#ইস্ক_সুফিয়ানা
#পর্ব – ১৩
#লেখনীতে : #Aloñe_Asha (ছদ্ম নাম)
#Kazi_Meherin_Nesa
“কি ট্রিকস খাটিয়ে তুমি আরমানকে তোমার প্রতি এতটা দুর্বল করে দিয়েছো বলোতো? ছেলের আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে শুধু তোমার জন্য”
আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না
“ক্ষমা করবেন কিন্তু আমি ওইরকম মেয়ে নই যে কোনো ছেলেকে ফাসাবো”
“আচ্ছা? তাহলে যা হচ্ছে সেগুলো কেনো হচ্ছে? তুমি কি অস্বীকার করতে পারবে যে তোমার জন্য কিছু হচ্ছে না? যাই বলা হোক, ও কিছু কানেই নেয় না..একটাই কথা ওর মুখে যে ও তোমাকে ভালোবাসে”
মিস্টার শাহ্ এর কথা শুনেই বুঝেছি আরমান স্যার আর ওনার মাঝে বেশ বড়সড় ঝামেলা হয়েছে আমাকে নিয়ে
“ভালো লাগার ব্যাপারটা হঠাৎ হয়ে যায় স্যার, কোনো পূর্ব পরিকল্পনা বা চাল খাটানোর দরকার পড়ে না এর জন্য..তাছাড়া আমি আরমান স্যারের সাথে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতাম, অ্যান্টি মিনাল দুজনেই জানে এমনকি আরমান স্যারের বন্ধুও”
মিস্টার শাহ্ এবার কিছুটা ঝাঁঝালো স্বরেই বলে উঠলেন
“আমার কোনো প্রমাণের দরকার নেই, নিজের চোখে যা দেখার দেখেছি! তুমি আমার ছেলেকে ফাঁসানোর ভালো চেষ্টা করেছিলে আর তুমি নিজের চেষ্টায় সফল হয়েছো”
“কিন্তু আমি তো ওনাকে..”
“আমি তোমার কোনো সাফাই শুনতে চাইনা, যেদিন আরমান আমাকে বলেছিলো ও তোমাকে ভালোবাসে সেদিনই বুঝেছিলাম এতে তোমার কোনো লাভ আছে, কিন্তু এখন তো আমার ছেলে আমার হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে তোমার জন্য”
আমি চুপ করে আছি, ওনার জায়গায় হয়তো অন্য কোনো ছেলের বাবা থাকলেও এই কথাগুলোই আমাকে বলতেন..আসলে এখনকার সময়টাই তো এমন হয়ে গেছে যে কেউ কাউকে ভরসাই করতে পারেনা
“টাকার জন্যে এসব করছো তুমি তাইনা? দেখো তোমার টাকার দরকার পড়লে আমি টাকা দেবো কিন্তু আমার ছেলের জীবন থেকে সরে যাও তুমি”
“যদি আমি টাকার জন্যেই এসব করতাম তাহলে আপনার ছেলের ভালবাসা অস্বীকার করতাম না..বারবার আমার কাছে ফিরে আসার পরও ওনাকে ফিরিয়ে দিতাম না..আমার মনে কোনো লোভ নেই স্যার”
“আরমানকে ফিরিয়ে দেওয়া, আমার অনুমতি ছাড়া ওর জীবনে না আসতে চাওয়া এইসব তো আমার মনে হয় তোমার প্ল্যানের অংশ! ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতে চাইছ তুমি ওকে”
আমি ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেললাম, চাচা এগিয়ে এসেছেন ততক্ষণে..উনিও মিস্টার শাহ্ এর কথা কিছুটা শুনেছেন
“আপনি এসব কি বলছেন? রুহি কাওকে ফাসাবে তাও টাকার জন্যে? এরকম কিছু তো স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা আমরা
“আমি যদি ভুল না করে থাকি তাহলে ও তো আপনার ভাইয়ের মেয়ে, আর আপনি ওর হয়েই কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক! তাই আপনার অপিনিয়ন চাইছি না আপনি”
“কিন্তু আপনি তো রুহির ওপর মিথ্যে দোষারোপ করছেন, ছোটো থেকে বড় করলাম ওকে.. ও অনেক ভালো মেয়ে”
“চাচা, তুমি কিছু বলো না..বলতে দাও ওনাকে..উনি আরমান স্যারের বাবা, তাই ওনার পুরো অধিকার আছে এটা জানার যে ওনার ছেলে কেমন মেয়েকে ভালোবেসেছে”
“কিন্তু রুহি”
“চাচা প্লিজ, তুমি ওনাকে কিছু বলো না”
আমার কথায় চাচা থেমে গেলেন, মিস্টার শাহ্ আমার দিকে রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন..ওনার রাগটা কোথায় বুঝতে পারছি, কিন্তু আমার প্রতি ওনার যে ধারণা সেসব দুর করে দিতে চাই আমি
“আপনি যা যা বললেন ঠিকই বলেছেন স্যার, আপনার ভাবনাগুলো ভুল নয়.. হ্যা এমন মেয়ে আছে যারা টাকার লোভে ছেলেদের ফাসায়..তবে তবে আমি এমন নই! আমি কোনোদিন ওনার থেকে কোনো সিম্প্যাথি আশা করিনি, ওনাকে তো সেই নজরে দেখিইনি, কিন্তু উনি প্রথম আমাকে সেই সাহস দিয়েছেন, হাত উনিই আগে আমার দিকে বাড়িয়েছেন, কিন্তু আমি পারিনি ওনার হাত ধরতে! আমি চাইনি আবারও এমন এক ভবিষ্যতে পা রাখতে যেখানে আমাকে আবার কারো অপছন্দের পাত্রী হতে হবে”
আমার কথার মানেটা মিস্টার শাহ্ ঠিক বুঝতে পারেননি, তবে আমার চাচা ঠিকই বুঝেছিলেন..কারণ উনিই তো আমার জীবনের সব ঘটনা, সব পরিস্থিতির প্রত্যক্ষদর্শী..মিস্টার শাহ্ ভ্রু কুঁচকে বললেন
“কি বলতে চাইছো তুমি?”
“আমি এটাই বলতে চাইছি আপনার আমার সম্পর্কে যে ধারণা সেটা ভুল!”
“রিয়েলী? এখন তোমার থেকে আমাকে ভুল ঠিক শিখতে হবে? তোমার কি মনে হয় এসব বললেই আমি তোমাকে মেনে নেবো?”
“আমি জানি আপনি আমায় মানবেন না আর আমি এটাও জানি কেনো মানবেন না..হাজার হোক আরমান স্যার তো আপনার একমাত্র ছেলে,আপনি নিশ্চয়ই নিজের ছেলের জন্য বেস্ট কাউকে চান.. তাইতো আমি আপনার ছেলের ডাকে সাড়া দেয়নি এখনও! আমি চাইনা আপনাদের দুজনের মধ্যে কোনো প্রকার ঝামেলা হোক”
একটু থেমে আমি আবার বলতে শুরু করলাম
“আপনার মনে হতেই পারে যে আরমান স্যার আমাকে ভালবাসার পরও আমি কেনো ওনার ডাকে সাড়া দিচ্ছি না..কেনো আপনার অনুমতির প্রাধান্য দিচ্ছি..আসলে স্যার ছোটো থেকেই আমি তো অন্যের বাড়িতে বড় হয়েছি, চাচার আদরের হলেও চাচীর কাছে কিন্তু অপ্রিয় ছিলাম সবসময়! এতো বছরেও উনি কিন্তু আমাকে আপন করতে পারেননি! ভবিষ্যতে এই বিষয়টার পুনরাবৃত্তি আমি চাইনা, তাই আপনার কথার প্রাধান্য আমার কাছে অনেক..আমি যদি হ্যা বলে আরমান স্যারকে বিয়ে করে ওই বাড়িতেও চলে যাই তবুও কিন্তু আপনার অপ্রিয় থেকে যাবো সবসময়, সেটা আর মানা আমার পক্ষে সম্ভব না”
মিস্টার শাহ আমার কথাগুলো শুনলেন, তারপর কিছু ভেবে ঠান্ডা গলায় প্রশ্ন করলেন
“তুমি সত্যি আরমানকে ভালোবাসো?”
আমিও নির্ভয়ে উত্তর দিলাম
“জ্বি”
“তাহলে তো আরমান চাইলেই তুমি ওর কাছে চলে আসবে, তখন এইযে কথাগুলো বললে, এখানে স্টিক থাকতে পারবে তো?”
“আমি ভালোবাসি ওনাকে, তবে আপনার সিদ্ধান্তকেও সম্মান করি, আমার ভালোবাসা আপনার সিদ্ধান্তের থেকে বড় হবে না কখনো কারণ আমি জানি একজন বাবা তার ছেলের জন্যে সেরা খোঁজার চেষ্টা করেন..আপনিও তাই করছেন.. সেখানে আমিও নিজের বক্তব্য রেখেছি! আপনি চিন্তা করবেন না, আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকাটা ভালোভাবেই আয়ত্ত করেছি..আপনার অনুমতি ছাড়া কিছুই হবেনা”
মিস্টার শাহ আর কোনো প্রশ্ন করলেন না আমাকে, একটা কথাও জিজ্ঞাসা করেননি..কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে চলে যেতে যাচ্ছিলেন তখন চাচা বললেন
“আপনি আমাদের বাড়ি এলেন, একটুও বসলেন না? একটু বসুন! আরো যদি কিছু কথা থাকে..”
“আমি এখানে বসতে আসেনি! একটা কাজে এসেছিলাম! আর আমার কাজ শেষ হয়েছে!”
মিস্টার শাহ বেরিয়ে এলেন আমাদের বাড়ি থেকে, জানিনা আমার কথাগুলো শুনে রেগে গেলেন নাকি? হয়তো মুখে মুখে কথা বললাম বলে আমাকে বেয়াদব ভেবেছেন তবে আমার আফোসস নেই তাতে, যা বলেছি সত্যিই বলেছি..! চাচা চিন্তিত হয়ে বললেন
“উনি হঠাৎ আজকে এসে তোকে এই ধরনের প্রশ্ন কেনো করলো বলতো? কিছুই তো বুঝলাম না?”
“ওনার প্রশ্ন করার পুরো অধিকার আছে চাচা, আমি মোটেই অবাক হইনি ওনার প্রশ্নে..তবে উনি যে আমার বাড়ি আসবেন এটা ভাবিনি”
“আরমান কি জানে এসব যে ওর বাবা এখানে এসেছে? ওর বাড়িতে কোনো সমস্যা হয়েছে কি? তুই জানিস কিছু?”
আমি চাচার প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে রুমে চলে গেলাম! হয়তো আজকের পর আরমান স্যারের বাবা আমার সাথে ওনার সব যোগাযোগ বন্ধ করিয়ে দেবেন..ওনাকে না দেখে থাকবো কিভাবে আমি? জানিনা, কিছু যে বুঝতেই পারছি না!! আরমান ড্রইং রুমে বসে কফি খেতে খেতে মায়ের সাথে গল্প করছিল..এক পর্যায়ে মিসেস শাহ প্রশ্ন করে বসেন
“আরমান! তুই রুহির বাড়ির চিনিস তো?”
“হ্যা চিনি, কিন্তু কেনো?”
“না আসলে ভাবছিলাম তুই যদি রুহিকে সত্যিই পছন্দ করে থাকিস, তোরা দুজনে একে অপরকে ভালোবেসে থাকিস তাহলে আর দেরি করে লাভ কি! ওদের বাড়িতে গিয়ে তোদের বিয়ের কথা..”
“মা এখন এসব কথা বলে লাভ নেই! রুহি কি বলেছে জানোই তো, বাবার আগে মানতে হবে..নাহলে ও কিছুতেই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবেনা..আর আমি ওকে ফোর্স করতেও চাইনা”
“কিন্তু আরমান, তোর বাবাকে তো চিনিস! এত সহজে কি উনি মানবেন বলে তোর মনে হয়? তাছাড়া তোরা দুজনেই তো ভালবাসিস একে অপরকে”
“ভালোবাসি বলেই তো বলছি মা, রুহিকে ফোর্স করবো না আমি! যখন ও নিজে চাইবে, তখনই আমরা বিয়ের কথা নিয়ে এগোব”
আরমানের মা আর কিছু বললেন না..সেদিনের পর আরো কিছু সময় কেটেছে, আরমান ইদানিং কাজের চাপে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিধায় রুহিকে সেভাবে সময় দিতে পারছে না তবে হ্যা রুহির সাথে প্রায়ই দেখা করতে যায় ও, রুহি আর আসেনি এই বাড়িতে আর মিস্টার শাহ ও জানায়নি কাওকে যে উনি রুহির বাড়িতে গেছিলেন দেখা করতে..একদিন রাতে খাওয়ার সময় মিস্টার শাহ বলেই দিলেন যে
“কিছুদিন আগে আমি রুহির বাড়িতে গেছিলাম”
মিস্টার শাহ এর কথা শুনে সবাই খাওয়া বন্ধ করে অবাক হয়ে তাকায়, মিসেস শাহ বেশি অবাক হয়েছেন কারণ ওনাকেও মিস্টার শাহ কিছু বলেননি
“হোয়াট! কেনো? বাবা তুমি ওদের বাড়ি কি করতে গেছিলে?”
“নিজের চোখে দেখতে গেছিলাম, জানতে গেছিলাম তুই কাকে ভালবাসিস, আর কেনো ওই মেয়েটা তোর জন্যে এতো ইম্পর্ট্যান্ট হয়ে উঠেছে”
“তুমি কি বলেছো ওকে? আর রুহি আমাকে এই বিষয়ে কিছু জানালো না কেনো?”
আরমান চিন্তিত হয়ে পড়ে কারণ মিস্টার শাহ কিছুতেই বলছেন না উনি কেনো গেছিলেন ওই বাড়িতে! মিসেস শাহ বলে ওঠেন
“তুমি হটাৎ ওদের বাড়ি গেছিলে যে! কবে গেছিলে? আমাকেও তো কিছু বললে না?”
“দরকার আমার ছিলো, তাই আমি গেছিলাম..এতে জানানোর কি আছে? তাছাড়া আজকে তো জানিয়েই দিলাম!”
“বাবা তুমি কি বলেছ ওকে? ইনসাল্ট করনি তো? বাবা তোমার প্রব্লেম আমার সাথে তাহলে ও বাড়িতে কেনো গেছিলে?”
“প্রব্লেম তোর সাথে না আরমান! প্রব্লেম আমাকে নিয়ে হচ্ছে! তোর এই রাগ, রুহির বারবার তোকে ইগনোর করা সবের মূলে আমি আছি তো আমাকে তো যেতেই হতো তাইনা?”
কেউই কিছু বুঝতে পারছে না, বুঝবে বা কি করে! মিস্টার শাহ তো পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না! নতুন এক চিন্তায় ফেলে দিলেন উনি সবাইকে! গভীর ঘুমে মত্ত ছিলাম আমি, মিষ্টি একটা স্বপ্ন দেখছিলাম..আমি আর আরমান স্যার ছিলাম স্বপ্নের মধ্যে! হুট করে ঘুমের ঘোরেই অনুভব করলাম কেউ একজন হয়তো আমার রুমে উপস্থিত আছে, আমার দিকে ঝুঁকে আছে! ঘুমের চোখে পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলাম সত্যি! আরমান স্যার বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে ঝুঁকে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে! ধরফরিয়ে উঠে বসি আমি! উনি হাতের ইশারায় হাই দিচ্ছেন আমাকে! আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম, বোঝার চেষ্টা করছি এটা স্বপ্ন না সত্যি..!
“আপনি সত্যিই আছেন এখানে? না আমি স্বপ্ন দেখছি?”
উনি নাক ফুলিয়ে আমার হাতটা নিয়ে ওনার গালের ওপর ধরলেন, একি! উনি দেখি সত্যিই আছেন এখানে
“প্রমাণ পেয়েছো তো এবার! এতো চেক করার কি আছে? সত্যি আর স্বপ্নের পার্থক্য বোঝো না নাকি?”
আমি যে রাতে ঘুমাচ্ছিলাম সেটা মাথা থেকে বেরিয়েই গেছিলো, ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই ভোর ৪ টা বাজে দেখে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো আমার..আমি একটু সরে বসে উচু গলায় বলতে লাগলাম
“আপনি..! আ..আপনি এখানে কি করছেন? তাও সোজা আমার বিছানায় উঠে এসেছেন? আপনার মতলব কিন্তু ভালো ঠেকছে না আমার.. নামুন বলছি এখান থেকে”
উনি খপ করে এসে হাত দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে আস্তে আস্তে বললেন
” আরে এতো জোরে জোরে কথা কেনো বলছো? আমি তো এখানেই আছি! সবাইকে জানান দিতে চাও নাকি যে আমি এসেছি? আমাকে ফাঁসানোর প্ল্যানিং করছো?”
বোকার মতো তাকিয়ে রইলাম আমি ওনার দিকে, বলে কি লোকটা..! রাত বিরাতে মাথা খারাপ হয়ে গেলো নাকি!
“কি অদ্ভুত কথা, আমি আপনাকে ফাঁসাতে যাবো কেনো? কি লাভ হবে আমার এতে?”
“কেনো ফাসাবে সেটা তো তুমি জানো! আমি আর কি বলবো?”
“আপনার কি সত্যিই মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে? এই সময় একটা মেয়ের রুমে এভাবে ঢুকতে লজ্জা করলো না আপনার হ্যা?”
“ব্যস রুহি! একটা কথা বলবে না আর, অনেকদিন হলো সহ্য করছি তোমার এই রিজেকশন, আর পারছি না.. তুমি জানো একটা মাস হয়ে গেছে আমাদের এই ভাঙাগড়ার সম্পর্কটার?”
“দেখুন..আপনি”
“দেখার জন্যেই তো এসেছি আজকে! আজ তোমাকে অনেকটা কাছ থেকে দেখবো, তোমার সাথেই থাকবো এখানে আর হ্যা কোনোরকম তিড়িং বিড়িং করলে তুলে নিয়ে যেতে দুবার কিন্তু ভাববো না”
“কি বলেন এগুলো? এখানে থাকবেন মানে? দেখুন প্রায় ভোর হয়ে গেছে..এখন আপনাকে আমার রুমে কেউ দেখে ফেললে কি হতে পারে সে ধারণা আছে আপনার?”
“কেনো বলোতো? ভয় পাচ্ছো? আমি আবার তোমার সাথে কিছু..”
কথা শেষ করার আগেই মুখ চেপে ধরলাম ওনার, লোকটা আজকাল যা বেহায়া মার্কা কথা বলে..না জানি এখন আবার কি বলবেন!
“ঈশ! চুপ করুন তো আপনি! একটা কথা বলবেন না আর..এখানে কেনো এসেছেন সেটা বলুন!”
উনি আমার হাতটা মুখ থেকে সরিয়ে বললেন
“বাবা তোমাদের বাড়িতে এসেছিল! জানাওনি কেনো আমাকে? আর কেনো এসেছিলেন উনি? কি বলেছে তোমাকে?”
“আপনি কিভাবে..”
“আমি যে প্রশ্ন করলাম সেটার উত্তর দাও! পাল্টা প্রশ্ন করো না রুহি.. বলো বাবা কি বলেছে তোমায়? অপমান করেছে? কিছু বলেছে তোমাকে?
চলবে….