উল্টোরথে-৫,০৬,০৭
০৫
কলেজে ঢুকে অফিসের কাজগুলো শেষ করল তিথি। দুই মাসের বেতন বাকি ছিল, সেটা দিয়ে দিলো। অফিস থেকে বের হতেই রোজির সাথে দেখা। রোজি ওকে দেখে বাঁকা হাসি হেসে জানতে চাইল, তারপর, কেমন কাটছে নতুন জীবন!
তিথি বলল, ভালো। তোর কি খবর?
রোজি সরাসরি বলল, ডিকেনের সাথে প্রেম করার শখ মিটল? বড় চাকরি করে দেখে ঝুলে পড়তে চেয়েছিলি তাই না!
তিথি বিব্রত হলেও বলল, আমার স্বামী ডিকেনের চাইতেও বড় চাকরি করে।
তাহলে আর কি! ডিকেন কি একেবারে খেয়ে ছেড়ে দিছে তোকে? কক্সবাজার গিয়েছিলি ওর সাথে?
তিথি বলল, এত বিশ্রী ভাষায় তুই কথা বলতে পারিস, জানতাম না। তোর তো বরং খুশি হওয়া উচিৎ, যে বিপদ আমার হয়েছে, সেটা তোর হতে পারত!
রোজি চুপ করে গেল। তিথির কথা মিথ্যা না। ডিকেন কে রোজি খুবই পছন্দ করে। এখনো করে, ডিকেনের খরচের হাত বেশ ভালো। ফ্রেন্ডশিপ থাকা অবস্থায় অনেক শপিং করে দিয়েছে রোজিকে। তিথির সাথে এ্যাফেয়ারে জড়িয়ে গেল তারপর দূরত্ব তৈরি হয়ে গেল।
ডিকেন যে বিয়ে করেছে, সেটা শুনেছে ওর আরেক বন্ধুর কাছ থেকে। তিথি কথাও সেই বলেছে। তিথির সাথে সম্পর্কের কথা ডিকেন বলেছিল।
তাও কত নাটক করে, রোজি আমি জানি তুমি খুশি হবে, তোমরা ভালো বন্ধু। তবু তিথি আমাকেই দায়িত্ব দিয়েছে তোমাকে জানাতে। সেই থেকে তিথিকে দুই চক্ষে দেখতে পারে না রোজি৷
তিথি কলেজ থেকে বের হয়ে হাঁটতে লাগল। ব্যস্ত সড়কে বড় বড় প্রাচীন গাছগুলোর নিচ বাঁধানো। দুই পাশে অনেকে বসে গল্প করছে। কেউ প্রেমিক প্রেমিকা কেউ বন্ধু!
হাত ধরাধরি করেও বসেছে৷
তিথির বিষন্ন লাগতে শুরু করল। ডিকেন একদিন বৃষ্টির মধ্যে এসেছিল অফিস থেকে। লাঞ্চ আওয়ার চলছিল। একটা শেডের নিচে দাঁড়িয়ে তিথিকে বলেছিল, তিথি, একটু আসতে পারবে? জরুরি দরকার।
তিথি জরুরি প্রয়োজনটা বুঝতে পারে নি। ক্লাশ শেষ না করেই বের হয়ে গেল।
ডিকেন একটা গোলাপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তিথিকে দেখে বলল, তিথি, আমার তোমাকে খুব ভালোলাগে। আই লাভ ইউ!
তিথি বলল, মানে?
হ্যা বা না কিছু একটা বলো।
এভাবে বলা যায়?
যাবে না কেন? না বললে আর কখনো ফোন করব না। ডাকবও না। প্রমিজ!
তিথির এটা ভাবতে কষ্ট হলো, ডিকেন আর যোগাযোগ রাখবে না! তাই একটু চুপ করে থেকে বলল, হ্যা!
এই সব জ্যাম, ভীড় সব উপেক্ষা করে ডিকেন তিথিকে জড়িয়ে ধরল।
তিথি বলল, কি হচ্ছে এসব, ছাড়ো!
তিথি, তোমাকে একটা চুমু খাই? প্লিজ – তিথিকে না ছেড়েই ডিকেন বলল।
তিথি শরীর কেঁপে উঠেছিল তিরতির করে!
প্রথম অনুভূতি! কি অদ্ভুত ছিল!
না প্রথম চুমু সেদিন খায় নি ডিকেন। তিথির জড়তায় সরে গিয়ে হাত দিয়ে ভেজা কপালের পানি ঝাড়তে ঝাড়তে বলেছিল, সহজ হও, আমি এতটা খারাপ না। তুমি যেদিন সহজ হয়ে চুমু খেতে চাইবে, সেদিনই হবে। কি অভিনয় জানে ছেলেটা!
হিসেব করে দেখেছে তিথি, ডিকেন তখন বিয়ে করে ফেলেছে!
ডিকেন অতোটাও খারাপ ছিল না। কিন্তু তার চাইতেও অনেক বেশি খারাপ ছিল!
চলবে
শানজানা আলম
উল্টোরথে-৬
বাসায় ফিরতে ইচ্ছে করছে না তিথির। পারভেজের বাসায় নিজেকে আশ্রিত মনে হয়। আর নিজের বলতে তো মেয়েদের কিছু থাকেই না কখনো। গতবছর একটা অফিসে পার্টটাইম জব করেছিল কিছুদিন। ওখানে আরেকবার খোঁজ নিবে ভাবছে।
ফোন ভাইব্রেট করল। পারভেজ ফোন করেছে।
তিথি, তোমার কাজ শেষ হয় নি?
হ্যা শেষ।
বাসায় যাচ্ছ?
না।
তাহলে?
একটা অফিসে যাব একটু। একটা পার্টটাইম জব করেছিলাম, ওটার খোঁজ নিতে।
আজই যেতে হবে?
কেন বলো তো?
নিউমার্কেটে যাই চলো, এদিকে এসেছিলাম।
তুমি এদিকে এসেছ?
হুম।
কোনো কাজ ছিল?
একটু ছিল, সময় বাড়িয়ে নিয়েছি, তোমাকে ড্রপ করে অফিসে গেলেই হবে।
তিথি বুঝতে পারছে না সে যাবে কিনা। কিন্তু না যাওয়ারও কোনো কারণ নেই। পারভেজ অধিকার না দেখালেও তার স্বামী।
আচ্ছা কোথায় আসব?
এসো, দুই নম্বর গেটেই এসো।
আচ্ছা।
তিথি দ্রুত পা চালিয়ে এগিয়ে গেল।
পারভেজ দাঁড়িয়ে আছে। বেশ খানিকটা শর্ট ছেলেটা। ডিকেন অনেক লম্বা ছিল। ধুর, হা*রামিটার নামটা মাথা থেকে বের হচ্ছে না।
তিথিকে দেখে পারভেজ হাত নেড়ে ডাকল।
তুমি জানতে আমি কলেজে আসব?
মা বললেন, তুমি বের হয়েছ।
আচ্ছা।
তিথি, তোমার জন্য গয়না তো কেনা হয় নি, চলো আজ দেখি?
কাবিনের টাকাটা ক্যাশ দেওয়া হয়েছিল, খুবই অল্প টাকা, দেড়লাখের মত। কাবিন নিয়ে কেন যেন কেউ কোনো কথা বলে নি। সবার ভাবটা এমন ছিল, হাজার দশেক হলেও সমস্যা নেই। তিথির এসব নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না। ক্যাশ টাকাটা আলমারিতে আছে এখনো, তিথির ছুঁয়ে দেখাও হয় নি।
গয়না লাগবে না আমার।
তাড়াহুড়ো করে বিয়েটা হলো, আমি আসলে বাসার কারো মতের বাইরে যেতে চাই নি বলে কোনো কথা বলিনি। বিয়ে তে তো মেয়েরা গয়না পরে।
বিয়ে তো হয়ে গেছে। সবার একই রকম হবে, এমন তো না।
বাদ দাও। তোমার কোনো কেনাকাটা আছে?
আমার তেমন কিছু না, এদিক থেকে তো আগে শার্ট নিতাম, এখন আর আসা হয় না।
আচ্ছা চলো, দুয়েকটা কিনি।
চলো।
পারভেজের ভালো লাগছে, তিথি পছন্দ করে কিনবে। কিছু মানুষকে কোনো কারণ ছাড়াই ভালো লাগে, তিথিকেও ভালো লাগত। তিথি কখনো পারভেজকে গুরুত্বই দেয় নি! ভালো করে দেখেও নি! যে ছেলেটার সাথে তিথিকে কয়েকবার দেখেছে, ছেলেটা বেশ হ্যান্ডসাম। পারভেজের মত নয়। তিথি হয়তো পরিস্থিতির চাপে বিয়েটা করেছে, কিন্তু পারভেজকে মেনে নিতে পারছে না৷
তিথি সহজ ভাবেই কেনা কাটা করল। পারভেজের জন্য শার্ট কিনল, ঘরে পরার টিশার্ট কিনল।
কয়েকটা কুশন আর কুশন কভার, বেডশিট কিনল। বেডের মাথার কাছের জানালার জন্য পর্দা কিনল। পারভেজ বলল, আরো কয়েকপিস নাও, বারান্দার দরজায়ও দিও। সেটাও নেওয়া হলো।
পারভেজই বলল, রুমের জন্য আর কিছু নেবে?
তিথি একটা ফ্লাওয়ার স্টান্ডে কিছু ফুল নিলো, একটা পেইন্টিংও নিতে ইচ্ছে করল। কয়েকবার তাকিয়ে মনে হল বেডরুমে মানাবে না৷ পরে বাদ দিলো।
এভাবে কখনো কেনাকাটা করা হয় নি। সত্যি বলতে তিথির বেশ ভালো লাগছিল, মনটা একদম হালকা হয়ে গেছে।
সব শেষে পারভেজ বলল, তিথি, একটা শাড়ি কেনো।
শাড়ি?
হ্যা।
না থাক। আমার শাড়ি পরতে ভালো লাগে না।
কিন্তু শাড়ি পরলে তোমাকে খুব ভালো লাগে।
শেষবার শাড়ি পরেছিল পহেলা বৈশাখে, ডিকেন এসেছিল, আধঘন্টার জন্য, ওদের পাড়ারই একটা ফাস্টফুড শপে।
ডিকেনের অফিস প্রোগ্রাম ছিল নাকি, আসলে সবই মিথ্যা। একটাও সত্যি কথা বলে নি।
বাদ দাও।
আমার জন্য কিনো না হয়!
আচ্ছা।
পারভেজ দেখে শুনে একটা হলুদ রঙের জমিনে নেভীব্লু পাড়ের জামদানি কিনল তিথি জন্য৷ তিথির হলুদ একদম পছন্দ না। কিন্তু ও কিছু বলল না। সব সময় নিজের পছন্দ জানাতে ইচ্ছে করে না।
পারভেজ তিথিকে নিয়ে জুয়েলার্সের দোকানেও গেল। তিথি কিছুই দেখছিল না। পারভেজ একটা চেইন আর কানের দুল, আংটি কিনে ফেলল।
তিথি একবার বলল, এত টাকা কেন খরচ করছ! আমার লাগবে না বললাম তো!
পারভেজ বলল, না লাগুক, রেখে দাও। সোনা তো পারিবারিক সম্পত্তি, ফেলনা না।
তিথি বলল, আমি যদি চলে যাই, এই সোনাদানা নিয়ে, তখন তোমার পারিবারিক সম্পত্তিও চলে যাবে।
নিয়ে গেলে যেও৷ সমস্যা নেই। তোমার জন্যই তো কিনলাম।
তিথি এভাবে কখনো পারভেজকে দেখে নি। দেখার প্রশ্নই আসে না। পারভেজের বিয়ে করার কথা একদম ঘরোয়া টুকটুকে ধরনের মেয়ে। তিথি এরকম কখনো ছিল না। ডিকেনের সাথে আলাপ হওয়ার পরে যেমন স্বপ্ন দেখছিল, সেটা তো ভেঙেই গেছে।
বেশ অনেকটা সময় লেগে গেল, পারভেজ বলল, সরি বাসায় যেতে গেলে আমার দেরী হয়ে যাবে। তোমাকে বরং উবার ডেকে তুলে দেই, যেতে পারবে না?
হুম পারব।
পারভেজ সাথে এলো না।
গাড়িতে বসে তিথির মনে পড়ে গেল, ডিকেন অফিস শেষে যদি দেখা করতে আসত, তিথিকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে তারপর ফিরত!
সব সময়ই বলত, তোমাকে একা যেতে হবে না। গল্প করতে করতে রিক্সায় দিয়ে আসত বাসার গলির মুখে।
এত কেয়ার দেখাত সব সময়!! আচ্ছা, ও কি বউয়েরও এমন কেয়ার করে? নাকি সব মেয়েদেরই?
গাড়ি জ্যামে আটকে আছে। তিথির ফোন ভাইব্রেট করছে, নিশ্চয়ই পারভেজ।
তিথি ব্যাগ খুলে দেখল ডিকেন!!!
চলবে
শানজানা আলম
উল্টো রথে-৭
ইরিন অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে আছে। ডিকেন বাসায় ফিরবে তারপরে খাবে।
ডিকেন খুব একটা সংসারী হয় নি গত দুই বছরেও। অবশ্য সংসারী হয় নি, সেটা বলা যায় না। দায়িত্ব সব পালন করে, বাসার বাজার ঘাট থেকে শুরু করে যা লাগবে সব কিনে আনে। ইরিনের জামাকাপড় বাচ্চার যা প্রয়োজনীয় সবই করে। কিন্তু কথাবার্তা প্রয়োজন ছাড়া বলে না ইরিনের সাথে। ইরিন কিছু জিজ্ঞেস করলে দুয়েক কথায় উত্তর দিয়ে দেয়। শারীরিক প্রয়োজনে কাছে আসে না এমন না, কিন্তু কেমন দায় সাড়া ভাব! কোনো টান নেই যেন, অথচ ইরিন দেখতে খারাপ, বিষয়টা এমন নয়। গোলগাল চেহারার ছোটোখাটো মিষ্টি মেয়ে।
গত মাস তিনেক আগে তিথি নামের যে মেয়েটা এসেছিল, তিথির সাথে কত ছবি, এসএমএস দেখিয়েছিল, ইরিন তাকে বিশ্বাস করে নি। এসবই এখন বানিয়ে নেওয়া যায়। সংসারে মন না থাকলে পুরুষরা সংসারে টাকা দেয় না। বউ বাচ্চার প্রতি উদাসীন থাকে। ডিকেন উদাসীন এটা বলা যায় না। কম কথা বলা উদাসীনতা না।
ডিকেন ইরিনের খালাত ভাই। আপন না, মায়ের ফুপাত বোনের ছেলে। ইরিনকে পছন্দ করেছেন তার শাশুড়ি।
নিজেই পছন্দ করে ডিকেনকে বলেছেন বিয়ে করতে। ডিকেন তখন একটু দুর্বল ভাবে না করেছিল, কিন্তু রাজীও হয়েছিল। কিন্তু একটা দূরত্ব রেখে দিয়েছে এখন অবধি।
তিথি বাসায় আসার পরে ডিকেন কেমন থতমত খেয়ে গিয়েছিল, এ্যাফেয়ার থাকতেই পারে। তাই বলে সেটা নিয়ে বাসায় এসে চিৎকার চেঁচামেচি করবে, কেমন মেয়ে! পোশাক দেখেই ইরিন বুঝেছে, এরকম ওয়েস্টার্ন পোশাক পরা উগ্র মেজাজ, এসব মেয়ে ভালো হয় না। ঘর ভাঙানি মেয়েছেলে, ডিকেন দেখতে সুন্দর, ভালো চাকরি করে, এসব দেখে ঝুলে পড়তে চেয়েছে। কক্সবাজারের ছবি দেখিয়েছে, ডিকেন অফিস ট্যুরে গিয়েছিল বলে ইরিন জানে। তুই ওদের অফিস ট্যুরে গেছিস? ফাজিল মেয়ে!
ভালো মেয়েরা এমন করে যায়! ছেলেদের পাশে মেয়েরা ঘুরলে ছেলেরা তো একটু কাবু হবেই, ইরিনও ছাড়ে নি। যা মুখে এসেছে, শুনিয়ে দিয়েছে।
দরজা খুলে ডিকেন ঘরে ঢুকছে। ইরিন এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, খাবার দিয়ে দেই?
ডিকেন বলল, পানি দাও।
ইরিন পানি এনে দিলো।
খাবার দিব টেবিলে?
ডিকেনের মেজাজ গরম হয়ে গেল।
বারবার একটা কথা বলার কি দরকার ইরিন? খেলে বলব, তখন দিও।
আমিও খাই নি।
তুমি খাও।
মা এসেছে। বাবু তার কাছে আছে।
ভালো।
তুমি কোলে নেবে, এনে দিব?
না। আমি একটু বিশ্রাম নিব। বিরক্ত করবে না।
আমি কি সারাক্ষণ বিরক্ত করি।
না, যেটা করো সেটাকে বলে ন্যাকামি।
ডিকেন নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো। বাচ্চা নিয়ে ইরিন আলাদা ঘরে থাকে। ওর সাথে ওর না নয়তো বোন থাকেই। ইরিনের ইচ্ছে এখন ডিকেন ওদের সাথেই ঘুমাক, কিন্তু ডিকেন আসতে চায় না। সকাল সকাল বের হতে হয়, রাতে ঘুম দরকার।
ইরিনের খিদে মরে গেছে, কিন্তু খেতে হবে। বাচ্চাটা ব্রেস্টফিড করে। ওর জন্য হলেও খেতে হবে।
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে নিশ্চয়ই, ইরিনের মাঝে মাঝে মনে হয়, বিয়ের পর পর প্রেগন্যান্ট না হয়ে গেলে হয়তো দুজনের প্রেমটা জমত। দূরত্ব তৈরি হতো না। তাও এমন কি কারো হয় না! বাচ্চা কাচ্চা আল্লাহর রহমত, কত মানুষ চেয়েও পায় না৷ ইরিন না চাইতেই পেয়েছে।
নিজের ভাবনার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় বারবার ইরিন।
ডিকেন তিথিকে কল করছে। গত তিন মাসে কয়েকবার করেছে। তিথি একবারও রিসিভ করে নি। ডিকেনের নিজের দিকটা তো পরিস্কার করতে দিবে, তাও দিলো না মেয়েটা! আজও কেটে দিয়েছে।
হয়তো আবার কেটে দিবে! একজন বলল, তিথির বিয়ে হয়ে গেছে! হোক বিয়ে, দশ বার বিয়ে হলেও ডিকেনের কিছু এসে যায় না, ডিকেন আবার তিথিকে ফোন করবে।
ডিকেনও তো বিবাহিত! মানুষের কি দুই বউ থাকে না!
তিথির সাথে এমন করতে তো চায় নি, বলতে চেয়েছিল সব কিন্তু তিথি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, সেটার ভয়ে বলতে পারে নি! ডিকেন বুঝিয়ে বললে তিথি ঠিকই মেনে নিতো! উপরে শক্ত হলেও তিথির মনটা খুবই নরম আর তিথি ডিকেনকে ভালোবাসত! ভালোবাসত মানে কি, এখনো নিশ্চয়ই বাসে, অভিমানে কাছে আসতে পারছে না।
ডিকেন আবার কল করল, নট রিচাবল বলছে, তিথি নাম্বারটা ব্লক করে দিয়েছে নাকি!!!
চলবে
শানজানা আলম