ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে,পর্বঃ১২
অরিত্রিকা আহানা
কেবিনের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো নির্ঝর। তার বুকটা এখনো ধড়ফড় করছে। বেডের দিকে চোখ পড়তেই দেখলো কপালের ওপর হাত রেখে চোখবন্ধ করে শুয়ে ছিলো ভ্রমর। দরজা খোলার শব্দ পেয়ে চোখ খুললো। ক্লান্ত, বিষণ্ণমুখে নির্ঝরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হলো সে। স্বপ্নেও দেখছে নাকি সত্যি বিশ্বাস করতে পারছিলো না। ভ্রু জোড়া কিঞ্চিৎ বাঁকিয়ে নিলো। নির্ঝর সামনে এসে চেয়ারে টেনে বেডের পাশে বসলো। মুচকি হেসে বললো,’এখন কি একটু ভালো লাগছে?’
ভ্রমর তখনো ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে ছিলো। নির্ঝরের গলার আওয়াজ পেয়ে ধ্যান ভাংলো! সত্যি সত্যি নির্ঝর তাঁর সামনে বসে আছে! মুহূর্তেই মুখ ফিরিয়ে নিলো সে। গম্ভীর গলায় বললো,’আপনি এখানে?’
স্পষ্টত রাগ ভ্রনরের কন্ঠে! নির্ঝর সাথে সাথেই জবাব দিলো না। ভ্রমরের মুখের দিকে তাকিয়ে তার রাগের পাল্লাটা পরিমাপ করে নিতে চাইলো। মিনিটখানেক বাদে নরম,কোমল, মোলায়েম কন্ঠে বললো,’তোমার অসুস্থতার খবর শুনে এসেছি। মাও এসেছেন। বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।’
-‘কেন এসেছেন? আমি অসুস্থ হলে আপনার কি?’
নির্ঝর পলকহীন ভাবে চেয়ে রইলো তাঁর অভিমানিনীর দিকে। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,’তুমি অসুস্থ হলে যে আমার কি সেটা তো তুমি ভালো করেই জানো ভ্রমর!’
-‘না জানি না। জানার প্রয়োজনও মনে করি। সব প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।’
-‘এসব তোমার অভিমানের কথা।’
-‘মোটেও অভিমান হয়। আপনার ওপর কেন অভিমান করতে যাবো আমি? অভিমান করার মত অধিকার কখনো দিয়েছেন আমায়? আমি আপনাকে ঘৃণা করি। ভীষণভাবে ঘৃণা করি! আই হেইট ইউ মি. নির্ঝর রহমান! আপনি একটা নিষ্ঠুর, পাষাণ!’
-‘শান্ত হও ভ্রমর! তুমি অসুস্থ!’
শান্ত হলো না ভ্রমর। রাগে অভিমানে,চেঁচিয়ে উঠে বললো,’আপনি বেরিয়ে যান। কেন এসেছেন এখানে? লোকদেখাতে এসেছেন?’
গায়ে এখনো জ্বর নির্ঝরের। বমি আসছে তাঁর! মাথাটা টনটন করছে। তথাপি ভ্রমরের প্রশ্নের জবাবে শান্ত গলায় বললো,’লোকদেখানোর হলে তো অনেক আগেই দেখাতাম ভ্রমর?’
নির্ঝরের মুখের দিকে তাকিয়ে ভ্রমর থমকে গেলো। মানুষটার শরীর খারাপ? অসহায় কন্ঠে বললো,’তবে কেন এসেছেন?
-‘তুমি যেই কারণে বারবার আমার কাছে ছুটে গিয়েছিলে আমিও ঠিক সেই কারণেই তোমার কাছে এসেছি!’
-‘তারমানে আপনি বলতে চান আপনি আমাকে ভালোবাসেন?’
-‘বলতে চাই না ভ্রমর। আমি তোমাকে সত্যিই ভালোবাসি।’
নিরবে আরো কিছুক্ষন নির্ঝরের মুখের দিকে চেয়ে রইলো ভ্রমর! তাঁর মুখ থেকে ভালোবাসি শোনার জন্য কতবার বেহায়ার মত, নির্লজ্জের মত তাঁর কাছে ছুটে গিয়েছিলো ভ্রমর! তখন মানুষটার এক ফোঁটাও মায়া হয় নি! অথচ আজ যখন ভ্রমর মন মস্তিষ্ক সব মানুষটার দিক থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য তৈরী করে নিয়েছে তখন সে এসে বলছে,’আমি তোমাকে ভালোবাসি!’ কিন্তু তবুও ভ্রমরের ভালো লাগছে! এই লজ্জাজনক সত্যিটা ভ্রমর স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু হায়! তার মনটা যে এখনো নির্ঝরের কাছেই পড়ে আছে। নির্ঝরের মত সে নিজের দুঃখটুকু চেপে রাখতে পারলো না। টুপ করে দুফোঁটা অশ্রুবিন্দু গড়িয়ে পড়লো চোখ থেকে। শীতল কন্ঠে বললো,’ এখন আর আমি চাই না আপনার ভালোবাসা। নিজের। জায়গাটা আমি বুঝে গেছি। তাই,আপনাকে আর আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না।’
নির্ঝর হতাশ,করুণ গলায় বললো,’তোমরা সবাই মিলে যদি আমাকে টর্চার করো তবে আমি কার কাছে যাবো ভ্রমর?’
-‘টর্চার আমি আপনাকে করেছি? আমি? আপনাকে পাওয়ার জন্য আমি আত্মীয়স্বজন সবার কাছে নিজেকে ছোট করেছি, আপনাকে ভালোবেসে সমস্ত দুর্নাম, অপবাদের বোঝা আমি মাথায় নিয়েছি! এরপরেও আপনি বলছেন আমি আপনাকে টর্চার করছি?’ এইটুকু বলে থামলো ভ্রমর। পুনরায় দম নিয়ে বললো,’অবশ্য আগে না বুঝলেও এখন বুঝতে পারি, আমার ভালোবাসা তো আপনার কাছে টর্চারই ছিলো।কারণ আপনি তো কখনো আমাকে ভালোবাসেন নি!’ এই কথার জবাবে নির্ঝর কিছু বলতে যাচ্ছিলো ভ্রমর তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বললো,’একটা কথা বলুন তো,সত্যিই কি আপনার হৃদয় বলে কিছু আছে?, আমার তো মনে হয় না? থাকলে এতকিছুর পরেও কেন আমি আপনাকে পেলাম না?’
নির্ঝর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,’তুমি আমাকে পেয়েছো ভ্রমর। অনেক আগেই পেয়েছো। কিন্তু বলার মত সুযোগ আমার ছিলো না।’
কথাটা একেবারে কলিজায় গিয়ে লাগলো ভ্রমরের। কিন্তু প্রকাশ করলো না। বিস্মিত কন্ঠে বলল,’এতদিন সুযোগ ছিলো না। আজকে হঠাৎ করেই সুযোগ চলে এলো? সত্যি করে বলুন তো এসেছেন আপনি? উদ্দেশ্যটা কি আপনার?
-‘আমার কোন উদ্দেশ্য নেই।
-‘ভালোবাসেন আমাকে! এইকথা আমাকে বিশ্বাস করতে বলছেন? আর কিছুদিন আগে হলেও হয়ত আমি কথাটা বিশ্বাস করতাম কিন্তু এখন করি না। কারণ আপনি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসতেন তবে একটু হলেও আমাকে বুঝতেন। আমার কষ্টগুলো অনুভব করতে পারতেন! পাগলের মত যখন আপনার ঘরে দরজায় ছুটে গেছিলাম তখন নির্লজ্জ, জঘন্য বাক্যবিস্ফোরণে আমার ভেতরটা লজ্জায় অপমানে কুঁকড়ে দিতে পারতেন না! সুতরাং এখন আর এসব বলে কোন লাভ নেই। আমি এসব শুনতে চাই না।
নির্ঝর জবাব না দিয়ে শুকনো ঢোক গিললো। ভ্রমরের এতগুলো অভিযোগের পরেও সে মুখ ফুটে এটুকু বলতে পারলো না,’সত্যিটা তুমি তোমার অজানা নয় ভ্রমর! কারণ তুমি আমাকে ভালোবেসেছো, আমার মনের অব্যক্ত কথাগুলো অকপটে পড়ে নিয়েছো। তাই আমি জানি, তোমার সমস্ত দুঃখ,কষ্ট অপমান যে তোমার চাইতে বেশি আমাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে সেটুকুও তোমার অজানা নয়!’ কিন্তু বলতে পারলো না নির্ঝর! ভালোবাসার প্রকাশ যে তার স্বভাবে নেই। নিরবে ভ্রমরের সকল অভিযোগের দায়ভার মাথায় তুলে নিলো সে।
নারীপ্রেম বড়ই অদ্ভুত! শুনতে চাই না, শুনতে চাই না করে এসবই শুনতে চাইছিলো ভ্রমর। মনে প্রাণে চাইছিলো মানুষটা তার কাছে ছোট হোক, নিজের মনের সমস্ত কথা বলে দিক! কিন্তু তা যখন হলো না হতাশা,অভিমানে, তীব্র আঘাতে নির্ঝরের ভেতরটাকে খন্ড বিখন্ড করে দিতে চাইলো সে।চোখেমুখে একরাশ ঘৃণা,অবজ্ঞা, তিরস্কার ফুটিয়ে বললো,’আমার মত একটা মেয়েকে হঠাৎ করেই আপনার ভালোবাসার ইচ্ছে হলো কেন সেটা জানতে পারি? কারণটা কি তবে আমার শরীরের সুন্দর সুন্দর কার্ভগুলো? যেগুলো দিয়ে আপনার ভাষ্যমতে, সমস্ত পৃথিবীটাকে জয় করে নিতে পারি আমি?
তীব্র অপমানে, বেদনায় রক্তসরে গেলো নির্ঝরের মুখ থেকে! ভ্রমর তাঁর আঘাতের জায়গাটায় পুনরায় আঘাত করেছে। সেদিন ভ্রমরকে কথাগুলো বলার পর থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর ভেতরে যে কি চলছে তা কেবল সে-ই জানে। প্রতিটা সেকেন্ডে নিজেকে খুন করতে ইচ্ছে করে তাঁর। সেদিন ভ্রমর কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর এত সাধের আর্টিকেলের কাগজপত্র সব ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে ময়লার ঝুঁড়িতে জমা পড়েছিলো! কিন্তু ভ্রমরকে কি করে এসব বোঝাবে সে? তথাপি ভ্রমরকে শান্ত করার চেষ্টা করে বললো,তোমাকে আমি সব বলবো ভ্রমর! আগে তুমি সুস্থ হও!’
-‘কিন্তু আমি এখন আর আপনার কোন কথা আমি শুনতে চাই না।’
-‘তবুও আমি বলবো। কথাগুলো তোমার জানা উচিৎ!’
ভ্রমর পুনরায় চিৎকার করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় মাথা এলিয়ে দিলো। নির্ঝর পুনরায় তাঁকে শান্ত করার জন্য কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলো তখুনি রাগে, ক্ষোভে দরজার দিকে, ঠিক নির্ঝরের সেদিনকার মত ইঙ্গিত করে বললো,’বেরিয়ে যান আপনি। আউট!’
ভ্রমরের এইরূপ কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারে নি নির্ঝর! কিন্তু একফোঁটাও জবাব দিলো না সে। হতাশভাবে হাসলো কেবল! তারপরই নিরবে বেরিয়ে গেলো।
★
নির্ঝরের বাবা নাহিদ রহমান যখন মারা যান তখন নাফিসা বেগমের বয়স সাতাশ বছর। নির্ঝরের বয়স এগারোমাস! হঠাৎ করেই হার্ট এটাকে মারা যান নাহিদ সাহেব।
যুবতী বয়সে ভালোই সুন্দরী ছিলেন নাফিসা রহমান। তাই নাহিদ সাহেব মারা যাওয়ার পর হিতৈষীরা অনেকেই তাঁকে আবার বিয়ে করার পরামর্শ দেন। নির্ঝরের নানা মোশারফ উল্লাহ তো প্রায় মরিয়া হয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে আবার বিয়ে দেওয়ার জন্য। নাফিসা রহমানকে রাজী করানোর জন্য তিনি এতটাই ডেস্পারেট হয়ে গিয়েছিলেন যে ছোট নির্ঝরকে দুদিন লুকিয়ে পর্যন্ত রেখেছিলেন নাফিসা রহমানের কাছ থেকে। শর্ত ছিলো তিনি যদি বিয়েতে রাজী হন তবেই নির্ঝরকে ফেরত পাবেন। কিন্তু কোনকিছুই নাফিসা রহমাকে তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে টলাতে পারে নি। রাগে ক্ষোভে বাবার সাথে কথা বন্ধ করে দিলেন তিনি। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াদ হুমকি দিলেন। মেয়ের জেদের সাথে পেরে উঠলেন না মোশারফ উল্লাহ! নির্ঝরকে বের করে মেয়ের কাছে তুলে দেন। তারপরই বাবার বাসা থেকে আলাদা হয়ে যান নাফিসা রহমান।
ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে সারাটাজীবন একা পার করে দিয়েছেন তিনি। একা হাতে সমস্ত ব্যবসা বাণিজ্য সামলেছেন। কিন্তু কোনদিন এতটুকু ক্লান্তি বা অসন্তোষ প্রকাশ করে নি।
নির্ঝরের এখনো মনে আছে, তার বয়স তখন দশ বছর তখন নাহিদ রহমানের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুই তার ভাইয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো নাফিসা রহমানকে। উদ্দেশ্য ছিলো স্বামীহারা বিধবা নাফিসা রহমানকে বোকা বানিয়ে নাহিদ রহমানের বিশাল সম্পত্তি দখলে নেওয়া। কিন্তু নাফিসা রহমান তো সহজ পাত্রী নন? শুরুতেই বারণ করে দিলেন। তারপর থেকে তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য কত রাত যে ঢিল ছুঁড়ে মারা হয়েছিলো বাড়ির বাইরে থেকে। কতরকম ভাবে যে তাকে অপদস্থ করার চেষ্টা করা হয়েছিলো! বাধ্যহয়ে নির্ঝরের ছোট মামাকে বাড়িতে নিয়ে এলেন নাফিসা রহমান। কিন্তু কারো কাছে মাথা নত করেন নি। একা হাতে ছেলেকে মানুষ করেছেন। এতকিছুর পরেও নির্ঝর কি করে তার সেই দুঃখিনী মায়ের অবাধ্য হবে? মাকে দেওয়া কথা সে ভুলে যাবে? কিন্তু এসব এখন ভ্রমর বুঝবে না। হয়ত ভ্রমরের জায়গায় নির্ঝর থাকলে সে নিজেও বুঝতো না। কিন্তু তবুও ভ্রমরকে সব বলবে নির্ঝর! আগে সে সুস্থ হোক!
★
সৃষ্টিকর্তা এতদিন পর ভ্রমরের দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন। এতদিন বাদে নিজের মন ঠিক করতে পেরেছে ভ্রমর। তার করনীয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হয়েছে সে। এবার তাঁর প্রধাণ কাজ হলো পড়াশোনা করে সমস্ত অপমানের জবাব দেওয়া।
পড়াশুনা সাধনার বস্তু। চাইলেই কেউ হঠাৎ করে ভালোছাত্র হয়ে যেতে পারে না। আবার চাইলেই কেউ একদিনে খারাপ ছাত্র হয়ে যেতে পারে না। দুটোই অভ্যাস এবং লক্ষ্য দ্বারা অর্জন করে নিতে হয়! নির্ঝর ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনাকে তাঁর সাধনা ভেবে এসেছে। তাই তারজন্য সমস্তটাই সোজা। কিন্তু ভ্রমরের ক্ষেত্রে পরিবেশ পরিস্থিতে তেমন ছিলো না। তাই চাইলেই একদিনে সে নিজেকে বদলে নিতে পারতো না। তারজন্য সময় এবং লক্ষ্য স্থির করার প্রয়োজন।
কিন্তু একের পর এক ধাক্কা খেয়ে এবার নিজেকে পুরোপুরি বুঝতে শিখে গেছে ভ্রমর!
নাফিসা রহমান, বোরহান সাহেব তাঁকে দেখতে ভেতরে ঢুকলে বাবার মুখের দিকে চেয়ে হাসলো ভ্রমর। প্রাথমিক কথাবার্তা শেষে স্পষ্টভাবে সবাইকে নিজের মতামত জানিয়ে দিলো সবাইকে! অর্থাৎ স্পষটভাবে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার কথা বললো সে। বোরহান সাহেব আপত্তি জানালে তাঁর মুখের দিকে চেয়ে ছলছল চোখে বললো,’পরের ছেলেকে দিয়ে নিজের বংশ আলোকিত করার চেষ্টাটা এবার থামাও বাবা। এবার নিজের মেয়েকে একটু সুযোগ দাও!’ বোরহান সাহেব জবাব না দিয়ে হতভম্ভ হয়ে চেয়ে রইলেন। ভ্রমরের আঘাতটা ঠিক কোথায় লেগেছে তা নাফিসা রহমানের অজানা নয়। ভ্রমরের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদের সুরে বললেন,’দোয়া করি মা, তুই এত বড় হ যেন, তোর পরিবারের সবার কমতিগুলো ছাপিয়ে তোর সফলতা টাই সবার নজরে পড়ে। তুই একা যেন তোর সমস্ত পরিবারটাকে আলোকিত করে দিতে পারিস! চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। তুইও পারবি!’ বাস্তবিকই নাফিসা রহমান মনে প্রাণে চান ভ্রমর বড় হোক। অনেক বড় হোক! সগৌরবে তার পরিবারকে গৌরবান্বিত করুক। তার কল্যাণে বাকি সব ত্রুটি ঢাকা পড়ে!
এমনটা তো নাফিসা রহমানকে চাইতেই হতো! তার ছেলের জন্য নির্ঝরের জন্যে হলেও চাইতে হতো। তার ছেলে যে এই মেয়েটাকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ফেলেছে! একে যে বড় হতেই হবে!
.
.
.
চলবে