একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৪৫

0
5818

একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৪৫
#লাবিবা_তানহা_লিজা

?

হটাৎ করেই সাবিনা ফোন করে বাসায় যেতে বলে লাবিবাকে । আর মাত্র একটা পরিক্ষা আছে তার পর তো বাসাতেই চলে যাবে হুট হাট এতো আর্জেন্ট বলার কারনটা কি ? ব্যাগ গুছিয়ে রাখতেই আবার ফোন । কানে ধরেই রাগের সাথে বলে –ব্যপার টা কি আম্মুনি? শেষ পরিক্ষাটাও ভালোভাবে দিতে দিবে না তাইতো ? এইবার ইমপ্রোভ খাইলে তোমার দোষ।
–আরে কাল সকালেই তো চলে যাবি এতো চেতাচেতি করিস কেনো ?
–তাহলে আমি এতো বড় ব্যাগ কেনো গোছালাম?
–গুছিয়েছিস যখন নিয়ে আয় । তিন দিন পর তো চলেই আসবি । তখন আর কষ্ট করে বেশি ব্যাগ আনতে হবেনা ।
–অকা বাই । কামিং সুন ।
বাসায় ঢুকতেই বড় সড় একটা সক খায় । অনেক মানুষে বাসা ভরপুর। বিনা মুক্তাও চলে এসেছে । লাবিবা এগিয়ে গিয়ে নাবিন জেমি দুই ভাইবোনকে চকলেট দেয় । মুক্তা মুখে মিস্টি পুরে দিয়ে এগিয়ে এসে লাবিবার মাথায় গাট্টা মেরে বলে –কবে যে বড় হলি বুঝতেই পারলাম না । এখন আর এখানে এসে তোকে পাবো না বড্ড মিস করবো রে।
–কেনো ? একথা কেনো ? আজ কি আমার বিয়ে নাকি যে চলে যাবো আর পাবে না ।
–নাতো আজ তোর পাকা দেখা । পরিক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই তোর বিয়ে ।
বিনা এসেই লাবিবাকে টেনে রুমে নিয়ে যায় । সামনে একটার পর আরেকটা শাড়ি ধরে দেখতে থাকে কোনটাতে ভালো লাগে ।ফাইনালি শাড়ি চুজ হলে পড়াতে থাকে । লাবিবা কুচি ধরে বলে –আপু আমাকে তো সবাই আগে দেখেছেই । আবার কেনো দেখতে হবে ? আমি করবোনা বিয়ে এখনি । বড় হয়ে করবো ।
–তোর বিয়ে তো হয়ে গিয়েছে সেই ছোটবেলায় । এখন শুধু অনুষ্টান করে তুলে দেওয়া ।
— ও আমার আল্লাহ সবাই এক কথাই কেনো বলে ? আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে অথচ আমিই জানলাম না ।
শাড়ি পড়িয়ে সাজাতে বসে । এরি মধ্যে খবর আসে মন্ত্রীসাহেবরা চলে আসছে । বিনা এবার তাড়াতাড়ি সাজানো শুরু করে । এদিকে লাবিবার কান্না আসছে । বিয়ে করবেনা এখুনি । সবাইকে জানাতেই হবে ও এখন বিয়ে করবেনা । সাজানো শেষে বিনা ছোট্ট করে কপালে চুমু দেয় । –মাশাআল্লাহ। অনেক সুন্দর লাগছে । এবার তুইও আমার মতো পরের বাড়ির বউ হয়ে যাবি । দু বোন একসাথে বেড়াতে আসবো ।
বিনা চলে যায় । লাবিবা কোন কথা বলে না । এদিকে ডিজাইনার শাড়ি পড়ানো হয়েছে উল্টো ভাবে । সামলাতেও এক পালা গান । আয়নার সামনে হেটে হেটে দেখছে হাটতে পারে নাকি । এইসব ভেজাল কেন্ডি শাড়ি একটুও পড়বেনা বিয়ের পর । মানুষ কিভাবে যে সাপের মতো পেচিয়ে পড়ে থাকে ভাবাগো ভাবা ভাবা যায় এগ্লা?
খান বাড়ির সকলেই এসেছে । সাথে অনেক গুলো গিফ্টের প্যাকেট । মন্ত্রী সাহেবের আপ্পায়নে ত্রুটি রাখেনি ইসমাইল । একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা যা আছে সব তো মেয়ের ই । সবাই বসে গল্প করছে ইসমাইল মুক্তা বিনার সাথে । সাবিনা সখিনা রান্নাঘরে ব্যস্ত। জেমিকে কোলে বসিয়ে আদর করছে মমতা । তানিয়া সেলফি নেওয়াতে ব্যস্ত। ফিরোজ এবার বললো –ইসমাইল এবার আমার ঘরের লক্ষীকে একবার ডাকো । সেই কবে দেখেছিলাম ভুলেই গেছি প্রায় । ইসমাইল লাবিবাকে আনতে বলে বিনাকে । সামনে টি টেবিলে নাস্তাও এসে গেছে । হরেক রকম পিঠা , পায়েস, চাইনিজ আইটেম , জুস,ফ্রুটস, চিপস আরো অনেক কিছু । সবাই একটু একটু করে খাওয়া শুরু করে দিয়েছে । লাবিবাকে নিয়ে বিনা ড্রয়িংরুমে আসতেই তানিয়া চিৎকার উঠে ” ওয়াও মাই ভাবি ইজ সো সো সো সো মাচ বিউটিফুল। উম্মাহহহহ…?”।
তানিয়ার পাগলামি দেখে হেসে ফেলে লাবিবা। সেই হাসিতে সদ্য দরজায় পা রাখা দইয়ের হাড়ি নিয়ে আসা তানভীরের হাত থেকে হাড়ি পড়ে যায় । হাড়ির দিকে খেয়াল নেই তার খেয়াল লাবিবার হাসির দিকে হা করে তাকিয়ে । এই দৃশ্য দেখে সবাই শব্দ করে হেসে ফেলে । বেচারা তানভীর লজ্জা পেয়ে যায় । কিন্তু মেয়ে হয়ে লাবিবার লজ্জার কোন খবর ই নেই । একদৌড়ে তানভীরের কাছে গিয়ে হাত ধরে টেনে তানভীরকে সরিয়ে দাড় করিয়ে বসে পড়ে উবু হয়ে ।
— এ মা ছি ছি পায়ে তো দই পড়ে জুতো নষ্ট হয়ে গেলো । জেমি একটু পানি আন না ..আচ্ছা পানি আনতে হবে না । স্যার আপনি জুতো খুলুন এমনিতেই খুলতেই হবে এখন । তানভীর জুতো খুলে দিতেই লাবিবা জুতো নিয়ে বাথরুমে চলে যায় । ময়নার মা দরজা পরিষ্কার করে ফেলে । তানভীর ভিতরে ঢুকতেই আবার সবাই এক বার হেসে নেয় । তানভীর নিজেও মুখ টিপে হাসছে । লাবিবা জুতো এনে বাইরে রেখে আসে । লাবিবাকে ইশারায় ডেকে ফিরোজ বলে –এবার আমার কাছে এসে বসতো মা । তোর মতো লক্ষী পেয়ে আমি ধন্য মা । আমার তানভীরকে নিয়ে সোহানার আর কোন চিন্তায় থাকলো না কি বলো সোহানা ?
সোহানা উঠে এসে লাবিবার হাতে নিজের হাতের বালা পড়িয়ে দিতে দিতে বলে –সে আর বলতে..আমার ছেলের খেয়াল রাখতে পারবে জন্যই তো আমি আগেই ছেলে বউ হিসেবে মেনে নিয়েছি । ফিরোজের পাশে বসিয়ে ফিরোজ অনেক কথা বলে লাবিবার সাথে । কথার মাঝে যখন ফিরোজ বলে –পাচ ছয়দিন পর আমার বাড়িতে চলে আসবে তুমি । আমার মা যাবে আমার বাসায় । এদিক ওদিক তাকিয়ে লাবিবা বলে –আমি এখনি বিয়ে করবোনা । অনার্সটা শেষ হোক প্লিজ ।
তানভীর বা ইসমাইলকে বলতো কথাটা মেনে নেওয়া যেতো যে ছেলেমানুষী করছে । কিন্তু ফিরোজের সামনে বলবে এটা কেমন বেয়াদবি ! সবাই কে কি এক মনে করে নাকি ? ফিরোজ সহ সবাই অবাক হয় এই মুহুর্তে এমন ধাচের কথায় । ইসমাইল সাবিনা তানভীর রাগে লাল হয়ে গেছে । তানভীর উঠে দাড়িয়ে বলে –সমস্যা কি ?
— আর একটু বড় হই তারপর ।
–তুমি বড় হতে হতে যে আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি সেই খেয়াল আছে ? দাদার বয়সে বাবা হবো আমি ?
–আমি সেইটা বলিনি । আসলে …
— আসলে কি ? ফাজলামি পেয়েছো ? ওকে বাস তোমাকে বিয়ে করতে হবে না । আমি অন্যকাউকে বিয়ে করে নিচ্ছি । তুমি এক বছর পর একটা ভালো ছেলে দেখে বিয়ে করে নিও । না পারলে আমাকে বলো আমি খুজে দিবো ।
টেবিলে লাথি দিয়ে বেড়িয়ে যায় তানভীর । লাবিবা কান্না শুরু করে দেয় । ফিরোজ লাবিবাকে শান্তনা দিয়ে বলে –আহা আমার মা টা কাদে না । তুমিতো মজা করছো আমরা জানি কিন্তু ছেলেটা মজা না বুঝে চলে গেলো । কথায় কথায় রাগ করে জানোইতো কতো জিদ ওর । বিয়ে পচিশ তারিখেই হবে ।
লাবিবা কেদেই চলেছে । তার কান্নার কারন হলো অন্যকাউকে কেনো বিয়ে করতে চাইবে ..।
________________
পরিক্ষা শেষ আজ । মুক্ত হাওয়া খেতে খেতে হোস্টেলে গিয়েই মনটা খারাপ হয়ে যায় লাবিবার । হোস্টেলের একটা কাজে স্বয়ং প্রিন্সিপাল এসেছে । অফিস রুমে দাড়িয়ে মেডামের সাথে কথা বলছে । লাবিবা গিয়ে সাথেই দাড়িয়ে ছিলো কিন্তু লাবিবাকে কিছু না বলেই তানভীর চলে যায় ।রাতে ডিনারের পর উশখুশ করতে থাকে লাবিবা । সত্যিই কি তাহলে ভুল বুঝলো তানভীর ? বিয়ে করবেনা আর তাকে ? বাড়িতে তো আয়োজন ঠিক ই করা হচ্ছে । এবার যদি বলে দেয় সে অন্য আরেকজন কে বিয়ে করবে রাগ করে ? তখন কি হপ্পে?? বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে । রাত এগারোটার দিকে এক সপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায় । সপ্নটা অনেকদিন থেকেই দেখে । তানভীরকে সাথে নিয়ে সপ্নটা পূরন করতে চায় । তার জন্য ই হয়তো সপ্ন গুলো পূরন করতে তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চাইছে তানভীর । জানালার গ্রীল ধরে চুপ চাপ নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে । হটাৎ ই এক বুদ্ধি আসে মাথায় । শারমিনকে মেসেজ দিতেই শারমিন চলে আসে । শারমিনকে কিছু না বলার সুযোগ দিয়েই হাত ধরে টেনে নিচে নামায় । বাম দিকের নিচু দেয়ালের দিকে যেখানে বসার বেঞ্চি রয়েছে সেই দিকে যায় । শারমিন অবাক হয়ে বলে –এতো রাতে এখানে কেনো নিয়ে এলি কুত্তি ? ময়নুল মামা দেখলে চুর বলে আচ্ছা পেটানি দিবে ।
–চল বাইরে যাবো দোস্ত।
–মানে কি ?
— কাল চলে গেলে আবার দুই তিন মাস পর আসা হবে । চিন্তা করে দেখ একবার ..জীবনে আর কি আছে যদি ইনজয় না করতে পারিস । এখন এই দেয়াল টপকাবো আর সারারাত বাইরে ঘুরে বেড়াবো ।
–পাগল নাকি আমি যাবো না ।
–তুই না গেলেও আমি যাবো । দেয়াল টপকানো দেখেছিস কখনো?
–না দেখিনি ।
–দেখ তাহলে এইভাবে দেয়াল টপকাতে হয় । বলেই লাবিবা বেঞ্চিতে উঠে দেয়ালে পা দিয়ে দেয় এক লাফ । শারমিন চেচিয়ে উঠে দুই হাতে মুখ চেপে ধরে ।
–দোস্ত কই যাবি তুই একা একা ? বিপদ হবে তো ।
–রাস্তায় পার্টি করবো । একা । ভিতরটা সামলে নিস। বাই বাই ।
লাবিবা রাস্তায় চলে যায় । এদিকে শারমিনের কান্না চলে আসে টেনশনে টেনশনে ।

রাস্তার একপাশ ধরে হাটছে লাবিবা । একা সব শুনশান ঠান্ডা বাতাশ সব মিলে রোমাঞ্চকর পরিবেশ । ইশ যদি এখানো কোন গাছে জিন থাকতো একটু দেখতে পারতাম । লোকজনের জালায় ভুত গুলো কোথায় যে চলে গেছে আহারে ..। সামনে কোন জানি পুজো আছে । এই এলাকায় হিন্দু বেশি তাই চারিদিক লাইটিং করা । উফফ আলো ফুল.. জাস্ট অস্থির কিন্তু ব্লাক রোজের থেকে নয় । সামনে একটা ছায়া দেখতে পায় । না দাড়িয়ে হাটতে থাকে । সাথে ছায়াটাও । লাবিবা গলা বাড়িয়ে বলে –জানিতো একটা ডলফিনের মতো লোক আমাকে একা একা হাটতেও দিবে না । নিশ্চয় আমার দোস্তের ফোন পেয়ে আমার পিছু পিছু হাটছে ।
— পাগলের ডাক্তার কখনো পাগলকে পাগলামী করতে সাহায্য করে না । বরং পাগলামী কমাতে সাহায্য করে ।
–আমার অসস্তি হচ্ছে । পাশে দেখতে চাই ।
–পাশেই তো হাটতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেটা এখন ।
–খবরদার অন্যকারো কথা বলবেন না ।
তিন পা পিছিয়ে এসে হাটতে লাগলো ।
এখন দুজন একসাথে পা ফেলছে । লাবিবা চাদরটা ভালো করে জড়িয়ে নিয়ে বলে
— অনেক বছর থেকে একটা সপ্ন দেখি জানেন …..
একটা ফেয়ারি আর একটা ডেভিল । ফেয়ারিটা এরকম আলো ফুলের নিচে মুগ্ধতা ছড়িয়ে বেড়ায় একা একা । একদিন সে একটা ডেভিলের দেখা পায় । ডেভিল টা ফেয়ারি কে আর কখনো একা একা মুগ্ধতা ছড়িয়ে বেড়াতে দেয় না । সেই মুগ্ধতা মুঠি করে নিয়ে নিজের মাঝে নিয়ে নেয় আর পাশাপাশি সব সময় থাকে ।
–তার জন্য বুঝি আমাকে নিয়ে এসেছো এই রকম টেকনিক করে ।
–আপনি কি ডেভিল নাকি ? অন্যকাউকে না বিয়ে করবেন ?
তানভীর পকেট থেকে হাত বের করে একটানে পাজা কোলে তুলে নিয়ে হাটতে থাকে । লাবিবা দু হাতে গলা জড়িয়ে ধরে । কলেজ পুকুরের সিড়িতে এসে নামায় । পানিতে পা ঝুলিয়ে বসে লাবিবা । তানভীর লাবিবার গা ঘেসে সিড়িতে বসে । পানিতে পা দিতেই আবার তুলে ফেলে ।
–এতো ঠান্ডা পানিতে কিভাবে পা ভিজিয়ে আছো বলোতো ?
–যাতে আপনিও পা রাখেন । আর এই ঠান্ডা পা দিয়ে শিরশির করে আপনার মাথায় উঠে আপনার রাগের আগুনের তাপ কমিয়ে দিবে ।
পা ধরে পানি থেকে তুলে নিজের দু পায়ের মাঝে নিয়ে নেয় । সিড়ি থেকে তুলে নিজের কোলে বসিয়ে দেয় । ঘাড় থেকে চুল সরিয়ে থুতনি রাখে ।
–এবার চটপট করে বলোতো কি হয়েছে ?
লাবিবা চুপ ।
–দুষ্টু পুতুল বলো কি হয়েছে ? বড় হয়ে নি মানে কি ? তুমি যথেষ্ট বড় হয়েছো ।
লাবিবা চুপ ।
তানভীর উত্তর না পেয়ে শারমিনকে কল দেয় । শারমিন কল রিসিভ করেই বলে — স্যার পেয়েছেন এলিজাকে ?
— হা পেয়েছি ।এবার বলোতো লাবিবা কেনো বিয়ে করতে চাইছেনা এখন ?
— বিয়ে কেনো করতে চাইবেনা ? ওই তো বিয়ে করার জন্য লাফাতো । আমাকে কত কি জিজ্জাসা করে জেনে নিতো আর এখন বলছে বিয়ে করবে না ।
— বাই এনি চান্স শারমিন তুমি কোন ভয় টয় দেখাওনিতো ?
শুনেই শারমিন বিষম খায়। কাশতে কাশতে কথাই বলতে পারে না ।
— শারমিন পানি খাও রাখছি । কেসটা কি আর অজানা নয় আমার ।
লাবিবার দিকে তাকিয়ে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে । ঘুরিয়ে বসিয়ে বুকের সাথে পিঠ লাগিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ।
— দুষ্টু পুতুল ..
— হুম ।
— দেখো ঐ চাদ তোমার আমার আর তুমি আমার । অনেক ভালুপাসি ।
— সত্যি ?
— হাজার বার । আর আমাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই । পৃথিবীতে তোমার সবথেকে আপন বাবা মা । তারপর হাজবেন্ড। বিয়েটা হক দেখবে কোন ভয় থাকবেনা । আমার ভালোবাসায় মুড়িয়ে রাখবো তোমায় কখনো আঘাত দিবো না । প্রমিজ ।
–একটা জিনিস চাইবো দিবেন ?
— আমার সব তোমার ।
–#একগুচ্ছ_কালো_গোলাপে আমার দুহাত ভরিয়ে দিবেন ?
— উহু কালো গোলাপে তুমাকে পুরোটাই ভরিয়ে দিবো আমি । ঢুবে থাকবে তুমি ।
— আপনাকে সাথে নিয়ে ঢুবতে চাই । এক হয়ে ঢুবতেই চাই ।
— হা হা হা তুমি কি ভেবেছো আমি ছাড়াই তোমাকে ঢুবতে দিবো ? আলাদা হওয়ার কথাও ভেবো না।
লজ্জায় চোখ দুটো বন্ধ করে নেয় লাবিবা । বুকের মাঝে মিশিয়ে নিয়ে পুকুরের জলে ঢেউ খেলানো চাদে চোখ রাখে তানভীর ।

To be continue___

®লাবিবা ___?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here