড়ি স্টার্ট দেওয়া শত্বেও এগোতে পারছে না। ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে গেলো এই এরিয়া থেকে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো যেনো। আবরার যেতেই দীবারা কলেজে ঢুকে ক্লাসে আসলো। নুরা হাই-ব্যাঞ্চে ব্যাগ রেখে বলে উঠলো, ‘ভাইরে ভাই, আরব ভাইয়ের অবস্থা দেখে আমি তো শে ষ। সেলেব্রিটি রা তো দেখছি বাহিরেই বের হতে পারেনা। থাকে কিভাবে ওরা??’

দীবা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে লো ব্যাঞ্চে বসে বললো, ‘বেশ হয়েছে। কে বলেছিলো আমাদের কলেজে নিয়ে আসতে? এবার উচিত শিক্ষা হয়েছে। নেক্সট টাইম আর আসবে না।’

রিমি হাই ব্যাঞ্চের উপর বসে ছিলো। সে দীবার মাথায় গা ট্টা মে’রে বললো, ‘চুপ কর। কলেজে নিয়ে আসে তো তোর জন্যই। নি*র্দয়, পা/ষা/ণ মাইয়া। তোরে দিতে এসে ভাই বিপদে পরলো। আর তুই খুশীতে লাফাচ্ছিস?’

দীবা প্রত্যুত্তরে বললো, ‘আমি বলেছি নাকি নিয়ে আসতে? তোর ভাই থাকলে আমার কেমন আনইজি লাগে।’

নুরা ভ্রুঁ নাঁচিয়ে বললো, ‘বাব্বাহ্ কাল রাতে যখন একসাথে ছিলা তখন আনইজি লাগে নাই?’

রিমি উচ্চস্বরে হেসে ফেললো। দীবা চোখ বড়বড় করে তাকালো নুরার দিকে। চোখ তার কোটড় বেরিয়ে আসা উপক্রম। কিছুটা বিস্মিত হয়ে নুরাকে বলে উঠলো, ‘তুই জানলি কিভাবে?’

নুরা ভাব নিয়ে ঝুটি করা চুল নাঁচিয়ে বললো, ‘দেয়ালের কান থাকলে বাতাসেরও মুখ আছে। আমাদের থেকে লুকানো পসিবল না বেব।’

দীবা আহাম্মকের মতো তাকিয়ে আছে শুধু। রিমি বললো, ‘তোকে ডাকার জন্য সকালে এসেছিলাম না? তখন তোর রুমে ভাইয়ার শার্ট দেখেছি। আর ব্রেকফাস্টের সময় আরব ভাইয়ার হট এক্সপেরিমেন্ট। বুঝি বুঝি! সবই বুঝি।’

দীবা তার কন্ঠস্বর ত্যাঁছড়া করে বলে উঠলো, ‘বা/ল বুঝো তুমি।’

নুরা দীবার দিকে এগিয়ে অধিক আগ্রহ নিয়ে বলে, ‘দোস্ত কাল রাতের সম্পর্কে আমাদেরও কিছু বল।’

বিরক্ত হলো দীবা। তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে শুধাল, ‘তোর ভাই আস্তো একটা লু/ই/চ্চা নাম্বার ওয়ান।’

নুরা দাঁত কেলিয়ে বললো, ‘লু চু না হলে তো খালাম্মা ডাক শুনতে পারবো না।’

চোখ বড়বড় করে তাকালো দীবা। মুখ তার আপনাআপনি কিঞ্চিৎ ফাঁক হয়ে গেছে। আহাম্মকের মতো তাকিয়ে কটমট করে বললো, ‘তুই আসলেই একটা শ’য়’তান।’

উচ্চ শব্দে হাসলো নুরা। রিমি হাই-ব্যাঞ্চ থেকে নেমে দীবাকে জড়িয়ে ধরলো। ন্যাকা ন্যাকা সুরে বললো, ‘ইয়ার তোদের সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেছে ভেবে অনেক খুশী লাগছে।’

প্রত্যুত্তরে দীবা মলিন হাসলো শুধু। সম্পর্ক নিয়ে দ্বিধায় আছে সে। মনে জমে রয়েছে আবরারের প্রতি অভিমান। আবরার কেন সেই দিন তার উপর সব দোষ চাপিয়ে দিলো? কেন এতোদিন এভাবে অবহেলায় ফেলে রেখেছিল? তাহলে এখনই বা কেন অধিকার ফলাতে আসলো? ভাবলো না আর। নিরবে দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
______________

আষাঢ়মাসের মানেই এখুনি অম্বর কালো করে তীব্র কাদম্বিনীর ধ্বনিতে ঝাঁপিয়ে ভারি বর্ষণ। আবার বর্ষণ শেষে ঘোলাটে অম্বর পরিষ্কার করে সূর্য উঁকি দেওয়ার দৃশ্য। বাড়ির পাশে বিশাল বড় কৃষ্ণচূড়া গাছের রক্তিম ফুল গুলো মাটিকে বানিয়েছে শয়নস্থান। বর্ষণের ভারি ফোটার সাথে না পেরেই তাদের অকাল ঝরে পরা। চিকন চিকন পাতা গুলো বৃষ্টির পানিতে ভিজে টুইটুম্বুর। সবুজ ঘন দুর্বা ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে পানি ঢুকে পরিপূর্ণ। সকালে রোদ থাকলেও কিছুসময় আগে বৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির সামনে বাগানে বেতের সোফায় বসে আছে অভ্র ও আরিয়ান। দুজনের মাঝে বেশ ভালো সখ্যতা হয়েছে বটে। প্রায় সময় এক সাথে কাটায় দুজন। কাজুবাদাম চিবুচ্ছে আর মোবাইলে গেমস খেলছে দুজন। এমন সময় আবরার ব্যস্ততার সাথে এসে পাশের সোফায় বসতে বসতে বললো, ‘হেই গাইস কি অবস্থা?’

আরিয়ান মোবাইলের দিকে দৃষ্টি রেখে উত্তর দিলো, ‘অস্থির যাচ্ছে ভাইই।’

হাসলো আবরার। সোফায় হেলান দিয়ে বললো, ‘আজ বড়জোর বেঁচে গেছি অভ্র।’

অভ্র কারণ জিজ্ঞেস করতেই আবরার সব খোলে বললো তাদের। তার এই অবস্থা দেখে আরিয়ান ও অভ্র দুজনই হেসে ফেললো। আবরার কপালে ভাঁজ ফেলে বলে, ‘হাসছিস কেন? হাসার কি হলো এখানে?’

আরিয়ান উত্তর দিলো, ‘তোমাদের মতো সেলেব্রিটিদের এই একটা প্যা রা। কোথাও ইচ্ছে মতো যেতে পারো না। আমাদের দেখো? যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারি। ইচ্ছে হলে চায়ের দোকানে বসে আপন মনে চা খেয়ে বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিতে পারি। একদম সাধারন মানুষ। আমাদের কোনো প্যা রা নাই। নিজ ইচ্ছায় চলতে পারি।’

প্রত্যুত্তরে আবরার নিরবে হাসলো। মলিন কন্ঠে বললো, ‘আসলেই অনেক দিন হয়েছে টঙে বসে চা খাওয়া হয় না।’

আরিয়ান ভাইকে খুশি করতে বললো, ‘তোমাকে তাহলে একদিন নিয়ে যাবো। জায়গাটা নিরব সেখানে এই ফ্যান ফলোয়ারদের চিন্তা থাকবে না।’

আবরার সম্মতি দিলো। অভ্র আবরার কে প্রশ্ন করলো, ‘স্যার এখানে আপনার কোনো ফ্রেন্ড নেই? এসেছেন তো অনেক দিন হলো এখনো কাউকে দেখলাম না।’

আবরার বাটি থেকে এক মুঠো কাজুবাদাম হাতে নিয়ে সোফায় হেলান দিয়ে শুধাল, ‘আসলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলাম ছোট থাকতে। তখন তেমন কোনো আপন বন্ধু ছিলো না। ঢাকা তে আসার পর ওখানেই সকল বন্ধুদের সাথে পরিচয়। তাদের তো তুমি চিনোই। এখানে কোনো বন্ধু নেই।’

অতঃপর নিজেদের আলাপে মশগুল হলো তিনজন।

চলমান…

টাইপোগ্রাফি ক্রেডিট : ইসতিয়াক ভাই ❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here