একটু ভালোবাসা,পর্ব_৭
মুন্নি আক্তার প্রিয়া
ঘুমের মধ্যে জ্বরের ঘোরে আবোলতাবোল বকছে প্রিয়ু। এই অভ্যাসটা ওর ছোটবেলা থেকেই। জ্বর আসলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে উল্টাপাল্টা বকবে। মনে যা আসবে তাই বলবে। অপর সোফায় বসে ফোন চাপছে রিশাদ। প্রিয়ুর ঘুম ভেঙে যায়। প্রিয়ুকে উঠতে দেখে রিশাদ বলল,
“ঘুম ভাঙল তাহলে?”
“আমার খিদে লেগেছে।” চোখ বন্ধ করে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে বলে প্রিয়ু।
“খাবার তো আবার ঠান্ডা হয়ে গেছে। গরম করতে হবে। একটু অপেক্ষা করেন।”
রিশাদ ফোন রেখে রান্নাঘরে চলে যায়। প্রিয়ুর চোখেমুখে বিরক্তি। ও সোজা ফ্রিজের কাছে চলে যায়। গরম খাবার খাবে না প্রিয়ু। কেন শুনবে রিশাদের কথা? রিশাদ কি প্রিয়ুর কথা শোনে? শোনে না তো! ফ্রিজ থেকে কোকের বোতল বের করে ঢকঢক করে খেয়ে ফেলে। মাথা ঝিম মেরে ওঠে। রিশাদ খাবার নিয়ে এসে দেখে প্রিয়ু কোকের বোতল হাতে নিয়ে বসে আছে।
“একি! আপনি ঠান্ডার ভেতর ঠান্ডা খাচ্ছেন?” জিজ্ঞেস করে রিশাদ।
“একশো বার খাব! হাজার বার খাব। আপনার কথা কেন শুনব আমি?”
রিশাদ তাড়াতাড়ি এসে প্রিয়ুর হাত থেকে বোতল নেয়। একটা বিশ্রী গন্ধও পায়। মদের গন্ধ। মাঝে মাঝেই অনিক ড্রিঙ্কস করে আর বাকিটা এখানে রেখে যায়। তার মানে প্রিয়ুও এখন ড্রিঙ্কসই করল! একই তো জ্বরের ঘোরে পাগলামি করছিল আবার এখন ড্রিঙ্কস! শিট! অনিকটার ওপর এখন রাগ হচ্ছে খুব। বোতল নেওয়ায় প্রিয়ু ক্ষেপে যায়। রিশাদের হাতে খামচি দিয়ে বলে,
“মেরে ফেলব একদম!”
রিশাদ ব্যথা পেয়েও কিছু বলে না। বোতলটা নিয়ে লুকিয়ে ফেলে। প্রিয়ু একা, একাই গান গাচ্ছে। নাচছে। মহা মুসিবতে পড়ল রিশাদ। টেবিলের ওপর গালে হাত দিয়ে বসে রিশাদ। চেয়ারের ওপর পা রাখে। গালে হাত দিয়ে বসে বসে প্রিয়ুর পাগলামি দেখছে। এছাড়া আর কী-ই বা করার আছে? কিছু কিছু কাণ্ডে ভীষণ হাসিও পাচ্ছে। কিছুক্ষণ একা একাই বকবক করে, নাচানাচি করে শুয়ে পড়ে। রিশাদ প্রিয়ুর গায়ে লেপ দিয়ে দেওয়ার সময় শুনতে পায় প্রিয়ু বলছে,
“ভীষণ ভালোবাসি আপনাকে রিশাদ! এতটাই ভালোবাসি যে আপনাকে আমার ভীষণ আপন মনে হয়। নিজের মানুষ বলতে আমার তো কেউ নেই। হয়ে যান না আমার। একটু ভালোবাসেন।”
.
হিমশীতল বাতাসে শরীরে কাঁপুনী ধরার মতো অবস্থা। রাতে ড্রয়িংরুমে ঘুমিয়েছিল রিশাদ। ভেতরের রুমে প্রিয়ু। কলিংবেল বাজায় ঘুম ভেঙে যায় রিশাদের। আজকে অফিসও মিস গেল। অনিক এসেছে বাড়িতে। রিশাদের উদ্দেশ্যে বলে,
“কীরে আজ অফিসে গেলি না কেন?”
“প্রিয়ু বাসায়।”
“কে বাসায়?”
“প্রিয়ু।”
“এ্যা? কেন?”
“বোস তুই। আসছি।”
রিশাদ রান্নাঘরে গিয়ে দু মগ চা বানায়। অনিক দরজায় দাঁড়িয়ে একবার বেডরুমের দিকে উঁকি দেয়। সত্যিই প্রিয়ু ঘুমিয়ে আছে। রিশাদ চা নিয়ে আসার পর অনিক বলে,
“কাহিনী কী মামা?”
“কাহিনী লাভ কেস।”
“তার মানে? প্রেম হয়ে গেছে?”
“ফালতু বকবি না।”
“না বললে বুঝব কী করে?”
সব ঘটনা অনিককে বলার পর অনিক বলে,
“একটা সুযোগ মেয়েটাকে দেওয়া উচিত।”
“আমি পারব না রে! তুই তো জানিস আমার অতীতের কথা। আমি নতুন করে কাউকে ভালোবাসতে পারব না আর। একবার ভেঙে যাওয়ার পর অনেক কষ্টে নিজেকে গড়েছি। আবার যদি ভেঙে যাই তাহলে আমি আর উঠে দাঁড়াতে পারব না।”
“সবাই তো ঠকায় না রিশাদ।”
“জানি। কিন্তু আসে না আমার কারো প্রতি ভালোবাসা। প্রিয়ু ভালো। ওর লাইফটা অনেক কষ্টের জানি আমি। ও ভালো কাউকে ডিজার্ব করে। যে ও’কে ভালো রাখবে। আমার কাছে ভালো থাকবে না ও।”
“অতীত নিয়েই সারাজীবন থাকবি তুই? বিয়ে করবি না?”
“করব। তবে এখন তো এমন কোনো ইচ্ছে নেই। যতদিন না বাড়ি থেকে বিয়ে নিয়ে কোনো চাপ আসছে ততদিন বিয়ে করার ইচ্ছে নেই।”
“কিন্তু প্রিয়ু যে পাগলামি শুরু করেছে।”
“সেটা নিয়েই ভয় হচ্ছে আমার। যদি উল্টাপাল্টা কিছু করে ফেলে। ওর মেন্টালিটি সিচুয়েশন এখন ভালো নয়। স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওর সঙ্গ দিতে হবে। তার আগে একবার ও’কে বোঝাতে হবে।”
“দেখ! তোর যেটা ভালো মনে হয়।”
“হুম। তুই বোস তাহলে। আমি দেখি ঘুম থেকে উঠেছে কী’না।”
রিশাদ ঘরে গিয়ে দেখে প্রিয়ু ঘুম থেকে উঠে কাপড় পাল্টে নিজের কাপড় পরে নিয়েছে। বিছানার ওপর পা তুলে গুটিসুটি হয়ে বসে আছে।
“আপনি উঠে গেছেন ঘুম থেকে?”
প্রিয়ু একবার রিশাদের দিকে তাকিয়ে আবার আগের মতো করে বসে থাকে। রিশাদ জিজ্ঞেস করে,
“চা নাকি কফি?”
“চা।”
“আচ্ছা বানিয়ে আনেন।”
প্রিয়ু অবাক হয়ে তাকায়। যেভাবে জিজ্ঞেস করেছে প্রিয়ু ভেবেছিল রিশাদ বানিয়ে দেবে।
“আমি বানাব?”
“হ্যাঁ।”
“পারব না।”
রিশাদ হেসে বলে,
“আমিই বানিয়ে দিচ্ছি। ড্রয়িংরুমে গিয়ে বসেন। অনিকও আছে।”
“যাব না।”
“কেন?”
“আগে স্যরি বলেন।”
“স্যরি বলব কেন?”
“কারণ আপনি আমায় কষ্ট দিয়েছেন।”
“আচ্ছা স্যরি।”
“স্যরি বললেই কি সব সমাধান হয়ে যায়?”
“তাহলে স্যরি না।”
“কী?”
“না, স্যরি। এখন যাই?”
“কোথায়?”
“চা বানাতে।”
“আমার রাগ কমেনি।”
“কেন?”
“এখনো আমায় আপনি আপনি করে বলেন।”
“ভুলে যাই!”
“কবে জানি আমায়ও ভুলে যান।”
“ভুলতেও পারি।”
প্রিয়ু চুপ হয়ে যায়। রিশাদ গিয়ে চা নিয়ে আসে। প্রিয়ু এই ফাঁকে বিছানা গুছিয়ে ফেলে। জ্বর কমেনি এখনো। শরীর কাঁপছে। রিশাদ চা নিয়ে এসে প্রিয়ুকে দেয়। প্রিয়ু বলে,
“শুধু চা?”
“আর কী?”
“আর কিছু দেবেন না?”
“বিস্কুট?”
“না।”
“মুড়ি?”
“না।”
“রুটি?”
“না।”
“পরোটা?”
“তাও না।”
“তাহলে কী?”
“চুমু!”
“মানে?”
“মানের চায়ের সাথে চুমু চাই। চা-চুমু।”
“চা-চুমু?”
“হু! টি-কিস।”
“আমি এসব পারি না।”
প্রিয়ু বাচ্চাদের মতো করেই বলে,
“আমার চা-চুমু চাই মানে চা-চুমু চাই। টি-কিস দেন। দেন!”
“জ্বরের ঘোর কাটেনি। নাস্তা করবেন আসেন। তারপর ওষুধ খাবেন।”
“আমি কিছুই খাব না।”
“খাবেন না?”
“খাব।”
“তাহলে চা খান আগে।”
প্রিয়ু চায়ে চুমুক দেয়।রিশাদ জিজ্ঞেস করে,
“এত রাতে একা আসতে আপনার ভয় করেনি? যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যেত?”
প্রিয়ু মিষ্টি হেসে বলে,
“আয়তুল কুরসী পড়তে পড়তে আসি।”
রিশাদ কপাল কুঁচকে বলে,
“ধরুন, আমিও তো আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারি। তখন?”
প্রিয়ুর নির্লিপ্ত উত্তর,
“আমি আপনার কাছে এসেও আয়তু্ল কুরসী পড়েছি।”
রিশাদের চোখদুটো বড় বড় হয়ে যায়। মানে বিষয়টা কেমন হয়ে গেল! রাস্তাঘাটে বিপদের ভয়ের জন্য আয়তুল কুরসী পড়ে। আবার আমার সামনে এসেও পড়ে। মানে ভয় আমাকেও পায়। তবুও আসে!
.
নাস্তার টেবিলে রিশাদ, প্রিয়ু আর অনিক বসে আছে। রিশাদ সিদ্ধান্ত নেয় প্রিয়ুকে এখনই বোঝাবে। ব্রেডে বাটার লাগাতে লাগাতে বলে,
“প্রিয়ু।”
“হুম।”
“এসব পাগলামির কোনো মানে হয়?”
“বুঝলাম না।”
“আসলে কী বলব! এসব প্রেম, ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি চাই না, আপনি আমার জন্য কোনো কষ্ট পান। তাই সময় থাকতে নিজেকে সামলে নিন প্লিজ।”
রিশাদ আর অনিককে অবাক করে দিয়ে ফল কাটার ছুরি দিয়ে হাত কেটে ফেলে প্রিয়ু। দুজনই চমকে যায়। প্রিয়ু ব্যথায় দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
“আর কিছু বোঝানো বাকি আছে?”
“পাগল তুমি?” হাত থেকে ছুরি নিয়ে বলে অনিক।
রিশাদ যেন কিছু বলতেও ভুলে গেছে। প্রিয়ুকে কিছু বলেই যে বুঝানো যাবে না এটা বুঝে গেছে রিশাদ। ফাস্টএইড বক্স এনে প্রিয়ুর হাত ওয়াশ করে ব্যান্ডেজ করে দেয়। প্রিয়ু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে। রিশাদ বলে,
“আর কোনোদিন আপনাকে আমি কিছু বলব না।”
“বলতে হবে না।”
রিশাদ অনিকের দিকে তাকিয়ে বলে,
“আচ্ছা অনিক একটা কথা বল তো। কেউ যদি আমায় তুমি করে না বলে, তাহলে তাকে আমি কেন তুমি বলব বল?”
টলমল করা নয়নে প্রিয়ু রিশাদের দিকে চোখ তুলে তাকায়। রিশাদও প্রিয়ুর দিকে তাকিয়ে বলে,
“কেউ আমায় তুমি বললে আমিও তাকে তুমি বলব।”
প্রিয়ু একটা ব্যান্ডেজ রিশাদের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলে,
“আপনি ভীষণ বাজে। ভীষণ!”
“আপনি? ঠিক আছে, আমিও তাহলে আপনি করেই বলব। তখন যেন কেউ আবার অভিযোগ না করে।”
প্রিয়ু এবার রিশাদের গলা চেপে ধরে বলে,
“তোমায় খুন করতে পারলে আমার শান্তি লাগত।”
“সত্যিই? তাহলে খুন করে ফেলো। তাও শান্তিতে থাকো।”
“পারব না তো! তবে তোমায় শান্তিতে থাকতে দিতে পারব।”
“কীভাবে?”
“আমি মরে গিয়ে।”
“বাজে কথা ছাড়া আর কিছু বলতে পারো না?”
“পারি।”
“তাহলে বলো।”
“ভালোবাসি।”
রিশাদ নিশ্চুপ। প্রিয়ু বলে,
“এখন চুপ হয়ে গেলে কেন?”
“সবশেষে তুমি এই কথাটাই বলো। তখন আমার আর কিছু বলার থাকে না।”
“একটু ভালোবাসলে কি খুব ক্ষতি হয়ে যাবে?”
“এই টপিক বাদ দেই আমরা?”
প্রিয়ু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চুপ হয়ে যায়। বাড়িতে যেতে হবে। রিশাদ আর অনিকের থেকে বিদায় নিয়ে নেয়। দরজার সামনে গিয়ে রিশাদকে বলে,
“আমায় যদি কখনো ভালোবাসো তবে আমি বেঁচে থাকতেই ভালোবেসো রিশাদ!”
————————————-
বাড়িতে গিয়ে দেখে আলেয়া বেগম উঠান ঝাড়ু দিচ্ছে। মনসুর আলী বাজারে গেছেন। আশা ভার্সিটিতে। প্রিয়ুকে দেখে আলেয়া বেগম বলেন,
“আশা বলল তুই নাকি আজ আগেই কলেজে গেছিলি?”
প্রিয়ু আমতা আমতা করে বলে,
“হ্যাঁ, যাদের প্রাইভেট পড়াই ওদের মধ্যে একজনের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই প্রাইভেট পড়াতে গেছিলাম।”
“তোর বই-খাতা কই?”
“রেখে এসেছি। আবার যাব তো।”
ওড়না দিয়ে বাম হাতটা লুকিয়ে রেখেছে প্রিয়ু। একবার যদি দেখে ফেলে তাহলে বাড়িতে কুরুক্ষেত্র হয়ে যাবে। কোথা থেকে যেন আমিন হন্তদন্ত হয়ে বাড়িতে আসে। প্রিয়ুকে বলে,
“তুই ঐ ফ্ল্যাটে গেছিলি ক্যান?”
প্রিয়ু চমকে গিয়ে বলে,
“কোন ফ্ল্যাটে?”
“জানোস না তুই এখন? আমার বন্ধু তোরে ঐ বাড়ি থেকে বাইর হইতে দেখছে। লগে মুহিতের ভাই আর বন্ধুরেও দেখছে।”
“মুহিতের ভাই?” জিজ্ঞেস করেন আলেয়া বেগম।
“ঐযে মুহিতের বিয়েতে আসছিল। মুহিতের ভাই অনিক আর ওর সুন্দর কইরা বন্ধুটা। ঐ সুন্দর পোলাডার লগে কথা কইতে দেখছে।”
আলেয়া বেগম এবার প্রিয়ুর কনুইতে ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে,
“এত খারাপ হইয়া গেছস তুই? একটু আগে মিথ্যা বললি ক্যান? ঐ পোলার লগে তোর সম্পর্ক কীসের? বড়লোকের পোলার দিকে হাত বাড়াস মাইয়া। ব্যবহার কইরা যেদিন রাস্তায় ফালাইয়া দিব ঐদিন বুঝবি। প্রয়োজন যতদিন ততদিনই তোরে আদর-সোহাগ করব।”
প্রিয়ু ঝাঁকি দিয়ে হাত সরিয়ে দেয়। ক্রোধ নিয়ে বলে,
“মুখ সামলিয়ে কথা বলো। সবাইকে নিজেদের লেভেলের ভাবো তাই না? রিশাদ তোমাদের মতো নয়। আর না ওর মানসিকতা তোমাদের মতো নিচু। তোমাদের সঙ্গে থেকেও আমি তোমাদের বিশ্বাস করতে পারি না। আর তাকে আমি চোখ বন্ধ করেই বিশ্বাস করতে পারি। তার যদি খারাপ কিছু করার উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে আগেই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারত।”
“দেখলি আমিন দেখলি? কেমনে কথা কয় এই মাইয়ায়?”
আমিন এবার প্রিয়ুর বাম হাত চেপে ধরে। প্রিয়ু ব্যথায় কুঁকিয়ে ওঠে। হাত মোচড় দিয়ে ধরে আমিন বলে,
“খুব সাহস হয়ে গেছে না? প্রেমিকে সাহস বাড়াইয়া দিছে?”
“হাত ছাড়ো আমার।”
জোরে মোচর দিতে গিয়ে হাত থেকে ওড়নাটা সরে যায়। তখন আলেয়া বেগম চেঁচিয়ে বলেন,
“ওর হাত দেখ।”
প্রিয়ু কাঁদছে। হাত লুকাতে চাইলেও লুকাতে পারে না। আমিন হাতের ব্যান্ডেজটা খুলে ফেলে। হাতে জোরে চাপ দিয়ে বলে,
“আমাগো খাইয়া, পইড়া প্রেমিকের লেইগা হাত কাটোস? আজকে তোরে আমি প্রেম করার মজা বুঝাইতাছি।”
প্রিয়ুকে টানতে টানতে রান্নাঘরে নিয়ে যায় আমিন। প্রিয়ু কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলছে হাত ছেড়ে দিতে। আমিন ছাড়েনি। হলুদ-মরিচের ডালনা থেকে লবণের বাটি নেয়। এক মুঠো লবণ নিয়ে প্রিয়ুর কাটা হাতে মেখে দেয়। মরিচের মতো হাত জ্বলে ওঠে। প্রিয়ু চিৎকার করে কাঁদে। তৃপ্তির হাসি হাসে আমিন আর আলেয়া বেগম।
চলবে…