একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৭

0
6653

একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৭
#লাবিবা_তানহা_লিজা

?
সব সকালের মতো আরেকটা সকাল । ভোরে একটা সপ্ন দেখেই লাবিবার ঘুম ভেঙে যায় । সপ্নে –
লাবিবা fairy’s country r অনেক সুন্দর একটা garden এ বসে আছে । একটা black gown পরে black fairy হয়ে । উপর থেকে অজস্র black rose বর্ষন হচ্ছে তার উপর । সে rose গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেলছে ।
ঘুম ভেঙে যায় লাবিবার । আযানের আওয়াজ কানে আসছে । চোখ বন্ধ করে শুয়ে শুয়ে সেই সপ্নটাই কল্পনা করতে থাকে । আলসেমি ভেঙে উঠে ফ্রেস হয়ে ওযু করে নামাযে বসে পড়ে । নামায শেষে দু হাত তুলে দোয়া করে – ও আমার আল্লাহ । আমার সপ্ন তুমি সত্যি করে দাও । আমাকে fairy বানিয়ে দাও । আর সব black rose গুলো আমার করে দাও । আমিন ।
সাবিনা এতো সকালে মেয়েকে দেখে অবাক। রুমে এসে জিজ্জাসা করে – এটা কি তুই ? নাকি অন্যকেউ ?
লাবিবা কথা না বলে মিটি মিটি হাসে । সাবিনা মতি গতি কিছুই বুঝতে পারে না । জিজ্জাসা করে
– চা খাবি ? ঘুম হয়নি চোখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
– beef tea বানাতে পারো তো ? না পারলে chicken tea করে দাও।
– চুপ থাক । নোটন আলাল পেয়েছিস তো আমাকে । দুধ চা তোর favourite । আয় ।
– আমি কবে বললাম আমার দুধ চা my favourite ? আমার তো Milk tea favourite.
– ওরে আসছে আমার ইংরেজির জাহাজ । একি কথা ।
– যাও তো । তুমি বেশি শিক্ষিত। নানু যে কেন পড়ালো তুমায়….
চা হাতে বারান্দায় এসে দাড়ায় । সামনে বড় indian red rose আর white rose ফুটে আছে । এগুলো খুব যত্ম করে লাবিবা । খুবই প্রিয় । কিন্তু মনটা black rose black rose করে প্রচুর । চা শেষ করে এসে একটু পড়তে বসে । পড়া শেষে খেয়ে রেড়ি হয়ে বেড়িয়ে পরে । মোরে এসে দাড়িয়ে থাকে নুপুরের জন্য। ফোন করে বলে দিয়েছিল যেন দাড়ায় । ঘড়িতে বার বার সময় দেখছে লাবিবা দেড়ি হয়ে যাচ্ছে । নুপুর কে চোখে পড়তেই
লাবিবা- দোস্ত……..?নুপুর – জানু..?
দৌড়ে হাগ । খুশিতে গদগদ করতে করতে লাবিবা
– দোস্ত খুশির খবর । শুনে কি দিবি বল ।
– আগে তো বল।
– হামারা privet teacher মিল গায়া ।
– really ? কই কই?
– তানিয়ার ভাই । ডলফিন দ্যা তানভীর খাননন।
– এমপির ছেলে ? তো আমাদের পড়াবে কেন ?
– আব্বু বলছে তাই ।
– উমমমমমমাহহহহ..? তোর gift.
– উম্মাহহহহ? তোর gift. চল।
স্কুলে এসে দেখে assembly start হয়ে গেছে । কোন মতে পা টিপে টিপে লাইনের পেছনে এসে ব্যাগ কাধ থেকে মাঠে ঘাসের উপর ফেলে দাড়িয়ে পড়ে । মুক্তা আর শহীদ স্যারের চোখে ঠিক ই পড়ে । মুক্তা রাগে কটমট করে । এ যে কেন এতো লেট করে বুঝেনা কিছুতেই । সাবিনা তো ঠিক টাইমের আগেই পাঠিয়ে দেয় । তাহলে এতো লেট করে কেন? আজ আচ্ছা বকা দিবে ঠিক করে । জাতীয় সংগীত আরম্ভ হলে মুক্তা আস্তে আস্তে লাইনের পেছনে এসে দাড়ায় । সাথে সাথে কান ঝালাপালা । সবাই জাতীয় সংগীত গাইছে আর তার দুষ্টুমির নানী একমাত্র শালী আর তার পরানের বান্ধুপী আধুনিক গান গাইছে – ও মুইনের মাও তুমার মুইন কথা শুনে না ..দিনে রাইতে কল দিলে রিসিভ করে না .. ও মুইনের মাও তুমি মুইনেরে বোঝাও না ..
মুক্তা – লাবিবা ..???
লাবিবা – distrub নষ্ট করিসনাতো । জাতীয় সংগীত গাইতে দে ।
মুক্তা – মুইনের মাও তোদের জাতীয় সংগীত ?
পিছনে ঘুরে দেখে মুক্তা রেগে মেগে দাড়িয়ে । ভয়ে দুজনেই সামনের দিকে তাকিয়ে চিল্লিয়ে – আমার সোনার বাংলা .. আমি তোমায় ভালুপাসি .(2)?

স্কুল ছুটির পর তানিয়া দৌড়ে এসে – লাবিপু তুমি নাকি ভাইয়ার কাছে পড়বে ? ভাইয়া খুব সুন্দর করে পড়ায় । একেবারে মুখস্ত করিয়ে দেয় । চলো আমার সাথে ।
নুপুর – না আগে আমরা বাসায় যাবো । fresh হয়ে eating করে তারপর যাবো ।
লাবিবা – তুমি যাও । আমরা পরে যাবো ।
তানিয়া চলে যায় । লাবিবা বাসায় এসে গোছল করে খেয়ে নেয় । blue colour একটা gown পড়ে দু পাশে দুটো ঝুটি করে সামনে এনে ফেলে রাখে । কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেড়িয়ে পড়ে । মোরে এসে দাড়াতেই নুপুরকে দেখতে পায় । সেও লাবিবার মতো blue gown আর ঝুটি করে আসছে । নুপুর এসেই হনহনিয়ে হাটা দেয় । লাবিবা – কি হয়েছে ? আমার জানটার mood off why ?
নুপুর – আসতেই মুইনের সাথে দেখা হয়েছিল ।
লাবিবা – বালডা হুদ্দাই ঘুরে । uncle রে বলছস ?
নুপুর – মাইরা ফেলবো শুনলে । দরকার নাই বলার । চল ।
নুপুর আর লাবিবা গেইট দিয়ে ঢুকে। নুপুর তো অবাক ..কি সুন্দর garden . এখানে প্রতিদিন আসবে ভেবে খুশিতে বাকবাকুম । বাসার ভিতর ডুকতে যাবে তখন দেখে লাবিবা পেছনে নেই । খুজতে গিয়ে দেখে black rose tree টার সামনে লাবিবা দাড়িয়ে আছে । কিন্তু মাথা উচু করে উপরের দিক তাকিয়ে আছে । নুপুরো উপরে তাকায় । সাথে সাথে মুখ হা হয়ে যায় । একবার নিচে তো একবার উপরে তাকাতে থাকে । লাবিবা গেইট দিয়ে ঢুকেই দৌড়ে সেই rose tree এর সামনে গিয়ে দাড়ায় । আজ একটা নিবেই ভেবে এদিক ওদিক তাকাতে থাকে কাঠি পাওয়ার জন্য । হটাৎ উপরে চোখ পড়াতে দেখে তানভীর ছাদে হাতের উপর হাত ভাজ করে লাবিবার দিকে তাকিয়ে আছে । ভয়ে ঢুক গিলে লাবিবা । তানভীরের দিকে তাকিয়ে চোখ পিট পিট করে । নুপুর বুঝতে পেরে লাবিবাকে টেনে নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে । কিন্তু লাবিবার মনে ভয় ঢুকে যায় । ডলফিন তো দেখে ফেললো ..এবার যদি পড়ানো বাদে ঘরে বন্দি করে রাখে ? তখন কি হপ্পে ?? মুঠ বন্ধ করে দম নিয়ে নিজের মন কে বলে -” ভিতুর ডিম ছাড়া বাচ্চিকা ..তুই দূর হ । কিছুই করতে পারবে না । I am সাহসী?”
তানিয়ার পিছু পিছু নুপুরের হাত ধরে চোখ বন্ধ করে লাবিবা রুমে যায় যেখানে তাদের পড়ানো হবে । এক চোখ খুলে তানভীর কে দেখে চেয়ারে বসে আছে । পাশে তানিয়া বসে পড়ে । টেবিলে তার ও ব্যাগ । তারমানে তানিয়াও পড়বে । দুই চোখ খুলে চেয়ার টেনে বসতে বসতে হাত নাড়িয়ে
– হাই ডলফিন??।
তানভীর কিছুটা আশ্চর্য হয়েও হলো না । তাদের দিকে তাকিয়ে বললো – দাড়াও । লাবিবা নুপুর দুজন দুজনের দিকে তাকিতুকি করে দাড়িয়ে পড়লো চেয়ার ছেড়ে ।
তানভীর – যাও ডোরের সামনে গিয়ে দাড়াও ।
নুপুর লাবিবা আস্তে আস্তে বলে – অপমান , অপমান ।
ডোরের সামনে গিয়ে দাড়ায় ।
তানভীর – now say, may we come in sir ?
নুপু-লাবি — May we come in sir ?
তানভীর- come in .
নুপু-লাবি তাড়াহুড়ো করে ঢুকতেই মাথায় ঠেস খায় । নুপু চিল্লিয়ে – ঠেস দিলি কেন কুত্তি ? শিং গজালে ?
লাবিবা তানভীরের দিকে একবার তাকিয়ে নুপুর মাথা ধরে আরেকটা ঠেস দিয়ে বলে – আর গজাবেনা ।
তানভীর লাবিবার দিকে তাকিয়ে ইশারায় নুপুকে দেখিয়ে বলে
– friend ??
– bestu. ওর আব্বু আর আমার আবব্বু bestu . ও আর আমি bestu . ?
– good . Name কি তোমার ? (নুপুরের দিকে তাকিয়ে। )
– নাফিসা নুপুর ।
-তোমার name ? (লাবিবাকে)
লাবিবা কোমড় বাকিয়ে বাকিয়ে
– My name is Labiba tanha a…liza..
Daughter of Isamail and sabi…na ?
তানভীর অবাক চোখে দেখে । এই প্রথম দেখলো এভাবে কারো নাম বলতে । কোমড় বাকিয়ে বাকিয়ে নিজের সহ parents এর নাম ও বলে । নিউ স্টাইল । তবে কিউট লাগলো খুব ।
– দুজনেই same mark ?
নুপু, লাবি – জি।
– দুজনেই naughty girl ?
দুজনেই চুপ ।
তানভীর – math 32, english 36 . এরকম মার্ক দেখে যে কেউ বলবে মাথা গোবর পোড়া । এর জন্যই তো স্যার কে …. By the way , নুপুর ..লাবিবার মাথায় নয় সারাদিন উল্টাপাল্টা ভাবনা থাকে । ওর মাথায় গোবর । তোমার মাথায় কি আছে ?
নুপু- স্যার ওর মাথায় চর্বি ।
তানভীর – না গোবর । তুমার মাথায় ও কি গোবর?
নুপুর চিন্তায় পড়ে যায় । আস্তে আস্তে লাবিবাকে জিজ্জাসা করে – দোস্ত আমার মাথায় কি?
লাবিবা – কাওয়ার গু ।
নুপুর – sir, আমার মাথায় কাওয়ার গু ।
তানভীর – yackk…thu. কি বলো এসব ?
লাবিবা – ঠিক ই তো বললাম । আমার মাথায় গোবর আর ওর মাথায় কাওয়ার গু । দুটোই পটি । এগুলা উর্বর সার । এই সার পেয়ে আমাদের চুল হয়েছে মজবুত strong . টেনে দেখেন একটাও পড়বেনা।
তানভীর- shut up . Open the book .
দুজনেই বই খুলে । english book.
তানভীর – স্যারের কাছে যতটুকু পড়েছো তার পর থেকে start করো । reading পড় .তোমাদের reading শুনি।
লাবিবা বই খুলে একবার তাকিয়ে মুখ ভরা হাসি নিয়ে চুপ করে থাকে । এদিকে নুপুর গলা ফাটিয়ে পড়ছে । লাবিবা নুপুরের দিকে তাকিয়ে ওর ঠোট নাড়ানো দেখছে । নুপুর পড়া শেষ করতেই লাবিবা বলে
– ষাড়ের মতো চিল্লায়ে তো কান ফাটিয়ে দিলি । আমি কানা হইলে তোরে আমার আব্বু লকাপে ডুকাবো এইটা মাথায় রাখছোস ?
নুপুর চুপ।
তানভীর – দুষ্টু পুতুল look at me . I thinkতুমি এটা পারো তাই পড়লে না । বলো ।
লাবিবা দাতগুলো বের করে একটা হাসি দিয়ে বলে
– এটাতো সহজ । gypsy এর কথা বলেছে । আমার তো নিজের ই দুইটা জিপ্সি জামা ছিলো । একটা class 4 এ কিনেছিলাম । white colour . কিন্তু ঐটা ইন্দুর খালা আর চিকা মামী খেয়ে নিয়েছে । একদম ফুটো ফুটো করে খেয়েছে । আর পরতে পারি নি । then class 5 এ একটা কিনেছিলাম । black gown আর red ওরনা আর চুরি সেলোয়ার ছিলো । gown টা just gorgious ছিলো । বুকের উপর বড় golden stone বসানো ছিলো । কিন্তু বেশি পরতে পারিনি । একদিন red colour দেখে স্কুলে বাধা ষাড় টা যে দৌড়ানো দিয়েছিলো ..। আর পড়ার সাহস হয়নি । ওইটা ___
তানভীর – stop this nonsence ? এই passage কাল পড়ে আসবে । আর বীজগনিতের সূত্র গুলো মুখস্ত চাই । now you can go .

নুপুর – আসসালামু আলাইকুম sir. Bye.
নুপুর আর লাবিবা হেটে হেটে বাড়ি আসতে থাকে ।
লাবিবা ঠোট উল্টিয়ে উল্টিয়ে বলে
– ঐ স্যার পচা । কোনদিন বিয়ে হবে না । frist day ছিলো তাও ধমক দিলো । ?
নুপুর পিঠে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে শান্তনা দিয়ে বলে
– থাক কাদিস না । আর তো টিচার নেই যে পড়বো । আমাদের কেউ পড়ায় না । ?

To be continue _____

®লাবিবা___?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here