ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে,পর্বঃ৪

0
1920

ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে,পর্বঃ৪
অরিত্রিকা আহানা

সকাল বেলা হারমোনিয়াম নিয়ে রেওয়াজে বসলো ভ্রমর। ছোটবেলায় শখ করে গান শিখেছে সে। বড় হওয়ার পরেও চর্চায় রেখেছে। রোজ নিয়ম করে রেওয়াজ করে। তাই এবাড়িতে আসার সময়ও মনে করে হারমোনিয়াম নিয়ে এসেছে। ঘুম থেকে উঠেই তাঁর প্রথম কাজ রেওয়াজে বসা। আজকেও তাই করলো।

এদিকে তার সা,রে,গা,মা,পা..শুনে ঘুমের মাঝেই চমকে উঠলো নির্ঝর। সারারাত পড়াশোনা করে ভোরের দিকে ঘুমিয়েছে সে।
সারারাত নিদ্রাহীন কাটানোর পর সকাল বেলা কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় হারমোনিয়ামের সুর অত্যন্ত কর্কশ শোনালো তাঁর কানে। বোধকরি, সেটাই স্বাভাবিক। তাই, সেদিন রাতে ভ্রমরের গাওয়া যেই গান নিশিরাতে তাঁর দুয়ায়ে এক আঁজলা প্রেম নিবেদন করেছিলো আজকে সেই গান অনুরূপ ভাবে এক আঁজলা বিরক্তি নিবেদন করলো। সেদিন রাতের মতন আজকে আর ঘোর লাগলো না। গানের সুর, মায়াবী মনে হলো না!

আকস্মিক ঘুম ভাঙ্গায় মেজাজ খিঁচড়ে গেলো। তবে সামলে নিলো সে। হাই তুলে বিছানার পাশে রাখা চশমাটা নিয়ে চোখে দিলো। ঘুমঘুম চোখেই ওয়াশরুমে ঢুকলো ফ্রেশ হতে।

ফ্রেশ হয়ে নাশতার জন্য নিচে নামতেই টেবিলে ভ্রমরের দেখা পেলো। নাফিসা রহমানও আছেন। নির্ঝোরের চোখদুটো অসম্ভব লাল হয়ে ছিলো। চশমার ফাঁক দিয়েও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, নাফিসা রহমান বুঝতে পারলেন ছেলের কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে গেছে। তিনি অবশ্য হারমোনিয়ামের আওয়াজ পেয়েই দ্রুত ভ্রমরের ঘরে ছুটে গেছিলেন। ভ্রমরও তার কথানুযায়ী সাথে সাথেই রেওয়াজ থামিয়ে দিয়েছিলো। এবং দুজনে মিলে রেওয়াজের সময়টা বিকেলবেলা নির্ধারণ করলো। কিন্তু এর মাঝেই নির্ঝরের ঘুম ভেঙ্গে গেছে। ভ্রমর লজ্জিত মুখে নাফিসা রহমানের দিকে চাইতেই তিনি ভ্রমরকে আশ্বস্ত করলেন। নির্ঝর আর যাই করুক, ভ্রমরের সাথে অন্তত চেঁচামেচি করবে না।

কিন্তু তবুও নির্ঝর নাশতার টেবিলে বসতেই ভ্রমর খানিকটা বিব্রত হলো। তাঁর জন্যই বেচারার কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে গেছে। নির্ঝরের রাত জেগে পড়ার বিষয়টা ভ্রমরের একদমই মাথায় ছিলো না। নিত্যদিনের অভ্যাস মতই হারমোনিয়াম নিয়ে বসেছিলো সে! নাফিসা রহমান বলার পরেই মনে পড়লো নির্ঝর সারারাত ঘুমায় নি।
নাশতার টেবিলে বসে উশখুশ করলো সে। উঠেও যাওয়া যাবে না, নাফিসা রহমান হাজারটা প্রশ্ন করবেন।নির্ঝর সেটা বুঝতে পেরে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বললো,’পানির বোতলটা দাও তো ভ্রমর!’

ভ্রমর অবাক হলো। একরাতেই মধ্যেই তুমি? মনে মনে খুশি হলো সে! আহা শুনতে কি মধুর লাগে! হাসিমুখেই পানির বোতল এগিয়ে দিলো।

-‘তোমার কলেজ কবে থেকে শুরু হবে?’

-‘আগামীকাল থেকে।’

-‘যাওয়া আসার কোন সমস্যা হবে না তো? চেনো?’

ডাইনিং এর পরিবেশ স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে নির্ঝর কথাগুলো বললেও ভ্রমরের আনন্দ দেখে কে! নির্ঝোর তার জন্য ভাবছে! আহা! প্রেম! মুচকি হেসে দুদিকে মাথা নাড়িয়ে বললো,’চিনি।’

-‘না চিনলেও সমস্যা নেই। কলেজের নাম বললেই ড্রাইভার পৌঁছে দেবে।’

নাফিসা রহমানও নির্ঝরের কথায় সায় দিয়ে বললেন,’হ্যাঁ। তোর কোন অসুবিধে হবে না। তুই খালি মন দিয়ে পড়াশোনা করে যা, বাকি সব আমি দেখবো!’

ভ্রমর মাথা মাড়িয়ে সায় জানালো। নাশতা শেষ করে নির্ঝর বাইরে বেরিয়ে পড়লো। কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞেস করতেই বললো তাঁর কোন বন্ধুর বাসায় যাচ্ছে!

নিয়মিত কলেজে আসা যাওয়া করছে ভ্রমর। এই বাড়িতে মোটামুটি বেশ ভালোই ফ্রি হয়ে গেছে। শুধু নির্ঝরের ব্যপারটা ছাড়া। নির্ঝর সেই প্রথম দিন যেমন ছিলো এখনো তেমনই আছে। শুধুমাত্র সম্বোধন টা আপনি থেকে তুমিতে নেমেছে এর বেশি কিছুই নয়।

মাঝে মাঝে অবাক হয় ভ্রমর। এতগুলো দিন এই বাড়িতে আছে সে, কিন্তু ভুলবশতও নির্ঝর কখনো তাকে এককাপ চা করে দেওয়ার কথা পর্যন্ত বলে নি! রাত জেগে পড়াশোনা করে, নিজের চা নিজেই বানিয়ে নেয়। অথচ প্রায়দিনই মাঝরাত পর্যন্ত ভ্রমরের ঘরের বাতি জ্বালানো থাকে ! এই বাড়িতে আসার পরে বেশ দেরী করেই ঘুমাতে যায় ভ্রমর। কিন্তু নির্ঝর সেটা জানে কি না তাও সন্দেহ আছে। রাতের বেলা প্রায়ই লুকিয়ে লুকিয়ে তাঁর ঘরে দরজায়ও উঁকি দেয় ভ্রমর। কিন্তু ভেতরে ঢোকার সাহস হয় না।

তবে, এমনিতে যে নির্ঝোর তার সঙ্গে কথাবার্তা বলে না এমন না। দেখা হলেই সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বলবে,’কি অবস্থা ভ্রমর? পড়াশোনা কেমন চলছে? আজকে কলেজ নেই?’ ব্যস এইটুকুই! কিন্তু এইটুকুতে বুকের ভেতর ধুকপুক শুরু হয়ে যায় ভ্রমরের! মনে হয় যেন নির্ঝর তাকে উদ্দেশ্য করে হাজার হাজার বাক্য বলে ফেলেছে! সবই যেন প্রণয়ের কথা। এসব ভাবতে ভাবতেই লজ্জায় লাল হয়ে যায় সে!

কিন্তু আস্তে আস্তে তাতেও হতাশ হয়ে পড়লো ভ্রমর। আর কতদিন এসব ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দেবে সে? বিকেলবেলা ভ্রমর প্রায়ই একা একা ছাদে হাঁটাহাটি করে, মাঝে মাঝে গান গায় কিন্তু কোনদিন নির্ঝর একটু ফিরেও চায় না। ঘরের দরজা বন্ধ করে বইয়ের পাতায় ডুবে থাকে সে।

ভ্রমর ভেবে পায় না নির্ঝর এত কি পড়াশোনা করে? পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও রোজ নিয়ম করে পড়াশুনা করে সে। অথচ ভ্রমর পরীক্ষার আগের দিনও গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ায়। নাফিসা রহমান কখনো কখনো নির্ঝরের সামনেও তাঁকে বকাবকি করেন এই নিয়ে। অন্যসময় নাফিসা রহমানের বকাবকিতে তেমন গা না করলেও নির্ঝর সামনে থাকলে বেশ লজ্জা পায় সে। তাঁর লাজুক মুখের দিকে চেয়ে নির্ঝর আন্তরিক হেসে বলে,’কি ভ্রমর পড়াশোনা অমনোযোগী হলে কি চলবে? প্রফে পাশ করতে হবে না? না পড়লে ভালো ডাক্তার হবে কি করে?’

লজ্জায় তখন মাথা কাটা যায় ভ্রমরের। না! ফেল অবশ্য ভ্রমর করে নি, কিন্তু তাই বলে খুব বেশি ভালো রেজাল্টও সে করছে না। মেডিকেল লাইফে অবশ্য ভালো ফলাফল অনেকটাই ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে কিন্তু নাফিসা রহমান এসব মানতে নারাজ। তাঁর কথা হচ্ছে রেজাল্ট ভালো হোক কিংবা খারাপ হোক পড়াশোনা করতেই হবে। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পড়াশুনা বিষয়ক তাঁর এমন অত্যাচারে ভ্রমরের ছুটে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু নির্ঝরের কথা মনে পড়লে সব ভুলে যায় সে!

বিকেলবেলা নির্ঝর কানে হেডফোন গুঁজে ছাদে এমাথা-ওমাথা হাঁটতে হাঁটতে গান শুনছিলো। তাঁর পরনে কালো হাতহাতা গেঞ্জি আর ছাইরঙা ট্রাউজার! ফর্সা শরীরের মিশকালো পশমগুলো বিকেলের হালকা রোদে চিকচিক করছিলো। অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো তাঁকে!
ভ্রমর এসেছিলো শুকনো জামাকাপড় নিয়ে যেতে। নির্ঝরকে দেখে থমকে গেলো! ইদানীং নির্ঝরের সামনে আসতে ভীষণ লজ্জা লাগে তাঁর। শত চেষ্টা করেও নির্ঝরের সামনে নিজের আকস্মিক লজ্জা ঢাকতে পারে না সে। চোখের পাতা ঘনঘন কাঁপতে থাকে। মাথাটা অটোমেটিক নিচু হয়ে যায়, মুখ লাল হয়ে যায়! গলার স্বরে কেমন আড়ষ্টতা কাজ করে!

নির্ঝর তাঁকে দেখতে পেয়েছে। কান থেকে হেডফোন খুলে ফেললো সে। এগিয়ে এসে হাসিমুখেই জিজ্ঞেস করলো,’কি ব্যপার ভ্রমর? কোন সমস্যা? এখানে দাঁড়িয়ে আছো যে?’

সিঁড়িঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো ভ্রমর। ছাদের যাবে কি না ভাবছিলো। নির্ঝরের গলায় আওয়াজ পেয়ে চমকে উঠে বললো,’না। কাপড় নিতে এসেছিলাম।’

-‘নিয়ে যাও। আমি নিচে যাচ্ছি।’ সামনে থেকে সরে তাকে ছাদে যাওয়ার জায়গা করে দিলো নির্ঝর।

মনে মনে দুঃখ পেলো ভ্রমর। নির্ঝরের কথা শুনে মনে হছে, সে যেন বুঝতে পেরেছে ভ্রমর তাকে দেখেই ছাদে যেতে ইতস্তত করছিলো !
কিন্তু সেটা তো অন্যকোন কারণে নয়। নির্ঝর কি ভেবেছে কেন জান? তবে এতদিনে ভ্রমর ভালো করেই বুঝে গেছে নির্ঝর কেমন মানুষ! শুধু ছাদে কেন সারাবাড়িতে কেবল সে আর নির্ঝর একা থাকলেও নির্ঝর তার কোন ক্ষতি তো দূরে থাক ফিরেও তাকাবে না। তার এই স্বভাবটাই আরো বেশি করে ভ্রমরকে তাঁর দিকে আকর্ষন করে!

আজকে সরকারি ছুটির দিন। নির্ঝর অবশ্য পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই ছুটিতে আছে। মানে নিয়ম করে ভার্সিটিতে যেতে হচ্ছে না তাঁকে। বলা বাহুল্য,পড়াশোনা অবশ্য এখনো নিয়ম করেই চলে।
বিকেলবেলা নিজের ঘরে বসে এনিমেশন মুভি দেখছিলো সে। ভ্রমর দরজায় টোকা দিয়ে বললো,’আসবো?’

ল্যাপটপ থেকে চোখ সরালো অঝোর। দরজায় দাঁড়ানো ভ্রমরকে দেখে বললো,’ভ্রমর? এসো।’

সসংকোচে ভেতরে ঢুকলো ভ্রমর। ল্যাপটপের দিকে একপলক চেয়ে বললো,’ডিস্টার্ব করি নি তো আপনার?’

-‘না। মুভি দেখছিলাম।’

ভ্রমরের পরনে নতুন জর্জেটের থ্রিপিস। বাসায় যাবে বলে হালকা সেজেছে সে। নির্ঝরের কাছ থেকে বিদায় নিতে এসেছিলো। ভেতরে ঢোকার সময় তার সাজসজ্জার দিকে একপলক চোখ পড়েছিলো নির্ঝরের। সেটা ঢাকার কোনরকম চেষ্টা না করে খুব স্বাভাবিকভাবেই বলল,’তুমি কোথাও যাচ্ছো নাকি?’

-‘হ্যাঁ। বাসায় যাচ্ছি। কলেজ বন্ধ পড়েছে! তাই সেজো ভাইয়া নিতে এসেছে।’ লাজুকমুখে কথাগুলো বললো ভ্রমর। তার সাজসজ্জার প্রতি নির্ঝর লক্ষ্য করেছে এটা ভাবতেই লজ্জায় লাল হয়ে গেলো সে।

অবাক হলো নির্ঝর। বিয়ে বাড়ির রাতে সেই স্বতঃস্ফূর্ত ভ্রমরের সাথে আজকের এই ভ্রমরের কোনরকম মেলবন্ধন খুঁজে পেলো না সে। সেদিন সেই স্বতঃস্ফূর্ত ভ্রমর নির্ঝরের হৃদয়ে যেই দাগ কেটেছিলো আজকের এই লাজুক ভ্রমর যেন সেই দাগকে ধীরেধীরে মুছে ফেলতে উদ্বুদ্ধ করলো। হয়ত প্রেমে পড়লে মেয়েরা এমনই করে! কিন্তু নির্ঝর ভেবে পায় না, সত্যিই কি ভ্রমর এতটা সহজলভ্য! বোধকরি, ভ্রমরের এমন আচার আচরণগুলো খানিকটা দ্বিধায় ফেলে দিলো তাকে কিংবা মাকে দেওয়া কথা গুলোই পরোক্ষভাবে ভ্রমরের সম্পর্কে এসব ভাবতে করছে তাঁকে! কিন্তু যাইহোক, ভ্রমরের মনে কোনরকম আশা জাগাতে একদমই ইচ্ছুক নয় নির্ঝর। খাট থেকে নেমে স্যান্ডেল পায়ে দিতে দিতে বললো,’সে কি তোমার ভাইয়া এসেছেন আগে বলো না কেন? চলো, চলো উনার সাথে দেখা করে আসি।’ ভ্রমরের মনে হলো নির্ঝর যেন ইচ্ছে করেই তাড়াহুড়া করছে।ভ্রমরকে বিদায় নেওয়ার সুযোগটুকুও দিলো না সে।

বাসায় যাওয়ার তিনদের মাথায় নির্ঝোরের নাম্বারে ফোন করলো ভ্রমর। নির্ঝর প্রথমে চিনতে পারলো না। পরিচয় দিতেই কিছুক্ষন কথাবার্তা বলে নাফিসা রহমানের কাছে ধরিয়ে দিলো। ভ্রমর অবাক হয়ে গেলো! এতদিন যদিও সিউর ছিলো না কিন্তু নির্ঝোরের এই আচরণের পরে তাঁর বুঝতে বাকি রইলো মা নির্ঝরের মনে নিজের জন্য তিল পরিমাণ জায়গাও তৈরী করতে পারে নি সে।

বাসায় আসার পর থেকে নির্ঝরের জন্য ছটফট করছিলো সে। অস্থির লাগছিলো। ঐ বাড়িতে নির্ঝরের সঙ্গে খুব বেশি দেখা হয় না তাঁর। কিন্তু তবুও সান্ত্বনা রোজ একবার হলেও চোখের দেখা অন্তত দেখতে পায়। এই একটুখানি দেখার জন্যই ভ্রমর সারাটাদিন আঁকুপাঁকু করতো। কিন্তু এখানে আসার পর থেকে সেটাও বন্ধ। দূরে গেলে ভালোবাসা বাড়ে নিজেকে দিয়ে কথাটার প্রমাণ পেলো সে। নির্ঝোরেরও একই অনুভূতি হচ্ছে কি না মূলত তা জানার জন্য ফোন করেছিলো তাঁকে। কিন্তু নির্ঝরের নির্লিপ্ত মনোভাব তাঁর সমস্ত আবেগ অনুভূতিকে একেবারে মূল্যহীন, বেকার করে দিলো। সত্যিই কি নির্ঝর বুঝতে পারে না ভ্রমর কি চায়? নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকে সে! এই প্রশ্নগুলোর কোন উত্তর নেই ভ্রমরের কাছে। এইমুহূর্তে নির্ঝরকে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করতে মন চাইছে তাঁর! নাফিসা রহমান ফোন রাখতেই হতাশায়, দুঃখে, অভিমানে আচমকা কেঁদে ফেললো সে। তার কান্না দেখে মা, ভাবীরা সবাই অস্থির হয়ে গেলেন কিন্তু কান্না কিছুতেই থামলো না। সারারাত কাঁদলো ভ্রমর!
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here