#এক_তুমিতে_আসক্ত
#পার্টঃ০২,০৩
#Writer: #মারশিয়া_জাহান_মেঘ
পার্টঃ০২
৭.
কলিংবেল বাজতেই মিসেস মনিশা চৌধুরী দরজা খুলে দেন। দরজার ওপাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে অর্ষা। অর্ষাকে দেখেই মিসেস মনিশা জড়িয়ে ধরেন তাকে। কেমন আছিস মা? অর্ষা হাসিমুখে জবাব দেয়,”ভালো আছি খালামনি তুমি?
“হুম আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আয় আয় ভেতরে আয়। আসতে কোনো সমস্যা হয়নিতো?
” না খালামনি কোনো সমস্যা হয়নি। খালুজান আর প্রিয়ন্তি কোথায়?
‘তোর খালুজান অফিসে। আর প্রিয়ন্তি ওর একটা ফ্রেন্ডের বাসায় গেছে। একটু পরই চলে আসবে। মামনি তোর গালে কি হয়েছে [ গালে হাত দিয়ে ]
‘ অর্ষা আমতা আমতা করে বললো, কই কিছুনাতো।
“মিথ্যে বলছিস কেনো মা? বল কি হয়েছে?
” আসলে খালামনি ভার্সিটিতে আমাকে যার্গ করেছে।
“কিইইই! তাই বলে এমন ভাবে? আসুক আমার ছেলে ওকে বলে দিবো। তুই শুধু ওকে দেখিয়ে দিস কে তোকে এমনভাবে যার্গ করেছে।
অর্ষা কথা এড়াতে বললো,খালামনি আমার অনেক ক্ষুধা লাগছে খেতে দাও [ পেটে হাত দিয়ে ]
মিসেস মনিশা তড়িঘড়ি করে বললেন,হ্যাঁ হ্যাঁ চল..তোকে রুমটা দেখিয়ে দেয়। তুই ফ্রেশ হয়ে নে আমি খাবার রেডি করছি।
৮.
হে আম্মু বলো…
ওপাশ……..
কিন্তু আম্মু আমিতো
ওপাশ……
ইশ আচ্ছা আসছি। কলটা কেটে ফোনটা পকেটে রেখে প্রান্তিক বিরক্ত নিয়ে বললো, আম্মুর বোনের মেয়ে আসছে তাতে আমার কি আমি বুঝতেই পারছিনা আজব। কোন না কোন মহারাণীরে..উফ..বিরক্তির একটা হাফ ছেড়ে বাইক স্টার্ট দিলো প্রান্তিক।
৯.
দরজার ঠকঠক আওয়াজে অর্ষার ঘুম ভেঙ্গে যায়। বিছানায় আড়মোড় হয়ে মুখে হাত দিয়ে হাই তুলতে তুলতে দরজা খুলে সে। দরজা খুলতেই ভার্সিটির ওই বদমেজাজি ছেলেটাকে দেখে চোখ চড়গাছে উঠে যায় অর্ষার। অর্ষা ভীতভাবে চেয়ে বললো, আআআপ..
” হেই ইউ স্টপিড গার্ল তুমি এইখানে, আমার বাড়িতে, আমার রুমে কি করছো? আম্মু আম্মু… চিৎকার করে ডাকতে থাকে প্রান্তিক মিসেস মনিশাকে।
‘কি হয়েছে? চিৎকার করছিস কোনো?
এই মেয়ে এইখানে কি করছে?
“মিসেস মনিশা অর্ষার দিকে এক নজর তাকিয়ে হেসে বললো, আমার বোনের মেয়ে এইখানে না থেকে কি আকাশে থাকবে?
প্রান্তিক অবাক হয়ে বললো, কিইই! এই মেয়েটা তোমার বোনের মেয়ে অর্ষা!
” মিসেস মনিশা বিরক্ত নিয়ে বললো,হুম। ইশশ দিলিতো আমার লক্ষী মেয়ের ঘুমটা ভেঙ্গে। আচ্ছা তোরা কথা বল,আমি রান্নাঘরে যায় কড়াই বসিয়ে এসেছি। মনিশা চলে যেতেই অর্ষা মনে মনে জরিপ করতে থাকে, হাই আল্লাহ মালুম। অবশেষে কিনা এমন একটা বজ্জাত আমার কাজিন! নিমিষেই ভার্সিটির ঘটনাটা অর্ষার চোখে ভাসতেই মুখে মেঘের ছাপ দেখা যায়। প্রান্তিক বাঁকা হেসে মনে মনে বললো, Hey Stupid Girl You have to pay the price of long-term thirst.
অর্ষা মাথা নিচু করে আছে। প্রান্তিক ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললো, “এই যে মিস ভীতুর রাণী.. সবসময় কি এইভাবে মাথা নিচু করে রাখাই তোমার স্বভাব?
অর্ষা…. নিশ্চুপ।
এই মেয়ে শুনছোনা কি বলছি? আর তুমি আমার রুমে শুয়ে ছিলে কেনো? আর কোনো রুম পাওনি নাকি? ইশশ আমার বিছানার চাঁদরটা মেয়ের স্পর্শ পেয়েছে..অবশেষের কথাটা বেশ রসিকতা করে বলেছে প্রান্তিক।
প্রান্তিকের শেষের কথাটা অর্ষাকে বেশ লজ্জিত করে তুলেছে।
” না মানে..ইয়ে খা খাাালামনি..বলেছে তাই।
প্রান্তিক আড়চোখে অর্ষার দিকে তাকিয়ে হাতের ঘড়ি খুলতে খুলতে বললো, এইভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? যাও আমার রুম থেকে। ধমকের সুরে প্রান্তিকের কথা শুনে দৌড়ে রুম থেকে চলে যায় অর্ষা।
প্রান্তিক মিনমিনিয়ে বললো, আজব মেয়ে।
১০.
অর্ষাআআআআ…বলে চিৎকার করে দৌঁড়ে এসে অর্ষাকে জড়িয়ে ধরে প্রিয়ন্তি। অর্ষাও প্রিয়ন্তিকে মেয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,কেমন আছিসরে?
“ভালো তুই?
” এইতো ভালোই আছি।
“সরি রে…আজ ভার্সিটি যেতে পারিনি৷ তোর একা আসতে কোনো প্রবলেম হয়নিতো?
” না না কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রিয়ন্তি অর্ষার পাশে সোফায় বসে বললো, অবশ্য ভাইয়াকে আগে থেকে জানালে ভাইয়াই তোকে নিয়ে আসতো।
অর্ষা মিনমিনিয়ে বললো,হুম ওই বদমেজাজির জন্যইতো আজ কতো বড় ঘটনা ঘটলো।
“অর্ষা কিছু বললি?
” না না কই কিছু বলিনিতো।
১১.
প্রিয়ন্তি আর অর্ষা পাকন খাচ্ছে আর কার্টুন দেখে হাসাহাসি করছে। এমন সময় কেউ রিমোর্ট নিয়ে খেলার চ্যানেল দিতেই অর্ষা সামনে থাকা প্রান্তিক এর দিকে তাকায়। প্রান্তিক ডন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে সেন্টার ফ্রুট চিবোচ্ছে আর সোফায় বসেছে একদম অর্ষার পাশে। অর্ষা হোট করেই বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।
“প্রিয়ন্তি মন খারাপের ফেইস নিয়ে বললো, ভাইয়া তুমি চ্যানেল চেইঞ্জ করলে কেনো?
” এতো বড় হাতি হয়েছিস অথচ বাচ্চাদের মতো কার্টুন দেখিস? খেলা দেখ খেলা।
“প্রিয়ন্তি দাঁড়িয়ে দুই হাত কোমড়ে গুজে বললো, কিই আমি হাতি? আমি হাতি হলে..তুমি কি? তুমিতো বিড়াল।
” আমি বিড়াল হবো কেনো? আমি কি তোর কাজিন এর মতো ভীতু হয়ে থাকি নাকি? [ অর্ষার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে ]
“অর্ষা মুটেও ভীতু নয় ভাইয়া। তোমার কাছেতো অতি সাহসী মেয়েও ভীতু। আল্লাহ এই জানে তুমি নিজেকে কি ভাবো [ মুখ বেংচি কেটে ]
এই তোরা থামবি???? হঠাৎ মিসেস মনিশা চিৎকার করে কথাটা বলতেই প্রিয়ন্তি চুপসে যায়।
” মা..তোমার মেয়ের কি পড়াশোনা নাই? খালি সারাদিন কার্টুন
“ওফ প্রান্তিক তুই থামবি? তোরইবা কি দরকার ছিলো মেয়ে দুইটার মাঝে এসে খেলা দেখার।
অর্ষা বললো, খালামনি,,আম্মু কল দিয়েছিলো? মিসেস মনিশা অর্ষার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, হুম মা দিয়েছিলো। তুই ঘুমে ছিলি তাইতো আার ডাকেনি।আচ্ছা যা এশারের নামাজটা পড়ে নে। অর্ষা প্রিয়ন্তিকে নিয়ে উপরে চলে গেলো৷ আর প্রান্তিক একটু অর্ষার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।
১২.
অর্ষা,মামনি কেমন আছো?
” অর্ষা মুচকি হেসে বললো, জ্বি খালুজান ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
“হুম মা ভালো আছি।
খাবারের টেবিলে প্রান্তিক অর্ষার সামনা সামনি বসে যার ফলে অর্ষা মাথা নিচু করে খেতে থাকে। প্রান্তিক বাঁকা হেসে মুগ্ধ হয়ে দেখছে অর্ষাকে। মাথায় উড়নাটা দেওয়া। অতি সাধারণের মাঝেও কিছু একটা আছেই অর্ষার মাঝে যা অসাধারণ।
” তোমার ছেলে কি কিছু ভেবেছে? মিস্টার ফরহাদ চৌধুরীর কথায় প্রান্তিক এক পলক তার আম্মুর দিকে তাকিয়ে খেতে খেতে বললো, কি নিয়ে ভাবার কথা জানতে চাইছো আব্বু?
“তুমি কি সত্যিই বুঝছোনা নাকি বুঝতে চাইছোনা প্রান্তিক?
অর্ষা খেতে খেতে বাবা ছেলের কথা শুনে আড়চোখে একবার প্রান্তিক কে দেখলো।
” আব্বু আমি এখন বিজনেসে জয়েন করার কথা মাথায়ও আনছিনা।
“মিস্টার ফরহাদ এইবার কিছুটা গম্ভীর কন্ঠে বললো, তাহলে পড়াশোনা শেষ করিয়েছি কি এইভাবে বেকার থাকার জন্য?
” আমি বেকার থাকবো তাতো একবারো বলেনি আব্বু৷ আর আমি এখন চাইলে যে কোনো জায়গায় জয়েন করতে পারি৷ সেই সব কিছুর যোগ্যতা আমার আছে।..এইটা বলেই প্রান্তিক খাবারে হাত ধুয়ে চলে গেলো।
অর্ষা মাথা নিচু করে ফিসফিস করে প্রিয়ন্তিকে বললো, এই তোর ভাইয়ের ফরা শেষ!
“হুম কেনো তুই জানিসনা?
” না। তাহলে ওনি ভার্সিটিতে কি করে?
” আরে ভাইয়া ভার্সিটিতে যায় যেনো কেউ কোনো মেয়েকে যার্গ না করতে পারে
“অর্ষা অবাক হয়ে বললো,কিইই..আর মনে মনে ভাবলো,যেই ছেলেটা যার্গ কাউকে করতেই দেয়না। সে আমাকে যার্গ করিয়েছে!!
চলবে….
#এক_তুমিতে_আসক্ত
#পার্টঃ০৩
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ
এক_তুমিতে_আসক্ত
১৩.
রাতে প্রিয়ন্তির পাশে শুয়ে আছে অর্ষা। অর্ষা মনে মনে ভাবছে, “আচ্ছা বাবা কি আমাকে ছাড়া থাকতে পারছে? অর্ষার বাবাকে আজ তার ভীষন মনে পড়ছে। হঠাৎ বেলকনির আড়ালে অর্ষা কারো ছায়া দেখে ভরকে যায়। অর্ষা একবার ভাবলো প্রিয়ন্তিকে ডাকবে পরমুহূর্তেই ভাবলো হয়তো তার দেখার ভুল। অর্ষা ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো৷ আর এইদিকে কেউ একজন তার ঘুমন্ত চেহারার মায়া মুগ্ধ নয়নে দেখছে। যা হয়তো এই রাতের চাঁদ ছাড়া কারো চোখেই পড়লোনা।
১৪.
প্রভাতের আলো ফুটেছে মাত্র। অর্ষার কানে আযানের প্রতিধ্বনি আসতেই অর্ষা ঘুম ঘুম চোখ ঝেড়ে উঠে পরে। অযু করে নামাজ আদায় করে বেলকনিতে গেলো। কেউ নেই। রাস্তা একদম নীরব। শুধু কয়েকটা গাড়ি গোড়া চলছে। অর্ষার এই শহর কেমন যেনো অস্বস্তি লাগে। অর্ষার পছন্দ গ্রামের মেঠোপথ।
১৫.
নামাজ পড়ে প্রান্তিক বারান্দায় এসে পাশের বারান্দায় অর্ষাকে দেখে বেশ অবাক হয়ে যায়। পরক্ষণেই ভাবে হয়তো আমার মতো ও নিজেও নামাজ পড়তে উঠেছিলো। প্রান্তিক গলার হাক ছেড়ে কাশি দিয়ে বললো,” এই যে মিস ভীতুর রাণী এইখানে এইভাবে কি করছো হুম?
অর্ষা কারো গম্ভীর কন্ঠে এই কথা শুনে পাশে তাকালো। দেখলো প্রান্তিক। অর্ষা ভয়ে পিছিয়ে গেলো। বললো, আপনি!
“আমার বারান্দায় আমি না থেকে কি তুমি থাকবে?
” না তাতো বলিনি। অর্ষা আর কিছু না বলে রুমে গিয়ে বারান্দায় দরজা বন্ধ করে দিলো। প্রান্তিক হা করে তাকিয়ে বললো, এইটা কি হলো!
১৬.
অর্ষা বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে। এই লোকটাকে দেখলে অর্ষার যেনো প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অর্ষা এরপর…নিচে গেলো। সবাই এখন ঘুমে। অর্ষা পা টিপে টিপে রান্নাঘরে ঢুকে। এক কাপ কফি করলে মন্দ হয়না৷ “এই মেয়ে আমার রুমে এক কাপ কফি নিয়ে এসো” প্রান্তিকের কন্ঠ শুনে অর্ষা পিছু তাকায়। প্রান্তিক গম্ভীর মুখে খবরের কাগজ নিয়ে উপরে নিজের রুমে চলে গেলো। অর্ষা মনে মনে বলছে, যেইখানে বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধ্যো হয়।
১৭.
অর্ষা প্রান্তিকের রুমে উঁকি দিয়ে দেখলো প্রান্তিক খবরের কাগজে মুখ গুজে আছে। অর্ষা চুপচাপ দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। প্রান্তিক খবরের কাগজের দিকে মুখ দিয়েই বলছে,,”ভেতরে আসো। অর্ষা ছোট ছোট পা করে ভেতরে যায়। কফির মগটা কেবিনেটে রেখে চলে আসবে এমন সময় প্রান্তিক গম্ভীর কন্ঠে বললো,”আমি তোমাকে যেতে বলেছি?
” না মানে..
“প্রান্তিক খবরের কাগজটা রেখে কফিতে চুমুক দিতে দিতে বললো, ” ভার্সিটিতে গিয়ে এইরকম চুপচাপ থাকলে আমার থেকেও কঠোর যার্গ মানুষ করবে। এখনতো আমি আছি তাই কেউ তোমাকে না হয় কিছুই করবেনা। কিন্তু তারপর? শুনো একটা কথা বলি,, বুঝলাম তুমি শান্তসৃষ্ট কিন্তু মাঝে মাঝে শান্ত মানুষকেও রণমুর্তি ধারণ করতে হয় শুধুমাত্র তার দিকে যেনো কেউ আঙুল তুলে সেই জন্য। অর্ষা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে প্রান্তিকের দিকে। কি সুন্দর তার একেকটা কথা। কথাগুলো যে কাউকে মুগ্ধ করতে পারে। কথাগুলো শেষে প্রান্তিক দেখলো,অর্ষা তার দিকে তাকিয়ে আছে একমনে। প্রান্তিক অর্ষার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো, “প্রেমে টেমে পড়লে নাকি মিস ভীতু রাণী” অর্ষা লাফিয়ে উঠলো। সে খেয়ালই করেনি কখন প্রান্তিক তার একদম পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
১৮.
খাবার টেবিলে বসে আছে সবাই। সবাই একসাথে খাবার খাচ্ছে। কালো শার্টের সাথে কালো প্যান্ট। ওয়ালেটিং একটা ঘড়ি. অনেক মানিয়েছে প্রান্তিক কে। এইসব এতোক্ষণ পর্যবেক্ষন করছিলো অর্ষা। প্রান্তিক অর্ষার দিকে তাকাতেই অর্ষা সাথে সাথে চোখ নামিয়ে ফেললো। আর প্রান্তিক মিনমিনিয়ে হাসে। প্রান্তিক খাবার টেবিল থেকে উঠে হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তাড়াহুড়ো করে বললো, “এই প্রিয়ন্তি তোরা তাড়াতাড়ি খেয়ে আয়। আমি গাড়িতে ওয়েট করছি।
১৯.
অর্ষার খাওয়া শেষ প্রিয়ন্তির আগে তাই সে তাড়াতাড়ি বাইরে গেলো। গিয়ে দেখে..গাড়িতে হেলান দিয়ে ফোন টিপছে প্রান্তিক। অর্ষা প্রান্তিক কে দেখে ফিরে চলে আসবে,এমন সময় প্রান্তিক বললো,” এই যে মিস ভীতু রাণী”কোথায় যাচ্ছো হুম? এইখানে আসো। প্রান্তিক পকেটে ফোনটা রেখে..অর্ষার একদম সামনে এসে দাঁড়ালো। অর্ষা ভীতভাবে চেয়ে আছে..প্রান্তিক এর দিকে। প্রান্তিক অর্ষার দিকে একমনে তাকিয়ে বললো, ” এইভাবে তাকাচ্ছো কেনো হুম? এইভাবে তাকিয়ে কি তুমি আমায় হসপিটালের বেডে পাঠাতে চাও? নেশাভরা কন্ঠে প্রান্তিকের এই কথাটা অর্ষার হার্টবিট বাড়িয়ে দিচ্ছে। অর্ষা কথার মানেটা না বুঝতে পেরে বললো,মানে?
“মানে হলো, তোমার চোখগুলোতো টেরা টেরা..এই টেরা চোখের চাহনি দেখেতো যে কেউ হার্টএটেক করবে। প্রান্তিকের কথা শুনে সাথে সাথে অর্ষার মুখে কালো মেঘ ঘেরা দিলো। প্রান্তিক বুঝতে পেরে বাঁকা একটু হাসলো অর্ষার অগোচরে। প্রিয়ন্তি আসছে দেখে প্রান্তিক যথা সম্ভব পিছু হটলো। প্রিয়ন্তি গাড়ির পেছনের সিটে বসতেই অর্ষা…পিছনের সিটে বসতে যাবে তার আগেই..প্রান্তিক শক্ত কন্ঠে বললো, অর্ষা সামনের সিটে বসো৷ কে শুনে কার কথা! অর্ষা প্রান্তিকের কথা পাত্তা না দিয়ে প্রিয়ন্তির পাশেই বসলো। প্রান্তিক চোখ লাল করে ড্রাইভিং সিটে বসে ড্রাইভ করছে। আর ছোট আয়নায় বার বার অর্ষাকে রাগী চোখ নিয়ে দেখছে। অর্ষা একবার আয়নায় প্রান্তিকের রাগী চেহারা দেখেই ঘাবরে যায়। আর এইদিকে প্রান্তিক গম্ভীর হয়ে গাড়ি ড্রাইভ করছে আর মনে মনে বলছে, ” আমার কথা না শুনার শাস্তিতো তোমাকে পেতেই হবে প্রিয়শিনী”
চলবে..