আড়ালে_ভালোবাসি,পর্ব_৬

0
1992

আড়ালে_ভালোবাসি,পর্ব_৬
নন্দিনি_চৌধুরী

কলেজে এসে আজকে স্নেহার মন খুব ভালো হয়ে গেলো। কলেজে ওর জানেরজান পরান এর পরান ওর এক মাত্র বান্ধুবি মেহেক এর সাথে খুব ভালো সময় কাটালো। ওদের এক্সাম এর রুটিন দিয়ে দিয়েছে সামনের মাসের ৫তারিখ থেকে ওদের এক্সাম।মেহেক স্নেহার সাথে ঘটা সব জেনেছে। ওরতো ইচ্ছা করছিল মিতুকে একদম চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে। কারণ মেহেক জানে মিতু যা বলেছে সব মিথ্যা।স্নেহা আর মিতু বসে ক্যান্টিনে আড্ডা দিচ্ছে আর কফি খাচ্ছে।

চেম্বারে নিজের চেয়ারে সাথে হেলান দিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে আছে আরাফ। সকালে সে আকাশের থেকে কারন জানতে চাইলে আরাফ সেরফ এক কথায় জানিয়ে দেয় সে এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে চায়না। আরাফ ভেবেছিলো আকাশ কিছু হলেও একটু বলবে। কিন্তু সে কিছুই বলেনি। আরাফ তার হাতে ফোন নিয়ে একটা নাম্বার ডায়েল করলো। দুইবার রিং হবার পর কল রিসিভ হলো,,

আরাফ:আসসালামু আলাইকুম।

অপাশ:ওলাইকুমুস সালাম।কিরে কি খবর তোর? কবে আসলি দেশে? আসলিতো আসলি জানালিওনা।?

আরাফ:আসছি মাত্র ৪দিন হলো। তোকে কল দিছি শালা তুইত ধরিসনা। কোন মহাভারতে বিজি থাকস।

অপাশ:অহ সরি দোস্ত। আসলে কি বলবো বল। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পরে মাথা পুরাই হ্যাং মেরে গেছে। তাই আরকি এই সেই কাজে বিজি থাকি। আচ্ছা তুই বল তোর কি অবস্থা।

আরাফ:হ্যা ভালোই আচ্ছা শোন আমার একটা কাজ করে দিতে পারবি?

অপাশ:হ্যা অবশ্যই বল দোস্ত কি কাজ।

আরাফ:তোকে আমি কিছু ছবি আর ভিডিও সেন্ড করছি। তুই আমাকে এই ভিডিওটা আর ছবিটার আসল ফুটেজ বের করে দিতে পারবি। ছবি গুলা ফেক আমার ছবির মেয়ের মুখে যেই মুখটা এখন আছে অই মুখের যায়গায় আসল মুখটা দরকার আর ভিডিওটার ও।

অপাশ:আচ্ছা দোস্ত তুই আমাকে সেন্ড কর। তবে আমার তিনদিন সময় লাগবে। একটা জরুলি কাজ আছে। সেটা শেষ করেই তোর কাজটা করে দেবো ওকে।

আরাফ:ওকে নো প্রব্লেম।

আরাফ ফোন কেটে দিয়ে একটা বাঁকা হাসি দিলো। এত্তখন সে তার কাছের বন্ধু আবির এর সাথে কথা বলছিল। পেশায় সে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সে কম্পিউটারের সব কাজ জানে। তাই তার উপরই আরাফ এখন ভর্সা করতে পারে।

“স্নেহা পাখি খুব তাড়াতাড়ি তোমার সাথে করার অন্যায় এর শাস্তি পাবে তোমার অন্যায়কারীরা। যারা তোমার এত কস্ট দিয়েছে। তাদের সবাইকে শাস্তি দেবো। তারপর আমার মনের কথা তোমায় জানাবো। আমার ১২ বছরের #আড়ালের_ভালোবাসাটা। আরোও একবার সুযোগ পেয়েছি তোমাকে জানাবার। এবার আমি তোমাকে হারাতে দিবনা। স্নেহা পাখি খুব ভালোবাসি তোমার #আড়ালে_ভালোবাসি। ”

বিকেলে ড্রইং রুমে সবাই উপস্থিত। শুধু আকাশ বাদে। আকাশকে কেউ এখানে আশাও করেনা। তাই আকাশের অপেক্ষা ছাড়াই কথা বার্তা শুরু হয়েগেছে।

বড় কাকা:তোমাদের সবাইকে এখানে এনেছি এর বিষেশ কিছু কারন আছে। তোমাদের আমরা আমাদের তিন ভাইয়ের কিছু সিদ্ধান্ত জানাতে চাই। আর এই সিদ্ধান্ত গুলো আমাদের সন্তানদের নিয়ে। তাই সবাইকেই আমি এখানে ডেকেছি।

ইমরান:আমি আর বড় ভাইজান আর মোতালেভ কি সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা এখন জানাবো।

বড় কাকা:ইমরান আগে তুই বল।

ইমরান:আচ্ছা ভাইজান।আসলে আমি ঠিক করেছি জুনায়েদ আর নিতুর বিয়ে দেবো। যেহুতু নিতু আর জুনায়েদ দুজোনেই প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে। আর ওরা দুজন দুজনকে পছন্দ করে সেখানে আমি আর ভাইজান কোনো অমত করছিনা। এখন বড় ভাবি আর জুনায়েদের মা তোমাদের কি কোনো অমত আছে?

বড় ভাবি:আমার কোনো অমত নেই ভাই। জুনায়েদকে নিজের মেয়ের জামাই পেয়ে আমি খুসি হবো। তাছড়া মেয়েটাকেও আর ঘরের বাহিরর যেতে হবেনা।

মেঝ কাকি:আমার ও নেই জঁবার বাবা কোনো অমত। নিতুকে আমার ও ভাড়ি পছন্দ। তুমি ওদের বিয়ের দিন তারিখ দেখে ফেলো।

আচ্ছা এবার নাজমা তোকে আমরা কিছু বলার আছে।

নাজমা হাসাম বাড়ির ছোট মেয়ের। তার স্বামী একজন রিটায়েড সরকারি কর্মকর্তা। তার ছেলে রাতুল এভার বিসিএস ক্যাডার হয়েছে এখন একটা ভালো জব করে।

নাজমা:হ্যা ভাইজান বলো।

জাফর:আমি চাই রিতুকে তোর রাতুল এর বউ করতে। তুই কি রাজি আছিস এই সমন্দে।

জাফর এর কথা শুনে রিতু রাতুল দুজনেই চমকে যায়। তারা একজন আরেকজনকে পছন্দ করে ঠিক কিন্তু কোনোদিন কাউকে বলেনি। যদি বাড়ির সবাই রেগে যায় এই ভয়ে।

নাজমা:আমার কোনো আপত্তি নেই। রিতুকে মাকে নিজের ছেলের বউ করতে। তুমি যেদিন চাও সেদিন ওদের বিয়ে দিয়ে দেও। কি বলো রাতুলের বাবা।

রাতুলের বাবা:হ্যা ভাইজান আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

জাফর:তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। দুইটা বিয়ে একসাথেই হবে তাহলে।

সবাই:হ্যা তাই ভালো হবে।

ইমরান:আর একটা জরুলি কথা বলার আছে।
সামনের সোমবার ইকবাল দেশে ফিরছে।

ইকবাল নামটা শুনে সবাই চমকে যায়। বিষেশ করে স্নেহা প্রায় ১৮টা বছর পর সে তার নিজের জন্মদাত্রি বাবাকে সামনাসামনি দেখবে। ভেবেই এক আলাদা আনন্দ শুরু হয়ে গেলো স্নেহার মনে। কিন্তু তা সবার সামনে প্রকাশ করলোনা।

নাজমা:তাহলে এতগুলা বছর পর ছোট ভাইজানের মন গল্লো।

জাফর:জানিনা তবে কাল রাতে আমাকে ফোন করে জানালো সে দেশে আসছে। কেন বা কি কারনে তা বলেনি।

মোতালেভ:ইকবাল বাড়িতে আসলে সবার আগে স্নেহাকে দেখে রাগ না করলেই হয়। ওর যা রাগ একদম বাবার মতো।

ইমরান:হ্যা তাই ভাবছি আমি স্নেহাকে সামনে দেখলে ও তো রেগে যাবে। তাহলে এখানে আসছে কেন। এতগুলা বছরে একবার ও ফোন করে জানতে চায়নি ওর মেয়ে কেমন আছে। আর আসা তো পরের কথা।

জাফর সাহেব এই বিষয়ে কিছু বললেন না। সবাই আর ও টুকটাক কথা বলে যে যার মত চলে গেলো। জাফর সাহেব যাওয়ার আগে স্নেহাকে বলে গেলো রাতে যেন স্নেহা তার রুমে একটু আশে। তার ওর সাথে কিছু কথা আছে।

রাতের বেলা স্নেহা খাবার খেয়ে ওর বাবার জন্য গরম দুধ নিয়ে রুমে গেলো। স্নেহার বাবাই চেয়ারে বসে কাগজ দেখছেন। স্নেহা আস্তে করে দরজার সামনে এসে ডাক দিলো,

স্নেহা:বাবাই আসবো?

স্নেহার গলার আওয়াজ পেয়ে তিনি কাগজ রেখে হেসে বললেন,

জাফর:আয় মা ভিতরে আয়।

স্নেহা আস্তে করে ভিতরে ডুকে বাবাইকে দুধটা দিলো। জাফর সাহেব দুধটা খেয়ে স্নেহাকে বল্লো আয় এখানে বস। স্নেহা মেঝেতে বসে বাবাইয়ের হাটুতে মাথা রাখলো। বাবাই ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর বলছে,

জাফর:তোকে আজ কিছু কথা বলবো। তুই মন দিয়ে শোন।

স্নেহা:আচ্ছা বাবাই।

জাফর:আমরা চার ভাই একজন আরেকজনের প্রান। আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি নিজেদের ভিতর দন্দ না করার। এবং তাতে আমরা সফল। আজ ও আমরা একসাথে। আমার বিয়ের পর তোর মা কন্সিভ করতে পারছিলেন না। এতে আমার কোনোই সম্যসা ছিলোনা। আমার বিয়ের ছয় মাসের মাথায় মেঝর ঘর আলো করে আসে জুনায়েদ। তারপর নাজমার ঘরে আসে রাতুল। এরপর আমার ঘরে আসে রিতু,নিতু,। এরপর সেঝর ঘরে আসে আরাফ আর আকাশ,আর তোর বাবার ঘরে আসিস তুই। কিন্তু তোর মায়ের প্রেগ্নেন্সিতে অনেক সম্যসা ছিলো। ইমরান বলেছিলো ওকে এখন বেবি না নিতে। কিন্তু ওর প্রথম সন্তান হওয়ায় ও তোকে ফেলেনি। ডেলিভারির দিন যখন তোর মা মারা গেলো। তখন ইমরান পাগল হয়েই গেছিলো। তাই তোকে সেদিন আমার হাতে দিয়ে চলে যায়। তুই কি জানিস সেদিন ও চাইলেই তোকে ফেলে দিতে পারতো। কিন্তু না ও সেদিন আমাকে বলেছিলো, “ভাইজন আপনি একে নিয়ে নেন আমি এর মুখ দেখতে চাইনা”।সেদিনই তোর বাবা চলে যায় সিডনিতে। তোকে নিজের মেয়ের মতো আমি আর শায়লা আগলে নিলাম। তুই আর নিতু ছিলি এক বয়সের। তোর দুই মাস আগে ওর জন্ম হয়েছে। তোদের পালতে আমাদের কোনো সম্যসা হয়নি। তোর যখন দুই বছর তখন একদিন তোর বাবা সবার আড়ালে দেশে এসেছিলো। আমার সাথে দেখা করতে। সেদিন সে আড়াল থেকে তোকে দেখেছিলো। আর কত খুসিইনা হয়েছিল। তুই দেখতে একদম তোর মায়ের মত হয়েছিস ইমরান বলতো। ইমরান সব সময় তোর খোজ খবর নিতো। তোর জন্য সিডনিতে বসেই টাকা দিত যাতে তোর কোনো অসুবিধা না হয়। আমি নিতে না চাইলে সে বলত, “ভাইজান আমি হয়ত কখনো সাহস করে নিজের মেয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারবনা। কি মুখে দাঁড়াবো যে ওর মায়ের মৃত্যুর জন্য আমি ওকেই দায়ী করে ওকে রেখেই চলে গেছিলাম। তাহলে তো ওর চোখে আমার জন্য ঘৃণা থাকবে। যা আমি চাইনা। তাই আমি আমার মেয়েকে ওর #আড়ালে_ভালোবাসি। আপনি প্লিজ না করবেনা। ওর জন্য আমি যথেস্ট কিছু করে রেখেছি। ওর ১৮ বছর পূর্ণ হলে ওকে সেগুলো আপ্নি নিজ হাতে বুঝিয়ে দেবেন”।তোর বাবার কথা সেদিন আমি ফেলতে পারিনি। সে সবসময় তোর জন্য অনেক টাকা দিতো। সেগুলো সব আমি তোর নামের ব্যাংকের একাউন্টে জমা করে রেখেছি। তোর বিয়ের জন্য অনেক গুলো গহনা আর তোর মায়ের গহনাও সে রেখেছে একটা ব্যাংকের লকাড়ে। তোর ১৮ বছর আর কিছুদিন পরেই হবে। সেদিনই তুই সেগুলো হাতে পেয়েযাবি। তোর বাবার এখন হঠ্যাৎ করে দেশে এই জন্য আসছে। তোর বাবার হার্টের রোগ ধরা পরেছে। তাই সে একবার তোকে নিজের চোখে দেখতে চায় সামনাসামনি। তুই তোর বাবাকে ভুল বুজিস না মা। সে এলে তাকে তুই পরম যত্নে বাবা বলে গ্রহন করে নিস। আমি জানি তোর অনেক অভিমান জমে আছে। কিন্তু আমি বলছি ইমরান বাবা হিসেবে তোকে সামনা সামনি আগলে না রাখলেও #আড়ালে_ভালোবাসে।

স্নেহা বাবাইয়ের কথা গুলো শুনে চোখ থেকে পানি পরছে। তার বাবাই তাকে এত ভালোবাসে তবে তাও কাছে আসতোনা। নাহ বাবা এলে সে বাবাকে একদম আগলে ধরবে। যেনো আর তাকে রেখে না যেতে পারে। স্নেহা আসতে করে উঠে চোখ মুছতে মুছতে রুম ত্যাগ করলো। স্নেহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন জাফর সাহেব।

ভোর ৫টা আযানের ধনি শুনা যাচ্ছে চারপাস থেকে। সাথে কাক আর পাখির ডাকার আওয়াজ। বিছানা থেকে আসতে করে উঠে বস্লো মিতু। গতকাল রাতে তার সাথে খুব বাজে কাজ করেছে আকাশ।

মাতাল অবস্থায় গতকাল রাতে ৩টায় আকাশ বাড়ি ফিরেছে একা একা। এত রাত পর্যন্ত মিতু জেগে ছিলো আকাশের জন্য। আকাশ বাসায় আসলে মিতু দেখে সে নেশায় আছে ঠিক মতো চলতেও পারছেনা। মিতুকে আকাশকে ধরে ধরে রুমে নিয়ে যায়। তারপর তাকে বেডে শুয়ে দিয়ে উঠতে নিলে আকাশ তাকে টেনে বুকে নিয়ে আশে। আকাশ নেশার ঘোরে ভাবছে এটা স্নেহা তাই স্নেহাকে ভেবেই মিতুকে বুকে নিয়ে এসেছে। আর মিতুর খুব ভয় হচ্ছে যদি আকাশ নেশার ঘোরে কিছু করে বসে। তবেতো সকালে তার কিছু মনে থাকবেনা। মিতু চায় আকাশের ভালোবাসা তবে সেটার আকাশে সজ্ঞানে, এরকম নেশা অবস্থায় না। তাই মিতু নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে আকাশ ওকে আর ও কাছে টেনে নিয়ে। বিড়বিড় করে বলতে থাকে,

আকাশ:কেন কষ্ট দেও আমাকে এত স্নেহা। আমি যে তোমায় খুব ভালোবাসি। এতো ভালোবাসার পরেও তুমি আমাত ঠকালে কেন স্নেহা কেন?

মিতু বুজতে পারছে আকাশ নেশার ঘোরে তাকে স্নেহা ভাবছে। মিতু আবার নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে আকাশ এভার ওর ঠোটঁ জোরা মিতুর ঠোঁটের সাথে মিলিয়ে দেয়। মিতু অনেকবার ছোটাছুটি করলেও এখন চুপ হয়ে গেলো। না চাইতেও একটা অনাকাঙ্ক্ষিত মিলন হয়ে গেলো তাদের। যেখানে ভালোবাসা নেই সব শুধু নেশার্ত ঘোরের মহো। মিতু জানেনা এই মিলনের পর তার জীবনে কত বড় ঝড় আসতে চলেছে।

বিছানা থেকে উঠে পাসে থাকা জামাটা পরে নিলো সে। হাটতে বেস কষ্ট হচ্ছে তার। শরীলের সব জায়গায় ব্যাথা। নখের আচড়, কামরের দাগ ভরে আছে। আকাশ এক পাষবিক পশুর মতো তাকে খুবলে খেয়েছে। মিতু আস্তে করে ওয়াসরুমে গিয়ে ঝর্না ছেড়ে তার নিচে বসে। চোখ থেকে পানি পরছে। সে এরকম মিলন চায়নি সেতো চেয়েছিলো আকাশ তাকে ভালোবেসে কাছে টেনেনিক। কিন্তু এটা চায়নি সে।

শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে দেখে আকাশ এখনো ঘুম। মিতু নামাজ পরে নিচে চলে যায় নাস্তা বানাতে। বাড়ির বউ হয়ে এসেছে চারদিন কিন্তু এখনো অব্দি সে কিচেনে যায়নি। তাই আজ সেই গেলো রান্না ঘরে।

সকাল ৯টায় আকাশের ঘুম ভেংগে যায়। আস্তে করে মাথাটা চেপে ধরে উঠে। সে মনে করার চেষ্টা করছে কাল রাতে কি করেছে সে। আসে পাশে তাকিয়ে দেখে মিতু নেই। এখন নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে তার গায়ে কোনো কাপড় নেই। এটা কি করে হলো। তবে কি সে মিতুর সাথে কিছু। নাহ্ এরকম হতে পারেনা। সে নেশা করলেও এতটা খারাপ হয়ে যায়নি। আকাশ জলদি উঠে চাদর পেচিয়ে গোস্ল করতে গেলো। তার মিতুর সাথে কথা বলতে হবে। তার মুখ থেকেই শুনতে হবে কাল কি হয়েছে।

স্নেহা বসে বসে পড়ছে। আজকে কলেজ যায়নি সে কারন আজ উঠতে লেট হয়ে গেছে তার। তাই সে যেতে পারেনি। তাই সে ঘরে বসেই অংক করছে। কিন্তু অংকটা মেলাতেই পারছেনা।

স্নেহা:দূর ছাই! এই পড়াকপাইল্লা অংকটাতো মিলছেইনা দূর দূর।

“ঘটে বুদ্ধি থাকলে তো অংক মিলাতে পারবি গাধি।”

#চলবে

ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।?আর গঠনমুলোক মন্ত্যব্য আশা রাখছি?।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here