এখানে বেলি ফুলের মালা-২

0
476

এখানে বেলি ফুলের মালা-২
————————-

গলির মোড়ে থাকা চায়ের দোকানে বসে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে আর চায়ের কাপে চুমুক বসাচ্ছে সরাব। বন্ধুরা তাকে নিয়ে আর বিনীকে নিয়ে রসালো রসালো ঘটনা সাজাচ্ছে। এই ধরুন তাদের বিয়ের পরের জীবন কেমনটা হতে পারে। সরাবও সেসবে মুচকি মুচকি হাসছে আর মাথা দুলোচ্ছে। সে যখন বন্ধুদের রসালো আলাপ শুনতে ব্যস্ত তখনই অনির্বাণ দৌড়ে এলো।

বন্ধু অনির্বাণকে দৌড়ে আসতে দেখে উঠে দাড়ালো সরাব। বন্ধুর কাধে হাত রেখে বলল ‘ কিরে এভাবে ছুটছিস কেন ? ‘ বন্ধু তখন এতটা পথ দৌড়ে আসায় হাঁটুতে হাত রেখে হাপাচ্ছে। কিন্তু সরাবের কথায় সোজা হয়ে ধারালো। বুকের উঠতি নামতি নিঃশ্বাসে নিয়ন্ত্রণ আনার বৃথা চেষ্টা চালিয়ে সরাবের হাতে বিয়ের জমকালো কার্ড ধরিয়ে দিল। সরাব অবাক হয়ে তাকিয়ে একবার কার্ডটা দেখলো আরেকবার বন্ধুকে দেখলো। তারপর কোনো কথা না বলে কার্ডটা খুললো।

বিয়ের জমকালো সাজে সজ্জিত কার্ডটা বের করে কনের জায়গায় বিনীদৃতা মাহিরাত নূর আর বরের জায়গায় আবির হাসানের নাম দেখে সরাবের চঞ্চল চোখ জোড়া থমকে গেলো। সে অসার ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে লাল সোনালী রঙের মোড়কে মোড়ানো কার্ডটার দিকে। ক্ষনিকের মাঝেই কার্ডটা তার হাত থেকে পড়ে ভুলন্ঠিত হলো। বন্ধুর এমন অবস্থা দেখে সরাবের আরেকজন বন্ধু আশফাক কার্ডটা তুলে বাকি বন্ধুদের নিয়ে কার্ডটা দেখলো। কনের জায়গায় বিনীর নাম দেখে তারাও হতবাক। অথচ এই কিছুক্ষণ আগেই এই বিনী আর প্রাণপ্রিয় বন্ধু সরাবকে ঘিরে কত রোমাঞ্চকর কথা চলছিল তাদের মাঝে।

‘ সরাব আঙ্কেল মনে হয় তোর আর বিনীদৃতার ব্যাপারে কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছেন। তাই সবার অলক্ষ্যে দীর্ঘ এক মাস কথাবার্তা চালিয়ে অবশেষে আজ বিনীদৃতার বিয়ে দিচ্ছেন। মনে আছে তোকে বলেছিলাম তুই যখন ব্যবসার কাজে গ্রামে গেছিলি তখন দুটো কালো গাড়ি এসেছিল এক মাস আগে ? আমার মনে হয় ওরা পাত্রপক্ষই ছিল। ‘ অনির্বাণ দ্রুত গতিতে পেটের ভিতর যা ছিল সব উগড়ে দিয়ে বললো যেন সব তার আগে থেকেই মুখস্ত ছিল।

তবে বিনীর বিয়ের কথা শুনে খানিকটা গম্ভীর হয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো পরিবর্তনই চোখে পড়লো না সরাবের মাঝে। সে বেশ শান্ত ভঙ্গিতেই দোকানের বেঞ্চে বসে দোকানিকে আরেক কাপ লাল চা দিতে বলল। বস্তুত সে দুধ চা খায় না কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে লাল চা খাওয়ার একটা বদ অভ্যাস আছে তার। সে তার উরুর উপর হাত দুটো জড়ো করে শান্ত ভঙ্গিতেই বললো ‘ পাত্রকে চিনিস ? কি করে সে ? ‘

সরাবের এহেন ধারার কথায় সকলেই যেন পিলে চমকে উঠলো। এখন যা পরিস্থিতি তাতে সরাবের উচিত বিনীদৃতার বাবার কাছে ছুটে যাওয়া এবং তার পায়ে পড়ে তার মেয়েকে ভিক্ষা চাওয়া। অথচ সরাব স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বসে আছে। আশফাক ধারণা করলো সরাব কি তবে বিনীদৃতার বিরহে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে গেলো। সে অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলো ‘ তুই এত স্বাভাবিক কি করে আছিস ? তোর খারাপ লাগছে না বিনীদৃতার বিয়ে হয়ে যাবে বলে ? তোর তো উচিত ওর বাবার কাছে পা ধরে ওকে ভিক্ষা চাওয়া। ‘

‘ আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি আশফাক। খারাপ লাগছে বৈকি কিন্তু বিনীর বাবার পা ধরে তাকে ভিক্ষা চাওয়ার কোনো মানে হয়না। কি বলবো উনাকে ? যে উনার মেয়েকে আমি পছন্দ করি তাই বিয়ে করতে চাই ? অথচ উনার মেয়ে কি আমাকে আদৌ পছন্দ করে ? তাহলে এক পাক্ষিক অনুভূতির উপর ভিত্তি করে এত বড় নাট্য রচনা কেন করবো ? ‘ সরাব বেশ শান্ত ভঙ্গিতেই দোকানির দেওয়া লাল চায়ে চুমুক দিয়ে কথাগুলো বললো।

‘ বিনীদৃতা তোকে পছন্দ করে না মানে ? তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে ? তুই এসব কি বলছিস ? পছন্দ না করলে ভার্সিটি আসতে যেতে তোর দিকে তাকিয়ে হাসবে কেন ? ‘ অনির্বাণ অবাক হয়ে বলল।

‘ অবশ্যই পছন্দ করে কিন্তু সেটা অন্যরকম। এই পছন্দ বিয়ে করে সারাজীবন একসাথে থাকার মতো পছন্দ নয়। তাছাড়া ইন্টার পাশ ছেলেকে ওর মতো অনার্স পাশ মেয়ে কেনই বা বিয়ে করবে ? আমার কি আছে ? ডিগ্রী বলতে ওই মেট্রিক ইন্টারে শুধুমাত্র প্রথম স্থান অধিকারের সম্মাননা আর কাপড়ের ব্যবসার দোকান। ইন্টার পাশ ব্যবসায়ী ছেলেকে বিয়ে করে ও সারাজীবন কষ্ট করে পার করবে এটা ভাবা বাড়াবাড়ি নয়কি ? ভুলটা আমার… বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়াতে চেয়েছি। দেখিস বিয়ের পর দুই দিনেই স্বামীকে চোখে হারাবে। কই অনির্বাণ বললি না যে পাত্র কেমন ? আঙ্কেল নিশ্চই দেখেটেখে বড়লোক পাত্র ঠিক করেছেন। ‘

বন্ধুর কথায় অনির্বাণের বেশ মায়া হলো। ছেলেটা এই বয়সে কতই না কষ্ট করেছে। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে সরাব। সম্বল হিসেবে সুদর্শন চেহারা আর বাবার কাপড়ের দোকানটাই আছে। ওর বাবা মারা গেছে বছর ছয়েক আগে। হুট করে নিরাপদ আশ্রয় হারিয়ে সরাব যেন অথৈ সাগরেই পড়েছিল। যার দরুন সংসারের হাল ধরতে ইন্টারের পরই পড়াশোনা ছেড়ে বাবার ব্যবসায় হাত দেয়।

সেই থেকে এই পর্যন্ত ব্যবসা করে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি ঘটিয়েছে সরাব। সরাবের ঘরে মা আর বোন আছে। বোনকে বিয়ে দিয়েছে বছর দুয়েক আগে। ভাগ্যক্রমে বোন তার সুপাত্রেই গেছে তাই এখন সংসার ভালই চলছে। তবে তার মায়ের অবস্থা তেমন ভালো নয়। তিনি ডায়াবেটিসের রোগী বলে ভীষন নিয়ম মেনে চলতে হয় যার কারণে পছন্দের খাবারগুলো সীমিত পরিমাণ খেতে পারেন। আর মন মতো খেতে না পারার কারণেই সেই রাগ সরাবের উপর তুলেন। সারাদিন শেষে বাড়ি ফিরেও সরাব শান্তি পায় না মায়ের চেঁচামেচির তালে। বাধ্য হয়ে নিজের ঘরে কানে বালিশ দিয়ে পড়ে থাকে।

‘ পাত্রকে ঠিক চিনি না কিন্তু এলাকার বড় ভাইদের কাছে শুনেছি পাত্র নাকি ডাক্তার। এই শহরেই থাকে পুরো পরিবার নিয়ে। যৌথ পরিবার তার। ডাক্তার হিসেবে তার অনেক নাম। দাতের ডাক্তার। নাম আবির হাসান। ‘ অনির্বাণ ইতস্তত ভঙ্গিতে বলল। কথাগুলো বলতে তার কেমন অসস্তি করছে। হয়তো প্রাণের প্রিয় বন্ধুকে তার ভালবাসার মানুষটার বিয়ের কথা বলা প্রকৃত বন্ধুর পক্ষে কখনোই এত সহজ না । অনির্বাণের কথায় সরাব স্রেফ হাসলো তারপর দোকানির টাকা মিটিয়ে হাঁটা ধরলো।

বিনীদের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে সরাব। তার পাশেই আড়ষ্ট ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছে অনির্বাণ। সে যদি আগে বুঝত সরাব এখানে আসবে তাহলে কিছুতেই আসতে দিত না। সে টের পেলো যখন সরাব বাড়ির সামনে এসে দাড়ালো। এখন চাইলেও সে সরাবকে ফেরাতে পারবে না।

শত শত রঙিন আলোক সজ্জার ভিড়ে সেজে উঠা জমকালো সফেদ বাড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে সরাব। বাড়িটা বিনীদের। আগে কত শত এখানে এসেছে শুধুমাত্র বিনীকে একটু চোখের দেখা দেখবে বলে। অথচ আজ থেকে আর সেই অধিকারটাও থাকবে না তার। কথাটা ভাবলেই সরাবের কষ্টে বুকটা পাথর হয়ে উঠে। হাজার দুঃখ কষ্টে জর্জরিত হয়ে তার মন আর চোখ দুটোই পাথর হয়ে গেছে। তাই এখন আর শত কষ্টের স্পর্শেও তার চোখ বেয়ে নোনাজল গড়ায় না।

‘ আর কতক্ষন দাড়িয়ে থাকবি সরাব ? চল এখান থেকে… এখানে দাড়িয়ে থাকলে বিনীদৃতা আসবে না। সে এখন আর তোর নেই । ‘ বন্ধুর কাধে হাত রেখে বলল অনির্বাণ। অনির্বাণের কথায় মৃদু হাসলো সরাব। মৃদু গলায় বললো ‘ বিনী কবে আমার ছিল যে তার বিয়ে হলে সে আর আমার হবে না ? ‘

বন্ধুর কথায় জবাব দিলো না অনির্বাণ। শুধু অবাক হয়ে চেয়ে রইলো সরাবের মুখ পানে। এই কি সেই ভদ্র ছেলেটা যাকে একটু দুঃখ কষ্ট ছুঁলেই তার বাবা বাড়ি মাথায় তুলতো ? অথচ আজ এই ছেলেটাই জীবনের সবথেকে বড় কষ্ট পেয়ে জমে শক্ত পাথর হয়ে গেছে। মানুষের কত রূপ তাইনা ? জীবনের এক এক পরিস্থিতি তাকে কত রূপ দিয়েছে। পানিকে যেমন একেক পাত্রে রাখলে একেক আকার ধারণ করে তেমনি মানুষও জীবনের একেক পরিস্থিতি একেক রূপ ধারণ করে।

—-

বাড়িতে বরের আগমনে বাড়ির প্রতিটা কণা মুখরিত হচ্ছে হরেক রকমের গানের তালে। বাড়িতে উপস্থিত সকল তরুণ তরুণীই গানের তালে তাল মিলিয়ে সুর তুলছে। কেউ মিষ্টি ও সুরেলা গলায় আবার কেউ কাকের গলায়। যেভাবেই হোক গান গেয়ে প্রতিভা প্রদর্শন প্রতিযোগিতায় সকলেই নাম লিখিয়েছে। এমন কি আবিরের চাচাতো ভাই বোন জাদিদ, জাবিয়া ও আবিরের বড় ভাইয়ের মেয়ে জুহারিনও। জুহারিন তার বাচ্চা বাচ্চা গলায় ভাঙ্গা ভাঙ্গা উচ্চারণ করছে।

তবে সালমা ইসলাম কড়া করে আদেশ জারি করেছেন যেন কোনো মেয়ে মানুষ গানের তালে কোমর না দোলায়। এতগুলো মানুষের সামনে মেয়েদের নাচানাচির ব্যাপারটা উনার কাছে চক্ষুশূল ব্যাপার। উনার মনে হয় এসব বাইজিদের কাজ। হাজার লোকের সামনে কোমর দোলানো কোনো ভদ্র ঘরের মেয়ের কাজ হতে পারে না।

মায়ের আদেশে আসফিয়া তো বটেই তার মামাতো, ফুপাতো, খালাতো যত ধরনের ভাই বোন আছে সকলেই বেশ তক্কে তক্কে আছে। তারা কিছুতেই আদরের বোনের বিয়েতে কোনো ঝামেলা তৈরি করতে চাননা। আসফিয়া হলো তার নানা দাদার বাড়িতে সবার ছোট। তার আগে হলো বিনীদৃতা। কাজেই অনেকটা সবার ছোট বোন হওয়ায় তার প্রতি সবার ভালোবাসাটাও বেশি। এমন কি সে তার ছোটো বোনের কাছেও বেশ সমাদৃত।

অবশেষে আষাঢ় মাসের পনেরো তারিখ বিকাল পাঁচটা বেজে কুড়ি মিনিটে বিনীদৃতার বিয়েটা হয়ে গেলো। বিয়ে হতেই এতক্ষণ মন খারাপের মেঘ কাটিয়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো। বিয়ের পরপরই বৃষ্টি যেন শুভ সংকেত। সব মেয়েরা শাড়ির কুচি তুলে দিলো দৌড় ছাদের দিকে। ছাদে উঠতেই সকলে বৃষ্টিতে ভিজে জবজবে হয়ে গেলো। মেয়েরা বৃষ্টিতে ভিজছে বলে ছাদে ছেলেদের উঠতে নিষেধ করা হয়েছে। ছাদের চারদিকে উচুঁ দেওয়াল দিয়ে ব্যারিকেট করা বলে মেয়েদের বৃষ্টি ভেজা নাচ আশেপাশের কারোর নজরে পড়ছে না।

আসফিয়া তার আত্মীয় বোন ও সখীদের নিয়ে ছাদে বৃষ্টিতে নাচছে। তার সঙ্গে বিনীর ননদেরাও আছে। বিনীর ননাস লিমা আসেনি তার ছেলের জ্বর বলে। আবিরের তরফ থেকে আত্মীয় বলতে আবিরের চাচাতো ভাই বোন আর আবিরের বড় ভাই তার পরিবার নিয়ে এসেছে। আবির, তার ভাই আনিস আর জহির সাহেব(বিনীর বাবা) বাড়ির ভিতরেই নিচ তলায় কথা বলছেন। জহির সাহেব বারবার আবিরের হাত ধরে কিছু একটা বলছেন আর চোখের পানি মুছছেন।

স্বামীকে কাদতে দেখেও এগিয়ে গিয়ে কিছু বললেন না সালমা ইসলাম। মেয়েকে যৌথ পরিবারে বিয়ে দেওয়ায় উনি এখনও স্বামীর উপর চোটে আছেন। তাই উনি স্বামীর এহেন অসহায় পরিস্থিতি দেখেও ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলেন। উনি সিড়ি দিয়ে উঠে গিয়ে ছাদে গেলেন মেয়েকে দেখতে। বিনী ছাদের চিলেকোঠার ঘরের পাশে দাড়িয়েই বোনদের নাচ দেখছিল। তাকে বেশ কয়বার ডেকেছে তার ননদ জাবিয়া। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজলে তার ঠান্ডা লেগে যায় এই অজুহাতে সে প্রস্তাব নাখোচ করেছে।

মেয়েকে একলা শুকনো মুখে দাড়িয়ে থাকতে দেখে সালমা ইসলাম বললেন ‘ কিরে তুই বৃষ্টিতে ভিজলি না ? তোর না বৃষ্টিতে ভেজা পছন্দ ? ‘

‘ ইচ্ছে করছে না মা… ‘ বিনী স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দিলো।

মেয়ের কথায় সালমা ইসলামের অশান্ত মন আরও অশান্ত হলো। উনি জানেন বিনী স্বেচ্ছায় বিয়েটা করেনি। শুধু বাবার কথার অবাধ্য হবে না বলেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়েটা করে নিয়েছে। কিন্তু এই জোরজবরদস্তির বিয়ের ভবিষ্যৎ কী হবে উনি জানেন না। সেটা ভাবতে গিয়েই উনার মনটা ক্রমশ আরও খারাপ হচ্ছে। তবুও উনি নিজেকে শান্ত করলেন। মেয়ের কাধে হাত রেখে বললেন ‘ বাবার উপর রাগ করিস না মা। আমি জানি তুই বিয়েটা নিজের ইচ্ছায় করিসনি। কিন্তু বাবা মা যা করে ছেলে মেয়েদের ভালোর জন্যই করে। তাই তুই তোর জীবনে ভবিষ্যতে অনেক সুখী হবি এটাই দোয়া করি। ‘

বিনী শুনলো তার মায়ের কথা কিন্তু উত্তর দিল না। সে এক মনে বোনের নাচ দেখছে। তার আশ্চর্য লাগছে রোজ যেই বোনের মুখ দেখে তার দিন শুরু হয় কাল থেকে সেই বোনকেই দেখতে পাবে না। অথচ কাল থেকে এক অচেনা, অজানা মানুষের মুখ দেখেই তাকে দিন শুরু করতে হবে যার সঙ্গে তার ক্ষণিক আগেই বিয়ে হয়েছে।

~ চলবে ইনশাআল্লাহ্….
মিফতা তিমু

ছবিয়াল: Maksuda Ratna
( প্রথম পর্বেই আপনাদের সকলের উৎসাহী মনোভাব এবং বড় মন্তব্য পেয়ে আমি খুবই আপ্লুত। আশা করি আপনারা এভাবেই আমার পাশে থাকবেন। এই উপন্যাস যেহেতু ১৯৯০ দশকের উপর ভিত্তি করে তাই লেখাটা একটু কঠিন তবে আমি প্রাণপণে চেষ্টা করছি আমার নির্দিষ্ট কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কিছু ট্রাই করতে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here