#একটু_ভালোবাসি,পর্ব – ২৮ (অন্তিম পর্ব)
#সুবহী_ইসলাম_প্রভা (বিবাহ বিচ্ছেদ)
“কিইইইইইই অর্ণব বিয়ে করছে?”
“হে তাই তো শুনলাম।এখন তো অর্ণব ভাইয়া বরও সাজছে।”
ইলা ঘরে বসে বিয়েতে কোনটা পড়বে তার জন্য ড্রেস ঠিক করছিলো ঠিক তখনই পিহু কবে সাজা অবস্থা ইলার ঘরে প্রবেশ করে।ইলা পিহুকে মজা করে বলে,
“বাব্বাহ বরের চেয়ের দেখি ভাবির উপর ফিদা বেশি।ভাবিকে দেখতে কনে সাজ অবস্থা চলে এসেছো বান্ধুবী।”
“দেখ ইলা আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য ছুটে এসেছি।এখন প্লিজ ফান করিস না। আমার কথাটা মন দিয়ে শোন।”
“সর্যি দোস্ত আমার মন অন্য জায়গায় তাই আমি মন দিয়ে শুনতে পারবো না কান দিয়ে শুনছি বল।”
“ওকে ফাইন তাহলে তুই কান দিয়েই শোন।অর্ণব ভাইয়া আজকে আমাদের সাথে বিয়ে করছে।”
“কিইইইইই?অর্ণব বিয়ে করছে?”
“হেএএ বিয়ে করছে তাও আবার বৃষ্টি আপুকে।”
ইলা কথাটা শুনে প্রচন্ড অবাক হয়।কারণ পার্টিতে ইলা যেভাবে বৃষ্টিকে থ্রেট দিয়েছে তারপর আর বৃষ্টি অর্ণবের ধারে কাছে আসার দুঃসাহস দেখাবে না।সেখানে অর্ণব কি না বৃষ্টিকেই বিয়ে করছে।ইলা রেগে মেগে নিচে যায়।ইলার পিছু পিছু পিহুও যায়।
ইলা রেগেমেগে নিচে নামতেই থমকে যায়।কারণ নিচে অর্ণব লাল শেরওয়ানী পড়ে দাঁড়িয়ে আছে।অর্ণবকে আজ এতো সুন্দর লাগছে যা প্রকাশ করা যাবে না।যে কেউ অর্ণবের এমন রুপ দেখে ক্রাস নামক বাঁশ খেতে বাধ্য।ইলাও তার ব্যতিক্রম নয় অর্ণবের উপর পুনরায় ক্রাস নামক বাঁশ খায়।ইলাকে দেখেই অর্ণব মুচকি হেসে ইলার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
“আরে মিস.ইলা শেখ দেখছি।আপনি কি জানেন আমার আর বৃষ্টির বিয়েতে আপনিই প্রধান অতিথি।”
অর্ণবের এমন তেড়াব্যাঁকা কথা ইলা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।ইলা নিজের রাগ কন্ট্রোল করে বলে,
“অর্ণব তুমি কি এখানে নাটক করছো?এসব কি অর্ণব?সারা বাড়িতে গেস্ট আর তুমি কি আমাকে হাসির খোরাক বানাতে চাচ্ছো?আর তোমার এ’কি সাজ?তুমি নাকি বিয়ে করছো?তুমি যে বিবাহিত তা কি তুমি ভুলে গেছো?”
“আরে ওয়েট মিস ওয়েট। আপনি তো বুলেট ট্রেন ছেড়েছেন দেখছি।ওকে ফাইন আমি এক এক করে উত্তর দিচ্ছি।তুমিই তো চেয়েছিলে আমার সাথে আর সংসার করবে না তাই তোমায় মুক্ত করে দিলাম।এই নেও ডিভোর্স পেপার আমি সাইন করে দিয়েছি এবার তোমার পালা।আর বিয়ে হে আমি বিয়ে করছি ভাবলাম তুমি যখন আমাকে আপন করে নিবেই না তখন যে আমাকে আপন করতে চায় আমি না’হয় তারই হলাম।তাই শুভ কাজে দেরি কিসের আজই বিয়েটা করে নিচ্ছি।”
ইলা রেগে কিছু বলার আগেই বাহিরে ব্যান্ড বাজাতে বাজাতে বৃষ্টি ভিতরে ঢুকলো সাথে সাজনা গানে নাঁচতে নাঁচতে ভিতরে ঢুকেছে।এমনিই তো ইলা চটে ছিলো তার উপর কনে সাজে এভাবে নাঁচতে নাঁচতে বৃষ্টিকে ভিতরে আসতে দেখে ইলা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।অর্নবও গিয়ে বৃষ্টির সাথে নাঁচা শুরু করে।এতো আওয়াজে বিহান,সীমান্ত আর মেঘা বাহিরে বেরিয়ে এসে কাহিনি দেখতে শুরু করে।মেঘা পিহুকে খোঁচিয়ে বলে,
“এসব কি হচ্ছে?”
“তুই যেখানে আমিও সেখানে।আর এর ভিতরে আমাদের না ঢোকাই। আই নো ইলা ঠিক ম্যানেজ করে নিতে পারবে।”
ইলা রেগে বৃষ্টির থেকে অর্ণবকে ছাড়িয়ে জোরে জোরে বলতে লাগে,
“বন্ধ করো বন্ধ করো এই গান।অর্ণব তোমার মাথা ঠিক আছে তো।”
“একদম ইলা আমার মাথা পুরো ঠিক আছে।আর আমি তো তোমায় মুক্ত করে দিয়েছি এখন তুমি মিস ইলা শেখ।”
“ডোন্ট ফরগেট অর্ণব আ’ম মিসেস ইলা চৌধুরী ইউর ওয়াইফ।”
“ছিলে কিন্তু আমি তোমায় ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছি।”
ইলা বুঝলো অর্ণবকে বোঝানো এখন যাবে না তাই বৃষ্টিকে টেনে নিয়ে বলল,”তোমায় না সেদিন বলে দিলাম আমার আর অর্ণবের মাঝে আসবে না তাও ঢ্যাং ঢ্যাং করে নাঁচতে নাঁচতে আমার আর অর্ণবের মাঝে এসেছো লজ্জা করে না তোমার?”
বৃষ্টি কিছু বলার আগেই অর্ণব বলে,”এই তুমি আমাদের মাঝে আসছো কেন?তুমি এক্স আর বৃষ্টি নেক্সট।”
বলেই অর্ণব ইলাকে দূরে সরিয়ে দিলো।এবার তো আর ইলা সহ্য করতেই পারলো না।ইলা তাড়াতাড়ি করে দরজার পাশে রাখা বাঁশ নিয়ে আসে। বৃষ্টি ইলার হাতে বাঁশ দেখেই অর্ণব চিৎকার দিয়ে অর্ণবের পিছনে লুকায়।ইলা বিড়বিড় করে বলে,
“কিইই আমি এক্স আর বৃষ্টি নেক্সট। এই নেক্সটের ভুত যদি মাথা থেকে না বের করতে পারি তো আমিও মিসেস.ইলা চৌধুরী নয়।”
বলেই ইলা অর্ণবের পিছনে বাঁশ নিয়ে ধাওয়া করে।অর্ণবও সারা বাড়ি দৌড়াচ্ছে।এক পর্যায়ে অর্ণব দৌড়িয়ে পিহুর পিছনে লুকায়। ইলা পিহুর কাছে আসলে পিহু অর্ণবকে আগলে রেখে ইলাকে শান্ত করার জন্য বলে,
“ইলা বেবি জাস্ট কুল ডাউন। শান্ত হ।”
“আমি কি করে শান্ত থাকবো পিহু।ওই বৃষ্টি আমার ঘর ভাঙছে আর অর্ণবও সাথ দিচ্ছে। আজ আমি ওদের দেখে নিব।”
পিহু ইলাকে ধরে চিৎকার করে বলে, “ইলা এটা প্র্যাঙ্ক ছিলো জাস্ট প্র্যাঙ্ক।শান্ত হ প্লিজ।”
“কিসের প্র্যাঙ্ক আজ যদিইইই……….কিইইইইইইইই প্র্যাঙ্ক?”
এবার উপস্থিত সবাই (সীমান্ত,বিহান,মেঘা,পিহু,অর্ণব, বৃষ্টি)সবাই হেসে দেয়।ইলা কারোর হাসির হদিস খুঁজে পাচ্ছে না।ইলা একটু রেগেই পিহুকে বলে,
“এই পিহু তোমরা হাসছো কেনো?আর কিসের প্র্যাঙ্ক?”
মেঘা হেসে বলে,”অর্ণব ভাইয়া বিয়ে করছে ঠিকই কিন্তু বৃষ্টিকে না তোকে।”
“মানে?”
“মানে কি ওকে বলছি তার আগে তুই একটু শান্ত হ।”
আজ ভোরে,
অর্ণব বেলকুনিতে খুব মনমরা হয়ে দাড়িয়ে ছিলো।সারারাত ঘুমাতে পারেনি।কি করবে না করবে কিছুই অর্ণবের মাথায় আসছে না।ঠিক তখনই সীমান্ত আর বিহান কফি নিয়ে অর্ণবের কাছে আসে।বিহান একটু মজা করেই বলে,
“কি রে ব্রো?আজ আমাদের বিয়ে আর তোর মুড অফ।ভাবির সাথে বুঝি আবার ঝগড়া হয়েছে।”
সীমান্ত আরেকটু মজা করতে বলে,”কি যে বলিস বিহান,ইলা আর অর্ণবের তো সারাদিনই ঝগড়া হয়।ওদের ঝগড়াই তো আসল ভালোবাসা কি বলিস অর্ণব?”
অর্ণব এখনো নিশ্চুপ এবার বিহান আর সীমান্তের সত্যিই সন্দেহ হয়।বিহাম সিরিয়াস হয়েই বলে,
“কি হয়েছে রে অর্ণব?তোদের কি আবার ঝগড়া হয়েছে?”
অর্ণব এবার উদাস মনে বলে,”ইলা আমাকে ভালোবাসে না রে?ও আমার কাছে মুক্তি চায়।আর আমিও তাই করে দিবো।”
সীমান্ত তাড়াতাড়ি বলে,”মানে?কি বলছিস এসব?”
“আমি ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।”
এতে বিহান বলে,”পাগল হয়েছিস তুই?ইলাও তোকে ভালোবাসে কিন্তু প্রকাশ করে নাহ।”
“না রে বাসে না।”
সীমান্ত বলে,”ওকে তোর প্রুভ চাই?”
“হুম কিন্তু কিভাবে?”
“তুই আজকে বিয়ে করবি তাও বৃষ্টিকে।”
“কিইইই ইয়ার তুই কি পাগল হয়েছিস?”
“না আমি একদম সুস্থ আছি।তবে এটা একটা নাটক আর এর রিয়েক্সন তুই দেখবি।”
বিহানও সীমান্তের সাথে তাল মিলিয়ে বলে,”ওকে দেখা যাবে। তোদের যা ইচ্ছা।”
বিহান বৃষ্টিকে ফোন করে ফোর্স করে।যেহেতু বৃষ্টির জন্যই ইলা আর অর্ণবের সম্পর্কের এই অবস্থা তাই বৃষ্টিও এতে রাজি হয়ে যায়।
____________________________
এট প্রেজেন্ট
সবটা শুনে ইলা থমকে যায়।মেঘা ইলার হুস ফিরাতে হালকা নাড়িয়ে বলে,”কি রে এখন তো এট লিস্ট প্রকাশ কর যে তুই আসলেই অর্ণব ভাইয়াকে কতোটা ভালোবাসিস।”
“আমার বয়েই গেছে লেজকাটা হনুমানকে নিজের মনের মনোভাব প্রকাশ করার জন্য।”
বলেই ইলা রেগে চলে যেতে নিলেই অর্ণব একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে ইলার সামনে হাটু গেড়ে বলে,
“কাল তো সবাই তোমাকে আমায় প্রপোজ করতে বলেছিলো কিন্তু করো নি তাই আমিই করছি।ইলা আই রিয়েলি লাভ ইউ।প্লিজ কাম ব্যাক ইন মাই লাইফ।আই নিড ইউ।”
ইলা অভিমানী কন্ঠে বলে,”কিন্তু আমি তো রাগী।”
“আমি রাগ করা বন্ধ করে দিবো?”
“আমি তো ঝগড়ুটে?”
“আমি পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করবো।”
“আমি তো হিংসুটে?”
“আমি না’হয় তোমারই রইবো।”
“আমি তো সুন্দরী না?”
“আমি না’হয় এখন থেকে মুখে মাস্ক পড়বো।”
“আমি তো পোড়া রান্না করি?”
“আমি না’হয় ভালো কুক হয়ে যাবো।”
“আমি তো চিপকুটে?”
“আমার চিপকুটে ছাড়া চলে না।”
ইলা আর কোন কথা না বলে ফুলগুলো অর্ণবের হাত থেকে নিয়ে অর্ণবকে জড়িয়ে কান্না শুরু করে দিলো।অর্ণবও ইলাকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।বিহান আর সীমান্ত খুশি হয়ে বলে,
“আজ একটা না দু’টো না পুরো তিনটে বিয়ে হবে হুরেএএএএএ।”
বলেই অর্ণব আর ইলাকে সবাই জড়িয়ে ধরে।
_______________________________
সবার বিয়েটাই ভালোয় ভালোয় হয়ে যায়।মেঘা সীমান্ত পিহু বিহানের সাথে ইলা আর অর্ণবও আবার বিয়ে করে নেয়।তখনই ফুলের বুকেট নিয়ে সবাইকে অভ্যার্থনা জানাতে ভিতরে ঢুকে।ফুলের বুকেট দিয়ে ব্যক্তিটি তার মুখ ঢেকে রেখেছে।সবাইকে এক এক করে ফুলের বুকেট দেওয়ার পরে দেখা যায় ব্যক্তিটি আবেশ ছিল।আবেশ সবাইকে বিয়ের জন্য কংগ্রাচুলেশনস বলে।বিহাম খুশি হয়ে অর্ণবকে বলে,
“জানিস অর্ণব তোর এই প্রাঙ্কের বুদ্ধি কিন্তু আমার বাহ সীমান্ত কারোরই নয়।”
অর্ণব আগ্রহ নিয়ে বলে,”তাহলে কার?”
সীমান্ত আর বিহান একসাথে হাত বাড়িয়ে বলে,”আবেশের।”
অর্ণব অবাক হয়ে বলে,”কিইইই আবেশ কিন্তু কি করে?”
ইলা অর্ণবকে প্রশ্ন করে,”কেনো আবেশ কেনো হতে পারে না?”
“কারণ আবেশ তোমায়……আসলে আমি এটা তোমায় আগে বলি নি তুমি আমায় ভুল বুঝবে তাই কিন্ত আবেশ তোমায় পছন্দ করে।”
ইলা অবাক হয়ে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে আবেশের দিকে তাকালে আবেশ মুচকি হেসে বলে,”হে আমি তোমায় পছন্দ করি কিন্তু লাভার হিসেবে নয় বন্ধু হিসেবে।আর আমার তো ওলরেডি এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে।সেই খবর জানাতেই ভার্সিটিতে গিয়ে আমার তোমার সাথে প্রথম দেখা আর কি ঝগড়া।তাই বিহান আর সীমান্ত আমাকে তোমার লাভার বানিয়ে অর্ণবকে জেলাস ফিল করাতে চেয়েছিলো যাতে অর্ণব তোমার মূল্য বুঝতে পারে যেমন টা তুমি আজ অর্ণবের মূল্য বুঝলে।”
আবেশের আসার পিছনে আর এসব কাহিনির পিছনে যে সীমান্ত আর বিহান সেটা অর্ণব শুনেই ওদের দিকে অগ্নিদৃষ্টি দেয়। বিহান সেই দৃষ্টি তুচ্ছ করে বলে,
“আরে ইয়ার আমরা তোর খারাপ করি নি ভালোই করেছি সো তোর রাগ তুইই রাখ।”
অর্ণবও আর কিছু বলতে পারে না।তবে ইলা খুব খুশি হয়।ইলা প্রকাশ্যে বলে,
“সত্যিই বিহান ভাইয়া আর সীমান্ত ভাইয়া তোমাদের অনেক ধন্যবাদ তোমার এই লেজকাটা বন্ধুকে আমার মর্ম বুঝানোর জন্য।”
সাথে সাথে সবাই হেসে দেয়
______________________________________
গভীর রাত।চারিদিকে ব্যস্ত শহর এখন নির্জীব।ইলা আর অর্ণব একটা নদীর পাড়ে বসে আছে।ইলার একটা আবদার ছিলো আজ সারা রাত ইলা আর অর্ণব চন্দ্রভ্রমণ করবে অর্ণব সেই ইচ্ছা পূরণ করতেই ধারে কাছে একটা নদীর কাছে নিয়ে এসেছে।ইলা অর্ণবের কাধে মাথা দিয়ে বলে,
“অর্ণব তুমি আমায় কত্তো ভালোবাসো?”
“হটাৎ এই প্রশ্ম?”
“উফফ বলো না?”
অর্ণব প্রথমে দু’হাত বাড়িয়ে দেয় এতে ইলা বুঝে অনেক।কিন্তু আস্তে আস্তে অর্ণব তার হাত সম্প্রারিত করতে করতে বলে,”একটু ভালোবাসি।”
ইলা একটু রেগে বলে,”কিইইই মাত্র একটু?”
অর্ণব ইলার কাছে নেশালো গলায় বলে,”হুম একটু ভালোবাসি।কোন জিনিসকে বেশি ভালোবাসলে তার প্রতি নেশা ধরে যায়।আমি চাই না আমি তোমার প্রতি নেশাক্ত হয়ে যায় আর তোমার ক্ষতি করি।আর কম ভালোবাসলে অবহেলা বেড়ে যায়।আমি তাও চাই না তাই একটু ভালোবাসি প্রিয়।”
ইলা শুধু ওহ বলে। অর্ণব পাল্টা প্রশ্ন করে,”তুমি আমায় কত্তো ভালোবাসো?”
ইলা অর্ণবকে রাগাতে বলে,”একটুও না।”
“কিইই?”
“হুম।এটিটিউড কিংকে কে ভালোবাসে।”
“ওহ আর তুমি যে মিস.বান্দরণী তার বেলা?”
“লেজকাটা হনুমান ভালো হচ্ছে না কিন্তু?”
“তা কি ভালোটা হবে মিস.ঝগড়ুটে?”
“এক নাম্বারের নির্বিশ্বাস আলী।”
“এক নাম্বারের কঁচু গাছের শাকচুন্নি।”
তারপর দুজনই মুখ ফিরিয়ে হুউউ বলে বিপরীত দিকে ঘুরে যায়।এদের ঝগড়া তো এই জীবনে শেষ হবে না৷ ঝগড়াতেই শুরু ঝগড়াতেই শেষ।
সমাপ্ত