একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৩৯

0
6044

একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৩৯
#লাবিবা_তানহা_লিজা

?

কখন থেকে দরজা ধাক্কিয়েই যাচ্ছে তানভীর । লাবিবার দরজা খুলার নাম নেই । ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেছে এবার । রেগে গিয়ে তানভীর চেচিয়ে বলে
–দুষ্টু পুতুল এবার যদি তুমি ডোর না ওপেন করো তাহলে কিন্তু তোমাকে রেখেই চলে যাবো আমি । তখন আমি না আসা পর্যন্ত এখানেই থাকতে হবে তোমাকে । কাকা ফোন দিচ্ছে কথা তো বলবে । বের হবে নাকি চলে যাবো ? রাতে যে দরজা লক করেছো বাসর করবেনা বলে আর দরজা খুলো নি তুমি ।
লাবিবা দরজা খুলে চোখ বন্ধ করেই কেদে ওঠে –আমাকে একটু ঘুমোতেও দিলো না ?।
ঢুলে ঢুলে পরে যেতে নিলেই তানভীর ধরে ফেলে । দু বাহুতে বুকে জড়িয়ে নেয় ।
—দুষ্টু পুতুল চোখ খুলো । অনেক ঘুমিয়েছো তুমি । আর ঘুমানো চলবেনা । ধরো ফোন নাও কাকার সাথে কথা বলো । অনেকক্ষন থেকে ফোন দিচ্ছেন উনি ।
—ডায়াল করে দিননা..স্যার ।
তানভীর কল ডায়াল করে লাবিবার কানে ধরে । ইসমাইল রিসিভ করে বলে —আম্মু ঘুম ভাঙলো ?
—আব্বু ঘুম হয়নি আমার । আরো ঘুমাবো ।
–আর ঘুমাবেনা। ফ্রেশ হয়ে ভার্সিটি চলে যাও।তানভীরের সাথে কথা হয়েছে আমার । তুমাকে আর আসতে হবে না বাসায় । হোস্টেলে চলে যাও ।
—ওকে । রাখছি । বাই ।
ফোন কেটে তানভীর পকেটে রাখে । লাবিবা তানভীরের বুকে মাথা রেখে আরামে দাড়িয়ে ঘুমোচ্ছে। তানভীর ঘুমন্ত তেলতেলে মুখের পানে তাকিয়ে । ঘুমন্ত মুখটা সত্যিই সৌন্দর্যের সমাহার । লাবিবার কানে মুখ ঠেকিয়ে বলে
–দুষ্টূ পুতুল ..জানটা আমার..কলিজা পাখি ।
—হুম।।
—রাতে তো বাসর করতে দিলে না আর আমার ইচ্ছাও ছিলো না । তোমাকে আমার গোলাপি শার্ট পড়ে গোলাপি রানী লাগছে । তুমি দেখতে এত্তো হট আমি তো জানতামি না । এখন কিন্তু সত্যি বাসর করতে ইচ্ছা করছে।
বাসরের কথা শুনে লাবিবার ঘুম ফুরুৎ করে উড়ে যায় ।তানভীরকে ছেড়ে দিয়ে রুমের ভিতরে ঢুকে দরজা লক করে দেয় । তানভীর হাসতে হাসতে চলে যায় । ফ্রেশ হয়ে রাতের হুয়াইট থ্রি পিচটি পড়ে বেরিয়ে আসে লাবিবা‌। তানভীরকে কোন রুমে না পেয়ে কিচেনে চলে যায় । দেখে তানভীর এপ্রোন পড়ে ক্যাপসিকাম কাটছে । লাবিবা তারাতাড়ি তানভীরের পাশে এসে দাড়িয়ে বলে –স্যার. আপনি রান্নাও পারেন ? —ইয়েস ডিয়ারর.. আই এম অলসো এ সেইফ। কি খাবে বলো ? জানি ডুডুলস ছাড়া কিছুই বলবে না ।
—হি হি হি ..
—আজ তোমাকে একটা নিউ কিছু খাওয়াবো । যেটা অনেক বছর থেকেই তুমি খেতে চাইছো ।
–কি সেটা ?
—নীল অপরাজিতা চা ।
–রিয়েলি ????
–হুম । এখন হেল্প করো । পেয়াজ মরিচ গুলো কেটে দাও । আমি পেয়াজ কাটতে গেলে অবস্থা খারাপ হয়।
লাবিবা পেয়াজ মরিচ কেটে দেয় । তানভীর নুডুলস পাকিয়ে টেবিলে সার্ভ করে । লাবিবা এসে বসে পড়ে । তানভীরের খাওয়া শেষ হলেও লাবিবার শেষ হয় না ।লাবিবার খাওয়ার মাঝে তানভীর দুটো পেয়ালা-কাপে নীল অপরাজিতার চা রাখে । লাবিবা চামচ মুখে দিয়েই চায়ের দিক তাকিয়ে তানভীর খেয়াল করে । ভীষন কিউট লাগছে দেখতে একদম বাচ্চাদের মতো । তানভীর গালটা একটু টিপে দিতেই লাবিবা চেচিয়ে উঠে —এই মাইনষের জিনিসে হাত দিন কেনো ?ডলফিন স্যার কথাকার । তানভীর ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে –আমি আমার জিনিসেই হাত দিয়েছি ওকে ?নেক্সট টাইম যেনো না শুনি এই কথাটা । লাবিবা ঢুক গিলে বলে –সেইফ স্যার এই চা কিভাবে বানালেন ?
—একদমি সহজ । দশ বারোটা ফুল ধুইয়ে নিবে ভালো করে । পটে ওয়াটার ভয়েল করে নিবে । দেন দুটো এলাচ দিবে পরিমানমতো সুগার দিবে । আর একটু ভয়েল করে ফুলগুলো দিয়ে দিবে । ফুলগুলোর রং ওয়াটারে মিক্স হলে ছাকনি দিয়ে ছেকে নিবে কাপে। দেন লেবুর রস মিশিয়ে নিবে । চা রেড়ি ।
–নেক্সট টাইম বাসায় গিয়ে ট্রাই করবো । এখন খাই।
তানভীর কাপ হাতে নিয়ে লাবিবার হাতে দিয়ে নিজের কাপটা নিয়ে গার্ডেনে চলে আসে । সকালের মিষ্টি রোদে বসে চা খেতে থাকে একজোড়া কপোত -কপোতি।
_____________
ভার্সিটিতে এসেই তানভীর জাহাঙ্গীর স্যারকে বার্থডে উইশ করে । জাহাঙ্গীর স্যার আনন্দে হেসে বলে
— আপনাদের কাছে স্টুডেন্টদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি । ইকোনোমিক্স ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্টরাতো কেক কাটার আয়োজন করেছে। আমার সত্যি খুব ভালো লাগছে স্যার ।
—ওহ গুড । আপনার মতো একজন প্রফেসরকে না ভালোবেসে থাকা যায়না স্যার । লাস্ট টেন ইয়ারস থেকে এই ভার্সিটিতে আছেন । অনেক করেছেন এই ভার্সিটির জন্য । আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা স্যার । আপনার বার্থডে পার্টিতে সবাই জয়েন করবো ইনশাআল্লাহ । অনান্য প্রফেসররাও হা বলে ।
এদিকে রজনীগন্ধ্যা ফুলে ক্লাসরুম সাজাচ্ছে থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্টরা । লাবিবা যতটানা সাজানোতে মন ততোটা টেবিলে রাখা চকলেট কেকটার উপর । এত্তোসুন্দর গোলাপের শেইপে কেক এই প্রথম দেখলো লাবিবা । কেকটা শুধু তাকে টানছে । মনে হচ্ছে কেকটা বাচ্চাদের মতো কান্না করছে আমি লাবুর পেটে যাবো বলে । লাবিবাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে হাত থেকে ফুলগুলো নিয়ে জবা সাজাতে থাকে ।লাবিবা চুপচাপ কেকের সামনে এসে দাড়ায় আর মনে মনে ভাবতে থাকে –এই কেকটা কতোটা ইয়াম্মি হবে ?.এটা কিটকাটের থেকেও ইয়াম্মি ? চকোমোর থেকেও ইয়াম্মি ? কেডবেরি ডেইরি মিল্কের মতো ? কেমন লাগবে ? এইটাতো আমার খেতেই হবে । নয়তো আমার রাতের ঘুম হারাম হবে । কিন্তু এটাতো স্টুডেন্ট দেরকে দিবে না । কাটার পর অফিসে নিয়ে চলে যাবে স্টাফদের জন্য । কি করি কি করি …??
সাজানো শেষ হলে স্যার দের ডেকে আনার জন্য স্টুডেন্টরা চলে যায় । কয়েকজন মেয়েও আছে । লাবিবা কিছু না ভেবেই বলে উঠে –এই শোন তোরা মেডামরা নাকি আসছেনা । ক্লাস আছে বলছে । এতোবড় আয়োজন করলাম আমরা আর সব প্রফেসররা না থাকলে কি চলে ?
সবাই–তাইতো । ক্লাস বাদ আগে পার্টি । চলতো মেডামদের ডেকে আনি ।
হুযুকে সবাই চলে যায় মেডামকে ডাকতে । থেকে যায় লাবিবা । শয়তানি হাসি হেসে শক্ত একটা বোড পেপারে অর্ধেক কেক নাইফ দিয়ে কেটে নিয়ে খেতে থাকে । দরজা খুলা কেউ যদি দেখে ফেলে সেটা ভেবেই টেবিলের নিচে চলে যায় । ফ্লোরে বসে পা মেলিয়ে চুটকে চুটকে খেতে থাকে । আহহ এইটা কোন ব্যাকারি থেকে এনেছে আজি খোজ নিতে হবে । এত্তো ইয়াম্মি চকলেট আজ ফাস্ট খাচ্ছি । এতো মজা কেনো চকলেটটা…সারাজীবন খেয়ে কাটিয়ে দিতে চাই । আর কিছুই লাগবেনা । স্টুডেন্টদের গলা শুনে ভয় পেয়ে যায় লাবিবা । চলে আসছে ওরা । এদিকে কেক এখনো শেষ হয়নি । উপায় না পেয়ে বেঞ্চির নিচ দিয়ে বসে বসে হামাগুড়ি দিয়ে পেছন দরজা দিয়ে বেড়িয়ে সেমিনারে চলে আসে । বুকে হাত রেখে বলে –ও আমার আল্লাহ ফাইনালি বাচলাম । এখন বাবা চকোলেট টুপ করে আমার মুখে ঢুকে পড়োতো ।

স্টুডেন্ট স্যাররা সবাই রুমে এসে দেখে কেকের এই অবস্থা। অর্ধেক কেক কে খেলো কে খেলো বলে শোরগোল পড়ে যায় । জাহাঙ্গীর স্যারের মন খারাপ হয়ে যায় । এতো সুন্দর করে আয়োজন করলো অথচ কেকটাই কেউ নষ্ট করে হাফ খেয়ে নিলো । এখানে ওখানে চুর খুজে বেড়াচ্ছে সবাই । এরকম কাজ কোন লুফার শয়তান করেছে বলে ছেলেরা গালাগালি করতে লাগলো । এদিকে ওদিকে খুজতে লাগলো সবাই মিলে । টেবিলের নিচে উকি দিতেই একটা স্কার্ফ দেখতে পায় তানভীর । হাতে নিয়ে আরো অবাক । এটাতো লাবিবার স্কার্ফ । ওর সাইড ব্যাগে স্টাইলের জন্য বাধা থাকে । স্কার্ফটাতে চকলেট লাগানো । তারাতারি পকেটে পুরে নেয় স্কার্ফটা। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে লাবিবা নেই । একটা হা নিশ্বাস ফেলে । দুষ্টু পুতুল আজীবন এরকম দুষ্টুমী করেই যাবে এইটা আবারো প্রমান পেলো তানভীর । জাহাঙ্গীর স্যারের মন খারাপ দেখে বলে –হে এভরিওয়ান ..এটা তেমন কোনো ব্যপার না । আশেপাশের অনেক বেবিরা ভার্সিটিতে ঘুরাফেরা করে । তাদের মধ্যে হয়তো কেউ খেয়েনিয়েছে । মিলন তুমি এক কাজ করো । এখনি একটা কেক নিয়ে আসো বড় দেখে । টাকা নিয়ে যাও । মিলন টাকা নিয়ে কেক আনতে চলে যায় । এতোক্ষনে শোরগোল কমে । কেক আনার পর জাহাঙ্গীর স্যারের মুখে হাসি ফুটে । সবাই মিলে কেক কাটা হয় । অনেক হৈ হুল্লোর করা হয় । এবার আসে গানের পালা । স্যাররা বসে স্টুডেন্টদের গান শুনছে । এখনো লাবিবা নেই এখানে । তানভীর একটু আসছি বলে উঠে চলে আসে । ক্লাস রুম গুলোতে উকি দিয়ে দেখে লাবিবা নেই । খুজতে খুজতে সেমিনারে এসে দেখে বেঞ্চির উপর বসে পা দুলিয়ে দুলিয়ে আঙ্গুল মুখে দিয়ে বসে আছে লাবিবা । দরজা বন্ধের শব্দে চমকে উঠে লাবিবা । তানভীর দরজা বন্ধ করেই পকেট থেকে স্কার্ফটা বের করে বলে –হুয়াট ইজ দিজ ?এরোকম কাজ কি করে করতে পারো তুমি ?
লাবিবা একলাফে নেমে কান ধরে উঠবস করতে থাকে ।—স্যার মাফ করে দিন স্যার । আর খাবো না স্যার । অনেক মজার ছিলো স্যার । আর চুরি করে খাবো না স্যার । এবার থেকে কিনে খাবো স্যার ।
–সেট আপ ? তোমাকে আমি ….
তানভীর এগিয়ে যেতেই পিছিয়ে যায় লাবিবা । ওয়ালের সাথে লেগে আর সরতে পারে না । সাইড দিয়ে দৌড় দিবে তখনি ওয়ালের সাথে জোরে আটকে ধরে তানভীর । হাত দুটো ওয়ালের সাথে চেপে ধরে । একদম লাবিবার মুখোমুখি সামনে চলে আসে । লাবিবা ভয়ে চোখ গুলো বন্ধ করে নেয় । ঠোট ভাঙ্গিয়ে কাদো কাদো ভাব চলে আসে । এরোকম এতো কাছে ফেইস দেখে তানভীরের নেশা লেগে যায়।
ঠোটের পাশে এখনো চকোলেট লেগে আছে । ঠোট দুটিও চকলেটের মতো লাগছে । একটু ভেজা হলে মনে হয় পাগল হয়ে যেতো । তানভীর একটু একটু করে এগিয়ে ঠোটের পাশে লেগে থাকা চকলেটে লিক করতেই লাবিবা চিৎকার দিতে নিলে তানভীর ঠোটে ঠোট বসিয়ে দেয় । লাবিবা চোখ খুলে বড় বড় করে ফেলে চোখ দুটো । তানভীর লাবিবাকে আরো জোরে চেপে ধরে নেশাক্ত ভাবে চকলেটি ঠোট শুষে নিতে থাকে। পাচ মিনিট পর ছেড়ে দিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে । লাবিবা দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে বড় বড় চোখে তানভীরের দিক তাকিয়ে নিশ্বাস নিতে থাকে । হটাৎ এটা কি হলো দুজনের কেউ বুঝতেই পারছেনা । শাস্তি দিতে গিয়ে কিস?। তানভীর লাবিবার ঠোটে টুপ করে আরেকবার একটা চুমু খেয়ে বলে –চকলেট পাগলী টা আমার । লাবিবা সাথে সাথে দু হাতে ঠোট ঢেকে নেয় । তানভীর মুচকি হেসে দরজা খুলে চলে যায় ।

দুদিন আর তানভীরের সামনে যায়নি লাবিবা । তানভীর আড়াল থেকে ঠিকি দেখেছে লাবিবাকে । ক্লাস শেষে শারমিনকে নিয়ে ঝাল মুরি খেতে এসেছে লাবিবা । ঝালমুরি তো খেতে আসেনি..ঝালমুরি মামার মাথা খেতে এসেছে । ঝালমুরি মামাকে এইটা ওইটা তুলে দিচ্ছে আর বলছে –মামা লেবু দেন লেবু..বেশি বেশি বুট দেন ..চানাচুর দুই মোঠ দেন এক মুঠ দিলে ভালো লাগে না …মামা টমেটো দিবেন না টমেটো দিলে টমেটো টমেটো গন্ধ করে পচা গন্ধ…মামা শশা ছাল ছাড়া কুচি কুচি করেন..শশার বিচি গুলো ছাড়িয়ে তারপর দেন..মামা লবন কম দিবেন..মামা মসলা দিবেন নিচ থেকে উপরের তেল দিবেন না..মামা..
ঝালমুড়ি মামা কেদেই দিবে এবার ভাব নিয়ে বলে –আম্মাজান আপনি কত টাকার ঝালমুড়ি খাইবেন ??এতো স্পেশাল ভাবে বানাইতে বলতেছেন । আর কতো কইবেন..
—মামা এইটা আপনি কি বললেন?? তিনদিন পর ঝালমুড়ি খাইতে আসছি দেখে পর হয়ে গেছি? ভুলেই গেছেন আপনি আমি কতো স্পেশাল ঝালমুড়ি খাই ?এই দেখেন এক হাজার টাকার নোট । তাড়াতাড়ি দশ টাকার ঝালমুড়ি দেন ।
–আমার কাছে এতো টাকা ভাংতি নাই আম্মাজান আগে ভাঙ্গিয়ে আনেন তারপর আমি ঝালমুড়ি বানামু ।
–কি বললা মামা ??এখনো তুমি বানামুতেই আছো ?আমার সাথে এইরকম করতে পারলা তুমি ?
–ভাঙতি আনেন নয়তো দিমু না । আপনি কয়েকদিন পর পর ই একহাজার টাকা নিয়ে দশটাকার ঝালমুডি খাইতে আসি বিপদে ফালান আমাক ।
–মামা…????
মামা ভাংতি আমি দিচ্ছি আপনি ঝালমুডি বানান ।
–আচ্ছা স্যার ।
তানভীরকে দেখে লাবিবার ঠোটে হাসি ফুটে । ঝালমুড়ি খেতে খেতে হাটতে নিলে শারমিনকে ওর এক কাজিন ডাকলে চলে যায় । তানভীর গাড়ি নিয়ে এসে বলে– উঠো পৌছে দিচ্ছি। লাবিবা উঠে বসে। হোস্টেলের কিছুটা সামনে নামিয়ে দেয় । লাবিবা নেমে গেইট পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে আসে । তানভীর জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে বলে – কি ফিরে আসলে যে কিছু বলবে ?
লাবিবা এদিক ওদিক তাকিয়ে আচমকা শব্দ করে তানভীরের ঠোটে একটা চুমু খেয়ে দৌড়ে চলে যেতে যেতে বলে —চকলেট টা অপূর্ব লাগছিলো..খুব টানছিলো।
ঘটনাটি বুঝতে দুই মিনিট লাগে তানভীরের। অবাক চোখে ঠোটে হাত রেখে লাবিবার চলে যাওয়া দেখতে থাকে ।

To be continue_____

®লাবিবা____?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here