#একগুচ্ছ_ভালোবাসা,পর্ব : ১
লেখনীতে : আনিশা সাবিহা (ছদ্মবেশী)
–“আমি শুধু অনামিকা কে ভালোবাসি। আমার এই হৃদয়ে অন্য কারো স্থান ছিল না আর থাকবেও না।”
নিজের বিয়ে করা বরের মুখে বাসর রাতে অন্য একটা মেয়ের নাম শুনে চোখের কোণে পানি চিকচিক করতে লাগল আমার। অবশ্য আমি জানতাম যে আমার বিয়ে করা সদ্য নতুন বরের থেকে অন্য মেয়ের নাম শুনেই কাটিয়ে দিতে হবে সারাজীবন। জেনে শুনেও বিয়ে করেছি উনাকে। নিজের থেকে ১৪ বছরের বড় মানুষকে বিয়ে করেছি।
আমি অনুশ্রী আহমেদ অনু। আর আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি আমার বর। আজমাইন অনুরাগ চৌধুরী। বয়স ৩৬। পেশায় বড়সড় মাপের বিজনেসম্যান। যার সাথে কি না আমার একটু আগেই বিয়ে হয়েছে। সেই লোকটা এখনো অন্য মেয়ের নামজপ করছে। এটা অন্য মেয়ের কাছে সামান্য বিষয় না হলেও আমার কাছে অতি সামান্য একটা বিষয়। কেননা উনি একটু আগে যার নাম বললেন সেটা উনার প্রথম বউয়ের নাম। অনামিকা! এই নামটা সারাজীবনই আমার আর অনুরাগের মাঝে হয়ত একটা বাঁধা হয়ে থাকবে। বিয়েটা আমি স্বেচ্ছায় করেছি তাও নয়। এক প্রকার বাধ্য হয়েছি বিয়েটা করতে। এখন প্রশ্ন হলো উনি যদি অনামিকা কে এতোই ভালোবাসেন তবে আমায় বিয়ে করল কেন?
সেটারও উত্তর আছে আমার কাছে। কারণ হচ্ছে অনামিকা মৃত! মারা গেছে আজ থেকে প্রায় ৬ মাস আগে। তবে স্মৃতি হিসেবে ফেলে গেছেন আমার বর্তমান বর অনুরাগ আর উনার একটা ভালোবাসার ফসল হিসেবে একটা ছোট্ট পরির মতো মেয়েকে মেয়েটার নাম অদ্রিজা।
তবে দুঃখটা আমার সেই জায়গায় নয়। কেন আমার এমন লোকের সাথে বিয়ে হলো? যে আমায় ভালোই বাসে না? দুঃখটা সেখানেই। আমার সাথে আজ হয়ত এসব হত না যদি আমার মা থাকত। আমার পরিবার আমার পাশে থাকত। তাহলে কোনোভাবেই হতে দিত না আমার মা।
হঠাৎ অনুরাগের কথায় বাস্তবে ফিরলাম আমি। উনার ঝাঁঝালো এবং ধমক দেওয়া কথায় কেঁপে উঠলাম।
–“কি হলো? কানে শুনতে পাও না? লিসেন! তোমায় আমি বিয়ে করেছি শুধু এবং শুধুই মায়ের কথা রাখার জন্য। আমার মায়ের ধারণা অদ্রিজা মানে আমার মেয়ের খেয়াল আমি একটা রাখতে পারব না। আর আমার জীবনও গুছিয়ে নিতে পারব না। তাই জোর করে বিয়ে দিলো আমায়। কিন্তু কে বোঝাবে যে অনামিকা ছাড়া সারাজীবনটাই অগোছালো হয়ে থাকবে আমার! কেউ বুঝবে না আমি ছাড়া অনামিকার এই শূণ্যতা!”
কথাটা বলে দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়লেন উনি।
আমি সাহস করে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,,,
–“তবে কেন বিয়ে করলেন আমাকে?”
উনি সাথে সাথে চোখ রাঙিয়ে তাকালেন আমার দিকে। যেন আমি ঠিক জলজ্যান্ত বাঘের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। উনার চাহনি দেখে বিছানার চাদর খামছে ধরলাম আমি। অনুরাগ কড়া গলায় বলতে শুরু করলেন,,,
–“ওইযে বললাম! মায়ের ইচ্ছে। জানি না মা তোমার মধ্যে এমন কি পেয়েছে। মায়ের ধারণা তুমি অনামিকার মতোই। ইভেন অনামিকার অন্যরুপ বলেও ধরে নিয়েছে। কিন্তু আমি জানি তোমার মধ্যে অনামিকার মতো হওয়ার এক চুল পরিমাণও যোগ্যতা নেই।”
অনুরাগের কথাগুলো যেন আমার গায়ে কাটার মতো বিঁধল। বুকের বাম পাশটাই যেন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলো। মানে টা কি? উনার বউ অনামিকা কি সর্বজান্তা এবং সর্বগুন সম্পূর্ণা ছিলো নাকি? চোখ মুখ শক্ত করে বললাম,,,,
–“ঠিক বলেছেন। আর অন্যের মতো আমি হতেও চাই না আর আপনার বউয়ের মতো নই ই!”
–“শাট আপ! অনামিকার নামে কিছু বলবে না তুমি। তোমার সেই অধিকার টা নেই বুঝেছো? লিমিটের মধ্যে থাকো। নয়ত তোমার ওই জ্বিব টেনে ছিঁড়ে ফেলতে এক সেকেন্ড সময়ও লাগবে না আমার।”
নিজের আঙ্গুল উঁচিয়ে কথাটা বললেন উনি। সাথে সাথে আমার ভেতরে থাকা সাহস যেন জানালা দিয়ে পালিয়ে গেল। একটা ঢক গিলতেই উনি বলে উঠলেন,,,
–“নামো! বেড থেকে নিচে নামো।”
–“কেন?”
উনি রাগে দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,,,
–“এই যেই বেডে বসে আছো সেটা আমার আর অনামিকার। এই বেডে সে ছাড়া অন্যকারো জায়গা নেই। এতোক্ষণে অন্তত এটা বুঝে গেছো যে আমি কখনোই তোমায় অনামিকার জায়গা দিতে পারব না। সো এই বেডেও তোমায় জায়গা নেই। নামো।”
–“অদ্ভুত! তো আমি ঘুমাবো কোথায়?” (চোখ বড়বড় করে)
উনি বেডের দিকে হেলে বেডের ওপরে থাকা সাজানো গোছানো সুন্দর গোলাপের পাপড়িগুলো এলোমেলো করে দিয়ে পাপড়িগুলো নিচে ফেলে দিয়ে ব্যস্ত কন্ঠে বলে উঠলেন,,,
–“সেটা তোমার ব্যাপার। বেলকনি আছে। নিচে এতো বড় একটা ফ্লোর আছে। আবার সোফাও আছে। তিন তিনটা অপশন থাকতে তুমি কোথায় ঘুমাবে সেটা নিয়েও ভাবতে হবে? এখন নামো।” (ধমক দিয়ে)
আমি উনার কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকালাম উনার দিকে। তবে আমি ঠিক করেছি নামব না এই বেড থেকে। মগের মুল্লুক নাকি? বিয়ে করে নিয়ে আসবেন। স্বামীর অধিকার দেবেন না। আবার আমাকে বেডে ঘুমাতে পর্যন্ত দেবেন না? নামব না আমি এই বেড থেকে!
হঠাৎ নিজের হাতে টান অনুভব করলাম আমি। অনুরাগের দিকে তাকাতেই দেখলাম উনি আমার হাত ধরে সজোরে টানছেন। উনার এতো শক্তির সামনে আমি নিতান্তই একটা পিঁপড়ে মাত্র!
হিহির করে আমায় বেড থেকে নামিয়ে দিলেন উনি। তারপর বেডে সুন্দর করে শুয়ে পড়লেন।
আমি ছলছল নয়নে উনার দিকে তাকালাম। তবে কি স্বামীর বাড়ি এসেও সুখের কূলকিনারা দেখতে পাব না কখনো? সূখ নামক অনুভূতি কি আমার জীবনে লিখা নেই?
আমার চোখ থেকে দুঃখ প্রকাশের মাধ্যম হয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। মায়ের কথা ভেবে সাথে সাথে তা মুছে ফেললাম আমি। কারণ আমার মা সবসময় বলত, ‘জীবনে যখন বাস্তবতার মুখ দেখব তখন এই অশ্রু নামক জিনিসটি বার বার হারিয়ে দিতে চাইবে বাস্তবতার সামনে। নিজের মনে থাকা সাহসকে ভয়ে রূপান্তরিত করে ফেলবে এই অশ্রু!’
মায়ের কথা ভাবতেই গালে বেয়ে পড়া পানি নিমিষের মধ্যে মুছে ফেললাম। আমি লড়তে চাই বাস্তবতার সাথে শুধু এক চিলতি সুখের আশায়! অতঃপর অনুরাগের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালাম। উনি এক কাত হয়ে চোখ বন্ধ করে আছেন। হয়ত ঘুমানোর চেষ্টা করছেন। আমি উনার উদ্দেশ্যে চেঁচিয়ে বলে উঠলাম,,,
—“আমি ঘুমাবো নিচে বেড থাকতেও। যদি আপনার আর অনামিকার একান্তই বেড টা হয়। তাহলে আমি অন্য রুমে চলে গেলাম। এতো বড় বাড়ি আপনার অবশ্যই গেস্টরুম বা এক্সট্রা রুম বলে কোনো ঘর ফাঁকা থাকবে। গেলাম আমি। আর শুনে রাখুন আমার কোনো ইচ্ছে নেই আপনার বেডে শুয়ে থাকার।”
কথাটা বলে দরজার দিকে তাকিয়ে পা চালাতে শুরু করলাম আমি। দুই ধাপ হাঁটতেই আমার বাম হাতটা কেউ শক্তভাবে চেপে ধরল। সাথে সাথে পিছন ফিরে তাকাতেই অনুরাগের চাহনি দেখে পুরোপুরি ভাবে চুপসে গেলাম। উনি আমার কাছে এসে দাঁড়ালেন হাত ছেড়ে দিয়ে। আমি দুই ধাপ সরে গেলাম। আমার কোনো ছেলের সাথে এতো কাছাকাছি দাঁড়ানোর অভ্যেসটা নেই। প্রচন্ড অস্বস্তি বোধ হতে শুরু করল। উনি ঝাঁঝালো কন্ঠে বললেন,,,
–“আর ইউ ম্যাড? এখন বাইরে বেরিয়ে অন্য রুমে গেলে বাড়ির অন্য সবার মধ্যে কেউ দেখে ফেলে তাহলে কি হতে পারে তোমার ধারণা আছে ইডিয়ট? যদি আমাকে টলারেটই না করতে পারো তাহলে আমার মতো বিয়ে হওয়া ছেলেকে বিয়ে করেছিলে কেন? টেল মি!”
–“ডোন্ট কল মি ইডিয়ট! দোষটা তো আপনার। আমি কোথায় ঘুমাবো ঠিক করে দিন আমায় আমি জানি না কিছু। আর রইল বিয়ে করার কথা সেটা তো আমি মামি মার কথায় বা…..”
কথাটা পুরোপুরি বলতে পারলাম। থেমে গেলাম। ব্যাস! এতোটুকুই বলতে পারব আমি। পুরোপুরি বলা যাবে না। আমি বলতে পারব না যে মামি আমায় জোর করে শ্বাসিয়ে এই পরিবারে গছিয়ে দিয়ে নিজে দায়মুক্ত হতে চেয়েছে। এই কথা বলা বারণ আমার। অনুরাগ হনহন করে কাবার্ডের কাছে চলে গেলেন। কার্বাডের একদম নিচের তাক খুলে একটা মাঝারি আকারের বালিশ, একটা চাদর এবং একটা কম্বল ছুঁড়ে মারলেন আমার দিকে।
আমি সেগুলো ধরতে না পারায় সব জিনিসগুলো নিচে পড়ে গেল।
অনুরাগ অন্যদিকে তাকিয়ে বললেন,,,
–“এসব কিছু দিলাম। ফ্লোর নয়ত সোফায় বিছানা করে শুয়ে পড়তে পারো। এজ ইউ উইশ। তুমি তোমার মতো থাকবে আর আমি আমর মতো মাইন্ড ইট।”
কথাটা বলে আবার উনি বিছানায় শুয়ে পড়লেন। আমি বালিশসহ বাকি সব জিনিস তুলে নিলাম। ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে আশেপাশে তাকালাম আমি। এতো আফসোস করে কিছুই নেই। ভাগ্যে হয়ত কখনো মা বাবার সুখ বা স্বামীর সুখ কোনোটাই লিখা নেই।
সোফার জিনিসগুলো রেখে আবার ফ্লোরের দিকে তাকালাম আমি। সোফাটা চওড়া হলেও ঘুমানোর জন্য পারফেক্ট নয় মটেও। আমি ঘুমিয়ে গেলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই সোফা থেকে চাদর তুলে সেটা ফ্লোরে বিছিয়ে দিলাম। তারপর বালিশ রেখে সেখানে শুয়ে পড়লাম কম্বল নিয়ে। গা হালকা কাঁপুনি দিয়ে উঠছে। তবে ফ্লোরে ঘুমানো অভ্যেসটা বেশ ভালোভাবে আছে আমার। রাত গভীর হতে হতে আমার মনের ভেতর থেকে সাহসটা গুড়িয়ে যাচ্ছে। সাহসের আড়ালে চাপা দেওয়া সেই তীব্র কষ্ট ও যন্ত্রণাগুলো কড়া নাড়িয়ে উঠছে। এমনটা না হলেও পারত। গল্পটা অন্যরকম হলেও পারত। চোখের সামনে ভাসতে লাগল সেই কালো অতীত!
ফ্লাশ ব্যাক…..
মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবা যখন আরেকটা বিয়ে করল তখন আমার অত্যাচার বাড়তে থাকল। মামা সেটা দেখতে পারলেন না। যতই হক তার বোনের মেয়ে আমি। নিয়ে এলেন আমায় তার বাসায়। আমার ঠাঁই হলো মামাবাড়ি।
ভেবেছিলাম এখান থেকে পড়াশোনা করতে পারব ভালো করে। কেউ আমার ওপর অত্যাচার অন্তত করতে পারবে না।
প্রথম প্রথম বাবা আমার হাত খরচটা পাঠালেও আস্তে আস্তে সেটাও বন্ধ করে দেয়। হয়ত বাবা তার নতুন বউকে পেয়ে তার এই অবহেলিত মেয়েটাকে এক প্রকার ভুলেই গিয়েছে। অথচ আমি একসময় ছিলাম তার চোখের মনি!
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, মামা আমায় যথেষ্ট আগলে রাখলেও মামি মা আমায় এক চুল পরিমান সহ্য করতে পারতো না। সব সময় যা ইচ্ছে তাই বলে অপমান করতো মামি মা। ধীরে ধীরে মামি মার বিনা বেতনের দাসী হয়ে গেলাম আমি। বাড়ির যাবতীয় কাজ আমায় করতে হত। তবে সেসব মামার গোপনে করতে হত। কারণ মামা আমায় এসব কাজ কিছুতেই করতে দিতো না। কাজে কোনোরকম ভুলচুক হলে শাস্তিস্বরূপ গরম খুন্তির ছ্যাঁকা, গরম চায়ে হাত ডুবানো, সারাদিন না খেয়ে থাকা আরো নানারকম শাস্তি পেতাম আমি।
যখন মামা বাড়িতে থাকতে তখন একটু হলেও রেহায় পেতাম। এতোকিছুর মাঝেও পড়ালেখা চালিয়ে গেলাম আমি। ভেবেছিলাম পড়ালেখা করে একটা চাকরিতে জয়েন করে মামার বাড়ি টা ছেড়ে দেব। তবে ভাগ্যে যেন সেসব সুখও সইলো না। যখন আমি এইসএসসি পরীক্ষা দিই। তার কয়েকদিন পরেই মামা চলে গেলেন পৃথিবীর সবরকম মায়া ত্যাগ করে।
তারপর চল্লিশ দিন যেতে না যেতে মামি মা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেললেন আজমাইন অনুরাগ চৌধুরীর সঙ্গে। তবে বিয়ে ঠিক করার সূত্রপাত টা হয়েছিল অনুরাগের মায়ের হাত ধরে।
একদিন মামি মা আমায় কিছু বাজার করতে পাঠিয়েছিলেন। সেসব বাজার করেই হাতভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছিলাম আমি। বাজার বাড়ি থেকে ২ কিলো দূরে হবে। আমি রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। কিন্তু হঠাৎ টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করল। বৃষ্টির মাত্রা আস্তে আস্তে বাড়তে লাগল। আমি গাড়ি থামিয়ে দৌড়ে গিয়ে একটা দোকানের ছাউনির নিচে দাঁড়ালাম। এতো বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি যেতে পারব না আমি। যদিও হাতে ছাতা আছে তবুও গা ভিজে যাবে।
নিজের গা থেকে পানি ঝাড়তে ঝাড়তে লক্ষ্য করলাম একজন বয়স্ক মহিলা আকাশের দিকে থম মেরে চেয়ে আছেন। কয়েক সেকেন্ডের মাঝে একজন ছেলে এসে মহিলাটিকে বলতে লাগল,,,
–“গাড়ি চলছে না মা জী! গাড়ির কোনো সমস্যা হয়েছে। গাড়ীটা গ্যারেজে পাঠাতে হবে।”
বয়স্ক মহিলাটি কিছুটা অসহায় গলায় বললেন,,
–এভাবে কি করে দাঁড়িয়ে থাকব আমি? জানিস তো আমার হাঁটু তে ব্যাথা। আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। এদিকে বৃষ্টি কখন থামবে তার নাম নেই। একটা ছাতা তো আনতে পারতিস!”
কথাটা বলে চুপ হয়ে গেলেন উনি। ছেলেটি আবারও বলে উঠল,,,
–“একটু দাঁড়াও মা জি। আমি দেখি কিছু ব্যবস্থা করতে পারি কি না।”
কথাটা বলে ছেলেটা বৃষ্টির মধ্যেও কোথাও চলে গেলো। আমি আমার ছাতার দিকে তাকালাম। উনার হাঁটুতে ব্যাথা! আমি আগপাছ না ভেবে উনার দিকে এগিয়ে গেলাম। তারপর হাতের ছাতাটা এগিয়ে দিলাম। হাসোজ্জল গলায় বললাম,,,
–“আসসালামু আলাইকুম। আপনি চাইলে আমার ছাতা নিতে পারেন আন্টি!”
চলবে….??