#এক_চিলতে_হাসি ০১
#আসেফা_ফেরদৌস
মামা, তোমার জন্য আমি ইফতার নিয়ে বসে থাকি জানো, তারপরও কেন আজকাল তুমি সময় মতো আসতে পারছ না?
মুনিয়ার কথাটা মনে পড়তেই ফিক করে হেসে ফেলল শিহাব। যথারীতি গত দুদিনের মতো আজও দেরি হয়ে গিয়েছে। আজান দিয়েছে একটু আগে। কিন্তু গলির রাস্তায় রিকশার জ্যামে আটকে বসে আছে শিহাব। ওর হাতে জিলাপির প্যাকেট আর আইসক্রিমের বাটি।
ইফতারে এ দুটো আইটেম মুনিয়ার ভীষণ পছন্দ। তাছাড়া এমন গরমের রোজায় ঠান্ডা ঠান্ডা আইসক্রিম হলে কার না ভালো লাগে! মুনিয়া ছোটো মানুষ, সবগুলো রোজা রাখতে পারে না এখনো, শখ করে মাঝে মাঝে রোজা রাখে।
আজকের রোজাটা রেখেছে সে। জিলাপি এবং আইসক্রিম পেলে ভীষণ খুশি হবে মেয়েটা। তাছাড়া, কাল ইফতারে জিলাপি না থাকায় ভালো কান্নাকাটি করছে মুনিয়া, শিহাবের গলা জড়িয়ে ধরে বলছিল, জিলাপি ছাড়া ইফতার করে মজা পাইনি মামা!
শিহাব ভাবছে রিকশাগুলো যেভাবে আটকে আছে বাসায় পৌঁছাতে আরো কিছুক্ষণ লেগে যাবে নিশ্চিত, আইসক্রিম বেশি গলে গেলে আবার খেতে চাইবে না মুনিয়া, তাছাড়া, জিলাপিগুলোও কেনা হয়েছে অনেক্ষণ।
না! এই ভ্যাপসা গরম আর সহ্য হচ্ছে না। মোবাইল বের করে ঘড়ি দেখতে যাচ্ছিল শিহাব, এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল। কেয়া ফোন করেছে।
ফোনটা কানে ঠেকিয়ে ও বলল, জি আপু,
কোথায় তুই?
গলির রাস্তায় আটকে আছি।
রোজা ভেঙেছিস?
হ্যাঁ
জ্যাম কেমন?
আছে!
আহারে!
বেরুবার সময় বক্সে করে খেজুর দিয়ে দিয়েছিলাম তো, মুখে দে দু একটা।
খেয়েছি একটু আগে।
ওহ্! কী মনে হয় বেশি দেরি হবে?
না তেমন একটা না, পৌঁছে যাব হয়ত একটু পরই।
আচ্ছা আয় তবে।
পনেরো মিনিট পর দরজায় কলিং বেল বাজাল শিহাব।
মুনিয়া ছুটে এসে দরজা খুলল। খুশিতে গদগদ হয়ে গিয়েছে ও। বলল, মামা, আইসক্রিম তো দেখতে পাচ্ছি, ঐ প্যাকেট কী, জিলাপি নাকি?
মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দিলো শিহাব।
ওয়াও মামা! জিলাপি, আইসক্রিম দুটোই এনেছ? কী মজা! জানো, মা না আজকে তোমার পছন্দের হালিম রান্না করেছে। জলদি এসো, তুমি কাছাকাছি পৌঁছে গেছ শুনে আমি আস্তে আস্তে ইফতার করছিলাম, এসো তাড়াতাড়ি!
মুখে হাসি ছড়িয়ে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে শিহাব বলল, সরিরে, আজকেও দেরি হয়ে গেল।
মুনিয়া হাতের জিনিসগুলো নিয়ে নিয়েছে। বলল, থাক সমস্যা নেই!
উঠে এসেছে কেয়াও। মুনিয়ার হাত থেকে জিনিসগুলো নিতে নিতে বলল, ব্যাস, হয়েছে। এবার তুমি টেবিলে যাও। মামা আসছে এক্ষুনি।
মিষ্টি হেসে ঘাড় কাত করল মুনিয়া। চেহারায় পরিতৃপ্তি। হাঁটতে শুরু করেছে সে। কেয়া শিহাবকে বলল, ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আয় জলদি!
হাতমুখ ধুয়ে ফিরতে সময় লেগেছে প্রায় আট মিনিট। প্লেটে ইফতার সাজানোই আছে। আর অপেক্ষা করতে পারছে না শিহাব। ও বসতে বসতে বলল, কী ব্যাপার, দুলাভাই কই? আজ কি উনারও লেট নাকি?
না, না, আদনানের অফিসে কী যেন কাজ আছে। বাইরে ইফতার করবে বলল। বাসায় ফিরতে দেরি হবে আজকে।
ওহ্ আচ্ছা!
একঘন্টা পর। নিজের ঘরে শুয়ে আছে শিহাব। কেয়া এসে দরজায় উঁকি দিয়ে বলল, ঘুমাচ্ছিস?
না আপু, এমনি রেস্ট নিচ্ছি, কেন কিছু বলবে?
হ্যাঁ আমি আর মুনিয়া একটু পাশের বাসায় যাচ্ছি। এই কিছুক্ষণ গল্প গুজব করব, দরজাটা লাগাবি?
পাশের বাসার ভদ্রমহিলা আর তার মেয়ের সঙ্গে তোমাদের মা মেয়ের বেশ ভাব জমেছে দেখছি! প্রায়ই গিয়ে আড্ডা দাও। সারাদিন রোজা রেখে এত এনার্জি পাও কোথা থেকে?
উত্তর না দিয়ে হাসল কেয়া। লজ্জা পেয়েছে হয়ত।
লম্বা একটা দম নিয়ে শিহাব বলল, আসছি যাও!
দরজাটা লাগিয়ে রান্নাঘরে এসেছে শিহাব। কফি বানাতে হবে। কেয়া আর মুনিয়া ফিরতে ফিরতে আধাঘণ্টা চল্লিশ মিনিটের কম লাগবে না। এই ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারলে হতো। কিন্তু মাথাটা বড্ড ধরেছে। কড়া এক মগ কফি এ মুহূর্তে জরুরি।
কিছুক্ষণ পর কফি হাতে নিয়ে ঘরে এসে ঢুকল শিহাব। জানালা খুলে দিয়েছে। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছে এতক্ষণ। বৃষ্টি থামলেও বাইরে বেশ বাতাস। জানালা দিয়ে ঝিরঝিরি বাতাস এসে ঢুকছে ঘরে। এমন আবহাওয়া চমৎকার লাগে ওর।
ঘরের লাইটটা নিভিয়ে বিছানায় আরাম করে বসে কফিতে লম্বা চুমুক দিতেই প্রানটা জুড়িয়ে গেল। জানালা দিয়ে বাইরের আলো ঘরে এসে ঢুকছে। আলো আঁধারের কেমন এক মায়াময়তা। মাঝে মাঝে এমন বৈরী আবহাওয়ায় একটু নীরবতা, একটু একাকিত্ব লালন করতে খারাপ লাগে না!
শিহাব ভাবছে ইদের বন্ধ হয়ে গেল আজ। অথচ এবারই প্রথম বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না! পড়াশোনা এবং চাকরির সুবাদে অনেক বছর ধরেই সে ঢাকায়। প্রতি ইদে যত কষ্টই হোক বাড়ি গিয়েছে। কিন্তু এবার মা বাবা চাইছেন না শিহাব বাড়ি আসুক, আসলে রোজা শুরু হবার কয়েকদিন আগেই ও জন্ডিস থেকে সেরে উঠেছে। সেজন্যই ভয় পাচ্ছেন দুজনে, কিছুতেই চাইছেন না শেষ মুহূর্তে এত মানুষের ভিড় সামালে বাসে বা ট্রেনে কষ্ট করে সে বাড়ি ফিরুক।
অনেক বুঝিয়েও লাভ হয়নি। তাঁরা রাজি নন।
ইদের পরদিন আপু দুলাভাইয়ের সঙ্গে যেতে বলেছেন বাবা। দুলাভাই আগে থেকেই পরিচিত গাড়ি ব্যবস্থা করে রেখেছেন। কাজেই সমস্যা হবে না। মূল কথা ইদটা এবার শিহাবকে ঢাকাতেই করতে হবে। ব্যাপারটা নিয়ে কেয়া এবং মুনিয়ার আনন্দের শেষ নেই। কিন্ত মনে স্বস্তি নেই শিহাবের।
কেয়ার স্বামী আদনান ঢাকায় বড়ো হয়েছে। পুরান ঢাকায় নিজের বাড়ি ওদের। আদনানের মা বাবা ছোটো ভাই সবাই সেখানেই থাকে। আগে পরিবার নিয়ে আদনানও থাকত। দুবছর হলো মিরপুরে অফিসের কাছাকাছি বাসা নিয়েছে সে। শিহাব অবশ্য মিরপুরেই আছে অনেকদিন থেকে। বন্ধুবান্ধব মিলে মেসে থাকত। কেয়া আদনান এখানে আসার পর বলতে গেলে চরম জোরাজুরি করে নিয়ে এসেছে ওকে এ বাসায়।
সে যাইহোক চিন্তাটা এখন অন্য জায়গায়। আদনান স্বাভাবিকভাবেই ইদটা কেয়া এবং মুনিয়াকে নিয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে কাটাবে। সমস্যা হলো, আপু কিংবা দুলাভাই কেউ তো আর শিহাবকে ইদের সময় একা বাসায় থাকতে দেবে না, ধরে বেধে নিয়ে যাবে সঙ্গে করে। মানে হচ্ছে দুলাভাইয়ের সঙ্গে এবারের ইদটা দুলাভাইয়ের বাড়িতে গিয়েই কাটাতে হবে।
আদনানের নিজের বাড়ি, নিজের পরিবার, আপনজনের মাঝখানে তার চমৎকার লাগবে সন্দেহ নেই, কেয়ারও খারাপ লাগার কথা নয়, কিন্তু, এমন পারিবারিক পরিবেশে শিহাবের মনটা নির্ঘাত কচকচ করবে। মা বাবার মুখ মনে পড়বে বারবার, বাবার সঙ্গে নামাজ পড়তে যাওয়া, মায়ের হাতের রান্না, আশেপাশের আত্মীয়দের বাড়ি বেড়ানো, পরিবারের সবাই মিলে হৈচৈ, এমন হাজারটা স্মৃতি মনে দোলা দিয়ে যাবে সন্দেহ নেই। থেকে থেকে এসবই মনে হচ্ছে। একটা বয়সের পর নিজের সব কষ্ট বলা যায় না আসলে।
তাছাড়া, অন্যরকম এই ইদের আরো অন্যরকম একটা গল্প আছে। খুব কাছের একজন মানুষের হঠাৎ করে দূরের কেউ হয়ে ওঠার গল্প। গল্পটা পুষ্পার।
পুষ্পার সঙ্গে চেনা জানা প্রায় দেড় বছরের। একই অফিসে কাজ করতে গিয়ে ওর সঙ্গে পরিচয়। হাসিখুশি এবং প্রচন্ড মিশুক স্বভাবের মেয়টার সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে সময় লাগেনি। এরমধ্যে একদিন কথায় কথায় আবিষ্কার করল, ওরা ব্যচমেট। দুজনের শিক্ষাবর্ষ একই। তারপর থেকেই ঘনিষ্ঠতাটা বেড়েছে ,তুই তোকারির সম্পর্ক এখন শিহাব এবং পুষ্পার।
লম্বা গড়ন, একটু শ্যামবর্ণ মায়াভরা মুখের মেয়ে পুষ্পা, যার চোখদুটো অসম্ভব সুন্দর, স্বচ্ছ। ঠোঁটে মিষ্টি একটা হাসি ওর লেগেই থাকে সবসময়।
পুষ্পাকে আর দশটা মেয়ের চেয়ে একদম ভিন্ন মনে হয় শিহাবের, মেয়েটা যেন চারপাশের পৃথিবী থেকে নিজেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখতে ভালোবাসে, তাছাড়া, লোকে কী বলল এসব নিয়ে তার খুব একটা মাথাব্যথা নেই।
বিশ্বের কোথায় কী ঘটছে তা জানতে সদা সচেষ্ট শিহাব, পত্রিকা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ গুজে থাকা স্বভাব ওর, কিন্তু পুষ্পার এসবে তেমন আগ্ৰহ নেই। তবে গল্পের বই পড়ার ঝোঁক তার প্রচন্ড।
লোক দেখানো ভাবটা একদম নেই পুষ্পার, নিজের সাদামাটা জীবন নিয়ে কোনো লজ্জা নেই। খুব সাধারণ জামা, সাধারণ সাজগোজ, নিজের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা স্মার্টফোন, এসবেই সাচ্ছন্দ্য খোঁজে মেয়েটা।
যদি একটু পরিস্কার করে বলা হয় তবে তার সাচ্ছন্দ্যের মাত্রাটা একটু অন্যরকম সবসময়। অফিসের কোনো অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার সময় সবাই যখন ছুড়ি চামচ নিয়ে ব্যস্ত তখন দিব্যি হাত দিয়ে খায় পুষ্পা, ওর নাকি এভাবে খেতেই আরাম লাগে।
তাছাড়া, কোনো কাজ কিংবা আড্ডায় তিন চারজন একসঙ্গে চা নিয়ে বসলে তো কথাই নেই। দেখা যায় সবাই হয়ত চিনি ছাড়া চা, কিংবা সামান্য চিনি দিয়ে চা খেতে পছন্দ করে। কিন্তু পুষ্পার চায়ে চিনি লাগে পুরো দু চামচ। এবং সঙ্গে তার প্রিয় বিস্কুটটা চাই। পছন্দের বিস্কুট ব্যাগে নিয়ে ঘোরে সে, যেকোনো জায়গায় ব্যাগ থেকে বিস্কুট বের করে, প্রিয় মিষ্টি চায়ে ডুবিয়ে খেতে ভালোবাসে পুষ্পা। অবস্থান যেখানেই হোক, চা শেষে পরিতৃপ্তির ঢেকুর তুলে আহা বলতে মোটেও সংকোচ হয় না ওর।
ব্যাপারটা নিয়ে সঙ্গে থাকা কেউ হাসাহাসি করলে বা বাঁকা চোখে তাকালে পুষ্পা গায়ে মাখে না মোটেও, উল্টো তাকে বলতে শোনা যায়, আরে আমি এভাবে চা খেতে ভালোবাসি, তোমারা খাও না যার যেভাবে ইচ্ছে! কে বাধা দিয়েছে, নাকি বিস্কুট লাগবে, সমস্যা নেই, নাও না, প্লিজ নাও! আসলেই আশ্চর্য মেয়ে পুষ্পা!
পুষ্পার সঙ্গে হাসি, ঠাট্টা কিংবা দুষ্টুমি সবই ভালো লাগে শিহাবের। মাঝে মাঝে দুষ্টুমির ছলে শিহাব ওর কাছে বানিয়ে বানিয়ে গল্প করে, এমনভাবে বলতে শুরু করে যেন ঘটনাটা সত্যিই ঘটেছে, কিন্তু পুষ্পার আগ্ৰহ চরমে পৌঁছালে হাসি ঠেকিয়ে রাখা যায় না। শিহাবকে উচ্ছল হাসিতে ফেটে পড়তে দেখে পুষ্পা বুঝেই যায় বোকা বনেছে সে।অথচ মেয়েটা রাগ করে না ভুলেও। উল্টো লজ্জা পেয়ে যায়। মুখে মিষ্টি একটা হাসি ফুটিয়ে বলে, ওহ! আমার সঙ্গে দূষ্টমি করছিলি তুই?
অফিসের সবার সঙ্গেই চমৎকার সম্পর্ক পুষ্পার। কাজে ভীষণ পটু, সহকর্মীদের প্রতি দায়িত্বশীল এবং অত্যন্ত বন্ধুবৎসল মেয়ে সে। তবে কেন যেন মনে হয় শিহাবের প্রতি পুষ্পা অধিকারটা একটু বেশিই খাটাতে চায়!
বিষয়টা ভালো লাগে শিহাবের, পুষ্পা তার ভীষণ ভালো বন্ধু, মেয়েটা, যখন কথা বলে, শুধু শুনতেই ইচ্ছে হয়। মনে হয় যেন সে কথা বলছে না, কবিতা আবৃত্তি করে চলেছে। তারচেয়েও বড়ো কথা শিহাবের যেকোনো কথা পুষ্পা ভীষণ মনোযোগ দিয়ে শোনে। গল্পটা এমনই তো ছিল অন্তত এতদিন!
কিন্তু হঠাৎ করেই কেমন যেন বদলে গেছে পুষ্পা, আজকাল সে শিহাবের সঙ্গে একটু দুরত্ব রেখে চলে, আড্ডা তো দূরে থাক কথা বললেও যেন জবার দিতে চায় না, প্রথম প্রথম বুঝতে পারেনি শিহাব, কিন্তু দু তিনদিন থেকে বিষয়টা চোখে খটকাচ্ছ। শফিক ভাইয়ের সঙ্গে ইদানীং খুব ভাব হয়েছে পুষ্পার, দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা সবসময়ই সমীহের ছিল, এখন কি তাহলে বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি কিছু হয়েছে? হয়তবা!
শফিক ভাই অফিসে শিহাব পুষ্পার সিনিয়র, নেহায়েত ভালো মানুষ তিনি, সহকর্মীদের যেকোনো সমস্যায় বিনা দ্বিধায় এগিয়ে আসেন শফিক ভাই। চালাকি, কুটবুদ্ধি ব্যাপারগুলো তার মধ্যে নেই। একদম সরল সোজা মানুষ, তিনি মনে যা ভাবেন মুখেও তাই বলেন।
পুষ্পা এবং শফিক ভাই পরস্পরের সঙ্গে সুখী হবেন সন্দেহ নেই, দুজনেই সাদা মনের মানুষ।
কিন্তু আজ বিকেলের একটা ঘটনায় ধাক্কা খেয়েছে শিহাব, মনটা কেমন দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ইদের আগে আজ শেষ অফিস, শিহাব পুষ্পার কাছ থেকে বিদায় নেবে ভেবেছিল, হঠাৎ চোখে পড়ল পুষ্পা এবং শফিক ভাই বেরিয়ে যাচ্ছেন। পুষ্পার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে পেছন পেছন দৌড়ে এসেছিল শিহাব, কিন্তু মেয়েটা দাঁড়ায়নি। কথা বলতে বলতে বেরিয়ে চলে গেল।
চলবে