#এক_আত্মার_আত্ম_কাহিনী [ছোট গল্প]
লেখক: Shahriar Shoaib
অনেক দিন পর গ্রামে এসেছি বেড়াতে। এখানে এসেও এতো কাজের চাপ যে গ্রাম টা ভালো ভাবে ঘুরে দেখার সুযোগ ই হচ্ছে না। আজকে আবার একটু শহরে যাওয়াতে, বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে। ঘরির কাটা ছুই ছুই, রাত এগারোটা বেজে গেছে প্রায়। রাস্তা একেবারে নিরব। এতো রাতে গাড়ি পাওয়া অসম্ভব বল্লেই চলে। গাড়ি না পাওয়ায়, হেঁটেই রওনা দিয়েছি বাড়ির দিকে।
শহর থেকে গ্রামের রাস্তায় আসার পর, কিছুদূর যেতেই মনে হলো পিছন থেকে কেউ ডাকছে।
রাতে কেউ পিছন থেকে ডাকলে নাকি তাকাতে নেই, তাই জোড়ে হাটা শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পর ডাক টা যেন একটু কাছ থেকে শুনতে পেলাম। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম ওখানেই। পাশেই কারো উপস্থিতি অনুভব করলাম। একটা অচেনা মেয়ে, খুব সুন্দর করে সেজে আছে। মনে হয় কোন বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে আসছে।
অচেনা মেয়ে: সোয়াইব সাহেব, কতক্ষণ থেকে ডাকতেছি আপনাকে, শুনতে পাচ্ছেন না নাকি।
আমি: হুম কিন্তু আপনাকে তো চিনলাম না। আর আমার নাম জানলেন কী ভাবে।
অচেনা মেয়ে: আমার পরিচয় টা না হয় পরে বলব। আর আপনি না গল্প লেখেন, তাহলে নাম জানব না কেন। চলেন হাটতে হাটতে কথা বলি।
কী যেন ভেবে আমিও হাটা শুরু করলাম, কারণ এতো রাতে একাকি হাটার চেয়ে, একজন সঙ্গী হলে মন্দ হয় না।
আমি: আচ্ছা, এতো রাতে একা কী করতেছেন
এখানে।
অচেনা মেয়ে: কারো অপেক্ষা করতেছি সোয়াইব সাহেব। যানি না, সে আসবে কিনা। তবে আমার বিশ্বাস ও আসবে।
আমি: হুম। কার জন্য অপেক্ষা করতেছেন।
অচেনা মেয়ে: সবটা বলব সোয়াইব সাহেব। আপনার গল্প গুলো পড়তে কিন্তু বেশ ভালো লাগে আমার। মাঝে মাঝেই আপনার গল্প পড়ি।
আমি: ধন্যবাদ।
অচেনা মেয়ে: আমার ও একটা কাহিনী আছে। যেটা আপনাকে বলতে চাই, যদি আপনি আমার হয়ে একটা গল্প লেখেন।
আমি: হুম, অবশ্যই লিখব।
তারপর মেয়ে টা বলতে শুরু করল,,
আমি যখন ক্লাস নাইন এ পড়ি তখন দেখা হয় আমার রোদ এর সাথে। ও আমাদের ক্লাসে নতুন আসছিল। ক্লাসের প্রথম দিন আমার আসতে একটু দেরি হওয়াতে পিছনের বেঞ্চে ওর সাথে বসতে হয় কারণ আর জায়গা ছিল না। তারপর আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম, দেখলাম ও কথা বলে কিনা। যেটা বুঝলাম, ওর মধ্যে কোন ফিলিংস ই নাই, তখন থেকে বলদের মতো বসেই আছে, তাকায় ও না। তারপর আমিই কথা বলে পরিচিত হলাম। কেন জানিনা খুব ভালো লাগে আমার রোদ কে। ছেলে টা খুব কম কথা বলে। আমি যা বলছি ওগুলোর ই উত্তর দিছে শুধু এর বাহিরে একটাও প্রশ্ন করে নি। তারপর দিন যত যেতে থাকে, রোদ সবার কাছে অনেক প্রিয় হয়ে উঠে কারণ ক্লাসের সব পড়াই পারত ও। মাঝে মাঝে আমিও পড়া বোঝার জন্য যেতাম ওর কাছে। কেন জানিনা, রোদ খুব গুরুত্ব দিত আমাকে, যেটা আমার খুব ভালো লাগতো। আমি একটু বেশি ই যেতাম এর কাছে। এভাবেই চলতে থাকে দিন গুলো। একসময় আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যাই। রোদ ও অনেক সময় দিত আমাকে। মাঝে মধ্যেই বেড়াতে যেতাম আমরা, যেটা দেখে ক্লাসের অনেকেই হিংসা করত। রোদ কে অনেক ভালো মেয়ে অফার করত কিন্তু রোদ ওগুলা কানেই নিত না। মাঝে মাঝেই এগুলো বলত আমার কাছে, এই মেয়ে এটা বলছে নানান কথা, কিন্তু কেন জেন আমার খুব খারাপ লাগত। মনে হতো হয়ত কাছের কাওকে হারিয়ে ফেলতে চলেছি। এমনকি রোদ এর পাশে অন্য কোন মেয়ে দেখলেও সেদিন রাতে আর ঘুম হতো না। এভাবেই দুটি বছর কেটে যায়। আমরা ইন্টার এ উঠি দুজনেই। পরিক্ষার রেজাল্ট ও খুব ভালো হয়। দিন গুলো খুব ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন রোদ কে একটা মেয়ের সাথে খুব হেসে কথা বলতে দেখি। কিছু না ভেবেই ওদের কাছে যাই আমি। আমি কাছে যেতেই রোদ একটু অপেক্ষা করতে বলে আমাকে। কেন জানি মনে হয়, আমার চেয়ে ওর গুরুত্বই বেশি রোদ এর কাছে। তারপর দুজনে ক্লাসে গেলাম। ঐ দিন ক্লাসে শুধু মুখ লুকিয়ে কান্না করছি, হয়ত রোদ দেখেও কিছু বলে নি। পরের দিন আবার রোদ কে ঐ মেয়ে টার সাথে কথা বলতে দেখি। সেদিন ই ভেবে নিয়েছিলাম রোদ আর আমার নেই। আমি আর রোদের কাছে না গিয়ে ক্লাসের দিকে হাটা শুরু করলাম। রোদ ক্লাসে এসে বল্লো বিকেলে দেখা করতে, কলেজ এর পাশের পার্ক টা তে। হয়ত বলবে আর আমাদের বন্ধুত্ব রাখতে পারব না। আমি বল্লাম, বন্ধুত্ব রাখতে পারবা না, এটা এখানে বল্লেই হয়, বিকেলে দেখা করার কী দরকার। রোদ কিছু টা ধমক দিয়েই বল্লো বিকেলে দেখা করতে। সেদিন অনেক কেদেঁছিলাম ক্লাস থেকে আসার পর। দুপুরে খেতেও পারি নি ঠিক মতো। তারপর বিকেলে গেলাম কলেজের পাশের পার্ক টা তে, তখন ও কাদঁতেছিলাম। দেখলাম রোদ আমার আগেই আসছে। আমি ওর কাছে যেয়ে কিছু টা দূরে সরে বসলাম, হয়ত সে আর আমার নেই। রোদ কিছু টা রাগ হয়ে বল্লো তার কাছে বসতে। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর, রোদ জানতে চাইল আমার কী হইছে। আমি চুপ করেই ছিলাম, কান্না টা আরো জোরে আসতেছিল। হয়ত আমি ভালোবাসি বল্লে, বন্ধুত্ব টাও শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সব কিছুর অবসান ঘটিয়ে রোদ আমাকে প্রপোজ করল। জানি না, হয়ত জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহুর্ত ওটাই ছিল। রোদ এর বুকে মুখ লুকাই আমি। তারপর থেকে শুরু হয় নতুন এক বন্ধন। আমার পুরো জীবন,কল্পনা সব কিছু জুড়ে শুধু রোদ ই ছিল। রোদ খুব ভালোবাসত আমাকে। সব কথা জমা রাখতাম রোদ কে বলার জন্য। ওকে দেখলেই কোন কষ্ট আর মনে থাকত না। কিন্তু হঠাৎ আম্মু বিষয় টা বুঝতে পারে, যে কারণে আব্বুর বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করে ফেলে। এর মধ্যে আমরা প্রায় এক বছর পার করে ফেলছি, দিয়েছি অনেক প্রতিশ্রুতি। তারপর রোদ কে সব খুলে বলি। জানতাম না রোদ এর সাথে ওটাই আমার শেষ দেখা। রোদ সব কিছু মেনে নিতে বল্লেও, আমার কান্না দেখে রোদ আর না করতে পারে নি। এক পর্যায় পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই আমরা। তারপর বিয়ের দিন পার্লার থেকে সেজে আর বাড়ি আসিনি। মামা তো বোন টা আমার কষ্ট বুঝতে পারছিল যে কারণে ও সব ব্যবস্তা করে দেয়। আমিও সুযোগ বুঝে পালিয়ে যাই। তারপর এখানে চলে আসি। রোদ এখানেই অপেক্ষা করতে বলছিল। এই জাগা টা আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরেই। লোকে নানান কথা বলতেছিল। ফোন ও ছিল না কাছে, রোদ কে যে ফোন দিব। দুপুরে গড়িয়ে বিকেল হয়ে আসে তবুও রোদ আসছিল না। এক পর্যায় রাত হয়ে যায়। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছিলাম না। এখন বাড়ি গেলে আব্বু আমাকে মেরেই ফেলবে। তারপর……..[ তারপর বলেই মেয়ে টা, অঝোরে কান্না শুরু করে]
আমি কিছু টা শান্তনা দিলাম মেয়ে টাকে। নিজের ও খুব খারাপ লাগতেছে।
আমি: প্লিজ কাদঁবেন না। ঐ ছেলের কাছে আমি আপনাকে নিয়ে যাব । তারপর কি হলো।
মেয়ে টা কান্না বন্ধ করে আবার বলতে শুরু করল,, তারপর আমি এখানেই আত্মহত্যা করি ঐ গাছ টাতে। যেখান থেকে আপনাকে ডাকতে ছিলাম।
[আমি কিছু টা ভয় পেয়ে তার দিকে তাকালাম।]
অচেনা মেয়ে: সোয়াইব সাহেব ভয় পাবেন না। আমি আপনার কিচ্ছু করব না।
আমি অনেক টা ভয় পেলেও, এখন আমার চোখেও অশ্রু দোল খাচ্ছে।
আমি: আচ্ছা রোদ এর বাসা কোথায় বলতে পারবেন।
অচেনা মেয়ে: হুম কিন্তু অনেক দূর।
তারপর মেয়ে টার কাছ থেকে রোদ এর ঠিকানা নিয়ে, ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসি। বাড়ি যেতে যেতে প্রায় রাত এক টা বেজে যায়। সেদিন রাতে আর ঘুম হয় নি আমার।
পরের দিন সকাল বেলা নাস্তা খেয়ে বের হয়ে যাই ঐ মেয়ে টার দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী। যেতে যেতে প্রায় দুপুর হয়ে যায়। বাস থেকে নেমে, আরো অনেক অনেকক্ষণ হাটতে হলো। তারপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাই ঠিকানায় দেয়া বাড়ি টা। দরজায় নক দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম সেখানে, কিছুক্ষণ পর এক ভদ্র মহিলা গেট খুললেন,
আমি: আসসালামুয়ালাইকুম।
ভদ্র মহিলা: ওয়ালাইকুমআসসালাম। কারে চাও বাবা।
আমি: রোদ এর সাথে একটু দেখা করব আন্টি।
এটা বলতেই উনি কান্নায় ভেঙ্গে পরলেন। মনে হলো পরিবেশ বেগতিক। তারপর উনি আমাকে ভেতরে বসতে বল্লেন। ভেতরে গেলাম বাড়ি টা বেশ সাজানো গোছানো। আমাকে একটা চেয়ার দিল বসার জন্য,
আমি: আন্টি এভাবে কাদঁতেছেন কেন, আপনাকে দেখে খারাপ লাগতেছে আমার, প্লিজ কাদঁবেন না। রোদ এর কী হইছে।
ভদ্র মহিলা: রোদ আর দুনিয়াতে নাই বাবা।
[আমি কিছু টা থমকে গেলাম। জানি না কী হচ্ছে
এসব ]
আমি: আন্টি কী ভাবে কী হলো যদি একটু বলতেন।
ভদ্র মহিলা: কিছু দিন আগে পোলা ডা এক মাইয়ারে লওনের লাইগা যাইতাছিল। আমারে বলছিল সেই কথা, আমি ওর দরজা আটকায় দিয়া রাখছিলাম পিছন থে, জানি না যাইতে পারে। কী খাওয়াইবো ঐ মাইয়া রে। সকালে দেহি ফ্যান এর লগে ঝুলতাছে পোলা ডা। আমি কী দোষ করছিলাম যানি না। পোলা ডারে এতো তাড়াতাড়ি নিল কে আল্লায়।
আমি: আন্টি প্লিজ কাদঁবেন না। আজ হোক কাল হোক, যে যাওয়ার সে তো যাবেই। ওর রুমে একটু নিয়ে যাবেন।
ওনার সাথে রোদ এর রুমে গেলাম, রুমে মনে হয় এই কয়দিন কেও আসে নি। আন্টি বার বার নিষেধ করছিল তাও আসছি। কেমন একটা গন্ধ হয়ে আছে রুম টা। জিনিস পএ গুলোও খুব এলোমেলো হয়ে আছে। মোটামুটি সব কিছু একটু ঘাটাঘাটি করে দেখলাম, তেমন কিছুই নেই। হঠাৎ ওর টেবিলের নিচের ড্রয়ার টা খুলতেই একটা ভাজ করা কাগজ দেখতে পেলাম, উপরে লেখা “মাফ করে দিও রিনি”। কাগজ টা পড়লাম কিছু টা, বুঝতে পারলাম কালকের মেয়ে টার নাম হয়ত রিনি। কাগজ টা পকেটে নিয়ে নিলাম। আর বেশি দেরি না করে ভদ্র মহিলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে গেলাম। বিকেল হয়ে গেছে প্রায়। দুপুরে কিছু খাওয়া হয় নি, একটা হোটেল থেকে কিছু খেয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলাম।
বাস থেকে নামতে প্রায় রাত নয় টা বেজে গেছে। এতো তাড়াতাড়ি ঐ মেয়ে টার দেখা পাব কিনা যানি না। তাও হাটা শুরু করলাম।
অনেকক্ষণ হাটার পর সেই জাগা টায় আসলাম যেখান থেকে মেয়ে টা আমাকে ডাকছিল কালকে। কিছু টা ভয় হচ্ছে ভিতরে। রাত দশটা বেজে গেছে। পা গুলোও খুব ব্যথা করতেছে। আশে পাশে কোনো মানুষ নেই। চিঠি তে পড়া সেই নাম ধরেই ডাক দিলাম একটু জোরে,
আমি: রিনি। এই যে মিছ রিনি আপনি কি আছেন এখানে। [ভিতরে ভয় হচ্ছে খুব]
কিছুক্ষণ পর কারো উপস্থিতি টের পেলাম আমার পাশে।
অচেনা মেয়ে: সোয়াইব সাহেব আপনি, আর আমার নাম জানলেন কী ভাবে।
আমি: সেটা অনেক কাহিনি। আগে বলেন আপনার নাম রিনি তাই তো।
অচেনা মেয়ে: হুম, তো।
আমি: আপনাকে একটা কথা বলার জন্য আসছি মিছ রিনি। কী ভাবে বলব বুঝতেছি না।
অচেনা মেয়ে: হুম বলেন, সোয়াইব সাহেব।
আমি: আপনার দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী গিয়েছিলাম আমি… [কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর] আসলে রোদ আর পৃথিবীতে নেই।
এটা বলতেই রিনি নামের অচেনা মেয়ে টা খুব জোরে কেদেঁ উঠল।
[কিছুক্ষণ পর]
আমি: প্লিজ কাদঁবেন না মিছ রিনি। আপনার জন্য রোদ কিছু রেখে গেছে।
তারপর কাগজ টা বের করে পড়া শুরু করলাম,,
প্রিয় রিনি, জানি না আমার লেখা টা কখনো তোমার কাছে পৌঁছাবে কিনা। যদি পৌঁছায় ও, হয়তো ততক্ষণে আমি আর দুনিয়াতে নেই। আমি তোমাকে নেয়ার জন্যই যাচ্ছিলাম কিন্তু আম্মু দরজা বন্ধ করে দেয় পিছন থেকে। বের হওয়ার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। অনেক বার ফোন দিয়েছি তোমাকে, কিন্তু তুমি রিসিভ করনি। যখন বুঝলাম আর তোমাকে পাব না। তখন আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেই। তুমি ভালো থাকো এটাই আমি চাই। এই জীবনে এক সাথে না থাকতে পারলেও, মৃত্যুর পরে একসাথে থাকব প্রিয়। অনেক ভালো বাসি তোমাকে রিনি।
ইতি, তোমার ভালোবাসা “রোদ”
…..দুইজন ই কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর…
[অচেনা মেয়ে]রিনি: সোয়াইব সাহেব আমার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। হয়ত সে অপেক্ষা করতেছে। আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিব জানি না।
আমি: হুম। আপনাকে অনেক মনে পড়বে।
রিনি: হুম। আমি চাই সবসময় আপনার গল্পে বেচে থাকতে। আর গল্প টা লিখতে ভুলবেন না কিন্তু।
আমি: হুম।
তারপর রিনি আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয়ে গেল।
জানি না, কেন যেন চোখ দুটো বার বার ভিজে যাচ্ছে। কেমন একটা অদৃশ্য মায়া জন্মে গেছে মেয়ে টার প্রতি। তারপর বাড়ির দিকে হাটা শুরু করলাম। আমার ও সময় শেষ। কালকে সকালের বাস টা ধরতে হবে।
সমাপ্ত