উপন্যাসঃ পাহাড়ে মেঘের ছায়া পর্ব – ২৫

0
2784

উপন্যাসঃ পাহাড়ে মেঘের ছায়া
পর্ব – ২৫
(নূর নাফিসা)
.
.
বাকিরাও সবাই এসে গেছে ছাদে। অনেক্ক্ষণ যাবত আড্ডা দিয়ে ছাদ থেকে নেমে গেলো। বৃষ্টি নামছে না দেখে আকাশ আবার তার কাছে এলো।
– দাড়িয়ে আছো কেন?
– ভালো লাগছে এখানে থাকতে।
– ঠান্ডা লাগছে না?
– হুম, একটু একটু। তবুও ভালো লাগছে।
বৃষ্টি পা ঝুলিয়ে রেলিংয়ে উঠে বসে পড়লো। তার দেখাদেখি আকাশও পাশে বসলো।
– বৃষ্টি তুমি কি বুঝতে পারছো, আমাকে নিয়ে তোমার মনে যেটা আছে সেটা শুধু মাত্র আবেগ। কয়দিন গেলেই দেখবে আর ভালো লাগছে না। আমরা লাইফ নিয়ে খেলতে জানি না কিন্তু লাইফ আমাদের নিয়ে খেলা করে। এই ভালো লাগে এই খারাপ লাগে! কিন্তু চোখের সামনে বিভিন্ন দৃষ্টান্ত থাকা সত্ত্বেও তা আমাদের চোখে পড়ে না। আমরা সেটার পেছনেই দৌড়াতে থাকি। তার চেয়ে ভালো নয় কি ভেবে আগে থেকেই সে পথ থেকে সরে যাই?
– কি বুঝাতে চাইছো তুমি? আমার এই অনুভূতি কি তোমার কাছে শুধুই আবেগ মনে হচ্ছে? আর কিছু খুজে পাচ্ছো না তুমি আমার মাঝে? এটা কি তোমার মাথায় একটুও হানা দিচ্ছে না, তোমাদের সাথে তো আরও অনেক ছেলে ছিলো তবুও তোমার প্রতিই আমার নজর পড়েছে কেন? কই তাদের প্রতি তো আমার কোনো ফিলিংস নেই! তুমি যে একটা পাষাণ সেটা জেনেও আমি এখনো তোমাকেই চাই। এতোটা হার্ট করো কেন আমাকে? বলো… ওকে আমাকে তোমার ভালোবাসতে হবে না, তোমার জীবনে অন্য কাউকে আনো যাকে নিয়ে তুমি ভালো থাকবে। খুব তো ভালো জ্ঞান দিতে পারো অন্যকে, আর তোমার মাথায় এটা ঢুকছে না একটা মানুষ কোন পরিবেশে বসবাস করে? আজ তোমার বন্ধুবান্ধব সাথে আছে তাই তোমার এই জীবনটা ভালো লাগছে। কদিন পর তো তারাও নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। কি পারবে তখন এভাবে বাচতে? ভেবে দেখো না, আজ এখানে যদি তুমি একা থাকতে এতোটা এনজয় করতে পারতে একা একা? বোরিং লাগতো না? জাহাঙ্গীর নগর ভার্সিটিতে নাকি পড়ে, হুহ্! প্রিন্সিপাল কেন যে এই ব্যক্কলকে ভার্সিটিতে রাখছে এখনো!
রাগে বৃষ্টির গা ঝিমঝিম করছে! অন্যদিকে তাকিয়ে সে নিরবে চোখের পানি ফেলছে। বিরক্ত লাগছে পাশে বসে থাকা স্টুপিডটাকে, তার চিন্তা ধারণা সব বিরক্ত লাগছে। আর এদিকে আকাশ একটু চেপে বৃষ্টির গা ঘেঁষে বসে পেছন দিক দিয়ে বৃষ্টির ওপাশে রেলিংয়ে হাত রাখলো। হঠাৎ করেই আকাশ গান ধরলো,
.
নিশিতে জাগ্রত তুমি আমার এক টুকরো শশী
প্রাণের প্রণয়ী তুমি,
আমি তোমায় ভালোবাসি…
তুমি আমার প্রানপাখি, মৃগনয়না তোমার আঁখি
তাই পলকে পলকে শুধু তোমাকেই আগলে রাখি।
তোমায় ভেবে ভেবে কেটে যায় সাজের বেলা
নীলাম্বরে জমেছে দেখো লাখো তারার মেলা!
নিশিতে জাগ্রত তুমি আমার এক টুকরো শশী
প্রাণের প্রণয়ী তুমি,
আমি তোমাকেই ভালোবাসি…
ঝিকিমিকি জ্বলছে দেখো, কত শত জোনাকির আলো!
অনুরাগে অভিমানে, অশ্রুপাতে লাগে কি আর ভালো।
ভালোবাসা কি, তা যদি তুমি জানো,
অভিমান ভেঙে বলছি তো এবার শুনো!
নিশিতে জাগ্রত তুমি আমার এক টুকরো শশী
প্রাণের প্রণয়ী তুমি,
আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি…
লাখো স্বপ্ন, লাখো ইচ্ছে
বুনেছি যত, সবই তোমায় ঘিরে।
ছোটবড় সব ভ্রান্তি নিয়ে
কভু হারিয়ে যাবো, আবারও আসবো ফিরে।
কারণ শুধু একটাই ওগো প্রেয়সী!
নিশিতে জাগ্রত তুমি আমার এক টুকরো শশী
প্রাণের প্রণয়ী তুমি,
আমি যে এই তোমাকেই ভালোবাসি…
.
– রাইটার, সুরকার, গীতিকার সবটাই আমি নিজে। কেমন হয়েছে?
বৃষ্টি জবাব না দিয়ে শুধু মুগ্ধ দৃষ্টিতে তার মুখে তাকিয়ে আছে। আকাশ মুচকি হেসে নেমে পড়লো রেলিং থেকে। একটা হাত বাড়িয়ে দিলো বৃষ্টির দিকে। বৃষ্টি তার হাত ধরে নেমে দাড়ালো। তার চোখে এখনো পানি। অশ্রু কমার বদলে আরও বেশি ঝরছে! সে আচমকা আকাশকে জড়িয়ে ধরে বললো,
– ভালোবাসি আকাশ। খুব ভালোবাসি।
আকাশও তাকে বেধেছে বাহুডোরে। বৃষ্টি আকাশের বুকে মাথা রেখে পরম আবেশে চোখ বুজে আছে। কিছুটা সময় অতিবাহিত হতেই আকাশ বললো,
– রাত বেড়ে গেছে অনেক, চলো ঘুমাবে।
– আজকের রাতটাও তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবো।
আকাশ স্তব্ধ তার কথা শুনে! এই এক সমস্যা! মেয়েটাকে একটু আস্কারা দিলে একেবারে মাথায় চড়ে বসে! এতো বুদ্ধিমতী অথচ ন্যূনতম বোধটুকু কি তার মাঝে নেই! বিয়ের আগে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কিভাবে একসাথে রাত কাটাতে পারে! আকাশ এ নিয়ে কিছু না বলে বৃষ্টিকে নিয়ে ছাদ থেকে নেমে এলো। ঝুমুরদের রুমের সামনে এসে বৃষ্টিকে যেতে বললো। বৃষ্টি বললো,
– প্লিজ আকাশ, কাল তো চলেই যাবো। একটা রিকুয়েষ্ট রাখো।
– ভেতরে যাও।
– প্লিজ, চলো আজ রাতটা ছাদেই কাটিয়ে দেই।
আকাশ দরজা ঠেলে নিজেই বৃষ্টিকে রুমের ভেতর ঠেলে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা লক করে দিলো। ভোরে এসে খুলে দিয়ে গেছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সবাই নাস্তা করতে এলো। আকাশ বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখলো চোখমুখ কেমন যেন দেখাচ্ছে! জঙ্গলে যেদিন থাপ্পড় দিয়েছিলো তার পরদিন এমনটা দেখাচ্ছিলো তাকে! সে কেদেছে কাল রাতে! বৃষ্টি মুখ ফুলিয়ে রেখেছে! কথা বলছে না কারো সাথে তেমন! আকাশের সাথে তো একেবারেই না! অল্প খাবার খেয়ে সে উঠে পড়েছে। বাকিরা খাওয়াদাওয়া শেষ করে একটু বাইরে হাটার জন্য বের হলো। চা বাগান ঘুরে একটু পর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। চা বাগানে আসতেই আকাশ বৃষ্টিকে টেনে এক পাশে নিয়ে গেলো। বৃষ্টি চুপচাপই আছে, ভালো মন্দ কিছুই জিজ্ঞেস করছে না! আকাশ বললো,
– এমন মুখ ফুলিয়ে আছো কেন? রাতে ঘুমাও নি?
বৃষ্টি কোনো জবাব দিচ্ছে না। আকাশ আবার বললো,
– আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি কানে কথা যাচ্ছে না? ঘুমাও নি কেন রাতে?
বৃষ্টি আকাশের হাত ছাড়িয়ে আবার তাদের কাছে চলে গেলো। রিসোর্টে ফিরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। ট্রেনের টিকেট কেটেছে তারা। এগারোটায় তাদের যাত্রা শুরু হলো। ট্রেনে উঠে বৃষ্টির খুব আনন্দ লাগছে। কিন্তু প্রকাশ করছে না। একটা কেবিন বুক করেছে তারা। আটজন হওয়ায় কেবিন এমনিতেই ফুলফিল! ঝুমুর অথৈ একসাথে, অভ্র রিজভী একসাথে বসে পড়েছে। বৃষ্টি জানালার দিকে বসেছে। সিমি আর রওনক তো একসাথে বসবে তাহলে কি আকাশ তার সাথে বসবে! আকাশ যেন না বসতে পারে তাই বৃষ্টি সিমিকে ডেকে বললো তার পাশে বসতে। সিমি এসে বসা মত্রই আকাশ এসে বললো,
– এই তুই এই সিটে কি করছ? তোর জামাই একা একা বসে বিরহের গান গাইছে। যা ওইদিকে।
রওনক বিপরীত সিটে বসে হাসছে। আর সিমি জবাব দিলো,
– এইটা বললেই পারিস, তুই তোর গার্লফ্রেন্ড এর সাথে বসবি।
– জানিস যেহেতু বসলি কেন?
– হুহ্, যাচ্ছি।
বৃষ্টি কিছু বলতে পারলো না। সিমি উঠে গেলো আর আকাশ পাশে বসে পড়লো। বৃষ্টি একদম জানালার পাশে গা ঘেঁষে বসে আছে। আকাশও তার দিকে চেপে বসলো। বৃষ্টি রেগে তাকিয়ে আবার জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। আকাশ তাকে বিরক্ত করতে পেরে মুচকি হাসলো। ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে বেশ কিছুক্ষণ হলো। বৃষ্টি একদম চুপচাপ বাইরে তাকিয়ে আছে। গলার আওয়াজ বলতে অভ্র, রিজভী আর অথৈয়ের গলাই শুনা যাচ্ছে। তারা দুষ্টুমিতে মেতে উঠেছে। বৃষ্টিকে এমন মুডঅফে দেখতে ভালো লাগছে না আকাশের কাছে। তারউপর সে বৃষ্টির চোখে ঘুম দেখতে পাচ্ছে। একটা হাত বৃষ্টির পেছনে রাখলো সে। বৃষ্টি তার স্পর্শে কেপে উঠেছে। খুব দ্রুত জানালা থেকে চোখ সরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়েছে! আকাশ তার দিকে তাকায়নি, সে অন্যহাতে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন ভাব করছে যেন কিছুই হয়নি! বৃষ্টি তাদের বিপরীত সিটে বসে থাকা সিমি আর রওনকের দিকে তাকিয়ে দেখলো দুজন এক হেডফোন কানে দিয়ে চোখ বন্ধ করে গান শুনছে। সিমি রওনকের কাধে মাথা রেখেছে। খুব সুখী দম্পতি মনে হচ্ছে তাদের। এদিকে তার পিঠে আকাশ হাতের আঙুল নাড়াচ্ছে! বৃষ্টির অসস্তিকর লাগছে। সে হাত সরিয়ে দিতে চাইলে আকাশ আরও চেপে ধরলো। বৃষ্টি তারদিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে বললো,
– হচ্ছে কি এসব! হাত সরান।
– কোথায় কি হচ্ছে? দেখি!
আকাশ তাকে একহাতে একেবারে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলেছে। বৃষ্টি লজ্জা পেয়ে বললো,
– আশ্চর্য! এখানে সবাই আছে। দেখলে কি ভাববে!
– কি ভাববে?
আকাশ হঠাৎ এমন শুরু করেছে কেন বৃষ্টির মাথায় কিছুই ঢুকছে না! উপায় না পেয়ে সে আকাশের কাধেই মুখ লুকিয়ে বিড়বিড় করে বললো,
– এমন করছো কেন! এসব আলগা পিরিতি দেখাতে হবে না।
– তুমি না দেখলেই তো হয়।
এই ছেলের মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে! বৃষ্টি কোনোভাবেই তাকে ছাড়াতে পারছে না। আকাশ বৃষ্টির দিকে একটু মোচড় দিয়ে বসলো যার ফলে বৃষ্টি কাধে আরও ভালো করে মাথা রাখতে পেরেছে। কিছুক্ষণ এভাবে কাধে মুখ লুকানো অবস্থায়ই বৃষ্টি ঘুমিয়ে পড়েছে। আকাশ তাকে ঘুমানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্যই এতোক্ষণ তার সাথে এমন করছিলো। সিটে হেলান দিয়ে এক হাতে বৃষ্টিকে ধরে সে বাইরে তাকিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলো। আর এদিকে বৃষ্টি ঘুমের দেশে পাড়ি জমিয়েছে। গলা থেকে ওড়নাটা নামিয়ে আকাশ বৃষ্টির উপর ছড়িয়ে দিয়েছে বাতাস কম লাগার জন্য।
দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে তারা ঢাকা এসেছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছাকাছি আসতেই আকাশের ডাকে বৃষ্টির ঘুম ভাঙলো। রাতে একটুও ঘুমায়নি, যার ফলে এখন সারাটা রাস্তা এভাবে ঘুমিয়েই ছিলো সে। চোখ খুলে তাকাতে দেখে আকাশ বললো,
– উঠো এবার চলে এসেছি তো।
– কোথায় চলে এসেছি?
– ঢাকায়।
– কিহ! এতো তারাতাড়ি?
অভ্র বৃষ্টির জোর গলা শুনে বললো,
– এতোটা সময় বৃষ্টির তারাতাড়ি মনে হচ্ছে? তুমি টিকেট কেটে আবার সিলেট যাও।
সবাই হাহা করে হাসতে লাগলো। বৃষ্টি হাই তুলে দেখলো তার উপর তার ওড়না ছড়ানো! সে ঝটপট সোজা হয়ে ওড়না ঠিক করে নিলো। বিকেল পাচটার দিকে তারা কমলাপুর পৌছেছে। ট্রেন থেকে নেমে আকাশ বললো,
– এখন কি এগিয়েও দিয়ে আসতে হবে?
– না আমিই যেতে পারবো।
– চোখ দেখে তো মনে হচ্ছে এখনো ঘুম কাটেনি! রাস্তায় আবার ঘুমিয়ে পড়বে না তো?
– তাহলে এগিয়ে দিয়ে আসো।
রওনক বললো,
– আরে যা যা, শশুর বাড়ি থেকে ঘুরে আয়।
সবাই হাহা করে হাসতে লাগলো আকাশ বিরক্তি নিয়ে রওনকের দিকে তাকালো। রিজভীর কাছে নিজের ব্যাগ ধরিয়ে দিলো। রিজভী বললো,
– ভালোই তো কামলা পাইছোস আমারে!
– হুম, বৃষ্টি চলো।
আকাশ বৃষ্টিকে সাথে নিয়ে বৃষ্টির বাড়ির দিকে রওনা দিলো। রিক্সায় বসে বৃষ্টি জিজ্ঞেস করলো,
– তোমাদের হাড়িপাতিল যে ছিলো ওসব কোথায়?
– হাড়িপাতিল নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকা আসবো! ওগুলো বেচে দিয়েছি সেখানেই।
– ওহ! আমি তো ভেবেছি জংলীরা বুঝি রেখে দিয়েছে!
বৃষ্টি হিহি করে হাসতে লাগলো। আকাশ নিরব। বৃষ্টি বাসার সামনে নেমে গেলে বললো,
– এটা তোমার বাসা তো? ঘুমের ঘোরে আবার অন্যদের বাসায় চলে যেও না।
বৃষ্টি মুচকি হেসে বললো,
– ভেতরে চলো, বাবা মায়ের সাথে দেখা করে যাও।
– না। যাও।
– আল্লাহ হাফেজ।
– আল্লাহ হাফেজ।
বৃষ্টি গেইটের ভেতর ঢুকে কিছুটা পথ এগিয়ে পেছনে ফিরে তাকালো। আকাশ রিকশা নিয়ে এখনো গেইটের সামনেই আছে। বৃষ্টি আবার ফিরে এসে বললো,
– কি ব্যাপার? যাচ্ছো না কেন? বাসায় আসবে?
– না, তুমি বাসায় যাও নাকি আবার সেদিনের মতো সাথে সাথে বেরিয়ে অন্যদিকে চলে যাও সেটা দেখার জন্যই বসে আছি।
বৃষ্টি হেসে এবার এক দৌড়ে তাদের মেইন দরজার সামনে এসে দাড়িয়ে কলিং বেল বাজালো। তার মা এসে দরজা খুলে দিলে সে মাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর মাকেসহ ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে মায়ের দৃষ্টির অগোচরে আকাশকে হাত নেড়ে টাটা জানিয়ে দরজা বন্ধ করলো। এবার বিশ্বাস করে আকাশ নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
এতোদিন বাইরে কাটিয়েছে তাই বাসায় এসে মায়ের বকা শুনতে হলো। আবার জানতে পারলো বাবা কাল মেঘের কাছে সিলেট যাবে জমি দেখার জন্য। বৃষ্টি মনে মনে বললো, ভাগ্যিস সে আজ চলে এসেছে! না হয় বাবার সাথে কোনোভাবে দেখা হলে বাবা জেনে যেতো সে মিথ্যে বলে সিলেট গিয়েছে!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here