#কনফিউশন,৪১,৪২,৪৩
লেখকঃ #মৌরি_মরিয়ম
পর্ব ৪১
দুশ্চিন্তায় অস্থিরতায় সারারাত ঘুমাতে পারেনি তিরা। সকালে রিপোর্ট পজেটিভ পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল। এবার আর যাদিদ রাগ করে থাকবে কীভাবে? এত বড় সমস্যার এত সহজ সমাধান হতে পারে তা সে কল্পনাও করেনি।
অনেকবার ফোন করার পরেও যাদিদ ফোন ধরলো না। উপায় না দেখে তিরা মেসেজ দিল, “একটা সুখবর দেব। আজকে অন্তত একবার কথা বলো।” কিন্তু পুরো একটি দিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও যাদিদের কোনো রিপ্লাই পাওয়া গেল না। অবশেষে তিরা বাধ্য হয়েই খবরটা মেসেজে দিলো। লিখলো, “আমি প্রেগন্যান্ট যাদিদ। তুমি বাবা হচ্ছো। তোমার বাচ্চা আমার পেটে। তোমার সন্তানের মাকে মাফ করে দেবে না তুমি?”
যাদিদ মেসেজটা দেখে কিছুক্ষণ অবাক হয়ে চেয়ে রইলো। তার মনে হলো এটা তিরার কোনো চালাকি নয়তো? সাথে সাথে ফোন করল মাকে,
“মা সময় পেলে আজ তিরাকে নিয়ে একটু ডাক্তারের কাছে যেয়ো তো।”
“ওমা আজ সকালেই তো ডাক্তারের কাছ থেকে এলাম। মা বাচ্চা দুজনেই সুস্থ আছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন আবার যেতে হবে কেন? তিরা তো আমাকে কোনো অসুবিধার কথা বলল না।”
যাদিদ অবাক হয়ে বললো,
“ওহ ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলে! বাচ্চার কথা শুনে আমি ভাবলাম তিরা আন্দাজেই বলছে কিনা।”
“না টেস্ট করিয়েছি। তিরা তো খুশিতে পাগলের মত করছে। কংগ্রাচুলেশনস বাবা।”
“থ্যাংক ইউ মা। তিরার খেয়াল রেখো।”
“অনশ্যই, তুই কোনো চিন্তা করিস না।”
খবরটা শুনে যাদিদের খুশি লাগছে, অন্যরকম এক অনুভূতি হচ্ছে কিন্তু সে তিরার সাথে কথা বললো না। যেরকম চলছিল সেরকমই চলতে লাগলো। তিরা এই ঘটনায় যারপরনাই অবাক হলো। প্রতিদিনই অসংখ্য ফোন ও মেসেজ দিতে লাগলো। কোনোটারই কোনো ফিডব্যাক নেই। তিরার খুশি কোথায় হারিয়ে গেল! আবার আগের মত হয়ে গেল। ঘুমাতে পারে না, ঠিকমতো খেতে পারে না! দুঃসহনীয় এক জীবন পার করতে লাগলো!
কয়েক মাস পর যাদিদ একটা চিঠি পেল। তিরার নাম দেখেই অস্থির হয়ে খুলল যাদিদ। তিরা লিখেছে..
যাদিদ,
জানিনা একটা মিথ্যে অত বড় পাপ কিনা যত বড় শাস্তি তুমি আমাকে দিচ্ছো। নাকি আমার অতীত তোমার কাছে তুলে ধরায় আমি আরো খারাপ হয়ে গেছি? তোমার বাচ্চা আমার পেটে যাদিদ। আমার কথা না ভাবো, বাচ্চার কথা একবার ভাবো। বাবার উদাসীনতায় মায়ের পেটের ভেতর বেড়ে উঠছে ও। কতবড় হতভাগ্য সন্তান ও! ওর কী দোষ যাদিদ? পাপ তো আমি করেছি তাইনা? শাস্তিও আমার একার পাওয়া উচিৎ। ওকে কেন শাস্তি দিচ্ছো? কেন ওর কোনো খোঁজখবর নাও না তুমি? কেন একবার জানতে চাও না ও কতবড় হয়েছে? ও ছেলে নাকি মেয়ে? কেন ওকে নিয়ে ওর বাবা মায়ের মধ্যে একটা কথাও হবে না? নাকি আমার মত ওর প্রতিও তোমার কোনো আগ্রহ নেই?
-তিরা
পড়ার পর চিঠিটাতে একটা চুমু দিল যাদিদ। তারপর ভাঁজ করে টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দিল।
যথারীতি চিঠির কোনো উত্তর পেলো না তিরা। হতাশায় ডুবে গেল আবার। এবার তিরা যাদিদকে ফোন করাও ছেড়ে দিল। দুনিয়ার কারো কাছে ওর আর কিছু চাওয়ার নেই।
চলবে..
#কনফিউশন
লেখকঃ #মৌরি_মরিয়ম
পর্ব ৪২
আরশি রশ্নির থেকে একটা শাড়ি নিয়ে পরলো। তারপর ছবি তুলে পাঠালো কাব্যকে। কাব্য অনলাইনে নেই। সে জানে কাব্য সন্ধ্যাবেলা বাসায় ফিরে তারপর অনলাইনে আসবে। ওদের যখন সন্ধ্যা এখানে তখন রাত। রাত পর্যন্তই শাড়ি পরে রইলো আরশি। আজ যদি কাব্য ভিডিও কলে যেতে বলে সে নিশ্চয়ই যাবে। ছবি দেখে কাব্য মাথা ঘুরানোর স্টিকার দিল। আরশি হেসে ফেলল। কাব্য সাথে সাথেই ফোন করল। আরশি ফোন ধরতেই কাব্য ওপাশ থেকে বলল,
“আজ সত্যি মাথা ঘুরে পড়ে গেছি।”
আরশি দুষ্টুমি করে বলল,
“মাথা ফাটেনি তো আবার?”
“মাথা না বুক ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।”
আরশি খিলখিলিয়ে হাসলো। কাব্য বলল,
“তোমার সাহস কিন্তু অনেক বেড়ে গিয়েছে আরশি।”
“তাতে কি তোমার সমস্যা হচ্ছে? সাহস আবার কমিয়ে ফেলব?”
“আল্লাহ এমন না করুক। শুধু ভাবছি এই সাহসটুকু যদি আমি দেশে থাকতে হতো তোমার।”
“তাহলে কী হতো?”
“অনেক কিছুই হতে পারতো।”
“যেমন?”
“যেমন তখন তুমি এক ইঞ্চি সাহস দেখিয়েছো তো আমি দুই ইঞ্চি। আর এখন তুমি কিলোমিটারে সাহস দেখাচ্ছ অথচ আমি কিছুই করতে পারছি না, শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি। ”
এ কথা শুনে আরশি আবারো খিলখিল করে হেসে উঠলো৷
রেহানা আলম বেশকিছু দিন ধরেই খেয়াল করছেন যে তিরা মনমরা হয়ে আছে। মুখ দেখে মনে হয় কান্নাকাটিও করে। তবে কাঁদতে দেখেনি কখনো। এতদিন ভেবেছে যাদিদ দূরে আছে বলে হয়তো মন খারাপ। কিন্তু আজ তিরার ঘরে ঢুকতেই দেখলো সে কাঁদছে। এভাবে কাঁদতে দেখে একটু খটকা লাগলো। কাছে গিয়ে বললেন,
“তিরা কী ব্যাপার কাঁদছো কেন?”
তিরা চোখ মুছে বলল,
“ভালো লাগছে না মা।”
রেহানা তিরার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
“কী হয়েছে?”
“কিছু না।”
“যাদিদের সাথে ঝগড়া হয়েছে?”
“না।”
“অনেকদিন ধরেই তোমার এই অবস্থা দেখছি। ভেবেছি আগের মত যাদিদের বিরহে কষ্টে আছো। কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে ঘটনা অন্যকিছু। কী হয়েছে আমাকে খুলে বলো। এই সময় এভাবে মনমরা হয়ে থাকা কান্নাকাটি করা বাচ্চার অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। এমন কী মিসক্যারেজও হতে পারে।”
তিরা শাশুড়ির দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নিল। কিছু বলল না। রেহানা আবার বললেন,
“তিরা আমি খুব ভাল করে জানি যাদিদ ছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই তোমার এমন কান্নার। কী করেছে সে বলো আমাকে।”
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
“যাদিদ কিছু করেনি মা। আমিই অপরাধ করেছি তাই সে মুখ ফিরিয়ে আছে।”
রেহানা ভ্রু কুঁচকে বললেন,
“কি বলছো! কী অপরাধ করেছো?”
তিরা বুঝতে পারলো না শাশুড়িকে এসব বলা ঠিক হবে কিনা। বললে যদি সেও মুখ ফিরিয়ে নেয়? নিলেই বা আসল মানুষটাই যেখানে মুখ ফিরিয়ে আছে সেখানে আর কীসের পরোয়া! অবশেষে তিরা শাশুড়িকে সবকিছু বলে দিল। সব শুনে শাশুড়ি বললেন,
“হায় আল্লাহ! এই সামান্য কারণে যাদিদ এমন করবে? ৪ মাস ধরে তোমাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই আর সেটা তুমি আজ আমাকে বলছো! আরো আগে জানানো উচিত ছিল। আমি আজই যাদিদের সাথে কথা বলব।”
তিরা শাশুড়িকে জড়িয়ে ধরে আবার কেঁদে ফেলল। এবার সে একটু ভরসা পাচ্ছে।
যাদিদকে ফোন করে পাওয়া গেল না৷ পরে যখন যাদিদ নিজেই কলব্যাক করল তখন রেহানা বললেন,
“তুই আমার ছেলে ভাবতেও অবাক লাগছে যাদিদ!”
যাদিদ অবাক হয়ে বলল,
“কী করলাম আমি?”
“তিরার সাথে এমন কেন করছিস? স্ত্রীর প্রেগন্যাসির সময় কোনো স্বামী এমন করতে পারে আমি জানতাম না। বাচ্চা মেয়েটা নাহয় একটা মিথ্যে বলে ফেলেছে। তাতে কী এমন ক্ষতি হয়েছে? অতীতে যাই থাকুক তা বর্তমানে নেই। বর্তমান নিয়ে থাকতে হবে যাদিদ। অতীত মূল্যহীন!”
“মা এটা তিরা আর আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি এ বিষয়ে তোমার সাথে কথা বলতে চাই না।”
“তোর সাহস হয় কী করে আমাকে এমন কথা বলার? এটা এখন আর শুধু তোদের ব্যক্তিগত ব্যাপার নেই৷ এর সাথে আমার নাতি-নাতনী জড়িত। বাচ্চার কিছু হয়ে গেলে?”
“মা আমি তোমার ভালর জন্য বলছি। এ বিষয়ে যদি আমার সাথে কথা বলতে থাকো তাহলে আমার মুখ দিয়ে এমন কঠিন কথা বের হবে যা তুমি সহ্য করতে পারবে না।”
“জানি বাবা তুমি কেমন কঠিন কথা বলতে পারো তা আমার অজানা নয়। আমি তোমার কঠিন কথা শুনতে রাজী আছি। কিন্তু তিরাকে মাফ করে দাও। পেটের বাচ্চার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।”
“ক্ষতি হলে হবে। বাচ্চার নসিবে যদি মায়ের পেটেই মরে যাওয়া থাকে তাহলে তুমি আমি কেউ ফেরাতে পারব না।”
রেহানা ধমকে বললেন,
“যাদিদ কী বলছিস তুই! নিজের বাচ্চা সম্পর্কে এভাবে কেউ বলতে পারে? আল্লাহ মাফ করো।”
“আগেই মানা করেছিলাম আমার সাথে এ বিষয়ে কথা বলো না।”
যাদিদ ফোন কেটে দিল। রেহানার চোখে জল এলো। মনে পড়ে গেল যাদিদ যখন পেটে ছিল তখন তাকে নিয়ে তার বাবার কত উল্লাস ছিল! প্রতিদিন অনাগত বাচ্চাকে নিয়ে কতরকম জল্পনা কল্পনা। অথচ সেই মানুষের ছেলে কোত্থেকে এমন পাথর হলো?
চলবে…
#কনফিউশন
লেখকঃ #মৌরি_মরিয়ম
পর্ব ৪৩
তিরার এই বেহাল অবস্থাতেও আরশি তার কাছে যেতে পারছিল না পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষা শেষ হতেই চলে গেল। নিজের চোখে তিরার এই অবস্থা দেখে আরশি আর সহ্য করতে পারল না। সাথে সাথেই কল করল যাদিদকে। এর আগে যাদিদের সাথে কখনো ফোনে কথা বলার প্রয়োজন পড়েনি। তাই যাদিদ আরশির নাম্বারটাও চেনে না। ফোন ধরে কিছুটা চমকে গেল সে যখন আরশি নিজের পরিচয় দিল। যাদিদ আরশির ফোন একেবারেই আশা করেনি।
“ভাইয়া আমার আপনার সাথে কিছু কথা ছিল।”
“বলো।”
“আমি আপনাকে অনুরোধ করছি ভাইয়া তিরাকে এভাবে কষ্ট দেবেন না। এই কষ্ট ওর সহ্যক্ষমতার বাইরে।”
“আরশি আমি আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারে কথা বলার অধিকার আমার মাকেও দেইনা।”
এ কথার পর আর কিছু বলা কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব না। আরশিও পারল না। খুব রাগ হলো তার। তিরাকে বলল,
“তুই এই একগুঁয়ে লোকটাকে ডিভোর্স দিয়ে দে।”
তিরা অবাক হয়ে বলল,
“কী বলছিস তুই? এসব কথা মুখেও আনবিনা।”
“কেন? যে তিরা খুব ছোট ছোট কারণে দুনিয়ার পাগল প্রেমিকদের ছেড়েছে সে এতকিছু হয়ে যাওয়ার পরেও একটা একগুঁয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন লোককে ছাড়তে পারবে না?”
“প্রেমিক আর স্বামী এক না। তুই বুঝবিনা।”
“আল্লাহ যেন কখনো আমাকে এসব না বোঝায়। তবে তোর জায়গায় থাকলে আমি অবশ্যই ডিভোর্স দিতাম। এবং আরো অনেক আগে।”
“ভালোবাসলে পারতি না। এত সোজা না।”
“ভালোবাসা আত্মসম্মানের থেকে বড় না তিরা।”
“যাদিদের বাচ্চা আমার পেটে আরশি।”
“যে বাবা বাচ্চার প্রতি এমন অন্যায় করতে পারে সেই বাবাকে কোনো দরকার নেই এই বাচ্চার। ওকে তুই নিজেই মানুষ করবি।”
“আমি পারব না।”
“তাহলে কী করতে চাস তুই?”
“আমি এ বাড়িতেই থাকব। বাবা মা আমার অনেক খেয়াল রাখে। আমি তাদের সাথেই থাকব। এই ঘরে যাদিদের সাথে অনেক স্মৃতি, প্রত্যেকটা কোণায় কোণায় যাদিদের স্পর্শ। এই ঘরেই থাকব। এখানেই বাচ্চা জন্মাবে, এখানেই বড় হবে। কতদিন ফিরবে না যাদিদ? কতমাস? কতবছর? যেদিনই হোক একদিন তো ফিরবে? অবশ্যই ফিরবে। না ফিরলে ডিভোর্স দিয়ে দিত।”
আর কিছুই বলল না আরশি। পুরো ছুটি তিরার সাথে কাটিয়ে ঢাকায় ফিরে গেল।
এভাবেই কেটে গেল আরো কয়েক মাস। তিরা ও বাচ্চা মোটামুটি সুস্থ্যই আছে। প্রেগন্যান্সির ৭ মাস চলছে। একদিন হঠাৎ করেই রেহানা আলমের মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। সে লুকিয়ে তিরার কিছু ভিডিও করলো। যাতে তিরা কিছু টের না পায়। খুব সাধারন ভিডিও। এই যেমন তিরা খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে, পেট ধরে হাঁটছে এইসব। তারপর তা পাঠিয়ে দিল যাদিদকে। ভিডিওগুলো দেখে যাদিদের মধ্যে কী যেন হয়ে গেল। অস্থির লাগছে তার, খুব অস্থির। তিরা অনেক মোটা হয়ে গেছে, তার চোখের নিচে কালি পড়েছে, বিদ্ধস্ত চেহারা। সেই চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের কিছুই অবশিষ্ট নেই। যাদিদ বারবার ভিডিওগুলো প্লে করে তিরার পেট দেখছিল। অস্থির ভাবে পায়চারি করছিল। ইচ্ছে করছে এক্ষুণি তিরার কাছে ছুটে যেতে। কিন্তু এই মুহুর্তে ছুটি মিলবে কি? ছুটি তার পাওনা আছে তবে হুট করেই ছুটি পাবে না জানে সে! অস্থিরতায় হাত পা কাঁপতে লাগলো!
ছেলেকে ভিডিও পাঠিয়ে রেহানা বেশ নিশ্চিন্তে ছিলেন। একরকম ধরেই নিয়েছিলেন যাদিদ যেভাবেই হোক আসবে। কিন্তু পুরো একটি সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও যখন সে আসলো না তখন রেহানার মন খারাপ হয়ে গেল। এখন মনে হচ্ছে এই ছেলেকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করানোই ভুল হয়েছে। ছেলে বয়সে এবং হাতে-পায়ে বড় হয়েছে কিন্তু বিয়ের উপযুক্ত হয়নি। যাদিদ এখনই বিয়ে করতে চাইছিল না, সেই শখ করে বিয়ে দিয়ে সর্বনাশ ডেকে এনেছেন!
তিরা সকালবেলা দাঁত ব্রাশ করে বাথরুম থেকে বের হয়ে চমকে গেল। যাদিদ দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। ভাবলেশহীন মুখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। তিরা কয়েক সেকেন্ড যেতেই আবার বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল। যাদিদ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইল, এটা কী হলো!
চলবে..